ইশতিয়াক হাসান

জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ট্রেনে দুই ঘণ্টার কম সময়ে পৌঁছে যেতে পারবেন নারা শহরে। নারা প্রশাসনিক অঞ্চলের রাজধানী এটি। মন্দির, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ, পৃথিবীর সবচেয়ে কাঠের দালানগুলোর একটি এবং বুদ্ধের বিশাল এক ভাস্কর্যের জন্য শহরটি বিখ্যাত। তবে নারার আরেকটি আশ্চর্য বিষয় আছে, শহরময় মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায় হাজারের বেশি হরিণ। বলা চলে নারাতে যেসব পর্যটক আসেন, তাঁদের একটি বড় অংশই আসেন স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানো এই হরিণদের দেখতে।
মজার ঘটনা নারা একসময় জাপানের রাজধানীও ছিল। সেটি অবশ্য প্রায় দেড় হাজার বছর আগের ঘটনা। ৭১০ সাল থেকে ৭৮৪ সাল পর্যন্ত প্রাচীন শহরটি জাপানের রাজধানী ছিল। বর্তমানে শহরটিতে মুক্তভাবে বিচরণ করা হরিণের সংখ্যা ১২০০। এগুলোর মূল বাসস্থান অবশ্য নারা পার্ক।
স্থানীয় কিংবদন্তি ও গল্পগাথা অনুসারে তাকেমিকাজুচি নামের এক দেবতা পুরোনো শহরের রক্ষাকর্তা হিসেবে হাজির হয়েছিলেন, এক সাদা হরিণের পিঠে সওয়ার হয়ে। আর এ কারণেই পবিত্র প্রাণী হিসেবে নারায় বিবেচিত হয় হরিণ। তেমনি স্থানীয় শিন্তো ধর্মাবলম্বীদের কাছেও এই হরিণেরা পরিচিত দেবতার দূত হিসেবে। একটা সময় পর্যন্ত নারার এই হরিণদের হত্যার শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড। পরে এ নিয়ম বাতিল করা হয়। যতদূর জানা যায়, এ ধরনের মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা সর্বশেষ ঘটে ১৬৩৭ সালে। এখন অবশ্য জাতীয় সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয় এই হরিণদের। ২০১০ সালে ৪০ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তিকে ১০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তীর-ধনুক দিয়ে একটি হরিণ হত্যার করার অপরাধে।
অবশ্য হরিণদের এখানে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ প্রাণী হিসেবে জায়গা করে নেওয়া নিয়ে আরও নানা গল্পগাথা বা ঘটনা প্রচলিত আছে। ১১৭৭ সালে কুজো কানিজানে নামের এক স্থানীয় গোত্র প্রধান পরিবার-পরিজন নিয়ে জায়গাটি ভ্রমণে আসেন। এ সময় হরিণদের একটি পালের মুখোমুখি হন তাঁরা। এ সময় একটি শিশু ঘোড়ার গাড়ি থেকে বের হয়ে হরিণদের বো করে অভিবাদন জানায়। এর এক যুগ পর ১১৮৯ সালে একটি মন্দিরের পুনর্নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করছিলেন কানিজান। এ সময় একটি হরিণ মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করে। অভিভূত কানিজান দুই হাত জড়ো এবং মাথা নিচু করে অভিবাদন জানান হরিণটিকে। তার পর থেকে হরিণেরা আরও বেশি করে শুভ ঘটনার বার্তাবাহী হিসেবে পরিচিতি পায়।
নারা পার্কের মধ্যেই বেশি দেখা মেলে এই হরিণদের। বলতে পারেন এদের মূল বাসস্থান নারা পার্ক। সেখানে পর্যটক আসেন প্রচুর, খাবারও থাকে অনেক। তবে কিছু কিছু হরিণকে আবার দেখা যায় রাস্তা ধরে ঘুরে বেড়াতে, রেস্তোরাঁয় ঢুকে পড়তে কিংবা খাবার বিক্রি করার জায়গার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে। কখনো কখনো খাবারের খোঁজে কোনো পর্যটকের জামার হাতা কামড়াতেও দেখা যায় এদের। গোটা শহরময় স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানো হরিণদের দেখা পাবেন পার্কিং লট, অফিসের সামনে, বাসস্টপ এমনকি স্থানীয়দের বাড়ির সামনেও। এদের কোনো কোনোটিকে শহরের মানুষেরা আদর করে নামও দিয়েছে।
শত শত বছর ধরে মানুষের কাছ থেকে খুব দয়ালু আচরণ পেয়ে এ হরিণেরা বেশ সাহসী হয়ে উঠেছে। কখনো কখনো এদের দু-একটির আচরণ কিছুটা বেপরোয়াও হয়ে ওঠে। যেমন পর্যটকেরা যেখান থেকে হরিণদের জন্য ক্র্যাকার বা বিস্কুট কেনেন, সেখানে হরিণেরা কখনো কখনো কোনো পর্যটককে কোণঠাসা করে ফেলে। এমনকি চাবি কিংবা ক্যামেরা কামড়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। তবে এদের এ সময় বিরক্তিসূচক শব্দ করে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাতেও সমস্যা আছে। কারণ এদের প্রতি একটি অসন্তোষ প্রকাশও অপছন্দ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
