দ্য ইকোনমিস্টের সমীক্ষা
অনলাইন ডেস্ক
এবার দ্য ইকোনমিস্টের গ্লাস সিলিং সূচকে শীর্ষে উঠে এসেছে সুইডেন। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট–ওইসিডি অন্তর্ভুক্ত ৩৮টি দেশের মধ্যে ২৯ দেশের নারীদের কর্ম পরিবেশের ধারণা পাওয়া যায় এই সূচক থেকে। প্রতি বছর ৮ মার্চ নারী দিবস উপলক্ষে এ সূচক প্রকাশ করা হয়।
শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ, বেতন, মাতৃত্বকালীন–পিতৃত্বকালীন ছুটি, রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বসহ ১০টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় এই তালিকা। এর আগে টানা দু’বছর এই সূচকের শীর্ষে ছিল আইসল্যান্ড। তবে, এবার সে স্থান দখলে নিয়েছে সুইডেন। এত দিন এই তালিকার সবচেয়ে পেছনে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। তবে, এবার এক ধাপ এগিয়ে ২৮ তম স্থানে উঠে এসেছে দেশটি। এ বছরের তালিকায় সর্বশেষ স্থানে আছে তুরস্ক। এবার সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে নিউজিল্যান্ড। আট ধাপ এগিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে দেশটি।
সূচকের ১০টি বিষয় বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কোন কোন বিষয় এই পরিবর্তনগুলোতে প্রভাব ফেলেছে:
শিক্ষা
সমীক্ষার আওতাধীন ২৯টি দেশে গত বছর অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে নারীর শিক্ষায়। জরিপ অনুযায়ী, দেশগুলোতে পুরুষের তুলনায় স্নাতক ডিগ্রিধারী নারীর সংখ্যা বেশি। গত বছর ৪৫ শতাংশ নারী স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে, যেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ। গত এক দশক ধরে এমবিএ প্রোগ্রামের জন্য জিএমএটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের এক-তৃতীয়াংশই নারী শিক্ষার্থী। ২০২৪ সালে এই হার বেড়ে ৩৬ শতাংশ হয়েছে। এই হার বৃদ্ধিতে সবচেয়ে এগিয়ে ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের নারীরা।
কর্মসংস্থান
শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি সত্ত্বেও, শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ এখনো পুরুষদের তুলনায় কম। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কর্মক্ষম নারীদের মধ্যে কেবল ৬৬ দশমিক ৬ শতাংশ নারী কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত, যেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ৮১ শতাংশ। তবে ওইসিডিভুক্ত সব দেশেই যে এই হার একইরকম—ব্যাপারটা তা নয়। যেমন: আইসল্যান্ড ও সুইডেনে ৮২ শতাংশের বেশি নারী কর্মজীবী, অথচ ইতালিতে এই হার মাত্র ৫৮ শতাংশ।
বেতন
ইকোনমিস্টের পর্যবেক্ষণ বলছে, লিঙ্গভিত্তিক বেতনবৈষম্য এখনো বিদ্যমান। ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোতে নারীরা পুরুষদের তুলনায় গড়ে ১১ শতাংশ কম বেতন পান। অস্ট্রেলিয়া ও জাপানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়ছে এই পার্থক্য।
বাণিজ্য ও রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ
সূচক বলছে, বাণিজ্য ও রাজনীতিতে বাড়ছে নারীর অংশগ্রহণ। ২০১৬ সালে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে নারী কর্মকর্তার হার ছিল ২১ শতাংশ, বর্তমানে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ শতাংশে। নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে নারীরা এখন প্রায় পুরুষের সমান সংখ্যক বোর্ড সদস্যপদ অর্জন করেছেন। সুইডেন, লাটভিয়া এবং আমেরিকার নারীরাও মোট ব্যবস্থাপনা পদের প্রায় অর্ধেক দখল করেছেন।
ওইসিডি অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর পার্লামেন্টেও বেড়েছে নারীদের উপস্থিতি। পার্লামেন্টগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণের হার ৩৪ শতাংশেরও বেশি। ব্রিটেনে গত বছরের নির্বাচনে ৪৩ জন নতুন নারী এমপি নির্বাচিত হওয়ায় পার্লামেন্টে তাঁদের অংশীদারত্ব ৩৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪১ শতাংশ। অবশ্য, জাপানে এই হার মাত্র ১৬ শতাংশ; যদিও দেশটির জন্য এটি রেকর্ড।
পরিবার পরিকল্পনা ও কর্মসংস্থান
এই সূচকে ওইসিডির দেশগুলো একেকটি থেকে একেক রকম ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। অনেক দেশ মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়টি বেশ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছে। যেমন: হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ায় মায়েরা যথাক্রমে ৭৯ সপ্তাহ ও ৬৯ সপ্তাহ সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি পান। বিভিন্ন দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটিও মাতৃত্বকালীন ছুটির মতো গুরুত্ব পাচ্ছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ওইসিডির সবচেয়ে উদার পিতৃত্বকালীন নীতি মানে; তবে বেশির ভাগ বাবাই এই ছুটি নেন না। এই মানদণ্ডে সবচেয়ে পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ তারা জাতীয়ভাবে বাধ্যতামূলক প্রসূতি ছুটি দেয় না এবং সেখানে শিশুসেবা ব্যয় গড় আয়ের ৩০ শতাংশের বেশি।
২০২৫–এর গ্লাস–সিলিং সূচক বলছে, যদিও নারীরা এখনে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তবে বেশির ভাগ দেশেই পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
এবার দ্য ইকোনমিস্টের গ্লাস সিলিং সূচকে শীর্ষে উঠে এসেছে সুইডেন। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট–ওইসিডি অন্তর্ভুক্ত ৩৮টি দেশের মধ্যে ২৯ দেশের নারীদের কর্ম পরিবেশের ধারণা পাওয়া যায় এই সূচক থেকে। প্রতি বছর ৮ মার্চ নারী দিবস উপলক্ষে এ সূচক প্রকাশ করা হয়।
শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ, বেতন, মাতৃত্বকালীন–পিতৃত্বকালীন ছুটি, রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বসহ ১০টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় এই তালিকা। এর আগে টানা দু’বছর এই সূচকের শীর্ষে ছিল আইসল্যান্ড। তবে, এবার সে স্থান দখলে নিয়েছে সুইডেন। এত দিন এই তালিকার সবচেয়ে পেছনে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। তবে, এবার এক ধাপ এগিয়ে ২৮ তম স্থানে উঠে এসেছে দেশটি। এ বছরের তালিকায় সর্বশেষ স্থানে আছে তুরস্ক। এবার সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে নিউজিল্যান্ড। আট ধাপ এগিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে দেশটি।
সূচকের ১০টি বিষয় বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কোন কোন বিষয় এই পরিবর্তনগুলোতে প্রভাব ফেলেছে:
শিক্ষা
সমীক্ষার আওতাধীন ২৯টি দেশে গত বছর অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে নারীর শিক্ষায়। জরিপ অনুযায়ী, দেশগুলোতে পুরুষের তুলনায় স্নাতক ডিগ্রিধারী নারীর সংখ্যা বেশি। গত বছর ৪৫ শতাংশ নারী স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে, যেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ। গত এক দশক ধরে এমবিএ প্রোগ্রামের জন্য জিএমএটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের এক-তৃতীয়াংশই নারী শিক্ষার্থী। ২০২৪ সালে এই হার বেড়ে ৩৬ শতাংশ হয়েছে। এই হার বৃদ্ধিতে সবচেয়ে এগিয়ে ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের নারীরা।
কর্মসংস্থান
শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি সত্ত্বেও, শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ এখনো পুরুষদের তুলনায় কম। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কর্মক্ষম নারীদের মধ্যে কেবল ৬৬ দশমিক ৬ শতাংশ নারী কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত, যেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ৮১ শতাংশ। তবে ওইসিডিভুক্ত সব দেশেই যে এই হার একইরকম—ব্যাপারটা তা নয়। যেমন: আইসল্যান্ড ও সুইডেনে ৮২ শতাংশের বেশি নারী কর্মজীবী, অথচ ইতালিতে এই হার মাত্র ৫৮ শতাংশ।
বেতন
ইকোনমিস্টের পর্যবেক্ষণ বলছে, লিঙ্গভিত্তিক বেতনবৈষম্য এখনো বিদ্যমান। ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোতে নারীরা পুরুষদের তুলনায় গড়ে ১১ শতাংশ কম বেতন পান। অস্ট্রেলিয়া ও জাপানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়ছে এই পার্থক্য।
বাণিজ্য ও রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ
সূচক বলছে, বাণিজ্য ও রাজনীতিতে বাড়ছে নারীর অংশগ্রহণ। ২০১৬ সালে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে নারী কর্মকর্তার হার ছিল ২১ শতাংশ, বর্তমানে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ শতাংশে। নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে নারীরা এখন প্রায় পুরুষের সমান সংখ্যক বোর্ড সদস্যপদ অর্জন করেছেন। সুইডেন, লাটভিয়া এবং আমেরিকার নারীরাও মোট ব্যবস্থাপনা পদের প্রায় অর্ধেক দখল করেছেন।
ওইসিডি অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর পার্লামেন্টেও বেড়েছে নারীদের উপস্থিতি। পার্লামেন্টগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণের হার ৩৪ শতাংশেরও বেশি। ব্রিটেনে গত বছরের নির্বাচনে ৪৩ জন নতুন নারী এমপি নির্বাচিত হওয়ায় পার্লামেন্টে তাঁদের অংশীদারত্ব ৩৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪১ শতাংশ। অবশ্য, জাপানে এই হার মাত্র ১৬ শতাংশ; যদিও দেশটির জন্য এটি রেকর্ড।
পরিবার পরিকল্পনা ও কর্মসংস্থান
এই সূচকে ওইসিডির দেশগুলো একেকটি থেকে একেক রকম ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। অনেক দেশ মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়টি বেশ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছে। যেমন: হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ায় মায়েরা যথাক্রমে ৭৯ সপ্তাহ ও ৬৯ সপ্তাহ সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি পান। বিভিন্ন দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটিও মাতৃত্বকালীন ছুটির মতো গুরুত্ব পাচ্ছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ওইসিডির সবচেয়ে উদার পিতৃত্বকালীন নীতি মানে; তবে বেশির ভাগ বাবাই এই ছুটি নেন না। এই মানদণ্ডে সবচেয়ে পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ তারা জাতীয়ভাবে বাধ্যতামূলক প্রসূতি ছুটি দেয় না এবং সেখানে শিশুসেবা ব্যয় গড় আয়ের ৩০ শতাংশের বেশি।
২০২৫–এর গ্লাস–সিলিং সূচক বলছে, যদিও নারীরা এখনে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তবে বেশির ভাগ দেশেই পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না সেই সময় কেমন ছিল...একজন নারীর জন্য একা একটি হোটেলের লবিতে প্রবেশ করাই ছিল দুঃসাহসিক কাজ। আমি কখনো আমার স্বামী বা বাবাকে ছাড়া কোথাও যাইনি। লবিটা যেন এক মাইল চওড়া মনে হচ্ছিল। প্রতিটি পদক্ষেপে মনে হচ্ছিল আমি অজ্ঞান হয়ে যাব, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। বরং আমি ৮০০ ডলারের একটি
১ দিন আগেযেকোনো সম্পর্কের একটি মৌলিক দিক হলো—পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মান। তবে প্রাপ্য সম্মান (শুধু মৌখিক প্রশংসা নয়) পাওয়ার ক্ষেত্রে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন নারীরা। এটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে শুরু করে পেশাগত পরিবেশেও হতে পারে।
১ দিন আগেবাংলাদেশে কিশোরী মেয়েদের অগ্রগতির গতি ধীর বলে মত দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত ইউনিসেফ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও ইউএন উইমেনের এক প্রতিবেদনে। ‘গার্লস গোলস: হোয়াট হ্যাজ চেঞ্জড ফর গার্লস? অ্যাডোলেসেন্ট গার্লস রাইটস ওভার ৩০ ইয়ার্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে কিশোরী মেয়েদের ক্ষমতায়নে
২ দিন আগেপাঁচজন নারী কেবিন ক্রু সদস্যসহ ক্যাপ্টেন আনিতা ও ফার্স্ট অফিসার তাসনুভার নির্দেশনায় ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা বিশেষ ফ্লাইট বিজি-৩৮৮ পরিচালিত হচ্ছে। নারীদের সমন্বয়ে বিশেষ ফ্লাইটটি আজ সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে।
২ দিন আগে