কাশফিয়া আলম ঝিলিক

এত আন্দোলন, এত প্রতিবাদ, এত আইন! তবু নারীর অধিকার রাজপথ কিংবা কোর্টের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন এই হাল? প্রতিবাদগুলো কেন ধামাচাপা পড়ে থাকছে? কেন বারবার অধিকারের কথা বলতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে? নারীর প্রতি সমাজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কেমন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করছে? এসব বিষয়ে জানতে চেয়ে আমরা লিখিত প্রশ্ন পাঠিয়েছিলাম তিন নারীনেত্রীর কাছে। কী বলছেন তাঁরা? জানাচ্ছেন কাশফিয়া আলম ঝিলিক।

নারীকে পিছিয়ে রাখা মানে সমাজকেই পিছিয়ে রাখা
নারীবিষয়ক প্রতিবাদী পদক্ষেপগুলো বেশির ভাগ সময় ধামাচাপা পড়ে যায়। কারণ, বৈষম্যমূলক এই সমাজে ক্ষমতাসীনেরা সব সময় মানুষকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর করে রাখে। নারীর ক্ষমতায়ন পুরুষতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করে। শহরের নারীদের স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নেই, কর্মজীবী নারীর সন্তানকে দেখাশোনার জন্য ডে কেয়ার নেই। অথচ এগুলো নিয়ে আলোচনা কম। গুটিকয়েক সেনসেশনাল ইস্যু, যেগুলো বাংলাদেশের বেশির ভাগ সাধারণ নারীর মূল ইস্যু নয়, সেগুলো নিয়েই মিডিয়া সয়লাব। মূল আলোচনা চাপা পড়ে যায়।
নারীকে নিয়ে আজেবাজে কথা বললেও রাষ্ট্র কখনোই তার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় না; বরং পুরুষতন্ত্রের ধারক-বাহক রাষ্ট্রনায়কেরা ধর্মের দোহাই দিয়ে, মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে নারীকে গৃহে বন্দী করতে চায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইতিবাচক প্রভাব যেমন ফেলছে, তেমনি নেতিবাচক প্রভাবও। তবে সরকারের অবহেলার কারণে নেতিবাচক প্রভাবই বেশি পড়ছে। একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে নারী অবাধে তার মত প্রকাশ করতে পারবে। সামাজিক মাধ্যমের সাহায্যে জনপরিসরে হেয় করে বক্তব্য ছড়িয়ে নারীজীবনকে খুব সহজে আক্রান্ত করা যায়। শোষণের বিরুদ্ধে যাতে মানুষ প্রতিবাদ করতে না পারে, তাই নারী এবং ধর্মকে পরস্পর মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বিভেদ তৈরি করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে জনমনে নারী সম্পর্কে বিদ্বেষ তৈরি হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির দিকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে
নারী অধিকার বলতে, শ্রম থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কিংবা সম্পত্তি নিয়ে যেসব প্রতিবাদ হয়ে থাকে, সেগুলো সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে মিশতে পারে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। কারণ, বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, নারীরা এক্সট্রিম কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে হাজির হয়ে যায়। ফলে সমাজে যারা সাধারণ নারী, যারা অ্যাকটিভিজম করে না, তারা আসলে নিজেদের এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত করতে পারে না। এ কারণে নারীর বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও কথাবার্তা কম হতে দেখা যায়।
নারীকে আজেবাজে মন্তব্য করার বিষয়ে অনেকে বলেন, আমরা তো অন্য নারীকে বলছি, সবাইকে না। তখন আজেবাজে কথাকে ইস্যু বানানো হয় না। যদি জনসমক্ষে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করা শুরু হয়, যারা এ ধরনের মন্তব্য করে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হলে এসব বন্ধ করা সম্ভব। বাংলাদেশে দেখা যায়, নারীকে হেয় করার জন্য সব ক্ষেত্রে এ ধরনের মন্তব্যের আশ্রয় নেওয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীরা যেমন ভোকাল হয়, তেমনই নারীর প্রতি অবমাননাও করা হয়। দেখা যায়, নেতিবাচক বিষয়গুলোই এখানে বেশি প্রচারিত হয়। তাই এখানে নারীবিদ্বেষ মোটাদাগে বেশি চোখে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে আরও বেশি নারীকে হেনস্তার প্রবণতা বাড়ছে। অনেকের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যায় যে নারীরা যেহেতু সমান অধিকার চাচ্ছে, তাহলে সমান হেনস্তার শিকার তারা কেন হবে না। এ ধরনের একটা কনসেপ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্যে গড়ে উঠছে। এসব নারীর সামাজিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। দেখা যাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির দিকে একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

