‘হ্যালো, মিষ্টি ছোট্ট পাখি, তুমি কি খুব ক্ষুধার্ত?’ ছোট্ট এক শিশু হামিংবার্ডকে আলতোভাবে ধরে বললেন কাতিয়া। মেক্সিকো সিটিতে তাঁর বাসায় আগত নতুন রোগী এটি। নিজের অ্যাপার্টম্যান্টটিকে ৭৩ বছরের এই নারী আহত ও অসহায় হামিংবার্ড পাখিদের এক হাসপাতাল ও অভয়ারণ্যে পরিণত করেছেন। এক-দুই বছর নয় এভাবে প্রায় এক যুগ ধরে ছোট্ট এই পাখিদের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখিয়ে যাচ্ছেন কাতিয়া লতোফ দে আরিদা।
উদ্ভিদের পরাগায়নে সাহায্য করা হামিংবার্ড পাখি মেক্সিকোর ইকোসিস্টেম তথা বাস্তুতন্ত্রের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে ক্রমেই শহর বিস্তৃত হওয়ায় নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এই পাখিদের। এমন পরিস্থিতিতে হামিংবার্ডরা বন্ধু হিসেবে পেয়েছে কাতিয়া লতোফ দে আরিদাকে।
নিজে থেকেই হামিংবার্ডদের সেবা করার কৌশল শিখেছেন তিনি। অবসরের প্রায় পুরো সময়টি ব্যয় করার পাশাপাশি নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করেই ছোট্ট পাখিদের সুস্থ করে তুলতে সহায়তা করেন। প্রগাঢ় মমতা নিয়ে এই পাখিদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি, আর মেক্সিকো সিটিতে তাঁর বাড়িটিকে হামিংবার্ড হসপিটাল নামেই চেনেন স্থানীয়রা।
হামিংবার্ড পাখিদের সেবাদানকারী হিসেবে কাতিয়ার গল্পটি শুরু ২০১১ সালে। ওই সময় জীবনের কঠিন একটি সময় পার করছেন তিনি। মাত্র বছর দুয়েক আগে স্বামীকে হারিয়েছেন নিজে কোলন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে সুস্থতার দিকে। এ সময়ই একদিন চোখে মারাত্মক আঘাত পাওয়া একটি হামিংবার্ডকে দেখতে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে এলেন। সম্ভবত অন্য কোনো পাখির আক্রমণের শিকার হয়েছে এটি। কিন্তু তখনো পাখিদের যত্ন-আত্মির ব্যাপারে কিছুই জানেন না তিনি। তবে এক পশু চিকিৎসক বন্ধু তাঁকে হামিংবার্ড পাখিদের দেখাশোনার বিষয়ে পরামর্শ ও উৎসাহ দিলেন। এটাই পরবর্তী সময়টা হামিংবার্ড পাখিদের উদ্ধার ও সেবায় নিয়োজিত হওয়ার ব্যাপারে বড় ভূমিকা রাখে।
‘এটাই আমাকে নতুন এক জীবন দিল।’ প্রথম উদ্ধার করা পাখি গুচ্চির কথা মনে করে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলের কাতিয়া। ওটাকে সেবা ও চিকিৎসা দিয়ে সুস্থও করে ফেলতে সক্ষম হন তিনি। কাতিয়া জানান, এক হিসেবে ছোট্ট এই পাখিটাই তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ক্যানসারের চিকিৎসায় নিজের পাঁচটি পোশাকের দোকান বেঁচে দিতে বাধ্য হোন। সবকিছু মিলিয়ে মানসিকভাবেও ছিলেন বিপর্যস্ত। আর ওই হামিংবার্ডটি তাঁর ওপর প্রভাব বিস্তারকারী নিঃসঙ্গতা ও দুঃখবোধ থেকে টেনে তুলতে সাহায্য করে। আর এটা ছিল কেবল শুরু।
কাতিয়ার ছোট্ট পাখিকে সুস্থ করে তোলার বিষয়টি তাঁর বন্ধুরাও জানতে পারলেন। একপর্যায়ে আহত ও অসহায় বিভিন্ন হামিংবার্ড পাখিকে তাঁর কাছে নিয়ে আসতে শুরু করলেন। কোনো পাখিকেই ফিরিয়ে দিতেন না কাতিয়া। কোনো কোনোটি ছিল একেবারে শিশু। অন্যগুলোর আবার শরীরে কোনো ক্ষত আছে কিংবা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।
পাখিগুলোকে সঠিক যত্ন করার জন্য হামিংবার্ড পাখি ও এদের অভ্যাস, আচার-আচরণ সম্পর্কে প্রচুর পড়ালেখা করতে হলো তাঁকে। প্রায় এক যুগের অভিজ্ঞতার ৭৩ বছরের এ নারী হামিংবার্ড বিষয়ে রীতিমতো একজন বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছোট্ট এই পাখিদের বিষয়ে বলতে আমন্ত্রণও জানানো হয় তাঁকে। ফরাসি সাহিত্য নিয়ে লেখাপড়া করা এই নারীর শরণ নেন পাখিপ্রেমীরা যে কোনো প্রয়োজনে। মেক্সিকো ছাড়িয়ে উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর খ্যাতি।
হামিংবার্ডদের ব্যাপারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও সহায়তা করে কাতিয়ার এই পাখি-হাসপাতাল। এদের মধ্যে আছে মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির ইজতাকালা ক্যাম্পাস। নিজেদের সময় কিংবা জায়গা স্বল্পতার কারণে তারা কখনো কখনো কাতিয়ার শরণাপন্ন হোন বলে জানান, সংস্থাটির গবেষকদের একজন পাখি বিশারদ মারিয়া দেল কোরো আরিজমেন্দি।
আরিজমেন্দি বলেন, মেক্সিকোর রাজধানীতেই ২২ জাতের হামিংবার্ডের বাস, এদের মধ্যে বেশি চোখে পড়ে বোর্ড-বিলড ও ব্যারিলাইন হামিংবার্ডদের।
এদিকে মেক্সিকোতে হামিংবার্ড পাখিদের দুর্দশার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে নিজের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া এই খুদে রোগীদের নানা ধরনের ভিডিও পোস্ট করেন টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গত প্রায় এক যুগ সময়ে কয়েক শ হামিংবার্ডের চিকিৎসা ও যত্ন-আত্মি করেছেন এ নারী। তবে বছরের যখনই যান এদের কয়েক ডজনের দেখা পাবেন তাঁর বাসায়। এ কাজে একজন সহযোগীও পেয়েছেন তিনি। সিসিলিয়া সান্তোস নামের ওই নারীকে সঙ্গে নিয়ে মোটামুটি দিনের বড় একটা সময়ই তাঁর কাটে ছোট্ট পাখিদের দেখভালে।
পাখিদের সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার পর মেক্সিকো সিটির দক্ষিণের জঙ্গলে ছেড়ে দেন কাতিয়া। যেগুলোকে কোনোভাবেই সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয় না সেগুলোতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেবা দিয়ে যান। মারা গেলে নিজের বাসার কাছেই সমাধিস্থ করেন।
সূত্র: এপি, অডিটি সেন্ট্রাল, তাইপে টাইমস
‘হ্যালো, মিষ্টি ছোট্ট পাখি, তুমি কি খুব ক্ষুধার্ত?’ ছোট্ট এক শিশু হামিংবার্ডকে আলতোভাবে ধরে বললেন কাতিয়া। মেক্সিকো সিটিতে তাঁর বাসায় আগত নতুন রোগী এটি। নিজের অ্যাপার্টম্যান্টটিকে ৭৩ বছরের এই নারী আহত ও অসহায় হামিংবার্ড পাখিদের এক হাসপাতাল ও অভয়ারণ্যে পরিণত করেছেন। এক-দুই বছর নয় এভাবে প্রায় এক যুগ ধরে ছোট্ট এই পাখিদের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখিয়ে যাচ্ছেন কাতিয়া লতোফ দে আরিদা।
উদ্ভিদের পরাগায়নে সাহায্য করা হামিংবার্ড পাখি মেক্সিকোর ইকোসিস্টেম তথা বাস্তুতন্ত্রের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে ক্রমেই শহর বিস্তৃত হওয়ায় নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এই পাখিদের। এমন পরিস্থিতিতে হামিংবার্ডরা বন্ধু হিসেবে পেয়েছে কাতিয়া লতোফ দে আরিদাকে।
নিজে থেকেই হামিংবার্ডদের সেবা করার কৌশল শিখেছেন তিনি। অবসরের প্রায় পুরো সময়টি ব্যয় করার পাশাপাশি নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করেই ছোট্ট পাখিদের সুস্থ করে তুলতে সহায়তা করেন। প্রগাঢ় মমতা নিয়ে এই পাখিদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি, আর মেক্সিকো সিটিতে তাঁর বাড়িটিকে হামিংবার্ড হসপিটাল নামেই চেনেন স্থানীয়রা।
হামিংবার্ড পাখিদের সেবাদানকারী হিসেবে কাতিয়ার গল্পটি শুরু ২০১১ সালে। ওই সময় জীবনের কঠিন একটি সময় পার করছেন তিনি। মাত্র বছর দুয়েক আগে স্বামীকে হারিয়েছেন নিজে কোলন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে সুস্থতার দিকে। এ সময়ই একদিন চোখে মারাত্মক আঘাত পাওয়া একটি হামিংবার্ডকে দেখতে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে এলেন। সম্ভবত অন্য কোনো পাখির আক্রমণের শিকার হয়েছে এটি। কিন্তু তখনো পাখিদের যত্ন-আত্মির ব্যাপারে কিছুই জানেন না তিনি। তবে এক পশু চিকিৎসক বন্ধু তাঁকে হামিংবার্ড পাখিদের দেখাশোনার বিষয়ে পরামর্শ ও উৎসাহ দিলেন। এটাই পরবর্তী সময়টা হামিংবার্ড পাখিদের উদ্ধার ও সেবায় নিয়োজিত হওয়ার ব্যাপারে বড় ভূমিকা রাখে।
