এপির বিশ্লেষণ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একক সিদ্ধান্তে শুল্ক আরোপের ক্ষমতা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির একটি আপিল আদালত। শুক্রবার দেওয়া এক রায়ে আদালত জানিয়েছেন, ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করে প্রায় প্রতিটি দেশের ওপর ব্যাপক আমদানি শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে ট্রাম্প সীমা লঙ্ঘন করেছেন।
শুক্রবার ইউএস কোর্ট অব আপিলস ফর দ্য ফেডারেল সার্কিটের দেওয়া ৭-৪ সংখ্যাগরিষ্ঠতার এই রায় ট্রাম্পের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে রায়টি তাৎক্ষণিকভাবে শুল্ক বাতিল করেনি, বরং প্রশাসনকে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার সময় দিয়েছে।
আদালতের এই সিদ্ধান্ত মূলত ট্রাম্পের সেই শুল্কের ওপর কেন্দ্র করে, যা তিনি এপ্রিলের ‘লিবারেশন ডে’তে প্রায় সব মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর চাপিয়েছিলেন। তিনি যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, তাদের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পারস্পরিক শুল্ক এবং বাকি প্রায় সব দেশের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন।
ট্রাম্প আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইন (১৯৭৭) ব্যবহার করে এই শুল্ক আরোপের ন্যায্যতা প্রমাণ করেছিলেন। তিনি দীর্ঘদিনের বাণিজ্য ঘাটতিকে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ হিসেবে ঘোষণা করেন। তবে আদালত তাঁর রায়ে স্পষ্ট করে বলেছেন, কংগ্রেসের এমন ক্ষমতা প্রেসিডেন্টকে দেওয়া উদ্দেশ্য ছিল না।
মার্কিন প্রশাসন সতর্ক করে বলেছে, যদি ট্রাম্পের শুল্ক বাতিল করা হয়, তবে তাদের সংগৃহীত ১৫৯ বিলিয়ন ডলারের আমদানি কর ফেরত দিতে হতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের কোষাগারের জন্য একটি বড় আর্থিক ধাক্কা। বিচার বিভাগ সতর্ক করে বলেছেন, শুল্ক বাতিল হলে এটি দেশের জন্য ‘আর্থিক সর্বনাশ’ ডেকে আনতে পারে।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রায় ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ শুল্ক আরোপের ক্ষমতাকেও সীমিত করতে পারে, যা তাঁর দর-কষাকষির কৌশলকে দুর্বল করে দেবে। ফলে বিদেশি সরকারগুলো ভবিষ্যতে মার্কিন দাবি প্রতিরোধ করতে সাহসী হতে পারে।
ট্রাম্প অবশ্য এই রায় মেনে নিতে রাজি নন। তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘যদি এই রায় বহাল থাকে, তবে এটি আক্ষরিক অর্থেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেবে।’ তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের কাছে শুল্ক আরোপের জন্য বিকল্প আইন থাকলেও সেগুলোর ক্ষমতা সীমিত। যেমন ১৯৭৪ সালের বাণিজ্য আইন অনুসারে, তিনি সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারেন এবং তা মাত্র ১৫০ দিনের জন্য। এ ছাড়া ১৯৬২ সালের বাণিজ্য সম্প্রসারণ আইনের ২৩২ ধারা ব্যবহার করতে গেলে বাণিজ্য বিভাগের তদন্তের প্রয়োজন হয়, যা প্রেসিডেন্টের নিজের ইচ্ছায় আরোপ করা যায় না। এ কারণে, আদালতের এই রায় ট্রাম্পের একতরফাভাবে শুল্ক আরোপের ক্ষমতাকে একটি বড় আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একক সিদ্ধান্তে শুল্ক আরোপের ক্ষমতা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির একটি আপিল আদালত। শুক্রবার দেওয়া এক রায়ে আদালত জানিয়েছেন, ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করে প্রায় প্রতিটি দেশের ওপর ব্যাপক আমদানি শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে ট্রাম্প সীমা লঙ্ঘন করেছেন।
শুক্রবার ইউএস কোর্ট অব আপিলস ফর দ্য ফেডারেল সার্কিটের দেওয়া ৭-৪ সংখ্যাগরিষ্ঠতার এই রায় ট্রাম্পের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে রায়টি তাৎক্ষণিকভাবে শুল্ক বাতিল করেনি, বরং প্রশাসনকে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার সময় দিয়েছে।
