২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা ১ লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে, তা নিয়েও শুরু হয় তর্কবিতর্ক।
শিল্পী মাওরিজিও কাতেলানের ‘কমেডিয়ান’ নামের ভাইরাল সৃষ্টিটি শেষ পর্যন্ত ভালো একটি বিনিয়োগ হিসেবেই পরিচিতি পেতে যাচ্ছে। গত শুক্রবার নিলাম প্রতিষ্ঠান সেথেবি’স ঘোষণা করেছে, শিল্পকর্মটির তিনটি সংস্করণের একটি আবারও বিক্রির জন্য তোলা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার এর দাম উঠবে ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ ডলার। এমন দামই হাঁকাবে নিলামকারী প্রতিষ্ঠানও।
নিলামে বিজয়ী তার এই বিপুল অর্থ খরচের বিনিময়ে পাবেন ডাক্ট টেপের একটি রোল এবং একটি কলা। এর সঙ্গে পাবেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে একটি প্রশংসাপত্র এবং কীভাবে কলাটি আটকতে হবে সেটির লিখিত পরামর্শ। সথেবি’স সিএনএনকে নিশ্চিত করেছে, টেপ কিংবা কলা কোনোটিই আসলটি নয়।
‘কমেডিয়ান একটি ধারণাগত শিল্পকর্ম এবং প্রকৃত উপকরণ প্রতিস্থাপিত হয়।’ ই-মেইলে নিশ্চিত করেন সথেবি’সের মুখপাত্র।
কাতেলান ও ফরাসি আর্ট গ্যালারি পেহোতা পাঁচ বছর আগে বিশ্বজুড়ে শিরোনামে আসে আর্ট বাসেল মায়ামি বিচ উৎসবে ‘কমেডিয়ান’কে নিলামে তুলে। এ সময় শিল্পকর্মটির দাম হাঁকা হয় ছয় অঙ্কে।
মূল কলাটি কেনা হয়েছিল মায়ামির একটি মুদি দোকান থেকে। তবে গ্যালারি জানিয়েছিল, শিল্পীর পরামর্শে এটি পরিবর্তন করা হতো। এদিকে কাজটি নিয়ে শিল্পবোদ্ধারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। তবে মানুষের লাইন পড়ে গেল শিল্পকর্মটি দেখতে।
বিষয়টি অপ্রত্যাশিত এক মোড় নিল, যখন মানুষকে বিভিন্ন স্ট্যান্ট দেখিয়ে চমকে দেওয়া পারফরম্যান্স শিল্পী ডেভিড ডটুনা দেয়ালে আটকানো কলাটা টান দিয়ে খুলে শত শত বিস্মিত দর্শকের সামনে এটি খেয়ে ফেলেন।
পরে তিনি এই পদক্ষেপকে বিধ্বংসী কিছু নয় বরং নিজের একটি শৈল্পিক প্রদর্শনী হিসেবে দাবি করে রেহাই পান।
তবে মানুষের নিরাপত্তা বিবেচনায় মায়ামির ওই উৎসব থেকে শিল্পকর্ম সরিয়ে ফেলেন আয়োজকেরা। তবে মেলা চলাকালীন তিনটি সংস্করণই বিক্রি হয়ে যায়। দুটি ব্যক্তিগত সংগ্রাহকদের কাছে বিক্রি হয় ১ লাখ ২০ হাজার ডলারে। তৃতীয়টি আরও বেশি দামে কেনেন কেউ। তবে এর মূল্য প্রকাশ করা হয়নি। পরবর্তী সময়ে এটি নিউইয়র্কের গাগেনহাইম জাদুঘরে দান করে দেওয়া হয়।
এই নভেম্বরের নিলামে বিক্রি হতে চলা শিল্পকর্মের মালিকের নাম প্রকাশ করেনি সথেবি’স। কিন্তু জানিয়েছে, এর বর্তমান মালিক এটি মূল ক্রেতাদের একজনের কাছ থেকে পেয়েছেন।
২০২১ সালে আর্ট নিউজ পেপারকে কাতেলান বলেন, ‘মজা বা হাস্যরস করে এটা করা হয়নি, বরং আমরা কিসের মূল্য দিই, এটি তার একটি প্রতিফলন।’
নিলামর বিষয়টির ঘোষণা দিয়ে সথেবি’সের কর্মকর্তা ডেভিড গালপেরিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘কমেডিয়ান’কে খাঁটি প্রতিভাধর একজন মানুষের উদ্ধত এক কাজ হিসেবে উল্লেখ করেন।
