সম্পাদকীয়
মিশেল ফুকো ছিলেন বিংশ শতাব্দীর ফ্রান্সের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এক চিন্তাশীল ব্যক্তি। উত্তর আধুনিক চিন্তাধারা, সাহিত্যতাত্ত্বিক হিসেবে তিনি বেশি পরিচিত ছিলেন।
তাঁর জন্ম ১৯২৬ সালের ১৫ অক্টোবর পশ্চিম ফ্রান্সের পোয়াতিয়ে শহরে।
ফুকোর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় ফ্রান্সের এক অভিজাত স্কুলে। এরপর তিনি ২০ বছর বয়সে প্যারিসের ‘ইকোলে নরমাল সুপারিউরে’ ভর্তি হয়ে মনোবিজ্ঞান এবং দর্শন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। স্নাতক হওয়ার পর তিনি প্রথমে লিল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে তিনি সুইডেন, পোল্যান্ড ও জার্মানিতে বসবাস করেন। ১৯৭০ সালে তিনি প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি ফ্রান্সের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘কলেজ দু ফ্রান্স’-এ ‘চিন্তাধারার ইতিহাস’ বিভাগের প্রধান হন। তিনি লুই আলথুসারের প্রভাবে ফ্রান্সের একটি কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু রাশিয়ার স্টালিনের আধিপত্যবাদী শাসনের কারণে তিনি পার্টি ত্যাগ করেন।
১৯৬১ সালের দিকে প্রকাশিত হয় তাঁর বিখ্যাত ডক্টরাল থিসিস ‘ধ্রুপদী যুগের উন্মাদনার ইতিহাস’ গবেষণা গ্রন্থটি। এই বইয়ের মাধ্যমে তিনি প্রভাবশালী দার্শনিক হিসেবে খ্যাতি পান। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলেতেও শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ফ্রান্সের বিখ্যাত রিভিউ জার্নালে নিয়মিত লিখতেন। সম্পাদনা করেছেন ‘ক্রিটিক জার্নাল’।
বিবিধ সামাজিক প্রতিষ্ঠান বিষয়ে সমালোচনামূলক আলোচনার কারণে মিশেল ফুকো বিখ্যাত। মনস্তত্ত্ব, চিকিৎসাবিদ্যা, মানবিক বিজ্ঞানসমূহ ও কারাগার ব্যবস্থার তিনি সমালোচনা করেছেন। মানবীয় যৌনতা নিয়েও তাঁর কাজ গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমতা ও ক্ষমতার ভেতরকার আন্তসম্পর্ক, জ্ঞান ও ডিসকোর্সের নানা বিষয়ে তাঁর রচনায় আলোচিত হয়েছে। ইরান বিপ্লব নিয়েও তিনি গবেষণা করেছেন।
মিশেল ফুকোর গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—উন্মাদনা ও সভ্যতা, ক্লিনিকের জন্ম, জ্ঞানের প্রত্নতত্ত্ব, শৃঙ্খলা ও শাস্তি: জেলখানার জন্ম এবং তিন খণ্ডে যৌনতার ইতিহাস ইত্যাদি। এ ছাড়া নৈতিকতা, নন্দনতত্ত্ব ও ক্ষমতা নিয়েও লিখেছেন তিনি।
মিশেল ফুকো ১৯৮৪ সালের ২৫ জুন এইডসে আক্রান্ত হয়ে প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন।
মিশেল ফুকো ছিলেন বিংশ শতাব্দীর ফ্রান্সের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এক চিন্তাশীল ব্যক্তি। উত্তর আধুনিক চিন্তাধারা, সাহিত্যতাত্ত্বিক হিসেবে তিনি বেশি পরিচিত ছিলেন।
তাঁর জন্ম ১৯২৬ সালের ১৫ অক্টোবর পশ্চিম ফ্রান্সের পোয়াতিয়ে শহরে।