‘এটাই আমাকে নতুন এক জীবন দিল।’ প্রথম উদ্ধার করা পাখি গুচ্চির কথা মনে করে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলের কাতিয়া। ওটাকে সেবা ও চিকিৎসা দিয়ে সুস্থও করে ফেলতে সক্ষম হন তিনি। কাতিয়া জানান, এক হিসেবে ছোট্ট এই পাখিটাই তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ক্যানসারের চিকিৎসায় নিজের পাঁচটি পোশাকের দোকান বেঁচে দিতে বাধ্য হোন। সবকিছু মিলিয়ে মানসিকভাবেও ছিলেন বিপর্যস্ত। আর ওই হামিংবার্ডটি তাঁর ওপর প্রভাব বিস্তারকারী নিঃসঙ্গতা ও দুঃখবোধ থেকে টেনে তুলতে সাহায্য করে। আর এটা ছিল কেবল শুরু।
কাতিয়ার ছোট্ট পাখিকে সুস্থ করে তোলার বিষয়টি তাঁর বন্ধুরাও জানতে পারলেন। একপর্যায়ে আহত ও অসহায় বিভিন্ন হামিংবার্ড পাখিকে তাঁর কাছে নিয়ে আসতে শুরু করলেন। কোনো পাখিকেই ফিরিয়ে দিতেন না কাতিয়া। কোনো কোনোটি ছিল একেবারে শিশু। অন্যগুলোর আবার শরীরে কোনো ক্ষত আছে কিংবা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।
পাখিগুলোকে সঠিক যত্ন করার জন্য হামিংবার্ড পাখি ও এদের অভ্যাস, আচার-আচরণ সম্পর্কে প্রচুর পড়ালেখা করতে হলো তাঁকে। প্রায় এক যুগের অভিজ্ঞতার ৭৩ বছরের এ নারী হামিংবার্ড বিষয়ে রীতিমতো একজন বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছোট্ট এই পাখিদের বিষয়ে বলতে আমন্ত্রণও জানানো হয় তাঁকে। ফরাসি সাহিত্য নিয়ে লেখাপড়া করা এই নারীর শরণ নেন পাখিপ্রেমীরা যে কোনো প্রয়োজনে। মেক্সিকো ছাড়িয়ে উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর খ্যাতি।
হামিংবার্ডদের ব্যাপারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও সহায়তা করে কাতিয়ার এই পাখি-হাসপাতাল। এদের মধ্যে আছে মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির ইজতাকালা ক্যাম্পাস। নিজেদের সময় কিংবা জায়গা স্বল্পতার কারণে তারা কখনো কখনো কাতিয়ার শরণাপন্ন হোন বলে জানান, সংস্থাটির গবেষকদের একজন পাখি বিশারদ মারিয়া দেল কোরো আরিজমেন্দি।
আরিজমেন্দি বলেন, মেক্সিকোর রাজধানীতেই ২২ জাতের হামিংবার্ডের বাস, এদের মধ্যে বেশি চোখে পড়ে বোর্ড-বিলড ও ব্যারিলাইন হামিংবার্ডদের।
এদিকে মেক্সিকোতে হামিংবার্ড পাখিদের দুর্দশার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে নিজের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া এই খুদে রোগীদের নানা ধরনের ভিডিও পোস্ট করেন টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গত প্রায় এক যুগ সময়ে কয়েক শ হামিংবার্ডের চিকিৎসা ও যত্ন-আত্মি করেছেন এ নারী। তবে বছরের যখনই যান এদের কয়েক ডজনের দেখা পাবেন তাঁর বাসায়। এ কাজে একজন সহযোগীও পেয়েছেন তিনি। সিসিলিয়া সান্তোস নামের ওই নারীকে সঙ্গে নিয়ে মোটামুটি দিনের বড় একটা সময়ই তাঁর কাটে ছোট্ট পাখিদের দেখভালে।
পাখিদের সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার পর মেক্সিকো সিটির দক্ষিণের জঙ্গলে ছেড়ে দেন কাতিয়া। যেগুলোকে কোনোভাবেই সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয় না সেগুলোতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেবা দিয়ে যান। মারা গেলে নিজের বাসার কাছেই সমাধিস্থ করেন।
সূত্র: এপি, অডিটি সেন্ট্রাল, তাইপে টাইমস
‘হ্যালো, মিষ্টি ছোট্ট পাখি, তুমি কি খুব ক্ষুধার্ত?’ ছোট্ট এক শিশু হামিংবার্ডকে আলতোভাবে ধরে বললেন কাতিয়া। মেক্সিকো সিটিতে তাঁর বাসায় আগত নতুন রোগী এটি। নিজের অ্যাপার্টম্যান্টটিকে ৭৩ বছরের এই নারী আহত ও অসহায় হামিংবার্ড পাখিদের এক হাসপাতাল ও অভয়ারণ্যে পরিণত করেছেন। এক-দুই বছর নয় এভাবে প্রায় এক যুগ ধরে ছোট্ট এই পাখিদের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখিয়ে যাচ্ছেন কাতিয়া লতোফ দে আরিদা।
উদ্ভিদের পরাগায়নে সাহায্য করা হামিংবার্ড পাখি মেক্সিকোর ইকোসিস্টেম তথা বাস্তুতন্ত্রের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে ক্রমেই শহর বিস্তৃত হওয়ায় নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এই পাখিদের। এমন পরিস্থিতিতে হামিংবার্ডরা বন্ধু হিসেবে পেয়েছে কাতিয়া লতোফ দে আরিদাকে।
নিজে থেকেই হামিংবার্ডদের সেবা করার কৌশল শিখেছেন তিনি। অবসরের প্রায় পুরো সময়টি ব্যয় করার পাশাপাশি নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করেই ছোট্ট পাখিদের সুস্থ করে তুলতে সহায়তা করেন। প্রগাঢ় মমতা নিয়ে এই পাখিদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি, আর মেক্সিকো সিটিতে তাঁর বাড়িটিকে হামিংবার্ড হসপিটাল নামেই চেনেন স্থানীয়রা।
হামিংবার্ড পাখিদের সেবাদানকারী হিসেবে কাতিয়ার গল্পটি শুরু ২০১১ সালে। ওই সময় জীবনের কঠিন একটি সময় পার করছেন তিনি। মাত্র বছর দুয়েক আগে স্বামীকে হারিয়েছেন নিজে কোলন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে সুস্থতার দিকে। এ সময়ই একদিন চোখে মারাত্মক আঘাত পাওয়া একটি হামিংবার্ডকে দেখতে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে এলেন। সম্ভবত অন্য কোনো পাখির আক্রমণের শিকার হয়েছে এটি। কিন্তু তখনো পাখিদের যত্ন-আত্মির ব্যাপারে কিছুই জানেন না তিনি। তবে এক পশু চিকিৎসক বন্ধু তাঁকে হামিংবার্ড পাখিদের দেখাশোনার বিষয়ে পরামর্শ ও উৎসাহ দিলেন। এটাই পরবর্তী সময়টা হামিংবার্ড পাখিদের উদ্ধার ও সেবায় নিয়োজিত হওয়ার ব্যাপারে বড় ভূমিকা রাখে।
‘এটাই আমাকে নতুন এক জীবন দিল।’ প্রথম উদ্ধার করা পাখি গুচ্চির কথা মনে করে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলের কাতিয়া। ওটাকে সেবা ও চিকিৎসা দিয়ে সুস্থও করে ফেলতে সক্ষম হন তিনি। কাতিয়া জানান, এক হিসেবে ছোট্ট এই পাখিটাই তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ক্যানসারের চিকিৎসায় নিজের পাঁচটি পোশাকের দোকান বেঁচে দিতে বাধ্য হোন। সবকিছু মিলিয়ে মানসিকভাবেও ছিলেন বিপর্যস্ত। আর ওই হামিংবার্ডটি তাঁর ওপর প্রভাব বিস্তারকারী নিঃসঙ্গতা ও দুঃখবোধ থেকে টেনে তুলতে সাহায্য করে। আর এটা ছিল কেবল শুরু।
কাতিয়ার ছোট্ট পাখিকে সুস্থ করে তোলার বিষয়টি তাঁর বন্ধুরাও জানতে পারলেন। একপর্যায়ে আহত ও অসহায় বিভিন্ন হামিংবার্ড পাখিকে তাঁর কাছে নিয়ে আসতে শুরু করলেন। কোনো পাখিকেই ফিরিয়ে দিতেন না কাতিয়া। কোনো কোনোটি ছিল একেবারে শিশু। অন্যগুলোর আবার শরীরে কোনো ক্ষত আছে কিংবা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।
পাখিগুলোকে সঠিক যত্ন করার জন্য হামিংবার্ড পাখি ও এদের অভ্যাস, আচার-আচরণ সম্পর্কে প্রচুর পড়ালেখা করতে হলো তাঁকে। প্রায় এক যুগের অভিজ্ঞতার ৭৩ বছরের এ নারী হামিংবার্ড বিষয়ে রীতিমতো একজন বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছোট্ট এই পাখিদের বিষয়ে বলতে আমন্ত্রণও জানানো হয় তাঁকে। ফরাসি সাহিত্য নিয়ে লেখাপড়া করা এই নারীর শরণ নেন পাখিপ্রেমীরা যে কোনো প্রয়োজনে। মেক্সিকো ছাড়িয়ে উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর খ্যাতি।
হামিংবার্ডদের ব্যাপারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও সহায়তা করে কাতিয়ার এই পাখি-হাসপাতাল। এদের মধ্যে আছে মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির ইজতাকালা ক্যাম্পাস। নিজেদের সময় কিংবা জায়গা স্বল্পতার কারণে তারা কখনো কখনো কাতিয়ার শরণাপন্ন হোন বলে জানান, সংস্থাটির গবেষকদের একজন পাখি বিশারদ মারিয়া দেল কোরো আরিজমেন্দি।
আরিজমেন্দি বলেন, মেক্সিকোর রাজধানীতেই ২২ জাতের হামিংবার্ডের বাস, এদের মধ্যে বেশি চোখে পড়ে বোর্ড-বিলড ও ব্যারিলাইন হামিংবার্ডদের।