‘কমেডিয়ান’ নিলামে আসার আগেই সাম্প্রতিক সময়ে সিওলের লিয়াম মিউজিয়াম অব আর্টে প্রদর্শিত হয়। ওই সময়ও এটি খেয়ে ফেলা হয়। সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী ফলটি সেখান থেকে খুলে খেয়ে ফেলেন। পরে অবশ্য কলার খোসাটি সেখানে আটকে দেন।
২০২৩ সালের ওই ঘটনার পর জাদুঘরটির মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে জানায়, ক্ষুধার্ত হওয়ায় কলাটি খেয়ে ফেলে সে।’ পরে অবশ্য জাদুঘর কর্তৃপক্ষ খেয়ে ফেলা কলার জায়গায় তাজা একটি কলা পুনঃস্থাপন করে।
২০ নভেম্বর সথেবি’সের নিউইয়র্ক সদর দপ্তরে নিলামটি হবে। এর আগে শিল্পকর্মটি আরও কয়েকটি জায়গায় প্রদর্শনের ইচ্ছা আছে তাদের। এটি বিশ্বভ্রমণে ঘুরে আসবে লন্ডন, প্যারিস, মিলান, হংকং, দুবাই, তাইপে, টোকিও এবং লস অ্যাঞ্জেলেস শহর।
২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা ১ লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে, তা নিয়েও শুরু হয় তর্কবিতর্ক।
শিল্পী মাওরিজিও কাতেলানের ‘কমেডিয়ান’ নামের ভাইরাল সৃষ্টিটি শেষ পর্যন্ত ভালো একটি বিনিয়োগ হিসেবেই পরিচিতি পেতে যাচ্ছে। গত শুক্রবার নিলাম প্রতিষ্ঠান সেথেবি’স ঘোষণা করেছে, শিল্পকর্মটির তিনটি সংস্করণের একটি আবারও বিক্রির জন্য তোলা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার এর দাম উঠবে ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ ডলার। এমন দামই হাঁকাবে নিলামকারী প্রতিষ্ঠানও।
নিলামে বিজয়ী তার এই বিপুল অর্থ খরচের বিনিময়ে পাবেন ডাক্ট টেপের একটি রোল এবং একটি কলা। এর সঙ্গে পাবেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে একটি প্রশংসাপত্র এবং কীভাবে কলাটি আটকতে হবে সেটির লিখিত পরামর্শ। সথেবি’স সিএনএনকে নিশ্চিত করেছে, টেপ কিংবা কলা কোনোটিই আসলটি নয়।
‘কমেডিয়ান একটি ধারণাগত শিল্পকর্ম এবং প্রকৃত উপকরণ প্রতিস্থাপিত হয়।’ ই-মেইলে নিশ্চিত করেন সথেবি’সের মুখপাত্র।
কাতেলান ও ফরাসি আর্ট গ্যালারি পেহোতা পাঁচ বছর আগে বিশ্বজুড়ে শিরোনামে আসে আর্ট বাসেল মায়ামি বিচ উৎসবে ‘কমেডিয়ান’কে নিলামে তুলে। এ সময় শিল্পকর্মটির দাম হাঁকা হয় ছয় অঙ্কে।
মূল কলাটি কেনা হয়েছিল মায়ামির একটি মুদি দোকান থেকে। তবে গ্যালারি জানিয়েছিল, শিল্পীর পরামর্শে এটি পরিবর্তন করা হতো। এদিকে কাজটি নিয়ে শিল্পবোদ্ধারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। তবে মানুষের লাইন পড়ে গেল শিল্পকর্মটি দেখতে।
বিষয়টি অপ্রত্যাশিত এক মোড় নিল, যখন মানুষকে বিভিন্ন স্ট্যান্ট দেখিয়ে চমকে দেওয়া পারফরম্যান্স শিল্পী ডেভিড ডটুনা দেয়ালে আটকানো কলাটা টান দিয়ে খুলে শত শত বিস্মিত দর্শকের সামনে এটি খেয়ে ফেলেন।
পরে তিনি এই পদক্ষেপকে বিধ্বংসী কিছু নয় বরং নিজের একটি শৈল্পিক প্রদর্শনী হিসেবে দাবি করে রেহাই পান।
তবে মানুষের নিরাপত্তা বিবেচনায় মায়ামির ওই উৎসব থেকে শিল্পকর্ম সরিয়ে ফেলেন আয়োজকেরা। তবে মেলা চলাকালীন তিনটি সংস্করণই বিক্রি হয়ে যায়। দুটি ব্যক্তিগত সংগ্রাহকদের কাছে বিক্রি হয় ১ লাখ ২০ হাজার ডলারে। তৃতীয়টি আরও বেশি দামে কেনেন কেউ। তবে এর মূল্য প্রকাশ করা হয়নি। পরবর্তী সময়ে এটি নিউইয়র্কের গাগেনহাইম জাদুঘরে দান করে দেওয়া হয়।
