ইশতিয়াক হাসান

পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো অনেক কিছুই আছে পেরুতে। প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন এখানে। বিশেষ করে পেরু ভ্রমণে মাচুপিচুর নামটা চলে আসে সবার আগে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পারছেন নানান রঙের বাহারে সেজে আছে ওই পর্বত।
যখন পর্বতটির শরীরের বরফের আবরণ গলে যায়, তখনই চোখে পড়ে চোখজুড়ানো সে দৃশ্য। এখানকার জলবায়ু, বেলে ও চুনা পাথরের উপস্থিতি এবং পর্বতে নানা ধরনের খনিজের উপস্থিতি পর্বতটিকে এমন চেহারা দিয়েছে। আকাশমুখী উঠে যাওয়া সোনালি, বেগুনি, লাল, সবুজাভ-নীল রঙের ছটা মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
ভিনিকানকা পার্বত্য এলাকাটি এমনিতে পেরুর ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে পবিত্র একটি জায়গা হিসেবে পরিচিত। তবে একটা সময় পর্যন্ত পর্যটকেরা খুব বেশি যেতেন না সেখানে। অবশ্য ইনস্টাগ্রামে পর্বতের আশ্চর্য সুন্দর রঙের খেলার ছবি ও স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের প্রচার—সব মিলিয়ে এটি পর্যটকদের নজর কাড়তে দেরি হয়নি। এখন এটি পেরুর কাসকো এলাকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যটক আগমন হয় এমন এলাকা। পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ভিনিকানকাতে দেড় থেকে চার হাজার মানুষ আসেন।
এমনিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে এই পাহাড়ে আসার জন্য পরামর্শ দেয় পর্যটকদের। তবে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত আকাশ সবচেয়ে নীল থাকে। এ সময় পর্বতটিকেও সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। অবশ্য পর্বতের ওপরের অংশে হঠাৎই বদলে যায় আবহাওয়া। ‘লোনলি প্ল্যানেটে’র দেওয়া তথ্যে জুন থেকে আগস্ট পেরুতে পর্যটকের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি, কম ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
অনেক সময়ই আশ্চর্য সুন্দর এই পর্বতটি দেখতে গিয়ে মানুষকে হতাশ হতে হয়। তবে এর দায় প্রকৃতিরই, মানুষের নয়। মেঘলা আবহাওয়ায় এখানকার রঙের ছটা সেভাবে উপভোগ করা যায় না। আবহাওয়া বেশি খারাপ হয়ে গেলে অবশ্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পথটিতে পর্যটকদের চলাচলই বন্ধ করে দেয়।
এমন নানা রঙের ছটার কারণে সহজেই দৃষ্টিগোচর হওয়ার কথা থাকলেও রংধনু পর্বত খুঁজে পাওয়া মোটেই সহজ নয়। পার্বত্য এলাকাটির অনেক গভীরে এর অবস্থান। এমনকি দক্ষ গাইডসহ কুশলী পর্যটকদেরও এটিকে খুঁজে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হতো একটা সময়। হেঁটে পর্বতচূড়ায় পৌঁছাতে ছয় দিন লাগত। তবে এখন কাসকো থেকে পর্বতটির মোটামুটি কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন বাসে।
পর্যটকদের একটি বড় অংশ পাহাড়ি ট্রেইল ধরে হাঁটতে পছন্দ করেন। আসাংগেট ট্রেইল ধরে হেঁটে রংধনু পর্বতের কাছে পৌঁছানোর আগে আপনার চোখ জুড়াবে উষ্ণ প্রস্রবণ, পেরুর মনোমুগ্ধকর সব গ্রাম, বাজার আর আসাংগেট হিমবাহের অসাধারণ দৃশ্য, আর দর্শন পাবেন অসাধারণ সুন্দর দুই প্রাণী গৃহপালিত লামা আর আলপাকাদের।
বাস যেখানে নামিয়ে দেয় সেখান থেকে আসা-যাওয়ায় অতিক্রম করতে হয় পাঁচ মাইল পথ। তবে উচ্চতার ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হয়। কারণ ভিনিকানকার চূড়া ১৬ হাজার ফুটের বেশি উঁচু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে। বেশির ভাগ অংশেই ট্র্যাকিং তেমন কঠিন নয়। তবে চূড়ায় পৌঁছানোর আগে কিছুটা খাড়া পথ আছে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের ভ্রমণের জন্য এখানে আছে মাউন্টেন বাইক। আর যারা বেশি হাঁটতে চান না তাঁরা যেতে পারেন ঘোড়ায় চেপে। আবার হেঁটে এগোনোর সময় দুরারোহ কিছু জায়গায় ঘোড়া পাবেন, শুধু সেই জায়গাটি পার করিয়ে দেওয়ার জন্য।
কাসকো থেকে ৬২ মাইল দূরে অবস্থান রংধনু পর্বতের। কাসকো থেকেই অনেক ট্যুর অপারেটর এক দিনের ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেয়। ১০০ পেরুভিয়ান সোল বা ৩০ ডলার (৩ হাজার ১০০ টাকা) নেয় তারা সাধারণত। কাজেই একবার পেরু পৌঁছে গেলে মাচুপিচুর সঙ্গে অবশ্যই রংধনু পর্বতকে রাখা উচিত ‘অবশ্যই দেখতে হবে’র তালিকায়, কী বলেন?