এদিকে মেক্সিকোতে হামিংবার্ড পাখিদের দুর্দশার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে নিজের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া এই খুদে রোগীদের নানা ধরনের ভিডিও পোস্ট করেন টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গত প্রায় এক যুগ সময়ে কয়েক শ হামিংবার্ডের চিকিৎসা ও যত্ন-আত্মি করেছেন এ নারী। তবে বছরের যখনই যান এদের কয়েক ডজনের দেখা পাবেন তাঁর বাসায়। এ কাজে একজন সহযোগীও পেয়েছেন তিনি। সিসিলিয়া সান্তোস নামের ওই নারীকে সঙ্গে নিয়ে মোটামুটি দিনের বড় একটা সময়ই তাঁর কাটে ছোট্ট পাখিদের দেখভালে।
পাখিদের সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার পর মেক্সিকো সিটির দক্ষিণের জঙ্গলে ছেড়ে দেন কাতিয়া। যেগুলোকে কোনোভাবেই সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয় না সেগুলোতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেবা দিয়ে যান। মারা গেলে নিজের বাসার কাছেই সমাধিস্থ করেন।
সূত্র: এপি, অডিটি সেন্ট্রাল, তাইপে টাইমস
‘হ্যালো, মিষ্টি ছোট্ট পাখি, তুমি কি খুব ক্ষুধার্ত?’ ছোট্ট এক শিশু হামিংবার্ডকে আলতোভাবে ধরে বললেন কাতিয়া। মেক্সিকো সিটিতে তাঁর বাসায় আগত নতুন রোগী এটি। নিজের অ্যাপার্টম্যান্টটিকে ৭৩ বছরের এই নারী আহত ও অসহায় হামিংবার্ড পাখিদের এক হাসপাতাল ও অভয়ারণ্যে পরিণত করেছেন। এক-দুই বছর নয় এভাবে প্রায় এক যুগ ধরে ছোট্ট এই পাখিদের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখিয়ে যাচ্ছেন কাতিয়া লতোফ দে আরিদা।
উদ্ভিদের পরাগায়নে সাহায্য করা হামিংবার্ড পাখি মেক্সিকোর ইকোসিস্টেম তথা বাস্তুতন্ত্রের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে ক্রমেই শহর বিস্তৃত হওয়ায় নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এই পাখিদের। এমন পরিস্থিতিতে হামিংবার্ডরা বন্ধু হিসেবে পেয়েছে কাতিয়া লতোফ দে আরিদাকে।
নিজে থেকেই হামিংবার্ডদের সেবা করার কৌশল শিখেছেন তিনি। অবসরের প্রায় পুরো সময়টি ব্যয় করার পাশাপাশি নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করেই ছোট্ট পাখিদের সুস্থ করে তুলতে সহায়তা করেন। প্রগাঢ় মমতা নিয়ে এই পাখিদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি, আর মেক্সিকো সিটিতে তাঁর বাড়িটিকে হামিংবার্ড হসপিটাল নামেই চেনেন স্থানীয়রা।
হামিংবার্ড পাখিদের সেবাদানকারী হিসেবে কাতিয়ার গল্পটি শুরু ২০১১ সালে। ওই সময় জীবনের কঠিন একটি সময় পার করছেন তিনি। মাত্র বছর দুয়েক আগে স্বামীকে হারিয়েছেন নিজে কোলন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে সুস্থতার দিকে। এ সময়ই একদিন চোখে মারাত্মক আঘাত পাওয়া একটি হামিংবার্ডকে দেখতে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে এলেন। সম্ভবত অন্য কোনো পাখির আক্রমণের শিকার হয়েছে এটি। কিন্তু তখনো পাখিদের যত্ন-আত্মির ব্যাপারে কিছুই জানেন না তিনি। তবে এক পশু চিকিৎসক বন্ধু তাঁকে হামিংবার্ড পাখিদের দেখাশোনার বিষয়ে পরামর্শ ও উৎসাহ দিলেন। এটাই পরবর্তী সময়টা হামিংবার্ড পাখিদের উদ্ধার ও সেবায় নিয়োজিত হওয়ার ব্যাপারে বড় ভূমিকা রাখে।
‘এটাই আমাকে নতুন এক জীবন দিল।’ প্রথম উদ্ধার করা পাখি গুচ্চির কথা মনে করে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলের কাতিয়া। ওটাকে সেবা ও চিকিৎসা দিয়ে সুস্থও করে ফেলতে সক্ষম হন তিনি। কাতিয়া জানান, এক হিসেবে ছোট্ট এই পাখিটাই তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ক্যানসারের চিকিৎসায় নিজের পাঁচটি পোশাকের দোকান বেঁচে দিতে বাধ্য হোন। সবকিছু মিলিয়ে মানসিকভাবেও ছিলেন বিপর্যস্ত। আর ওই হামিংবার্ডটি তাঁর ওপর প্রভাব বিস্তারকারী নিঃসঙ্গতা ও দুঃখবোধ থেকে টেনে তুলতে সাহায্য করে। আর এটা ছিল কেবল শুরু।
কাতিয়ার ছোট্ট পাখিকে সুস্থ করে তোলার বিষয়টি তাঁর বন্ধুরাও জানতে পারলেন। একপর্যায়ে আহত ও অসহায় বিভিন্ন হামিংবার্ড পাখিকে তাঁর কাছে নিয়ে আসতে শুরু করলেন। কোনো পাখিকেই ফিরিয়ে দিতেন না কাতিয়া। কোনো কোনোটি ছিল একেবারে শিশু। অন্যগুলোর আবার শরীরে কোনো ক্ষত আছে কিংবা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।
পাখিগুলোকে সঠিক যত্ন করার জন্য হামিংবার্ড পাখি ও এদের অভ্যাস, আচার-আচরণ সম্পর্কে প্রচুর পড়ালেখা করতে হলো তাঁকে। প্রায় এক যুগের অভিজ্ঞতার ৭৩ বছরের এ নারী হামিংবার্ড বিষয়ে রীতিমতো একজন বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছোট্ট এই পাখিদের বিষয়ে বলতে আমন্ত্রণও জানানো হয় তাঁকে। ফরাসি সাহিত্য নিয়ে লেখাপড়া করা এই নারীর শরণ নেন পাখিপ্রেমীরা যে কোনো প্রয়োজনে। মেক্সিকো ছাড়িয়ে উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর খ্যাতি।
হামিংবার্ডদের ব্যাপারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও সহায়তা করে কাতিয়ার এই পাখি-হাসপাতাল। এদের মধ্যে আছে মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির ইজতাকালা ক্যাম্পাস। নিজেদের সময় কিংবা জায়গা স্বল্পতার কারণে তারা কখনো কখনো কাতিয়ার শরণাপন্ন হোন বলে জানান, সংস্থাটির গবেষকদের একজন পাখি বিশারদ মারিয়া দেল কোরো আরিজমেন্দি।
আরিজমেন্দি বলেন, মেক্সিকোর রাজধানীতেই ২২ জাতের হামিংবার্ডের বাস, এদের মধ্যে বেশি চোখে পড়ে বোর্ড-বিলড ও ব্যারিলাইন হামিংবার্ডদের।
এদিকে মেক্সিকোতে হামিংবার্ড পাখিদের দুর্দশার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে নিজের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া এই খুদে রোগীদের নানা ধরনের ভিডিও পোস্ট করেন টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গত প্রায় এক যুগ সময়ে কয়েক শ হামিংবার্ডের চিকিৎসা ও যত্ন-আত্মি করেছেন এ নারী। তবে বছরের যখনই যান এদের কয়েক ডজনের দেখা পাবেন তাঁর বাসায়। এ কাজে একজন সহযোগীও পেয়েছেন তিনি। সিসিলিয়া সান্তোস নামের ওই নারীকে সঙ্গে নিয়ে মোটামুটি দিনের বড় একটা সময়ই তাঁর কাটে ছোট্ট পাখিদের দেখভালে।
পাখিদের সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার পর মেক্সিকো সিটির দক্ষিণের জঙ্গলে ছেড়ে দেন কাতিয়া। যেগুলোকে কোনোভাবেই সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয় না সেগুলোতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেবা দিয়ে যান। মারা গেলে নিজের বাসার কাছেই সমাধিস্থ করেন।
সূত্র: এপি, অডিটি সেন্ট্রাল, তাইপে টাইমস
নিরাপদ এবং নিশ্চিত কর্মপরিবেশ পাওয়া যেকোনো কর্মজীবী মানুষের একটি মৌলিক চাহিদা। কর্মপরিবেশ ও কর্মস্থল নিরাপদ যদি না হয়, সেখানে নারী কিংবা পুরুষ—কেউ নিরাপদ নন। আর এ বিষয়টি শুধু চাকরিজীবনে নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। হেঁটে গেলে অন্য সহকর্মীরা আপনার দিকে কীভাবে তাকাচ্ছেন, কিংবা দুজন সহকর
২ দিন আগেরেডিও চ্যানেল এনপিআরকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শ্রৌক আল আইলা। তিনি বলতে শুরু করেন, ‘আমি একধরনের হ্যাংওভারের মধ্যে আছি। আজ সকালে খুব অদ্ভুত লাগছিল। কারণ, আমি বিমান হামলা ও বিস্ফোরণ ছাড়া গভীরভাবে ঘুমানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। এটা সত্যিই অদ্ভুত লাগছে।’
২ দিন আগেআমেরিকার ইতিহাসে দীর্ঘকাল ধরে চলা টেলিভিশন সিরিজ মিট দ্য প্রেস। অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্যানেল আলোচনার একটি মানদণ্ড তৈরি করেছিল। এই অনুষ্ঠানের কো-ক্রিয়েটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন মার্থা জেন রাউন্ট্রি।
২ দিন আগেএভারিস্ত গালোয়া ও ফুমিলায়ো র্যানসোম-কুটি দুই বিষয়ে পৃথিবীর দুই প্রান্তের প্রতিভাধর নারী। একজন সমাধান করেছিলেন বীজগণিতের সমস্যা, অন্যজন ছিলেন নিজের দেশের নারীদের মুক্তির প্রতীক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দুজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। এ এক দারুণ রহস্য!