নারী বিষয়ের প্রতিবাদকে গুরুত্ব দিয়ে দেখাই হয় না
নারী নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা কোনো নতুন বিষয় নয়। দেশ-কালের পরিবর্তনের ফলে এর ফর্ম পরিবর্তন হচ্ছে। কোনো ইস্যু এলে এটা আমাদের চোখে পড়ে বেশি। কিন্তু নারীবিদ্বেষী মন্তব্য এখানে চলমান। কারণ, আমরা যে পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোতে বাস করি, সেখানে নারীকে অতি ক্ষমতাহীন ও দুর্বল ভাবা হয়। তাই তাদের প্রতি যেকোনো মন্তব্য করা যায় বলে তারা মনে করে। আবার যে নারী এগিয়ে যেতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে এই মিসোজেনিস্ট আলাপ করে দাবিয়ে রাখতে চায়। কখনো দেখেছেন, এই ধরনের কথা বললে কাউকে কোনো জবাবদিহি করতে হয়! তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোনো অ্যাকশন থাকে? এর মানে কি এই নয় যে রাষ্ট্র নিজেও নারীবিদ্বেষী এই প্রবণতা উৎপাদনের পেছনে কার্যকর ভূমিকা পালন করে তার নানা অ্যাকশন দিয়ে।
নারীর যেকোনো বিষয়ের প্রতিবাদকে গুরুত্ব দিয়ে দেখাই তো হয় না। নারী হচ্ছে লিটমাসের মতো। এই প্রসঙ্গের অবস্থান দিয়েই চিহ্নিত করা যায়, রাষ্ট্র জনগণের পক্ষে না বিপক্ষে। তাই এ-সংক্রান্ত প্রতিবাদ যত ধামাচাপা দেওয়া যাবে, তা রাষ্ট্রের জন্য তত স্বস্তির।
চতুর্থ তরঙ্গের নারীবাদের মূল থিম হচ্ছে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে লৈঙ্গিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে যৌথ কণ্ঠস্বর গড়ে তোলা। ডিজিটাল স্পেসে যেমন নারীরা বিভিন্ন ফর্মে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে, ঠিক তেমনি নারীবাদীদের বহুমুখী ডিজিটাল অ্যাকটিভিজম গড়ে উঠেছে। প্রযুক্তিকে অস্বীকার না করে চতুর্থ ওয়েভ নারীবাদ কিন্তু প্রযুক্তির মধ্যেই অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে একে শক্তি হিসেবে পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও আমি মনে করি নারীবাদী অ্যাকটিভিজমের শক্তিশালী টুল হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। তাই আমি ডিজিটাল স্পেসে যেমন নারীর নব কৌশলে হয়রানির শিকার হওয়া দেখছি, তেমনি তার বিপরীতে প্রচুর নারীর সঞ্চরণশীল কার্যক্রমকেও পাঠ করছি।

এত আন্দোলন, এত প্রতিবাদ, এত আইন! তবু নারীর অধিকার রাজপথ কিংবা কোর্টের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন এই হাল? প্রতিবাদগুলো কেন ধামাচাপা পড়ে থাকছে? কেন বারবার অধিকারের কথা বলতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে? নারীর প্রতি সমাজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কেমন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করছে? এসব বিষয়ে জানতে চেয়ে আমরা লিখিত প্রশ্ন পাঠিয়েছিলাম তিন নারীনেত্রীর কাছে। কী বলছেন তাঁরা? জানাচ্ছেন কাশফিয়া আলম ঝিলিক।

নারীকে পিছিয়ে রাখা মানে সমাজকেই পিছিয়ে রাখা
নারীবিষয়ক প্রতিবাদী পদক্ষেপগুলো বেশির ভাগ সময় ধামাচাপা পড়ে যায়। কারণ, বৈষম্যমূলক এই সমাজে ক্ষমতাসীনেরা সব সময় মানুষকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর করে রাখে। নারীর ক্ষমতায়ন পুরুষতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করে। শহরের নারীদের স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নেই, কর্মজীবী নারীর সন্তানকে দেখাশোনার জন্য ডে কেয়ার নেই। অথচ এগুলো নিয়ে আলোচনা কম। গুটিকয়েক সেনসেশনাল ইস্যু, যেগুলো বাংলাদেশের বেশির ভাগ সাধারণ নারীর মূল ইস্যু নয়, সেগুলো নিয়েই মিডিয়া সয়লাব। মূল আলোচনা চাপা পড়ে যায়।
নারীকে নিয়ে আজেবাজে কথা বললেও রাষ্ট্র কখনোই তার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় না; বরং পুরুষতন্ত্রের ধারক-বাহক রাষ্ট্রনায়কেরা ধর্মের দোহাই দিয়ে, মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে নারীকে গৃহে বন্দী করতে চায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইতিবাচক প্রভাব যেমন ফেলছে, তেমনি নেতিবাচক প্রভাবও। তবে সরকারের অবহেলার কারণে নেতিবাচক প্রভাবই বেশি পড়ছে। একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে নারী অবাধে তার মত প্রকাশ করতে পারবে। সামাজিক মাধ্যমের সাহায্যে জনপরিসরে হেয় করে বক্তব্য ছড়িয়ে নারীজীবনকে খুব সহজে আক্রান্ত করা যায়। শোষণের বিরুদ্ধে যাতে মানুষ প্রতিবাদ করতে না পারে, তাই নারী এবং ধর্মকে পরস্পর মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বিভেদ তৈরি করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে জনমনে নারী সম্পর্কে বিদ্বেষ তৈরি হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির দিকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে
নারী অধিকার বলতে, শ্রম থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কিংবা সম্পত্তি নিয়ে যেসব প্রতিবাদ হয়ে থাকে, সেগুলো সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে মিশতে পারে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। কারণ, বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, নারীরা এক্সট্রিম কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে হাজির হয়ে যায়। ফলে সমাজে যারা সাধারণ নারী, যারা অ্যাকটিভিজম করে না, তারা আসলে নিজেদের এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত করতে পারে না। এ কারণে নারীর বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও কথাবার্তা কম হতে দেখা যায়।
নারীকে আজেবাজে মন্তব্য করার বিষয়ে অনেকে বলেন, আমরা তো অন্য নারীকে বলছি, সবাইকে না। তখন আজেবাজে কথাকে ইস্যু বানানো হয় না। যদি জনসমক্ষে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করা শুরু হয়, যারা এ ধরনের মন্তব্য করে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হলে এসব বন্ধ করা সম্ভব। বাংলাদেশে দেখা যায়, নারীকে হেয় করার জন্য সব ক্ষেত্রে এ ধরনের মন্তব্যের আশ্রয় নেওয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীরা যেমন ভোকাল হয়, তেমনই নারীর প্রতি অবমাননাও করা হয়। দেখা যায়, নেতিবাচক বিষয়গুলোই এখানে বেশি প্রচারিত হয়। তাই এখানে নারীবিদ্বেষ মোটাদাগে বেশি চোখে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে আরও বেশি নারীকে হেনস্তার প্রবণতা বাড়ছে। অনেকের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যায় যে নারীরা যেহেতু সমান অধিকার চাচ্ছে, তাহলে সমান হেনস্তার শিকার তারা কেন হবে না। এ ধরনের একটা কনসেপ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্যে গড়ে উঠছে। এসব নারীর সামাজিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। দেখা যাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির দিকে একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