তবে তাই বলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। হরিণেরা মোটেই অকৃতজ্ঞ নয়। এদের বেশির ভাগই খাবার পাওয়ার পর স্থানীয় প্রথা অনুসারে আপনাকে বো করবে অর্থাৎ মাথা ঝুঁকিয়ে সম্মান জানাবে।
এই হরিণেরা অবশ্য অনেক কিছুই এখন বুঝে গেছে। এদের অনেক সময়ই দেখা যায় পার্কের মধ্যে কিংবা বাইরের রাস্তায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সিগন্যাল বাতি পরিবর্তনের অপেক্ষা করছে। এদের অনেককেই মন্দিরের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অনেক সময়ই পর্যটকদের সামনে খুব শান্তশিষ্টভাবে পোজ নিয়ে দাঁড়াতেও দেখা যায় তাদের। কোনোভাবে এরা বুঝে গেছে চমৎকার একটি ইনস্টাগ্রাম পিকচারের জন্য ভালোভাবে দাঁড়াতে পারলে প্রচুর পরিমাণে মুখরোচক খাবার মিলবে।
নারার ট্রেন থেকে নেমে পর্যটকেরা স্টেশনের চারপাশে হরিণদের নিয়ে নানা ধরনের শিল্পকর্মের দেখা পাবেন। এর মধ্যে আছে শিকামারো-কান নামের একটি সুন্দর হরিণের কার্টুন আর শেন্তো-কান নামের শিংসহ একটি শিশু হরিণের মাসকট। এমনকি স্থানীয় ভেন্ডিং মেশিনগুলোতেও দেখবেন হরিণদের নানা ধরনের কার্টুন, ছবি।
১৮৮০ সালে স্থাপন করা নারা পার্ক জাপানের সবচেয়ে পুরোনো পার্কগুলোর একটি। হরিণদের জন্য বিখ্যাত হলেও সেখানে পাবেন কফোকুজি মন্দির। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কাঠের কাঠামোগুলোর একটি ও ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট তোদাইজি মন্দিরের অবস্থানও পার্কের সীমানায়। শহরেই পাবেন ন্যাশনাল ট্রেজার মিউজিয়াম, যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের অনেক নিদর্শন ও শিল্পকর্ম আছে।
সূত্র: সিএনএন, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট

জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ট্রেনে দুই ঘণ্টার কম সময়ে পৌঁছে যেতে পারবেন নারা শহরে। নারা প্রশাসনিক অঞ্চলের রাজধানী এটি। মন্দির, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ, পৃথিবীর সবচেয়ে কাঠের দালানগুলোর একটি এবং বুদ্ধের বিশাল এক ভাস্কর্যের জন্য শহরটি বিখ্যাত। তবে নারার আরেকটি আশ্চর্য বিষয় আছে, শহরময় মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায় হাজারের বেশি হরিণ। বলা চলে নারাতে যেসব পর্যটক আসেন, তাঁদের একটি বড় অংশই আসেন স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানো এই হরিণদের দেখতে।
মজার ঘটনা নারা একসময় জাপানের রাজধানীও ছিল। সেটি অবশ্য প্রায় দেড় হাজার বছর আগের ঘটনা। ৭১০ সাল থেকে ৭৮৪ সাল পর্যন্ত প্রাচীন শহরটি জাপানের রাজধানী ছিল। বর্তমানে শহরটিতে মুক্তভাবে বিচরণ করা হরিণের সংখ্যা ১২০০। এগুলোর মূল বাসস্থান অবশ্য নারা পার্ক।
স্থানীয় কিংবদন্তি ও গল্পগাথা অনুসারে তাকেমিকাজুচি নামের এক দেবতা পুরোনো শহরের রক্ষাকর্তা হিসেবে হাজির হয়েছিলেন, এক সাদা হরিণের পিঠে সওয়ার হয়ে। আর এ কারণেই পবিত্র প্রাণী হিসেবে নারায় বিবেচিত হয় হরিণ। তেমনি স্থানীয় শিন্তো ধর্মাবলম্বীদের কাছেও এই হরিণেরা পরিচিত দেবতার দূত হিসেবে। একটা সময় পর্যন্ত নারার এই হরিণদের হত্যার শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড। পরে এ নিয়ম বাতিল করা হয়। যতদূর জানা যায়, এ ধরনের মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা সর্বশেষ ঘটে ১৬৩৭ সালে। এখন অবশ্য জাতীয় সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয় এই হরিণদের। ২০১০ সালে ৪০ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তিকে ১০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তীর-ধনুক দিয়ে একটি হরিণ হত্যার করার অপরাধে।
অবশ্য হরিণদের এখানে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ প্রাণী হিসেবে জায়গা করে নেওয়া নিয়ে আরও নানা গল্পগাথা বা ঘটনা প্রচলিত আছে। ১১৭৭ সালে কুজো কানিজানে নামের এক স্থানীয় গোত্র প্রধান পরিবার-পরিজন নিয়ে জায়গাটি ভ্রমণে আসেন। এ সময় হরিণদের একটি পালের মুখোমুখি হন তাঁরা। এ সময় একটি শিশু ঘোড়ার গাড়ি থেকে বের হয়ে হরিণদের বো করে অভিবাদন জানায়। এর এক যুগ পর ১১৮৯ সালে একটি মন্দিরের পুনর্নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করছিলেন কানিজান। এ সময় একটি হরিণ মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করে। অভিভূত কানিজান দুই হাত জড়ো এবং মাথা নিচু করে অভিবাদন জানান হরিণটিকে। তার পর থেকে হরিণেরা আরও বেশি করে শুভ ঘটনার বার্তাবাহী হিসেবে পরিচিতি পায়।
