বাজিতে বা নানা চূড়ান্ত উত্তেজনার মুহূর্তে অনেককে বলতে শোনা যায়, ‘এই যদি না হয়, তবে নাম বদলে ফেলব।’ শেষ পর্যন্ত এই প্রত্যয়ী লোকেরা নিজেদের নাম বদলায় কি-না, বা বদলালেও কতজন বদলায়, তা বলা বেশ মুশকিল। অনেকে আবার প্রতিপক্ষের নাম বদলে দেওয়ার হুমকিও দেন। এটিও কতটা কার্যকর হয়, তারও কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে মাঝেমধ্যেই যে দেশের নাম বদলে যায়, তা তো সবাই জানে। না জানার কারণও নেই। বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই এটি করা হয়। সর্বশেষ নাম বদলের দৃষ্টান্ত স্থাপন করল তুরস্ক।
না, কোনো হুমকি-ধমকি বা প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য নয়। দেশের নাম বদলের ক্ষেত্রে কাজ করে অনেক ধরনের বিষয়। এক সময় নতুন নতুন দেশের মানচিত্র ও নাম এসেছে কাতার বেঁধে। মূলত ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীন হওয়া দেশগুলো বিশ্ব মানচিত্রে নতুন নতুন নামে হাজির হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একটা লম্বা সময় ধরেই নতুন নতুন দেশের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে বিশ্ববাসী। সময়ের সঙ্গে এ ধারা স্তিমিত হয়েছে। একটা বৈশ্বিক শৃঙ্খলার মধ্যে চলে আসায়, নতুন দেশের আবির্ভাব যেমন চোখে পড়ছে না, তেমনি আসছে না নতুন নামও।
তবে এতকালের পরিচিত দেশের নতুন নাম নেওয়ার ঘটনা কিন্তু ঘটছে। এই যেমন, সম্প্রতি দেশের নাম বদলে ফেলেছে তুরস্ক। নাম বদলের অনুরোধে জাতিসংঘের অনুমোদন পাওয়ায় দেশটি এখন ‘তুর্কিয়ে’ নামে বিশ্বে পরিচিত হবে। আর আফগানিস্তান তালেবান শাসনের অধীনে যাওয়ার পর নতুন নামের ঘোষণা এসেছে। যদিও তালেবান সরকারের মতোই সে নামও স্বীকৃতি পায়নি এখনো। তাই সর্বশেষ ধরতে হয় তুরস্ককেই। তুরস্ক ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশ তাদের নাম পরিবর্তন করেছে। কিন্তু এর পেছনে রয়েছে বিচিত্র সব কারণ। চলুন কয়েকটি দেশের নাম বদলানোর ইতিহাস জানা যাক।
তুরস্ক
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গত বছরই দেশের নতুন নামকরণ নিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন। ইংরেজি ‘টার্কি’ নামটি বদলাতে আঙ্কারার আনুষ্ঠানিক আবেদনের পর কিছুদিন আগে জাতিসংঘ নতুন নাম ‘তুর্কিয়ে’-এর অনুমোদন দেয়। তুরস্কের বেশির ভাগ মানুষ ইতিমধ্যে তাদের দেশের নাম ‘তুর্কিয়ে’ বলেই জানে। দেশটির নাম কেন বদলানো হলো, এ নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন। জানা যায়, ‘টার্কি’ শব্দটি বড়দিন, ইংরেজি নতুন বর্ষ এবং থ্যাঙ্কসগিভিং-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি পাখির নাম। এ ছাড়া ক্যামব্রিজ অভিধানে ‘টার্কি’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘চরমভাবে ব্যর্থ’ অথবা ‘বোকা ব্যক্তি’। এ কারণেই ‘টার্কি’ নামটি বদলে ‘তুর্কিয়ে’ করার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার।
জিম্বাবুয়ে
একটা সময় নাম বদলানোর সাধারণ কারণ ছিল উপনিবেশবাদের শেকল ছেঁটে ফেলা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে, বেশ কয়েকটি দেশ স্বাধীন হয় এবং ইউরোপের চাপানো নামগুলো পরিবর্তন হতে থাকে। তেমনই ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সিসিল রোডসের নাম অনুসারে রাখা রোডেশিয়ার নাম পরিবর্তন করা হয়। সংখ্যাগুরু কৃষ্ণাঙ্গ জনগণ জিম্বাবুয়ে নামে দেশটিকে স্বাধীন করে।
কঙ্গো
প্রেসিডেন্ট জোসেফ-দেসিরি মোবুতু নিজের নাম পরিবর্তন করে রেখেছিলেন মোবুতু সিসি সেকো। পরে মোবুতু ১৯৭১ সালে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর নাম পরিবর্তন করে জাইর রাখেন। অথচ কঙ্গো নদীর পর্তুগিজ নাম জাইর। ১৯৯৭ সালে তাঁর শাসনের অবসান হলে আবারও দেশটি পরিচিত হয়ে ওঠে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো হিসেবে।
