
কয়েক বছর ধরেই কানাঘুষা চলছিল যে ডেনমার্কের একদল চিকিৎসক মানসিক রোগীদের মস্তিষ্ক চুরি করতেন। বেশির ভাগ মানুষই এই গুজবকে অবিশ্বাস্য মনে করলেও যাঁরা সত্যান্বেষী, তাঁরা রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক তথ্যচিত্রে বিষয়টি তুলে ধরেছে।
সিএনএন বলেছে, সম্প্রতি ডেনমার্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিএনএন যার নাম প্রকাশ করেনি) ক্যাম্পাসের ভূগর্ভস্থ জায়গা থেকে বেশ কিছু মস্তিষ্ক উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে একটি গোপন গুদামে মস্তিষ্কগুলো বাক্সবন্দী করে রাখা হয়েছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর অভিযোগ উঠেছে, ডেনমার্কের একদল চিকিৎসক অন্তত ১০ হাজার মানসিক রোগীর মাথা থেকে মস্তিষ্ক সরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু তাদের পরিবারের কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেননি তাঁরা।
গত ১২-১৩ নভেম্বর সিএনএনে প্রচারিত তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্রায় ৩৭ বছর ধরে ডেনমার্কের চিকিৎসকেরা মস্তিষ্ক সংগ্রহের এ কাজ করতেন। মূলত সিজোফ্রেনিয়া ও নানা ধরনের মানসিক রোগে ভোগা ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের মস্তিষ্ক সরিয়ে নিতেন তাঁরা। কিন্তু তাঁরা বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে ঘুণাক্ষরেও জানাতেন না।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল কারস্টেন আবিলট্রাপ নামের এক শিশু। তাকে ভর্তি করা হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের একটি মানসিক হাসপাতালে। সেই শিশুর মৃত্যুর পর চিকিৎসকেরা তার মস্তিষ্ক সরিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ডেনমার্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই শিশুর মস্তিষ্ক উদ্ধার করা হয়েছে।
সিএনএন বলেছে, সেই সময়ে সিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে যেহেতু চিকিৎসকেরা তেমন কিছুই জানতেন না, তাই এরিক স্টর্মগ্রেন ও লারুস আইনারসন নামের দুই চিকিৎসক গোপনে মস্তিষ্ক হাতানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। মরদেহের ময়নাতদন্তের সময় তাঁরা মস্তিষ্ক সরিয়ে ফেলতেন। এরপর গোপন বাক্সে বন্দী করে ফেলতেন। সিএনএন বলেছে, গবেষণার উদ্দেশ্যে নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে তাঁরা এ কাজ করতেন, তা জানা যায়নি।
ডেনমার্কের আর্থাস ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সায়েন্সের ইতিহাসবিদ টমাস আর্স্লেভ অভিযোগ করে বলেছেন, ১৯৪৫ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ডেনমার্কের বিভিন্ন মানসিক হাসপাতালে যেসব রোগী মারা গেছেন, তাদের অর্ধেকেরই মস্তিষ্ক সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রোগীর পরিবারকে কিছুই জানানো হয়নি।
ডেনমার্কের রিসকভ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালের ইনস্টিটিউট অব ব্রেন প্যাথোলজিতে এসব কাজ চলত বলে সিএনএনের তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে। প্রথম পাঁচ বছর এসব কাজ করতেন স্টর্মগ্রেন ও লারুস আইনারসন নামের দুই চিকিৎসক। পরে নাড এ লোরেনৎজেন নামের আরেক চিকিৎসক ওই ইনস্টিটিউটের দায়িত্ব নেন এবং পরবর্তী তিন দশক তিনি মস্তিষ্ক সংগ্রহের কাজ করতেন।
২০১৮ সালে অর্থাভাবে সংগ্রহশালাটি অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, সিএনএনের প্রতিবেদনে তা বলা হয়নি। সেই সময়ে ইনস্টিটিউট অব ব্রেন প্যাথোলজির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন মার্টিন ডব্লিউ নিয়েলসন। তিনি ‘ব্রেন কালেক্টর’ নামে পরিচিত।