নারা পার্কের মধ্যেই বেশি দেখা মেলে এই হরিণদের। বলতে পারেন এদের মূল বাসস্থান নারা পার্ক। সেখানে পর্যটক আসেন প্রচুর, খাবারও থাকে অনেক। তবে কিছু কিছু হরিণকে আবার দেখা যায় রাস্তা ধরে ঘুরে বেড়াতে, রেস্তোরাঁয় ঢুকে পড়তে কিংবা খাবার বিক্রি করার জায়গার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে। কখনো কখনো খাবারের খোঁজে কোনো পর্যটকের জামার হাতা কামড়াতেও দেখা যায় এদের। গোটা শহরময় স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানো হরিণদের দেখা পাবেন পার্কিং লট, অফিসের সামনে, বাসস্টপ এমনকি স্থানীয়দের বাড়ির সামনেও। এদের কোনো কোনোটিকে শহরের মানুষেরা আদর করে নামও দিয়েছে।
শত শত বছর ধরে মানুষের কাছ থেকে খুব দয়ালু আচরণ পেয়ে এ হরিণেরা বেশ সাহসী হয়ে উঠেছে। কখনো কখনো এদের দু-একটির আচরণ কিছুটা বেপরোয়াও হয়ে ওঠে। যেমন পর্যটকেরা যেখান থেকে হরিণদের জন্য ক্র্যাকার বা বিস্কুট কেনেন, সেখানে হরিণেরা কখনো কখনো কোনো পর্যটককে কোণঠাসা করে ফেলে। এমনকি চাবি কিংবা ক্যামেরা কামড়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। তবে এদের এ সময় বিরক্তিসূচক শব্দ করে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাতেও সমস্যা আছে। কারণ এদের প্রতি একটি অসন্তোষ প্রকাশও অপছন্দ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
তবে তাই বলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। হরিণেরা মোটেই অকৃতজ্ঞ নয়। এদের বেশির ভাগই খাবার পাওয়ার পর স্থানীয় প্রথা অনুসারে আপনাকে বো করবে অর্থাৎ মাথা ঝুঁকিয়ে সম্মান জানাবে।
এই হরিণেরা অবশ্য অনেক কিছুই এখন বুঝে গেছে। এদের অনেক সময়ই দেখা যায় পার্কের মধ্যে কিংবা বাইরের রাস্তায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সিগন্যাল বাতি পরিবর্তনের অপেক্ষা করছে। এদের অনেককেই মন্দিরের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অনেক সময়ই পর্যটকদের সামনে খুব শান্তশিষ্টভাবে পোজ নিয়ে দাঁড়াতেও দেখা যায় তাদের। কোনোভাবে এরা বুঝে গেছে চমৎকার একটি ইনস্টাগ্রাম পিকচারের জন্য ভালোভাবে দাঁড়াতে পারলে প্রচুর পরিমাণে মুখরোচক খাবার মিলবে।
নারার ট্রেন থেকে নেমে পর্যটকেরা স্টেশনের চারপাশে হরিণদের নিয়ে নানা ধরনের শিল্পকর্মের দেখা পাবেন। এর মধ্যে আছে শিকামারো-কান নামের একটি সুন্দর হরিণের কার্টুন আর শেন্তো-কান নামের শিংসহ একটি শিশু হরিণের মাসকট। এমনকি স্থানীয় ভেন্ডিং মেশিনগুলোতেও দেখবেন হরিণদের নানা ধরনের কার্টুন, ছবি।
১৮৮০ সালে স্থাপন করা নারা পার্ক জাপানের সবচেয়ে পুরোনো পার্কগুলোর একটি। হরিণদের জন্য বিখ্যাত হলেও সেখানে পাবেন কফোকুজি মন্দির। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কাঠের কাঠামোগুলোর একটি ও ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট তোদাইজি মন্দিরের অবস্থানও পার্কের সীমানায়। শহরেই পাবেন ন্যাশনাল ট্রেজার মিউজিয়াম, যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের অনেক নিদর্শন ও শিল্পকর্ম আছে।
সূত্র: সিএনএন, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট
ইশতিয়াক হাসান

জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ট্রেনে দুই ঘণ্টার কম সময়ে পৌঁছে যেতে পারবেন নারা শহরে। নারা প্রশাসনিক অঞ্চলের রাজধানী এটি। মন্দির, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ, পৃথিবীর সবচেয়ে কাঠের দালানগুলোর একটি এবং বুদ্ধের বিশাল এক ভাস্কর্যের জন্য শহরটি বিখ্যাত। তবে নারার আরেকটি আশ্চর্য বিষয় আছে, শহরময় মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায় হাজারের বেশি হরিণ। বলা চলে নারাতে যেসব পর্যটক আসেন, তাঁদের একটি বড় অংশই আসেন স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানো এই হরিণদের দেখতে।
