সম্পাদকীয়
ইতিহাসবিদ স্যার যদুনাথ সরকার ১৮৭০ সালের ১০ ডিসেম্বর বর্তমান নাটোরের সিংড়া উপজেলার ছাতারদীঘি ইউনিয়নের কড়চমারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের স্কুলে তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরুর পর রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে কলকাতার হেয়ার স্কুল ও সিটি কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে আবার ফিরে এসে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেন। এরপর রাজশাহী কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে দশম স্থান অধিকার করে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে একই সঙ্গে ইতিহাস ও ইংরেজি নিয়ে স্নাতক এবং প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে ইংরেজিতে এমএ পাস করেন। ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রত্যাখ্যান করে ‘প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ’ বৃত্তির পরীক্ষায় পাস করেন।
রিপন কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে স্যার যদুনাথের কর্মজীবন শুরু হয়। তারপর মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। দুবার প্রেসিডেন্সি ও পাটনা কলেজে অধ্যাপনা করেন। বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি, কটকের র্যাভেনশ কলেজে পড়িয়েছেন ইংরেজি, ইতিহাস ও বাংলা।
তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাঙালি উপাচার্য ছিলেন। দ্বিতীয়বার একই পদে প্রস্তাব পেলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি ইংরেজি, সংস্কৃত ভাষা ছাড়াও উর্দু, ফারসি, মারাঠিসহ আরও কয়েকটি ভাষা জানতেন। ঐতিহাসিক গবেষক হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আগেই তিনি রবীন্দ্রনাথের ১৭টি প্রবন্ধ এবং একাধিক কবিতার ইংরেজি অনুবাদ করেন। তিনি প্রথম ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগারে মীর্জা নাথান রচিত ‘বাহরিস্তান-ই-গায়বী’র পাণ্ডুলিপি খুঁজে পান। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘নাইটহুড’ (স্যার) খেতাবে সম্মানিত করে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিলিট উপাধি প্রদান করে।
বাংলা ভাষায় তাঁর গ্রন্থ সংখ্যা মাত্র ৪ এবং প্রবন্ধ-বক্তৃতা ১৫৮টি। ইংরেজি ভাষায় বই লিখেছিলেন ১৭টি, যার বেশ কয়েকটির একাধিক খণ্ড। এর বাইরে ইংরেজিতে তাঁর ২৬০টি প্রবন্ধ, ১১০টি নিবন্ধ ও অভিভাষণ প্রকাশিত হয়েছে।
যদুনাথ সরকার ১৯৫৮ সালের ১৯ মে মৃত্যুবরণ করেন।
ইতিহাসবিদ স্যার যদুনাথ সরকার ১৮৭০ সালের ১০ ডিসেম্বর বর্তমান নাটোরের সিংড়া উপজেলার ছাতারদীঘি ইউনিয়নের কড়চমারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের স্কুলে তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরুর পর রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে কলকাতার হেয়ার স্কুল ও সিটি কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে আবার ফিরে এসে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেন। এরপর রাজশাহী কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে দশম স্থান অধিকার করে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে একই সঙ্গে ইতিহাস ও ইংরেজি নিয়ে স্নাতক এবং প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে ইংরেজিতে এমএ পাস করেন। ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রত্যাখ্যান করে ‘প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ’ বৃত্তির পরীক্ষায় পাস করেন।
রিপন কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে স্যার যদুনাথের কর্মজীবন শুরু হয়। তারপর মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। দুবার প্রেসিডেন্সি ও পাটনা কলেজে অধ্যাপনা করেন। বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি, কটকের র্যাভেনশ কলেজে পড়িয়েছেন ইংরেজি, ইতিহাস ও বাংলা।
তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাঙালি উপাচার্য ছিলেন। দ্বিতীয়বার একই পদে প্রস্তাব পেলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি ইংরেজি, সংস্কৃত ভাষা ছাড়াও উর্দু, ফারসি, মারাঠিসহ আরও কয়েকটি ভাষা জানতেন। ঐতিহাসিক গবেষক হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আগেই তিনি রবীন্দ্রনাথের ১৭টি প্রবন্ধ এবং একাধিক কবিতার ইংরেজি অনুবাদ করেন। তিনি প্রথম ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগারে মীর্জা নাথান রচিত ‘বাহরিস্তান-ই-গায়বী’র পাণ্ডুলিপি খুঁজে পান। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘নাইটহুড’ (স্যার) খেতাবে সম্মানিত করে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিলিট উপাধি প্রদান করে।
বাংলা ভাষায় তাঁর গ্রন্থ সংখ্যা মাত্র ৪ এবং প্রবন্ধ-বক্তৃতা ১৫৮টি। ইংরেজি ভাষায় বই লিখেছিলেন ১৭টি, যার বেশ কয়েকটির একাধিক খণ্ড। এর বাইরে ইংরেজিতে তাঁর ২৬০টি প্রবন্ধ, ১১০টি নিবন্ধ ও অভিভাষণ প্রকাশিত হয়েছে।
যদুনাথ সরকার ১৯৫৮ সালের ১৯ মে মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
১৮ ঘণ্টা আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
২ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
৩ দিন আগেকাশ্মীর প্রিন্সেস—৭০ বছর আগে এক ট্র্যাজেডির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এয়ার ইন্ডিয়ার এই উড়োজাহাজ। ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল মুম্বাই থেকে যাত্রীদের নিয়ে হংকংয়ের কাই তাক বিমানবন্দরে পৌঁছায় উড়োজাহাজটি। পরদিন, চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার কথা ছিল সেটির।
৬ দিন আগে