নারী বিষয়ের প্রতিবাদকে গুরুত্ব দিয়ে দেখাই হয় না
নারী নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা কোনো নতুন বিষয় নয়। দেশ-কালের পরিবর্তনের ফলে এর ফর্ম পরিবর্তন হচ্ছে। কোনো ইস্যু এলে এটা আমাদের চোখে পড়ে বেশি। কিন্তু নারীবিদ্বেষী মন্তব্য এখানে চলমান। কারণ, আমরা যে পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোতে বাস করি, সেখানে নারীকে অতি ক্ষমতাহীন ও দুর্বল ভাবা হয়। তাই তাদের প্রতি যেকোনো মন্তব্য করা যায় বলে তারা মনে করে। আবার যে নারী এগিয়ে যেতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে এই মিসোজেনিস্ট আলাপ করে দাবিয়ে রাখতে চায়। কখনো দেখেছেন, এই ধরনের কথা বললে কাউকে কোনো জবাবদিহি করতে হয়! তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় কোনো অ্যাকশন থাকে? এর মানে কি এই নয় যে রাষ্ট্র নিজেও নারীবিদ্বেষী এই প্রবণতা উৎপাদনের পেছনে কার্যকর ভূমিকা পালন করে তার নানা অ্যাকশন দিয়ে।
নারীর যেকোনো বিষয়ের প্রতিবাদকে গুরুত্ব দিয়ে দেখাই তো হয় না। নারী হচ্ছে লিটমাসের মতো। এই প্রসঙ্গের অবস্থান দিয়েই চিহ্নিত করা যায়, রাষ্ট্র জনগণের পক্ষে না বিপক্ষে। তাই এ-সংক্রান্ত প্রতিবাদ যত ধামাচাপা দেওয়া যাবে, তা রাষ্ট্রের জন্য তত স্বস্তির।
চতুর্থ তরঙ্গের নারীবাদের মূল থিম হচ্ছে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে লৈঙ্গিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে যৌথ কণ্ঠস্বর গড়ে তোলা। ডিজিটাল স্পেসে যেমন নারীরা বিভিন্ন ফর্মে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে, ঠিক তেমনি নারীবাদীদের বহুমুখী ডিজিটাল অ্যাকটিভিজম গড়ে উঠেছে। প্রযুক্তিকে অস্বীকার না করে চতুর্থ ওয়েভ নারীবাদ কিন্তু প্রযুক্তির মধ্যেই অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে একে শক্তি হিসেবে পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও আমি মনে করি নারীবাদী অ্যাকটিভিজমের শক্তিশালী টুল হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। তাই আমি ডিজিটাল স্পেসে যেমন নারীর নব কৌশলে হয়রানির শিকার হওয়া দেখছি, তেমনি তার বিপরীতে প্রচুর নারীর সঞ্চরণশীল কার্যক্রমকেও পাঠ করছি।

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
১ ঘণ্টা আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
২ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
৩ ঘণ্টা আগে
বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
৪ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছিলেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।
মা, বাবা, ভাই, ভাবি এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মাহমুদার পরিবার। সেখানে আর কেউ ছবি তোলে না; তাই ফটোগ্রাফি নিয়ে তাঁর যে জগৎ, সেটি পুরোপুরি নিজের হাতে গড়া। একাকী এই পথচলাই যেন তাঁকে আরও বিশেষ মনোযোগী করে তুলেছে, আরও অনুপ্রাণিত করেছে।
শুরুটা খুব সাধারণ, তারপরও বিশেষ
‘সুন্দর মুহূর্ত ধরে রাখতে ভালো লাগে’—এমনই এক সাধারণ অনুভূতি থেকে মাহমুদা ছবি তুলতে শুরু করেন। সময়কে কেউ থামাতে পারে না। কিন্তু ছবি সেই সময়ের ছাপকে ধরে রাখতে পারে। এই টান থেকে তাঁর ফটোগ্রাফির যাত্রা।
প্রথম ক্যামেরা? ক্যামেরা বলা যাবে না। কারণ, এখন পর্যন্ত তিনি মোবাইল ফোন দিয়েই ছবি তোলেন। এই মোবাইল যেন তাঁর হাতে এক জাদুর বাক্স।

