মৌনতা আমিন

কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় ভারতীয় উপমহাদেশের পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর উন্নত জীবন ছিল এককালে এই কাবুলে। ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত দেশটির কৃষি কলেজে ইংরেজি ও ফারসি ভাষার শিক্ষক ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। শুধু দেশটি নয়, আমাদের কাছেও এসব এখন গল্প।
এক দীর্ঘ ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক পথ পাড়ি দিয়ে আফগানিস্তান বর্তমান সময়ে পৌঁছেছে। বিভিন্ন সময় দেশটি শাসিত হয়েছে বিভিন্নভাবে। কখনো পশ্চিমের ভাবধারায়, কখনো সোভিয়েত ইউনিয়নের আদর্শে। এখন কট্টর ধর্মীয় মতাদর্শে। এসব শাসনের ছাপ পড়েছে দেশটির মানুষের ওপর, বিশেষ করে নারীদের ওপর।
১৯৯৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে প্রথমবার দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। তাদের সে শাসনকাল স্থায়ী ছিল ২০০১ সাল পর্যন্ত। এ সময় তালেবান সরকার বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করে দেশটির জনগণের ওপর। এর বড় অংশ আরোপিত হয় নারীদের ওপর। তাদের বাড়ির বাইরে কাজ করতে নিষেধ করা হয়, ‘উদ্দীপক ও আকর্ষণীয়’ হিসেবে বিবেচিত পোশাক পরা থেকে বিরত রাখা হয়, একান্ত ঘনিষ্ঠ পুরুষ আত্মীয় বা মাহরাম ছাড়া ট্যাক্সি নেওয়া বন্ধ করা হয়, স্রোতে কাপড় ধোয়া অথবা দরজিদের কাছে গিয়ে পোশাকের মাপ দেওয়াও নিষিদ্ধ হয়।
নারীদের চিকিৎসা খাতে কর্মসংস্থান সীমাবদ্ধ ছিল। পুরুষ চিকিৎসকদের নারীদের শরীর পরীক্ষার অনুমতি ছিল না। কাবুলের মতো জায়গায় শুধু মেয়েদের জন্যই নয়; বরং ছেলেদের জন্যও অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। তালেবান জানিয়েছিল, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার সঙ্গে সঙ্গে সব প্রতিষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। কিন্তু আদতে তা হয়নি। বরং বিষয়গুলো স্বাভাবিক করে ফেলা হয়েছিল।
২০০১ সালের পর তালেবান ক্ষমতা হারায় প্রায় দুই দশকের জন্য। এই দীর্ঘ সময় সরকার নারীদের ‘উন্নয়ন’-এর চেষ্টা করে। তারা আগের চাপিয়ে দেওয়া আইনকানুন শিথিল করে এক নতুন পরিবেশ তৈরি করে। ২০ বছর সেটিই ছিল স্বাভাবিক। নারীরা ফিরতে চেষ্টা করেছিল তাদের স্বাভাবিক জীবনে।
২০২১ সালের ১৫ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে ক্ষমতা নেয় তালেবান। সেই সূত্রে এই আগস্টে তালেবান তাদের দ্বিতীয় মেয়াদের পঞ্চম বছরে পদার্পণ করল। আমরা জানি, তালেবান শাসনে এসেই ফিরিয়ে এনেছে আগের ব্যবস্থা। আর গত চার বছরে এসব ঘটনাকে দেশটির নারীদের কাছে ‘স্বাভাবিক’ করার জোর চেষ্টা হয়েছে।
সম্প্রতি ইউএন উইমেন প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আফগানিস্তানের ৭৮ শতাংশের বেশি নারীর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও চাকরি নেই। আফগানিস্তানে নারীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার দিকে লক্ষ রেখে প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে সেখানে মাতৃমৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। জাতিসংঘের আফগানিস্তান মিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে মতপ্রকাশের অধিকার কমে যাওয়ার কারণে। আফগান নারীদের কণ্ঠস্বর শুধু জনসমক্ষেই নয়, পরিবারেও উপেক্ষিত হচ্ছে। ইউএন উইমেনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬২ শতাংশ আফগান নারী মনে করে, তারা ঘরের সিদ্ধান্তেও নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারে না।
যদি এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে, তাহলে সমাজ ধীরে ধীরে বুদ্ধিবৃত্তিক বৈচিত্র্য মুছে ফেলার দিকে এগিয়ে যাবে এবং লৈঙ্গিক বৈষম্য স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। ড. হুমায়রা কাদেরি, আফগান ঔপন্যাসিক ও নারী অধিকারকর্মী; সূত্র: রুখসানা মিডিয়া
তালেবানের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চলতি মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক চাপের অভাব আসলে তালেবানকে ‘পরোক্ষ বৈধতা’ দিচ্ছে। তারা বলেছে, জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলো গত চার বছরে আফগানিস্তানে ঘটে চলা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রতিবেদনে সরকারগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে তালেবানের ওপর আরও চাপ বাড়াতে এবং আফগান শরণার্থীদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো বন্ধ করতে। মানবাধিকারকর্মীরা সতর্ক করে বলেছেন, মানুষকে বাধ্য হয়ে মানিয়ে নিতে হচ্ছে বলে অনেকেই ভয়, অর্থনৈতিক দুর্দশা অথবা মানসিক ক্লান্তির কারণে এমন কঠোর অবস্থাকে দৈনন্দিন বাস্তবতার অংশ হিসেবে মেনে নিচ্ছে।