২ দিন আগেব্যারিস্টার ইফফাত আরা গিয়াস
নিরাপদ এবং নিশ্চিত কর্মপরিবেশ পাওয়া যেকোনো কর্মজীবী মানুষের একটি মৌলিক চাহিদা। কর্মপরিবেশ ও কর্মস্থল নিরাপদ যদি না হয়, সেখানে নারী কিংবা পুরুষ—কেউ নিরাপদ নন। আর এ বিষয়টি শুধু চাকরিজীবনে নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। হেঁটে গেলে অন্য সহকর্মীরা আপনার দিকে কীভাবে তাকাচ্ছেন, কিংবা দুজন সহকর্মী দাঁড়িয়ে আপনাকে নিয়ে কী ধরনের মন্তব্য করছেন, এটা ভেবেই যদি সময় চলে যায়, তাহলে কাজ করবেন কখন? আর এই ভাবনাটা তখনই আসে, যখন কারও সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে আচরণ করা হবে। যিনি এসব আচরণ করছেন, তিনি হতে পারেন বস কিংবা অফিসের যেকোনো শ্রেণির কর্মচারী। এই নিরাপত্তা যখন ব্যাহত হয়, তখন সেখানে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়ে।
কর্মস্থলে নারী-পুরুষনির্বিশেষে প্রত্যেক কর্মচারীর নিরাপত্তা এবং মর্যাদা রক্ষা করা রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মৌলিক দায়িত্ব। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায়, কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী বা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কেউ কেউ মৌখিক অর্থাৎ ভারবাল কিংবা শারীরিক অর্থাৎ ফিজিক্যাল হয়রানির শিকার হন। এ ধরনের আচরণ কেবল মানসিক কষ্টের কারণ নয়; বরং বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।
নিজের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের প্রথম প্রতিবাদ নিজেকেই করতে হবে। অন্য কেউ এসে প্রতিবাদ করার আগে নিজের সচেতনতা এবং যুক্তিযুক্ত কথা বলা অনেক বেশি জরুরি। তাই চাকরিজীবনে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সে বিষয়ে রাষ্ট্রীয় আইন জানা থাকা দরকার।
আইনের চোখে হয়রানি
বাংলাদেশে কর্মস্থলে হয়রানিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। এ ধরনের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং অপরাধীকে শাস্তি দিতে দুটি প্রধান আইন ও নির্দেশনা কার্যকর রয়েছে:
১. বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮): এই আইন শ্রমিক-কর্মচারীদের কর্মপরিবেশ-সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণ করে।
২. যৌন হয়রানি প্রতিরোধ নীতিমালা, ২০০৯: এটি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার ভিত্তিতে প্রণীত, যা কর্মস্থলে যেকোনো ধরনের যৌন হয়রানিকে কঠোরভাবে দমন করার নির্দেশ দেয়।
হয়রানির প্রকারভেদ
প্রথমেই বুঝে নেওয়া জরুরি যে হয়রানির ধরন কেমন। তবে কর্মক্ষেত্রে হয়রানি দুই ধরনের হতে পারে—
১. মৌখিক বা ভারবাল হয়রানি: এর মধ্যে রয়েছে অপমানজনক মন্তব্য, অশালীন ইঙ্গিত, যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথা, হেয়প্রতিপন্ন করা কিংবা ভয় দেখানো।
২. শারীরিক বা ফিজিক্যাল হয়রানি: অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ, জোর করে ধরাধরি, আলিঙ্গন অথবা শারীরিকভাবে অপমানজনক আচরণ।
কর্মস্থলে এ ধরনের আচরণ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন হয়রানি প্রতিরোধ নীতিমালা, ২০০৯ অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ন্যায়বিচার পাওয়ার ধাপ
কর্মস্থলে হয়রানির শিকার হলে ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কিছু ধাপে সচেতনভাবে অগ্রসর হতে হবে।
প্রথম পদক্ষেপ: প্রমাণ সংগ্রহ এবং নথিভুক্তকরণ
অভিযোগের ভিত্তি মজবুত করার জন্য প্রমাণ সংগ্রহ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভুক্তভোগীর প্রথম কাজ হলো ঘটনার বিস্তারিত তথ্য স্পষ্টভাবে লিখিত আকারে নথিভুক্ত করা।
» বিবরণ: ঘটনার তারিখ, সময়, স্থান এবং জড়িত ব্যক্তি কিংবা উপস্থিত থাকা সাক্ষীর নাম লিখে রাখা।
» সংরক্ষণ: সম্ভব হলে ই-মেইল, মেসেজ, ভয়েস রেকর্ড, চ্যাটের স্ক্রিনশট অথবা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণ করা। এসব তথ্য পরবর্তী সময়ে অভিযোগের সপক্ষে শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।
দ্বিতীয় পদক্ষেপ: অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটিতে অভিযোগ দাখিল
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিটি অফিস কিংবা প্রতিষ্ঠানে একটি ‘অভিযোগ কমিটি’ থাকা বাধ্যতামূলক। এই কমিটিতে একজন নারী সদস্যের অন্তর্ভুক্তিও নিশ্চিত করতে হবে।
ভুক্তভোগী প্রথমে লিখিতভাবে এই কমিটির কাছে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। এরপর কমিটি সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত পরিচালনা করতে এবং প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য। এটি অভ্যন্তরীণভাবে দ্রুত ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রথম ও কার্যকর মাধ্যম।
তৃতীয় পদক্ষেপ: প্রশাসনিক ও আইনি সহায়তা নেওয়া
যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ কমিটি না থাকে অথবা কমিটি যদি অভিযোগের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, তবে ভুক্তভোগী সরাসরি আইনি পথে যেতে পারেন।
» পুলিশি পদক্ষেপ: ভুক্তভোগী সরাসরি স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে পারেন।
» মামলা: প্রয়োজনে তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বা শ্রম আদালতে মামলা করতে পারেন।
» শাস্তি: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) অনুযায়ী শারীরিক বা যৌন হয়রানির অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
চতুর্থ পদক্ষেপ: মানবাধিকার সংগঠন ও আইনি সহায়তা সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া
আইনিপ্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা না থাকলে অথবা আর্থিক সংকট থাকলে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, ব্র্যাক লিগ্যাল এইড সার্ভিসেসের মতো অনেক সংগঠন বিনা মূল্যে আইনি পরামর্শ ও সহায়তা দেয়। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পেশাদার সহায়তা পাওয়া সম্ভব।
যেসব বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে
» চুপ না থাকা: কোনো পরিস্থিতিতে ভয় কিংবা সামাজিক চাপের কারণে চুপ থাকা উচিত নয়। হয়রানির বিষয়ে দ্রুত আওয়াজ তোলা খুব প্রয়োজন।
» নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ: অভিযোগ দাখিল করার আগে ও পরে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
» সঠিক তথ্য উপস্থাপন: মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
» নথি সংরক্ষণ: সব ধরনের যোগাযোগ এবং প্রমাণের নথি যথাযথভাবে আপনাকে সংরক্ষণ করতে হবে।
কর্মস্থলকে ভয় বা বঞ্চনার জায়গা না বানিয়ে একটি নিরাপদ ও সম্মানজনক পরিবেশের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা জরুরি। হয়রানির শিকার হলে চুপ না থেকে আইনের আশ্রয় নেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। একজন সচেতন কর্মী হিসেবে সাহসিকতার সঙ্গে সঠিক পদক্ষেপ নিলে কেবল নিজের নয়, প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক পরিবেশ এবং অন্যান্য সহকর্মীর নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা সম্ভব।
নিরাপদ এবং নিশ্চিত কর্মপরিবেশ পাওয়া যেকোনো কর্মজীবী মানুষের একটি মৌলিক চাহিদা। কর্মপরিবেশ ও কর্মস্থল নিরাপদ যদি না হয়, সেখানে নারী কিংবা পুরুষ—কেউ নিরাপদ নন। আর এ বিষয়টি শুধু চাকরিজীবনে নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। হেঁটে গেলে অন্য সহকর্মীরা আপনার দিকে কীভাবে তাকাচ্ছেন, কিংবা দুজন সহকর্মী দাঁড়িয়ে আপনাকে নিয়ে কী ধরনের মন্তব্য করছেন, এটা ভেবেই যদি সময় চলে যায়, তাহলে কাজ করবেন কখন? আর এই ভাবনাটা তখনই আসে, যখন কারও সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে আচরণ করা হবে। যিনি এসব আচরণ করছেন, তিনি হতে পারেন বস কিংবা অফিসের যেকোনো শ্রেণির কর্মচারী। এই নিরাপত্তা যখন ব্যাহত হয়, তখন সেখানে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়ে।
