জাহাঙ্গীর আলম

এয়ার কন্ডিশনার বা এসি একটি প্রায় অনন্য খরুচে যন্ত্র। এসির একটি ছোট ইউনিট একটি ঘর শীতল করতে পারে, অথচ এটিই গড়ে চারটি ফ্রিজের সমান বিদ্যুৎ খরচ করে। আর যখন বাড়ি শীতল রাখতে একটি কেন্দ্রীয় ইউনিট ব্যবহার করা হয় তখন ১৫টির বেশি ফ্রিজের সমান বিদ্যুৎ একাই খরচ করে।
আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার (আইইএ) ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে তখন একটি ঘর ঠান্ডা রাখার মতো এসির ইউনিট ছিল ১০০ কোটির বেশি। সে হিসাবে পৃথিবীতে প্রতি সাতজনের বিপরীতে প্রায় একটি এসি। যদিও পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ চরম তাপপ্রবাহের মধ্যেও এসির শীতলতা কল্পনা করতে পারেন না।
এ নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে ছোট ইউনিটের এসি থাকবে ৪৫০ কোটির বেশি। তার মানে বর্তমানের মোবাইল ফোনের মতো সর্বব্যাপী ভোক্তাপণ্য হয়ে উঠবে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এই বিশ্বব্যাপী আধিপত্য কিন্তু অনিবার্য ছিল না। এই মাত্র ১৯৯০ সালেও বিশ্বে মাত্র ৪০ কোটি এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট ছিল, যার আবার বেশিরভাগই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত শিল্পে ব্যবহারের জন্য নির্মিত শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র শেষ পর্যন্ত মানুষের অপরিহার্য, আধুনিকতা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতীক হয়ে ওঠে। এরপরই এয়ার কন্ডিশনার বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
তবে মানতে হবে যে, সমুদ্রে সংযোগ খাল খনন বা অটোমোবাইলের মতো শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র এমন একটি প্রযুক্তি যা বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। স্বাধীন সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউ এই যন্ত্রকে ‘ইতিহাসের একটি বাঁকবদলকারী উদ্ভাবন’ বলে অভিহিত করেছেন। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশের দ্রুত আধুনিকায়নে এটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৯৮ সালে আমেরিকান শিক্ষাবিদ রিচার্ড নাথান নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, ‘নাগরিক অধিকার বিপ্লব’-এর সঙ্গে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গত তিন দশকে আমেরিকার জনসংখ্যা এবং রাজনীতি পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় অনুঘটক ছিল। এটি ব্যাপক আবাসিক উন্নয়নকে সম্ভব করে তুলেছে। বিশেষ করে গরম এবং খুব রক্ষণশীল দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের পরিবর্তনের জন্য এর অবদান অনস্বীকার্য।
অথচ মাত্র এক শতক আগেও খুব কম মানুষই এমন ভবিষ্যদ্বাণী করতে পেরেছিলেন। যদিও উদ্ভাবনের প্রথম ৫০ বছর শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা মূলত কারখানা এবং মুষ্টিমেয় পাবলিক স্পেসে সীমাবদ্ধ ছিল।
এসির প্রাথমিক উদ্ভাবনের কৃতিত্ব দেওয়া হয় উইলিস ক্যারিয়ারকে। তিনি একজন আমেরিকান প্রকৌশলী। একটি হিটিং এবং ভেন্টিলেশন কোম্পানি তাঁকে ১৯০২ সালে ব্রুকলিনের একটি মুদ্রণ কারখানায় আর্দ্রতা কমানোর দায়িত্ব দিয়েছিল। আমাদের ধারণা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের উদ্দেশ্য হলো তাপমাত্রা কমানো, কিন্তু তখনকার প্রকৌশলীরা শুধু তাপমাত্রা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না। তাঁরা শিল্প উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে স্থিতিশীল সম্ভাব্য পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। যেমন, একটি মুদ্রণ কারখানায় বেশি আর্দ্রতা থাকলে কাগজের শিট কুঁচকে যেতে পারে, এতে কালি ঝাপসা বা লেপটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ক্যারিয়ার বুঝতে পেরেছিলেন যে কারখানার বাতাস থেকে তাপ অপসারণ করলে আর্দ্রতা হ্রাস পাবে। তাই তিনি একটি জ্যাক-আপ ফ্রিজ তৈরি করার জন্য নতুন রেফ্রিজারেশন শিল্প থেকে প্রযুক্তি ধার করেন। এরপরে এখনকার মতো, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটগুলো যেমন গরম বাতাস টেনে নেয় এবং একটি শীতল পৃষ্ঠের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেয়, ফলে ঠান্ডা এবং শুষ্ক বাতাসে ঘর ভরে যায়—এমন একটি কৌশল উদ্ভাবন করেন ক্যারিয়ার।
উদ্ভাবনটি বহু শিল্পের বেশ উপকারে আসে। টেক্সটাইল, গোলাবারুদ এবং ওষুধ কারখানাগুলো এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের প্রথম দিকের গ্রাহক হয়। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসর নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে এসি লাগানো হয় ১৯২৮ সালে। পরের বছর এসি পায় হোয়াইট হাউস এবং এরপর সিনেট।
