নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নারী অধিকারকর্মী, লেখক ও শিক্ষক নাদিরা ইয়াসমিনকে হয়রানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে লেখক ও সাহিত্যিক, ব্লগার ও সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন পেন ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তাঁকে পূর্ণাঙ্গভাবে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে এবং নারীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে। গতকাল সোমবার (১১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এসব কথা জানায় পেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের মে মাসে নাদিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে লক্ষ্যভিত্তিক হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন তীব্রতর হয়। তিনি একজন লেখক, সম্পাদক ও নরসিংদী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক।
শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি ইয়াসমিন নারীর অধিকারবিষয়ক সংগঠন নারী অঙ্গনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সংগঠনটির সাহিত্য পত্রিকা হিস্যার সম্পাদক। তিনি লৈঙ্গিক সমতার দৃঢ় সমর্থক এবং তাঁর সংগঠন গত এপ্রিলে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।
ওই প্রতিবেদনে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে ৪৩৩টি সুপারিশ করা হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই ধর্মীয় রক্ষণশীলদের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কিছু সুপারিশ, বিশেষত কাঠামোগত লৈঙ্গিক বৈষম্য দূর করার প্রস্তাবগুলো, ইসলামি শরিয়াহর বিরোধী বলে তাঁরা দাবি করেন। হেফাজতে ইসলাম ঢাকায় সমাবেশ করে নারীবিষয়ক কমিশন বিলুপ্তিসহ নানা দাবি জানায়।
নাদিরা ইয়াসমিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেফাজতের ওই সমাবেশের সমালোচনা করেন। এর পর থেকে হেফাজতে ইসলাম ও অন্যান্য রক্ষণশীল গোষ্ঠী তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
পেন ইন্টারন্যাশনালের উইমেন রাইটার্স কমিটির চেয়ার জুডিথ হিল বলেন, ‘এই সাহসী ও প্রয়োজনীয় প্রতিবেদনটি (নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন) বাংলাদেশের নারীরা যে গভীর প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্যের শিকার, তা নিয়ে বহুদিনের আলোচনার দ্বার খুলে দিয়েছে। নাদিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে নৃশংস অভিযানের ঘটনাটি শুধু হৃদয়বিদারকই নয়, এটি একটি সতর্কবার্তাও বটে। নারীর সম-অধিকারের পক্ষে তিনি সোচ্চার হয়েছেন, আর সে কারণেই তাঁকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এটাই প্রমাণ করে কেন এই সংস্কারমূলক কাজটি এত জরুরি। আমরা নাদিরার পাশে আছি এবং সরকারের প্রতিও একই আহ্বান জানাচ্ছি।’
পেনের বিবৃতিতে বলা হয়, নাদিরা ইয়াসমিনকে অনলাইন হয়রানি করা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। এমনকি তাঁর কলেজ কর্তৃপক্ষ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্তের আলটিমেটাম দেয়। ২৬ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি নোটিশ জারি করে নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বদলি করে এবং তাঁকে ‘বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ (ওএসডি) হিসেবে নিয়োগ দেয়। এর ফলে তিনি শিক্ষকতা বা অন্যান্য একাডেমিক দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারছেন না, যা কার্যত বরখাস্তের সমান।
বিবৃতিতে বলা হয়, যদিও সুশীল সমাজ সরকারের প্রতি নাদিরা ইয়াসমিনকে হয়রানি থেকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার এখনো তাঁকে আগের পদে পুনর্বহাল করেনি বা তাঁর বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি।
নাদিরা ইয়াসমিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, নাদিরা ইয়াসমিনকে তাঁর একাডেমিক পদে পুনর্বহাল করতে এবং নারীর অধিকারের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে, যাতে নাদিরা ইয়াসমিনসহ লৈঙ্গিক সমতার পক্ষে কথা বলা অন্যরা নিরাপদ পরিবেশে কোনো ভয় বা হয়রানির শঙ্কা ছাড়াই মত প্রকাশ করতে পারেন।’
নারী অধিকারকর্মী, লেখক ও শিক্ষক নাদিরা ইয়াসমিনকে হয়রানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে লেখক ও সাহিত্যিক, ব্লগার ও সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন পেন ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তাঁকে পূর্ণাঙ্গভাবে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে এবং নারীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে। গতকাল সোমবার (১১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এসব কথা জানায় পেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের মে মাসে নাদিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে লক্ষ্যভিত্তিক হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন তীব্রতর হয়। তিনি একজন লেখক, সম্পাদক ও নরসিংদী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক।
শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি ইয়াসমিন নারীর অধিকারবিষয়ক সংগঠন নারী অঙ্গনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সংগঠনটির সাহিত্য পত্রিকা হিস্যার সম্পাদক। তিনি লৈঙ্গিক সমতার দৃঢ় সমর্থক এবং তাঁর সংগঠন গত এপ্রিলে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।
ওই প্রতিবেদনে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে ৪৩৩টি সুপারিশ করা হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই ধর্মীয় রক্ষণশীলদের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কিছু সুপারিশ, বিশেষত কাঠামোগত লৈঙ্গিক বৈষম্য দূর করার প্রস্তাবগুলো, ইসলামি শরিয়াহর বিরোধী বলে তাঁরা দাবি করেন। হেফাজতে ইসলাম ঢাকায় সমাবেশ করে নারীবিষয়ক কমিশন বিলুপ্তিসহ নানা দাবি জানায়।
নাদিরা ইয়াসমিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেফাজতের ওই সমাবেশের সমালোচনা করেন। এর পর থেকে হেফাজতে ইসলাম ও অন্যান্য রক্ষণশীল গোষ্ঠী তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
পেন ইন্টারন্যাশনালের উইমেন রাইটার্স কমিটির চেয়ার জুডিথ হিল বলেন, ‘এই সাহসী ও প্রয়োজনীয় প্রতিবেদনটি (নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন) বাংলাদেশের নারীরা যে গভীর প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্যের শিকার, তা নিয়ে বহুদিনের আলোচনার দ্বার খুলে দিয়েছে। নাদিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে নৃশংস অভিযানের ঘটনাটি শুধু হৃদয়বিদারকই নয়, এটি একটি সতর্কবার্তাও বটে। নারীর সম-অধিকারের পক্ষে তিনি সোচ্চার হয়েছেন, আর সে কারণেই তাঁকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এটাই প্রমাণ করে কেন এই সংস্কারমূলক কাজটি এত জরুরি। আমরা নাদিরার পাশে আছি এবং সরকারের প্রতিও একই আহ্বান জানাচ্ছি।’
পেনের বিবৃতিতে বলা হয়, নাদিরা ইয়াসমিনকে অনলাইন হয়রানি করা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। এমনকি তাঁর কলেজ কর্তৃপক্ষ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্তের আলটিমেটাম দেয়। ২৬ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি নোটিশ জারি করে নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বদলি করে এবং তাঁকে ‘বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ (ওএসডি) হিসেবে নিয়োগ দেয়। এর ফলে তিনি শিক্ষকতা বা অন্যান্য একাডেমিক দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারছেন না, যা কার্যত বরখাস্তের সমান।
বিবৃতিতে বলা হয়, যদিও সুশীল সমাজ সরকারের প্রতি নাদিরা ইয়াসমিনকে হয়রানি থেকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার এখনো তাঁকে আগের পদে পুনর্বহাল করেনি বা তাঁর বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি।
নাদিরা ইয়াসমিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, নাদিরা ইয়াসমিনকে তাঁর একাডেমিক পদে পুনর্বহাল করতে এবং নারীর অধিকারের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে, যাতে নাদিরা ইয়াসমিনসহ লৈঙ্গিক সমতার পক্ষে কথা বলা অন্যরা নিরাপদ পরিবেশে কোনো ভয় বা হয়রানির শঙ্কা ছাড়াই মত প্রকাশ করতে পারেন।’
দেশে সবকিছু নিয়ে একটি পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু নারীদের নিরাপত্তা, তাঁদের অধিকার, তাঁদের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে অংশগ্রহণের বিষয়গুলো নিয়ে কতটুকু কথা হচ্ছে? নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে কথা হচ্ছে। এর মধ্যে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? রাজনৈতিক দলগুলোতে নারী নেতৃত্বের...
১২ ঘণ্টা আগে১২ আগস্ট মঙ্গলবার, সকালেই এক গভীর শূন্যতা নেমে এল চারপাশে। অধ্যাপক মাহফুজা খানম আর নেই! বুকের ভেতর যেন এক অপার শূন্যতার ঢেউ আছড়ে পড়ল। মানুষ চলে গেলে পৃথিবী তো থেমে যায় না, আকাশের রংও বদলায় না, রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় থাকে। কিন্তু আমাদের ভেতরের পৃথিবী থেমে যায়। আমার কাছে তিনি শুধু একজন খ্যাতিমান..
১২ ঘণ্টা আগেযুদ্ধের উত্তাপে জর্জরিত গাজায় প্রতিটি মুহূর্তে মৃত্যুর ছায়া ঘোরে। তবু সেখানে নতুন প্রাণের আশা যেন এক অনন্য বিজয়। গাজার আসসাহাবা মেডিকেল কমপ্লেক্সের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক, নার্স আর ইন্টার্নরা এই জীবন ও মৃত্যুর এক অপরিহার্য সম্পর্কের সাক্ষী হয়ে ওঠেন প্রতিনিয়ত। সেখানে অনিশ্চিত নিকষ কালো..
১৩ ঘণ্টা আগেআমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি। একটি ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল কলেজজীবন থেকে। সে এখন একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। আমাদের কথা বন্ধ হয়ে যায় এক বছর আগে তার ইচ্ছাতেই। এ ঘটনায় আমি খুবই বিষণ্ন হয়ে যাই। পরে তা কাটিয়ে উঠি। কিছুদিন আগে সে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে আনব্লক করে, স্টোরি দেখে...
১৪ ঘণ্টা আগে