সিএনএন বলেছে, মস্তিষ্কগুলো অক্ষত রাখার জন্য ফর্মালডিহাইডে ডুবিয়ে রাখা হতো। প্রতিটি পাত্রের গায়ে নম্বর লিখে রাখা হতো, যাতে কার মস্তিষ্ক কোনটি, তা শনাক্ত করা যায়। এভাবেই জানা গেছে উদ্ধার হওয়া মস্তিষ্কগুলো কোন কোন রোগীর। তবে ১ নম্বর মস্তিষ্কটি কার, তা এখনো জানতে পারেননি চিকিৎসকেরা।
নাম প্রকাশ না করা ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯ হাজার ৪৭৬টি পাত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে সিএনএন জানিয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার ডিমেনশিয়া রোগীর মস্তিষ্ক ছিল। বাকিগুলো অন্যান্য রোগীর।
সিএনএনের তথ্যচিত্রটি প্রচারিত হওয়ার পরে বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে গেছে। অনেকেই এ ধরনের কর্মকাণ্ডের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ মস্তিষ্কগুলো রোগীর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন। অনেকেই বলেছেন, রোগীর পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
ড্যানিশ অ্যাসোসিয়েশন ফর মেন্টাল হেলথের পরিচালক নাড কার্স্টেনসেন বলেছেন, ‘এই বিপুলসংখ্যক মস্তিষ্ক নিয়ে কী করা হবে, সে বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। অনেকেই মস্তিষ্কগুলো কবর দেওয়া বা অন্য কোনো নৈতিক উপায়ে নষ্ট করার দাবি তুলেছেন। অনেকে অবশ্য মস্তিষ্কগুলো গবেষণার কাজে ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছেন।’
গবেষণা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

কয়েক বছর ধরেই কানাঘুষা চলছিল যে ডেনমার্কের একদল চিকিৎসক মানসিক রোগীদের মস্তিষ্ক চুরি করতেন। বেশির ভাগ মানুষই এই গুজবকে অবিশ্বাস্য মনে করলেও যাঁরা সত্যান্বেষী, তাঁরা রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক তথ্যচিত্রে বিষয়টি তুলে ধরেছে।
সিএনএন বলেছে, সম্প্রতি ডেনমার্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিএনএন যার নাম প্রকাশ করেনি) ক্যাম্পাসের ভূগর্ভস্থ জায়গা থেকে বেশ কিছু মস্তিষ্ক উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে একটি গোপন গুদামে মস্তিষ্কগুলো বাক্সবন্দী করে রাখা হয়েছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর অভিযোগ উঠেছে, ডেনমার্কের একদল চিকিৎসক অন্তত ১০ হাজার মানসিক রোগীর মাথা থেকে মস্তিষ্ক সরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু তাদের পরিবারের কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেননি তাঁরা।
গত ১২-১৩ নভেম্বর সিএনএনে প্রচারিত তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্রায় ৩৭ বছর ধরে ডেনমার্কের চিকিৎসকেরা মস্তিষ্ক সংগ্রহের এ কাজ করতেন। মূলত সিজোফ্রেনিয়া ও নানা ধরনের মানসিক রোগে ভোগা ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের মস্তিষ্ক সরিয়ে নিতেন তাঁরা। কিন্তু তাঁরা বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে ঘুণাক্ষরেও জানাতেন না।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল কারস্টেন আবিলট্রাপ নামের এক শিশু। তাকে ভর্তি করা হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের একটি মানসিক হাসপাতালে। সেই শিশুর মৃত্যুর পর চিকিৎসকেরা তার মস্তিষ্ক সরিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ডেনমার্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই শিশুর মস্তিষ্ক উদ্ধার করা হয়েছে।
সিএনএন বলেছে, সেই সময়ে সিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে যেহেতু চিকিৎসকেরা তেমন কিছুই জানতেন না, তাই এরিক স্টর্মগ্রেন ও লারুস আইনারসন নামের দুই চিকিৎসক গোপনে মস্তিষ্ক হাতানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। মরদেহের ময়নাতদন্তের সময় তাঁরা মস্তিষ্ক সরিয়ে ফেলতেন। এরপর গোপন বাক্সে বন্দী করে ফেলতেন। সিএনএন বলেছে, গবেষণার উদ্দেশ্যে নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে তাঁরা এ কাজ করতেন, তা জানা যায়নি।
ডেনমার্কের আর্থাস ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সায়েন্সের ইতিহাসবিদ টমাস আর্স্লেভ অভিযোগ করে বলেছেন, ১৯৪৫ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ডেনমার্কের বিভিন্ন মানসিক হাসপাতালে যেসব রোগী মারা গেছেন, তাদের অর্ধেকেরই মস্তিষ্ক সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রোগীর পরিবারকে কিছুই জানানো হয়নি।
ডেনমার্কের রিসকভ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালের ইনস্টিটিউট অব ব্রেন প্যাথোলজিতে এসব কাজ চলত বলে সিএনএনের তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে। প্রথম পাঁচ বছর এসব কাজ করতেন স্টর্মগ্রেন ও লারুস আইনারসন নামের দুই চিকিৎসক। পরে নাড এ লোরেনৎজেন নামের আরেক চিকিৎসক ওই ইনস্টিটিউটের দায়িত্ব নেন এবং পরবর্তী তিন দশক তিনি মস্তিষ্ক সংগ্রহের কাজ করতেন।
২০১৮ সালে অর্থাভাবে সংগ্রহশালাটি অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, সিএনএনের প্রতিবেদনে তা বলা হয়নি। সেই সময়ে ইনস্টিটিউট অব ব্রেন প্যাথোলজির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন মার্টিন ডব্লিউ নিয়েলসন। তিনি ‘ব্রেন কালেক্টর’ নামে পরিচিত।
সিএনএন বলেছে, মস্তিষ্কগুলো অক্ষত রাখার জন্য ফর্মালডিহাইডে ডুবিয়ে রাখা হতো। প্রতিটি পাত্রের গায়ে নম্বর লিখে রাখা হতো, যাতে কার মস্তিষ্ক কোনটি, তা শনাক্ত করা যায়। এভাবেই জানা গেছে উদ্ধার হওয়া মস্তিষ্কগুলো কোন কোন রোগীর। তবে ১ নম্বর মস্তিষ্কটি কার, তা এখনো জানতে পারেননি চিকিৎসকেরা।
নাম প্রকাশ না করা ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯ হাজার ৪৭৬টি পাত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে সিএনএন জানিয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার ডিমেনশিয়া রোগীর মস্তিষ্ক ছিল। বাকিগুলো অন্যান্য রোগীর।
সিএনএনের তথ্যচিত্রটি প্রচারিত হওয়ার পরে বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে গেছে। অনেকেই এ ধরনের কর্মকাণ্ডের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ মস্তিষ্কগুলো রোগীর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন। অনেকেই বলেছেন, রোগীর পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
ড্যানিশ অ্যাসোসিয়েশন ফর মেন্টাল হেলথের পরিচালক নাড কার্স্টেনসেন বলেছেন, ‘এই বিপুলসংখ্যক মস্তিষ্ক নিয়ে কী করা হবে, সে বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। অনেকেই মস্তিষ্কগুলো কবর দেওয়া বা অন্য কোনো নৈতিক উপায়ে নষ্ট করার দাবি তুলেছেন। অনেকে অবশ্য মস্তিষ্কগুলো গবেষণার কাজে ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছেন।’
গবেষণা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

কয়েক বছর ধরেই কানাঘুষা চলছিল যে ডেনমার্কের একদল চিকিৎসক মানসিক রোগীদের মস্তিষ্ক চুরি করতেন। বেশির ভাগ মানুষই এই গুজবকে অবিশ্বাস্য মনে করলেও যাঁরা সত্যান্বেষী, তাঁরা রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক তথ্যচিত্রে বিষয়টি তুলে ধরেছে।
সিএনএন বলেছে, সম্প্রতি ডেনমার্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিএনএন যার নাম প্রকাশ করেনি) ক্যাম্পাসের ভূগর্ভস্থ জায়গা থেকে বেশ কিছু মস্তিষ্ক উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে একটি গোপন গুদামে মস্তিষ্কগুলো বাক্সবন্দী করে রাখা হয়েছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর অভিযোগ উঠেছে, ডেনমার্কের একদল চিকিৎসক অন্তত ১০ হাজার মানসিক রোগীর মাথা থেকে মস্তিষ্ক সরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু তাদের পরিবারের কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেননি তাঁরা।