১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে, যখন এসি মানুষের বাসাবাড়িতে প্রবেশ করতে শুরু করে, তখন এয়ার কন্ডিশনার সত্যি সত্যিই আমেরিকা জয় করে ফেলেছে। তবে ইতিহাসবিদ গেইল কুপারের মতে, জনসাধারণকে এটা বোঝানোর জন্য এসি শিল্পকে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে যে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ কোনো বিলাসিতা নয় বরং প্রয়োজন।
শুরুর দিনগুলোর কিছু বিবরণও তুলে ধরেছেন কুপার। তিনি উল্লেখ করেছেন, তখনকার ম্যাগাজিনগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বাজারে ফ্লপ করেছে বর্ণনা করেছে। ফরচুন ম্যাগাজিন তো এটিকে ‘১৯৩০-এর দশকের একটি প্রধান জনহতাশা' বলে অভিহিত করেছে।
১৯৩৮ সাল নাগাদ আমেরিকার প্রতি ৪০০টি বাড়ির মধ্যে মাত্র একটিতে এসি ছিল। আর আজ এটি ১০-এর মধ্যে নয়টির কাছাকাছি চলে এসেছে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এই উত্থান কিন্তু ভোক্তা চাহিদার আকস্মিক বিস্ফোরণের ফলে ঘটেনি। বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর আবাসন শিল্পের উল্লম্ফন এসি শিল্পের জন্য আশীর্বাদ হয়। ১৯৪৬ এবং ১৯৬৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ কোটি ১০ লাখ নতুন বাড়ি নির্মাণ করা হয়। সেই ঘরগুলোতে এসি রাখা একটা আভিজাত্যের ব্যাপার হয়ে উঠেছিল। স্থপতি এবং নির্মাণ সংস্থাগুলোকে তখন জলবায়ু নিয়ে অতো ভাবতে হয়নি। তারা ডেলাওয়্যারের মতো নিউ মেক্সিকোতেও একই শৈলীর বাড়ি বিক্রি করতে পারছিল।
তখনকার প্রচলিত মানসিকতা ছিল, গরম আবহাওয়া, সস্তা নির্মাণ সামগ্রী, বাজে নকশা বা দুর্বল নগর পরিকল্পনার কারণে সৃষ্ট যে কোনও সমস্যাই উতরে যাওয়া যাবে এক এসি দিয়ে! আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস ১৯৭৩ সালে লিখেছিল, বেশি এসি ব্যবহার করেই সব দুর্বলতা ঢাকা যাবে এমন একটা মানসিকতা দেখা যাচ্ছে। ইতিহাসবিদ কুপার যেমন লিখেছেন, ‘স্থপতি, নির্মাণকারী এবং ব্যাংকাররা প্রথমে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন। সাধারণ ভোক্তাদের ব্যাপারটা তখন এমন ছিল যে, তারা মুখ ফুটে চাইলেই হাতের নাগালে চলে আসবে!’
এসির এই উত্থানের সঙ্গে সমানভাবে প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে আরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের গ্রিডে নতুন নতুন বাসাবাড়ি যুক্ত করে আয় বাড়াচ্ছিল। তবে বিশ শতকের গোড়ার দিকে তারা এই নতুন গ্রাহকদের আরও বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করার উপায় খুঁজছিল। এই প্রক্রিয়াটি তখন ‘লোড বিল্ডিং’ নামে পরিচিত ছিল। কারণ বিদ্যুতের খরচ তখন কম ছিল। তাই আয় বাড়াতে বেশি ব্যবহার উৎসাহিত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল কোম্পানিগুলো।
ভার্জিনিয়া টেকের প্রযুক্তির ইতিহাসবিদ রিচার্ড হারশ বলেন, গ্রাহকেরা বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্প্রসারণ এবং নির্মাণ চালিয়ে যাওয়া যাবে—এই ছিল কোম্পানিগুলোর লক্ষ্য।
কোম্পানিগুলো দেখল, গ্রিডে উল্লেখযোগ্য লোড বাড়ায় এসি। ১৯৩৫ সালের প্রথম দিকে, কমনওয়েলথ এডিসন, আধুনিক কন এডিসনের পূর্বসূরী, বছর শেষের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, এয়ার কন্ডিশনারের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বছরে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতের জন্য যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে এতে।
একই বছর শিল্প বাণিজ্য পত্রিকা ইলেকট্রিক লাইট অ্যান্ড পাওয়ারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বড় শহরগুলোর সরবরাহ কোম্পানিগুলো এখন শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহারের জন্য চাপ দিচ্ছে। তারা নিজেদের লাভের জন্যই এটা করছে। সমস্ত বিদ্যুৎ কোম্পানিকে এক্ষেত্রে খুব সক্রিয় হওয়া উচিত।
১৯৫০-এর দশকে, সেই কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ এসে যায়। বৈদ্যুতিক ইউটিলিটিগুলো এয়ার কন্ডিশনারের পক্ষে প্রচার-প্রচারণার জন্য প্রিন্ট, রেডিও এবং সিনেমায় বিজ্ঞাপন দিতে থাকে। সেই সঙ্গে এসি উৎপাদনকারী এবং বিক্রয় ও বিক্রয় পরবর্তী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি অর্থায়ন এবং ছাড়ের অফার দিতে শুরু করে। ১৯৫৭ সালে কমনওয়েলথ এডিসন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, প্রথমবারের মতো, সর্বোচ্চ বিদ্যুতের ব্যবহার হয়েছে গ্রীষ্মকালে। মানুষ যখন এসি চালু রেখেছে তখনই সবচেয়ে বেশি লোড পড়েছে। অথচ আগে শীতকালে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করতো মানুষ, কারণ তারা রুম হিটার ব্যবহার করতো। ১৯৭০ সালের মধ্যে, ৩৫ শতাংশ আমেরিকান বাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ঢুকে পড়ে। যা তিন দশক আগের সংখ্যার ২০০ গুণেরও বেশি!
একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের চাহিদার ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটে। কাচঘেরা আকাশচুম্বি ভবন বা অল-গ্লাস স্কাইস্ক্র্যাপার, এমন একটি বিল্ডিং শৈলী যেটির দুর্বল প্রতিফলন বৈশিষ্ট্য এবং বায়ুচলাচলের যথেষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে এসি অপরিহার্য হয়ে ওঠে। সেন্ট্রাল এসি ও ছোট ইউনিটের জন্য ভবনের চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি বিদ্যুৎ এসির জন্য সংরক্ষিত রাখতে হয়। এই ধরনের ভবনই যুক্তরাষ্ট্রে চল হয়ে ওঠে।
১৯৫০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে বাণিজ্যিক ভবনে প্রতি বর্গফুট হিসাবে বিদ্যুতের ব্যবহার দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ে। নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নির্মাণ সম্পন্ন হয় ১৯৭৪ সালে। তখনকার সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম এসি ইউনিট ছিল সেখানে। ঋতুভেদে শীতল ও গরম করার জন্য নয়টি বিশাল ইঞ্জিন এবং ২৭০ কিলোমিটারেরও বেশি পাইপিং ব্যবস্থা ছিল। সেই সময়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, এই এসি ব্যবস্থা প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার জনসংখ্যার শহর শেনেক্টাডির সমান বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।
যুদ্ধোত্তর যুক্তরাষ্ট্রে পুঁজিবাদের ঢেউয়ে নিরাপদে চড়ে বসে এসি শিল্প, নির্মাণ কোম্পানি এবং বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো। এই কোম্পানিগুলোর প্রচার প্রচারণার কারণেই এসি আমেরিকান জীবনের একটি অপরিহার্য উপাদান হয়ে ওঠে। ‘আমাদের বাচ্চারা এসি সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছে’, ১৯৬৮ সালে একটি এসি কোম্পানির নির্বাহী টাইম ম্যাগাজিনকে এমন কথাই বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এসি নেই এমন বাড়িতে বসবাস করার কথা নিশ্চয়ই ভাববেন না।’ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ নিজের অজান্তেই এসি ভালোবাসতে শুরু করে। দ্রুত এসির ব্যবহার বাড়তে থাকে। ২০০৯ সালের মধ্যে ৮৭ শতাংশ মার্কিন পরিবারে পৌঁছে যায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র।
যুদ্ধোত্তর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে নতুন নতুন আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ হতে থাকে। তখন নীতি নির্ধারকদের বিশ্বাস ছিল, এসব অবকাঠামো প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ করবে কিন্তু এতে ভবিষ্যতে গুরুতর কোনো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। ১৯৯২ সালে এনার্জি অ্যান্ড বিল্ডিংস সাময়িকীতে ব্রিটিশ রক্ষণশীল একাডেমিক গুইন প্রিন্সের একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি যুক্তি দেন, এসির প্রতি এই আমেরিকান আসক্তি তাদের গভীর অবক্ষয়েরই প্রতীক! প্রিন্স আমেরিকার এই প্রবণতার বিষয়ে বলেন, ‘তারা ভাবছে, আমরা ঠান্ডার মধ্যে থাকব, আমাদের প্লেট উপচে পড়বে এবং গ্যাস হবে প্রতি গ্যালন ১ ডলার, আমেন!’
যে সময়ে এয়ার কন্ডিশনার আমেরিকার শহরগুলোকে নতুন আকার দিচ্ছিল, ওই সময় কিন্তু বাইরের বিশ্বে এর প্রভাব তেমন পড়েনি। অবশ্য জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুর শুরুর দিকের গ্রাহক ছিল। যাইহোক, এয়ার কন্ডিশনার শেষ পর্যন্ত বিশ্বের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এসির অগ্রযাত্রা যুদ্ধোত্তর নির্মাণ খাতের উল্লম্ফন এবং মানুষের ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে এই তাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সাম্প্রতিক সম্প্রসারণ বিশ্বায়নের গতিপথ অনুসরণ করছে। বিশ্বের অন্য দেশগুলো নির্মাণ এবং জীবনযাপন পদ্ধতিতে আরও বেশি আমেরিকান হয়ে উঠতে চেয়েছে। তারাও ব্যাপকভাবে এসির ব্যবহার শুরু করেছে।
১৯৯০-এর দশকে, এশিয়ার অনেক দেশ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত হয়, যা অভূতপূর্ব নগর নির্মাণের সূচনা করে। গত তিন দশকে, ভারতের প্রায় ২০ কোটি মানুষ গ্রাম থেকে শহরে চলে গেছে; চীনে এই সংখ্যা ৫০ কোটিরও বেশি। নয়াদিল্লি থেকে সাংহাই পর্যন্ত ভারী এসি যুক্ত অফিস ভবন, হোটেল এবং শপিং মল গড়ে ওঠে রাস্তার মোড়ে মোড়ে। এই ভবনগুলোকে নিউইয়র্ক বা লন্ডনের থেকে আলাদা করা যায় না। তাছাড়া প্রায়শই একই নির্মাতা এবং স্থপতিরাই থাকেন এসব ভবন নির্মাণের পেছনে।
অশোক লাল নামে একজন ভারতীয় স্থপতি দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা বলেন, উঁচু উঁচু ভবনগুলোর জন্য বাইরের বিশ্ব থেকে যখন টাকা আসতো তখন প্রায়শই একজন আমেরিকান বা ইউরোপীয় ডিজাইনার বা পরামর্শক সংস্থাও সঙ্গে চলে আসতো। ফলে ভবনের সঙ্গে প্যাকেজ হিসেবে আসে এসি! এখানকার লোকেরা ভেবেছিল এর মানেই অগ্রগতি!