মজার ঘটনা নারা একসময় জাপানের রাজধানীও ছিল। সেটি অবশ্য প্রায় দেড় হাজার বছর আগের ঘটনা। ৭১০ সাল থেকে ৭৮৪ সাল পর্যন্ত প্রাচীন শহরটি জাপানের রাজধানী ছিল। বর্তমানে শহরটিতে মুক্তভাবে বিচরণ করা হরিণের সংখ্যা ১২০০। এগুলোর মূল বাসস্থান অবশ্য নারা পার্ক।
স্থানীয় কিংবদন্তি ও গল্পগাথা অনুসারে তাকেমিকাজুচি নামের এক দেবতা পুরোনো শহরের রক্ষাকর্তা হিসেবে হাজির হয়েছিলেন, এক সাদা হরিণের পিঠে সওয়ার হয়ে। আর এ কারণেই পবিত্র প্রাণী হিসেবে নারায় বিবেচিত হয় হরিণ। তেমনি স্থানীয় শিন্তো ধর্মাবলম্বীদের কাছেও এই হরিণেরা পরিচিত দেবতার দূত হিসেবে। একটা সময় পর্যন্ত নারার এই হরিণদের হত্যার শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড। পরে এ নিয়ম বাতিল করা হয়। যতদূর জানা যায়, এ ধরনের মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা সর্বশেষ ঘটে ১৬৩৭ সালে। এখন অবশ্য জাতীয় সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয় এই হরিণদের। ২০১০ সালে ৪০ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তিকে ১০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তীর-ধনুক দিয়ে একটি হরিণ হত্যার করার অপরাধে।
অবশ্য হরিণদের এখানে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ প্রাণী হিসেবে জায়গা করে নেওয়া নিয়ে আরও নানা গল্পগাথা বা ঘটনা প্রচলিত আছে। ১১৭৭ সালে কুজো কানিজানে নামের এক স্থানীয় গোত্র প্রধান পরিবার-পরিজন নিয়ে জায়গাটি ভ্রমণে আসেন। এ সময় হরিণদের একটি পালের মুখোমুখি হন তাঁরা। এ সময় একটি শিশু ঘোড়ার গাড়ি থেকে বের হয়ে হরিণদের বো করে অভিবাদন জানায়। এর এক যুগ পর ১১৮৯ সালে একটি মন্দিরের পুনর্নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করছিলেন কানিজান। এ সময় একটি হরিণ মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করে। অভিভূত কানিজান দুই হাত জড়ো এবং মাথা নিচু করে অভিবাদন জানান হরিণটিকে। তার পর থেকে হরিণেরা আরও বেশি করে শুভ ঘটনার বার্তাবাহী হিসেবে পরিচিতি পায়।
নারা পার্কের মধ্যেই বেশি দেখা মেলে এই হরিণদের। বলতে পারেন এদের মূল বাসস্থান নারা পার্ক। সেখানে পর্যটক আসেন প্রচুর, খাবারও থাকে অনেক। তবে কিছু কিছু হরিণকে আবার দেখা যায় রাস্তা ধরে ঘুরে বেড়াতে, রেস্তোরাঁয় ঢুকে পড়তে কিংবা খাবার বিক্রি করার জায়গার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে। কখনো কখনো খাবারের খোঁজে কোনো পর্যটকের জামার হাতা কামড়াতেও দেখা যায় এদের। গোটা শহরময় স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানো হরিণদের দেখা পাবেন পার্কিং লট, অফিসের সামনে, বাসস্টপ এমনকি স্থানীয়দের বাড়ির সামনেও। এদের কোনো কোনোটিকে শহরের মানুষেরা আদর করে নামও দিয়েছে।
শত শত বছর ধরে মানুষের কাছ থেকে খুব দয়ালু আচরণ পেয়ে এ হরিণেরা বেশ সাহসী হয়ে উঠেছে। কখনো কখনো এদের দু-একটির আচরণ কিছুটা বেপরোয়াও হয়ে ওঠে। যেমন পর্যটকেরা যেখান থেকে হরিণদের জন্য ক্র্যাকার বা বিস্কুট কেনেন, সেখানে হরিণেরা কখনো কখনো কোনো পর্যটককে কোণঠাসা করে ফেলে। এমনকি চাবি কিংবা ক্যামেরা কামড়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। তবে এদের এ সময় বিরক্তিসূচক শব্দ করে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাতেও সমস্যা আছে। কারণ এদের প্রতি একটি অসন্তোষ প্রকাশও অপছন্দ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
তবে তাই বলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। হরিণেরা মোটেই অকৃতজ্ঞ নয়। এদের বেশির ভাগই খাবার পাওয়ার পর স্থানীয় প্রথা অনুসারে আপনাকে বো করবে অর্থাৎ মাথা ঝুঁকিয়ে সম্মান জানাবে।
এই হরিণেরা অবশ্য অনেক কিছুই এখন বুঝে গেছে। এদের অনেক সময়ই দেখা যায় পার্কের মধ্যে কিংবা বাইরের রাস্তায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সিগন্যাল বাতি পরিবর্তনের অপেক্ষা করছে। এদের অনেককেই মন্দিরের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অনেক সময়ই পর্যটকদের সামনে খুব শান্তশিষ্টভাবে পোজ নিয়ে দাঁড়াতেও দেখা যায় তাদের। কোনোভাবে এরা বুঝে গেছে চমৎকার একটি ইনস্টাগ্রাম পিকচারের জন্য ভালোভাবে দাঁড়াতে পারলে প্রচুর পরিমাণে মুখরোচক খাবার মিলবে।
