মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
চাকরি কিংবা বড় অথবা ছোট ব্যবসা—কোনো কিছুতেই নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। আইনুন নাহার চৌধুরী জুঁই তেমনই পিছিয়ে না থাকা নারী। তিনি একাধিক কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন এবং বলা চলে, প্রায় সব জায়গাতেই তিনি পেয়েছেন সাফল্যের দেখা।
পরিবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স থেকে স্নাতক শেষ করে আইনুন অটিজম বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ইনস্টিটিউট থেকে। দুই ছেলে আর স্বামীকে নিয়ে তাঁর পরিবার। থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায়।
শুরুতেই হোম মেড
বাড়ির তৈরি খাবারের প্রতি শহরের মানুষের প্রবল আকর্ষণ আছে। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে জুঁই শুরু করেন ‘ঝটপট খাবার’ নামের একটি ফেসবুক পেজ। সেখানে সব ধরনের রান্না করা খাবার পাওয়া যায়। যার যেটা পছন্দ, সেটা অর্ডার করে নিতে পারেন। তবে একটু আগেভাগে জানাতে হয়। পসরা মার্ট নামেও একটি পেজ আছে তাঁর। সেখানে তিনি পোশাক বিক্রি করেন। জুঁই ডিএক্সএনের একজন পণ্য বিক্রেতা। ডিএক্সএন হেলথ সাপ্লিমেন্ট, কফি, কসমেটিকস ও পার্সোনাল কেয়ার প্রোডাক্ট সরবরাহ করে।
উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প
অনেক বছর একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। কিন্তু ব্যবসার প্রতি নিজের দুর্বলতা থাকার কারণে ২০০০ সালে নতুন ভুবন নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। কুকিং, বেকিং ও ক্র্যাফটসের কাজ জানেন বলে এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি। আবার কোথাও মেলা হলে সেখানে ডাক পড়ত তাঁর। অল্প কদিনেই তাঁর তৈরি খাবার জনপ্রিয়তা পায়। মাত্র এক মাসে নিয়মিত কাস্টমারের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে যায়।
অর্জন
খাবার তৈরিতে দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন জুঁই। তিনি ২০০৩ সালে প্রাণ-প্রথম আলো জাতীয় আচার প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হন। আবার নেসলে হেলদি স্যুপ এবং রূপচাঁদা আলুর রেসিপিতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হন। ইউনিলিভার বাংলাদেশ থেকে ভোকেশনাল ট্রেনিং নেন তিনি। সেখানে পুরো দেশের সেরা ত্রিশের মধ্যে ছিলেন। গ্লোবাল স্টার কমিউনিকেশন, বিকশিত নারী সংঘসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে পুরস্কার পান তিনি। এসবই তাঁকে প্রেরণা জোগায় এগিয়ে নিয়ে যেতে।
শিখেছেন যেভাবে
বাবার কাছে রান্নার হাতেখড়ি জুঁইয়ের। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ পর্যটন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক শেফদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাই, ইন্ডিয়ান, মোগলাই, টার্কিশ, অ্যারাবিয়ান, রাশিয়ানসহ বিভিন্ন অ্যাপেটাইজার ও বেকিং শেখেন জুঁই।
পরামর্শ
অনলাইন ব্যবসায় বেশ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন জুঁই। তিনি বলেন, ‘অনলাইনে ব্যবসা করতে হলে কাস্টমার সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আফটার এবং বিফোর সার্ভিস। কাস্টমারের পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি প্যাকেজিং ও সময়মতো পণ্য পৌঁছে দেওয়াকে প্রাধান্য দিতে হয়। মাঝে কাস্টমারদের জন্য টোকেন গিফট রাখতে হয়।’
আগামীর ভাবনা
ব্যবসার পরিধি বড় করবেন—এটাই এখন আইনুন নাহার চৌধুরী জুঁইয়ের একমাত্র লক্ষ্য। এটা
শুধু নিজের জন্য নয়। তাঁর সঙ্গে কাজ করা মানুষদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেও তা করতে চান তিনি। অটিজম-আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা তাঁর। তিনি অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনে অ্যাডাল্ট অ্যাকটিভিটি কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছেন প্রায় ২০ বছর। জুঁইয়ের বিশ্বাস, শেখালে অটিজমে আক্রান্ত শিশুরাও কাজের মাধ্যমে আয় করতে পারবে। এতটুকু প্রতিভা ও সামর্থ্য তাদের আছে।
চাকরি কিংবা বড় অথবা ছোট ব্যবসা—কোনো কিছুতেই নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। আইনুন নাহার চৌধুরী জুঁই তেমনই পিছিয়ে না থাকা নারী। তিনি একাধিক কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন এবং বলা চলে, প্রায় সব জায়গাতেই তিনি পেয়েছেন সাফল্যের দেখা।
পরিবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স থেকে স্নাতক শেষ করে আইনুন অটিজম বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ইনস্টিটিউট থেকে। দুই ছেলে আর স্বামীকে নিয়ে তাঁর পরিবার। থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায়।
শুরুতেই হোম মেড