এয়ার কন্ডিশনার বা এসি একটি প্রায় অনন্য খরুচে যন্ত্র। এসির একটি ছোট ইউনিট একটি ঘর শীতল করতে পারে, অথচ এটিই গড়ে চারটি ফ্রিজের সমান বিদ্যুৎ খরচ করে। আর যখন বাড়ি শীতল রাখতে একটি কেন্দ্রীয় ইউনিট ব্যবহার করা হয় তখন ১৫টির বেশি ফ্রিজের সমান বিদ্যুৎ একাই খরচ করে।
আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার (আইইএ) ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে তখন একটি ঘর ঠান্ডা রাখার মতো এসির ইউনিট ছিল ১০০ কোটির বেশি। সে হিসাবে পৃথিবীতে প্রতি সাতজনের বিপরীতে প্রায় একটি এসি। যদিও পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ চরম তাপপ্রবাহের মধ্যেও এসির শীতলতা কল্পনা করতে পারেন না।
এ নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে ছোট ইউনিটের এসি থাকবে ৪৫০ কোটির বেশি। তার মানে বর্তমানের মোবাইল ফোনের মতো সর্বব্যাপী ভোক্তাপণ্য হয়ে উঠবে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এই বিশ্বব্যাপী আধিপত্য কিন্তু অনিবার্য ছিল না। এই মাত্র ১৯৯০ সালেও বিশ্বে মাত্র ৪০ কোটি এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট ছিল, যার আবার বেশিরভাগই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত শিল্পে ব্যবহারের জন্য নির্মিত শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র শেষ পর্যন্ত মানুষের অপরিহার্য, আধুনিকতা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতীক হয়ে ওঠে। এরপরই এয়ার কন্ডিশনার বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
তবে মানতে হবে যে, সমুদ্রে সংযোগ খাল খনন বা অটোমোবাইলের মতো শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র এমন একটি প্রযুক্তি যা বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। স্বাধীন সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউ এই যন্ত্রকে ‘ইতিহাসের একটি বাঁকবদলকারী উদ্ভাবন’ বলে অভিহিত করেছেন। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশের দ্রুত আধুনিকায়নে এটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৯৮ সালে আমেরিকান শিক্ষাবিদ রিচার্ড নাথান নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, ‘নাগরিক অধিকার বিপ্লব’-এর সঙ্গে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গত তিন দশকে আমেরিকার জনসংখ্যা এবং রাজনীতি পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় অনুঘটক ছিল। এটি ব্যাপক আবাসিক উন্নয়নকে সম্ভব করে তুলেছে। বিশেষ করে গরম এবং খুব রক্ষণশীল দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের পরিবর্তনের জন্য এর অবদান অনস্বীকার্য।
অথচ মাত্র এক শতক আগেও খুব কম মানুষই এমন ভবিষ্যদ্বাণী করতে পেরেছিলেন। যদিও উদ্ভাবনের প্রথম ৫০ বছর শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা মূলত কারখানা এবং মুষ্টিমেয় পাবলিক স্পেসে সীমাবদ্ধ ছিল।
এসির প্রাথমিক উদ্ভাবনের কৃতিত্ব দেওয়া হয় উইলিস ক্যারিয়ারকে। তিনি একজন আমেরিকান প্রকৌশলী। একটি হিটিং এবং ভেন্টিলেশন কোম্পানি তাঁকে ১৯০২ সালে ব্রুকলিনের একটি মুদ্রণ কারখানায় আর্দ্রতা কমানোর দায়িত্ব দিয়েছিল। আমাদের ধারণা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের উদ্দেশ্য হলো তাপমাত্রা কমানো, কিন্তু তখনকার প্রকৌশলীরা শুধু তাপমাত্রা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না। তাঁরা শিল্প উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে স্থিতিশীল সম্ভাব্য পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। যেমন, একটি মুদ্রণ কারখানায় বেশি আর্দ্রতা থাকলে কাগজের শিট কুঁচকে যেতে পারে, এতে কালি ঝাপসা বা লেপটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ক্যারিয়ার বুঝতে পেরেছিলেন যে কারখানার বাতাস থেকে তাপ অপসারণ করলে আর্দ্রতা হ্রাস পাবে। তাই তিনি একটি জ্যাক-আপ ফ্রিজ তৈরি করার জন্য নতুন রেফ্রিজারেশন শিল্প থেকে প্রযুক্তি ধার করেন। এরপরে এখনকার মতো, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটগুলো যেমন গরম বাতাস টেনে নেয় এবং একটি শীতল পৃষ্ঠের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেয়, ফলে ঠান্ডা এবং শুষ্ক বাতাসে ঘর ভরে যায়—এমন একটি কৌশল উদ্ভাবন করেন ক্যারিয়ার।
উদ্ভাবনটি বহু শিল্পের বেশ উপকারে আসে। টেক্সটাইল, গোলাবারুদ এবং ওষুধ কারখানাগুলো এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের প্রথম দিকের গ্রাহক হয়। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসর নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে এসি লাগানো হয় ১৯২৮ সালে। পরের বছর এসি পায় হোয়াইট হাউস এবং এরপর সিনেট।
