ইশতিয়াক হাসান
লিনসয়েস মারেনিসিস জাতীয় উদ্যানে হাজির হলে একে আশ্চর্য সুন্দর এক স্বপ্ন ভেবে গায়ে একটা চিমটি কাটতেই পারেন। বালুর রাজ্যে একটু পরপরই এখানে ছেদ টেনে গেছে একটার পর একটা সবুজ কিংবা নীল হ্রদ। এটা কি মরুভূমি নাকি হ্রদের এক রাজ্য ভেবে ধন্দে পড়বেন। তবে বালিয়াড়ি আর হ্রদ মিলেমিশে যে রীতিমতো অপার্থিব এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে, তা অস্বীকার করতে পারবেন না কোনোভাবেই।
ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মারাইনোতে অবস্থান ৫৯৮ বর্গমাইল আয়তনের জাতীয় উদ্যানটির। প্রথম দেখায় জায়গাটিকে একটি মরুভূমি বলে মনে করেন, তবে দোষ দেওয়া যাবে না আপনাকে। তবে একে সে অর্থে মরুভূমি বলতে পারবেন না আপনি। এখানকার বালিয়াড়িগুলোর মাঝখানে লুকিয়ে আছে আশ্চর্য সুন্দর সব ল্যাগুন বা হ্রদ। কাছাকাছি গেলেই পরিষ্কার হবে বিষয়টা। এ ধরনের ল্যাগুনের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। আর এখানকার কোনো কোনো বালিয়াড়ির উচ্চতা ৫০ ফুটেরও বেশি। তাই কখনো কখনো বালিয়াড়ির কারণে দূর থেকে হ্রদগুলো ঠাহর না-ও করতে পারেন।
আমাজন অববাহিকার ঠিক বাইরে হওয়ায় এখানে বর্ষায় প্রচুর বৃষ্টি হয়। বালিয়াড়ির মাঝখানে জমা বৃষ্টির পানি জন্ম দেয় স্বচ্ছ নীল ও সবুজ ল্যাগুন বা হ্রদের। মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে গেলেই মূলত অসাধারণ এই বৈচিত্র্যময় রূপ দেখতে পারবেন জাতীয় উদ্যানটির। তখন আবহাওয়া থাকে রৌদ্রোজ্জ্বল, ল্যাগুন থাকে পানিতে টইটুম্বুর।
আশ্চর্যজনক হলেও জায়গাটি নানা ধরনের মাছের আবাসস্থল। কিন্তু কথা হলো, শুকনো মৌসুমে সবগুলো ল্যাগুন বা হ্রদই মোটামুটি অদৃশ্য হয়। তাহলে বর্ষায় এভাবে মাছে ভরে যায় কীভাবে এগুলো? পাখিরা সাগর থেকে মাছের ডিম বয়ে আনা। নানাভাবেই আসে পাখিদের মাধ্যমে এই ডিম, পায়ের সঙ্গে লেগে পালকের সঙ্গে আটকে। এমনকি মাছের ডিম ছড়াতে পারে পাখির মলের মাধ্যমে। পার্কটির বৈচিত্র্য আরও বাড়িয়েছে পামগাছ।
এবার বরং জাতীয় উদ্যানটি এর নাম কীভাবে পেল তা জেনে নেওয়া যাক। পর্তুগিজ শব্দ লিনসয়েসের অর্থ বিছানার চাদর। সে হিসেবে এর নামের অর্থ মারাইনোর বিছানার চাদর। নিশ্চয় কোনো কূলকিনারা পাচ্ছেন না এমন নামের। আকাশ থেকে কিংবা ড্রোনে জায়গাটিকে দেখলে তবেই বুঝতে পারবেন বিষয়টি। মনে হয় যেন একটার পর একটা চাদর ফেলে রাখা হয়েছে জলার বুকে।
হাজার হাজার বছরে জন্ম লিনসয়েস মারেনিসিস জাতীয় উদ্যানের। পারনায়িবা ও প্রেগিসাস নদীর বিপুল পলি এসে জমা হয় নদীমুখে। তারপর আটলান্টিক মহাসাগরে। ঢেউয়ে এবং প্রবল বাতাসে এগুলো কয়েক মাইল দূরে নিয়ে আসে। এভাবেই জন্ম হয় বালিয়াড়ির। এদিকে এখানকার মিষ্টি পানির ল্যাগুন বা হ্রদগুলোর পানি বালুর নিচের শক্ত পাথরের কারণে চুইয়ে অন্য কোনো দিকে চলে যেতে পারে না। ব্যাস, সব মিলিয়ে অসাধারণ এক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ মিলে যায় মানুষের।
হ্রদগুলোর আয়তন, গভীরতা এবং কোন কোণে আলো পড়ছে—এসবের ওপর নির্ভর করে এদের জলের রঙে ভিন্নতা থাকে। গাঢ় নীল থেকে শুরু করে স্বচ্ছ সবুজ এমনকি গাঢ় নীল জলের হ্রদও চোখে পড়ে।
তবে আশ্চর্য সুন্দর এই বালু-জলময় রাজ্যে যাওয়াটা খুব সহজ কাজ নয়। প্রথমে উড়োজাহাজে করে সাও পাওলোর মারেশাও কুইয়া মাশাডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়ে যাবেন। সেখান থেকে প্রতিদিন চারবার বাস ছাড়ে নদীতীরের ছোট্ট শহর বাহেইরিয়াস। সময় লাগে ঘণ্টা পাঁচেক। এই শহরটিকে বলতে পারতেন জাতীয় উদ্যানটির প্রধান প্রবেশদ্বার। আবার সাও লুইস থেকে গাড়িতে পৌঁছাতে পারবেন সান্তো আমারোয়। সেখান থেকেও পার্কটিতে যাওয়া যায়।
পার্কটিতে ট্র্যাকিং, স্কাই ডাইভিং (বছরের নির্দিষ্ট সময়), ফোর হুইলার গাড়িতে ভ্রমণসহ নানা ধরনের প্যাকেজ আছে ট্যুর অপারেটরদের। তবে বিশাল এই জায়গাটিতে হেঁটে যান কী ফোর হুইলারে চেপে, নিজের মুখ থেকে শুরু কর গাড়ি সবকিছুই যে বালুময় হয়ে যাবে তাতে সন্দেহ নেই।
জাতীয় উদ্যানটির কোনো কোনো ল্যাগুন বিশাল। লাগোয়া বনিতা কিংবা লাগোয়া আজুয়ার অবস্থান বাহেইরিয়াস শহরের কাছে। আতিনস গ্রামের কাছে অবস্থিত লাগোয়া ট্রপিক্যালও দেখার মতো জায়গা। লাগোয়া দ্য গাইভোতা (সিগ্যাল ল্যাগুন) পার্কের সবচেয়ে বড় এবং সুন্দর হ্রদগুলোর একটি।
সূত্র: সিএনএন, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, আনইউজাল প্লেসেস
লিনসয়েস মারেনিসিস জাতীয় উদ্যানে হাজির হলে একে আশ্চর্য সুন্দর এক স্বপ্ন ভেবে গায়ে একটা চিমটি কাটতেই পারেন। বালুর রাজ্যে একটু পরপরই এখানে ছেদ টেনে গেছে একটার পর একটা সবুজ কিংবা নীল হ্রদ। এটা কি মরুভূমি নাকি হ্রদের এক রাজ্য ভেবে ধন্দে পড়বেন। তবে বালিয়াড়ি আর হ্রদ মিলেমিশে যে রীতিমতো অপার্থিব এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে, তা অস্বীকার করতে পারবেন না কোনোভাবেই।
ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মারাইনোতে অবস্থান ৫৯৮ বর্গমাইল আয়তনের জাতীয় উদ্যানটির। প্রথম দেখায় জায়গাটিকে একটি মরুভূমি বলে মনে করেন, তবে দোষ দেওয়া যাবে না আপনাকে। তবে একে সে অর্থে মরুভূমি বলতে পারবেন না আপনি। এখানকার বালিয়াড়িগুলোর মাঝখানে লুকিয়ে আছে আশ্চর্য সুন্দর সব ল্যাগুন বা হ্রদ। কাছাকাছি গেলেই পরিষ্কার হবে বিষয়টা। এ ধরনের ল্যাগুনের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। আর এখানকার কোনো কোনো বালিয়াড়ির উচ্চতা ৫০ ফুটেরও বেশি। তাই কখনো কখনো বালিয়াড়ির কারণে দূর থেকে হ্রদগুলো ঠাহর না-ও করতে পারেন।
আমাজন অববাহিকার ঠিক বাইরে হওয়ায় এখানে বর্ষায় প্রচুর বৃষ্টি হয়। বালিয়াড়ির মাঝখানে জমা বৃষ্টির পানি জন্ম দেয় স্বচ্ছ নীল ও সবুজ ল্যাগুন বা হ্রদের। মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে গেলেই মূলত অসাধারণ এই বৈচিত্র্যময় রূপ দেখতে পারবেন জাতীয় উদ্যানটির। তখন আবহাওয়া থাকে রৌদ্রোজ্জ্বল, ল্যাগুন থাকে পানিতে টইটুম্বুর।
আশ্চর্যজনক হলেও জায়গাটি নানা ধরনের মাছের আবাসস্থল। কিন্তু কথা হলো, শুকনো মৌসুমে সবগুলো ল্যাগুন বা হ্রদই মোটামুটি অদৃশ্য হয়। তাহলে বর্ষায় এভাবে মাছে ভরে যায় কীভাবে এগুলো? পাখিরা সাগর থেকে মাছের ডিম বয়ে আনা। নানাভাবেই আসে পাখিদের মাধ্যমে এই ডিম, পায়ের সঙ্গে লেগে পালকের সঙ্গে আটকে। এমনকি মাছের ডিম ছড়াতে পারে পাখির মলের মাধ্যমে। পার্কটির বৈচিত্র্য আরও বাড়িয়েছে পামগাছ।
এবার বরং জাতীয় উদ্যানটি এর নাম কীভাবে পেল তা জেনে নেওয়া যাক। পর্তুগিজ শব্দ লিনসয়েসের অর্থ বিছানার চাদর। সে হিসেবে এর নামের অর্থ মারাইনোর বিছানার চাদর। নিশ্চয় কোনো কূলকিনারা পাচ্ছেন না এমন নামের। আকাশ থেকে কিংবা ড্রোনে জায়গাটিকে দেখলে তবেই বুঝতে পারবেন বিষয়টি। মনে হয় যেন একটার পর একটা চাদর ফেলে রাখা হয়েছে জলার বুকে।
হাজার হাজার বছরে জন্ম লিনসয়েস মারেনিসিস জাতীয় উদ্যানের। পারনায়িবা ও প্রেগিসাস নদীর বিপুল পলি এসে জমা হয় নদীমুখে। তারপর আটলান্টিক মহাসাগরে। ঢেউয়ে এবং প্রবল বাতাসে এগুলো কয়েক মাইল দূরে নিয়ে আসে। এভাবেই জন্ম হয় বালিয়াড়ির। এদিকে এখানকার মিষ্টি পানির ল্যাগুন বা হ্রদগুলোর পানি বালুর নিচের শক্ত পাথরের কারণে চুইয়ে অন্য কোনো দিকে চলে যেতে পারে না। ব্যাস, সব মিলিয়ে অসাধারণ এক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ মিলে যায় মানুষের।
হ্রদগুলোর আয়তন, গভীরতা এবং কোন কোণে আলো পড়ছে—এসবের ওপর নির্ভর করে এদের জলের রঙে ভিন্নতা থাকে। গাঢ় নীল থেকে শুরু করে স্বচ্ছ সবুজ এমনকি গাঢ় নীল জলের হ্রদও চোখে পড়ে।
তবে আশ্চর্য সুন্দর এই বালু-জলময় রাজ্যে যাওয়াটা খুব সহজ কাজ নয়। প্রথমে উড়োজাহাজে করে সাও পাওলোর মারেশাও কুইয়া মাশাডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়ে যাবেন। সেখান থেকে প্রতিদিন চারবার বাস ছাড়ে নদীতীরের ছোট্ট শহর বাহেইরিয়াস। সময় লাগে ঘণ্টা পাঁচেক। এই শহরটিকে বলতে পারতেন জাতীয় উদ্যানটির প্রধান প্রবেশদ্বার। আবার সাও লুইস থেকে গাড়িতে পৌঁছাতে পারবেন সান্তো আমারোয়। সেখান থেকেও পার্কটিতে যাওয়া যায়।
পার্কটিতে ট্র্যাকিং, স্কাই ডাইভিং (বছরের নির্দিষ্ট সময়), ফোর হুইলার গাড়িতে ভ্রমণসহ নানা ধরনের প্যাকেজ আছে ট্যুর অপারেটরদের। তবে বিশাল এই জায়গাটিতে হেঁটে যান কী ফোর হুইলারে চেপে, নিজের মুখ থেকে শুরু কর গাড়ি সবকিছুই যে বালুময় হয়ে যাবে তাতে সন্দেহ নেই।
জাতীয় উদ্যানটির কোনো কোনো ল্যাগুন বিশাল। লাগোয়া বনিতা কিংবা লাগোয়া আজুয়ার অবস্থান বাহেইরিয়াস শহরের কাছে। আতিনস গ্রামের কাছে অবস্থিত লাগোয়া ট্রপিক্যালও দেখার মতো জায়গা। লাগোয়া দ্য গাইভোতা (সিগ্যাল ল্যাগুন) পার্কের সবচেয়ে বড় এবং সুন্দর হ্রদগুলোর একটি।
সূত্র: সিএনএন, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, আনইউজাল প্লেসেস
ইশতিয়াক হাসান
লিনসয়েস মারেনিসিস জাতীয় উদ্যানে হাজির হলে একে আশ্চর্য সুন্দর এক স্বপ্ন ভেবে গায়ে একটা চিমটি কাটতেই পারেন। বালুর রাজ্যে একটু পরপরই এখানে ছেদ টেনে গেছে একটার পর একটা সবুজ কিংবা নীল হ্রদ। এটা কি মরুভূমি নাকি হ্রদের এক রাজ্য ভেবে ধন্দে পড়বেন। তবে বালিয়াড়ি আর হ্রদ মিলেমিশে যে রীতিমতো অপার্থিব এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে, তা অস্বীকার করতে পারবেন না কোনোভাবেই।
ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মারাইনোতে অবস্থান ৫৯৮ বর্গমাইল আয়তনের জাতীয় উদ্যানটির। প্রথম দেখায় জায়গাটিকে একটি মরুভূমি বলে মনে করেন, তবে দোষ দেওয়া যাবে না আপনাকে। তবে একে সে অর্থে মরুভূমি বলতে পারবেন না আপনি। এখানকার বালিয়াড়িগুলোর মাঝখানে লুকিয়ে আছে আশ্চর্য সুন্দর সব ল্যাগুন বা হ্রদ। কাছাকাছি গেলেই পরিষ্কার হবে বিষয়টা। এ ধরনের ল্যাগুনের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। আর এখানকার কোনো কোনো বালিয়াড়ির উচ্চতা ৫০ ফুটেরও বেশি। তাই কখনো কখনো বালিয়াড়ির কারণে দূর থেকে হ্রদগুলো ঠাহর না-ও করতে পারেন।