সূত্র. সিএনবিসি. কম, এটলাস অবসকিউরা

পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো অনেক কিছুই আছে পেরুতে। প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন এখানে। বিশেষ করে পেরু ভ্রমণে মাচুপিচুর নামটা চলে আসে সবার আগে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পারছেন নানান রঙের বাহারে সেজে আছে ওই পর্বত।
যখন পর্বতটির শরীরের বরফের আবরণ গলে যায়, তখনই চোখে পড়ে চোখজুড়ানো সে দৃশ্য। এখানকার জলবায়ু, বেলে ও চুনা পাথরের উপস্থিতি এবং পর্বতে নানা ধরনের খনিজের উপস্থিতি পর্বতটিকে এমন চেহারা দিয়েছে। আকাশমুখী উঠে যাওয়া সোনালি, বেগুনি, লাল, সবুজাভ-নীল রঙের ছটা মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
ভিনিকানকা পার্বত্য এলাকাটি এমনিতে পেরুর ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে পবিত্র একটি জায়গা হিসেবে পরিচিত। তবে একটা সময় পর্যন্ত পর্যটকেরা খুব বেশি যেতেন না সেখানে। অবশ্য ইনস্টাগ্রামে পর্বতের আশ্চর্য সুন্দর রঙের খেলার ছবি ও স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের প্রচার—সব মিলিয়ে এটি পর্যটকদের নজর কাড়তে দেরি হয়নি। এখন এটি পেরুর কাসকো এলাকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যটক আগমন হয় এমন এলাকা। পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ভিনিকানকাতে দেড় থেকে চার হাজার মানুষ আসেন।
এমনিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে এই পাহাড়ে আসার জন্য পরামর্শ দেয় পর্যটকদের। তবে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত আকাশ সবচেয়ে নীল থাকে। এ সময় পর্বতটিকেও সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। অবশ্য পর্বতের ওপরের অংশে হঠাৎই বদলে যায় আবহাওয়া। ‘লোনলি প্ল্যানেটে’র দেওয়া তথ্যে জুন থেকে আগস্ট পেরুতে পর্যটকের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি, কম ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
অনেক সময়ই আশ্চর্য সুন্দর এই পর্বতটি দেখতে গিয়ে মানুষকে হতাশ হতে হয়। তবে এর দায় প্রকৃতিরই, মানুষের নয়। মেঘলা আবহাওয়ায় এখানকার রঙের ছটা সেভাবে উপভোগ করা যায় না। আবহাওয়া বেশি খারাপ হয়ে গেলে অবশ্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পথটিতে পর্যটকদের চলাচলই বন্ধ করে দেয়।
এমন নানা রঙের ছটার কারণে সহজেই দৃষ্টিগোচর হওয়ার কথা থাকলেও রংধনু পর্বত খুঁজে পাওয়া মোটেই সহজ নয়। পার্বত্য এলাকাটির অনেক গভীরে এর অবস্থান। এমনকি দক্ষ গাইডসহ কুশলী পর্যটকদেরও এটিকে খুঁজে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হতো একটা সময়। হেঁটে পর্বতচূড়ায় পৌঁছাতে ছয় দিন লাগত। তবে এখন কাসকো থেকে পর্বতটির মোটামুটি কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন বাসে।