স্বীকৃতির প্রথম ধাপ
মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা তাঁর ছবি প্রথমবার জায়গা করে নেয় ‘তরুণেরাই পরিবর্তনের প্রভাবক’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল প্রদর্শনী। সেখান থেকে তিনি পেয়েছেন একটি সার্টিফিকেট। এটি তাঁর কাছে শুধু একটি কাগজ নয়, নিজেকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার সাহস।
অনলাইন প্রতিযোগিতায় তাঁর সাফল্য রয়েছে। ‘প্রাণোচ্ছ্বাস আত্মসেবা নয়, মানবসেবা’-এর ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ফটোগ্রাফি কনটেস্টে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন।

যেসব ছবি ছুঁয়ে যায়
প্রিয় ছবির কথা উঠলে তিনি স্মরণ করেন এই নভেম্বরের এক ভোরের স্মৃতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াশাঘেরা পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখেছিলেন, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে কুয়াশা, ভোরের ঠান্ডা, নিস্তব্ধতা আর দুই বন্ধুর পথচলার মিষ্টি স্মৃতি। তিনি মোবাইল ফোনে মুহূর্তটাকে বন্দী করেছিলেন।
ভয়ের দিক
যে কাজ মানুষকে আনন্দ দেয়, সেটির পেছনেও ভয় থাকে। মাহমুদার ভয় খুব সাধারণ, কিন্তু বাস্তব। তা হলো, সব সময় অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা যায় না। কেউ যদি বিরক্ত হয়! কেউ রাগ করলে? এসব মাঝে মাঝে তাঁকে থামিয়ে দেয়।

নারী ফটোগ্রাফার হওয়ার বাড়তি চ্যালেঞ্জ
বাইরের মানুষ বাজে কথা না বললেও অনেক জায়গায় শুনতে হয়, মেয়ে হয়ে ছবি তুলছেন? বিষয়টি সবাই ভালো চোখে দেখে না। তার ওপর বিশেষ চ্যালেঞ্জ হলো, বাড়ির লোকজন এখনো জানেই না, তিনি ছবি তোলেন! তাই নিজের ভালোবাসার কাজটুকু তাঁকে চুপিচুপি, নিজের মতো করে করতে হয়।
পাখির ছবি, প্রকৃতির ছবি
মাহমুদার ভালো লাগে ল্যান্ডস্কেপ, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও পোর্ট্রেট। বারান্দায় এসে ডেকে ওঠা শালিক পাখিগুলো তাঁর ছবি তোলার নিয়মিত বিষয়। খেলা করতে করতে শালিকদের যে স্বচ্ছন্দ ভঙ্গি, সেগুলো তিনি ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টা করেন।

অভাববোধ করেন একজন গাইডের
মাহমুদার বড় আফসোস, কেউ নেই যিনি বলে দেবেন, কোন ছবি ভালো, কোনটা নয়, কোথায় ভুল, কীভাবে আরও ভালো হওয়া যায়। একজন অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে পথনির্দেশনা পেলে তিনি বিশ্বাস করেন, গল্প আরও গভীরভাবে বলতে পারবেন।
স্বপ্ন এখনো চলমান
একদিন চাকরি হবে, ব্যস্ততা তখন নিশ্চয় বাড়বে। কিন্তু ছবি তোলার নেশা কখনো হারিয়ে যাবে না। সুযোগ পেলে নিজের একটি ক্যামেরা কিনবেন; তখন আরও দক্ষভাবে, আরও গল্পময় ছবি তুলবেন। নতুন নতুন গল্পের সন্ধানে পথচলা অব্যাহত থাকবে— মাহমুদার স্বপ্ন আপাতত এতটুকুই।

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছিলেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।
মা, বাবা, ভাই, ভাবি এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মাহমুদার পরিবার। সেখানে আর কেউ ছবি তোলে না; তাই ফটোগ্রাফি নিয়ে তাঁর যে জগৎ, সেটি পুরোপুরি নিজের হাতে গড়া। একাকী এই পথচলাই যেন তাঁকে আরও বিশেষ মনোযোগী করে তুলেছে, আরও অনুপ্রাণিত করেছে।
শুরুটা খুব সাধারণ, তারপরও বিশেষ
‘সুন্দর মুহূর্ত ধরে রাখতে ভালো লাগে’—এমনই এক সাধারণ অনুভূতি থেকে মাহমুদা ছবি তুলতে শুরু করেন। সময়কে কেউ থামাতে পারে না। কিন্তু ছবি সেই সময়ের ছাপকে ধরে রাখতে পারে। এই টান থেকে তাঁর ফটোগ্রাফির যাত্রা।
প্রথম ক্যামেরা? ক্যামেরা বলা যাবে না। কারণ, এখন পর্যন্ত তিনি মোবাইল ফোন দিয়েই ছবি তোলেন। এই মোবাইল যেন তাঁর হাতে এক জাদুর বাক্স।

স্বীকৃতির প্রথম ধাপ
মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা তাঁর ছবি প্রথমবার জায়গা করে নেয় ‘তরুণেরাই পরিবর্তনের প্রভাবক’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল প্রদর্শনী। সেখান থেকে তিনি পেয়েছেন একটি সার্টিফিকেট। এটি তাঁর কাছে শুধু একটি কাগজ নয়, নিজেকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার সাহস।
অনলাইন প্রতিযোগিতায় তাঁর সাফল্য রয়েছে। ‘প্রাণোচ্ছ্বাস আত্মসেবা নয়, মানবসেবা’-এর ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ফটোগ্রাফি কনটেস্টে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন।

যেসব ছবি ছুঁয়ে যায়
প্রিয় ছবির কথা উঠলে তিনি স্মরণ করেন এই নভেম্বরের এক ভোরের স্মৃতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াশাঘেরা পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখেছিলেন, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে কুয়াশা, ভোরের ঠান্ডা, নিস্তব্ধতা আর দুই বন্ধুর পথচলার মিষ্টি স্মৃতি। তিনি মোবাইল ফোনে মুহূর্তটাকে বন্দী করেছিলেন।
ভয়ের দিক
যে কাজ মানুষকে আনন্দ দেয়, সেটির পেছনেও ভয় থাকে। মাহমুদার ভয় খুব সাধারণ, কিন্তু বাস্তব। তা হলো, সব সময় অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা যায় না। কেউ যদি বিরক্ত হয়! কেউ রাগ করলে? এসব মাঝে মাঝে তাঁকে থামিয়ে দেয়।

নারী ফটোগ্রাফার হওয়ার বাড়তি চ্যালেঞ্জ
বাইরের মানুষ বাজে কথা না বললেও অনেক জায়গায় শুনতে হয়, মেয়ে হয়ে ছবি তুলছেন? বিষয়টি সবাই ভালো চোখে দেখে না। তার ওপর বিশেষ চ্যালেঞ্জ হলো, বাড়ির লোকজন এখনো জানেই না, তিনি ছবি তোলেন! তাই নিজের ভালোবাসার কাজটুকু তাঁকে চুপিচুপি, নিজের মতো করে করতে হয়।
পাখির ছবি, প্রকৃতির ছবি
মাহমুদার ভালো লাগে ল্যান্ডস্কেপ, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও পোর্ট্রেট। বারান্দায় এসে ডেকে ওঠা শালিক পাখিগুলো তাঁর ছবি তোলার নিয়মিত বিষয়। খেলা করতে করতে শালিকদের যে স্বচ্ছন্দ ভঙ্গি, সেগুলো তিনি ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টা করেন।

অভাববোধ করেন একজন গাইডের
মাহমুদার বড় আফসোস, কেউ নেই যিনি বলে দেবেন, কোন ছবি ভালো, কোনটা নয়, কোথায় ভুল, কীভাবে আরও ভালো হওয়া যায়। একজন অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে পথনির্দেশনা পেলে তিনি বিশ্বাস করেন, গল্প আরও গভীরভাবে বলতে পারবেন।
স্বপ্ন এখনো চলমান
একদিন চাকরি হবে, ব্যস্ততা তখন নিশ্চয় বাড়বে। কিন্তু ছবি তোলার নেশা কখনো হারিয়ে যাবে না। সুযোগ পেলে নিজের একটি ক্যামেরা কিনবেন; তখন আরও দক্ষভাবে, আরও গল্পময় ছবি তুলবেন। নতুন নতুন গল্পের সন্ধানে পথচলা অব্যাহত থাকবে— মাহমুদার স্বপ্ন আপাতত এতটুকুই।

এত আন্দোলন, এত প্রতিবাদ, এত আইন! তবু নারীর অধিকার রাজপথ কিংবা কোর্টের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন এই হাল? প্রতিবাদগুলো কেন ধামাচাপা পড়ে থাকছে? কেন বারবার অধিকারের কথা বলতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে? নারীর প্রতি সমাজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কেমন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করছে...
২১ মে ২০২৫
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
২ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
৩ ঘণ্টা আগে
বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
৪ ঘণ্টা আগেব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন

প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
নুসরাত জিনিয়া, মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: দীর্ঘ ১৪ বছরের মানসিক-শারীরিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক চাপ এবং ইঙ্গিতে যৌতুক দাবি করা—এ সবই আইনের চোখে অপরাধ।
যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী
এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন, তা হলো:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার সুযোগ যদি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন থাকে—
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ শাস্তির বিধান আছে।
যৌতুক মামলা করতে চাইলে কী হয়
যৌতুক মামলায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে এবং প্রমাণ পেলে মামলাটি আদালতে যাবে।
সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধা
ভরণপোষণ ও সন্তানের হেফাজতের অধিকার
আপনি পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ মামলা এবং সন্তানের হেফাজত মামলা করতে পারবেন। ৮ বছর বয়সী সন্তানের হেফাজত সাধারণত মায়ের পক্ষেই যায়, যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচারক সিদ্ধান্ত নেন।
মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয়, নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে কি না? তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
নিরাপদ আশ্রয় বা জরুরি সহায়তা যদি আপনি বিপদের মুখে থাকেন—
তবে মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয় নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে কি না?
তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলা করা আপনার প্রতি চলমান নির্যাতন এবং যৌতুকের চাপ থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
নুসরাত জিনিয়া, মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: দীর্ঘ ১৪ বছরের মানসিক-শারীরিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক চাপ এবং ইঙ্গিতে যৌতুক দাবি করা—এ সবই আইনের চোখে অপরাধ।
যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী
এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন, তা হলো:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার সুযোগ যদি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন থাকে—
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ শাস্তির বিধান আছে।
যৌতুক মামলা করতে চাইলে কী হয়
যৌতুক মামলায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে এবং প্রমাণ পেলে মামলাটি আদালতে যাবে।
সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধা
ভরণপোষণ ও সন্তানের হেফাজতের অধিকার
আপনি পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ মামলা এবং সন্তানের হেফাজত মামলা করতে পারবেন। ৮ বছর বয়সী সন্তানের হেফাজত সাধারণত মায়ের পক্ষেই যায়, যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচারক সিদ্ধান্ত নেন।
মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয়, নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে কি না? তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
নিরাপদ আশ্রয় বা জরুরি সহায়তা যদি আপনি বিপদের মুখে থাকেন—
তবে মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয় নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে কি না?
তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলা করা আপনার প্রতি চলমান নির্যাতন এবং যৌতুকের চাপ থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

এত আন্দোলন, এত প্রতিবাদ, এত আইন! তবু নারীর অধিকার রাজপথ কিংবা কোর্টের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন এই হাল? প্রতিবাদগুলো কেন ধামাচাপা পড়ে থাকছে? কেন বারবার অধিকারের কথা বলতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে? নারীর প্রতি সমাজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কেমন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করছে...
২১ মে ২০২৫
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
১ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
৩ ঘণ্টা আগে
বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
৪ ঘণ্টা আগেকেনিয়ার ‘ইঙ্কড সিস্টারহুড’
ফিচার ডেস্ক

পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন, পরিবর্তনের ডাক দেওয়া একটি নীরব আন্দোলন এই বাইক যাত্রা। এই মোটরসাইকেল আরোহীদের মধ্যে আছেন বিজ্ঞানী, আইনজীবী ও সরকারি কর্মকর্তারা। এই দলের নাম ইঙ্কড সিস্টারহুড। দলটি পরিণত হয়েছে সংহতি ও নিরাপত্তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা গভীর সৌহার্দ্যের প্রতীকে।
২০১৭ সালে নাইরোবির একটি রাইডিং স্কুল থেকে তাদের যাত্রা শুরু। এর সদস্যরা একটি বিশেষ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। শুধু পুরুষেরাই মোটরসাইকেল চালানো উপভোগ করেন, এমন ধারণা তাঁরা ভেঙে দিতে চান। এই দলের সমন্বয়কারী হিসেবে আছেন কেনিয়া হাইকোর্টের আইনজীবী লুসি মোনিয়েন্যে। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা শতাধিক সদস্যে উন্নীত হয়েছি। এই সংখ্যা বাড়ছে আবার কমছেও। কারণ, জীবনে নানা ঘটনা ঘটে।’ প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ইঙ্কড সিস্টারহুড নামের এই ক্লাব কেনিয়ার প্রচলিত আইনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত। এই ক্লাবের মাধ্যমে নারীরা মোটরসাইকেল চালানোকে স্বাধীনতার প্রতীক এবং করপোরেট চাকরি থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে গ্রহণ করছেন।
ইঙ্কড সিস্টারহুড শখের ক্লাব নয়, এটি কেনিয়ার নারীদের সামাজিক ও মানসিক সমর্থনেরও উৎস।
এর সদস্যরা সড়কের নিরাপত্তা প্রচার এবং দাতব্য রাইড, বৃক্ষরোপণ, স্মৃতি রাইড এবং লিঙ্গ-নিরপেক্ষ প্রচারণার মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বৃহত্তর কমিউনিটিকে সহায়তা করছেন। তাঁদের মার্কেটিং পরামর্শক ও রাইডার আমান্ডা খামাতি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে কারও সন্তান হলে বা কেউ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেলে, আমরা তাঁর পরিবারে যাই। শুধু বাইকিং নয়, আমরা একসঙ্গে সামাজিকতা করি এবং সময় কাটাই।’
কেউ কেউ এই শখকে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের মাধ্যম হিসেবে দেখেন। সমাজবিজ্ঞানী কিসিয়ানান কেনানা বলেন, ‘মোটরসাইকেলে বসলে নিজেকে শক্তিশালী মনে হয়। সবাই ভাবে, রাইডিং শুধু পুরুষদের জন্য। আর আমি সেই নারীদের একজন, যারা দেখাতে এসেছে, এটা সবাই করতে পারে।’
পুরুষতান্ত্রিক ধারণার পরিবর্তন
কেনিয়ার নারীরা শিক্ষা, রাজনীতি ও খেলাধুলায় এগিয়ে এলেও লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এখনো। কেনিয়া এমন একটি দেশ, যেখানে এখনো এমন গ্রাম আছে, যেগুলোর তিন মিটার গভীর কংক্রিটের ট্যাংক থেকে পানি নিতে হয়। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে সেই পানি সংগ্রহ করে নারীরা। উত্তর কেনিয়ার পরিবারগুলো জীবনধারণের সংস্থান করছে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে। এমন সামাজিক অবস্থায় এই নারী বাইকারদের যাত্রাকে উল্টো ধারারই বলতে হবে। এই বাইকারদের বড় বাধা কেনিয়ার সামাজিক পুরোনো স্টেরিওটাইপ ধারণা।
এ বিষয়ে কেনানা বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ মনে করে, একজন নারী বাইকার পুরুষদের চেয়ে ধীরে চালাবে, তারা লম্বা দূরত্বে যেতে পারবে না, তারা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়বে। এ ছাড়া তারা টমবয়, জেদি এবং শুধু অ্যাড্রেনালিন পছন্দ করে। হ্যাঁ, শেষ অংশটি হয়তো সত্যি হতে পারে, কিন্তু বাকিটা...।’
গত কয়েক বছরে ইঙ্কড সিস্টারহুডের সদস্যদের সম্পর্কে পুরুষতান্ত্রিক ধারণায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ট্যাক্স পরামর্শক এবং মোটরবাইকপ্রেমী মাইকেল ওথিয়েনো বলেন, ‘নারীদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য হলো, নারীরা আরও বেশি করে প্রশিক্ষণের সন্ধান করেন এবং এতে তাঁরা আরও দক্ষ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা হেলমেট খুললে তার নিচে ড্রেডলকস বা বিনুনি দেখা যাবে। এতে আপনি বুঝতে পারবেন, তাঁরা বাইকিং মন থেকে গ্রহণ করেছেন। তাঁরা পুরুষের মতোই দক্ষ। কেউ কেউ তো আরও ভালো।’
সূত্র: আফ্রিকা নিউজ

পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন, পরিবর্তনের ডাক দেওয়া একটি নীরব আন্দোলন এই বাইক যাত্রা। এই মোটরসাইকেল আরোহীদের মধ্যে আছেন বিজ্ঞানী, আইনজীবী ও সরকারি কর্মকর্তারা। এই দলের নাম ইঙ্কড সিস্টারহুড। দলটি পরিণত হয়েছে সংহতি ও নিরাপত্তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা গভীর সৌহার্দ্যের প্রতীকে।
২০১৭ সালে নাইরোবির একটি রাইডিং স্কুল থেকে তাদের যাত্রা শুরু। এর সদস্যরা একটি বিশেষ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। শুধু পুরুষেরাই মোটরসাইকেল চালানো উপভোগ করেন, এমন ধারণা তাঁরা ভেঙে দিতে চান। এই দলের সমন্বয়কারী হিসেবে আছেন কেনিয়া হাইকোর্টের আইনজীবী লুসি মোনিয়েন্যে। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা শতাধিক সদস্যে উন্নীত হয়েছি। এই সংখ্যা বাড়ছে আবার কমছেও। কারণ, জীবনে নানা ঘটনা ঘটে।’ প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ইঙ্কড সিস্টারহুড নামের এই ক্লাব কেনিয়ার প্রচলিত আইনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত। এই ক্লাবের মাধ্যমে নারীরা মোটরসাইকেল চালানোকে স্বাধীনতার প্রতীক এবং করপোরেট চাকরি থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে গ্রহণ করছেন।
ইঙ্কড সিস্টারহুড শখের ক্লাব নয়, এটি কেনিয়ার নারীদের সামাজিক ও মানসিক সমর্থনেরও উৎস।
এর সদস্যরা সড়কের নিরাপত্তা প্রচার এবং দাতব্য রাইড, বৃক্ষরোপণ, স্মৃতি রাইড এবং লিঙ্গ-নিরপেক্ষ প্রচারণার মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বৃহত্তর কমিউনিটিকে সহায়তা করছেন। তাঁদের মার্কেটিং পরামর্শক ও রাইডার আমান্ডা খামাতি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে কারও সন্তান হলে বা কেউ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেলে, আমরা তাঁর পরিবারে যাই। শুধু বাইকিং নয়, আমরা একসঙ্গে সামাজিকতা করি এবং সময় কাটাই।’
কেউ কেউ এই শখকে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের মাধ্যম হিসেবে দেখেন। সমাজবিজ্ঞানী কিসিয়ানান কেনানা বলেন, ‘মোটরসাইকেলে বসলে নিজেকে শক্তিশালী মনে হয়। সবাই ভাবে, রাইডিং শুধু পুরুষদের জন্য। আর আমি সেই নারীদের একজন, যারা দেখাতে এসেছে, এটা সবাই করতে পারে।’
পুরুষতান্ত্রিক ধারণার পরিবর্তন
কেনিয়ার নারীরা শিক্ষা, রাজনীতি ও খেলাধুলায় এগিয়ে এলেও লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এখনো। কেনিয়া এমন একটি দেশ, যেখানে এখনো এমন গ্রাম আছে, যেগুলোর তিন মিটার গভীর কংক্রিটের ট্যাংক থেকে পানি নিতে হয়। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে সেই পানি সংগ্রহ করে নারীরা। উত্তর কেনিয়ার পরিবারগুলো জীবনধারণের সংস্থান করছে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে। এমন সামাজিক অবস্থায় এই নারী বাইকারদের যাত্রাকে উল্টো ধারারই বলতে হবে। এই বাইকারদের বড় বাধা কেনিয়ার সামাজিক পুরোনো স্টেরিওটাইপ ধারণা।
এ বিষয়ে কেনানা বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ মনে করে, একজন নারী বাইকার পুরুষদের চেয়ে ধীরে চালাবে, তারা লম্বা দূরত্বে যেতে পারবে না, তারা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়বে। এ ছাড়া তারা টমবয়, জেদি এবং শুধু অ্যাড্রেনালিন পছন্দ করে। হ্যাঁ, শেষ অংশটি হয়তো সত্যি হতে পারে, কিন্তু বাকিটা...।’
গত কয়েক বছরে ইঙ্কড সিস্টারহুডের সদস্যদের সম্পর্কে পুরুষতান্ত্রিক ধারণায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ট্যাক্স পরামর্শক এবং মোটরবাইকপ্রেমী মাইকেল ওথিয়েনো বলেন, ‘নারীদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য হলো, নারীরা আরও বেশি করে প্রশিক্ষণের সন্ধান করেন এবং এতে তাঁরা আরও দক্ষ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা হেলমেট খুললে তার নিচে ড্রেডলকস বা বিনুনি দেখা যাবে। এতে আপনি বুঝতে পারবেন, তাঁরা বাইকিং মন থেকে গ্রহণ করেছেন। তাঁরা পুরুষের মতোই দক্ষ। কেউ কেউ তো আরও ভালো।’
সূত্র: আফ্রিকা নিউজ

