ইশতিয়াক হাসান
আপনি যদি রোমাঞ্চপ্রেমী হোন তবে পাকিস্তানের হোসাইনি ঝুলন্ত সেতুটি পেরোনো আপনার জন্য অবশ্য কর্তব্য। তবে কারাকোরাম পার্বত্য এলাকার বাসিন্দারা, যাদের এ সেতুটি পেরোতে হয় প্রয়োজনের তাগিদেই, তাঁদের জন্য এ সেতু ভ্রমণ খুব আনন্দদায়ক কিছু নয়। বিশেষ করে কারাকোরাম পর্বতমালা থেকে আসা শীতল, ঝোড়ো বাতাস যখন সেতুটিকে প্রচণ্ডভাবে দোলাতে থাকে তখন অতি বড় দুঃসাহসীরও বুক কেঁপে ওঠে।
হোসাইনি সাসপেনশন ব্রিজকে অনেকেই পাকিস্তানের সবচেয়ে বিপজ্জনক রোপ ব্রিজ বা দড়ির সেতু হিসেবে বিবেচনা করেন। এটির অবস্থান গিলগিত-বালতিস্তান এলাকার গুলমিত হুনজা উপত্যকায়। ওই এলাকায় অবশ্য হুসাইনি সেতুর মতো আরও কিছু বিপজ্জনক ঝুলন্ত সেতু আছে। হুনজা নদী পেরোনোর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে সেতুটি।
আধুনিক সব বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ আর বিশাল সব মহাসড়কের-সেতুর যুগে অনেকেই কল্পনা করতে পারবেন না পৃথিবীর কোনো কোনো অংশে যোগাযোগ মোটেই সহজ নয়। ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত উত্তর পাকিস্তানের গিলগিত-বালতিস্তান এলাকার বাসিন্দারা দেশের অন্য সব এলাকার থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন ছিলেন। কারণ এখানকার দুর্গম পার্বত্য এলাকা ও রাস্তাঘাটের অভাব। ছোট কোনো প্লেন ভাড়া করে হয়তো যাওয়া সহজ ছিল, কিন্তু তার যে ভাড়া সেটা কয়জনই বা গুনতে পারেন। রাওয়ালপিন্ডি থেকে পর্বতের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়াই ছিল বেশির ভাগের ভাগ্যে। ১৯৭৮ সালে কারাকোরাম মহাসড়ক নির্মাণের পর দেশের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে যুক্ত হয় অঞ্চলটি। তবে ভেতরের বিভিন্ন এলাকার মধ্যে যোগাযোগ এখনো খুব একটা সহজ নয়।
উত্তর পাকিস্তানের বিভিন্ন পার্বত্য অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়েছে অনেক নদী আর খাল। এ এলাকায় ভ্রমণের সময় নদী ও ঝিরির ওপরের তার, তক্তা দিয়ে বানানো এই সেতুগুলো পেরোতে হয়। এগুলোর একটি হুসাইনি হ্যাঙ্গিং ব্রিজ। এ সেতুর নাম এসেছে এর ধারের গ্রাম হোসাইনি থেকে।
এই ঝুলন্ত সেতু তৈরির ইতিহাসটাও বেশ মজার। ঝুলন্ত সেতুটি প্রথম তৈরি করা হয় ব্রিটিশ শাসনামলে গজালের সিসকাত গ্রামে। ১৯৬৮ সালে হুনজার শাসক মীর মুহাম্মদ জামাল খানকে এখানে একটি ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের অনুরোধ করেন হোসাইনি গ্রামের বাসিন্দারা। তাই কারাকোরাম হাইওয়ে নির্মাণের সময় সেতুটি সরিয়ে নেওয়া হয় হোসেইনি গ্রামের কাছে। এখন হোসেইনি গ্রামের লোকেরা এ সেতু পেরিয়ে নদীর ওপারে তাঁদের নতুন বসতি জার আবাদে চলে যেতে পারেন সহজেই। গ্রামের বাসিন্দারা জানান আগে বড় একটার পাহাড় ডিঙিয়ে সেখানে পৌঁছাতে হতো তাঁদের। তাই ওই ঝুলন্ত সেতুটি এখানে নিয়ে আসা হয়।
অবশ্য প্রথম স্থাপন করা ঝুলন্ত সেতুটি বন্যার সময় ভেসে যায়। কারাকোরাম পর্বত থেকে ধেয়ে আসা প্রবল গতির বাতাসও আগের তুলনামূলক পাতলা দড়ি ও তক্তার সেতুটাকে ধসিয়ে দিতে ভূমিকা রাখে। তখন নতুন ঝুলন্ত সেতুটি তৈরি করা হয় ১৯৯৪ সালে।
হোসাইনি ঝুলন্ত সেতুর কাছের শহর পাসু। সেখান থেকে ৪০ মিনিট পায়ে হেঁটে পৌঁছে যেতে পারবেন এ ঝুলন্ত সেতুর কাছে। পথটি খুব কঠিন নয়। সামান্য চড়াই-উতরাই অবশ্য আছে। সেতুর দৈর্ঘ্য ৬৫০ ফুটের মতো। সেতুটিতে ৪৪২টি তক্তা আছে। এর আরেকটি বড় বিষয় হলো দুটো ধাপের মধ্যে ব্যবধান অন্তত এক ফুটের মতো। তাই খুব আগ্রহ নিয়ে এগোনো শুরুর একপর্যায়ে যখন সেতুটি দুলতে শুরু করে, তখন সাহস হারিয়ে ফেলেন অনেক পর্যটক।
এদিকে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে এ এলাকায়। সম্প্রতি জায়গাটিকে প্লাস্টিকমুক্ত এলাকা হিসেবেও ঘোষণা করা হয়। হুসাইনি সেতু এলাকা থেকে দু-দিন হেঁটে পৌঁছে যাবেন রাকাপোশি পর্বতের ধারে। পর্বতারোহীদের প্রিয় গন্তব্য এটি। পার্বত্য এলাকা ভ্রমণে আসা হাইকাররাও হোসাইনি সেতু পেরোনোর রোমাঞ্চ হাতছাড়া করতে চান না কোনোভাবেই। তবে সেতু দিয়ে চলার সময় কারাকোরামের জোর শীতল হাওয়া যখন বইতে থাকে, সেই সঙ্গে প্রচণ্ডভাবে দুলতে শুরু করে সেতু তখন তুমুল রোমাঞ্চপ্রেমীরও জানে পানি থাকে না।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, ক্লিক পাকিস্তান. অরগ
আপনি যদি রোমাঞ্চপ্রেমী হোন তবে পাকিস্তানের হোসাইনি ঝুলন্ত সেতুটি পেরোনো আপনার জন্য অবশ্য কর্তব্য। তবে কারাকোরাম পার্বত্য এলাকার বাসিন্দারা, যাদের এ সেতুটি পেরোতে হয় প্রয়োজনের তাগিদেই, তাঁদের জন্য এ সেতু ভ্রমণ খুব আনন্দদায়ক কিছু নয়। বিশেষ করে কারাকোরাম পর্বতমালা থেকে আসা শীতল, ঝোড়ো বাতাস যখন সেতুটিকে প্রচণ্ডভাবে দোলাতে থাকে তখন অতি বড় দুঃসাহসীরও বুক কেঁপে ওঠে।
হোসাইনি সাসপেনশন ব্রিজকে অনেকেই পাকিস্তানের সবচেয়ে বিপজ্জনক রোপ ব্রিজ বা দড়ির সেতু হিসেবে বিবেচনা করেন। এটির অবস্থান গিলগিত-বালতিস্তান এলাকার গুলমিত হুনজা উপত্যকায়। ওই এলাকায় অবশ্য হুসাইনি সেতুর মতো আরও কিছু বিপজ্জনক ঝুলন্ত সেতু আছে। হুনজা নদী পেরোনোর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে সেতুটি।
আধুনিক সব বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ আর বিশাল সব মহাসড়কের-সেতুর যুগে অনেকেই কল্পনা করতে পারবেন না পৃথিবীর কোনো কোনো অংশে যোগাযোগ মোটেই সহজ নয়। ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত উত্তর পাকিস্তানের গিলগিত-বালতিস্তান এলাকার বাসিন্দারা দেশের অন্য সব এলাকার থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন ছিলেন। কারণ এখানকার দুর্গম পার্বত্য এলাকা ও রাস্তাঘাটের অভাব। ছোট কোনো প্লেন ভাড়া করে হয়তো যাওয়া সহজ ছিল, কিন্তু তার যে ভাড়া সেটা কয়জনই বা গুনতে পারেন। রাওয়ালপিন্ডি থেকে পর্বতের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়াই ছিল বেশির ভাগের ভাগ্যে। ১৯৭৮ সালে কারাকোরাম মহাসড়ক নির্মাণের পর দেশের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে যুক্ত হয় অঞ্চলটি। তবে ভেতরের বিভিন্ন এলাকার মধ্যে যোগাযোগ এখনো খুব একটা সহজ নয়।
উত্তর পাকিস্তানের বিভিন্ন পার্বত্য অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়েছে অনেক নদী আর খাল। এ এলাকায় ভ্রমণের সময় নদী ও ঝিরির ওপরের তার, তক্তা দিয়ে বানানো এই সেতুগুলো পেরোতে হয়। এগুলোর একটি হুসাইনি হ্যাঙ্গিং ব্রিজ। এ সেতুর নাম এসেছে এর ধারের গ্রাম হোসাইনি থেকে।
এই ঝুলন্ত সেতু তৈরির ইতিহাসটাও বেশ মজার। ঝুলন্ত সেতুটি প্রথম তৈরি করা হয় ব্রিটিশ শাসনামলে গজালের সিসকাত গ্রামে। ১৯৬৮ সালে হুনজার শাসক মীর মুহাম্মদ জামাল খানকে এখানে একটি ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের অনুরোধ করেন হোসাইনি গ্রামের বাসিন্দারা। তাই কারাকোরাম হাইওয়ে নির্মাণের সময় সেতুটি সরিয়ে নেওয়া হয় হোসেইনি গ্রামের কাছে। এখন হোসেইনি গ্রামের লোকেরা এ সেতু পেরিয়ে নদীর ওপারে তাঁদের নতুন বসতি জার আবাদে চলে যেতে পারেন সহজেই। গ্রামের বাসিন্দারা জানান আগে বড় একটার পাহাড় ডিঙিয়ে সেখানে পৌঁছাতে হতো তাঁদের। তাই ওই ঝুলন্ত সেতুটি এখানে নিয়ে আসা হয়।
অবশ্য প্রথম স্থাপন করা ঝুলন্ত সেতুটি বন্যার সময় ভেসে যায়। কারাকোরাম পর্বত থেকে ধেয়ে আসা প্রবল গতির বাতাসও আগের তুলনামূলক পাতলা দড়ি ও তক্তার সেতুটাকে ধসিয়ে দিতে ভূমিকা রাখে। তখন নতুন ঝুলন্ত সেতুটি তৈরি করা হয় ১৯৯৪ সালে।
হোসাইনি ঝুলন্ত সেতুর কাছের শহর পাসু। সেখান থেকে ৪০ মিনিট পায়ে হেঁটে পৌঁছে যেতে পারবেন এ ঝুলন্ত সেতুর কাছে। পথটি খুব কঠিন নয়। সামান্য চড়াই-উতরাই অবশ্য আছে। সেতুর দৈর্ঘ্য ৬৫০ ফুটের মতো। সেতুটিতে ৪৪২টি তক্তা আছে। এর আরেকটি বড় বিষয় হলো দুটো ধাপের মধ্যে ব্যবধান অন্তত এক ফুটের মতো। তাই খুব আগ্রহ নিয়ে এগোনো শুরুর একপর্যায়ে যখন সেতুটি দুলতে শুরু করে, তখন সাহস হারিয়ে ফেলেন অনেক পর্যটক।
এদিকে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে এ এলাকায়। সম্প্রতি জায়গাটিকে প্লাস্টিকমুক্ত এলাকা হিসেবেও ঘোষণা করা হয়। হুসাইনি সেতু এলাকা থেকে দু-দিন হেঁটে পৌঁছে যাবেন রাকাপোশি পর্বতের ধারে। পর্বতারোহীদের প্রিয় গন্তব্য এটি। পার্বত্য এলাকা ভ্রমণে আসা হাইকাররাও হোসাইনি সেতু পেরোনোর রোমাঞ্চ হাতছাড়া করতে চান না কোনোভাবেই। তবে সেতু দিয়ে চলার সময় কারাকোরামের জোর শীতল হাওয়া যখন বইতে থাকে, সেই সঙ্গে প্রচণ্ডভাবে দুলতে শুরু করে সেতু তখন তুমুল রোমাঞ্চপ্রেমীরও জানে পানি থাকে না।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, ক্লিক পাকিস্তান. অরগ
নারীর বগলের গন্ধ পুরুষদের আচরণে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি তাদের মানসিক চাপও কমাতে পারে। এমনটাই জানা গেছে, জাপানে হওয়া এক চমকপ্রদ গবেষণা থেকে। তবে এই প্রভাব সব সময় দেখা যায় না। মাসের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে, যখন নারীদের গন্ধ পুরুষদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়, তখনই এই প্রভাব দেখা যায়।
১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ৩৩ বছর বয়সী এমিলি এনজার এখন নিয়মিত আয় করছেন বুকের দুধ বিক্রি করে। পাঁচ সন্তানের এই মা প্রতিদিন সন্তানদের দুধ পান করানোর পর অতিরিক্ত যে দুধ পাম্প করেন, তা ব্যাগে ভরে সংরক্ষণ করেন ফ্রিজে। উদ্দেশ্য—নিজের সন্তানের জন্য নয়, বরং বিক্রি করে বাড়তি আয় করা।
২ দিন আগেচীনের হুবেই প্রদেশের শিয়াংইয়াং শহরে ঘটেছে এক আজব দুর্ঘটনা। বাগানে কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে একটি পাথরে বসেছিলেন ৭২ বছর বয়সী এক নারী। বসতেই গরমের আঁচ টের পেলেন খুব ভালোমতো! মাত্র ১০ সেকেন্ডেই তাঁর নিতম্ব পুড়ে গেল। যেনতেন পোড়া নয়, রীতিমতো ‘থার্ড ডিগ্রি বার্ন।’ এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
৩ দিন আগেসাপের কামড়ে মানুষ মারা যাবে—এ তো চিরচেনা খবর! কিন্তু এবার খবর উল্টো। বিহারের এক প্রত্যন্ত গ্রামে ১ বছরের এক শিশু কামড়ে মেরে ফেলেছে বিষধর গোখরাকে! চোখ কপালে তুলে দেওয়া এই ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের পশ্চিম চম্পারণ জেলার মোহাচ্ছি বাংকটওয়া গ্রামে। স্থানীয়রা বলছেন, এমন ঘটনা তাঁরা জীবনে কখনো দেখেননি—শুধু সিনেমাতে
৫ দিন আগে