পর্যটকদের একটি বড় অংশ পাহাড়ি ট্রেইল ধরে হাঁটতে পছন্দ করেন। আসাংগেট ট্রেইল ধরে হেঁটে রংধনু পর্বতের কাছে পৌঁছানোর আগে আপনার চোখ জুড়াবে উষ্ণ প্রস্রবণ, পেরুর মনোমুগ্ধকর সব গ্রাম, বাজার আর আসাংগেট হিমবাহের অসাধারণ দৃশ্য, আর দর্শন পাবেন অসাধারণ সুন্দর দুই প্রাণী গৃহপালিত লামা আর আলপাকাদের।
বাস যেখানে নামিয়ে দেয় সেখান থেকে আসা-যাওয়ায় অতিক্রম করতে হয় পাঁচ মাইল পথ। তবে উচ্চতার ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হয়। কারণ ভিনিকানকার চূড়া ১৬ হাজার ফুটের বেশি উঁচু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে। বেশির ভাগ অংশেই ট্র্যাকিং তেমন কঠিন নয়। তবে চূড়ায় পৌঁছানোর আগে কিছুটা খাড়া পথ আছে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের ভ্রমণের জন্য এখানে আছে মাউন্টেন বাইক। আর যারা বেশি হাঁটতে চান না তাঁরা যেতে পারেন ঘোড়ায় চেপে। আবার হেঁটে এগোনোর সময় দুরারোহ কিছু জায়গায় ঘোড়া পাবেন, শুধু সেই জায়গাটি পার করিয়ে দেওয়ার জন্য।
কাসকো থেকে ৬২ মাইল দূরে অবস্থান রংধনু পর্বতের। কাসকো থেকেই অনেক ট্যুর অপারেটর এক দিনের ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেয়। ১০০ পেরুভিয়ান সোল বা ৩০ ডলার (৩ হাজার ১০০ টাকা) নেয় তারা সাধারণত। কাজেই একবার পেরু পৌঁছে গেলে মাচুপিচুর সঙ্গে অবশ্যই রংধনু পর্বতকে রাখা উচিত ‘অবশ্যই দেখতে হবে’র তালিকায়, কী বলেন?
সূত্র. সিএনবিসি. কম, এটলাস অবসকিউরা
ইশতিয়াক হাসান

পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো অনেক কিছুই আছে পেরুতে। প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন এখানে। বিশেষ করে পেরু ভ্রমণে মাচুপিচুর নামটা চলে আসে সবার আগে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পারছেন নানান রঙের বাহারে সেজে আছে ওই পর্বত।
যখন পর্বতটির শরীরের বরফের আবরণ গলে যায়, তখনই চোখে পড়ে চোখজুড়ানো সে দৃশ্য। এখানকার জলবায়ু, বেলে ও চুনা পাথরের উপস্থিতি এবং পর্বতে নানা ধরনের খনিজের উপস্থিতি পর্বতটিকে এমন চেহারা দিয়েছে। আকাশমুখী উঠে যাওয়া সোনালি, বেগুনি, লাল, সবুজাভ-নীল রঙের ছটা মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
ভিনিকানকা পার্বত্য এলাকাটি এমনিতে পেরুর ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে পবিত্র একটি জায়গা হিসেবে পরিচিত। তবে একটা সময় পর্যন্ত পর্যটকেরা খুব বেশি যেতেন না সেখানে। অবশ্য ইনস্টাগ্রামে পর্বতের আশ্চর্য সুন্দর রঙের খেলার ছবি ও স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের প্রচার—সব মিলিয়ে এটি পর্যটকদের নজর কাড়তে দেরি হয়নি। এখন এটি পেরুর কাসকো এলাকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যটক আগমন হয় এমন এলাকা। পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ভিনিকানকাতে দেড় থেকে চার হাজার মানুষ আসেন।
এমনিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে এই পাহাড়ে আসার জন্য পরামর্শ দেয় পর্যটকদের। তবে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত আকাশ সবচেয়ে নীল থাকে। এ সময় পর্বতটিকেও সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। অবশ্য পর্বতের ওপরের অংশে হঠাৎই বদলে যায় আবহাওয়া। ‘লোনলি প্ল্যানেটে’র দেওয়া তথ্যে জুন থেকে আগস্ট পেরুতে পর্যটকের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি, কম ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
অনেক সময়ই আশ্চর্য সুন্দর এই পর্বতটি দেখতে গিয়ে মানুষকে হতাশ হতে হয়। তবে এর দায় প্রকৃতিরই, মানুষের নয়। মেঘলা আবহাওয়ায় এখানকার রঙের ছটা সেভাবে উপভোগ করা যায় না। আবহাওয়া বেশি খারাপ হয়ে গেলে অবশ্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পথটিতে পর্যটকদের চলাচলই বন্ধ করে দেয়।
এমন নানা রঙের ছটার কারণে সহজেই দৃষ্টিগোচর হওয়ার কথা থাকলেও রংধনু পর্বত খুঁজে পাওয়া মোটেই সহজ নয়। পার্বত্য এলাকাটির অনেক গভীরে এর অবস্থান। এমনকি দক্ষ গাইডসহ কুশলী পর্যটকদেরও এটিকে খুঁজে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হতো একটা সময়। হেঁটে পর্বতচূড়ায় পৌঁছাতে ছয় দিন লাগত। তবে এখন কাসকো থেকে পর্বতটির মোটামুটি কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন বাসে।
পর্যটকদের একটি বড় অংশ পাহাড়ি ট্রেইল ধরে হাঁটতে পছন্দ করেন। আসাংগেট ট্রেইল ধরে হেঁটে রংধনু পর্বতের কাছে পৌঁছানোর আগে আপনার চোখ জুড়াবে উষ্ণ প্রস্রবণ, পেরুর মনোমুগ্ধকর সব গ্রাম, বাজার আর আসাংগেট হিমবাহের অসাধারণ দৃশ্য, আর দর্শন পাবেন অসাধারণ সুন্দর দুই প্রাণী গৃহপালিত লামা আর আলপাকাদের।
বাস যেখানে নামিয়ে দেয় সেখান থেকে আসা-যাওয়ায় অতিক্রম করতে হয় পাঁচ মাইল পথ। তবে উচ্চতার ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হয়। কারণ ভিনিকানকার চূড়া ১৬ হাজার ফুটের বেশি উঁচু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে। বেশির ভাগ অংশেই ট্র্যাকিং তেমন কঠিন নয়। তবে চূড়ায় পৌঁছানোর আগে কিছুটা খাড়া পথ আছে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের ভ্রমণের জন্য এখানে আছে মাউন্টেন বাইক। আর যারা বেশি হাঁটতে চান না তাঁরা যেতে পারেন ঘোড়ায় চেপে। আবার হেঁটে এগোনোর সময় দুরারোহ কিছু জায়গায় ঘোড়া পাবেন, শুধু সেই জায়গাটি পার করিয়ে দেওয়ার জন্য।
কাসকো থেকে ৬২ মাইল দূরে অবস্থান রংধনু পর্বতের। কাসকো থেকেই অনেক ট্যুর অপারেটর এক দিনের ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেয়। ১০০ পেরুভিয়ান সোল বা ৩০ ডলার (৩ হাজার ১০০ টাকা) নেয় তারা সাধারণত। কাজেই একবার পেরু পৌঁছে গেলে মাচুপিচুর সঙ্গে অবশ্যই রংধনু পর্বতকে রাখা উচিত ‘অবশ্যই দেখতে হবে’র তালিকায়, কী বলেন?
