আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আনিকি পাসিভিকির সঙ্গে সৈয়দ মুজতবা আলীর দেখা হয়েছিল জেনেভার এক বড় হোটেলে। আরেক বাঙালি দম্পতি সঙ্গী ছিলেন তাঁর। রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে তিনি মাঝেমধ্যেই লক্ষ করতেন এক দীর্ঘাঙ্গিনীকে। অন্ততপক্ষে ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার মেয়েটিও পাশের টেবিল থেকে তাঁদের খেয়াল করতেন। বাঙালি তিনজনের উচ্চতা কোনোমতেই পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চির বেশি হবে না। এক সন্ধ্যায় বাঙালি ভদ্রমহিলা হোটেলের ড্রইংরুমে থাকা রেডিওর স্টেশন খুঁজছিলেন যখন, তখন সেই মেয়েটি এগিয়ে এল এবং পরিষ্কার ইংরেজিতে বলল, ‘আমি আপনাদের সাহায্য করতে পারি কি?’
পরিচয় হয়ে গেল। এরপর প্রতিদিন খাওয়ার সময় বাঙালিদের টেবিলেই বসে খাবার খেত মেয়েটি। ফিনল্যান্ড দূরের দেশ। পাসিভিকি নামটি কেন যেন পরিচিত মনে হতে লাগল সৈয়দ মুজতবা আলীর। মেয়েটি একটু লজ্জার সঙ্গে বলল, ‘হ্যাঁ, আমার বাবা ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট।’ মেয়েটা হয়ে উঠল বাঙালিদের গাইড। এত ভাষা কীভাবে শিখেছেন বলায় মেয়েটা বলল, শিখেছে বাধ্য হয়ে। ইংরেজ ব্যারন, ফরাসি কাউন্ট, ইটালিয়ান ডিউকদের সঙ্গে রসালাপ না করতে পারলে বর জুটবে কী করে? মেয়েটার রসবোধ ছিল দারুণ। একদিন বেড়াতে বের হওয়ার পর এক ডেঁপো ছোকরা আনিকির দৈর্ঘ্য দেখে চেঁচিয়ে শুধাল, ‘মাদমোজায়েল উপরের হাওয়াটা কি ঠান্ডা?’
আনিকি বলল, ‘পরিষ্কার তো বটেই! তোমার বোটকা নিশ্বাস সেখানে নেই বলে।’ ফিরে আসার পর বছর দুয়েক পত্রবিনিময় চলছিল। অনেক পরে একজন ফিন মহিলার সঙ্গে দেখা হলে মুজতবা আলী জিজ্ঞেস করলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পাসিকিভির মেয়েকে চেনেন?’ তিনি বললেন, ‘চিনি। তিন-চার মাস ধরে তিনি হাসপাতালে আছেন। পেটের ক্যানসার। তাকে একটা চিঠি লিখুন।’ চিঠি লিখলেন মুজতবা আলী। দিন চারেক পর সেই ফিন মহিলার সঙ্গে দেখা হলো।
তিনি শুধালেন, ‘চিঠি লিখেছেন?’
‘হ্যাঁ।’
‘তার আর দরকার ছিল না। কাল দেশের কাগজে পড়লাম, তিনি মারা গেছেন।’
সূত্র: সৈয়দ মুজতবা আলী রচনাবলী, পৃষ্ঠা: ১২৭-১২৯
আনিকি পাসিভিকির সঙ্গে সৈয়দ মুজতবা আলীর দেখা হয়েছিল জেনেভার এক বড় হোটেলে। আরেক বাঙালি দম্পতি সঙ্গী ছিলেন তাঁর। রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে তিনি মাঝেমধ্যেই লক্ষ করতেন এক দীর্ঘাঙ্গিনীকে। অন্ততপক্ষে ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার মেয়েটিও পাশের টেবিল থেকে তাঁদের খেয়াল করতেন। বাঙালি তিনজনের উচ্চতা কোনোমতেই পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চির বেশি হবে না। এক সন্ধ্যায় বাঙালি ভদ্রমহিলা হোটেলের ড্রইংরুমে থাকা রেডিওর স্টেশন খুঁজছিলেন যখন, তখন সেই মেয়েটি এগিয়ে এল এবং পরিষ্কার ইংরেজিতে বলল, ‘আমি আপনাদের সাহায্য করতে পারি কি?’
পরিচয় হয়ে গেল। এরপর প্রতিদিন খাওয়ার সময় বাঙালিদের টেবিলেই বসে খাবার খেত মেয়েটি। ফিনল্যান্ড দূরের দেশ। পাসিভিকি নামটি কেন যেন পরিচিত মনে হতে লাগল সৈয়দ মুজতবা আলীর। মেয়েটি একটু লজ্জার সঙ্গে বলল, ‘হ্যাঁ, আমার বাবা ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট।’ মেয়েটা হয়ে উঠল বাঙালিদের গাইড। এত ভাষা কীভাবে শিখেছেন বলায় মেয়েটা বলল, শিখেছে বাধ্য হয়ে। ইংরেজ ব্যারন, ফরাসি কাউন্ট, ইটালিয়ান ডিউকদের সঙ্গে রসালাপ না করতে পারলে বর জুটবে কী করে? মেয়েটার রসবোধ ছিল দারুণ। একদিন বেড়াতে বের হওয়ার পর এক ডেঁপো ছোকরা আনিকির দৈর্ঘ্য দেখে চেঁচিয়ে শুধাল, ‘মাদমোজায়েল উপরের হাওয়াটা কি ঠান্ডা?’
আনিকি বলল, ‘পরিষ্কার তো বটেই! তোমার বোটকা নিশ্বাস সেখানে নেই বলে।’ ফিরে আসার পর বছর দুয়েক পত্রবিনিময় চলছিল। অনেক পরে একজন ফিন মহিলার সঙ্গে দেখা হলে মুজতবা আলী জিজ্ঞেস করলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পাসিকিভির মেয়েকে চেনেন?’ তিনি বললেন, ‘চিনি। তিন-চার মাস ধরে তিনি হাসপাতালে আছেন। পেটের ক্যানসার। তাকে একটা চিঠি লিখুন।’ চিঠি লিখলেন মুজতবা আলী। দিন চারেক পর সেই ফিন মহিলার সঙ্গে দেখা হলো।
তিনি শুধালেন, ‘চিঠি লিখেছেন?’
‘হ্যাঁ।’
‘তার আর দরকার ছিল না। কাল দেশের কাগজে পড়লাম, তিনি মারা গেছেন।’
সূত্র: সৈয়দ মুজতবা আলী রচনাবলী, পৃষ্ঠা: ১২৭-১২৯
১৬৪৯ সালে যশোরের ফৌজদার হিসেবে নিযুক্ত হন বাংলার সুবেদার শাহ সুজার শ্যালকপুত্র মীর্জা সাফসি খান। কপোতাক্ষ নদের তীরে যে মীর্জানগর গ্রাম, সেটি কিন্তু তাঁরই নামানুসারে। সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে ফৌজদার হন নুরল্লা খাঁ। তিনি এই গ্রামে বুড়িভদ্রা নদীর তীরে সুবিস্তৃত পরিখা খনন করে আট-দশ ফুট উঁচু...
৮ দিন আগেঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার গোরকই গ্রামে রয়েছে প্রাচীন এক মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির বা গোরকই মন্দির নামেই এটি পরিচিত। মন্দির প্রাঙ্গণে তিনটি শিবমন্দির, একটি কালীমন্দির ও একটি নাথমন্দির ও নাথ আশ্রমের পাশাপাশি রয়েছে বড় বড় কালো পাথর দিয়ে নির্মিত রহস্যময় এক কূপ। কথিত আছে, গুপ্ত যুগ থেকে সেন...
১১ দিন আগেআর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
১৫ দিন আগেতখন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ আর বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। সেই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.) ও অন্যান্য আউলিয়ার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩৫১ সালে এ দেশে আসেন হজরত রাস্তি শাহ (র.)। তিনি ছিলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির আত্মীয়। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করতে এসে রাস্তি...
১৯ দিন আগে