কর্মস্থলে নারী-পুরুষনির্বিশেষে প্রত্যেক কর্মচারীর নিরাপত্তা এবং মর্যাদা রক্ষা করা রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মৌলিক দায়িত্ব। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায়, কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী বা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কেউ কেউ মৌখিক অর্থাৎ ভারবাল কিংবা শারীরিক অর্থাৎ ফিজিক্যাল হয়রানির শিকার হন। এ ধরনের আচরণ কেবল মানসিক কষ্টের কারণ নয়; বরং বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।
নিজের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের প্রথম প্রতিবাদ নিজেকেই করতে হবে। অন্য কেউ এসে প্রতিবাদ করার আগে নিজের সচেতনতা এবং যুক্তিযুক্ত কথা বলা অনেক বেশি জরুরি। তাই চাকরিজীবনে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সে বিষয়ে রাষ্ট্রীয় আইন জানা থাকা দরকার।
আইনের চোখে হয়রানি
বাংলাদেশে কর্মস্থলে হয়রানিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। এ ধরনের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং অপরাধীকে শাস্তি দিতে দুটি প্রধান আইন ও নির্দেশনা কার্যকর রয়েছে:
১. বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮): এই আইন শ্রমিক-কর্মচারীদের কর্মপরিবেশ-সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণ করে।
২. যৌন হয়রানি প্রতিরোধ নীতিমালা, ২০০৯: এটি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার ভিত্তিতে প্রণীত, যা কর্মস্থলে যেকোনো ধরনের যৌন হয়রানিকে কঠোরভাবে দমন করার নির্দেশ দেয়।
হয়রানির প্রকারভেদ
প্রথমেই বুঝে নেওয়া জরুরি যে হয়রানির ধরন কেমন। তবে কর্মক্ষেত্রে হয়রানি দুই ধরনের হতে পারে—
১. মৌখিক বা ভারবাল হয়রানি: এর মধ্যে রয়েছে অপমানজনক মন্তব্য, অশালীন ইঙ্গিত, যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথা, হেয়প্রতিপন্ন করা কিংবা ভয় দেখানো।
২. শারীরিক বা ফিজিক্যাল হয়রানি: অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ, জোর করে ধরাধরি, আলিঙ্গন অথবা শারীরিকভাবে অপমানজনক আচরণ।
কর্মস্থলে এ ধরনের আচরণ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন হয়রানি প্রতিরোধ নীতিমালা, ২০০৯ অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ন্যায়বিচার পাওয়ার ধাপ
কর্মস্থলে হয়রানির শিকার হলে ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কিছু ধাপে সচেতনভাবে অগ্রসর হতে হবে।
প্রথম পদক্ষেপ: প্রমাণ সংগ্রহ এবং নথিভুক্তকরণ
অভিযোগের ভিত্তি মজবুত করার জন্য প্রমাণ সংগ্রহ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভুক্তভোগীর প্রথম কাজ হলো ঘটনার বিস্তারিত তথ্য স্পষ্টভাবে লিখিত আকারে নথিভুক্ত করা।
» বিবরণ: ঘটনার তারিখ, সময়, স্থান এবং জড়িত ব্যক্তি কিংবা উপস্থিত থাকা সাক্ষীর নাম লিখে রাখা।
» সংরক্ষণ: সম্ভব হলে ই-মেইল, মেসেজ, ভয়েস রেকর্ড, চ্যাটের স্ক্রিনশট অথবা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণ করা। এসব তথ্য পরবর্তী সময়ে অভিযোগের সপক্ষে শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।
দ্বিতীয় পদক্ষেপ: অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটিতে অভিযোগ দাখিল
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিটি অফিস কিংবা প্রতিষ্ঠানে একটি ‘অভিযোগ কমিটি’ থাকা বাধ্যতামূলক। এই কমিটিতে একজন নারী সদস্যের অন্তর্ভুক্তিও নিশ্চিত করতে হবে।
ভুক্তভোগী প্রথমে লিখিতভাবে এই কমিটির কাছে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। এরপর কমিটি সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত পরিচালনা করতে এবং প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য। এটি অভ্যন্তরীণভাবে দ্রুত ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রথম ও কার্যকর মাধ্যম।
তৃতীয় পদক্ষেপ: প্রশাসনিক ও আইনি সহায়তা নেওয়া
যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ কমিটি না থাকে অথবা কমিটি যদি অভিযোগের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, তবে ভুক্তভোগী সরাসরি আইনি পথে যেতে পারেন।
» পুলিশি পদক্ষেপ: ভুক্তভোগী সরাসরি স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে পারেন।
» মামলা: প্রয়োজনে তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বা শ্রম আদালতে মামলা করতে পারেন।
» শাস্তি: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) অনুযায়ী শারীরিক বা যৌন হয়রানির অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
চতুর্থ পদক্ষেপ: মানবাধিকার সংগঠন ও আইনি সহায়তা সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া
আইনিপ্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা না থাকলে অথবা আর্থিক সংকট থাকলে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, ব্র্যাক লিগ্যাল এইড সার্ভিসেসের মতো অনেক সংগঠন বিনা মূল্যে আইনি পরামর্শ ও সহায়তা দেয়। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পেশাদার সহায়তা পাওয়া সম্ভব।
যেসব বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে
» চুপ না থাকা: কোনো পরিস্থিতিতে ভয় কিংবা সামাজিক চাপের কারণে চুপ থাকা উচিত নয়। হয়রানির বিষয়ে দ্রুত আওয়াজ তোলা খুব প্রয়োজন।
» নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ: অভিযোগ দাখিল করার আগে ও পরে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
» সঠিক তথ্য উপস্থাপন: মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
» নথি সংরক্ষণ: সব ধরনের যোগাযোগ এবং প্রমাণের নথি যথাযথভাবে আপনাকে সংরক্ষণ করতে হবে।
কর্মস্থলকে ভয় বা বঞ্চনার জায়গা না বানিয়ে একটি নিরাপদ ও সম্মানজনক পরিবেশের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা জরুরি। হয়রানির শিকার হলে চুপ না থেকে আইনের আশ্রয় নেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। একজন সচেতন কর্মী হিসেবে সাহসিকতার সঙ্গে সঠিক পদক্ষেপ নিলে কেবল নিজের নয়, প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক পরিবেশ এবং অন্যান্য সহকর্মীর নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা সম্ভব।
নিজের অ্যাপার্টম্যান্টটিকে মেক্সিকো সিটির এক নারী আহত ও অসহায় হামিংবার্ড পাখিদের এক হাসপাতালে পরিণত করেছেন। সুস্থ করে এই পাখিদের শহরের কাছের জঙ্গলে ছেড়ে দেন। এক-দুই বছর নয় এভাবে প্রায় এক যুগ ধরে ছোট্ট এই পাখিদের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
২২ আগস্ট ২০২৩রেডিও চ্যানেল এনপিআরকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শ্রৌক আল আইলা। তিনি বলতে শুরু করেন, ‘আমি একধরনের হ্যাংওভারের মধ্যে আছি। আজ সকালে খুব অদ্ভুত লাগছিল। কারণ, আমি বিমান হামলা ও বিস্ফোরণ ছাড়া গভীরভাবে ঘুমানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। এটা সত্যিই অদ্ভুত লাগছে।’
২ দিন আগেআমেরিকার ইতিহাসে দীর্ঘকাল ধরে চলা টেলিভিশন সিরিজ মিট দ্য প্রেস। অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্যানেল আলোচনার একটি মানদণ্ড তৈরি করেছিল। এই অনুষ্ঠানের কো-ক্রিয়েটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন মার্থা জেন রাউন্ট্রি।
২ দিন আগেএভারিস্ত গালোয়া ও ফুমিলায়ো র্যানসোম-কুটি দুই বিষয়ে পৃথিবীর দুই প্রান্তের প্রতিভাধর নারী। একজন সমাধান করেছিলেন বীজগণিতের সমস্যা, অন্যজন ছিলেন নিজের দেশের নারীদের মুক্তির প্রতীক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দুজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। এ এক দারুণ রহস্য!