নারার ট্রেন থেকে নেমে পর্যটকেরা স্টেশনের চারপাশে হরিণদের নিয়ে নানা ধরনের শিল্পকর্মের দেখা পাবেন। এর মধ্যে আছে শিকামারো-কান নামের একটি সুন্দর হরিণের কার্টুন আর শেন্তো-কান নামের শিংসহ একটি শিশু হরিণের মাসকট। এমনকি স্থানীয় ভেন্ডিং মেশিনগুলোতেও দেখবেন হরিণদের নানা ধরনের কার্টুন, ছবি।
১৮৮০ সালে স্থাপন করা নারা পার্ক জাপানের সবচেয়ে পুরোনো পার্কগুলোর একটি। হরিণদের জন্য বিখ্যাত হলেও সেখানে পাবেন কফোকুজি মন্দির। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কাঠের কাঠামোগুলোর একটি ও ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট তোদাইজি মন্দিরের অবস্থানও পার্কের সীমানায়। শহরেই পাবেন ন্যাশনাল ট্রেজার মিউজিয়াম, যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের অনেক নিদর্শন ও শিল্পকর্ম আছে।
সূত্র: সিএনএন, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট

জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ট্রেনে দুই ঘণ্টার কম সময়ে পৌঁছে যেতে পারবেন নারা শহরে। নারা প্রশাসনিক অঞ্চলের রাজধানী এটি। মন্দির, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ, পৃথিবীর সবচেয়ে কাঠের দালানগুলোর একটি এবং বুদ্ধের বিশাল এক ভাস্কর্যের জন্য শহরটি বিখ্যাত। তবে নারার আরেকটি আশ্চর্য বিষয় আছে, শহরময় মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায় হাজারের বেশি হরিণ। বলা চলে নারাতে যেসব পর্যটক আসেন, তাঁদের একটি বড় অংশই আসেন স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানো এই হরিণদের দেখতে।
মজার ঘটনা নারা একসময় জাপানের রাজধানীও ছিল। সেটি অবশ্য প্রায় দেড় হাজার বছর আগের ঘটনা। ৭১০ সাল থেকে ৭৮৪ সাল পর্যন্ত প্রাচীন শহরটি জাপানের রাজধানী ছিল। বর্তমানে শহরটিতে মুক্তভাবে বিচরণ করা হরিণের সংখ্যা ১২০০। এগুলোর মূল বাসস্থান অবশ্য নারা পার্ক।
স্থানীয় কিংবদন্তি ও গল্পগাথা অনুসারে তাকেমিকাজুচি নামের এক দেবতা পুরোনো শহরের রক্ষাকর্তা হিসেবে হাজির হয়েছিলেন, এক সাদা হরিণের পিঠে সওয়ার হয়ে। আর এ কারণেই পবিত্র প্রাণী হিসেবে নারায় বিবেচিত হয় হরিণ। তেমনি স্থানীয় শিন্তো ধর্মাবলম্বীদের কাছেও এই হরিণেরা পরিচিত দেবতার দূত হিসেবে। একটা সময় পর্যন্ত নারার এই হরিণদের হত্যার শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড। পরে এ নিয়ম বাতিল করা হয়। যতদূর জানা যায়, এ ধরনের মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা সর্বশেষ ঘটে ১৬৩৭ সালে। এখন অবশ্য জাতীয় সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয় এই হরিণদের। ২০১০ সালে ৪০ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তিকে ১০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তীর-ধনুক দিয়ে একটি হরিণ হত্যার করার অপরাধে।
অবশ্য হরিণদের এখানে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ প্রাণী হিসেবে জায়গা করে নেওয়া নিয়ে আরও নানা গল্পগাথা বা ঘটনা প্রচলিত আছে। ১১৭৭ সালে কুজো কানিজানে নামের এক স্থানীয় গোত্র প্রধান পরিবার-পরিজন নিয়ে জায়গাটি ভ্রমণে আসেন। এ সময় হরিণদের একটি পালের মুখোমুখি হন তাঁরা। এ সময় একটি শিশু ঘোড়ার গাড়ি থেকে বের হয়ে হরিণদের বো করে অভিবাদন জানায়। এর এক যুগ পর ১১৮৯ সালে একটি মন্দিরের পুনর্নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করছিলেন কানিজান। এ সময় একটি হরিণ মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করে। অভিভূত কানিজান দুই হাত জড়ো এবং মাথা নিচু করে অভিবাদন জানান হরিণটিকে। তার পর থেকে হরিণেরা আরও বেশি করে শুভ ঘটনার বার্তাবাহী হিসেবে পরিচিতি পায়।
