আন্তর্জাতিক নারী
ফিচার ডেস্ক
একজন পাইলট কীভাবে উড়োজাহাজ চালাবেন। তাঁর চোখ স্থির থাকবে প্রতি সেকেন্ডের সবকিছুর আপডেটে। নিতে হবে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত। সব মিলিয়ে পাইলটকে সব সময় তটস্থ থাকতে হয় ককপিটে।
পৃথিবীতে এমন এক পাইলট রয়েছেন, যিনি বাঁ পা দিয়ে থ্রোটল আর ডান পায়ে ইওক সামলান। শুধু তা-ই নয়, তিনি একজন সার্টিফায়েড স্কুবা ডাইভারও। বর্তমানে স্কুবা ডাইভিং বেশ জনপ্রিয়। সেই সূত্রে সার্টিফায়েড স্কুবা ডাইভারের সংখ্যা অনেক। যে পাইলট ও স্কুবা ডাইভারের কথা বলছি, তাঁর নাম জেসিকা কক্স।
ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে জেসিকার কথা বলতে হয়। কারণ, দুই হাত ছাড়া জন্মেছিলেন তিনি। কিন্তু এই হাত তাঁর জীবনের কোনো কিছুই অস্বাভাবিক করতে পারেনি কিংবা থামিয়ে দেয়নি। হাত ছাড়া শুধু দুই পা দিয়ে চালিয়েছেন উড়োজাহাজ, ডুব দিয়েছেন সমুদ্রের অতলে এবং মার্শাল আর্টসে নিয়েছেন ব্ল্যাক বেল্ট।
জেসিকা কক্স কখনো তাঁর শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে স্বপ্ন জয়ে বাধা হতে দেননি। হাত না থাকা তাঁর কাছে কতটা স্বাভাবিক, তা নিজের কাজ দিয়ে বুঝিয়েছেন। ১৪ বছর বয়সের পর জেসিকা আর কৃত্রিম হাত ব্যবহার করেননি। একজন স্বাভাবিক মানুষ হাত দিয়ে যেসব কাজ করে, জেসিকা সেগুলো পা দিয়ে করেন। তিনি মনে করেন, মানুষের শারীরিক সীমাবদ্ধতার চেয়ে চিন্তাভাবনা জীবনে বড় প্রভাব ফেলে।
জেসিকা ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার মনোবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল আগে থেকে। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রোটারি ক্লাবের এক আলোচনা সভায় রবিন স্টোড্ডার্ড জেসিকাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি প্লেন চালাতে চান?’ পাশে থাকা জেসিকার বাবা ‘হ্যাঁ’ সূচক উত্তর দেন। অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা জেসিকার পাইলট হওয়ার যাত্রা শুরু এখান থেকেই।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসধারী জেসিকা কক্স বিশ্বের প্রথম লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাহুবিহীন পাইলট।
তিন বছরের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সে তিনি হয়ে ওঠেন দক্ষ যুদ্ধবিমানের চালক। জেসিকা বলেন, ‘আমি কখনো বলি না, আমি এটা করতে পারব না। শুধু বলি, আমি এখনো এ বিষয়ে কাজ করছি।’
২০১২ সালে প্যাট্রিককে বিয়ে করেন জেসিকা। তাঁর বিয়ের বিশেষ অতিথি ছিলেন এমন তিন ব্যক্তি, যাঁদের হাত নেই। জেসিকা সেই বিশেষ অতিথিদের ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘হাত না থাকলে জীবন অর্থহীন হবে, এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। হাত না থাকলেও মনের মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়, ভালোবাসা লাভ করা যায়। হাতবিহীন ব্যক্তিদেরও স্বাভাবিক জীবনযাপনের পূর্ণ অধিকার রয়েছে। এটা দেখানোর জন্য আমি ওদের তিনজনকে দাওয়াত দিয়েছি।’
জেসিকা কক্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অঙ্গহীন শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পক্ষে কথা বলেছেন। তাঁর অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রথম প্রকল্প ছিল ‘লাইফ উইদ ফিট’ নামক ইউটিউব চ্যানেল। এটি প্রথম দুই বছরে এক মিলিয়ন অনুসরণকারী অর্জন করেছিল।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী কাজ করার জন্য জেসিকা তৈরি করেছিলেন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রাইটফুটেড ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল। এটি পরে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায়। তাঁর জীবনী নিয়ে লেখা বইয়ের নাম ‘ডিসআর্ম
ইওর লিমিটস’। তাঁকে নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারি ১৪টি বিখ্যাত পুরস্কার পেয়েছে। জেসিকার গল্প তাঁর শ্রোতাদের কাছে প্রতিবন্ধকতাকে প্রেরণায় রূপান্তর করে।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, প্রোমোটিভ
একজন পাইলট কীভাবে উড়োজাহাজ চালাবেন। তাঁর চোখ স্থির থাকবে প্রতি সেকেন্ডের সবকিছুর আপডেটে। নিতে হবে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত। সব মিলিয়ে পাইলটকে সব সময় তটস্থ থাকতে হয় ককপিটে।
পৃথিবীতে এমন এক পাইলট রয়েছেন, যিনি বাঁ পা দিয়ে থ্রোটল আর ডান পায়ে ইওক সামলান। শুধু তা-ই নয়, তিনি একজন সার্টিফায়েড স্কুবা ডাইভারও। বর্তমানে স্কুবা ডাইভিং বেশ জনপ্রিয়। সেই সূত্রে সার্টিফায়েড স্কুবা ডাইভারের সংখ্যা অনেক। যে পাইলট ও স্কুবা ডাইভারের কথা বলছি, তাঁর নাম জেসিকা কক্স।
ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে জেসিকার কথা বলতে হয়। কারণ, দুই হাত ছাড়া জন্মেছিলেন তিনি। কিন্তু এই হাত তাঁর জীবনের কোনো কিছুই অস্বাভাবিক করতে পারেনি কিংবা থামিয়ে দেয়নি। হাত ছাড়া শুধু দুই পা দিয়ে চালিয়েছেন উড়োজাহাজ, ডুব দিয়েছেন সমুদ্রের অতলে এবং মার্শাল আর্টসে নিয়েছেন ব্ল্যাক বেল্ট।
জেসিকা কক্স কখনো তাঁর শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে স্বপ্ন জয়ে বাধা হতে দেননি। হাত না থাকা তাঁর কাছে কতটা স্বাভাবিক, তা নিজের কাজ দিয়ে বুঝিয়েছেন। ১৪ বছর বয়সের পর জেসিকা আর কৃত্রিম হাত ব্যবহার করেননি। একজন স্বাভাবিক মানুষ হাত দিয়ে যেসব কাজ করে, জেসিকা সেগুলো পা দিয়ে করেন। তিনি মনে করেন, মানুষের শারীরিক সীমাবদ্ধতার চেয়ে চিন্তাভাবনা জীবনে বড় প্রভাব ফেলে।
জেসিকা ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার মনোবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল আগে থেকে। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রোটারি ক্লাবের এক আলোচনা সভায় রবিন স্টোড্ডার্ড জেসিকাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি প্লেন চালাতে চান?’ পাশে থাকা জেসিকার বাবা ‘হ্যাঁ’ সূচক উত্তর দেন। অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা জেসিকার পাইলট হওয়ার যাত্রা শুরু এখান থেকেই।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসধারী জেসিকা কক্স বিশ্বের প্রথম লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাহুবিহীন পাইলট।
তিন বছরের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সে তিনি হয়ে ওঠেন দক্ষ যুদ্ধবিমানের চালক। জেসিকা বলেন, ‘আমি কখনো বলি না, আমি এটা করতে পারব না। শুধু বলি, আমি এখনো এ বিষয়ে কাজ করছি।’
২০১২ সালে প্যাট্রিককে বিয়ে করেন জেসিকা। তাঁর বিয়ের বিশেষ অতিথি ছিলেন এমন তিন ব্যক্তি, যাঁদের হাত নেই। জেসিকা সেই বিশেষ অতিথিদের ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘হাত না থাকলে জীবন অর্থহীন হবে, এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। হাত না থাকলেও মনের মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়, ভালোবাসা লাভ করা যায়। হাতবিহীন ব্যক্তিদেরও স্বাভাবিক জীবনযাপনের পূর্ণ অধিকার রয়েছে। এটা দেখানোর জন্য আমি ওদের তিনজনকে দাওয়াত দিয়েছি।’
জেসিকা কক্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অঙ্গহীন শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পক্ষে কথা বলেছেন। তাঁর অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রথম প্রকল্প ছিল ‘লাইফ উইদ ফিট’ নামক ইউটিউব চ্যানেল। এটি প্রথম দুই বছরে এক মিলিয়ন অনুসরণকারী অর্জন করেছিল।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী কাজ করার জন্য জেসিকা তৈরি করেছিলেন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রাইটফুটেড ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল। এটি পরে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায়। তাঁর জীবনী নিয়ে লেখা বইয়ের নাম ‘ডিসআর্ম
ইওর লিমিটস’। তাঁকে নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারি ১৪টি বিখ্যাত পুরস্কার পেয়েছে। জেসিকার গল্প তাঁর শ্রোতাদের কাছে প্রতিবন্ধকতাকে প্রেরণায় রূপান্তর করে।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, প্রোমোটিভ
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল কমিটি তাঁকে নোবেল দেওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, ‘ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা এবং একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের
১ দিন আগেজেসমিন পাথেইয়া শুধু একজন শিল্পী কিংবা উদ্যোক্তা নন; তিনি ভারতের রাস্তায় নারীদের প্রতি হয়রানি এবং লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার এক সাহসী কণ্ঠস্বর। কলেজজীবনে নিজে রাস্তায় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।
১ দিন আগেআমি বাবার বাসায় থাকা অবস্থায় স্বামী আরেকটি বিয়ে করে। সে জানায়, আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। কিন্তু আমি আজ এক বছরেও কোনো নোটিশ পাইনি। তার বিয়ের পরপরই এক পারিবারিক আইনজীবীর সাহায্যে তার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করি। আইন ও মামলা বিষয়ে আমার ধারণা না থাকায় আইনজীবী যা বলেছেন, তা-ই করেছি।
১ দিন আগেঅ্যাবিগেল স্কট ডুনিওয়ে ছিলেন একজন প্রখ্যাত আমেরিকান নারী অধিকারকর্মী, সম্পাদক ও লেখক। তিনি ওরেগনের মাল্টনোমাহ কাউন্টিতে প্রথম নারী ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ২০টির বেশি উপন্যাস লিখেছিলেন।
১ দিন আগে