এই নভেম্বরের নিলামে বিক্রি হতে চলা শিল্পকর্মের মালিকের নাম প্রকাশ করেনি সথেবি’স। কিন্তু জানিয়েছে, এর বর্তমান মালিক এটি মূল ক্রেতাদের একজনের কাছ থেকে পেয়েছেন।
২০২১ সালে আর্ট নিউজ পেপারকে কাতেলান বলেন, ‘মজা বা হাস্যরস করে এটা করা হয়নি, বরং আমরা কিসের মূল্য দিই, এটি তার একটি প্রতিফলন।’
নিলামর বিষয়টির ঘোষণা দিয়ে সথেবি’সের কর্মকর্তা ডেভিড গালপেরিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘কমেডিয়ান’কে খাঁটি প্রতিভাধর একজন মানুষের উদ্ধত এক কাজ হিসেবে উল্লেখ করেন।
‘কমেডিয়ান’ নিলামে আসার আগেই সাম্প্রতিক সময়ে সিওলের লিয়াম মিউজিয়াম অব আর্টে প্রদর্শিত হয়। ওই সময়ও এটি খেয়ে ফেলা হয়। সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী ফলটি সেখান থেকে খুলে খেয়ে ফেলেন। পরে অবশ্য কলার খোসাটি সেখানে আটকে দেন।
২০২৩ সালের ওই ঘটনার পর জাদুঘরটির মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে জানায়, ক্ষুধার্ত হওয়ায় কলাটি খেয়ে ফেলে সে।’ পরে অবশ্য জাদুঘর কর্তৃপক্ষ খেয়ে ফেলা কলার জায়গায় তাজা একটি কলা পুনঃস্থাপন করে।
২০ নভেম্বর সথেবি’সের নিউইয়র্ক সদর দপ্তরে নিলামটি হবে। এর আগে শিল্পকর্মটি আরও কয়েকটি জায়গায় প্রদর্শনের ইচ্ছা আছে তাদের। এটি বিশ্বভ্রমণে ঘুরে আসবে লন্ডন, প্যারিস, মিলান, হংকং, দুবাই, তাইপে, টোকিও এবং লস অ্যাঞ্জেলেস শহর।
পরিত্যক্ত একটি নকিয়া ফোনের সূত্র ধরে পরিচয় পাওয়া গেছে ১০ বছর আগে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আমির খান নামের ওই ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার হয়। মরদেহের পাশে থাকা ফোনটির সূত্র ধরেই তাঁর পরিচয় উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির।
৯ ঘণ্টা আগেভারতের তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদের গাচিবৌলি এলাকায় গাঁজা সরবরাহকারী একটি চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে অদ্ভুত ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন মাদকবিরোধী কর্মকর্তারা। সম্প্রতি এলিট অ্যাকশন গ্রুপ ফর ড্রাগ ল এনফোর্সমেন্টের (ইগল) অভিযানে তাঁরা দেখতে পান, এক দম্পতি তাঁদের চার বছরের শিশুকে নিয়ে এসেছেন গাঁজা...
২ দিন আগেদিল্লির সুলতানপুরে গত ১৯ জুন ২৫ বছর বয়সী এক যুবক অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুই মোটরসাইকেল আরোহী তাঁর মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। তখন ওই যুবক ভেবেছিলেন, এটা হয়তো দুর্ভাগ্য ছাড়া কিছু না। কিন্তু ১৫ দিন পর পুলিশ ছিনতাই হওয়া ফোনটি উদ্ধার করে। একই সঙ্গে, যে ছিনতাইয়ের পুরো ঘটনাটি সাজিয়েছিলেন, তাঁকেও শনাক্ত করে।
৩ দিন আগেশুধু মানুষই নয়, শিম্পাঞ্জিরাও ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুসরণ করে—সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন চমকপ্রদ তথ্য। আফ্রিকার জাম্বিয়ায় অবস্থিত চিমফুনশি ওয়াইল্ডলাইফ অরফানেজ ট্রাস্টের শিম্পাঞ্জিদের দুটি দলের মধ্যে বর্তমানে চলছে কানে কাঠি বা ঘাস গুঁজে রাখার ট্রেন্ড।
৪ দিন আগে