ফুকোর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় ফ্রান্সের এক অভিজাত স্কুলে। এরপর তিনি ২০ বছর বয়সে প্যারিসের ‘ইকোলে নরমাল সুপারিউরে’ ভর্তি হয়ে মনোবিজ্ঞান এবং দর্শন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। স্নাতক হওয়ার পর তিনি প্রথমে লিল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে তিনি সুইডেন, পোল্যান্ড ও জার্মানিতে বসবাস করেন। ১৯৭০ সালে তিনি প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি ফ্রান্সের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘কলেজ দু ফ্রান্স’-এ ‘চিন্তাধারার ইতিহাস’ বিভাগের প্রধান হন। তিনি লুই আলথুসারের প্রভাবে ফ্রান্সের একটি কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু রাশিয়ার স্টালিনের আধিপত্যবাদী শাসনের কারণে তিনি পার্টি ত্যাগ করেন।
১৯৬১ সালের দিকে প্রকাশিত হয় তাঁর বিখ্যাত ডক্টরাল থিসিস ‘ধ্রুপদী যুগের উন্মাদনার ইতিহাস’ গবেষণা গ্রন্থটি। এই বইয়ের মাধ্যমে তিনি প্রভাবশালী দার্শনিক হিসেবে খ্যাতি পান। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলেতেও শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ফ্রান্সের বিখ্যাত রিভিউ জার্নালে নিয়মিত লিখতেন। সম্পাদনা করেছেন ‘ক্রিটিক জার্নাল’।
বিবিধ সামাজিক প্রতিষ্ঠান বিষয়ে সমালোচনামূলক আলোচনার কারণে মিশেল ফুকো বিখ্যাত। মনস্তত্ত্ব, চিকিৎসাবিদ্যা, মানবিক বিজ্ঞানসমূহ ও কারাগার ব্যবস্থার তিনি সমালোচনা করেছেন। মানবীয় যৌনতা নিয়েও তাঁর কাজ গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমতা ও ক্ষমতার ভেতরকার আন্তসম্পর্ক, জ্ঞান ও ডিসকোর্সের নানা বিষয়ে তাঁর রচনায় আলোচিত হয়েছে। ইরান বিপ্লব নিয়েও তিনি গবেষণা করেছেন।
মিশেল ফুকোর গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—উন্মাদনা ও সভ্যতা, ক্লিনিকের জন্ম, জ্ঞানের প্রত্নতত্ত্ব, শৃঙ্খলা ও শাস্তি: জেলখানার জন্ম এবং তিন খণ্ডে যৌনতার ইতিহাস ইত্যাদি। এ ছাড়া নৈতিকতা, নন্দনতত্ত্ব ও ক্ষমতা নিয়েও লিখেছেন তিনি।
মিশেল ফুকো ১৯৮৪ সালের ২৫ জুন এইডসে আক্রান্ত হয়ে প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন।
... স্কুলে থাকতেই, দীপা দত্তের বাবা সুধাংশু বিমল দত্ত আমাদের এলাকার কমিউনিস্ট এমপি ছিলেন। ওখানে ভাষা আন্দোলনের ধাক্কাটা তীব্রভাবে লাগলো। ভাষা আন্দোলনের একজন নেতা হলেন প্রিন্সিপাল কাশেম।... তারপরে ধরো এই কমিউনিস্ট আন্দোলন, আমাদের ওখানে তখন বড় বড় নেতা যেমন আহসাব উদ্দীন সাহেব, ওখানে মিটিং করতে আসতেন।
২০ ঘণ্টা আগে...রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি কবিতায় উত্তীর্ণ করা যায়, তাহলে সেটা কবিতা থাকবে, কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করা হয় কবিতায়, তাহলে সেটা আর কবিতা থাকবে না। কিন্তু উচ্চকণ্ঠ হলে যে কবিতা হবে না, আমি সেটা বিশ্বাস করি না। নেরুদা যথেষ্ট উচ্চকণ্ঠ রাজনৈতিক কবিতা লিখেছেন এবং সেগুলো যথেষ্ট..
৮ দিন আগেভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
১৪ দিন আগেএমএ পড়ার সময় আমি কবিতা লিখেছি, প্রবন্ধ লিখেছি; কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি। আমি দেখেছি কবি হওয়ার জন্যেও সাহিত্যিক রাজনীতি লাগে, বিভিন্ন সংঘে যোগ দিতে হয়, গুরু ধরতে হয়, অনেকের কাছে খুব বিনীত থাকতে হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে গাঁজাটাজা খেতে হয়, বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়—আমি এসব করিনি।
১৫ দিন আগে