২ দিন আগেফিচার ডেস্ক
রেডিও চ্যানেল এনপিআরকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শ্রৌক আল আইলা। তিনি বলতে শুরু করেন, ‘আমি একধরনের হ্যাংওভারের মধ্যে আছি। আজ সকালে খুব অদ্ভুত লাগছিল। কারণ, আমি বিমান হামলা ও বিস্ফোরণ ছাড়া গভীরভাবে ঘুমানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। এটা সত্যিই অদ্ভুত লাগছে।’
৭০০ দিনের বেশি সহিংসতার পর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। তবু শান্ত হয়নি গাজার আকাশ। কিন্তু গাজাবাসী, বিশেষত নারী ও কিশোরীদের মধ্যে ভঙ্গুর হলেও দেখা দিয়েছে আশা—বেঁচে থাকার আর এগিয়ে যাওয়ার আশা। যুদ্ধের পুরো সময়ে গাজার অধিকাংশ নারী কমপক্ষে চারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইউএন উইমেনের তথ্য অনুযায়ী, ১০ লাখের বেশি নারী ও কিশোরীর খাদ্যসহায়তার প্রয়োজন এবং প্রায় আড়াই লাখের প্রয়োজন জরুরি পুষ্টি সহায়তা।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার ১৬ দিনের মাথায় বাড়িতে বোমা হামলায় নিহত হন আইলার স্বামী। এর পর থেকে নিজের কন্যাশিশুর সঙ্গে জীবন যাপন করছেন তিনি। আইলা জানান, তাঁর কন্যাটি তার বয়সের অর্ধেকের বেশি সময় খাওয়ার পানি, চিকিৎসাসামগ্রী, দুধ আর ডায়াপার ছাড়া কাটিয়েছে। দুর্ভিক্ষের কারণে সে ক্যানড ফুডের ওপর বড় হয়েছে। ফলে শিশুটি আপেল, কলা ও অন্য সব ধরনের ফল চিনতে পারে না। গাজায় প্রতি সাতটি পরিবারের মধ্যে একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজন নারী। তাঁদের এখন সরাসরি সহায়তা দরকার, যাতে তাঁরা সন্তানদের খাওয়াতে পারেন, স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারেন, জীবিকা পুনর্গঠন করতে পারেন এবং সবকিছু হারানোর পর কিছুটা স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে পারেন।
এনপিআরকে সাক্ষাৎকার দেন শাইমা আহমেদ নামে আরও একজন কলেজশিক্ষার্থী। একটি বড় পরিবারে জন্ম নেওয়া শাইমা এই যুদ্ধে তাঁর পরিবারের ৭০ জন সদস্যকে হারিয়েছেন! তাঁদের মধ্যে কেউ মারা গেছেন, কয়েকজন নিখোঁজ আবার এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে—যাঁদের বেঁচে থাকার আশা নেই। বোমাবর্ষণে পরিবারের মানুষের কবরগুলোও হয়ে গেছে অচেনা, খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শাইমা বলেন, ‘শোকের জায়গাও আর নেই।’ তিনি জানান, তিনি ও তাঁর পরিবার দুই বছরে ১১ বার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। শাইমা স্নাতক শেষ করতে চলেছেন। আর এই পড়ার ইচ্ছাই এত দিন বাঁচিয়ে রেখেছে তাঁকে। যেমন সব হারিয়ে মেয়েকে নিয়ে বেঁচে থাকার ইচ্ছা বাঁচিয়ে রেখেছে আইলাকে।
শাইমা বলেন, ‘আমাদের জীবন কেবল সেই নিছক বেঁচে থাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর সত্যিকারের অর্থ ও উদ্দেশ্য থাকে। এটাই আমাদের এগিয়ে নিয়ে গেছে। আমাদের কাছে এই মাটির এত অর্থ আছে এবং গাজায় আপনি যা দেখেন, তা সত্যিই ধূসর এবং সর্বত্র ধ্বংসস্তূপ ও ধুলোয় ভরা। তবু আমরা একটি ভবিষ্যৎ দেখতে পাই।’
গাজায় নিহত, আহত, ধ্বংসের সংখ্যা কেবলই ডেটা নয়। যুদ্ধবিরতি স্থিতিশীল হওয়ার পাশাপাশি গাজার নারীবিষয়ক সংস্থাগুলো এরই মধ্যে পরবর্তী কাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশটির পুনরুদ্ধার সেখানকার নারীদের ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সংস্থাগুলোতে কর্মরত নারীরা বারবার উচ্ছেদ, ভয় আর যন্ত্রণার শিকার হয়েছেন। উইমেনস অ্যাফেয়ার্স সেন্টারে কর্মরত আমাল বলেন, ‘আমরা এখানে মৃত্যুকে আর বুঝতে পারি না। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়—মৃত্যু আমাদের বস্তুতে, সংখ্যায় পরিণত করে। যেন আমরা কখনো ছিলামই না। আমাদের কাছে মানুষের দেহাবশেষ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।’
তবু বেঁচে থাকার স্বপ্ন তাঁদের ঘুমাতে দেয় না। গাজা পুনর্গঠন ও পুনর্নির্মাণের প্রতিটি প্রচেষ্টায় নারীদের উপস্থিতি চান তাঁরা। আমাল বলেন, ‘গাজা পুনর্গঠন ও পুনর্নির্মাণের আগে আমাদের নারী হিসেবে, ফিলিস্তিনি হিসেবে নিজেদের পুনর্নির্মাণ করতে হবে।’
সূত্র: এনপিআর, ইউএন উইমেন
রেডিও চ্যানেল এনপিআরকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শ্রৌক আল আইলা। তিনি বলতে শুরু করেন, ‘আমি একধরনের হ্যাংওভারের মধ্যে আছি। আজ সকালে খুব অদ্ভুত লাগছিল। কারণ, আমি বিমান হামলা ও বিস্ফোরণ ছাড়া গভীরভাবে ঘুমানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। এটা সত্যিই অদ্ভুত লাগছে।’
৭০০ দিনের বেশি সহিংসতার পর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। তবু শান্ত হয়নি গাজার আকাশ। কিন্তু গাজাবাসী, বিশেষত নারী ও কিশোরীদের মধ্যে ভঙ্গুর হলেও দেখা দিয়েছে আশা—বেঁচে থাকার আর এগিয়ে যাওয়ার আশা। যুদ্ধের পুরো সময়ে গাজার অধিকাংশ নারী কমপক্ষে চারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইউএন উইমেনের তথ্য অনুযায়ী, ১০ লাখের বেশি নারী ও কিশোরীর খাদ্যসহায়তার প্রয়োজন এবং প্রায় আড়াই লাখের প্রয়োজন জরুরি পুষ্টি সহায়তা।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার ১৬ দিনের মাথায় বাড়িতে বোমা হামলায় নিহত হন আইলার স্বামী। এর পর থেকে নিজের কন্যাশিশুর সঙ্গে জীবন যাপন করছেন তিনি। আইলা জানান, তাঁর কন্যাটি তার বয়সের অর্ধেকের বেশি সময় খাওয়ার পানি, চিকিৎসাসামগ্রী, দুধ আর ডায়াপার ছাড়া কাটিয়েছে। দুর্ভিক্ষের কারণে সে ক্যানড ফুডের ওপর বড় হয়েছে। ফলে শিশুটি আপেল, কলা ও অন্য সব ধরনের ফল চিনতে পারে না। গাজায় প্রতি সাতটি পরিবারের মধ্যে একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজন নারী। তাঁদের এখন সরাসরি সহায়তা দরকার, যাতে তাঁরা সন্তানদের খাওয়াতে পারেন, স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারেন, জীবিকা পুনর্গঠন করতে পারেন এবং সবকিছু হারানোর পর কিছুটা স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে পারেন।
এনপিআরকে সাক্ষাৎকার দেন শাইমা আহমেদ নামে আরও একজন কলেজশিক্ষার্থী। একটি বড় পরিবারে জন্ম নেওয়া শাইমা এই যুদ্ধে তাঁর পরিবারের ৭০ জন সদস্যকে হারিয়েছেন! তাঁদের মধ্যে কেউ মারা গেছেন, কয়েকজন নিখোঁজ আবার এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে—যাঁদের বেঁচে থাকার আশা নেই। বোমাবর্ষণে পরিবারের মানুষের কবরগুলোও হয়ে গেছে অচেনা, খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শাইমা বলেন, ‘শোকের জায়গাও আর নেই।’ তিনি জানান, তিনি ও তাঁর পরিবার দুই বছরে ১১ বার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। শাইমা স্নাতক শেষ করতে চলেছেন। আর এই পড়ার ইচ্ছাই এত দিন বাঁচিয়ে রেখেছে তাঁকে। যেমন সব হারিয়ে মেয়েকে নিয়ে বেঁচে থাকার ইচ্ছা বাঁচিয়ে রেখেছে আইলাকে।
শাইমা বলেন, ‘আমাদের জীবন কেবল সেই নিছক বেঁচে থাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর সত্যিকারের অর্থ ও উদ্দেশ্য থাকে। এটাই আমাদের এগিয়ে নিয়ে গেছে। আমাদের কাছে এই মাটির এত অর্থ আছে এবং গাজায় আপনি যা দেখেন, তা সত্যিই ধূসর এবং সর্বত্র ধ্বংসস্তূপ ও ধুলোয় ভরা। তবু আমরা একটি ভবিষ্যৎ দেখতে পাই।’