সূত্র. সিএনবিসি. কম, এটলাস অবসকিউরা

পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো অনেক কিছুই আছে পেরুতে। প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন এখানে। বিশেষ করে পেরু ভ্রমণে মাচুপিচুর নামটা চলে আসে সবার আগে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পারছেন নানান রঙের বাহারে সেজে আছে ওই পর্বত।
যখন পর্বতটির শরীরের বরফের আবরণ গলে যায়, তখনই চোখে পড়ে চোখজুড়ানো সে দৃশ্য। এখানকার জলবায়ু, বেলে ও চুনা পাথরের উপস্থিতি এবং পর্বতে নানা ধরনের খনিজের উপস্থিতি পর্বতটিকে এমন চেহারা দিয়েছে। আকাশমুখী উঠে যাওয়া সোনালি, বেগুনি, লাল, সবুজাভ-নীল রঙের ছটা মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
ভিনিকানকা পার্বত্য এলাকাটি এমনিতে পেরুর ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে পবিত্র একটি জায়গা হিসেবে পরিচিত। তবে একটা সময় পর্যন্ত পর্যটকেরা খুব বেশি যেতেন না সেখানে। অবশ্য ইনস্টাগ্রামে পর্বতের আশ্চর্য সুন্দর রঙের খেলার ছবি ও স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের প্রচার—সব মিলিয়ে এটি পর্যটকদের নজর কাড়তে দেরি হয়নি। এখন এটি পেরুর কাসকো এলাকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যটক আগমন হয় এমন এলাকা। পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ভিনিকানকাতে দেড় থেকে চার হাজার মানুষ আসেন।
এমনিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে এই পাহাড়ে আসার জন্য পরামর্শ দেয় পর্যটকদের। তবে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত আকাশ সবচেয়ে নীল থাকে। এ সময় পর্বতটিকেও সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। অবশ্য পর্বতের ওপরের অংশে হঠাৎই বদলে যায় আবহাওয়া। ‘লোনলি প্ল্যানেটে’র দেওয়া তথ্যে জুন থেকে আগস্ট পেরুতে পর্যটকের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি, কম ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।
অনেক সময়ই আশ্চর্য সুন্দর এই পর্বতটি দেখতে গিয়ে মানুষকে হতাশ হতে হয়। তবে এর দায় প্রকৃতিরই, মানুষের নয়। মেঘলা আবহাওয়ায় এখানকার রঙের ছটা সেভাবে উপভোগ করা যায় না। আবহাওয়া বেশি খারাপ হয়ে গেলে অবশ্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পথটিতে পর্যটকদের চলাচলই বন্ধ করে দেয়।
এমন নানা রঙের ছটার কারণে সহজেই দৃষ্টিগোচর হওয়ার কথা থাকলেও রংধনু পর্বত খুঁজে পাওয়া মোটেই সহজ নয়। পার্বত্য এলাকাটির অনেক গভীরে এর অবস্থান। এমনকি দক্ষ গাইডসহ কুশলী পর্যটকদেরও এটিকে খুঁজে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হতো একটা সময়। হেঁটে পর্বতচূড়ায় পৌঁছাতে ছয় দিন লাগত। তবে এখন কাসকো থেকে পর্বতটির মোটামুটি কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন বাসে।
পর্যটকদের একটি বড় অংশ পাহাড়ি ট্রেইল ধরে হাঁটতে পছন্দ করেন। আসাংগেট ট্রেইল ধরে হেঁটে রংধনু পর্বতের কাছে পৌঁছানোর আগে আপনার চোখ জুড়াবে উষ্ণ প্রস্রবণ, পেরুর মনোমুগ্ধকর সব গ্রাম, বাজার আর আসাংগেট হিমবাহের অসাধারণ দৃশ্য, আর দর্শন পাবেন অসাধারণ সুন্দর দুই প্রাণী গৃহপালিত লামা আর আলপাকাদের।
বাস যেখানে নামিয়ে দেয় সেখান থেকে আসা-যাওয়ায় অতিক্রম করতে হয় পাঁচ মাইল পথ। তবে উচ্চতার ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হয়। কারণ ভিনিকানকার চূড়া ১৬ হাজার ফুটের বেশি উঁচু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে। বেশির ভাগ অংশেই ট্র্যাকিং তেমন কঠিন নয়। তবে চূড়ায় পৌঁছানোর আগে কিছুটা খাড়া পথ আছে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের ভ্রমণের জন্য এখানে আছে মাউন্টেন বাইক। আর যারা বেশি হাঁটতে চান না তাঁরা যেতে পারেন ঘোড়ায় চেপে। আবার হেঁটে এগোনোর সময় দুরারোহ কিছু জায়গায় ঘোড়া পাবেন, শুধু সেই জায়গাটি পার করিয়ে দেওয়ার জন্য।
কাসকো থেকে ৬২ মাইল দূরে অবস্থান রংধনু পর্বতের। কাসকো থেকেই অনেক ট্যুর অপারেটর এক দিনের ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেয়। ১০০ পেরুভিয়ান সোল বা ৩০ ডলার (৩ হাজার ১০০ টাকা) নেয় তারা সাধারণত। কাজেই একবার পেরু পৌঁছে গেলে মাচুপিচুর সঙ্গে অবশ্যই রংধনু পর্বতকে রাখা উচিত ‘অবশ্যই দেখতে হবে’র তালিকায়, কী বলেন?