নারা পার্কের মধ্যেই বেশি দেখা মেলে এই হরিণদের। বলতে পারেন এদের মূল বাসস্থান নারা পার্ক। সেখানে পর্যটক আসেন প্রচুর, খাবারও থাকে অনেক। তবে কিছু কিছু হরিণকে আবার দেখা যায় রাস্তা ধরে ঘুরে বেড়াতে, রেস্তোরাঁয় ঢুকে পড়তে কিংবা খাবার বিক্রি করার জায়গার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে। কখনো কখনো খাবারের খোঁজে কোনো পর্যটকের জামার হাতা কামড়াতেও দেখা যায় এদের। গোটা শহরময় স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানো হরিণদের দেখা পাবেন পার্কিং লট, অফিসের সামনে, বাসস্টপ এমনকি স্থানীয়দের বাড়ির সামনেও। এদের কোনো কোনোটিকে শহরের মানুষেরা আদর করে নামও দিয়েছে।
শত শত বছর ধরে মানুষের কাছ থেকে খুব দয়ালু আচরণ পেয়ে এ হরিণেরা বেশ সাহসী হয়ে উঠেছে। কখনো কখনো এদের দু-একটির আচরণ কিছুটা বেপরোয়াও হয়ে ওঠে। যেমন পর্যটকেরা যেখান থেকে হরিণদের জন্য ক্র্যাকার বা বিস্কুট কেনেন, সেখানে হরিণেরা কখনো কখনো কোনো পর্যটককে কোণঠাসা করে ফেলে। এমনকি চাবি কিংবা ক্যামেরা কামড়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। তবে এদের এ সময় বিরক্তিসূচক শব্দ করে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাতেও সমস্যা আছে। কারণ এদের প্রতি একটি অসন্তোষ প্রকাশও অপছন্দ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
তবে তাই বলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। হরিণেরা মোটেই অকৃতজ্ঞ নয়। এদের বেশির ভাগই খাবার পাওয়ার পর স্থানীয় প্রথা অনুসারে আপনাকে বো করবে অর্থাৎ মাথা ঝুঁকিয়ে সম্মান জানাবে।
এই হরিণেরা অবশ্য অনেক কিছুই এখন বুঝে গেছে। এদের অনেক সময়ই দেখা যায় পার্কের মধ্যে কিংবা বাইরের রাস্তায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সিগন্যাল বাতি পরিবর্তনের অপেক্ষা করছে। এদের অনেককেই মন্দিরের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অনেক সময়ই পর্যটকদের সামনে খুব শান্তশিষ্টভাবে পোজ নিয়ে দাঁড়াতেও দেখা যায় তাদের। কোনোভাবে এরা বুঝে গেছে চমৎকার একটি ইনস্টাগ্রাম পিকচারের জন্য ভালোভাবে দাঁড়াতে পারলে প্রচুর পরিমাণে মুখরোচক খাবার মিলবে।
নারার ট্রেন থেকে নেমে পর্যটকেরা স্টেশনের চারপাশে হরিণদের নিয়ে নানা ধরনের শিল্পকর্মের দেখা পাবেন। এর মধ্যে আছে শিকামারো-কান নামের একটি সুন্দর হরিণের কার্টুন আর শেন্তো-কান নামের শিংসহ একটি শিশু হরিণের মাসকট। এমনকি স্থানীয় ভেন্ডিং মেশিনগুলোতেও দেখবেন হরিণদের নানা ধরনের কার্টুন, ছবি।
১৮৮০ সালে স্থাপন করা নারা পার্ক জাপানের সবচেয়ে পুরোনো পার্কগুলোর একটি। হরিণদের জন্য বিখ্যাত হলেও সেখানে পাবেন কফোকুজি মন্দির। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কাঠের কাঠামোগুলোর একটি ও ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট তোদাইজি মন্দিরের অবস্থানও পার্কের সীমানায়। শহরেই পাবেন ন্যাশনাল ট্রেজার মিউজিয়াম, যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের অনেক নিদর্শন ও শিল্পকর্ম আছে।
সূত্র: সিএনএন, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৭ ঘণ্টা আগে
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
৪ দিন আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
৫ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

মন্দির, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ, বুদ্ধের বিশাল ভাস্কর্যসহ দেখার মতো অনেক কিছুই আছে জাপানের নারা শহরে। তবে এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকার বড় আরেকটি কারণ আছে। সেটি হলো শহরময় মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায় হাজারের বেশি হরিণ।
২৪ এপ্রিল ২০২৩
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
৪ দিন আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
৫ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন। এমন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব ১৬ বছর বয়সী এই কিশোর বুঝে উঠতে পারছে না, কী তার ভুল। পুলিশের নির্দেশ মানার পর হাতে পড়ল হাতকড়া।
টাকি অ্যালেনকে কিশোর বয়সে এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। অ্যালেনের হাতে থাকা চিপসকে বন্দুক হিসেবে শনাক্ত করেছে এক এআই সিস্টেম!