গত ১২-১৩ নভেম্বর সিএনএনে প্রচারিত তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্রায় ৩৭ বছর ধরে ডেনমার্কের চিকিৎসকেরা মস্তিষ্ক সংগ্রহের এ কাজ করতেন। মূলত সিজোফ্রেনিয়া ও নানা ধরনের মানসিক রোগে ভোগা ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের মস্তিষ্ক সরিয়ে নিতেন তাঁরা। কিন্তু তাঁরা বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে ঘুণাক্ষরেও জানাতেন না।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল কারস্টেন আবিলট্রাপ নামের এক শিশু। তাকে ভর্তি করা হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের একটি মানসিক হাসপাতালে। সেই শিশুর মৃত্যুর পর চিকিৎসকেরা তার মস্তিষ্ক সরিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ডেনমার্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই শিশুর মস্তিষ্ক উদ্ধার করা হয়েছে।
সিএনএন বলেছে, সেই সময়ে সিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে যেহেতু চিকিৎসকেরা তেমন কিছুই জানতেন না, তাই এরিক স্টর্মগ্রেন ও লারুস আইনারসন নামের দুই চিকিৎসক গোপনে মস্তিষ্ক হাতানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। মরদেহের ময়নাতদন্তের সময় তাঁরা মস্তিষ্ক সরিয়ে ফেলতেন। এরপর গোপন বাক্সে বন্দী করে ফেলতেন। সিএনএন বলেছে, গবেষণার উদ্দেশ্যে নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে তাঁরা এ কাজ করতেন, তা জানা যায়নি।
ডেনমার্কের আর্থাস ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সায়েন্সের ইতিহাসবিদ টমাস আর্স্লেভ অভিযোগ করে বলেছেন, ১৯৪৫ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ডেনমার্কের বিভিন্ন মানসিক হাসপাতালে যেসব রোগী মারা গেছেন, তাদের অর্ধেকেরই মস্তিষ্ক সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রোগীর পরিবারকে কিছুই জানানো হয়নি।
ডেনমার্কের রিসকভ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালের ইনস্টিটিউট অব ব্রেন প্যাথোলজিতে এসব কাজ চলত বলে সিএনএনের তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে। প্রথম পাঁচ বছর এসব কাজ করতেন স্টর্মগ্রেন ও লারুস আইনারসন নামের দুই চিকিৎসক। পরে নাড এ লোরেনৎজেন নামের আরেক চিকিৎসক ওই ইনস্টিটিউটের দায়িত্ব নেন এবং পরবর্তী তিন দশক তিনি মস্তিষ্ক সংগ্রহের কাজ করতেন।
২০১৮ সালে অর্থাভাবে সংগ্রহশালাটি অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, সিএনএনের প্রতিবেদনে তা বলা হয়নি। সেই সময়ে ইনস্টিটিউট অব ব্রেন প্যাথোলজির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন মার্টিন ডব্লিউ নিয়েলসন। তিনি ‘ব্রেন কালেক্টর’ নামে পরিচিত।
সিএনএন বলেছে, মস্তিষ্কগুলো অক্ষত রাখার জন্য ফর্মালডিহাইডে ডুবিয়ে রাখা হতো। প্রতিটি পাত্রের গায়ে নম্বর লিখে রাখা হতো, যাতে কার মস্তিষ্ক কোনটি, তা শনাক্ত করা যায়। এভাবেই জানা গেছে উদ্ধার হওয়া মস্তিষ্কগুলো কোন কোন রোগীর। তবে ১ নম্বর মস্তিষ্কটি কার, তা এখনো জানতে পারেননি চিকিৎসকেরা।
নাম প্রকাশ না করা ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯ হাজার ৪৭৬টি পাত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে সিএনএন জানিয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার ডিমেনশিয়া রোগীর মস্তিষ্ক ছিল। বাকিগুলো অন্যান্য রোগীর।