সূত্র. সিএনবিসি. কম, এটলাস অবসকিউরা

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
১১ ঘণ্টা আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
১ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন। এমন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব ১৬ বছর বয়সী এই কিশোর বুঝে উঠতে পারছে না, কী তার ভুল। পুলিশের নির্দেশ মানার পর হাতে পড়ল হাতকড়া।
টাকি অ্যালেনকে কিশোর বয়সে এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। অ্যালেনের হাতে থাকা চিপসকে বন্দুক হিসেবে শনাক্ত করেছে এক এআই সিস্টেম!
স্থানীয় গণমাধ্যম ডব্লিউএমএআর-২ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাকি অ্যালেন বলে, ‘হঠাৎ দেখি প্রায় আটটা পুলিশ কার এসে গেল। তারপর সবাই বন্দুক তাক করে আমাকে মাটিতে শুতে বলছে।’
অ্যালেন বলতে থাকে, ‘ফুটবল অনুশীলনের পর এক প্যাকেট ডোরিটোস চিপস খেয়ে খালি প্যাকেটটি পকেটে রেখে দিই। এর ২০ মিনিট পরই এই ঘটনা। একজন অফিসার আমাকে হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন, তারপর আমাকে আটক করে হাতকড়া পরান।
তবে বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ বিবিসি নিউজের কাছে দাবি করে, অ্যালেনকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল, গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, কোনো হুমকি নেই নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি নিরাপদে সমাধান করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকে ফুটবল অনুশীলন শেষে স্কুলের ভেতরে চলে যায় অ্যালেন। সে জানায়, বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয়, বিশেষ করে চিপস খাওয়া বা কিছু পান করা।
বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ জানায়, সেই মুহূর্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত ও আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের কর্মকর্তারা।
বিভাগটি আরও জানায়, এআই সতর্কবার্তাটি মানব পর্যালোচকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা এতে কোনো হুমকি পাননি। এই বার্তা স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে পাঠানো হলেও তিনি এ তথ্যটি দেখেননি এবং স্কুলের নিরাপত্তা টিমকে জানান। তারা পুলিশকে ডাকে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে এক চিঠিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল কেট স্মিথ বলেন, স্কুলের নিরাপত্তা দল দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং কোনো অস্ত্র না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিক সতর্কতা বাতিল করে।
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের স্কুল রিসোর্স অফিসারকে (এসআরও) বিষয়টি জানানো হলে তিনি অতিরিক্ত সহায়তার জন্য স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করেন এবং দ্রুত নিশ্চিত হন যে তার কাছে কোনো অস্ত্র নেই।’
এআই টুল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওমনিলার্ট এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বিবিসি নিউজকে জানায়, ‘ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের উদ্বেগ জানাতে চাই।’
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের সিস্টেম প্রথমে এমন কিছু শনাক্ত করে যা দেখতে আগ্নেয়াস্ত্রের মতো লাগছিল। ছবিটি পরে তাদের পর্যালোচনা দল যাচাই করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই তথ্য ও ছবি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুলের নিরাপত্তা দলের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তাদের সিস্টেমে ‘সমাধান হয়েছে’ বলে চিহ্নিত হওয়ার পরই এ বিষয়ে তাদের সম্পৃক্ততা শেষ হয়। তাদের সিস্টেম ‘যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেভাবেই কাজ করেছে।’
অ্যালেন মন্তব্য করেছে, ‘আমার মনে হয় না কোনো চিপসের প্যাকেটকে কখনো বন্দুক হিসেবে ভুল ধরা উচিত।’
এই ঘটনায় স্কুলগুলোতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছে অনেকে। স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বাল্টিমোর কাউন্টির স্থানীয় কাউন্সিলর ইজি পাকোটা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তাদের এআই-চালিত অস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে।’

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন। এমন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব ১৬ বছর বয়সী এই কিশোর বুঝে উঠতে পারছে না, কী তার ভুল। পুলিশের নির্দেশ মানার পর হাতে পড়ল হাতকড়া।
টাকি অ্যালেনকে কিশোর বয়সে এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। অ্যালেনের হাতে থাকা চিপসকে বন্দুক হিসেবে শনাক্ত করেছে এক এআই সিস্টেম!