চেক প্রজাতন্ত্র
২০১৬ সালে চেক প্রজাতন্ত্রকে সংক্ষিপ্ত নাম চেকিয়া ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার। তাঁরা বলেন, ফ্রেঞ্চ রিপাবলিককে যে যুক্তিতে ফ্রান্স নামে ডাকা হচ্ছে, সে যুক্তি চেকিয়ার ক্ষেত্রেও খাটে। নামটি ছোট, শুনতে ভালো। তবে এখনো নামটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি।
মেসেডোনিয়া
আগে যুগোস্লাভিয়ার অংশ ছিল মেসেডোনিয়া। ১৯৯১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে রিপাবলিক অব মেসেডোনিয়া নাম নিয়ে আপত্তি ছিল গ্রিসের। কারণ, গ্রিসের একটি অংশের নামও মেসেডোনিয়া। একই নামের কারণে সীমানা নিয়ে বিরোধ তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে রিপাবলিক অব নর্থ মেসেডোনিয়া নামটি চূড়ান্ত হয়।
বাজিতে বা নানা চূড়ান্ত উত্তেজনার মুহূর্তে অনেককে বলতে শোনা যায়, ‘এই যদি না হয়, তবে নাম বদলে ফেলব।’ শেষ পর্যন্ত এই প্রত্যয়ী লোকেরা নিজেদের নাম বদলায় কি-না, বা বদলালেও কতজন বদলায়, তা বলা বেশ মুশকিল। অনেকে আবার প্রতিপক্ষের নাম বদলে দেওয়ার হুমকিও দেন। এটিও কতটা কার্যকর হয়, তারও কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে মাঝেমধ্যেই যে দেশের নাম বদলে যায়, তা তো সবাই জানে। না জানার কারণও নেই। বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই এটি করা হয়। সর্বশেষ নাম বদলের দৃষ্টান্ত স্থাপন করল তুরস্ক।
না, কোনো হুমকি-ধমকি বা প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য নয়। দেশের নাম বদলের ক্ষেত্রে কাজ করে অনেক ধরনের বিষয়। এক সময় নতুন নতুন দেশের মানচিত্র ও নাম এসেছে কাতার বেঁধে। মূলত ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীন হওয়া দেশগুলো বিশ্ব মানচিত্রে নতুন নতুন নামে হাজির হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একটা লম্বা সময় ধরেই নতুন নতুন দেশের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে বিশ্ববাসী। সময়ের সঙ্গে এ ধারা স্তিমিত হয়েছে। একটা বৈশ্বিক শৃঙ্খলার মধ্যে চলে আসায়, নতুন দেশের আবির্ভাব যেমন চোখে পড়ছে না, তেমনি আসছে না নতুন নামও।
তবে এতকালের পরিচিত দেশের নতুন নাম নেওয়ার ঘটনা কিন্তু ঘটছে। এই যেমন, সম্প্রতি দেশের নাম বদলে ফেলেছে তুরস্ক। নাম বদলের অনুরোধে জাতিসংঘের অনুমোদন পাওয়ায় দেশটি এখন ‘তুর্কিয়ে’ নামে বিশ্বে পরিচিত হবে। আর আফগানিস্তান তালেবান শাসনের অধীনে যাওয়ার পর নতুন নামের ঘোষণা এসেছে। যদিও তালেবান সরকারের মতোই সে নামও স্বীকৃতি পায়নি এখনো। তাই সর্বশেষ ধরতে হয় তুরস্ককেই। তুরস্ক ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশ তাদের নাম পরিবর্তন করেছে। কিন্তু এর পেছনে রয়েছে বিচিত্র সব কারণ। চলুন কয়েকটি দেশের নাম বদলানোর ইতিহাস জানা যাক।
তুরস্ক
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গত বছরই দেশের নতুন নামকরণ নিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন। ইংরেজি ‘টার্কি’ নামটি বদলাতে আঙ্কারার আনুষ্ঠানিক আবেদনের পর কিছুদিন আগে জাতিসংঘ নতুন নাম ‘তুর্কিয়ে’-এর অনুমোদন দেয়। তুরস্কের বেশির ভাগ মানুষ ইতিমধ্যে তাদের দেশের নাম ‘তুর্কিয়ে’ বলেই জানে। দেশটির নাম কেন বদলানো হলো, এ নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন। জানা যায়, ‘টার্কি’ শব্দটি বড়দিন, ইংরেজি নতুন বর্ষ এবং থ্যাঙ্কসগিভিং-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি পাখির নাম। এ ছাড়া ক্যামব্রিজ অভিধানে ‘টার্কি’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘চরমভাবে ব্যর্থ’ অথবা ‘বোকা ব্যক্তি’। এ কারণেই ‘টার্কি’ নামটি বদলে ‘তুর্কিয়ে’ করার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার।
