সম্পাদকীয়
রমনার বটমূলে এখন প্রতিবছর ছায়ানটের বর্ষবরণ আমাদের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। কীভাবে এই বটমূলের (যদিও অশ্বত্থ গাছ, কিন্তু পঞ্চবটের সমাহারের একটি হওয়ায় তা নিপাতনে সিদ্ধ) সন্ধান পাওয়া গেল, সে কথাই বলা হচ্ছে এখন।
১৯৬৬ সালের দিকে বর্ষবরণের জন্য একটি বড় জায়গা পাওয়া যায় কি না, সে কথা ভাবলেন ছায়ানটের কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু কোথায় অনুষ্ঠান করলে ভালো হয়, সেটা ভেবে বের করা যাচ্ছে না। সে সময় বিদেশ থেকে ফিরলেন নওয়াজেশ আহমদ। ওয়াহিদুল হক বললেন, ‘এই তো নওয়াজেশকে পাওয়া গেছে। আপনি তো ছবি তোলার নেশায় অনেক ঘুরে বেড়ান। নববর্ষের অনুষ্ঠানের উপযুক্ত একটা খোলা জায়গার খোঁজ দেন তো আমাদের।’
নওয়াজেশ আহমদ একদিন ছায়ানটের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে এলেন রমনা রেস্তোরাঁর দিকে। সেখানেই খুঁজে পাওয়া গেল এই রমনা বটমূল।
নওয়াজেশ আহমদের জন্ম ১৯৩৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। মূলত তিনি উদ্ভিদ জিনতত্ত্ব বিজ্ঞানী। আলোকচিত্রী হিসেবে তাঁর সুনাম অনেক। ১৯৬০ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদ জিনতত্ত্ব বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের চা-বাগানে চায়ের রকমফের নিয়ে তিনি গবেষণা করেন দীর্ঘকাল। ১৯৭৯ সাল থেকে তিনি ছিলেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কৃষি উপদেষ্টা। চাকরিজীবনের চেয়ে আকর্ষণীয় ছিল তাঁর নিসর্গপ্রীতি ও ফটোগ্রাফি। পৃথিবীর বহু দেশে তাঁর আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। তাঁর ছবি মুদ্রিত হয়েছে সানডে টাইমস, গার্ডিয়ান, ফোকাস বাংলা, ব্যাংকক পোস্ট, ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়া, ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউর মতো সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি চা-বোর্ডের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ইংল্যান্ডের লন্ডনে চলে যান। সেখানে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে প্রবাসী বাঙালিদের আন্দোলনে যোগ দেন। সেখান থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং আলোকচিত্র ও স্লাইড শোর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টির কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
নওয়াজেশ আহমদের অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য ফটো অ্যালবাম রয়েছে। এর মধ্যে ‘বাংলাদেশ’ নামের অ্যালবামটি উল্লেখযোগ্য। তিনি ২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর মারা যান।
রমনার বটমূলে এখন প্রতিবছর ছায়ানটের বর্ষবরণ আমাদের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। কীভাবে এই বটমূলের (যদিও অশ্বত্থ গাছ, কিন্তু পঞ্চবটের সমাহারের একটি হওয়ায় তা নিপাতনে সিদ্ধ) সন্ধান পাওয়া গেল, সে কথাই বলা হচ্ছে এখন।
১৯৬৬ সালের দিকে বর্ষবরণের জন্য একটি বড় জায়গা পাওয়া যায় কি না, সে কথা ভাবলেন ছায়ানটের কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু কোথায় অনুষ্ঠান করলে ভালো হয়, সেটা ভেবে বের করা যাচ্ছে না। সে সময় বিদেশ থেকে ফিরলেন নওয়াজেশ আহমদ। ওয়াহিদুল হক বললেন, ‘এই তো নওয়াজেশকে পাওয়া গেছে। আপনি তো ছবি তোলার নেশায় অনেক ঘুরে বেড়ান। নববর্ষের অনুষ্ঠানের উপযুক্ত একটা খোলা জায়গার খোঁজ দেন তো আমাদের।’
নওয়াজেশ আহমদ একদিন ছায়ানটের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে এলেন রমনা রেস্তোরাঁর দিকে। সেখানেই খুঁজে পাওয়া গেল এই রমনা বটমূল।
নওয়াজেশ আহমদের জন্ম ১৯৩৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। মূলত তিনি উদ্ভিদ জিনতত্ত্ব বিজ্ঞানী। আলোকচিত্রী হিসেবে তাঁর সুনাম অনেক। ১৯৬০ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদ জিনতত্ত্ব বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের চা-বাগানে চায়ের রকমফের নিয়ে তিনি গবেষণা করেন দীর্ঘকাল। ১৯৭৯ সাল থেকে তিনি ছিলেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কৃষি উপদেষ্টা। চাকরিজীবনের চেয়ে আকর্ষণীয় ছিল তাঁর নিসর্গপ্রীতি ও ফটোগ্রাফি। পৃথিবীর বহু দেশে তাঁর আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। তাঁর ছবি মুদ্রিত হয়েছে সানডে টাইমস, গার্ডিয়ান, ফোকাস বাংলা, ব্যাংকক পোস্ট, ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়া, ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউর মতো সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি চা-বোর্ডের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ইংল্যান্ডের লন্ডনে চলে যান। সেখানে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে প্রবাসী বাঙালিদের আন্দোলনে যোগ দেন। সেখান থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং আলোকচিত্র ও স্লাইড শোর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টির কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
নওয়াজেশ আহমদের অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য ফটো অ্যালবাম রয়েছে। এর মধ্যে ‘বাংলাদেশ’ নামের অ্যালবামটি উল্লেখযোগ্য। তিনি ২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর মারা যান।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩ মার্চ আসন্ন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এই প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্তে শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই ক্ষুব্ধ হননি, রাস্তায় নামে বিক্ষুব্ধ সাধারণ জনতা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
১৮ ঘণ্টা আগে...ভাইস চ্যান্সেলর সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেনের কথা বলতে যেয়েই অধ্যাপক রাজ্জাক বললেন: ১৯৫২-তে ভাষা আন্দোলনের সময়ে, আর কিছুর জন্য নয়, সাহসের অভাবে, হি (সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন) অকেজন্ড মাচ ট্রাবল। আমার মনে আছে যেদিন গুলিটা হলো, ইউনিভার্সিটির ঐ পুরানা দালানে (বর্তমান মেডিকেল কলেজ হসপিটাল বিল্ডিং-এর দক্ষিণ দিক)..
২ দিন আগেযদি কেউ ভালোবাসা দিবসে তাঁর সঙ্গীর জন্য একটি কার্ড কিনে থাকেন, তাহলে সহজেই বলে দেওয়া যায়—কার্ড কেনা মানুষটি একজন পুরুষ। কারণ সাধারণত পুরুষেরাই নারীদের তুলনায় বেশি রোমান্টিক। এটি একটি সর্বজনবিদিত সত্য, তবে স্বীকৃতি খুবই কম।
১৫ দিন আগেএক বছরেও শুকায়নি হৃদয়ের ক্ষত। রক্তাক্ত স্মৃতি বুকে নিয়ে ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তাঁদের উদ্দেশ্য শুধু ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করা নয়, বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অর্জনও প্রধান লক্ষ্য।
১৭ দিন আগে