Ajker Patrika

মনোজ বসু

সম্পাদকীয়
মনোজ বসু

মনোজ বসু প্রধানত কথাসাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। ১৯০১ সালের ২৫ জুলাই তিনি যশোর জেলার ডোঙ্গাঘন্টা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

৮ বছর বয়সে তিনি পিতৃহীন হন। তাই তাঁকে শৈশবেই জীবনের লড়াই-সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হয়। তিনি ছিলেন মেধাবী। ছোটবেলায় পারিবারিক পরিবেশেই তাঁর পড়াশোনা শুরু। ১৯১৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রিপন কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এন্ট্রান্স পাস করেন। এরপর তিনি বাগেরহাট কলেজে এফএ ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু গান্ধীর ডাকে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে কলেজের ক্লাস বর্জন করেন। ১৯২২ সালে এফএ পাস করেন। এরপর কলকাতার সাউথ সুবার্বন কলেজ থেকে ডিস্টিংশনসহ বিএ পাস করেন ১৯২৪ সালে। বিএ পাস করার পর একই কলেজে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন। পাশাপাশি তিনি পুস্তক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

মনোজ বসুর  প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয় ১৯৪২ সালে ‘ভুলি নাই’। দ্বিতীয় উপন্যাস ‘সৈনিক’ প্রকাশিত হয় ১৯৪৬ সালে। এরপর একে একে প্রকাশিত হতে থাকে ‘জলজঙ্গল’, ‘বৃষ্টি বৃষ্টি’, ‘আমার ফাঁসি হলো’, ‘রক্তের বদলে রক্ত’ ইত্যাদি। তাঁর সর্বশেষ উপন্যাস ‘পথ কে রুখবে’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে।

মনোজ বসুর উপন্যাসের মূল ভিত্তি হলো, বাংলার নিসর্গ প্রকৃতি এবং গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনসংগ্রামের জীবন আলেখ্য। পাশাপাশি তাঁর উপন্যাসে ফুটে উঠেছে তৎকালীন সমাজব্যবস্থার বাস্তবিক চিত্র। তিনি আত্মস্বার্থহীন মানুষের প্রতি গভীর সহানুভূতি, ভালোবাসা ও দরদ দিয়ে তাদের জীবনযাপন ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর গল্প-উপন্যাসের চরিত্রগুলো যেন জ্যান্ত মানুষের প্রতিচ্ছবি। 

মনোজ বসু উপন্যাসের পাশাপাশি গল্প ও নাটক লিখেছেন। তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘বন মর্মর’ প্রকাশিত হয় ১৯৩২ সালে, দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘নববাধ’ ১৯৩৩ সালে। অন্য গল্পগ্রন্থগুলো হলো ‘দেবী কিশোরী’, ‘পৃথিবী কাদের’ প্রভৃতি। তাঁর নাটকের বইগুলো হলো প্লাবন, নূতন প্রভাত, রাখিবন্ধন ও শেষ লয়।

১৯৮৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, বেশির ভাগই ভারতীয়, আছে বাংলাদেশিও

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত