ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
প্রশ্ন: আমার বয়স ৩২ বছর। ২৫ বছর বয়সে নিজের পছন্দে বিয়ে করি। আমাদের পাঁচ বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান আছে। বিয়ের পর বাবার খরচে এমবিএ করি। স্বামী চাননি চাকরি করি। সে জন্য এখন আমি গৃহিণী। প্রথমে মন খারাপ হলেও এখন সে জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি। কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে অকারণেই সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। সে সংসারের প্রতি পুরোপুরি উদাসীন। সংসার খরচ এবং সন্তানের পড়াশোনার খরচ ঠিকমতো দেয় না বলে বাসাভাড়া ও স্কুলের বকেয়া বেড়েই চলেছে। বাবার বাড়ি থেকে অর্থ সাহায্য নিয়ে কোনোমতে চলছি। সে আমার বা তার মা-বাবা কারও কথাই মানছে না। এখন তার সংসার করাটা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। আমি তাকে তালাক দিতে চাই না।
আবার আমার পক্ষে এখন চাকরি করাও সম্ভব নয়। আমি কি স্বামীর বিরুদ্ধে নিজের এবং সন্তানের ভরণপোষণের আইনি ব্যবস্থা নিতে পারি?
রেহনুমা গাজী, নরসিংদী
উত্তর: স্বামী যদি স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে না চান, তাহলে স্ত্রী যেদিন থেকে ভরণপোষণের টাকা দাবি করবেন, সেদিন থেকে তিন বছরের মধ্যে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারবেন। কাজেই আপনি অবশ্যই আপনার স্বামীর বিরুদ্ধে নিজের এবং সন্তানের ভরণপোষণের জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আর সেটা সম্ভব স্বামীকে তালাক না দিয়েও।
ভরণপোষণ হচ্ছে স্বামীর দায়িত্ব এবং স্ত্রীর অধিকার। বৈবাহিক সম্পর্কের জন্য থাকা-খাওয়া, পোশাকপরিচ্ছদ, চিকিৎসা ও জীবনধারণের জন্য যেসব উপকরণ লাগবে, স্ত্রী তা স্বামীর কাছ থেকে পাওয়ার অধিকারী হন। এই অধিকার স্ত্রী পাবেন দাম্পত্য সম্পর্কে যুক্ত থাকার সময় এবং বিবাহবিচ্ছেদের পরেও। তবে বিবাহবিচ্ছেদের পরে এটি সীমিত অধিকার এবং সীমাবদ্ধ সময় পর্যন্ত বহাল থাকে।
১৯৮৫ সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ভরণপোষণের জন্য স্ত্রীর মামলা করার অধিকার আছে। এটি একটি দেওয়ানি প্রতিকার। এই অধ্যাদেশে ভরণপোষণ, দেনমোহর, বিবাহবিচ্ছেদ, অভিভাবকত্ব ইত্যাদি বিষয়ে পারিবারিক আদালতে মামলা করার কথা বলা হয়েছে।
১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৯ ধারায় বলা আছে, স্বামী স্ত্রীকে ভরণপোষণ দিতে ব্যর্থ হলে স্ত্রী স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন। চেয়ারম্যান সালিসি পরিষদ গঠন করে ভরণপোষণের পরিমাণ নির্ধারণ এবং সার্টিফিকেট ইস্যু করবেন। স্বামী এরপরও নির্ধারিত ভরণপোষণ না দিলে স্ত্রী বকেয়া ভূমি রাজস্বের আকারে তা আদায় করতে পারবেন।
সন্তানদের ভরণপোষণ দেওয়ার দায়িত্ব আইনগতভাবে সন্তানের বাবার। সাবালক হওয়া পর্যন্ত ছেলেকে এবং বিয়ের আগপর্যন্ত মেয়েকে বাবা ভরণপোষণ দেবেন। কোনো অসুস্থ ও অক্ষম সন্তান থাকলে তাদের ভরণপোষণও দেবেন বাবা। সাবালকত্ব অর্জনের পর সন্তানেরা নিজ ভরণপোষণ জোগাতে ব্যর্থ হলে আইন অনুসারে বাবার কাছে ভরণপোষণ দাবি করতে পারবে। তবে সে ক্ষেত্রে বাবা ভরণপোষণ দিতে বাধ্য নন। মা যখন সন্তানের জিম্মাদার, তখনো বাবা ভরণপোষণ দেবেন।
প্রশ্ন: আমার বয়স ৩২ বছর। ২৫ বছর বয়সে নিজের পছন্দে বিয়ে করি। আমাদের পাঁচ বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান আছে। বিয়ের পর বাবার খরচে এমবিএ করি। স্বামী চাননি চাকরি করি। সে জন্য এখন আমি গৃহিণী। প্রথমে মন খারাপ হলেও এখন সে জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি। কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে অকারণেই সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। সে সংসারের প্রতি পুরোপুরি উদাসীন। সংসার খরচ এবং সন্তানের পড়াশোনার খরচ ঠিকমতো দেয় না বলে বাসাভাড়া ও স্কুলের বকেয়া বেড়েই চলেছে। বাবার বাড়ি থেকে অর্থ সাহায্য নিয়ে কোনোমতে চলছি। সে আমার বা তার মা-বাবা কারও কথাই মানছে না। এখন তার সংসার করাটা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। আমি তাকে তালাক দিতে চাই না।
আবার আমার পক্ষে এখন চাকরি করাও সম্ভব নয়। আমি কি স্বামীর বিরুদ্ধে নিজের এবং সন্তানের ভরণপোষণের আইনি ব্যবস্থা নিতে পারি?
রেহনুমা গাজী, নরসিংদী
উত্তর: স্বামী যদি স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে না চান, তাহলে স্ত্রী যেদিন থেকে ভরণপোষণের টাকা দাবি করবেন, সেদিন থেকে তিন বছরের মধ্যে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারবেন। কাজেই আপনি অবশ্যই আপনার স্বামীর বিরুদ্ধে নিজের এবং সন্তানের ভরণপোষণের জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আর সেটা সম্ভব স্বামীকে তালাক না দিয়েও।
ভরণপোষণ হচ্ছে স্বামীর দায়িত্ব এবং স্ত্রীর অধিকার। বৈবাহিক সম্পর্কের জন্য থাকা-খাওয়া, পোশাকপরিচ্ছদ, চিকিৎসা ও জীবনধারণের জন্য যেসব উপকরণ লাগবে, স্ত্রী তা স্বামীর কাছ থেকে পাওয়ার অধিকারী হন। এই অধিকার স্ত্রী পাবেন দাম্পত্য সম্পর্কে যুক্ত থাকার সময় এবং বিবাহবিচ্ছেদের পরেও। তবে বিবাহবিচ্ছেদের পরে এটি সীমিত অধিকার এবং সীমাবদ্ধ সময় পর্যন্ত বহাল থাকে।
১৯৮৫ সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ভরণপোষণের জন্য স্ত্রীর মামলা করার অধিকার আছে। এটি একটি দেওয়ানি প্রতিকার। এই অধ্যাদেশে ভরণপোষণ, দেনমোহর, বিবাহবিচ্ছেদ, অভিভাবকত্ব ইত্যাদি বিষয়ে পারিবারিক আদালতে মামলা করার কথা বলা হয়েছে।
১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৯ ধারায় বলা আছে, স্বামী স্ত্রীকে ভরণপোষণ দিতে ব্যর্থ হলে স্ত্রী স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন। চেয়ারম্যান সালিসি পরিষদ গঠন করে ভরণপোষণের পরিমাণ নির্ধারণ এবং সার্টিফিকেট ইস্যু করবেন। স্বামী এরপরও নির্ধারিত ভরণপোষণ না দিলে স্ত্রী বকেয়া ভূমি রাজস্বের আকারে তা আদায় করতে পারবেন।
সন্তানদের ভরণপোষণ দেওয়ার দায়িত্ব আইনগতভাবে সন্তানের বাবার। সাবালক হওয়া পর্যন্ত ছেলেকে এবং বিয়ের আগপর্যন্ত মেয়েকে বাবা ভরণপোষণ দেবেন। কোনো অসুস্থ ও অক্ষম সন্তান থাকলে তাদের ভরণপোষণও দেবেন বাবা। সাবালকত্ব অর্জনের পর সন্তানেরা নিজ ভরণপোষণ জোগাতে ব্যর্থ হলে আইন অনুসারে বাবার কাছে ভরণপোষণ দাবি করতে পারবে। তবে সে ক্ষেত্রে বাবা ভরণপোষণ দিতে বাধ্য নন। মা যখন সন্তানের জিম্মাদার, তখনো বাবা ভরণপোষণ দেবেন।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। নতুন বাজেটে ৫ হাজার ৭৭ কোটি ৮৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ২২২ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
২ ঘণ্টা আগেবাড়ি তাঁর খুলনায়। সুন্দরবন, নদীনালা, গাছপালা মিলিয়ে এক অনিন্দ্যসুন্দর জনপদ। সুন্দরবন মানে শুধু বাঘ, মৌয়াল আর মাছ নয়; সেখানে আছে বনবিবির বিশ্বাস, আছে স্থানীয় উপকরণে তৈরি স্থানীয় শিল্প। সবাই সেগুলোর তেমন কদর না করলেও কেউ কেউ তো কদর করেনই। তেমনই একজন ফৌজিয়া ডেইজী।
২ ঘণ্টা আগেপলিথিন ও প্লাস্টিক একই জিনিস নয়। তবে পলিথিন মূলত একধরনের প্লাস্টিক। বিশ্বজুড়ে সেই প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে চলছে আন্দোলন। আগামীকাল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। হ্যাশট্যাগ বিট প্লাস্টিক পলিউশন স্লোগান দিয়ে এবার প্লাস্টিকদূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। প্লাস্টিক পরিবেশ দূষণ করে।
২ ঘণ্টা আগেআমার স্বামী দেশের বাইরে গেছে পড়াশোনার জন্য। আমাদের দুই বছরের একটি মেয়েসন্তান আছে। রান্নাবান্না, শ্বশুর-শাশুড়ি ও নিজের যত্ন, সন্তানের যত্ন নেওয়া আমার কাজ। বাকি কাজের জন্য লোক আছে। কিন্তু সন্তান সামাল দিতেই আমি নাজেহাল। সন্তানের অতিরিক্ত কান্না সহ্য করতে না পেরে মারধর করি।
২ ঘণ্টা আগে