আমাজন অববাহিকার ঠিক বাইরে হওয়ায় এখানে বর্ষায় প্রচুর বৃষ্টি হয়। বালিয়াড়ির মাঝখানে জমা বৃষ্টির পানি জন্ম দেয় স্বচ্ছ নীল ও সবুজ ল্যাগুন বা হ্রদের। মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে গেলেই মূলত অসাধারণ এই বৈচিত্র্যময় রূপ দেখতে পারবেন জাতীয় উদ্যানটির। তখন আবহাওয়া থাকে রৌদ্রোজ্জ্বল, ল্যাগুন থাকে পানিতে টইটুম্বুর।
আশ্চর্যজনক হলেও জায়গাটি নানা ধরনের মাছের আবাসস্থল। কিন্তু কথা হলো, শুকনো মৌসুমে সবগুলো ল্যাগুন বা হ্রদই মোটামুটি অদৃশ্য হয়। তাহলে বর্ষায় এভাবে মাছে ভরে যায় কীভাবে এগুলো? পাখিরা সাগর থেকে মাছের ডিম বয়ে আনা। নানাভাবেই আসে পাখিদের মাধ্যমে এই ডিম, পায়ের সঙ্গে লেগে পালকের সঙ্গে আটকে। এমনকি মাছের ডিম ছড়াতে পারে পাখির মলের মাধ্যমে। পার্কটির বৈচিত্র্য আরও বাড়িয়েছে পামগাছ।
এবার বরং জাতীয় উদ্যানটি এর নাম কীভাবে পেল তা জেনে নেওয়া যাক। পর্তুগিজ শব্দ লিনসয়েসের অর্থ বিছানার চাদর। সে হিসেবে এর নামের অর্থ মারাইনোর বিছানার চাদর। নিশ্চয় কোনো কূলকিনারা পাচ্ছেন না এমন নামের। আকাশ থেকে কিংবা ড্রোনে জায়গাটিকে দেখলে তবেই বুঝতে পারবেন বিষয়টি। মনে হয় যেন একটার পর একটা চাদর ফেলে রাখা হয়েছে জলার বুকে।
হাজার হাজার বছরে জন্ম লিনসয়েস মারেনিসিস জাতীয় উদ্যানের। পারনায়িবা ও প্রেগিসাস নদীর বিপুল পলি এসে জমা হয় নদীমুখে। তারপর আটলান্টিক মহাসাগরে। ঢেউয়ে এবং প্রবল বাতাসে এগুলো কয়েক মাইল দূরে নিয়ে আসে। এভাবেই জন্ম হয় বালিয়াড়ির। এদিকে এখানকার মিষ্টি পানির ল্যাগুন বা হ্রদগুলোর পানি বালুর নিচের শক্ত পাথরের কারণে চুইয়ে অন্য কোনো দিকে চলে যেতে পারে না। ব্যাস, সব মিলিয়ে অসাধারণ এক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ মিলে যায় মানুষের।
হ্রদগুলোর আয়তন, গভীরতা এবং কোন কোণে আলো পড়ছে—এসবের ওপর নির্ভর করে এদের জলের রঙে ভিন্নতা থাকে। গাঢ় নীল থেকে শুরু করে স্বচ্ছ সবুজ এমনকি গাঢ় নীল জলের হ্রদও চোখে পড়ে।
তবে আশ্চর্য সুন্দর এই বালু-জলময় রাজ্যে যাওয়াটা খুব সহজ কাজ নয়। প্রথমে উড়োজাহাজে করে সাও পাওলোর মারেশাও কুইয়া মাশাডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়ে যাবেন। সেখান থেকে প্রতিদিন চারবার বাস ছাড়ে নদীতীরের ছোট্ট শহর বাহেইরিয়াস। সময় লাগে ঘণ্টা পাঁচেক। এই শহরটিকে বলতে পারতেন জাতীয় উদ্যানটির প্রধান প্রবেশদ্বার। আবার সাও লুইস থেকে গাড়িতে পৌঁছাতে পারবেন সান্তো আমারোয়। সেখান থেকেও পার্কটিতে যাওয়া যায়।
পার্কটিতে ট্র্যাকিং, স্কাই ডাইভিং (বছরের নির্দিষ্ট সময়), ফোর হুইলার গাড়িতে ভ্রমণসহ নানা ধরনের প্যাকেজ আছে ট্যুর অপারেটরদের। তবে বিশাল এই জায়গাটিতে হেঁটে যান কী ফোর হুইলারে চেপে, নিজের মুখ থেকে শুরু কর গাড়ি সবকিছুই যে বালুময় হয়ে যাবে তাতে সন্দেহ নেই।
জাতীয় উদ্যানটির কোনো কোনো ল্যাগুন বিশাল। লাগোয়া বনিতা কিংবা লাগোয়া আজুয়ার অবস্থান বাহেইরিয়াস শহরের কাছে। আতিনস গ্রামের কাছে অবস্থিত লাগোয়া ট্রপিক্যালও দেখার মতো জায়গা। লাগোয়া দ্য গাইভোতা (সিগ্যাল ল্যাগুন) পার্কের সবচেয়ে বড় এবং সুন্দর হ্রদগুলোর একটি।
সূত্র: সিএনএন, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, আনইউজাল প্লেসেস
লিনসয়েস মারেনিসিস জাতীয় উদ্যানে হাজির হলে একে আশ্চর্য সুন্দর এক স্বপ্ন ভেবে গায়ে একটা চিমটি কাটতেই পারেন। বালুর রাজ্যে একটু পরপরই এখানে ছেদ টেনে গেছে একটার পর একটা সবুজ কিংবা নীল হ্রদ। এটা কি মরুভূমি নাকি হ্রদের এক রাজ্য ভেবে ধন্দে পড়বেন। তবে বালিয়াড়ি আর হ্রদ মিলেমিশে যে রীতিমতো অপার্থিব এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে, তা অস্বীকার করতে পারবেন না কোনোভাবেই।
ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মারাইনোতে অবস্থান ৫৯৮ বর্গমাইল আয়তনের জাতীয় উদ্যানটির। প্রথম দেখায় জায়গাটিকে একটি মরুভূমি বলে মনে করেন, তবে দোষ দেওয়া যাবে না আপনাকে। তবে একে সে অর্থে মরুভূমি বলতে পারবেন না আপনি। এখানকার বালিয়াড়িগুলোর মাঝখানে লুকিয়ে আছে আশ্চর্য সুন্দর সব ল্যাগুন বা হ্রদ। কাছাকাছি গেলেই পরিষ্কার হবে বিষয়টা। এ ধরনের ল্যাগুনের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। আর এখানকার কোনো কোনো বালিয়াড়ির উচ্চতা ৫০ ফুটেরও বেশি। তাই কখনো কখনো বালিয়াড়ির কারণে দূর থেকে হ্রদগুলো ঠাহর না-ও করতে পারেন।