১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে, যখন এসি মানুষের বাসাবাড়িতে প্রবেশ করতে শুরু করে, তখন এয়ার কন্ডিশনার সত্যি সত্যিই আমেরিকা জয় করে ফেলেছে। তবে ইতিহাসবিদ গেইল কুপারের মতে, জনসাধারণকে এটা বোঝানোর জন্য এসি শিল্পকে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে যে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ কোনো বিলাসিতা নয় বরং প্রয়োজন।
শুরুর দিনগুলোর কিছু বিবরণও তুলে ধরেছেন কুপার। তিনি উল্লেখ করেছেন, তখনকার ম্যাগাজিনগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বাজারে ফ্লপ করেছে বর্ণনা করেছে। ফরচুন ম্যাগাজিন তো এটিকে ‘১৯৩০-এর দশকের একটি প্রধান জনহতাশা' বলে অভিহিত করেছে।
১৯৩৮ সাল নাগাদ আমেরিকার প্রতি ৪০০টি বাড়ির মধ্যে মাত্র একটিতে এসি ছিল। আর আজ এটি ১০-এর মধ্যে নয়টির কাছাকাছি চলে এসেছে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এই উত্থান কিন্তু ভোক্তা চাহিদার আকস্মিক বিস্ফোরণের ফলে ঘটেনি। বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর আবাসন শিল্পের উল্লম্ফন এসি শিল্পের জন্য আশীর্বাদ হয়। ১৯৪৬ এবং ১৯৬৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ কোটি ১০ লাখ নতুন বাড়ি নির্মাণ করা হয়। সেই ঘরগুলোতে এসি রাখা একটা আভিজাত্যের ব্যাপার হয়ে উঠেছিল। স্থপতি এবং নির্মাণ সংস্থাগুলোকে তখন জলবায়ু নিয়ে অতো ভাবতে হয়নি। তারা ডেলাওয়্যারের মতো নিউ মেক্সিকোতেও একই শৈলীর বাড়ি বিক্রি করতে পারছিল।
তখনকার প্রচলিত মানসিকতা ছিল, গরম আবহাওয়া, সস্তা নির্মাণ সামগ্রী, বাজে নকশা বা দুর্বল নগর পরিকল্পনার কারণে সৃষ্ট যে কোনও সমস্যাই উতরে যাওয়া যাবে এক এসি দিয়ে! আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস ১৯৭৩ সালে লিখেছিল, বেশি এসি ব্যবহার করেই সব দুর্বলতা ঢাকা যাবে এমন একটা মানসিকতা দেখা যাচ্ছে। ইতিহাসবিদ কুপার যেমন লিখেছেন, ‘স্থপতি, নির্মাণকারী এবং ব্যাংকাররা প্রথমে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন। সাধারণ ভোক্তাদের ব্যাপারটা তখন এমন ছিল যে, তারা মুখ ফুটে চাইলেই হাতের নাগালে চলে আসবে!’
এসির এই উত্থানের সঙ্গে সমানভাবে প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে আরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের গ্রিডে নতুন নতুন বাসাবাড়ি যুক্ত করে আয় বাড়াচ্ছিল। তবে বিশ শতকের গোড়ার দিকে তারা এই নতুন গ্রাহকদের আরও বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করার উপায় খুঁজছিল। এই প্রক্রিয়াটি তখন ‘লোড বিল্ডিং’ নামে পরিচিত ছিল। কারণ বিদ্যুতের খরচ তখন কম ছিল। তাই আয় বাড়াতে বেশি ব্যবহার উৎসাহিত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল কোম্পানিগুলো।
ভার্জিনিয়া টেকের প্রযুক্তির ইতিহাসবিদ রিচার্ড হারশ বলেন, গ্রাহকেরা বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্প্রসারণ এবং নির্মাণ চালিয়ে যাওয়া যাবে—এই ছিল কোম্পানিগুলোর লক্ষ্য।
কোম্পানিগুলো দেখল, গ্রিডে উল্লেখযোগ্য লোড বাড়ায় এসি। ১৯৩৫ সালের প্রথম দিকে, কমনওয়েলথ এডিসন, আধুনিক কন এডিসনের পূর্বসূরী, বছর শেষের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, এয়ার কন্ডিশনারের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বছরে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতের জন্য যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে এতে।
একই বছর শিল্প বাণিজ্য পত্রিকা ইলেকট্রিক লাইট অ্যান্ড পাওয়ারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বড় শহরগুলোর সরবরাহ কোম্পানিগুলো এখন শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহারের জন্য চাপ দিচ্ছে। তারা নিজেদের লাভের জন্যই এটা করছে। সমস্ত বিদ্যুৎ কোম্পানিকে এক্ষেত্রে খুব সক্রিয় হওয়া উচিত।
১৯৫০-এর দশকে, সেই কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ এসে যায়। বৈদ্যুতিক ইউটিলিটিগুলো এয়ার কন্ডিশনারের পক্ষে প্রচার-প্রচারণার জন্য প্রিন্ট, রেডিও এবং সিনেমায় বিজ্ঞাপন দিতে থাকে। সেই সঙ্গে এসি উৎপাদনকারী এবং বিক্রয় ও বিক্রয় পরবর্তী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি অর্থায়ন এবং ছাড়ের অফার দিতে শুরু করে। ১৯৫৭ সালে কমনওয়েলথ এডিসন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, প্রথমবারের মতো, সর্বোচ্চ বিদ্যুতের ব্যবহার হয়েছে গ্রীষ্মকালে। মানুষ যখন এসি চালু রেখেছে তখনই সবচেয়ে বেশি লোড পড়েছে। অথচ আগে শীতকালে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করতো মানুষ, কারণ তারা রুম হিটার ব্যবহার করতো। ১৯৭০ সালের মধ্যে, ৩৫ শতাংশ আমেরিকান বাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ঢুকে পড়ে। যা তিন দশক আগের সংখ্যার ২০০ গুণেরও বেশি!
একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের চাহিদার ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটে। কাচঘেরা আকাশচুম্বি ভবন বা অল-গ্লাস স্কাইস্ক্র্যাপার, এমন একটি বিল্ডিং শৈলী যেটির দুর্বল প্রতিফলন বৈশিষ্ট্য এবং বায়ুচলাচলের যথেষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে এসি অপরিহার্য হয়ে ওঠে। সেন্ট্রাল এসি ও ছোট ইউনিটের জন্য ভবনের চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি বিদ্যুৎ এসির জন্য সংরক্ষিত রাখতে হয়। এই ধরনের ভবনই যুক্তরাষ্ট্রে চল হয়ে ওঠে।
১৯৫০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে বাণিজ্যিক ভবনে প্রতি বর্গফুট হিসাবে বিদ্যুতের ব্যবহার দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ে। নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নির্মাণ সম্পন্ন হয় ১৯৭৪ সালে। তখনকার সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম এসি ইউনিট ছিল সেখানে। ঋতুভেদে শীতল ও গরম করার জন্য নয়টি বিশাল ইঞ্জিন এবং ২৭০ কিলোমিটারেরও বেশি পাইপিং ব্যবস্থা ছিল। সেই সময়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, এই এসি ব্যবস্থা প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার জনসংখ্যার শহর শেনেক্টাডির সমান বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।
যুদ্ধোত্তর যুক্তরাষ্ট্রে পুঁজিবাদের ঢেউয়ে নিরাপদে চড়ে বসে এসি শিল্প, নির্মাণ কোম্পানি এবং বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো। এই কোম্পানিগুলোর প্রচার প্রচারণার কারণেই এসি আমেরিকান জীবনের একটি অপরিহার্য উপাদান হয়ে ওঠে। ‘আমাদের বাচ্চারা এসি সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছে’, ১৯৬৮ সালে একটি এসি কোম্পানির নির্বাহী টাইম ম্যাগাজিনকে এমন কথাই বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এসি নেই এমন বাড়িতে বসবাস করার কথা নিশ্চয়ই ভাববেন না।’ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ নিজের অজান্তেই এসি ভালোবাসতে শুরু করে। দ্রুত এসির ব্যবহার বাড়তে থাকে। ২০০৯ সালের মধ্যে ৮৭ শতাংশ মার্কিন পরিবারে পৌঁছে যায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র।
যুদ্ধোত্তর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে নতুন নতুন আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ হতে থাকে। তখন নীতি নির্ধারকদের বিশ্বাস ছিল, এসব অবকাঠামো প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ করবে কিন্তু এতে ভবিষ্যতে গুরুতর কোনো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। ১৯৯২ সালে এনার্জি অ্যান্ড বিল্ডিংস সাময়িকীতে ব্রিটিশ রক্ষণশীল একাডেমিক গুইন প্রিন্সের একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি যুক্তি দেন, এসির প্রতি এই আমেরিকান আসক্তি তাদের গভীর অবক্ষয়েরই প্রতীক! প্রিন্স আমেরিকার এই প্রবণতার বিষয়ে বলেন, ‘তারা ভাবছে, আমরা ঠান্ডার মধ্যে থাকব, আমাদের প্লেট উপচে পড়বে এবং গ্যাস হবে প্রতি গ্যালন ১ ডলার, আমেন!’
