সম্পাদকীয়
শিক্ষাবিদ, কবি, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, গবেষক ও শিক্ষক ছিলেন আলাউদ্দিন আল আজাদ। প্রথম শহীদ মিনার ভাঙার প্রতিবাদে প্রথম কবিতা লিখেছিলেন তিনি। তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
কবি আলাউদ্দিন আল আজাদের জন্ম ১৯৩২ সালে নরসিংদীর রায়পুরা থানার রামনগর গ্রামে। তাঁর সাহিত্যচর্চার সূচনা হয়েছিল মাত্র ১৪ বছর বয়সে। মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন সম্পাদিত ‘সওগাত’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর প্রবন্ধ ‘আবেগ’ এবং গল্প ‘জানোয়ার’।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে সংবাদপত্রে খণ্ডকালীন চাকরি করেছিলেন। ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক এবং ১৯৫৪ সালে স্নাতকোত্তর, উভয় পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে প্রথম হয়েছিলেন তিনি।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কবি। পড়াশোনা শেষে নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজে বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৬ সালে শিক্ষক হন জগন্নাথ কলেজে। এই সময়ে তিনি ঢাকা জেলা যুবলীগের সভাপতি ও পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ছিলেন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ঈশ্বরগুপ্তের জীবন ও কবিতা বিষয়ে ১৯৭০ সালে অর্জন করেন পিএইচডি ডিগ্রি।
১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয় ‘কর্ণফুলী’ উপন্যাস। উপন্যাসটি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এই উপন্যাসে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহারে নিখুঁত দক্ষতার জন্য ১৯৬৫ সালে ইউনেসকো পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।
আলাউদ্দিন আল আজাদের অপর বিখ্যাত উপন্যাস হলো ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’। এই উপন্যাস অবলম্বনে ‘বসুন্ধরা’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন প্রখ্যাত পরিচালক সুভাষ দত্ত। এ চলচ্চিত্রটিও দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।
তিনি ১৯৭৪-৭৫ সালে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। এরপর ১৯৭৫ সালেই যোগ দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
পেশাগত জীবনে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাসে সংস্কৃতি উপদেষ্টা, শিক্ষাসচিব, সংস্কৃতিবিষয়ক বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ সব দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। টানা সাত বছর আলাউদ্দিন আল আজাদ ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা।
বাংলা সাহিত্যের এই গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক ২০০৯ সালের ৩ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
শিক্ষাবিদ, কবি, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, গবেষক ও শিক্ষক ছিলেন আলাউদ্দিন আল আজাদ। প্রথম শহীদ মিনার ভাঙার প্রতিবাদে প্রথম কবিতা লিখেছিলেন তিনি। তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
কবি আলাউদ্দিন আল আজাদের জন্ম ১৯৩২ সালে নরসিংদীর রায়পুরা থানার রামনগর গ্রামে। তাঁর সাহিত্যচর্চার সূচনা হয়েছিল মাত্র ১৪ বছর বয়সে। মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন সম্পাদিত ‘সওগাত’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর প্রবন্ধ ‘আবেগ’ এবং গল্প ‘জানোয়ার’।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে সংবাদপত্রে খণ্ডকালীন চাকরি করেছিলেন। ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক এবং ১৯৫৪ সালে স্নাতকোত্তর, উভয় পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে প্রথম হয়েছিলেন তিনি।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কবি। পড়াশোনা শেষে নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজে বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৬ সালে শিক্ষক হন জগন্নাথ কলেজে। এই সময়ে তিনি ঢাকা জেলা যুবলীগের সভাপতি ও পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ছিলেন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ঈশ্বরগুপ্তের জীবন ও কবিতা বিষয়ে ১৯৭০ সালে অর্জন করেন পিএইচডি ডিগ্রি।
১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয় ‘কর্ণফুলী’ উপন্যাস। উপন্যাসটি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এই উপন্যাসে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহারে নিখুঁত দক্ষতার জন্য ১৯৬৫ সালে ইউনেসকো পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।
আলাউদ্দিন আল আজাদের অপর বিখ্যাত উপন্যাস হলো ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’। এই উপন্যাস অবলম্বনে ‘বসুন্ধরা’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন প্রখ্যাত পরিচালক সুভাষ দত্ত। এ চলচ্চিত্রটিও দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।
তিনি ১৯৭৪-৭৫ সালে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। এরপর ১৯৭৫ সালেই যোগ দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
পেশাগত জীবনে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাসে সংস্কৃতি উপদেষ্টা, শিক্ষাসচিব, সংস্কৃতিবিষয়ক বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ সব দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। টানা সাত বছর আলাউদ্দিন আল আজাদ ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা।
বাংলা সাহিত্যের এই গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক ২০০৯ সালের ৩ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
১ দিন আগেযুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
১ দিন আগেইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘ ও নির্মম সংঘাত ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ। এই যুদ্ধের প্রতিটি দিন ভয়, মৃত্যু এবং সাহসিকতার এক করুণ প্রতিচ্ছবি। ঠিক এই কঠিন বাস্তবতার মাঝে ভিয়তনামের যুদ্ধের ছবি তুলতে লাগল কিশোর ফটোসাংবাদিক লু মান হং ওরফে জিমি।
৩ দিন আগে