এত আন্দোলন, এত প্রতিবাদ, এত আইন! তবু নারীর অধিকার রাজপথ কিংবা কোর্টের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন এই হাল? প্রতিবাদগুলো কেন ধামাচাপা পড়ে থাকছে? কেন বারবার অধিকারের কথা বলতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে? নারীর প্রতি সমাজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কেমন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করছে...
২১ মে ২০২৫
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
১ ঘণ্টা আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
২ ঘণ্টা আগে
বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
চার্লস ব্যাবেজের অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন-সম্পর্কিত একটি ফরাসি নিবন্ধ অনুবাদ করেছিলেন অ্যাডা লাভলেস। শুধু তা-ই নয়, এর সঙ্গে তিনি নিজস্ব নোটসও যুক্ত করেছিলেন। এর মধ্যে তিনি বার্নোলি সংখ্যা গণনার জন্য একটি ধাপে ধাপে নির্দেশনা বা অ্যালগরিদম তৈরি করেন। তাঁর এই অ্যালগরিদম যেন মেশিন দিয়ে সম্পাদনা করা যায়, সেভাবে ডিজাইন হয়েছিল। এই অ্যালগরিদমকে বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম হিসেবে গণ্য করা হয়। অ্যাডা লাভলেসই প্রথম উপলব্ধি করেন, অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনটি শুধু গাণিতিক হিসাব-নিকাশের বাইরেও বর্ণ, প্রতীক বা সাংকেতিক তথ্য নিয়ে কাজ করতে পারে। যেমন সংগীত। এই ধারণা ভিত্তি স্থাপন করে আধুনিক কম্পিউটিংয়ের।
অ্যাডার এই দূরদর্শী কাজের জন্য চার্লস ব্যাবেজ তাঁকে ‘দ্য এনসেনট্রেস অব নম্বরস’ বা সংখ্যার জাদুকর নামে আখ্যায়িত করেন।
তাঁর সম্মানে একটি প্রোগ্রামিং ভাষার নামকরণ করা হয় অ্যাডা বা আদা। এটি ১৯৮০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে তৈরি করা আধুনিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষার নাম। অ্যাডার জন্ম ১৮১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৮৫২ সালের ২৭ নভেম্বর।

বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
চার্লস ব্যাবেজের অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন-সম্পর্কিত একটি ফরাসি নিবন্ধ অনুবাদ করেছিলেন অ্যাডা লাভলেস। শুধু তা-ই নয়, এর সঙ্গে তিনি নিজস্ব নোটসও যুক্ত করেছিলেন। এর মধ্যে তিনি বার্নোলি সংখ্যা গণনার জন্য একটি ধাপে ধাপে নির্দেশনা বা অ্যালগরিদম তৈরি করেন। তাঁর এই অ্যালগরিদম যেন মেশিন দিয়ে সম্পাদনা করা যায়, সেভাবে ডিজাইন হয়েছিল। এই অ্যালগরিদমকে বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম হিসেবে গণ্য করা হয়। অ্যাডা লাভলেসই প্রথম উপলব্ধি করেন, অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনটি শুধু গাণিতিক হিসাব-নিকাশের বাইরেও বর্ণ, প্রতীক বা সাংকেতিক তথ্য নিয়ে কাজ করতে পারে। যেমন সংগীত। এই ধারণা ভিত্তি স্থাপন করে আধুনিক কম্পিউটিংয়ের।
অ্যাডার এই দূরদর্শী কাজের জন্য চার্লস ব্যাবেজ তাঁকে ‘দ্য এনসেনট্রেস অব নম্বরস’ বা সংখ্যার জাদুকর নামে আখ্যায়িত করেন।
তাঁর সম্মানে একটি প্রোগ্রামিং ভাষার নামকরণ করা হয় অ্যাডা বা আদা। এটি ১৯৮০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে তৈরি করা আধুনিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষার নাম। অ্যাডার জন্ম ১৮১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৮৫২ সালের ২৭ নভেম্বর।

এত আন্দোলন, এত প্রতিবাদ, এত আইন! তবু নারীর অধিকার রাজপথ কিংবা কোর্টের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন এই হাল? প্রতিবাদগুলো কেন ধামাচাপা পড়ে থাকছে? কেন বারবার অধিকারের কথা বলতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে? নারীর প্রতি সমাজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কেমন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করছে...
২১ মে ২০২৫
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
১ ঘণ্টা আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
২ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
৩ ঘণ্টা আগে