সিএনএনের তথ্যচিত্রটি প্রচারিত হওয়ার পরে বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে গেছে। অনেকেই এ ধরনের কর্মকাণ্ডের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ মস্তিষ্কগুলো রোগীর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন। অনেকেই বলেছেন, রোগীর পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
ড্যানিশ অ্যাসোসিয়েশন ফর মেন্টাল হেলথের পরিচালক নাড কার্স্টেনসেন বলেছেন, ‘এই বিপুলসংখ্যক মস্তিষ্ক নিয়ে কী করা হবে, সে বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। অনেকেই মস্তিষ্কগুলো কবর দেওয়া বা অন্য কোনো নৈতিক উপায়ে নষ্ট করার দাবি তুলেছেন। অনেকে অবশ্য মস্তিষ্কগুলো গবেষণার কাজে ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছেন।’
গবেষণা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

কয়েক বছর ধরেই কানাঘুষা চলছিল যে ডেনমার্কের একদল চিকিৎসক মানসিক রোগীদের মস্তিষ্ক চুরি করতেন। বেশির ভাগ মানুষই এই গুজবকে অবিশ্বাস্য মনে করলেও যাঁরা সত্যান্বেষী, তাঁরা রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক তথ্যচিত্রে বিষয়টি তুলে ধরেছে।
সিএনএন বলেছে, সম্প্রতি ডেনমার্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিএনএন যার নাম প্রকাশ করেনি) ক্যাম্পাসের ভূগর্ভস্থ জায়গা থেকে বেশ কিছু মস্তিষ্ক উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে একটি গোপন গুদামে মস্তিষ্কগুলো বাক্সবন্দী করে রাখা হয়েছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর অভিযোগ উঠেছে, ডেনমার্কের একদল চিকিৎসক অন্তত ১০ হাজার মানসিক রোগীর মাথা থেকে মস্তিষ্ক সরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু তাদের পরিবারের কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেননি তাঁরা।
গত ১২-১৩ নভেম্বর সিএনএনে প্রচারিত তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্রায় ৩৭ বছর ধরে ডেনমার্কের চিকিৎসকেরা মস্তিষ্ক সংগ্রহের এ কাজ করতেন। মূলত সিজোফ্রেনিয়া ও নানা ধরনের মানসিক রোগে ভোগা ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের মস্তিষ্ক সরিয়ে নিতেন তাঁরা। কিন্তু তাঁরা বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে ঘুণাক্ষরেও জানাতেন না।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল কারস্টেন আবিলট্রাপ নামের এক শিশু। তাকে ভর্তি করা হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের একটি মানসিক হাসপাতালে। সেই শিশুর মৃত্যুর পর চিকিৎসকেরা তার মস্তিষ্ক সরিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ডেনমার্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই শিশুর মস্তিষ্ক উদ্ধার করা হয়েছে।
সিএনএন বলেছে, সেই সময়ে সিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে যেহেতু চিকিৎসকেরা তেমন কিছুই জানতেন না, তাই এরিক স্টর্মগ্রেন ও লারুস আইনারসন নামের দুই চিকিৎসক গোপনে মস্তিষ্ক হাতানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। মরদেহের ময়নাতদন্তের সময় তাঁরা মস্তিষ্ক সরিয়ে ফেলতেন। এরপর গোপন বাক্সে বন্দী করে ফেলতেন। সিএনএন বলেছে, গবেষণার উদ্দেশ্যে নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে তাঁরা এ কাজ করতেন, তা জানা যায়নি।
ডেনমার্কের আর্থাস ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সায়েন্সের ইতিহাসবিদ টমাস আর্স্লেভ অভিযোগ করে বলেছেন, ১৯৪৫ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ডেনমার্কের বিভিন্ন মানসিক হাসপাতালে যেসব রোগী মারা গেছেন, তাদের অর্ধেকেরই মস্তিষ্ক সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রোগীর পরিবারকে কিছুই জানানো হয়নি।