২০২৪ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, তালেবানের জারি করা নির্দেশনাগুলো নারী ও কিশোরীদের শিক্ষা, চাকরি, চলাফেরার স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের অধিকার লঙ্ঘন করেছে। তারা লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার নারী ও কিশোরীদের সুরক্ষাব্যবস্থা বাতিল করেছে, স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক বাধা সৃষ্টি করেছে এবং খেলাধুলা ও পার্কে যাওয়া নারীদের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। হিজাব ও মাহরাম বা পুরুষ অভিভাবক-সংক্রান্ত কঠোর নিয়মের ফলে নারীদের চাকরির জন্য যাতায়াত বা চিকিৎসা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। ড্রেস কোড মানা হয়নি এমন অভিযোগে অনেক নারী ও কিশোরীকে আটক করেছে তালেবান প্রশাসন। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আটক নারী ও কিশোরীদের মধ্যে কেউ কেউ দীর্ঘদিন নির্জন কারাবন্দী ছিল। তাদের ওপর শারীরিক সহিংসতা, হুমকি ও ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে সেগুলো স্বাভাবিক করে তোলা হয়েছে।
আফগানিস্তানে বাধ্যতামূলক বিয়ে ও যৌন সহিংসতা বেড়ে চলেছে এবং এর স্বাভাবিকীকরণও সমান্তরালভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কবি ও মানবাধিকারকর্মী মাজদা মেহরগান বলেছেন, নারীর মর্যাদা নিয়ে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি ও তাদের পুরুষদের সম্পত্তি হিসেবে দেখার মানসিকতা সহিংসতাকে স্বাভাবিক করে তুলেছে। এই মানসিকতার ভয়াবহতা হলো, এ কারণে নারীর প্রতি সহিংসতা ব্যক্তির প্রতি সহিংসতা হিসেবে বিবেচিত হয় না। সচেতনতা বৃদ্ধি তাৎক্ষণিক বিপ্লব না ঘটালেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি নতুন প্রজন্মের চোখে নারীদের অনুপস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ হয়ে ওঠা থেকে রক্ষা করবে।
টানা চার বছরের সংগ্রামের পর কোনো দৃশ্যমান ফল না পাওয়ায় মানুষ আশাহীন হয়ে পড়ছে। তালেবানের দমনমূলক শাসনে যেকোনো ধরনের প্রকাশ্য প্রতিবাদ এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও কিছু মানুষ কম ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করছে। তবে এই বিষয়ে বিশ্বের নীরবতা আসলে তালেবান অপরাধকে মেনে নেওয়ার নামান্তর বলেও মনে করছেন অনেকেই।
সূত্র: রুখসানা মিডিয়া, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় ভারতীয় উপমহাদেশের পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর উন্নত জীবন ছিল এককালে এই কাবুলে। ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত দেশটির কৃষি কলেজে ইংরেজি ও ফারসি ভাষার শিক্ষক ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। শুধু দেশটি নয়, আমাদের কাছেও এসব এখন গল্প।
এক দীর্ঘ ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক পথ পাড়ি দিয়ে আফগানিস্তান বর্তমান সময়ে পৌঁছেছে। বিভিন্ন সময় দেশটি শাসিত হয়েছে বিভিন্নভাবে। কখনো পশ্চিমের ভাবধারায়, কখনো সোভিয়েত ইউনিয়নের আদর্শে। এখন কট্টর ধর্মীয় মতাদর্শে। এসব শাসনের ছাপ পড়েছে দেশটির মানুষের ওপর, বিশেষ করে নারীদের ওপর।
১৯৯৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে প্রথমবার দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। তাদের সে শাসনকাল স্থায়ী ছিল ২০০১ সাল পর্যন্ত। এ সময় তালেবান সরকার বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করে দেশটির জনগণের ওপর। এর বড় অংশ আরোপিত হয় নারীদের ওপর। তাদের বাড়ির বাইরে কাজ করতে নিষেধ করা হয়, ‘উদ্দীপক ও আকর্ষণীয়’ হিসেবে বিবেচিত পোশাক পরা থেকে বিরত রাখা হয়, একান্ত ঘনিষ্ঠ পুরুষ আত্মীয় বা মাহরাম ছাড়া ট্যাক্সি নেওয়া বন্ধ করা হয়, স্রোতে কাপড় ধোয়া অথবা দরজিদের কাছে গিয়ে পোশাকের মাপ দেওয়াও নিষিদ্ধ হয়।
নারীদের চিকিৎসা খাতে কর্মসংস্থান সীমাবদ্ধ ছিল। পুরুষ চিকিৎসকদের নারীদের শরীর পরীক্ষার অনুমতি ছিল না। কাবুলের মতো জায়গায় শুধু মেয়েদের জন্যই নয়; বরং ছেলেদের জন্যও অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। তালেবান জানিয়েছিল, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার সঙ্গে সঙ্গে সব প্রতিষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। কিন্তু আদতে তা হয়নি। বরং বিষয়গুলো স্বাভাবিক করে ফেলা হয়েছিল।
২০০১ সালের পর তালেবান ক্ষমতা হারায় প্রায় দুই দশকের জন্য। এই দীর্ঘ সময় সরকার নারীদের ‘উন্নয়ন’-এর চেষ্টা করে। তারা আগের চাপিয়ে দেওয়া আইনকানুন শিথিল করে এক নতুন পরিবেশ তৈরি করে। ২০ বছর সেটিই ছিল স্বাভাবিক। নারীরা ফিরতে চেষ্টা করেছিল তাদের স্বাভাবিক জীবনে।
২০২১ সালের ১৫ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে ক্ষমতা নেয় তালেবান। সেই সূত্রে এই আগস্টে তালেবান তাদের দ্বিতীয় মেয়াদের পঞ্চম বছরে পদার্পণ করল। আমরা জানি, তালেবান শাসনে এসেই ফিরিয়ে এনেছে আগের ব্যবস্থা। আর গত চার বছরে এসব ঘটনাকে দেশটির নারীদের কাছে ‘স্বাভাবিক’ করার জোর চেষ্টা হয়েছে।
সম্প্রতি ইউএন উইমেন প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আফগানিস্তানের ৭৮ শতাংশের বেশি নারীর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও চাকরি নেই। আফগানিস্তানে নারীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার দিকে লক্ষ রেখে প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে সেখানে মাতৃমৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। জাতিসংঘের আফগানিস্তান মিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে মতপ্রকাশের অধিকার কমে যাওয়ার কারণে। আফগান নারীদের কণ্ঠস্বর শুধু জনসমক্ষেই নয়, পরিবারেও উপেক্ষিত হচ্ছে। ইউএন উইমেনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬২ শতাংশ আফগান নারী মনে করে, তারা ঘরের সিদ্ধান্তেও নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারে না।