আমাজন অববাহিকার ঠিক বাইরে হওয়ায় এখানে বর্ষায় প্রচুর বৃষ্টি হয়। বালিয়াড়ির মাঝখানে জমা বৃষ্টির পানি জন্ম দেয় স্বচ্ছ নীল ও সবুজ ল্যাগুন বা হ্রদের। মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে গেলেই মূলত অসাধারণ এই বৈচিত্র্যময় রূপ দেখতে পারবেন জাতীয় উদ্যানটির। তখন আবহাওয়া থাকে রৌদ্রোজ্জ্বল, ল্যাগুন থাকে পানিতে টইটুম্বুর।
আশ্চর্যজনক হলেও জায়গাটি নানা ধরনের মাছের আবাসস্থল। কিন্তু কথা হলো, শুকনো মৌসুমে সবগুলো ল্যাগুন বা হ্রদই মোটামুটি অদৃশ্য হয়। তাহলে বর্ষায় এভাবে মাছে ভরে যায় কীভাবে এগুলো? পাখিরা সাগর থেকে মাছের ডিম বয়ে আনা। নানাভাবেই আসে পাখিদের মাধ্যমে এই ডিম, পায়ের সঙ্গে লেগে পালকের সঙ্গে আটকে। এমনকি মাছের ডিম ছড়াতে পারে পাখির মলের মাধ্যমে। পার্কটির বৈচিত্র্য আরও বাড়িয়েছে পামগাছ।
এবার বরং জাতীয় উদ্যানটি এর নাম কীভাবে পেল তা জেনে নেওয়া যাক। পর্তুগিজ শব্দ লিনসয়েসের অর্থ বিছানার চাদর। সে হিসেবে এর নামের অর্থ মারাইনোর বিছানার চাদর। নিশ্চয় কোনো কূলকিনারা পাচ্ছেন না এমন নামের। আকাশ থেকে কিংবা ড্রোনে জায়গাটিকে দেখলে তবেই বুঝতে পারবেন বিষয়টি। মনে হয় যেন একটার পর একটা চাদর ফেলে রাখা হয়েছে জলার বুকে।
হাজার হাজার বছরে জন্ম লিনসয়েস মারেনিসিস জাতীয় উদ্যানের। পারনায়িবা ও প্রেগিসাস নদীর বিপুল পলি এসে জমা হয় নদীমুখে। তারপর আটলান্টিক মহাসাগরে। ঢেউয়ে এবং প্রবল বাতাসে এগুলো কয়েক মাইল দূরে নিয়ে আসে। এভাবেই জন্ম হয় বালিয়াড়ির। এদিকে এখানকার মিষ্টি পানির ল্যাগুন বা হ্রদগুলোর পানি বালুর নিচের শক্ত পাথরের কারণে চুইয়ে অন্য কোনো দিকে চলে যেতে পারে না। ব্যাস, সব মিলিয়ে অসাধারণ এক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ মিলে যায় মানুষের।
হ্রদগুলোর আয়তন, গভীরতা এবং কোন কোণে আলো পড়ছে—এসবের ওপর নির্ভর করে এদের জলের রঙে ভিন্নতা থাকে। গাঢ় নীল থেকে শুরু করে স্বচ্ছ সবুজ এমনকি গাঢ় নীল জলের হ্রদও চোখে পড়ে।
তবে আশ্চর্য সুন্দর এই বালু-জলময় রাজ্যে যাওয়াটা খুব সহজ কাজ নয়। প্রথমে উড়োজাহাজে করে সাও পাওলোর মারেশাও কুইয়া মাশাডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়ে যাবেন। সেখান থেকে প্রতিদিন চারবার বাস ছাড়ে নদীতীরের ছোট্ট শহর বাহেইরিয়াস। সময় লাগে ঘণ্টা পাঁচেক। এই শহরটিকে বলতে পারতেন জাতীয় উদ্যানটির প্রধান প্রবেশদ্বার। আবার সাও লুইস থেকে গাড়িতে পৌঁছাতে পারবেন সান্তো আমারোয়। সেখান থেকেও পার্কটিতে যাওয়া যায়।
পার্কটিতে ট্র্যাকিং, স্কাই ডাইভিং (বছরের নির্দিষ্ট সময়), ফোর হুইলার গাড়িতে ভ্রমণসহ নানা ধরনের প্যাকেজ আছে ট্যুর অপারেটরদের। তবে বিশাল এই জায়গাটিতে হেঁটে যান কী ফোর হুইলারে চেপে, নিজের মুখ থেকে শুরু কর গাড়ি সবকিছুই যে বালুময় হয়ে যাবে তাতে সন্দেহ নেই।
জাতীয় উদ্যানটির কোনো কোনো ল্যাগুন বিশাল। লাগোয়া বনিতা কিংবা লাগোয়া আজুয়ার অবস্থান বাহেইরিয়াস শহরের কাছে। আতিনস গ্রামের কাছে অবস্থিত লাগোয়া ট্রপিক্যালও দেখার মতো জায়গা। লাগোয়া দ্য গাইভোতা (সিগ্যাল ল্যাগুন) পার্কের সবচেয়ে বড় এবং সুন্দর হ্রদগুলোর একটি।
সূত্র: সিএনএন, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, আনইউজাল প্লেসেস
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগেইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৫ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১১ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন এই মৃত্যুর ভয়াবহ অবহেলাটিকে সামনে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রিস্টিয়ান একটি রাইডিং মাওয়ার চালানোর সময় পড়ে যায় এবং তখনই তাকে একটি ব্রাউন স্নেক ছোবল দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ। কামড়ের পর ট্রিস্টিয়ানের বাবা কেরড ফ্রাহাম ও আরও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কামড়ের দাগ খুঁজলেও স্পষ্ট কিছু না পেয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন। কেরড মনে করেছিলেন, ছেলে হয়তো মদ্যপ ছিল, তাই অসুস্থ দেখাচ্ছে। পরে তিনি ছেলেকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে ভালো লাগবে।’
কিন্তু পরদিন সকালেই ট্রিস্টিয়ানকে বাড়ির বাইরে একটি স্লিপিং ব্যাগের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার ডান গোড়ালিতে দুটি চিহ্ন ছিল, যা সাপের কামড়ের সঙ্গে মিলে যায়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ব্রাউন স্নেকের বিষে তার দেহে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
করনারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি ট্রিস্টিয়ান সময়মতো চিকিৎসা পেত, তবে তার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হতো।’
এই ঘটনাটি সাপের কামড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এদিকে কেরড ফ্রাহামের বিরুদ্ধে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হলেও গত বছর সেই মামলা রহস্যজনকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন এই মৃত্যুর ভয়াবহ অবহেলাটিকে সামনে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রিস্টিয়ান একটি রাইডিং মাওয়ার চালানোর সময় পড়ে যায় এবং তখনই তাকে একটি ব্রাউন স্নেক ছোবল দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ। কামড়ের পর ট্রিস্টিয়ানের বাবা কেরড ফ্রাহাম ও আরও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কামড়ের দাগ খুঁজলেও স্পষ্ট কিছু না পেয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন। কেরড মনে করেছিলেন, ছেলে হয়তো মদ্যপ ছিল, তাই অসুস্থ দেখাচ্ছে। পরে তিনি ছেলেকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে ভালো লাগবে।’
কিন্তু পরদিন সকালেই ট্রিস্টিয়ানকে বাড়ির বাইরে একটি স্লিপিং ব্যাগের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার ডান গোড়ালিতে দুটি চিহ্ন ছিল, যা সাপের কামড়ের সঙ্গে মিলে যায়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ব্রাউন স্নেকের বিষে তার দেহে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
করনারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি ট্রিস্টিয়ান সময়মতো চিকিৎসা পেত, তবে তার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হতো।’
এই ঘটনাটি সাপের কামড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এদিকে কেরড ফ্রাহামের বিরুদ্ধে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হলেও গত বছর সেই মামলা রহস্যজনকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
বালুর রাজ্যে একটু পরপরই ছেদ টেনে গেছে সবুজ কিংবা নীল কোনো হ্রদ। এটা কি মরুভূমি নাকি হাজারো হ্রদের এক রাজ্য ভেবে ধন্দে পড়বেন। তবে বালিয়াড়ি আর হ্রদ মিলেমিশে যে রীতিমতো অপার্থিব এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে, তা অস্বীকার করতে পারবেন না কোনোভাবেই।
১০ জুলাই ২০২৩ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৫ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১১ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে বিশ্বাসী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর ওই ব্যক্তি গত সেপ্টেম্বরে একটি বোর্ডিং হাউসে স্ত্রীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করলেও পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য গ্রামের প্রবীণদের কাছে যান। প্রবীণেরা ‘মোওয়া সারাপু’ নামে একটি ঐতিহ্যবাহী মিলন-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিরোধ মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
‘মোওয়া সারাপু’ রীতিটি তোলাকি সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা, যার অর্থ ‘ছাড় দেওয়া ও শান্তি স্থাপন করা’। এই রীতির লক্ষ্য প্রতিশোধ নয়, বরং সামাজিক ভারসাম্য ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ, উভয় পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। সবার সামনেই ওই নারীর প্রেমিক তাঁর স্বামীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কাপড়, একটি তামার পাত্র এবং ৫০ লাখ রুপিয়া (প্রায় ৩৬ হাজার টাকা) দেন।
গ্রামপ্রধান সফরুদ্দিন জানান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই দম্পতির বিবাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়। পরে নারীটির স্বামী ও প্রেমিক পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এভাবে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে সমর্পণ করেন স্বামীটি।
তোলাকি প্রবীণদের মতে, এই রীতি কোনো সম্পর্ককে ছোট করার জন্য নয়, বরং নৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এমন প্রথা পালন করা হয়। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেন—কোনো নারী যদি এমন রীতি মেনে আবারও অন্য পুরুষকে বেছে নেয়, তবে তা তাঁর ও পরিবারের জন্য লজ্জার কারণ হবে।
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে বিশ্বাসী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর ওই ব্যক্তি গত সেপ্টেম্বরে একটি বোর্ডিং হাউসে স্ত্রীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করলেও পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য গ্রামের প্রবীণদের কাছে যান। প্রবীণেরা ‘মোওয়া সারাপু’ নামে একটি ঐতিহ্যবাহী মিলন-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিরোধ মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
‘মোওয়া সারাপু’ রীতিটি তোলাকি সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা, যার অর্থ ‘ছাড় দেওয়া ও শান্তি স্থাপন করা’। এই রীতির লক্ষ্য প্রতিশোধ নয়, বরং সামাজিক ভারসাম্য ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ, উভয় পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। সবার সামনেই ওই নারীর প্রেমিক তাঁর স্বামীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কাপড়, একটি তামার পাত্র এবং ৫০ লাখ রুপিয়া (প্রায় ৩৬ হাজার টাকা) দেন।
গ্রামপ্রধান সফরুদ্দিন জানান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই দম্পতির বিবাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়। পরে নারীটির স্বামী ও প্রেমিক পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এভাবে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে সমর্পণ করেন স্বামীটি।
তোলাকি প্রবীণদের মতে, এই রীতি কোনো সম্পর্ককে ছোট করার জন্য নয়, বরং নৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এমন প্রথা পালন করা হয়। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেন—কোনো নারী যদি এমন রীতি মেনে আবারও অন্য পুরুষকে বেছে নেয়, তবে তা তাঁর ও পরিবারের জন্য লজ্জার কারণ হবে।
বালুর রাজ্যে একটু পরপরই ছেদ টেনে গেছে সবুজ কিংবা নীল কোনো হ্রদ। এটা কি মরুভূমি নাকি হাজারো হ্রদের এক রাজ্য ভেবে ধন্দে পড়বেন। তবে বালিয়াড়ি আর হ্রদ মিলেমিশে যে রীতিমতো অপার্থিব এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে, তা অস্বীকার করতে পারবেন না কোনোভাবেই।
১০ জুলাই ২০২৩হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১১ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার বাবা, দাদা এবং কখনো কখনো গোত্রের নাম পর্যন্ত অনুসরণ করে। পশ্চিমা দেশগুলোতেও এমন দীর্ঘ নামের ঐতিহ্য রয়েছে।
যেমন প্রখ্যাত শিল্পীর পুরো নাম পাবলো দিয়েগো হোসে ফ্রান্সিসকো দে পাওলা হুয়ান নেপোমুসেনো মারিয়া দে লোস রেমেদিওস সিপ্রিয়ানো দে লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ রুইজ ওয়াই পিকাসো! তবে পিকাসোর নামের এই আশ্চর্য দৈর্ঘ্যও নিউজিল্যান্ডের লরেন্স ওয়াটকিন্সের নামের কাছে নস্যি। লরেন্স ওয়াটকিন্স বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম নামের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ধারণ করে আছেন।
২,২৫৩ শব্দের নাম
১৯৯০ সালের মার্চে, নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী লরেন্স তাঁর নামের সঙ্গে ২ হাজারটির বেশি মধ্যনাম যুক্ত করার জন্য আইনগতভাবে নিজের নাম পরিবর্তন করেন। তাঁর পুরো নামে বর্তমানে মোট ২ হাজার ২৫৩টি অনন্য শব্দ রয়েছে। এই নাম তাঁকে দীর্ঘতম ব্যক্তিগত নামের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব এনে দিয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর এই অস্বাভাবিক ইচ্ছার কারণ ব্যাখ্যা করেন: ‘আমি সব সময় অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক রেকর্ডগুলোর প্রতি মুগ্ধ ছিলাম। আমি সত্যিই সেই দৃশ্যের অংশ হতে চেয়েছিলাম। আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইটি আগাগোড়া পড়ি এবং দেখি এমন কোনো রেকর্ড আছে কি না যা ভাঙতে পারি। আমার মনে হয়েছিল, বর্তমান রেকর্ডধারীর চেয়ে বেশি নাম যোগ করার রেকর্ডটিই কেবল আমার পক্ষে ভাঙা সম্ভব।’
লরেন্সের নাম পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়াটি ছিল দীর্ঘ এবং কঠিন। সেই সময়ে কম্পিউটারের সীমিত ব্যবহারের কারণে পুরো নামের তালিকা টাইপ করতে তাঁকে কয়েক শ ডলার খরচ করতে হয়েছিল। প্রথমে জেলা আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলেও রেজিস্ট্রার জেনারেল তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তিনি দমে যাননি। নিউজিল্যান্ডের হাইকোর্টে আপিল করেন এবং আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়।
তবে এই ঘটনার পরপরই আইন প্রণেতারা দ্রুত দুটি আইন পরিবর্তন করেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এত সংখ্যক মধ্যনাম যোগ করতে না পারে। শুরুতে এই রেকর্ড ২ হাজার ৩১০টি নাম হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও গিনেসের হালনাগাদকৃত নির্দেশিকা অনুসারে তা পরে ২ হাজার ২৫৩টি নামে সংশোধন করা হয়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, লরেন্স সেই সময় সিটি লাইব্রেরিতে কাজ করতেন এবং লাইব্রেরির বই থেকে নাম সংগ্রহ করতেন বা সহকর্মীদের কাছ থেকে সুপারিশ নিতেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় নাম হলো— AZ 2000, যার অর্থ হলো আমার নামের আদ্যক্ষর A থেকে Z পর্যন্ত আছে এবং আমার মোট ২ হাজারটি নাম আছে।’
তবে এর জন্য মাঝেমধ্যে লরেন্সকে বেশ ভোগান্তিও পোহাতে হয়। মানুষ সহজে বিশ্বাস করতে চায় না। প্রধান সমস্যা হয় সরকারি দপ্তরগুলোতে গেলে। কারণ, সরকারি কোনো পরিচয়পত্রে তাঁর পুরো নাম ধরানো সম্ভব হয় না!
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার বাবা, দাদা এবং কখনো কখনো গোত্রের নাম পর্যন্ত অনুসরণ করে। পশ্চিমা দেশগুলোতেও এমন দীর্ঘ নামের ঐতিহ্য রয়েছে।
যেমন প্রখ্যাত শিল্পীর পুরো নাম পাবলো দিয়েগো হোসে ফ্রান্সিসকো দে পাওলা হুয়ান নেপোমুসেনো মারিয়া দে লোস রেমেদিওস সিপ্রিয়ানো দে লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ রুইজ ওয়াই পিকাসো! তবে পিকাসোর নামের এই আশ্চর্য দৈর্ঘ্যও নিউজিল্যান্ডের লরেন্স ওয়াটকিন্সের নামের কাছে নস্যি। লরেন্স ওয়াটকিন্স বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম নামের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ধারণ করে আছেন।
২,২৫৩ শব্দের নাম
১৯৯০ সালের মার্চে, নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী লরেন্স তাঁর নামের সঙ্গে ২ হাজারটির বেশি মধ্যনাম যুক্ত করার জন্য আইনগতভাবে নিজের নাম পরিবর্তন করেন। তাঁর পুরো নামে বর্তমানে মোট ২ হাজার ২৫৩টি অনন্য শব্দ রয়েছে। এই নাম তাঁকে দীর্ঘতম ব্যক্তিগত নামের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব এনে দিয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর এই অস্বাভাবিক ইচ্ছার কারণ ব্যাখ্যা করেন: ‘আমি সব সময় অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক রেকর্ডগুলোর প্রতি মুগ্ধ ছিলাম। আমি সত্যিই সেই দৃশ্যের অংশ হতে চেয়েছিলাম। আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইটি আগাগোড়া পড়ি এবং দেখি এমন কোনো রেকর্ড আছে কি না যা ভাঙতে পারি। আমার মনে হয়েছিল, বর্তমান রেকর্ডধারীর চেয়ে বেশি নাম যোগ করার রেকর্ডটিই কেবল আমার পক্ষে ভাঙা সম্ভব।’
লরেন্সের নাম পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়াটি ছিল দীর্ঘ এবং কঠিন। সেই সময়ে কম্পিউটারের সীমিত ব্যবহারের কারণে পুরো নামের তালিকা টাইপ করতে তাঁকে কয়েক শ ডলার খরচ করতে হয়েছিল। প্রথমে জেলা আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলেও রেজিস্ট্রার জেনারেল তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তিনি দমে যাননি। নিউজিল্যান্ডের হাইকোর্টে আপিল করেন এবং আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়।
তবে এই ঘটনার পরপরই আইন প্রণেতারা দ্রুত দুটি আইন পরিবর্তন করেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এত সংখ্যক মধ্যনাম যোগ করতে না পারে। শুরুতে এই রেকর্ড ২ হাজার ৩১০টি নাম হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও গিনেসের হালনাগাদকৃত নির্দেশিকা অনুসারে তা পরে ২ হাজার ২৫৩টি নামে সংশোধন করা হয়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, লরেন্স সেই সময় সিটি লাইব্রেরিতে কাজ করতেন এবং লাইব্রেরির বই থেকে নাম সংগ্রহ করতেন বা সহকর্মীদের কাছ থেকে সুপারিশ নিতেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় নাম হলো— AZ 2000, যার অর্থ হলো আমার নামের আদ্যক্ষর A থেকে Z পর্যন্ত আছে এবং আমার মোট ২ হাজারটি নাম আছে।’
তবে এর জন্য মাঝেমধ্যে লরেন্সকে বেশ ভোগান্তিও পোহাতে হয়। মানুষ সহজে বিশ্বাস করতে চায় না। প্রধান সমস্যা হয় সরকারি দপ্তরগুলোতে গেলে। কারণ, সরকারি কোনো পরিচয়পত্রে তাঁর পুরো নাম ধরানো সম্ভব হয় না!
বালুর রাজ্যে একটু পরপরই ছেদ টেনে গেছে সবুজ কিংবা নীল কোনো হ্রদ। এটা কি মরুভূমি নাকি হাজারো হ্রদের এক রাজ্য ভেবে ধন্দে পড়বেন। তবে বালিয়াড়ি আর হ্রদ মিলেমিশে যে রীতিমতো অপার্থিব এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে, তা অস্বীকার করতে পারবেন না কোনোভাবেই।
১০ জুলাই ২০২৩হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগেইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৫ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
উত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে নাচছেন।
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘আমাদের পরিচালক বয়স্কদের ওষুধ খাওয়াতে যা যা করা দরকার, সবই করছেন।’ ভিডিওতে ওই নারীকে প্রাণবন্তভাবে নাচতে দেখা যায়। হাঁটু পর্যন্ত কালো মোজা পরিহিত অবস্থায় কোমর দোলাতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর নীল ইউনিফর্ম পরা অন্য এক কর্মী এক প্রবীণ পুরুষের কাছে গিয়ে তাঁকে ওষুধ খাওয়ান।
নার্সিং হোমটির অনলাইন প্রোফাইল অনুযায়ী, এটি নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া এক পরিচালকের উদ্যোগে পরিচালিত আনন্দমুখর অবসর নিবাস, যারা প্রবীণদের সুখী রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রোফাইলে আরও লেখা আছে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, বার্ধক্যের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।’
ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, ‘এখন কি প্রবীণ যত্ন খাতে ইঙ্গিতপূর্ণ নাচও ঢুকে পড়েছে?’ জবাবে নার্সিং হোমের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট লিখেছে, ‘সবকিছুই ইঙ্গিতপূর্ণ নাচের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।’
গত ২৫ সেপ্টেম্বর নানগুও মেট্রোপলিস ডেইলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নার্সিং হোমের পরিচালক জানান, ভিডিওতে থাকা নারী আসলে প্রবীণ যত্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী। তিনি স্বীকার করেন যে ভিডিওটি ‘অনুপযুক্ত’ ছিল, তবে ভবিষ্যতে ওই সিনিয়র কর্মীকে আরও সতর্ক হতে বলা হবে। পরিচালক আরও বলেন, ‘যদিও ওই নারী মাঝেমধ্যে প্রচারণামূলক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি কোনো পেশাদার নৃত্যশিল্পী নন। সাধারণত এই হোমে বিনোদনের জন্য তাস খেলা ও গান গাওয়ার মতো প্রচলিত আয়োজন করা হয়।’
অন্য এক কর্মী পরে জানান, ওই নাচের ভিডিওগুলোর উদ্দেশ্য ছিল চীনের নার্সিং হোমগুলোকে নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করা। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম যে নার্সিং হোম কোনো নিস্তেজ জায়গা নয়। এখানেও প্রাণবন্ততা আছে, প্রবীণেরাও প্রাণবন্ত হতে পারেন। তবে এখন বুঝতে পারছি, এই পদ্ধতির ভালো-মন্দ দুটোই আছে।’
জনরোষ বাড়তে থাকায় নার্সিং হোমটির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পরে শতাধিক এই সম্পর্কিত ভিডিও মুছে ফেলা হয়। আনইয়াং সিভিল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর প্রবীণ সেবা বিভাগ জানিয়েছে, ঘটনাটির বিস্তারিত তদন্ত করা হবে এবং ফলাফল জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটির প্রবীণ জনগোষ্ঠী দ্রুত বাড়ছে। ২০২৪ সালের শেষে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১ কোটি, যা মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ।
তথ্যসূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
উত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে নাচছেন।
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘আমাদের পরিচালক বয়স্কদের ওষুধ খাওয়াতে যা যা করা দরকার, সবই করছেন।’ ভিডিওতে ওই নারীকে প্রাণবন্তভাবে নাচতে দেখা যায়। হাঁটু পর্যন্ত কালো মোজা পরিহিত অবস্থায় কোমর দোলাতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর নীল ইউনিফর্ম পরা অন্য এক কর্মী এক প্রবীণ পুরুষের কাছে গিয়ে তাঁকে ওষুধ খাওয়ান।
নার্সিং হোমটির অনলাইন প্রোফাইল অনুযায়ী, এটি নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া এক পরিচালকের উদ্যোগে পরিচালিত আনন্দমুখর অবসর নিবাস, যারা প্রবীণদের সুখী রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রোফাইলে আরও লেখা আছে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, বার্ধক্যের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।’
ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, ‘এখন কি প্রবীণ যত্ন খাতে ইঙ্গিতপূর্ণ নাচও ঢুকে পড়েছে?’ জবাবে নার্সিং হোমের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট লিখেছে, ‘সবকিছুই ইঙ্গিতপূর্ণ নাচের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।’
গত ২৫ সেপ্টেম্বর নানগুও মেট্রোপলিস ডেইলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নার্সিং হোমের পরিচালক জানান, ভিডিওতে থাকা নারী আসলে প্রবীণ যত্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী। তিনি স্বীকার করেন যে ভিডিওটি ‘অনুপযুক্ত’ ছিল, তবে ভবিষ্যতে ওই সিনিয়র কর্মীকে আরও সতর্ক হতে বলা হবে। পরিচালক আরও বলেন, ‘যদিও ওই নারী মাঝেমধ্যে প্রচারণামূলক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি কোনো পেশাদার নৃত্যশিল্পী নন। সাধারণত এই হোমে বিনোদনের জন্য তাস খেলা ও গান গাওয়ার মতো প্রচলিত আয়োজন করা হয়।’
অন্য এক কর্মী পরে জানান, ওই নাচের ভিডিওগুলোর উদ্দেশ্য ছিল চীনের নার্সিং হোমগুলোকে নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করা। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম যে নার্সিং হোম কোনো নিস্তেজ জায়গা নয়। এখানেও প্রাণবন্ততা আছে, প্রবীণেরাও প্রাণবন্ত হতে পারেন। তবে এখন বুঝতে পারছি, এই পদ্ধতির ভালো-মন্দ দুটোই আছে।’
জনরোষ বাড়তে থাকায় নার্সিং হোমটির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পরে শতাধিক এই সম্পর্কিত ভিডিও মুছে ফেলা হয়। আনইয়াং সিভিল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর প্রবীণ সেবা বিভাগ জানিয়েছে, ঘটনাটির বিস্তারিত তদন্ত করা হবে এবং ফলাফল জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটির প্রবীণ জনগোষ্ঠী দ্রুত বাড়ছে। ২০২৪ সালের শেষে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১ কোটি, যা মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ।
তথ্যসূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
বালুর রাজ্যে একটু পরপরই ছেদ টেনে গেছে সবুজ কিংবা নীল কোনো হ্রদ। এটা কি মরুভূমি নাকি হাজারো হ্রদের এক রাজ্য ভেবে ধন্দে পড়বেন। তবে বালিয়াড়ি আর হ্রদ মিলেমিশে যে রীতিমতো অপার্থিব এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে, তা অস্বীকার করতে পারবেন না কোনোভাবেই।
১০ জুলাই ২০২৩হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগেইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৫ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১১ দিন আগে