যে সময়ে এয়ার কন্ডিশনার আমেরিকার শহরগুলোকে নতুন আকার দিচ্ছিল, ওই সময় কিন্তু বাইরের বিশ্বে এর প্রভাব তেমন পড়েনি। অবশ্য জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুর শুরুর দিকের গ্রাহক ছিল। যাইহোক, এয়ার কন্ডিশনার শেষ পর্যন্ত বিশ্বের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এসির অগ্রযাত্রা যুদ্ধোত্তর নির্মাণ খাতের উল্লম্ফন এবং মানুষের ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে এই তাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সাম্প্রতিক সম্প্রসারণ বিশ্বায়নের গতিপথ অনুসরণ করছে। বিশ্বের অন্য দেশগুলো নির্মাণ এবং জীবনযাপন পদ্ধতিতে আরও বেশি আমেরিকান হয়ে উঠতে চেয়েছে। তারাও ব্যাপকভাবে এসির ব্যবহার শুরু করেছে।
১৯৯০-এর দশকে, এশিয়ার অনেক দেশ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত হয়, যা অভূতপূর্ব নগর নির্মাণের সূচনা করে। গত তিন দশকে, ভারতের প্রায় ২০ কোটি মানুষ গ্রাম থেকে শহরে চলে গেছে; চীনে এই সংখ্যা ৫০ কোটিরও বেশি। নয়াদিল্লি থেকে সাংহাই পর্যন্ত ভারী এসি যুক্ত অফিস ভবন, হোটেল এবং শপিং মল গড়ে ওঠে রাস্তার মোড়ে মোড়ে। এই ভবনগুলোকে নিউইয়র্ক বা লন্ডনের থেকে আলাদা করা যায় না। তাছাড়া প্রায়শই একই নির্মাতা এবং স্থপতিরাই থাকেন এসব ভবন নির্মাণের পেছনে।
অশোক লাল নামে একজন ভারতীয় স্থপতি দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা বলেন, উঁচু উঁচু ভবনগুলোর জন্য বাইরের বিশ্ব থেকে যখন টাকা আসতো তখন প্রায়শই একজন আমেরিকান বা ইউরোপীয় ডিজাইনার বা পরামর্শক সংস্থাও সঙ্গে চলে আসতো। ফলে ভবনের সঙ্গে প্যাকেজ হিসেবে আসে এসি! এখানকার লোকেরা ভেবেছিল এর মানেই অগ্রগতি!

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
৩ দিন আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
৪ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
৪ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন। এমন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব ১৬ বছর বয়সী এই কিশোর বুঝে উঠতে পারছে না, কী তার ভুল। পুলিশের নির্দেশ মানার পর হাতে পড়ল হাতকড়া।
টাকি অ্যালেনকে কিশোর বয়সে এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। অ্যালেনের হাতে থাকা চিপসকে বন্দুক হিসেবে শনাক্ত করেছে এক এআই সিস্টেম!
স্থানীয় গণমাধ্যম ডব্লিউএমএআর-২ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাকি অ্যালেন বলে, ‘হঠাৎ দেখি প্রায় আটটা পুলিশ কার এসে গেল। তারপর সবাই বন্দুক তাক করে আমাকে মাটিতে শুতে বলছে।’
অ্যালেন বলতে থাকে, ‘ফুটবল অনুশীলনের পর এক প্যাকেট ডোরিটোস চিপস খেয়ে খালি প্যাকেটটি পকেটে রেখে দিই। এর ২০ মিনিট পরই এই ঘটনা। একজন অফিসার আমাকে হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন, তারপর আমাকে আটক করে হাতকড়া পরান।
তবে বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ বিবিসি নিউজের কাছে দাবি করে, অ্যালেনকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল, গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, কোনো হুমকি নেই নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি নিরাপদে সমাধান করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকে ফুটবল অনুশীলন শেষে স্কুলের ভেতরে চলে যায় অ্যালেন। সে জানায়, বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয়, বিশেষ করে চিপস খাওয়া বা কিছু পান করা।
বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ জানায়, সেই মুহূর্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত ও আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের কর্মকর্তারা।
বিভাগটি আরও জানায়, এআই সতর্কবার্তাটি মানব পর্যালোচকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা এতে কোনো হুমকি পাননি। এই বার্তা স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে পাঠানো হলেও তিনি এ তথ্যটি দেখেননি এবং স্কুলের নিরাপত্তা টিমকে জানান। তারা পুলিশকে ডাকে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে এক চিঠিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল কেট স্মিথ বলেন, স্কুলের নিরাপত্তা দল দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং কোনো অস্ত্র না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিক সতর্কতা বাতিল করে।
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের স্কুল রিসোর্স অফিসারকে (এসআরও) বিষয়টি জানানো হলে তিনি অতিরিক্ত সহায়তার জন্য স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করেন এবং দ্রুত নিশ্চিত হন যে তার কাছে কোনো অস্ত্র নেই।’
এআই টুল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওমনিলার্ট এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বিবিসি নিউজকে জানায়, ‘ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের উদ্বেগ জানাতে চাই।’
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের সিস্টেম প্রথমে এমন কিছু শনাক্ত করে যা দেখতে আগ্নেয়াস্ত্রের মতো লাগছিল। ছবিটি পরে তাদের পর্যালোচনা দল যাচাই করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই তথ্য ও ছবি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুলের নিরাপত্তা দলের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তাদের সিস্টেমে ‘সমাধান হয়েছে’ বলে চিহ্নিত হওয়ার পরই এ বিষয়ে তাদের সম্পৃক্ততা শেষ হয়। তাদের সিস্টেম ‘যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেভাবেই কাজ করেছে।’
অ্যালেন মন্তব্য করেছে, ‘আমার মনে হয় না কোনো চিপসের প্যাকেটকে কখনো বন্দুক হিসেবে ভুল ধরা উচিত।’
এই ঘটনায় স্কুলগুলোতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছে অনেকে। স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বাল্টিমোর কাউন্টির স্থানীয় কাউন্সিলর ইজি পাকোটা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তাদের এআই-চালিত অস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে।’

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন। এমন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব ১৬ বছর বয়সী এই কিশোর বুঝে উঠতে পারছে না, কী তার ভুল। পুলিশের নির্দেশ মানার পর হাতে পড়ল হাতকড়া।
টাকি অ্যালেনকে কিশোর বয়সে এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। অ্যালেনের হাতে থাকা চিপসকে বন্দুক হিসেবে শনাক্ত করেছে এক এআই সিস্টেম!
স্থানীয় গণমাধ্যম ডব্লিউএমএআর-২ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাকি অ্যালেন বলে, ‘হঠাৎ দেখি প্রায় আটটা পুলিশ কার এসে গেল। তারপর সবাই বন্দুক তাক করে আমাকে মাটিতে শুতে বলছে।’
অ্যালেন বলতে থাকে, ‘ফুটবল অনুশীলনের পর এক প্যাকেট ডোরিটোস চিপস খেয়ে খালি প্যাকেটটি পকেটে রেখে দিই। এর ২০ মিনিট পরই এই ঘটনা। একজন অফিসার আমাকে হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন, তারপর আমাকে আটক করে হাতকড়া পরান।
তবে বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ বিবিসি নিউজের কাছে দাবি করে, অ্যালেনকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল, গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, কোনো হুমকি নেই নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি নিরাপদে সমাধান করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকে ফুটবল অনুশীলন শেষে স্কুলের ভেতরে চলে যায় অ্যালেন। সে জানায়, বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয়, বিশেষ করে চিপস খাওয়া বা কিছু পান করা।
বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ জানায়, সেই মুহূর্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত ও আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের কর্মকর্তারা।
বিভাগটি আরও জানায়, এআই সতর্কবার্তাটি মানব পর্যালোচকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা এতে কোনো হুমকি পাননি। এই বার্তা স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে পাঠানো হলেও তিনি এ তথ্যটি দেখেননি এবং স্কুলের নিরাপত্তা টিমকে জানান। তারা পুলিশকে ডাকে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে এক চিঠিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল কেট স্মিথ বলেন, স্কুলের নিরাপত্তা দল দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং কোনো অস্ত্র না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিক সতর্কতা বাতিল করে।
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের স্কুল রিসোর্স অফিসারকে (এসআরও) বিষয়টি জানানো হলে তিনি অতিরিক্ত সহায়তার জন্য স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করেন এবং দ্রুত নিশ্চিত হন যে তার কাছে কোনো অস্ত্র নেই।’
এআই টুল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওমনিলার্ট এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বিবিসি নিউজকে জানায়, ‘ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের উদ্বেগ জানাতে চাই।’
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের সিস্টেম প্রথমে এমন কিছু শনাক্ত করে যা দেখতে আগ্নেয়াস্ত্রের মতো লাগছিল। ছবিটি পরে তাদের পর্যালোচনা দল যাচাই করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই তথ্য ও ছবি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুলের নিরাপত্তা দলের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তাদের সিস্টেমে ‘সমাধান হয়েছে’ বলে চিহ্নিত হওয়ার পরই এ বিষয়ে তাদের সম্পৃক্ততা শেষ হয়। তাদের সিস্টেম ‘যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেভাবেই কাজ করেছে।’
অ্যালেন মন্তব্য করেছে, ‘আমার মনে হয় না কোনো চিপসের প্যাকেটকে কখনো বন্দুক হিসেবে ভুল ধরা উচিত।’
এই ঘটনায় স্কুলগুলোতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছে অনেকে। স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বাল্টিমোর কাউন্টির স্থানীয় কাউন্সিলর ইজি পাকোটা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তাদের এআই-চালিত অস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে।’

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এই বিশ্বব্যাপী আধিপত্য কিন্তু অনিবার্য ছিল না। এই মাত্র ১৯৯০ সালেও বিশ্বে মাত্র ৪০ কোটি এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট ছিল, যার আবার বেশিরভাগই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত শিল্পে ব্যবহারের জন্য নির্মিত শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র শেষ পর্যন্ত মানুষের অপরিহার্য, আধুনিকতা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতী
১৯ জুলাই ২০২২
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
৪ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
৪ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এই বিশ্বব্যাপী আধিপত্য কিন্তু অনিবার্য ছিল না। এই মাত্র ১৯৯০ সালেও বিশ্বে মাত্র ৪০ কোটি এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট ছিল, যার আবার বেশিরভাগই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত শিল্পে ব্যবহারের জন্য নির্মিত শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র শেষ পর্যন্ত মানুষের অপরিহার্য, আধুনিকতা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতী
১৯ জুলাই ২০২২
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
৩ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
৪ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এই বিশ্বব্যাপী আধিপত্য কিন্তু অনিবার্য ছিল না। এই মাত্র ১৯৯০ সালেও বিশ্বে মাত্র ৪০ কোটি এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট ছিল, যার আবার বেশিরভাগই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত শিল্পে ব্যবহারের জন্য নির্মিত শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র শেষ পর্যন্ত মানুষের অপরিহার্য, আধুনিকতা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতী
১৯ জুলাই ২০২২
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
৩ দিন আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
৪ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এই বিশ্বব্যাপী আধিপত্য কিন্তু অনিবার্য ছিল না। এই মাত্র ১৯৯০ সালেও বিশ্বে মাত্র ৪০ কোটি এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট ছিল, যার আবার বেশিরভাগই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত শিল্পে ব্যবহারের জন্য নির্মিত শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র শেষ পর্যন্ত মানুষের অপরিহার্য, আধুনিকতা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতী
১৯ জুলাই ২০২২
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
৩ দিন আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
৪ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
৪ দিন আগে