স্থানীয় গণমাধ্যম ডব্লিউএমএআর-২ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাকি অ্যালেন বলে, ‘হঠাৎ দেখি প্রায় আটটা পুলিশ কার এসে গেল। তারপর সবাই বন্দুক তাক করে আমাকে মাটিতে শুতে বলছে।’
অ্যালেন বলতে থাকে, ‘ফুটবল অনুশীলনের পর এক প্যাকেট ডোরিটোস চিপস খেয়ে খালি প্যাকেটটি পকেটে রেখে দিই। এর ২০ মিনিট পরই এই ঘটনা। একজন অফিসার আমাকে হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন, তারপর আমাকে আটক করে হাতকড়া পরান।
তবে বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ বিবিসি নিউজের কাছে দাবি করে, অ্যালেনকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল, গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, কোনো হুমকি নেই নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি নিরাপদে সমাধান করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকে ফুটবল অনুশীলন শেষে স্কুলের ভেতরে চলে যায় অ্যালেন। সে জানায়, বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয়, বিশেষ করে চিপস খাওয়া বা কিছু পান করা।
বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ জানায়, সেই মুহূর্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত ও আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের কর্মকর্তারা।
বিভাগটি আরও জানায়, এআই সতর্কবার্তাটি মানব পর্যালোচকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা এতে কোনো হুমকি পাননি। এই বার্তা স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে পাঠানো হলেও তিনি এ তথ্যটি দেখেননি এবং স্কুলের নিরাপত্তা টিমকে জানান। তারা পুলিশকে ডাকে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে এক চিঠিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল কেট স্মিথ বলেন, স্কুলের নিরাপত্তা দল দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং কোনো অস্ত্র না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিক সতর্কতা বাতিল করে।
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের স্কুল রিসোর্স অফিসারকে (এসআরও) বিষয়টি জানানো হলে তিনি অতিরিক্ত সহায়তার জন্য স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করেন এবং দ্রুত নিশ্চিত হন যে তার কাছে কোনো অস্ত্র নেই।’
এআই টুল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওমনিলার্ট এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বিবিসি নিউজকে জানায়, ‘ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের উদ্বেগ জানাতে চাই।’
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের সিস্টেম প্রথমে এমন কিছু শনাক্ত করে যা দেখতে আগ্নেয়াস্ত্রের মতো লাগছিল। ছবিটি পরে তাদের পর্যালোচনা দল যাচাই করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই তথ্য ও ছবি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুলের নিরাপত্তা দলের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তাদের সিস্টেমে ‘সমাধান হয়েছে’ বলে চিহ্নিত হওয়ার পরই এ বিষয়ে তাদের সম্পৃক্ততা শেষ হয়। তাদের সিস্টেম ‘যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেভাবেই কাজ করেছে।’
অ্যালেন মন্তব্য করেছে, ‘আমার মনে হয় না কোনো চিপসের প্যাকেটকে কখনো বন্দুক হিসেবে ভুল ধরা উচিত।’
এই ঘটনায় স্কুলগুলোতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছে অনেকে। স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বাল্টিমোর কাউন্টির স্থানীয় কাউন্সিলর ইজি পাকোটা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তাদের এআই-চালিত অস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে।’

প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন পেরুতে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে এখানকার ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পার
৩০ জানুয়ারি ২০২৩
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
১ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন পেরুতে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে এখানকার ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পার
৩০ জানুয়ারি ২০২৩
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
১১ ঘণ্টা আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন পেরুতে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে এখানকার ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পার
৩০ জানুয়ারি ২০২৩
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
১১ ঘণ্টা আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
১ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় জায়গা, প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বছরজুড়ে বিভিন্ন উৎসব—সবকিছুই পাবেন পেরুতে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ‘পর্যটকদের জন্য অবশ্যই দেখা উচিত’ এমন জায়গার তালিকায় স্থান পেয়েছে এখানকার ভিনিকানকা নামের একটি পর্বত। অবশ্য মানুষ একে বেশি চেনে সাত রঙের পর্বত বা রংধনু পর্বত নামে। বুঝতেই পার
৩০ জানুয়ারি ২০২৩
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
১১ ঘণ্টা আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
১ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১ দিন আগে