ডেনমার্কের রিসকভ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালের ইনস্টিটিউট অব ব্রেন প্যাথোলজিতে এসব কাজ চলত বলে সিএনএনের তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে। প্রথম পাঁচ বছর এসব কাজ করতেন স্টর্মগ্রেন ও লারুস আইনারসন নামের দুই চিকিৎসক। পরে নাড এ লোরেনৎজেন নামের আরেক চিকিৎসক ওই ইনস্টিটিউটের দায়িত্ব নেন এবং পরবর্তী তিন দশক তিনি মস্তিষ্ক সংগ্রহের কাজ করতেন।
২০১৮ সালে অর্থাভাবে সংগ্রহশালাটি অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, সিএনএনের প্রতিবেদনে তা বলা হয়নি। সেই সময়ে ইনস্টিটিউট অব ব্রেন প্যাথোলজির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন মার্টিন ডব্লিউ নিয়েলসন। তিনি ‘ব্রেন কালেক্টর’ নামে পরিচিত।
সিএনএন বলেছে, মস্তিষ্কগুলো অক্ষত রাখার জন্য ফর্মালডিহাইডে ডুবিয়ে রাখা হতো। প্রতিটি পাত্রের গায়ে নম্বর লিখে রাখা হতো, যাতে কার মস্তিষ্ক কোনটি, তা শনাক্ত করা যায়। এভাবেই জানা গেছে উদ্ধার হওয়া মস্তিষ্কগুলো কোন কোন রোগীর। তবে ১ নম্বর মস্তিষ্কটি কার, তা এখনো জানতে পারেননি চিকিৎসকেরা।
নাম প্রকাশ না করা ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯ হাজার ৪৭৬টি পাত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে সিএনএন জানিয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার ডিমেনশিয়া রোগীর মস্তিষ্ক ছিল। বাকিগুলো অন্যান্য রোগীর।
সিএনএনের তথ্যচিত্রটি প্রচারিত হওয়ার পরে বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে গেছে। অনেকেই এ ধরনের কর্মকাণ্ডের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ মস্তিষ্কগুলো রোগীর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন। অনেকেই বলেছেন, রোগীর পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
ড্যানিশ অ্যাসোসিয়েশন ফর মেন্টাল হেলথের পরিচালক নাড কার্স্টেনসেন বলেছেন, ‘এই বিপুলসংখ্যক মস্তিষ্ক নিয়ে কী করা হবে, সে বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। অনেকেই মস্তিষ্কগুলো কবর দেওয়া বা অন্য কোনো নৈতিক উপায়ে নষ্ট করার দাবি তুলেছেন। অনেকে অবশ্য মস্তিষ্কগুলো গবেষণার কাজে ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছেন।’
গবেষণা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
১৮ ঘণ্টা আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১৯ ঘণ্টা আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

কয়েক বছর ধরেই কানাঘুষা চলছিল যে ডেনমার্কের একদল চিকিৎসক মানসিক রোগীদের মস্তিষ্ক চুরি করতেন। বেশির ভাগ মানুষই এই গুজবকে অবিশ্বাস্য মনে করলেও যাঁরা সত্যান্বেষী, তাঁরা রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক তথ্যচিত্রে বিষয়টি তুলে ধরেছে।
১৭ নভেম্বর ২০২২
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১৯ ঘণ্টা আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

কয়েক বছর ধরেই কানাঘুষা চলছিল যে ডেনমার্কের একদল চিকিৎসক মানসিক রোগীদের মস্তিষ্ক চুরি করতেন। বেশির ভাগ মানুষই এই গুজবকে অবিশ্বাস্য মনে করলেও যাঁরা সত্যান্বেষী, তাঁরা রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক তথ্যচিত্রে বিষয়টি তুলে ধরেছে।
১৭ নভেম্বর ২০২২
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
১৮ ঘণ্টা আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

কয়েক বছর ধরেই কানাঘুষা চলছিল যে ডেনমার্কের একদল চিকিৎসক মানসিক রোগীদের মস্তিষ্ক চুরি করতেন। বেশির ভাগ মানুষই এই গুজবকে অবিশ্বাস্য মনে করলেও যাঁরা সত্যান্বেষী, তাঁরা রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক তথ্যচিত্রে বিষয়টি তুলে ধরেছে।
১৭ নভেম্বর ২০২২
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