বাড়ির তৈরি খাবারের প্রতি শহরের মানুষের প্রবল আকর্ষণ আছে। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে জুঁই শুরু করেন ‘ঝটপট খাবার’ নামের একটি ফেসবুক পেজ। সেখানে সব ধরনের রান্না করা খাবার পাওয়া যায়। যার যেটা পছন্দ, সেটা অর্ডার করে নিতে পারেন। তবে একটু আগেভাগে জানাতে হয়। পসরা মার্ট নামেও একটি পেজ আছে তাঁর। সেখানে তিনি পোশাক বিক্রি করেন। জুঁই ডিএক্সএনের একজন পণ্য বিক্রেতা। ডিএক্সএন হেলথ সাপ্লিমেন্ট, কফি, কসমেটিকস ও পার্সোনাল কেয়ার প্রোডাক্ট সরবরাহ করে।
উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প
অনেক বছর একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। কিন্তু ব্যবসার প্রতি নিজের দুর্বলতা থাকার কারণে ২০০০ সালে নতুন ভুবন নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। কুকিং, বেকিং ও ক্র্যাফটসের কাজ জানেন বলে এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি। আবার কোথাও মেলা হলে সেখানে ডাক পড়ত তাঁর। অল্প কদিনেই তাঁর তৈরি খাবার জনপ্রিয়তা পায়। মাত্র এক মাসে নিয়মিত কাস্টমারের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে যায়।
অর্জন
খাবার তৈরিতে দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন জুঁই। তিনি ২০০৩ সালে প্রাণ-প্রথম আলো জাতীয় আচার প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হন। আবার নেসলে হেলদি স্যুপ এবং রূপচাঁদা আলুর রেসিপিতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হন। ইউনিলিভার বাংলাদেশ থেকে ভোকেশনাল ট্রেনিং নেন তিনি। সেখানে পুরো দেশের সেরা ত্রিশের মধ্যে ছিলেন। গ্লোবাল স্টার কমিউনিকেশন, বিকশিত নারী সংঘসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে পুরস্কার পান তিনি। এসবই তাঁকে প্রেরণা জোগায় এগিয়ে নিয়ে যেতে।
শিখেছেন যেভাবে
বাবার কাছে রান্নার হাতেখড়ি জুঁইয়ের। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ পর্যটন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক শেফদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাই, ইন্ডিয়ান, মোগলাই, টার্কিশ, অ্যারাবিয়ান, রাশিয়ানসহ বিভিন্ন অ্যাপেটাইজার ও বেকিং শেখেন জুঁই।
পরামর্শ
অনলাইন ব্যবসায় বেশ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন জুঁই। তিনি বলেন, ‘অনলাইনে ব্যবসা করতে হলে কাস্টমার সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আফটার এবং বিফোর সার্ভিস। কাস্টমারের পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি প্যাকেজিং ও সময়মতো পণ্য পৌঁছে দেওয়াকে প্রাধান্য দিতে হয়। মাঝে কাস্টমারদের জন্য টোকেন গিফট রাখতে হয়।’
আগামীর ভাবনা
ব্যবসার পরিধি বড় করবেন—এটাই এখন আইনুন নাহার চৌধুরী জুঁইয়ের একমাত্র লক্ষ্য। এটা
শুধু নিজের জন্য নয়। তাঁর সঙ্গে কাজ করা মানুষদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেও তা করতে চান তিনি। অটিজম-আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা তাঁর। তিনি অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনে অ্যাডাল্ট অ্যাকটিভিটি কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছেন প্রায় ২০ বছর। জুঁইয়ের বিশ্বাস, শেখালে অটিজমে আক্রান্ত শিশুরাও কাজের মাধ্যমে আয় করতে পারবে। এতটুকু প্রতিভা ও সামর্থ্য তাদের আছে।
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বিলুপ্তির প্রস্তাবে তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের অন্যতম নারী অধিকার সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সংগঠনটি বলেছে, এটি শুধু নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের বিরুদ্ধে এক চরম পদক্ষেপ নয়, বরং এটি সংবিধান, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি এবং আন্তর্জাতিক নারী অধিকার সনদগুলোরও
৫ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, কাউকে পেছনে রেখে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়া যায় না। তাই নারীসমাজের দাবি, সংসদে নারীর এক-তৃতীয়াংশ আসন বাড়াতে হবে এবং এসব আসনে সরাসরি নির্বাচন করতে হবে। পশ্চাৎপদ অংশকে এগিয়ে নিতে সুযোগ প্রয়োজন। নারীকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে দলগুলোকে নারী আন্দোলনের দাবিকে গুরুত্ব দিতে হবে, মানুষের কণ
৩ দিন আগে‘দিনে কত ঘণ্টা খাটি, তার কোনো হিসাব নাই। বিয়ের আগে বাবার জমিতে কাজ করেছি, বিয়ের পরে করছি স্বামীর জমিতে। কাজের নামও নাই, দামও নাই।’
৭ দিন আগে‘তখন তোমার একুশ বছর বোধ হয়...’ আরতি মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে সেই কালজয়ী গানটা মনে আছে নিশ্চয়। তাবাসসুম মোস্তফা রাফার গল্পটা শুনে সেই গানের কথা মনে পড়ে। বয়স মাত্র ২১। এ বয়সেই প্রেম ও ব্যবসা—দুটোতেই সফল। ১২ সদস্যের দল নিয়ে পরিচালনা করেন ‘শপিং স্টল’ নামে একটি অনলাইন শপ। লিখেছেন মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।
৭ দিন আগে