জমিলা বেগম
ছোটবেলার ঈদ অনেক মজার ঈদ ছিল। এত রাজ্যের চিন্তা ছিল না নিজেদের। চিন্তা ছিল শুধু কীভাবে কী করব ঈদের দিন।
ঈদের প্রস্তুতির কথা বলি। নতুন কাপড় ভাঁজ করে বালিশের কাছে রেখে তারপর চাঁদরাতে ঘুমাতাম। আব্বা সবাইকে একটা করে লাক্স সাবান দিতেন। সেই সাবানও বালিশের কাছে রাখতাম। ভোরের আজানের সময় ঘুম থেকে উঠতাম। সবাই সেই সাবান দিয়ে গোসল করার জন্য অস্থির হয়ে যেতাম। সেই ভোরে উঠে লাক্স সাবান দিয়ে গোসল করে তারপর আমরা নতুন জামা-কাপড় পরতাম। তখনকার নতুন কাপড় তো আর এখনকার মতো অনেক ছিল না। একটা বা দুইটা কাপড়ই হয়তো দেওয়া হতো বাড়ি থেকে। অথবা মামা একটি দিতেন, না হলে নানার পক্ষ থেকে একটা আসত। এই ছিল তখনকার নতুন কাপড়। সেই কাপড়গুলো এক দিন বা দুদিন লাগিয়ে কীভাবে পরব সে নিয়ে আমরা চিন্তা করতাম।
সকালে উঠে দেখতাম আমার মা বড় বড় কড়াইতে সেমাই, খিচুড়ি—এসব রান্না করছেন। এখন যে নুডলস খাই আমরা, সে ধরনের একটা সেমাই রান্না করতেন আমার মা, সেই বড় কড়াইতে। আমার নানি মতলব থেকে হাতে বানানো সেমাই পাঠাতেন মায়ের কাছে। ঈদের দিন সকালে ওই সেমাই মা নারকেল দিয়ে রান্না করতেন।
ফয়েল পেপারের মতো যে পেপার আছে, আব্বা সে পেপারে খুচরো বা ভাঙতি পয়সা মুড়িয়ে রাখতেন একটা প্লেটের ওপর। সেগুলো দিয়ে আসলে বাবা তখন সালামি দিতেন ঈদের দিন। সালামি ছিল আমাদের ছেলেবেলায় খুবই দারুণ একটা বিষয়। এখন তো ছেলেপেলে সালামি নিতে তেমন একটা যায় না। কিন্তু আমরা তখন যেতাম এ বাড়ি থেকে সে বাড়ি, কই কই যে যেতাম সালামি নিতে! পরিচিত সবার কাছে আমি যেতাম। সালাম করলেই টাকা পাব, সেটাই ছিল মূল কথা। তখন আরেকটা রেওয়াজ ছিল। ঈদের দিনে অনেকেই খাওয়াত মানুষকে। আমরা সেসব খাবার নিয়ে আসতাম এবং সেই সময় তারা ঈদের সালামি দিত।
এখন আমাদের বয়স হয়ে গেছে। এখন কি আর সেই আনন্দ আছে! এখন বাচ্চাকাচ্চা কী খাবে, কী পরবে সে চিন্তাই করি। এখন সুস্থ থাকাই ঈদ।
ছোটবেলার ঈদ অনেক মজার ঈদ ছিল। এত রাজ্যের চিন্তা ছিল না নিজেদের। চিন্তা ছিল শুধু কীভাবে কী করব ঈদের দিন।
ঈদের প্রস্তুতির কথা বলি। নতুন কাপড় ভাঁজ করে বালিশের কাছে রেখে তারপর চাঁদরাতে ঘুমাতাম। আব্বা সবাইকে একটা করে লাক্স সাবান দিতেন। সেই সাবানও বালিশের কাছে রাখতাম। ভোরের আজানের সময় ঘুম থেকে উঠতাম। সবাই সেই সাবান দিয়ে গোসল করার জন্য অস্থির হয়ে যেতাম। সেই ভোরে উঠে লাক্স সাবান দিয়ে গোসল করে তারপর আমরা নতুন জামা-কাপড় পরতাম। তখনকার নতুন কাপড় তো আর এখনকার মতো অনেক ছিল না। একটা বা দুইটা কাপড়ই হয়তো দেওয়া হতো বাড়ি থেকে। অথবা মামা একটি দিতেন, না হলে নানার পক্ষ থেকে একটা আসত। এই ছিল তখনকার নতুন কাপড়। সেই কাপড়গুলো এক দিন বা দুদিন লাগিয়ে কীভাবে পরব সে নিয়ে আমরা চিন্তা করতাম।
সকালে উঠে দেখতাম আমার মা বড় বড় কড়াইতে সেমাই, খিচুড়ি—এসব রান্না করছেন। এখন যে নুডলস খাই আমরা, সে ধরনের একটা সেমাই রান্না করতেন আমার মা, সেই বড় কড়াইতে। আমার নানি মতলব থেকে হাতে বানানো সেমাই পাঠাতেন মায়ের কাছে। ঈদের দিন সকালে ওই সেমাই মা নারকেল দিয়ে রান্না করতেন।
ফয়েল পেপারের মতো যে পেপার আছে, আব্বা সে পেপারে খুচরো বা ভাঙতি পয়সা মুড়িয়ে রাখতেন একটা প্লেটের ওপর। সেগুলো দিয়ে আসলে বাবা তখন সালামি দিতেন ঈদের দিন। সালামি ছিল আমাদের ছেলেবেলায় খুবই দারুণ একটা বিষয়। এখন তো ছেলেপেলে সালামি নিতে তেমন একটা যায় না। কিন্তু আমরা তখন যেতাম এ বাড়ি থেকে সে বাড়ি, কই কই যে যেতাম সালামি নিতে! পরিচিত সবার কাছে আমি যেতাম। সালাম করলেই টাকা পাব, সেটাই ছিল মূল কথা। তখন আরেকটা রেওয়াজ ছিল। ঈদের দিনে অনেকেই খাওয়াত মানুষকে। আমরা সেসব খাবার নিয়ে আসতাম এবং সেই সময় তারা ঈদের সালামি দিত।
এখন আমাদের বয়স হয়ে গেছে। এখন কি আর সেই আনন্দ আছে! এখন বাচ্চাকাচ্চা কী খাবে, কী পরবে সে চিন্তাই করি। এখন সুস্থ থাকাই ঈদ।
বাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
২ দিন আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
৩ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
৪ দিন আগেকাশ্মীর প্রিন্সেস—৭০ বছর আগে এক ট্র্যাজেডির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এয়ার ইন্ডিয়ার এই উড়োজাহাজ। ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল মুম্বাই থেকে যাত্রীদের নিয়ে হংকংয়ের কাই তাক বিমানবন্দরে পৌঁছায় উড়োজাহাজটি। পরদিন, চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার কথা ছিল সেটির।
৭ দিন আগে