গাজায় নিহত, আহত, ধ্বংসের সংখ্যা কেবলই ডেটা নয়। যুদ্ধবিরতি স্থিতিশীল হওয়ার পাশাপাশি গাজার নারীবিষয়ক সংস্থাগুলো এরই মধ্যে পরবর্তী কাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশটির পুনরুদ্ধার সেখানকার নারীদের ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সংস্থাগুলোতে কর্মরত নারীরা বারবার উচ্ছেদ, ভয় আর যন্ত্রণার শিকার হয়েছেন। উইমেনস অ্যাফেয়ার্স সেন্টারে কর্মরত আমাল বলেন, ‘আমরা এখানে মৃত্যুকে আর বুঝতে পারি না। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়—মৃত্যু আমাদের বস্তুতে, সংখ্যায় পরিণত করে। যেন আমরা কখনো ছিলামই না। আমাদের কাছে মানুষের দেহাবশেষ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।’
তবু বেঁচে থাকার স্বপ্ন তাঁদের ঘুমাতে দেয় না। গাজা পুনর্গঠন ও পুনর্নির্মাণের প্রতিটি প্রচেষ্টায় নারীদের উপস্থিতি চান তাঁরা। আমাল বলেন, ‘গাজা পুনর্গঠন ও পুনর্নির্মাণের আগে আমাদের নারী হিসেবে, ফিলিস্তিনি হিসেবে নিজেদের পুনর্নির্মাণ করতে হবে।’
সূত্র: এনপিআর, ইউএন উইমেন
নিজের অ্যাপার্টম্যান্টটিকে মেক্সিকো সিটির এক নারী আহত ও অসহায় হামিংবার্ড পাখিদের এক হাসপাতালে পরিণত করেছেন। সুস্থ করে এই পাখিদের শহরের কাছের জঙ্গলে ছেড়ে দেন। এক-দুই বছর নয় এভাবে প্রায় এক যুগ ধরে ছোট্ট এই পাখিদের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
২২ আগস্ট ২০২৩নিরাপদ এবং নিশ্চিত কর্মপরিবেশ পাওয়া যেকোনো কর্মজীবী মানুষের একটি মৌলিক চাহিদা। কর্মপরিবেশ ও কর্মস্থল নিরাপদ যদি না হয়, সেখানে নারী কিংবা পুরুষ—কেউ নিরাপদ নন। আর এ বিষয়টি শুধু চাকরিজীবনে নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। হেঁটে গেলে অন্য সহকর্মীরা আপনার দিকে কীভাবে তাকাচ্ছেন, কিংবা দুজন সহকর
২ দিন আগেআমেরিকার ইতিহাসে দীর্ঘকাল ধরে চলা টেলিভিশন সিরিজ মিট দ্য প্রেস। অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্যানেল আলোচনার একটি মানদণ্ড তৈরি করেছিল। এই অনুষ্ঠানের কো-ক্রিয়েটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন মার্থা জেন রাউন্ট্রি।
২ দিন আগেএভারিস্ত গালোয়া ও ফুমিলায়ো র্যানসোম-কুটি দুই বিষয়ে পৃথিবীর দুই প্রান্তের প্রতিভাধর নারী। একজন সমাধান করেছিলেন বীজগণিতের সমস্যা, অন্যজন ছিলেন নিজের দেশের নারীদের মুক্তির প্রতীক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দুজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। এ এক দারুণ রহস্য!
২ দিন আগেফিচার ডেস্ক
আমেরিকার ইতিহাসে দীর্ঘকাল ধরে চলা টেলিভিশন সিরিজ মিট দ্য প্রেস। অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্যানেল আলোচনার একটি মানদণ্ড তৈরি করেছিল। এই অনুষ্ঠানের কো-ক্রিয়েটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন মার্থা জেন রাউন্ট্রি।
একজন নারী হিসেবে মার্থা এমন এক সময়ে টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনার জগতে এসে সাফল্য লাভ করেন, যখন এই শিল্পে পুরুষেরাই প্রধান ভূমিকা পালন করতেন। মিট দ্য প্রেসের ইতিহাসে তিনি একমাত্র নারী, যিনি অনুষ্ঠানটির প্রথম মডারেটর বা উপস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৪৫ সালে মার্থা লিভ ইট টু দ্য গার্লস নামে রেডিওর প্রথম প্যানেল শো তৈরি করতেন, যেখানে নারীরাই ছিলেন মূল আলোচক। এর মাধ্যমে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়ে নারীদের মতামত প্রকাশ করার জন্য একটি জনপ্রিয় মঞ্চ তৈরি করেছিলেন। তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে ‘আ ডিজেল ইঞ্জিন আন্ডার আ লেইস রুমাল’ বলে আখ্যায়িত করেন। বাইরে থেকে মার্থা শান্ত ও মার্জিত হলেও মানসিকভাবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দৃঢ়চেতা মানুষ। ছিলেন কর্মশক্তিতে ভরপুর এবং তাঁর কাজের গতি ছিল প্রখর।
মার্থা ১৯৫১ সালে ন্যাশনাল ফ্র্যাটারনিটি ফর উইমেন ইন জার্নালিজম কর্তৃক টেলিভিশন অনুষ্ঠানের ‘অসামান্য নারী’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। মার্থা জেন রাউন্ট্রির জন্ম ১৯১১ সালের ২৩ অক্টোবর, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। ১৯৯৯ সালের ২৩ আগস্ট ওয়াশিংটন ডিসিতে তিনি মারা যান।
আমেরিকার ইতিহাসে দীর্ঘকাল ধরে চলা টেলিভিশন সিরিজ মিট দ্য প্রেস। অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্যানেল আলোচনার একটি মানদণ্ড তৈরি করেছিল। এই অনুষ্ঠানের কো-ক্রিয়েটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন মার্থা জেন রাউন্ট্রি।
একজন নারী হিসেবে মার্থা এমন এক সময়ে টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনার জগতে এসে সাফল্য লাভ করেন, যখন এই শিল্পে পুরুষেরাই প্রধান ভূমিকা পালন করতেন। মিট দ্য প্রেসের ইতিহাসে তিনি একমাত্র নারী, যিনি অনুষ্ঠানটির প্রথম মডারেটর বা উপস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৪৫ সালে মার্থা লিভ ইট টু দ্য গার্লস নামে রেডিওর প্রথম প্যানেল শো তৈরি করতেন, যেখানে নারীরাই ছিলেন মূল আলোচক। এর মাধ্যমে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়ে নারীদের মতামত প্রকাশ করার জন্য একটি জনপ্রিয় মঞ্চ তৈরি করেছিলেন। তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে ‘আ ডিজেল ইঞ্জিন আন্ডার আ লেইস রুমাল’ বলে আখ্যায়িত করেন। বাইরে থেকে মার্থা শান্ত ও মার্জিত হলেও মানসিকভাবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দৃঢ়চেতা মানুষ। ছিলেন কর্মশক্তিতে ভরপুর এবং তাঁর কাজের গতি ছিল প্রখর।
মার্থা ১৯৫১ সালে ন্যাশনাল ফ্র্যাটারনিটি ফর উইমেন ইন জার্নালিজম কর্তৃক টেলিভিশন অনুষ্ঠানের ‘অসামান্য নারী’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। মার্থা জেন রাউন্ট্রির জন্ম ১৯১১ সালের ২৩ অক্টোবর, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। ১৯৯৯ সালের ২৩ আগস্ট ওয়াশিংটন ডিসিতে তিনি মারা যান।
নিজের অ্যাপার্টম্যান্টটিকে মেক্সিকো সিটির এক নারী আহত ও অসহায় হামিংবার্ড পাখিদের এক হাসপাতালে পরিণত করেছেন। সুস্থ করে এই পাখিদের শহরের কাছের জঙ্গলে ছেড়ে দেন। এক-দুই বছর নয় এভাবে প্রায় এক যুগ ধরে ছোট্ট এই পাখিদের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
২২ আগস্ট ২০২৩নিরাপদ এবং নিশ্চিত কর্মপরিবেশ পাওয়া যেকোনো কর্মজীবী মানুষের একটি মৌলিক চাহিদা। কর্মপরিবেশ ও কর্মস্থল নিরাপদ যদি না হয়, সেখানে নারী কিংবা পুরুষ—কেউ নিরাপদ নন। আর এ বিষয়টি শুধু চাকরিজীবনে নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। হেঁটে গেলে অন্য সহকর্মীরা আপনার দিকে কীভাবে তাকাচ্ছেন, কিংবা দুজন সহকর
২ দিন আগেরেডিও চ্যানেল এনপিআরকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শ্রৌক আল আইলা। তিনি বলতে শুরু করেন, ‘আমি একধরনের হ্যাংওভারের মধ্যে আছি। আজ সকালে খুব অদ্ভুত লাগছিল। কারণ, আমি বিমান হামলা ও বিস্ফোরণ ছাড়া গভীরভাবে ঘুমানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। এটা সত্যিই অদ্ভুত লাগছে।’
২ দিন আগেএভারিস্ত গালোয়া ও ফুমিলায়ো র্যানসোম-কুটি দুই বিষয়ে পৃথিবীর দুই প্রান্তের প্রতিভাধর নারী। একজন সমাধান করেছিলেন বীজগণিতের সমস্যা, অন্যজন ছিলেন নিজের দেশের নারীদের মুক্তির প্রতীক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দুজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। এ এক দারুণ রহস্য!
২ দিন আগেফিচার ডেস্ক
এভারিস্ত গালোয়া ও ফুমিলায়ো র্যানসোম-কুটি দুই বিষয়ে পৃথিবীর দুই প্রান্তের প্রতিভাধর নারী। একজন সমাধান করেছিলেন বীজগণিতের সমস্যা, অন্যজন ছিলেন নিজের দেশের নারীদের মুক্তির প্রতীক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দুজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। এ এক দারুণ রহস্য!