যদি এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে, তাহলে সমাজ ধীরে ধীরে বুদ্ধিবৃত্তিক বৈচিত্র্য মুছে ফেলার দিকে এগিয়ে যাবে এবং লৈঙ্গিক বৈষম্য স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। ড. হুমায়রা কাদেরি, আফগান ঔপন্যাসিক ও নারী অধিকারকর্মী; সূত্র: রুখসানা মিডিয়া
তালেবানের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চলতি মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক চাপের অভাব আসলে তালেবানকে ‘পরোক্ষ বৈধতা’ দিচ্ছে। তারা বলেছে, জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলো গত চার বছরে আফগানিস্তানে ঘটে চলা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রতিবেদনে সরকারগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে তালেবানের ওপর আরও চাপ বাড়াতে এবং আফগান শরণার্থীদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো বন্ধ করতে। মানবাধিকারকর্মীরা সতর্ক করে বলেছেন, মানুষকে বাধ্য হয়ে মানিয়ে নিতে হচ্ছে বলে অনেকেই ভয়, অর্থনৈতিক দুর্দশা অথবা মানসিক ক্লান্তির কারণে এমন কঠোর অবস্থাকে দৈনন্দিন বাস্তবতার অংশ হিসেবে মেনে নিচ্ছে।
২০২৪ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, তালেবানের জারি করা নির্দেশনাগুলো নারী ও কিশোরীদের শিক্ষা, চাকরি, চলাফেরার স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের অধিকার লঙ্ঘন করেছে। তারা লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার নারী ও কিশোরীদের সুরক্ষাব্যবস্থা বাতিল করেছে, স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক বাধা সৃষ্টি করেছে এবং খেলাধুলা ও পার্কে যাওয়া নারীদের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। হিজাব ও মাহরাম বা পুরুষ অভিভাবক-সংক্রান্ত কঠোর নিয়মের ফলে নারীদের চাকরির জন্য যাতায়াত বা চিকিৎসা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। ড্রেস কোড মানা হয়নি এমন অভিযোগে অনেক নারী ও কিশোরীকে আটক করেছে তালেবান প্রশাসন। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আটক নারী ও কিশোরীদের মধ্যে কেউ কেউ দীর্ঘদিন নির্জন কারাবন্দী ছিল। তাদের ওপর শারীরিক সহিংসতা, হুমকি ও ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে সেগুলো স্বাভাবিক করে তোলা হয়েছে।
আফগানিস্তানে বাধ্যতামূলক বিয়ে ও যৌন সহিংসতা বেড়ে চলেছে এবং এর স্বাভাবিকীকরণও সমান্তরালভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কবি ও মানবাধিকারকর্মী মাজদা মেহরগান বলেছেন, নারীর মর্যাদা নিয়ে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি ও তাদের পুরুষদের সম্পত্তি হিসেবে দেখার মানসিকতা সহিংসতাকে স্বাভাবিক করে তুলেছে। এই মানসিকতার ভয়াবহতা হলো, এ কারণে নারীর প্রতি সহিংসতা ব্যক্তির প্রতি সহিংসতা হিসেবে বিবেচিত হয় না। সচেতনতা বৃদ্ধি তাৎক্ষণিক বিপ্লব না ঘটালেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি নতুন প্রজন্মের চোখে নারীদের অনুপস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ হয়ে ওঠা থেকে রক্ষা করবে।
টানা চার বছরের সংগ্রামের পর কোনো দৃশ্যমান ফল না পাওয়ায় মানুষ আশাহীন হয়ে পড়ছে। তালেবানের দমনমূলক শাসনে যেকোনো ধরনের প্রকাশ্য প্রতিবাদ এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও কিছু মানুষ কম ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করছে। তবে এই বিষয়ে বিশ্বের নীরবতা আসলে তালেবান অপরাধকে মেনে নেওয়ার নামান্তর বলেও মনে করছেন অনেকেই।
সূত্র: রুখসানা মিডিয়া, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
৪ ঘণ্টা আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৫ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
৬ ঘণ্টা আগে
বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
৭ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছিলেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।
মা, বাবা, ভাই, ভাবি এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মাহমুদার পরিবার। সেখানে আর কেউ ছবি তোলে না; তাই ফটোগ্রাফি নিয়ে তাঁর যে জগৎ, সেটি পুরোপুরি নিজের হাতে গড়া। একাকী এই পথচলাই যেন তাঁকে আরও বিশেষ মনোযোগী করে তুলেছে, আরও অনুপ্রাণিত করেছে।
শুরুটা খুব সাধারণ, তারপরও বিশেষ
‘সুন্দর মুহূর্ত ধরে রাখতে ভালো লাগে’—এমনই এক সাধারণ অনুভূতি থেকে মাহমুদা ছবি তুলতে শুরু করেন। সময়কে কেউ থামাতে পারে না। কিন্তু ছবি সেই সময়ের ছাপকে ধরে রাখতে পারে। এই টান থেকে তাঁর ফটোগ্রাফির যাত্রা।
প্রথম ক্যামেরা? ক্যামেরা বলা যাবে না। কারণ, এখন পর্যন্ত তিনি মোবাইল ফোন দিয়েই ছবি তোলেন। এই মোবাইল যেন তাঁর হাতে এক জাদুর বাক্স।