আদালতের এই সিদ্ধান্ত মূলত ট্রাম্পের সেই শুল্কের ওপর কেন্দ্র করে, যা তিনি এপ্রিলের ‘লিবারেশন ডে’তে প্রায় সব মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর চাপিয়েছিলেন। তিনি যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, তাদের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পারস্পরিক শুল্ক এবং বাকি প্রায় সব দেশের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন।
ট্রাম্প আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইন (১৯৭৭) ব্যবহার করে এই শুল্ক আরোপের ন্যায্যতা প্রমাণ করেছিলেন। তিনি দীর্ঘদিনের বাণিজ্য ঘাটতিকে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ হিসেবে ঘোষণা করেন। তবে আদালত তাঁর রায়ে স্পষ্ট করে বলেছেন, কংগ্রেসের এমন ক্ষমতা প্রেসিডেন্টকে দেওয়া উদ্দেশ্য ছিল না।
মার্কিন প্রশাসন সতর্ক করে বলেছে, যদি ট্রাম্পের শুল্ক বাতিল করা হয়, তবে তাদের সংগৃহীত ১৫৯ বিলিয়ন ডলারের আমদানি কর ফেরত দিতে হতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের কোষাগারের জন্য একটি বড় আর্থিক ধাক্কা। বিচার বিভাগ সতর্ক করে বলেছেন, শুল্ক বাতিল হলে এটি দেশের জন্য ‘আর্থিক সর্বনাশ’ ডেকে আনতে পারে।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রায় ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ শুল্ক আরোপের ক্ষমতাকেও সীমিত করতে পারে, যা তাঁর দর-কষাকষির কৌশলকে দুর্বল করে দেবে। ফলে বিদেশি সরকারগুলো ভবিষ্যতে মার্কিন দাবি প্রতিরোধ করতে সাহসী হতে পারে।
ট্রাম্প অবশ্য এই রায় মেনে নিতে রাজি নন। তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘যদি এই রায় বহাল থাকে, তবে এটি আক্ষরিক অর্থেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেবে।’ তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের কাছে শুল্ক আরোপের জন্য বিকল্প আইন থাকলেও সেগুলোর ক্ষমতা সীমিত। যেমন ১৯৭৪ সালের বাণিজ্য আইন অনুসারে, তিনি সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারেন এবং তা মাত্র ১৫০ দিনের জন্য। এ ছাড়া ১৯৬২ সালের বাণিজ্য সম্প্রসারণ আইনের ২৩২ ধারা ব্যবহার করতে গেলে বাণিজ্য বিভাগের তদন্তের প্রয়োজন হয়, যা প্রেসিডেন্টের নিজের ইচ্ছায় আরোপ করা যায় না। এ কারণে, আদালতের এই রায় ট্রাম্পের একতরফাভাবে শুল্ক আরোপের ক্ষমতাকে একটি বড় আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
গাজায় বিধ্বংসী যুদ্ধের দুই বছর পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কিন্তু শান্তির এই মুহূর্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য আশীর্বাদ নয়, বরং নতুন ছয়টি বড় রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জের সূচনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
১৯ ঘণ্টা আগেএ বছরের শুরুতে মাদাগাস্কারের আনতানানারিভো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পানির কল শুকিয়ে যায়। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ২৫ বছর বয়সী মেডিকেল শিক্ষার্থী আনজান্দ্রাইনা আন্দ্রিয়ানাইভো বলেন, ‘এক ফোঁটাও পানি ছিল না, গোসল করার উপায় নেই, টয়লেট ফ্লাশ করা যাচ্ছিল না, এমনকি হাত ধোয়ার পানিও নেই।
২০ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির বিজয়ের ৮০ বছর পেরিয়ে গেছে। বেইজিং, মস্কো ও ওয়াশিংটনে আয়োজিত বহুল আলোচিত বিজয়-উদ্যাপন মিছিলগুলো যেন বন্ধুত্ব আর ধারাবাহিকতার প্রতীকী চিত্র তুলে ধরেছে। কিন্তু এই জাঁকজমকের আড়ালে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে যুদ্ধপরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা, যা একসময় বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি
১ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার নিশ্চিত করেছেন, তিনি লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর জন্য গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিকে (সিআইএ) অনুমোদন দিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস প্রথমে খবরটি প্রকাশ করে। তারা জানায়, মার্কিন প্রশাসনের কৌশল মূলত
১ দিন আগে