সম্পাদকীয়
মাত্র ৪৩ বছর বেঁচে ছিলেন সঞ্জীব চৌধুরী। এই স্বল্প জীবনে বাংলা গানে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিলেন। নিজের লেখা কবিতা থেকে সুর দিয়ে নিজেই গান গেয়েছেন। শুধু গান গাওয়া নয়, সরাসরি যুক্ত ছিলেন এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও।
সঞ্জীব চৌধুরীর জন্ম ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের মাকালকান্দি গ্রামে। দাদা ছিলেন জমিদার। তিনি হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পুরান ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউট থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে মেধাতালিকায় ১২তম স্থান অর্জন করেন। উচ্চমাধ্যমিকে ঢাকা কলেজ থেকে আবারও মেধাতালিকায় স্থান পান। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে। পরে বিষয় পরিবর্তন করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন। তাঁর কর্মজীবনের শুরু হয় সাংবাদিকতা পেশার মাধ্যমে। কাজ করেছেন আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ ও যায়যায়দিনসহ বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায়। ফিচার সাংবাদিকতায় নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। তাঁর হাত ধরেই পত্রিকায় ফিচার বিভাগ শুরু হয়।
স্কুলে পড়াকালীন তিনি ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ছিলেন ঢাকা কলেজে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সম্পাদক।
কবিতা ছাড়াও বেশ কিছু ছোটগল্প লিখেছিলেন তিনি। তাঁর লেখা গল্পগ্রন্থ ‘রাশপ্রিন্ট’ আশির দশকে বাংলা একাডেমি কর্তৃক সেরা গল্পগ্রন্থ হিসেবে নির্বাচিত হয়। লিখেছেন নাটকের স্ক্রিপ্টও। নীল ক্লিনিক, রাশপ্রিন্ট, কোলাজ নামের তিনটি কবিতা, ছোটগল্প, নাটকের পাণ্ডুলিপিকে একত্র করে ১৯৯০ সালে ‘রাশপ্রিন্ট’ নামে সঞ্জীব চৌধুরীর একমাত্র গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়। জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘দলছুট’-এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি। সংগীতে তাঁর কোনো গুরু ছিলেন না।
১৯৯৭ সালে দলছুটের প্রথম অ্যালবাম ‘আহ’ প্রকাশিত হওয়ার পরেই চারদিকে হইচই পড়ে যায়। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘বায়োস্কোপ’, ‘আকাশচুরি’, ‘হৃদয়পুর’সহ আরও অনেক জনপ্রিয় গান গেয়েছেন তিনি।
২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মাত্র ৪৩ বছর বেঁচে ছিলেন সঞ্জীব চৌধুরী। এই স্বল্প জীবনে বাংলা গানে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিলেন। নিজের লেখা কবিতা থেকে সুর দিয়ে নিজেই গান গেয়েছেন। শুধু গান গাওয়া নয়, সরাসরি যুক্ত ছিলেন এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও।
সঞ্জীব চৌধুরীর জন্ম ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের মাকালকান্দি গ্রামে। দাদা ছিলেন জমিদার। তিনি হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পুরান ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউট থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে মেধাতালিকায় ১২তম স্থান অর্জন করেন। উচ্চমাধ্যমিকে ঢাকা কলেজ থেকে আবারও মেধাতালিকায় স্থান পান। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে। পরে বিষয় পরিবর্তন করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন। তাঁর কর্মজীবনের শুরু হয় সাংবাদিকতা পেশার মাধ্যমে। কাজ করেছেন আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ ও যায়যায়দিনসহ বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায়। ফিচার সাংবাদিকতায় নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। তাঁর হাত ধরেই পত্রিকায় ফিচার বিভাগ শুরু হয়।
স্কুলে পড়াকালীন তিনি ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ছিলেন ঢাকা কলেজে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সম্পাদক।
কবিতা ছাড়াও বেশ কিছু ছোটগল্প লিখেছিলেন তিনি। তাঁর লেখা গল্পগ্রন্থ ‘রাশপ্রিন্ট’ আশির দশকে বাংলা একাডেমি কর্তৃক সেরা গল্পগ্রন্থ হিসেবে নির্বাচিত হয়। লিখেছেন নাটকের স্ক্রিপ্টও। নীল ক্লিনিক, রাশপ্রিন্ট, কোলাজ নামের তিনটি কবিতা, ছোটগল্প, নাটকের পাণ্ডুলিপিকে একত্র করে ১৯৯০ সালে ‘রাশপ্রিন্ট’ নামে সঞ্জীব চৌধুরীর একমাত্র গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়। জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘দলছুট’-এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি। সংগীতে তাঁর কোনো গুরু ছিলেন না।
১৯৯৭ সালে দলছুটের প্রথম অ্যালবাম ‘আহ’ প্রকাশিত হওয়ার পরেই চারদিকে হইচই পড়ে যায়। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘বায়োস্কোপ’, ‘আকাশচুরি’, ‘হৃদয়পুর’সহ আরও অনেক জনপ্রিয় গান গেয়েছেন তিনি।
২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
... স্কুলে থাকতেই, দীপা দত্তের বাবা সুধাংশু বিমল দত্ত আমাদের এলাকার কমিউনিস্ট এমপি ছিলেন। ওখানে ভাষা আন্দোলনের ধাক্কাটা তীব্রভাবে লাগলো। ভাষা আন্দোলনের একজন নেতা হলেন প্রিন্সিপাল কাশেম।... তারপরে ধরো এই কমিউনিস্ট আন্দোলন, আমাদের ওখানে তখন বড় বড় নেতা যেমন আহসাব উদ্দীন সাহেব, ওখানে মিটিং করতে আসতেন।
১৫ ঘণ্টা আগে...রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি কবিতায় উত্তীর্ণ করা যায়, তাহলে সেটা কবিতা থাকবে, কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করা হয় কবিতায়, তাহলে সেটা আর কবিতা থাকবে না। কিন্তু উচ্চকণ্ঠ হলে যে কবিতা হবে না, আমি সেটা বিশ্বাস করি না। নেরুদা যথেষ্ট উচ্চকণ্ঠ রাজনৈতিক কবিতা লিখেছেন এবং সেগুলো যথেষ্ট..
৮ দিন আগেভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
১৪ দিন আগেএমএ পড়ার সময় আমি কবিতা লিখেছি, প্রবন্ধ লিখেছি; কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি। আমি দেখেছি কবি হওয়ার জন্যেও সাহিত্যিক রাজনীতি লাগে, বিভিন্ন সংঘে যোগ দিতে হয়, গুরু ধরতে হয়, অনেকের কাছে খুব বিনীত থাকতে হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে গাঁজাটাজা খেতে হয়, বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়—আমি এসব করিনি।
১৫ দিন আগে