গণিতের উজ্জ্বল নক্ষত্র গলোয়া
৩৫০ বছর ধরে গণিতবিদদের চিন্তিত করে আসছিল ‘কোন বীজগণিতীয় সমীকরণকে মূলদীয় ফাংশন দিয়ে সমাধান করা যেতে পারে এবং কেন’ এই প্রশ্ন। এর উত্তর বের করে দিয়েছিলেন এক নারী। তাঁর নাম এভারিস্ত গালোয়া। কিন্তু অসামান্য প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তিনি গণিত বিষয়ে প্যারিসের মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ইকোলে পলিটেকনিকে দুবার প্রবেশিকা পরীক্ষায় ব্যর্থ হন। ১৮৩০ সালের ফরাসি বিপ্লবের সঙ্গে ওতপ্রোতজড়িত ছিলেন গালোয়া। রাজনৈতিক সক্রিয়তার কারণে তাঁকে স্কুল থেকে বহিষ্কার এবং দুবার কারাবাসও করতে হয়।
১৮৩২ সালের ৩০ মে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহত হওয়ার আগের রাতে, ২০ বছর বয়সী গালোয়া তাঁর বন্ধু আগস্ট শেভালিয়ারকে একটি চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে তিনি তাঁর যুগান্তকারী গাণিতিক ধারণাগুলো অতি দ্রুত লিপিবদ্ধ করেন। বন্ধুর কাছে অনুরোধ জানান, তাঁর চিঠিটা যেন বিখ্যাত গণিতবিদ গাস ও ইয়াকোবির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। ১৮৩২ সালের ৩১ মে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আঘাতের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর প্রায় ১৪ বছর পর ১৮৪৬ সালে তাঁর গবেষণা প্রকাশ করেন জোসেফ লিয়োভিল। গালোয়াকে গণিতের ইতিহাসে সবচেয়ে উজ্জ্বল ও দুর্ভাগ্যজনক প্রতিভাদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। গালোয়ার জন্ম হয়েছিল ১৮১১ সালের ২৫ অক্টোবর।
লিসাবির সিংহী ফুমিলায়ো র্যানসোম-কুটি
নাইজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ফুমিলায়ো র্যানসোম-কুটি। বিশ শতকের নাইজেরিয়ার প্রভাবশালী নারী নেতৃত্বের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। আবেওকুটা গ্রামার স্কুলের প্রথম নারী শিক্ষার্থীও। তাঁর নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলো সব শ্রেণির নারীদের একত্র করেছিল। সেসব সংগঠনের কাজ ছিল নিম্ন আয়ের নারীদের অধিকারের জন্য লড়াই করা। ১৯৪৬ সালে ফুমিলায়ো ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার ও স্থানীয় শাসকদের চাপানো অন্যায় করের বিরুদ্ধে নারী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এ কারণে স্থানীয় রাজা দ্বিতীয় ওবা আদেওমোলা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। এ ঘটনার জন্য তাঁকে ‘লিয়োনেস অব লিসাবি’ নামেও ডাকা হয়। তিনি নারীদের জন্য আলাদা করের হার বিলুপ্ত করার আন্দোলনে সফল হয়েছিলেন।
নাইজেরিয়ার ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে ফুমিলায়ো মোটরসাইকেল ও গাড়ি চালানো শিখেছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯০০ সালের ২৫ অক্টোবর। সামরিক বাহিনীর হামলায় আহত হওয়ার পর তিনি মারা যান ১৯৭৮ সালের ১৩ এপ্রিল।
এভারিস্ত গালোয়া ও ফুমিলায়ো র্যানসোম-কুটি দুই বিষয়ে পৃথিবীর দুই প্রান্তের প্রতিভাধর নারী। একজন সমাধান করেছিলেন বীজগণিতের সমস্যা, অন্যজন ছিলেন নিজের দেশের নারীদের মুক্তির প্রতীক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দুজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। এ এক দারুণ রহস্য!
গণিতের উজ্জ্বল নক্ষত্র গলোয়া
৩৫০ বছর ধরে গণিতবিদদের চিন্তিত করে আসছিল ‘কোন বীজগণিতীয় সমীকরণকে মূলদীয় ফাংশন দিয়ে সমাধান করা যেতে পারে এবং কেন’ এই প্রশ্ন। এর উত্তর বের করে দিয়েছিলেন এক নারী। তাঁর নাম এভারিস্ত গালোয়া। কিন্তু অসামান্য প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তিনি গণিত বিষয়ে প্যারিসের মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ইকোলে পলিটেকনিকে দুবার প্রবেশিকা পরীক্ষায় ব্যর্থ হন। ১৮৩০ সালের ফরাসি বিপ্লবের সঙ্গে ওতপ্রোতজড়িত ছিলেন গালোয়া। রাজনৈতিক সক্রিয়তার কারণে তাঁকে স্কুল থেকে বহিষ্কার এবং দুবার কারাবাসও করতে হয়।
১৮৩২ সালের ৩০ মে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহত হওয়ার আগের রাতে, ২০ বছর বয়সী গালোয়া তাঁর বন্ধু আগস্ট শেভালিয়ারকে একটি চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে তিনি তাঁর যুগান্তকারী গাণিতিক ধারণাগুলো অতি দ্রুত লিপিবদ্ধ করেন। বন্ধুর কাছে অনুরোধ জানান, তাঁর চিঠিটা যেন বিখ্যাত গণিতবিদ গাস ও ইয়াকোবির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। ১৮৩২ সালের ৩১ মে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আঘাতের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর প্রায় ১৪ বছর পর ১৮৪৬ সালে তাঁর গবেষণা প্রকাশ করেন জোসেফ লিয়োভিল। গালোয়াকে গণিতের ইতিহাসে সবচেয়ে উজ্জ্বল ও দুর্ভাগ্যজনক প্রতিভাদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। গালোয়ার জন্ম হয়েছিল ১৮১১ সালের ২৫ অক্টোবর।
লিসাবির সিংহী ফুমিলায়ো র্যানসোম-কুটি
নাইজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ফুমিলায়ো র্যানসোম-কুটি। বিশ শতকের নাইজেরিয়ার প্রভাবশালী নারী নেতৃত্বের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। আবেওকুটা গ্রামার স্কুলের প্রথম নারী শিক্ষার্থীও। তাঁর নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলো সব শ্রেণির নারীদের একত্র করেছিল। সেসব সংগঠনের কাজ ছিল নিম্ন আয়ের নারীদের অধিকারের জন্য লড়াই করা। ১৯৪৬ সালে ফুমিলায়ো ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার ও স্থানীয় শাসকদের চাপানো অন্যায় করের বিরুদ্ধে নারী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এ কারণে স্থানীয় রাজা দ্বিতীয় ওবা আদেওমোলা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। এ ঘটনার জন্য তাঁকে ‘লিয়োনেস অব লিসাবি’ নামেও ডাকা হয়। তিনি নারীদের জন্য আলাদা করের হার বিলুপ্ত করার আন্দোলনে সফল হয়েছিলেন।
নাইজেরিয়ার ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে ফুমিলায়ো মোটরসাইকেল ও গাড়ি চালানো শিখেছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯০০ সালের ২৫ অক্টোবর। সামরিক বাহিনীর হামলায় আহত হওয়ার পর তিনি মারা যান ১৯৭৮ সালের ১৩ এপ্রিল।
নিজের অ্যাপার্টম্যান্টটিকে মেক্সিকো সিটির এক নারী আহত ও অসহায় হামিংবার্ড পাখিদের এক হাসপাতালে পরিণত করেছেন। সুস্থ করে এই পাখিদের শহরের কাছের জঙ্গলে ছেড়ে দেন। এক-দুই বছর নয় এভাবে প্রায় এক যুগ ধরে ছোট্ট এই পাখিদের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
২২ আগস্ট ২০২৩নিরাপদ এবং নিশ্চিত কর্মপরিবেশ পাওয়া যেকোনো কর্মজীবী মানুষের একটি মৌলিক চাহিদা। কর্মপরিবেশ ও কর্মস্থল নিরাপদ যদি না হয়, সেখানে নারী কিংবা পুরুষ—কেউ নিরাপদ নন। আর এ বিষয়টি শুধু চাকরিজীবনে নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। হেঁটে গেলে অন্য সহকর্মীরা আপনার দিকে কীভাবে তাকাচ্ছেন, কিংবা দুজন সহকর
২ দিন আগেরেডিও চ্যানেল এনপিআরকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শ্রৌক আল আইলা। তিনি বলতে শুরু করেন, ‘আমি একধরনের হ্যাংওভারের মধ্যে আছি। আজ সকালে খুব অদ্ভুত লাগছিল। কারণ, আমি বিমান হামলা ও বিস্ফোরণ ছাড়া গভীরভাবে ঘুমানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। এটা সত্যিই অদ্ভুত লাগছে।’
২ দিন আগেআমেরিকার ইতিহাসে দীর্ঘকাল ধরে চলা টেলিভিশন সিরিজ মিট দ্য প্রেস। অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্যানেল আলোচনার একটি মানদণ্ড তৈরি করেছিল। এই অনুষ্ঠানের কো-ক্রিয়েটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন মার্থা জেন রাউন্ট্রি।
২ দিন আগে