জিম্বাবুয়ে
একটা সময় নাম বদলানোর সাধারণ কারণ ছিল উপনিবেশবাদের শেকল ছেঁটে ফেলা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে, বেশ কয়েকটি দেশ স্বাধীন হয় এবং ইউরোপের চাপানো নামগুলো পরিবর্তন হতে থাকে। তেমনই ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সিসিল রোডসের নাম অনুসারে রাখা রোডেশিয়ার নাম পরিবর্তন করা হয়। সংখ্যাগুরু কৃষ্ণাঙ্গ জনগণ জিম্বাবুয়ে নামে দেশটিকে স্বাধীন করে।
কঙ্গো
প্রেসিডেন্ট জোসেফ-দেসিরি মোবুতু নিজের নাম পরিবর্তন করে রেখেছিলেন মোবুতু সিসি সেকো। পরে মোবুতু ১৯৭১ সালে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর নাম পরিবর্তন করে জাইর রাখেন। অথচ কঙ্গো নদীর পর্তুগিজ নাম জাইর। ১৯৯৭ সালে তাঁর শাসনের অবসান হলে আবারও দেশটি পরিচিত হয়ে ওঠে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো হিসেবে।
চেক প্রজাতন্ত্র
২০১৬ সালে চেক প্রজাতন্ত্রকে সংক্ষিপ্ত নাম চেকিয়া ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার। তাঁরা বলেন, ফ্রেঞ্চ রিপাবলিককে যে যুক্তিতে ফ্রান্স নামে ডাকা হচ্ছে, সে যুক্তি চেকিয়ার ক্ষেত্রেও খাটে। নামটি ছোট, শুনতে ভালো। তবে এখনো নামটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি।
মেসেডোনিয়া
আগে যুগোস্লাভিয়ার অংশ ছিল মেসেডোনিয়া। ১৯৯১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে রিপাবলিক অব মেসেডোনিয়া নাম নিয়ে আপত্তি ছিল গ্রিসের। কারণ, গ্রিসের একটি অংশের নামও মেসেডোনিয়া। একই নামের কারণে সীমানা নিয়ে বিরোধ তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে রিপাবলিক অব নর্থ মেসেডোনিয়া নামটি চূড়ান্ত হয়।
‘নির্ভীক’ শব্দটা অনেকেই গর্বের সঙ্গে ব্যবহার করেন। কিন্তু মানুষ সত্যিকার অর্থে পুরোপুরি নির্ভীক নয়। জন্মগতভাবে মানুষের ভয় খুব সীমিত—মাত্র দুটি। গবেষণা বলছে, মানুষ জন্মগতভাবে যেসব ভয় নিয়ে আসে, তার মধ্যে রয়েছে উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় এবং বিকট শব্দে চমকে ওঠা।
২ ঘণ্টা আগেবেশির ভাগ বিড়ালপ্রেমীই আতঙ্কে থাকেন, কখন তাদের পোষা বিড়াল কোনো ইঁদুর বা পাখি শিকার করে বাসায় নিয়ে আসে। তবে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরের এক পরিবারের বিড়ালের কর্মকাণ্ড এই সাধারণ দুশ্চিন্তার চেয়েও ভয়াবহ। কারণ, তাদের ১৫ মাস বয়সী বিড়ালটি একা পুরো এলাকায় চুরির রাজত্ব কায়েম করেছে। পুরো এলাকার অপরাধ জগতে
১১ ঘণ্টা আগেভারতের মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে এক নাটকীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল। মাঝ রাস্তায় দুই ঘোড়ার লড়াইয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়। এই তাণ্ডবের মধ্যে একটি ঘোড়া একটি অটো রিকশার ওপর লাফিয়ে পড়ে। এতে দুজন গুরুতর আহত হন। এরপর ঘোড়াটি প্রায় ২০ মিনিট রিকশার ভেতরে আটকে ছিল।
৩ দিন আগেহাঙ্গেরির মধ্যযুগে একটি মঠ প্যাননহালমা আর্চঅ্যাবি। এই মঠের কয়েক শ বছরের পুরোনো বই সাম্প্রতিক সময়ে এসে গুবরে পোকার আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে। আর বইগুলোকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষায় শুরু হয়েছে এক বড় আকারের উদ্ধার অভিযান। মঠটির লাইব্রেরি থেকে সরানো হচ্ছে হাতে বাঁধানো প্রায় এক লাখ বই।
৩ দিন আগে