স্বীকৃতির প্রথম ধাপ
মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা তাঁর ছবি প্রথমবার জায়গা করে নেয় ‘তরুণেরাই পরিবর্তনের প্রভাবক’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল প্রদর্শনী। সেখান থেকে তিনি পেয়েছেন একটি সার্টিফিকেট। এটি তাঁর কাছে শুধু একটি কাগজ নয়, নিজেকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার সাহস।
অনলাইন প্রতিযোগিতায় তাঁর সাফল্য রয়েছে। ‘প্রাণোচ্ছ্বাস আত্মসেবা নয়, মানবসেবা’-এর ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ফটোগ্রাফি কনটেস্টে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন।

যেসব ছবি ছুঁয়ে যায়
প্রিয় ছবির কথা উঠলে তিনি স্মরণ করেন এই নভেম্বরের এক ভোরের স্মৃতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াশাঘেরা পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখেছিলেন, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে কুয়াশা, ভোরের ঠান্ডা, নিস্তব্ধতা আর দুই বন্ধুর পথচলার মিষ্টি স্মৃতি। তিনি মোবাইল ফোনে মুহূর্তটাকে বন্দী করেছিলেন।
ভয়ের দিক
যে কাজ মানুষকে আনন্দ দেয়, সেটির পেছনেও ভয় থাকে। মাহমুদার ভয় খুব সাধারণ, কিন্তু বাস্তব। তা হলো, সব সময় অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা যায় না। কেউ যদি বিরক্ত হয়! কেউ রাগ করলে? এসব মাঝে মাঝে তাঁকে থামিয়ে দেয়।

নারী ফটোগ্রাফার হওয়ার বাড়তি চ্যালেঞ্জ
বাইরের মানুষ বাজে কথা না বললেও অনেক জায়গায় শুনতে হয়, মেয়ে হয়ে ছবি তুলছেন? বিষয়টি সবাই ভালো চোখে দেখে না। তার ওপর বিশেষ চ্যালেঞ্জ হলো, বাড়ির লোকজন এখনো জানেই না, তিনি ছবি তোলেন! তাই নিজের ভালোবাসার কাজটুকু তাঁকে চুপিচুপি, নিজের মতো করে করতে হয়।
পাখির ছবি, প্রকৃতির ছবি
মাহমুদার ভালো লাগে ল্যান্ডস্কেপ, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও পোর্ট্রেট। বারান্দায় এসে ডেকে ওঠা শালিক পাখিগুলো তাঁর ছবি তোলার নিয়মিত বিষয়। খেলা করতে করতে শালিকদের যে স্বচ্ছন্দ ভঙ্গি, সেগুলো তিনি ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টা করেন।

অভাববোধ করেন একজন গাইডের
মাহমুদার বড় আফসোস, কেউ নেই যিনি বলে দেবেন, কোন ছবি ভালো, কোনটা নয়, কোথায় ভুল, কীভাবে আরও ভালো হওয়া যায়। একজন অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে পথনির্দেশনা পেলে তিনি বিশ্বাস করেন, গল্প আরও গভীরভাবে বলতে পারবেন।
স্বপ্ন এখনো চলমান
একদিন চাকরি হবে, ব্যস্ততা তখন নিশ্চয় বাড়বে। কিন্তু ছবি তোলার নেশা কখনো হারিয়ে যাবে না। সুযোগ পেলে নিজের একটি ক্যামেরা কিনবেন; তখন আরও দক্ষভাবে, আরও গল্পময় ছবি তুলবেন। নতুন নতুন গল্পের সন্ধানে পথচলা অব্যাহত থাকবে— মাহমুদার স্বপ্ন আপাতত এতটুকুই।

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছিলেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।
মা, বাবা, ভাই, ভাবি এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মাহমুদার পরিবার। সেখানে আর কেউ ছবি তোলে না; তাই ফটোগ্রাফি নিয়ে তাঁর যে জগৎ, সেটি পুরোপুরি নিজের হাতে গড়া। একাকী এই পথচলাই যেন তাঁকে আরও বিশেষ মনোযোগী করে তুলেছে, আরও অনুপ্রাণিত করেছে।
শুরুটা খুব সাধারণ, তারপরও বিশেষ
‘সুন্দর মুহূর্ত ধরে রাখতে ভালো লাগে’—এমনই এক সাধারণ অনুভূতি থেকে মাহমুদা ছবি তুলতে শুরু করেন। সময়কে কেউ থামাতে পারে না। কিন্তু ছবি সেই সময়ের ছাপকে ধরে রাখতে পারে। এই টান থেকে তাঁর ফটোগ্রাফির যাত্রা।
প্রথম ক্যামেরা? ক্যামেরা বলা যাবে না। কারণ, এখন পর্যন্ত তিনি মোবাইল ফোন দিয়েই ছবি তোলেন। এই মোবাইল যেন তাঁর হাতে এক জাদুর বাক্স।