স্থানীয় গণমাধ্যম ডব্লিউএমএআর-২ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাকি অ্যালেন বলে, ‘হঠাৎ দেখি প্রায় আটটা পুলিশ কার এসে গেল। তারপর সবাই বন্দুক তাক করে আমাকে মাটিতে শুতে বলছে।’
অ্যালেন বলতে থাকে, ‘ফুটবল অনুশীলনের পর এক প্যাকেট ডোরিটোস চিপস খেয়ে খালি প্যাকেটটি পকেটে রেখে দিই। এর ২০ মিনিট পরই এই ঘটনা। একজন অফিসার আমাকে হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন, তারপর আমাকে আটক করে হাতকড়া পরান।
তবে বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ বিবিসি নিউজের কাছে দাবি করে, অ্যালেনকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল, গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, কোনো হুমকি নেই নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি নিরাপদে সমাধান করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকে ফুটবল অনুশীলন শেষে স্কুলের ভেতরে চলে যায় অ্যালেন। সে জানায়, বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয়, বিশেষ করে চিপস খাওয়া বা কিছু পান করা।
বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ জানায়, সেই মুহূর্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত ও আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের কর্মকর্তারা।
বিভাগটি আরও জানায়, এআই সতর্কবার্তাটি মানব পর্যালোচকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা এতে কোনো হুমকি পাননি। এই বার্তা স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে পাঠানো হলেও তিনি এ তথ্যটি দেখেননি এবং স্কুলের নিরাপত্তা টিমকে জানান। তারা পুলিশকে ডাকে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে এক চিঠিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল কেট স্মিথ বলেন, স্কুলের নিরাপত্তা দল দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং কোনো অস্ত্র না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিক সতর্কতা বাতিল করে।
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের স্কুল রিসোর্স অফিসারকে (এসআরও) বিষয়টি জানানো হলে তিনি অতিরিক্ত সহায়তার জন্য স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করেন এবং দ্রুত নিশ্চিত হন যে তার কাছে কোনো অস্ত্র নেই।’
এআই টুল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওমনিলার্ট এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বিবিসি নিউজকে জানায়, ‘ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের উদ্বেগ জানাতে চাই।’
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের সিস্টেম প্রথমে এমন কিছু শনাক্ত করে যা দেখতে আগ্নেয়াস্ত্রের মতো লাগছিল। ছবিটি পরে তাদের পর্যালোচনা দল যাচাই করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই তথ্য ও ছবি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুলের নিরাপত্তা দলের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তাদের সিস্টেমে ‘সমাধান হয়েছে’ বলে চিহ্নিত হওয়ার পরই এ বিষয়ে তাদের সম্পৃক্ততা শেষ হয়। তাদের সিস্টেম ‘যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেভাবেই কাজ করেছে।’
অ্যালেন মন্তব্য করেছে, ‘আমার মনে হয় না কোনো চিপসের প্যাকেটকে কখনো বন্দুক হিসেবে ভুল ধরা উচিত।’
এই ঘটনায় স্কুলগুলোতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছে অনেকে। স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বাল্টিমোর কাউন্টির স্থানীয় কাউন্সিলর ইজি পাকোটা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তাদের এআই-চালিত অস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে।’

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন। এমন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব ১৬ বছর বয়সী এই কিশোর বুঝে উঠতে পারছে না, কী তার ভুল। পুলিশের নির্দেশ মানার পর হাতে পড়ল হাতকড়া।
টাকি অ্যালেনকে কিশোর বয়সে এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। অ্যালেনের হাতে থাকা চিপসকে বন্দুক হিসেবে শনাক্ত করেছে এক এআই সিস্টেম!
