সম্পাদকীয়
কল্পনা দত্ত ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামী এবং কমিউনিস্ট আন্দোলনের কর্মী ছিলেন। তাঁর জন্ম চট্টগ্রামের শ্রীপুরের বোয়ালখালী গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম খাস্তগীর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেন।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেসের এক সম্মেলনে চট্টগ্রামে এসেছিলেন। এই সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে ছিলেন কল্পনা দত্ত। স্কুলের পর তিনি ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতার বেথুন কলেজে, আইএ শ্রেণিতে। এখানেই প্রীতিলতার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর তিনি বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে পড়েন।
চট্টগ্রামে অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনার পর কল্পনা দত্ত সাংগঠনিক কাজে চলে আসেন চট্টগ্রামে। এখানে এসে তিনি বোমা তৈরি করে জেলে পাঠাতেন, যাতে আটক বিপ্লবীরা জেল থেকে পালাতে সক্ষম হন। কিন্তু একসময় ডিনামাইট ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায়। কল্পনাকে সন্দেহ করে পুলিশ। তাঁর গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের দায়িত্ব দেওয়া হয় কল্পনা ও প্রীতিলতার ওপর। কিন্তু পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ক্লাব আক্রমণের আগের দিন। দুই মাস জেল খাটেন। এরপর প্রমাণের অভাবে তিনি জামিনে মুক্ত হন।
চট্টগ্রামে অস্ত্রাগার লুণ্ঠন মামলার রায়ে তিন আসামির মধ্যে সূর্য সেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসির আদেশ হয়। আর কল্পনা দত্তের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরের আদেশ হয়। জেলেই তিনি পড়াশোনা করতে গিয়ে মার্ক্সবাদের প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৯৩৯ সালে ছাত্র আন্দোলনের চাপে সরকার তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়েই পড়াশোনার জন্য আবার কলকাতায় চলে যান তিনি। ১৯৪৩ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করেন। একই বছর বোম্বে অনুষ্ঠিত পার্টির সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনেই পার্টির তৎকালীন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পূরণ চাঁদ যোশীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
দেশ স্বাধীনের পর তিনি বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৯৭৩ ও ১৯৭৫ সালে।
১৯৯৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন বিপ্লবী কল্পনা দত্ত।
কল্পনা দত্ত ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামী এবং কমিউনিস্ট আন্দোলনের কর্মী ছিলেন। তাঁর জন্ম চট্টগ্রামের শ্রীপুরের বোয়ালখালী গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম খাস্তগীর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেন।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেসের এক সম্মেলনে চট্টগ্রামে এসেছিলেন। এই সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে ছিলেন কল্পনা দত্ত। স্কুলের পর তিনি ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতার বেথুন কলেজে, আইএ শ্রেণিতে। এখানেই প্রীতিলতার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর তিনি বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে পড়েন।
চট্টগ্রামে অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনার পর কল্পনা দত্ত সাংগঠনিক কাজে চলে আসেন চট্টগ্রামে। এখানে এসে তিনি বোমা তৈরি করে জেলে পাঠাতেন, যাতে আটক বিপ্লবীরা জেল থেকে পালাতে সক্ষম হন। কিন্তু একসময় ডিনামাইট ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায়। কল্পনাকে সন্দেহ করে পুলিশ। তাঁর গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের দায়িত্ব দেওয়া হয় কল্পনা ও প্রীতিলতার ওপর। কিন্তু পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ক্লাব আক্রমণের আগের দিন। দুই মাস জেল খাটেন। এরপর প্রমাণের অভাবে তিনি জামিনে মুক্ত হন।
চট্টগ্রামে অস্ত্রাগার লুণ্ঠন মামলার রায়ে তিন আসামির মধ্যে সূর্য সেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসির আদেশ হয়। আর কল্পনা দত্তের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরের আদেশ হয়। জেলেই তিনি পড়াশোনা করতে গিয়ে মার্ক্সবাদের প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৯৩৯ সালে ছাত্র আন্দোলনের চাপে সরকার তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়েই পড়াশোনার জন্য আবার কলকাতায় চলে যান তিনি। ১৯৪৩ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করেন। একই বছর বোম্বে অনুষ্ঠিত পার্টির সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনেই পার্টির তৎকালীন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পূরণ চাঁদ যোশীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
দেশ স্বাধীনের পর তিনি বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৯৭৩ ও ১৯৭৫ সালে।
১৯৯৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন বিপ্লবী কল্পনা দত্ত।
বাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
১২ ঘণ্টা আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
১ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
২ দিন আগেকাশ্মীর প্রিন্সেস—৭০ বছর আগে এক ট্র্যাজেডির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এয়ার ইন্ডিয়ার এই উড়োজাহাজ। ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল মুম্বাই থেকে যাত্রীদের নিয়ে হংকংয়ের কাই তাক বিমানবন্দরে পৌঁছায় উড়োজাহাজটি। পরদিন, চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার কথা ছিল সেটির।
৬ দিন আগে