স্বীকৃতির প্রথম ধাপ
মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা তাঁর ছবি প্রথমবার জায়গা করে নেয় ‘তরুণেরাই পরিবর্তনের প্রভাবক’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল প্রদর্শনী। সেখান থেকে তিনি পেয়েছেন একটি সার্টিফিকেট। এটি তাঁর কাছে শুধু একটি কাগজ নয়, নিজেকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার সাহস।
অনলাইন প্রতিযোগিতায় তাঁর সাফল্য রয়েছে। ‘প্রাণোচ্ছ্বাস আত্মসেবা নয়, মানবসেবা’-এর ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ফটোগ্রাফি কনটেস্টে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন।

যেসব ছবি ছুঁয়ে যায়
প্রিয় ছবির কথা উঠলে তিনি স্মরণ করেন এই নভেম্বরের এক ভোরের স্মৃতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াশাঘেরা পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখেছিলেন, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে কুয়াশা, ভোরের ঠান্ডা, নিস্তব্ধতা আর দুই বন্ধুর পথচলার মিষ্টি স্মৃতি। তিনি মোবাইল ফোনে মুহূর্তটাকে বন্দী করেছিলেন।
ভয়ের দিক
যে কাজ মানুষকে আনন্দ দেয়, সেটির পেছনেও ভয় থাকে। মাহমুদার ভয় খুব সাধারণ, কিন্তু বাস্তব। তা হলো, সব সময় অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা যায় না। কেউ যদি বিরক্ত হয়! কেউ রাগ করলে? এসব মাঝে মাঝে তাঁকে থামিয়ে দেয়।

নারী ফটোগ্রাফার হওয়ার বাড়তি চ্যালেঞ্জ
বাইরের মানুষ বাজে কথা না বললেও অনেক জায়গায় শুনতে হয়, মেয়ে হয়ে ছবি তুলছেন? বিষয়টি সবাই ভালো চোখে দেখে না। তার ওপর বিশেষ চ্যালেঞ্জ হলো, বাড়ির লোকজন এখনো জানেই না, তিনি ছবি তোলেন! তাই নিজের ভালোবাসার কাজটুকু তাঁকে চুপিচুপি, নিজের মতো করে করতে হয়।
পাখির ছবি, প্রকৃতির ছবি
মাহমুদার ভালো লাগে ল্যান্ডস্কেপ, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও পোর্ট্রেট। বারান্দায় এসে ডেকে ওঠা শালিক পাখিগুলো তাঁর ছবি তোলার নিয়মিত বিষয়। খেলা করতে করতে শালিকদের যে স্বচ্ছন্দ ভঙ্গি, সেগুলো তিনি ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টা করেন।

অভাববোধ করেন একজন গাইডের
মাহমুদার বড় আফসোস, কেউ নেই যিনি বলে দেবেন, কোন ছবি ভালো, কোনটা নয়, কোথায় ভুল, কীভাবে আরও ভালো হওয়া যায়। একজন অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে পথনির্দেশনা পেলে তিনি বিশ্বাস করেন, গল্প আরও গভীরভাবে বলতে পারবেন।
স্বপ্ন এখনো চলমান
একদিন চাকরি হবে, ব্যস্ততা তখন নিশ্চয় বাড়বে। কিন্তু ছবি তোলার নেশা কখনো হারিয়ে যাবে না। সুযোগ পেলে নিজের একটি ক্যামেরা কিনবেন; তখন আরও দক্ষভাবে, আরও গল্পময় ছবি তুলবেন। নতুন নতুন গল্পের সন্ধানে পথচলা অব্যাহত থাকবে— মাহমুদার স্বপ্ন আপাতত এতটুকুই।

কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় ভারতীয় উপমহাদেশের পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর উন্নত জীবন ছিল এককালে এই কাবুলে। ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত দেশটির কৃষি কলেজে ইংরেজি ও ফারসি ভাষার শিক্ষক ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। শুধু দেশটি নয়, আমাদের কাছেও এসব এখন গল্প।
২৭ আগস্ট ২০২৫
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৫ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
৬ ঘণ্টা আগে
বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
৭ ঘণ্টা আগেব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন

প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
নুসরাত জিনিয়া, মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: দীর্ঘ ১৪ বছরের মানসিক-শারীরিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক চাপ এবং ইঙ্গিতে যৌতুক দাবি করা—এ সবই আইনের চোখে অপরাধ।
যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী
এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন, তা হলো:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার সুযোগ যদি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন থাকে—
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ শাস্তির বিধান আছে।
যৌতুক মামলা করতে চাইলে কী হয়
যৌতুক মামলায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে এবং প্রমাণ পেলে মামলাটি আদালতে যাবে।
সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধা
ভরণপোষণ ও সন্তানের হেফাজতের অধিকার
আপনি পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ মামলা এবং সন্তানের হেফাজত মামলা করতে পারবেন। ৮ বছর বয়সী সন্তানের হেফাজত সাধারণত মায়ের পক্ষেই যায়, যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচারক সিদ্ধান্ত নেন।
মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয়, নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে কি না? তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
নিরাপদ আশ্রয় বা জরুরি সহায়তা যদি আপনি বিপদের মুখে থাকেন—
তবে মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয় নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে কি না?
তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলা করা আপনার প্রতি চলমান নির্যাতন এবং যৌতুকের চাপ থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
নুসরাত জিনিয়া, মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: দীর্ঘ ১৪ বছরের মানসিক-শারীরিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক চাপ এবং ইঙ্গিতে যৌতুক দাবি করা—এ সবই আইনের চোখে অপরাধ।
যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী
এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন, তা হলো:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার সুযোগ যদি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন থাকে—
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ শাস্তির বিধান আছে।
যৌতুক মামলা করতে চাইলে কী হয়
যৌতুক মামলায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে এবং প্রমাণ পেলে মামলাটি আদালতে যাবে।
সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধা
ভরণপোষণ ও সন্তানের হেফাজতের অধিকার
আপনি পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ মামলা এবং সন্তানের হেফাজত মামলা করতে পারবেন। ৮ বছর বয়সী সন্তানের হেফাজত সাধারণত মায়ের পক্ষেই যায়, যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচারক সিদ্ধান্ত নেন।
মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয়, নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে কি না? তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
নিরাপদ আশ্রয় বা জরুরি সহায়তা যদি আপনি বিপদের মুখে থাকেন—
তবে মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয় নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে কি না?
তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলা করা আপনার প্রতি চলমান নির্যাতন এবং যৌতুকের চাপ থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় ভারতীয় উপমহাদেশের পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর উন্নত জীবন ছিল এককালে এই কাবুলে। ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত দেশটির কৃষি কলেজে ইংরেজি ও ফারসি ভাষার শিক্ষক ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। শুধু দেশটি নয়, আমাদের কাছেও এসব এখন গল্প।
২৭ আগস্ট ২০২৫
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
৪ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
৬ ঘণ্টা আগে
বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
৭ ঘণ্টা আগেকেনিয়ার ‘ইঙ্কড সিস্টারহুড’
ফিচার ডেস্ক

পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন, পরিবর্তনের ডাক দেওয়া একটি নীরব আন্দোলন এই বাইক যাত্রা। এই মোটরসাইকেল আরোহীদের মধ্যে আছেন বিজ্ঞানী, আইনজীবী ও সরকারি কর্মকর্তারা। এই দলের নাম ইঙ্কড সিস্টারহুড। দলটি পরিণত হয়েছে সংহতি ও নিরাপত্তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা গভীর সৌহার্দ্যের প্রতীকে।
২০১৭ সালে নাইরোবির একটি রাইডিং স্কুল থেকে তাদের যাত্রা শুরু। এর সদস্যরা একটি বিশেষ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। শুধু পুরুষেরাই মোটরসাইকেল চালানো উপভোগ করেন, এমন ধারণা তাঁরা ভেঙে দিতে চান। এই দলের সমন্বয়কারী হিসেবে আছেন কেনিয়া হাইকোর্টের আইনজীবী লুসি মোনিয়েন্যে। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা শতাধিক সদস্যে উন্নীত হয়েছি। এই সংখ্যা বাড়ছে আবার কমছেও। কারণ, জীবনে নানা ঘটনা ঘটে।’ প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ইঙ্কড সিস্টারহুড নামের এই ক্লাব কেনিয়ার প্রচলিত আইনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত। এই ক্লাবের মাধ্যমে নারীরা মোটরসাইকেল চালানোকে স্বাধীনতার প্রতীক এবং করপোরেট চাকরি থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে গ্রহণ করছেন।
ইঙ্কড সিস্টারহুড শখের ক্লাব নয়, এটি কেনিয়ার নারীদের সামাজিক ও মানসিক সমর্থনেরও উৎস।
এর সদস্যরা সড়কের নিরাপত্তা প্রচার এবং দাতব্য রাইড, বৃক্ষরোপণ, স্মৃতি রাইড এবং লিঙ্গ-নিরপেক্ষ প্রচারণার মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বৃহত্তর কমিউনিটিকে সহায়তা করছেন। তাঁদের মার্কেটিং পরামর্শক ও রাইডার আমান্ডা খামাতি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে কারও সন্তান হলে বা কেউ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেলে, আমরা তাঁর পরিবারে যাই। শুধু বাইকিং নয়, আমরা একসঙ্গে সামাজিকতা করি এবং সময় কাটাই।’
কেউ কেউ এই শখকে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের মাধ্যম হিসেবে দেখেন। সমাজবিজ্ঞানী কিসিয়ানান কেনানা বলেন, ‘মোটরসাইকেলে বসলে নিজেকে শক্তিশালী মনে হয়। সবাই ভাবে, রাইডিং শুধু পুরুষদের জন্য। আর আমি সেই নারীদের একজন, যারা দেখাতে এসেছে, এটা সবাই করতে পারে।’
পুরুষতান্ত্রিক ধারণার পরিবর্তন
কেনিয়ার নারীরা শিক্ষা, রাজনীতি ও খেলাধুলায় এগিয়ে এলেও লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এখনো। কেনিয়া এমন একটি দেশ, যেখানে এখনো এমন গ্রাম আছে, যেগুলোর তিন মিটার গভীর কংক্রিটের ট্যাংক থেকে পানি নিতে হয়। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে সেই পানি সংগ্রহ করে নারীরা। উত্তর কেনিয়ার পরিবারগুলো জীবনধারণের সংস্থান করছে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে। এমন সামাজিক অবস্থায় এই নারী বাইকারদের যাত্রাকে উল্টো ধারারই বলতে হবে। এই বাইকারদের বড় বাধা কেনিয়ার সামাজিক পুরোনো স্টেরিওটাইপ ধারণা।
এ বিষয়ে কেনানা বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ মনে করে, একজন নারী বাইকার পুরুষদের চেয়ে ধীরে চালাবে, তারা লম্বা দূরত্বে যেতে পারবে না, তারা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়বে। এ ছাড়া তারা টমবয়, জেদি এবং শুধু অ্যাড্রেনালিন পছন্দ করে। হ্যাঁ, শেষ অংশটি হয়তো সত্যি হতে পারে, কিন্তু বাকিটা...।’
গত কয়েক বছরে ইঙ্কড সিস্টারহুডের সদস্যদের সম্পর্কে পুরুষতান্ত্রিক ধারণায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ট্যাক্স পরামর্শক এবং মোটরবাইকপ্রেমী মাইকেল ওথিয়েনো বলেন, ‘নারীদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য হলো, নারীরা আরও বেশি করে প্রশিক্ষণের সন্ধান করেন এবং এতে তাঁরা আরও দক্ষ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা হেলমেট খুললে তার নিচে ড্রেডলকস বা বিনুনি দেখা যাবে। এতে আপনি বুঝতে পারবেন, তাঁরা বাইকিং মন থেকে গ্রহণ করেছেন। তাঁরা পুরুষের মতোই দক্ষ। কেউ কেউ তো আরও ভালো।’
সূত্র: আফ্রিকা নিউজ

পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন, পরিবর্তনের ডাক দেওয়া একটি নীরব আন্দোলন এই বাইক যাত্রা। এই মোটরসাইকেল আরোহীদের মধ্যে আছেন বিজ্ঞানী, আইনজীবী ও সরকারি কর্মকর্তারা। এই দলের নাম ইঙ্কড সিস্টারহুড। দলটি পরিণত হয়েছে সংহতি ও নিরাপত্তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা গভীর সৌহার্দ্যের প্রতীকে।
২০১৭ সালে নাইরোবির একটি রাইডিং স্কুল থেকে তাদের যাত্রা শুরু। এর সদস্যরা একটি বিশেষ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। শুধু পুরুষেরাই মোটরসাইকেল চালানো উপভোগ করেন, এমন ধারণা তাঁরা ভেঙে দিতে চান। এই দলের সমন্বয়কারী হিসেবে আছেন কেনিয়া হাইকোর্টের আইনজীবী লুসি মোনিয়েন্যে। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা শতাধিক সদস্যে উন্নীত হয়েছি। এই সংখ্যা বাড়ছে আবার কমছেও। কারণ, জীবনে নানা ঘটনা ঘটে।’ প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ইঙ্কড সিস্টারহুড নামের এই ক্লাব কেনিয়ার প্রচলিত আইনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত। এই ক্লাবের মাধ্যমে নারীরা মোটরসাইকেল চালানোকে স্বাধীনতার প্রতীক এবং করপোরেট চাকরি থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে গ্রহণ করছেন।
ইঙ্কড সিস্টারহুড শখের ক্লাব নয়, এটি কেনিয়ার নারীদের সামাজিক ও মানসিক সমর্থনেরও উৎস।
এর সদস্যরা সড়কের নিরাপত্তা প্রচার এবং দাতব্য রাইড, বৃক্ষরোপণ, স্মৃতি রাইড এবং লিঙ্গ-নিরপেক্ষ প্রচারণার মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বৃহত্তর কমিউনিটিকে সহায়তা করছেন। তাঁদের মার্কেটিং পরামর্শক ও রাইডার আমান্ডা খামাতি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে কারও সন্তান হলে বা কেউ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেলে, আমরা তাঁর পরিবারে যাই। শুধু বাইকিং নয়, আমরা একসঙ্গে সামাজিকতা করি এবং সময় কাটাই।’
কেউ কেউ এই শখকে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের মাধ্যম হিসেবে দেখেন। সমাজবিজ্ঞানী কিসিয়ানান কেনানা বলেন, ‘মোটরসাইকেলে বসলে নিজেকে শক্তিশালী মনে হয়। সবাই ভাবে, রাইডিং শুধু পুরুষদের জন্য। আর আমি সেই নারীদের একজন, যারা দেখাতে এসেছে, এটা সবাই করতে পারে।’
পুরুষতান্ত্রিক ধারণার পরিবর্তন
কেনিয়ার নারীরা শিক্ষা, রাজনীতি ও খেলাধুলায় এগিয়ে এলেও লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এখনো। কেনিয়া এমন একটি দেশ, যেখানে এখনো এমন গ্রাম আছে, যেগুলোর তিন মিটার গভীর কংক্রিটের ট্যাংক থেকে পানি নিতে হয়। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে সেই পানি সংগ্রহ করে নারীরা। উত্তর কেনিয়ার পরিবারগুলো জীবনধারণের সংস্থান করছে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে। এমন সামাজিক অবস্থায় এই নারী বাইকারদের যাত্রাকে উল্টো ধারারই বলতে হবে। এই বাইকারদের বড় বাধা কেনিয়ার সামাজিক পুরোনো স্টেরিওটাইপ ধারণা।
এ বিষয়ে কেনানা বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ মনে করে, একজন নারী বাইকার পুরুষদের চেয়ে ধীরে চালাবে, তারা লম্বা দূরত্বে যেতে পারবে না, তারা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়বে। এ ছাড়া তারা টমবয়, জেদি এবং শুধু অ্যাড্রেনালিন পছন্দ করে। হ্যাঁ, শেষ অংশটি হয়তো সত্যি হতে পারে, কিন্তু বাকিটা...।’
গত কয়েক বছরে ইঙ্কড সিস্টারহুডের সদস্যদের সম্পর্কে পুরুষতান্ত্রিক ধারণায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ট্যাক্স পরামর্শক এবং মোটরবাইকপ্রেমী মাইকেল ওথিয়েনো বলেন, ‘নারীদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য হলো, নারীরা আরও বেশি করে প্রশিক্ষণের সন্ধান করেন এবং এতে তাঁরা আরও দক্ষ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা হেলমেট খুললে তার নিচে ড্রেডলকস বা বিনুনি দেখা যাবে। এতে আপনি বুঝতে পারবেন, তাঁরা বাইকিং মন থেকে গ্রহণ করেছেন। তাঁরা পুরুষের মতোই দক্ষ। কেউ কেউ তো আরও ভালো।’
সূত্র: আফ্রিকা নিউজ

কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় ভারতীয় উপমহাদেশের পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর উন্নত জীবন ছিল এককালে এই কাবুলে। ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত দেশটির কৃষি কলেজে ইংরেজি ও ফারসি ভাষার শিক্ষক ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। শুধু দেশটি নয়, আমাদের কাছেও এসব এখন গল্প।
২৭ আগস্ট ২০২৫
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
৪ ঘণ্টা আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৫ ঘণ্টা আগে
বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
চার্লস ব্যাবেজের অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন-সম্পর্কিত একটি ফরাসি নিবন্ধ অনুবাদ করেছিলেন অ্যাডা লাভলেস। শুধু তা-ই নয়, এর সঙ্গে তিনি নিজস্ব নোটসও যুক্ত করেছিলেন। এর মধ্যে তিনি বার্নোলি সংখ্যা গণনার জন্য একটি ধাপে ধাপে নির্দেশনা বা অ্যালগরিদম তৈরি করেন। তাঁর এই অ্যালগরিদম যেন মেশিন দিয়ে সম্পাদনা করা যায়, সেভাবে ডিজাইন হয়েছিল। এই অ্যালগরিদমকে বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম হিসেবে গণ্য করা হয়। অ্যাডা লাভলেসই প্রথম উপলব্ধি করেন, অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনটি শুধু গাণিতিক হিসাব-নিকাশের বাইরেও বর্ণ, প্রতীক বা সাংকেতিক তথ্য নিয়ে কাজ করতে পারে। যেমন সংগীত। এই ধারণা ভিত্তি স্থাপন করে আধুনিক কম্পিউটিংয়ের।
অ্যাডার এই দূরদর্শী কাজের জন্য চার্লস ব্যাবেজ তাঁকে ‘দ্য এনসেনট্রেস অব নম্বরস’ বা সংখ্যার জাদুকর নামে আখ্যায়িত করেন।
তাঁর সম্মানে একটি প্রোগ্রামিং ভাষার নামকরণ করা হয় অ্যাডা বা আদা। এটি ১৯৮০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে তৈরি করা আধুনিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষার নাম। অ্যাডার জন্ম ১৮১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৮৫২ সালের ২৭ নভেম্বর।

বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
চার্লস ব্যাবেজের অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন-সম্পর্কিত একটি ফরাসি নিবন্ধ অনুবাদ করেছিলেন অ্যাডা লাভলেস। শুধু তা-ই নয়, এর সঙ্গে তিনি নিজস্ব নোটসও যুক্ত করেছিলেন। এর মধ্যে তিনি বার্নোলি সংখ্যা গণনার জন্য একটি ধাপে ধাপে নির্দেশনা বা অ্যালগরিদম তৈরি করেন। তাঁর এই অ্যালগরিদম যেন মেশিন দিয়ে সম্পাদনা করা যায়, সেভাবে ডিজাইন হয়েছিল। এই অ্যালগরিদমকে বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম হিসেবে গণ্য করা হয়। অ্যাডা লাভলেসই প্রথম উপলব্ধি করেন, অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনটি শুধু গাণিতিক হিসাব-নিকাশের বাইরেও বর্ণ, প্রতীক বা সাংকেতিক তথ্য নিয়ে কাজ করতে পারে। যেমন সংগীত। এই ধারণা ভিত্তি স্থাপন করে আধুনিক কম্পিউটিংয়ের।
অ্যাডার এই দূরদর্শী কাজের জন্য চার্লস ব্যাবেজ তাঁকে ‘দ্য এনসেনট্রেস অব নম্বরস’ বা সংখ্যার জাদুকর নামে আখ্যায়িত করেন।
তাঁর সম্মানে একটি প্রোগ্রামিং ভাষার নামকরণ করা হয় অ্যাডা বা আদা। এটি ১৯৮০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে তৈরি করা আধুনিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষার নাম। অ্যাডার জন্ম ১৮১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৮৫২ সালের ২৭ নভেম্বর।

কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় ভারতীয় উপমহাদেশের পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর উন্নত জীবন ছিল এককালে এই কাবুলে। ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত দেশটির কৃষি কলেজে ইংরেজি ও ফারসি ভাষার শিক্ষক ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। শুধু দেশটি নয়, আমাদের কাছেও এসব এখন গল্প।
২৭ আগস্ট ২০২৫
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
৪ ঘণ্টা আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৫ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
৬ ঘণ্টা আগে