স্থানীয় গণমাধ্যম ডব্লিউএমএআর-২ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাকি অ্যালেন বলে, ‘হঠাৎ দেখি প্রায় আটটা পুলিশ কার এসে গেল। তারপর সবাই বন্দুক তাক করে আমাকে মাটিতে শুতে বলছে।’
অ্যালেন বলতে থাকে, ‘ফুটবল অনুশীলনের পর এক প্যাকেট ডোরিটোস চিপস খেয়ে খালি প্যাকেটটি পকেটে রেখে দিই। এর ২০ মিনিট পরই এই ঘটনা। একজন অফিসার আমাকে হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন, তারপর আমাকে আটক করে হাতকড়া পরান।
তবে বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ বিবিসি নিউজের কাছে দাবি করে, অ্যালেনকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল, গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, কোনো হুমকি নেই নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি নিরাপদে সমাধান করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকে ফুটবল অনুশীলন শেষে স্কুলের ভেতরে চলে যায় অ্যালেন। সে জানায়, বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয়, বিশেষ করে চিপস খাওয়া বা কিছু পান করা।
বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ জানায়, সেই মুহূর্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত ও আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের কর্মকর্তারা।
বিভাগটি আরও জানায়, এআই সতর্কবার্তাটি মানব পর্যালোচকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা এতে কোনো হুমকি পাননি। এই বার্তা স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে পাঠানো হলেও তিনি এ তথ্যটি দেখেননি এবং স্কুলের নিরাপত্তা টিমকে জানান। তারা পুলিশকে ডাকে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে এক চিঠিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল কেট স্মিথ বলেন, স্কুলের নিরাপত্তা দল দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং কোনো অস্ত্র না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিক সতর্কতা বাতিল করে।
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের স্কুল রিসোর্স অফিসারকে (এসআরও) বিষয়টি জানানো হলে তিনি অতিরিক্ত সহায়তার জন্য স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করেন এবং দ্রুত নিশ্চিত হন যে তার কাছে কোনো অস্ত্র নেই।’
এআই টুল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওমনিলার্ট এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বিবিসি নিউজকে জানায়, ‘ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের উদ্বেগ জানাতে চাই।’
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের সিস্টেম প্রথমে এমন কিছু শনাক্ত করে যা দেখতে আগ্নেয়াস্ত্রের মতো লাগছিল। ছবিটি পরে তাদের পর্যালোচনা দল যাচাই করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই তথ্য ও ছবি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুলের নিরাপত্তা দলের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তাদের সিস্টেমে ‘সমাধান হয়েছে’ বলে চিহ্নিত হওয়ার পরই এ বিষয়ে তাদের সম্পৃক্ততা শেষ হয়। তাদের সিস্টেম ‘যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেভাবেই কাজ করেছে।’
অ্যালেন মন্তব্য করেছে, ‘আমার মনে হয় না কোনো চিপসের প্যাকেটকে কখনো বন্দুক হিসেবে ভুল ধরা উচিত।’
এই ঘটনায় স্কুলগুলোতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছে অনেকে। স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বাল্টিমোর কাউন্টির স্থানীয় কাউন্সিলর ইজি পাকোটা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তাদের এআই-চালিত অস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে।’

মন্দির, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ, বুদ্ধের বিশাল ভাস্কর্যসহ দেখার মতো অনেক কিছুই আছে জাপানের নারা শহরে। তবে এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকার বড় আরেকটি কারণ আছে। সেটি হলো শহরময় মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায় হাজারের বেশি হরিণ।
২৪ এপ্রিল ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৭ ঘণ্টা আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
৫ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

মন্দির, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ, বুদ্ধের বিশাল ভাস্কর্যসহ দেখার মতো অনেক কিছুই আছে জাপানের নারা শহরে। তবে এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকার বড় আরেকটি কারণ আছে। সেটি হলো শহরময় মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায় হাজারের বেশি হরিণ।
২৪ এপ্রিল ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৭ ঘণ্টা আগে
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
৪ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

মন্দির, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ, বুদ্ধের বিশাল ভাস্কর্যসহ দেখার মতো অনেক কিছুই আছে জাপানের নারা শহরে। তবে এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকার বড় আরেকটি কারণ আছে। সেটি হলো শহরময় মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায় হাজারের বেশি হরিণ।
২৪ এপ্রিল ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৭ ঘণ্টা আগে
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
৪ দিন আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
৫ দিন আগে