১৮ ঘণ্টা আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১৯ ঘণ্টা আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন এই মৃত্যুর ভয়াবহ অবহেলাটিকে সামনে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রিস্টিয়ান একটি রাইডিং মাওয়ার চালানোর সময় পড়ে যায় এবং তখনই তাকে একটি ব্রাউন স্নেক ছোবল দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ। কামড়ের পর ট্রিস্টিয়ানের বাবা কেরড ফ্রাহাম ও আরও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কামড়ের দাগ খুঁজলেও স্পষ্ট কিছু না পেয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন। কেরড মনে করেছিলেন, ছেলে হয়তো মদ্যপ ছিল, তাই অসুস্থ দেখাচ্ছে। পরে তিনি ছেলেকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে ভালো লাগবে।’
কিন্তু পরদিন সকালেই ট্রিস্টিয়ানকে বাড়ির বাইরে একটি স্লিপিং ব্যাগের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার ডান গোড়ালিতে দুটি চিহ্ন ছিল, যা সাপের কামড়ের সঙ্গে মিলে যায়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ব্রাউন স্নেকের বিষে তার দেহে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
করনারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি ট্রিস্টিয়ান সময়মতো চিকিৎসা পেত, তবে তার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হতো।’
এই ঘটনাটি সাপের কামড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এদিকে কেরড ফ্রাহামের বিরুদ্ধে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হলেও গত বছর সেই মামলা রহস্যজনকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন এই মৃত্যুর ভয়াবহ অবহেলাটিকে সামনে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রিস্টিয়ান একটি রাইডিং মাওয়ার চালানোর সময় পড়ে যায় এবং তখনই তাকে একটি ব্রাউন স্নেক ছোবল দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ। কামড়ের পর ট্রিস্টিয়ানের বাবা কেরড ফ্রাহাম ও আরও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কামড়ের দাগ খুঁজলেও স্পষ্ট কিছু না পেয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন। কেরড মনে করেছিলেন, ছেলে হয়তো মদ্যপ ছিল, তাই অসুস্থ দেখাচ্ছে। পরে তিনি ছেলেকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে ভালো লাগবে।’
কিন্তু পরদিন সকালেই ট্রিস্টিয়ানকে বাড়ির বাইরে একটি স্লিপিং ব্যাগের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার ডান গোড়ালিতে দুটি চিহ্ন ছিল, যা সাপের কামড়ের সঙ্গে মিলে যায়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ব্রাউন স্নেকের বিষে তার দেহে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
করনারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি ট্রিস্টিয়ান সময়মতো চিকিৎসা পেত, তবে তার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হতো।’
এই ঘটনাটি সাপের কামড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এদিকে কেরড ফ্রাহামের বিরুদ্ধে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হলেও গত বছর সেই মামলা রহস্যজনকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

কয়েক বছর ধরেই কানাঘুষা চলছিল যে ডেনমার্কের একদল চিকিৎসক মানসিক রোগীদের মস্তিষ্ক চুরি করতেন। বেশির ভাগ মানুষই এই গুজবকে অবিশ্বাস্য মনে করলেও যাঁরা সত্যান্বেষী, তাঁরা রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক তথ্যচিত্রে বিষয়টি তুলে ধরেছে।
১৭ নভেম্বর ২০২২
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
১৮ ঘণ্টা আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
১৯ ঘণ্টা আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগে