সম্পাদকীয়
চীনের খ্যাতনামা সাহিত্য-সমালোচক ইয়াও হাই ১৭৭৬ সালে বিদ্যমান সাহিত্যিক প্রকরণগুলোর একটি তালিকা প্রস্তুত করেন, যার মধ্যে ছিল প্রবন্ধ, সরকারি নথিপত্র, জীবনী, সমাধিফলক, কবিতা, শোকগাথা ও ইতিহাস। কিন্তু বিস্ময়করভাবে এ তালিকায় উপন্যাস অনুপস্থিত, যদিও এ সময়ের আগেই চীনের উপন্যাস গণমানুষের মাঝে জন্ম নিয়ে, প্রাকৃত জীবনের রূপ-রসে পরিপুষ্ট হয়ে, এক অনন্য মহিমায় উচ্ছ্বসিত। ইয়াও হাইয়ের আগে ১৭৭২ সালে প্রতাপশালী সম্রাট চিয়েন লুংয়ের নির্দেশে আরেকটি সাহিত্য কোষ তৈরি করেন সে সময়ের আরেক খ্যাতিমান বিদ্বান সু কু চুয়েন শু। উপন্যাসের কোনো উল্লেখ সেখানেও যথারীতি নেই।
উপন্যাসকে বিদ্বানদের সাহিত্য জ্ঞান না করা চীনের উপন্যাস আর ঔপন্যাসিকদের জন্য আশীর্বাদই বয়ে এনেছিল। এর ফলে উপন্যাস সব সময় তাদের সাহিত্যদর্শন, সমালোচনা, চাপিয়ে দেওয়া শিল্প-সংজ্ঞা, প্রকাশের প্রথাগত ভঙ্গিমা ও কৌশল, কোনটি শিল্প আর কোনটি নয়, এই কূটতর্ক ইত্যাকার বেড়াজালের বাইরে স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে থাকল নিজ চারণক্ষেত্রে প্রাকৃতজনদের নিয়ে। এই উপন্যাস পরিপুষ্ট হতে থাকল নিজ মাটির সোঁদা গন্ধে, সাধারণ মানুষের প্রাকৃত জীবনে, তাঁদের জীবনের অন্তর্গত আলোকচ্ছটায় এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তার মাঝে। রক্ষা পেল পণ্ডিতদের শিল্পচর্চার হিম-কুহেলিকার হাত থেকে।
প্রসঙ্গত মনে পড়ে যায়, আমেরিকান কবি এমিলি ডিকিনসন একবার লিখেছিলেন, ‘প্রকৃতি এক রহস্যের আধার আর শিল্প হচ্ছে সেই আধার, যা রহস্যময় হতে চায়।’ তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রকৃতি হলো তা-ই, যা আমরা দেখতে পাই/ প্রকৃতি হলো তা-ই, যা আমরা জানতে পারি/ হায়! আমাদের প্রকাশের কোনো শিল্প নেই/ তার সারল্যের সামনে এতই তুচ্ছ/ আমাদের অভিজ্ঞান।’
চীনের সাহিত্যবেত্তারা যদি উপন্যাসের এই জন্ম-আখ্যান জানতেন, আরও বেশি ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠতেন একে সাহিত্য হিসেবে চোখ বন্ধ করে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু মাঝে দুর্ভাগ্যজনকভাবে তরুণ সম্রাটদের কেউ কেউ উপন্যাস পড়ে আনন্দ পাওয়ায় এটি আর হলো না! রাজ-আগ্রহের চাপে পড়ে তাঁদের তাকাতে হলো অন্ত্যজদের এই সৃষ্টিগুলোর দিকে।
মার্কিন সাহিত্যিক পার্ল এস. বাক নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ১৯৩৮ সালে।
চীনের খ্যাতনামা সাহিত্য-সমালোচক ইয়াও হাই ১৭৭৬ সালে বিদ্যমান সাহিত্যিক প্রকরণগুলোর একটি তালিকা প্রস্তুত করেন, যার মধ্যে ছিল প্রবন্ধ, সরকারি নথিপত্র, জীবনী, সমাধিফলক, কবিতা, শোকগাথা ও ইতিহাস। কিন্তু বিস্ময়করভাবে এ তালিকায় উপন্যাস অনুপস্থিত, যদিও এ সময়ের আগেই চীনের উপন্যাস গণমানুষের মাঝে জন্ম নিয়ে, প্রাকৃত জীবনের রূপ-রসে পরিপুষ্ট হয়ে, এক অনন্য মহিমায় উচ্ছ্বসিত। ইয়াও হাইয়ের আগে ১৭৭২ সালে প্রতাপশালী সম্রাট চিয়েন লুংয়ের নির্দেশে আরেকটি সাহিত্য কোষ তৈরি করেন সে সময়ের আরেক খ্যাতিমান বিদ্বান সু কু চুয়েন শু। উপন্যাসের কোনো উল্লেখ সেখানেও যথারীতি নেই।
উপন্যাসকে বিদ্বানদের সাহিত্য জ্ঞান না করা চীনের উপন্যাস আর ঔপন্যাসিকদের জন্য আশীর্বাদই বয়ে এনেছিল। এর ফলে উপন্যাস সব সময় তাদের সাহিত্যদর্শন, সমালোচনা, চাপিয়ে দেওয়া শিল্প-সংজ্ঞা, প্রকাশের প্রথাগত ভঙ্গিমা ও কৌশল, কোনটি শিল্প আর কোনটি নয়, এই কূটতর্ক ইত্যাকার বেড়াজালের বাইরে স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে থাকল নিজ চারণক্ষেত্রে প্রাকৃতজনদের নিয়ে। এই উপন্যাস পরিপুষ্ট হতে থাকল নিজ মাটির সোঁদা গন্ধে, সাধারণ মানুষের প্রাকৃত জীবনে, তাঁদের জীবনের অন্তর্গত আলোকচ্ছটায় এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তার মাঝে। রক্ষা পেল পণ্ডিতদের শিল্পচর্চার হিম-কুহেলিকার হাত থেকে।
প্রসঙ্গত মনে পড়ে যায়, আমেরিকান কবি এমিলি ডিকিনসন একবার লিখেছিলেন, ‘প্রকৃতি এক রহস্যের আধার আর শিল্প হচ্ছে সেই আধার, যা রহস্যময় হতে চায়।’ তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রকৃতি হলো তা-ই, যা আমরা দেখতে পাই/ প্রকৃতি হলো তা-ই, যা আমরা জানতে পারি/ হায়! আমাদের প্রকাশের কোনো শিল্প নেই/ তার সারল্যের সামনে এতই তুচ্ছ/ আমাদের অভিজ্ঞান।’
চীনের সাহিত্যবেত্তারা যদি উপন্যাসের এই জন্ম-আখ্যান জানতেন, আরও বেশি ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠতেন একে সাহিত্য হিসেবে চোখ বন্ধ করে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু মাঝে দুর্ভাগ্যজনকভাবে তরুণ সম্রাটদের কেউ কেউ উপন্যাস পড়ে আনন্দ পাওয়ায় এটি আর হলো না! রাজ-আগ্রহের চাপে পড়ে তাঁদের তাকাতে হলো অন্ত্যজদের এই সৃষ্টিগুলোর দিকে।
মার্কিন সাহিত্যিক পার্ল এস. বাক নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ১৯৩৮ সালে।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার গোরকই গ্রামে রয়েছে প্রাচীন এক মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির বা গোরকই মন্দির নামেই এটি পরিচিত। মন্দির প্রাঙ্গণে তিনটি শিবমন্দির, একটি কালীমন্দির ও একটি নাথমন্দির ও নাথ আশ্রমের পাশাপাশি রয়েছে বড় বড় কালো পাথর দিয়ে নির্মিত রহস্যময় এক কূপ। কথিত আছে, গুপ্ত যুগ থেকে সেন...
৮ ঘণ্টা আগেআর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
৪ দিন আগেতখন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ আর বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। সেই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.) ও অন্যান্য আউলিয়ার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩৫১ সালে এ দেশে আসেন হজরত রাস্তি শাহ (র.)। তিনি ছিলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির আত্মীয়। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করতে এসে রাস্তি...
৮ দিন আগেগাইবান্ধা জেলার মীরের বাগান একসময় ছিল বন-জঙ্গলে ভরা। ১৯০০ সালে সৈয়দ ওয়াজেদ আলী নামের এক দরবেশ এদিকটায় এসে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে খুঁজে পান একটি মসজিদ ও তিন আউলিয়ার মাজার। মসজিদটির দেয়ালে খোদাই করা লিপি থেকে জানা যায়, এটি হাজার বছর আগে ১০১১ সালে নির্মিত।
৯ দিন আগে