নব্বইয়ের দশকে জাপানের সেলফোনে প্রথম ইমোজি ব্যবহার শুরু হয়। দ্রুতই বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দেয়। কেবল তরুণদের মধ্যেই নয়, বয়স্ক প্রজন্মের জন্যও এটি যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠে। দিনকে দিন এই ইমোজির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তবে এই ইমোজির অর্থ বোঝা ও ব্যবহারের জ্ঞান নারী ও পুরুষের মধ্যে সমান নয় বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
ইমোজি ব্যবহারের প্রধান একটি কারণ হলো, মেসেজের ভাব আরও ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা। তবে কোনো ইমোজির নির্দিষ্ট ভাব বুঝে ওঠা সব সময় সম্ভব হয় না। ‘আনন্দাশ্রু যুক্ত চেহারা’—এই ধরনের ইমোজির অর্থ সবাই বোঝে, আর সবার কাছে এর অর্থও একই।
কিন্তু এমন অনেক ইমোজি আছে ব্যক্তি ও সমাজ ভেদে যেগুলোর অর্থ ভিন্ন। কিছু ইমোজি এমন আছে যেগুলোর বিভিন্ন গোষ্ঠীতে অর্থ একেবারেই উল্টো। যেমন—চিৎকার করে কান্নার একটি ইমোজি আছে, এটি দিয়ে যেমন তীব্র শোক বোঝানো যায়, তেমনি এটি দিয়ে বাঁধভাঙা আনন্দও বোঝানো যেতে পারে।
ইমোজির ব্যবহার যেভাবে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে, এর মোক্ষম অর্থ বোঝাটাও জরুরি হয়ে উঠেছে। ইমোজি ব্যবহারে লিঙ্গ পার্থক্য, ইমোজিগুলোর সঙ্গে পরিচিতি এবং ইমোজি যে আবেগ বোঝায় তা অনুসন্ধান করতে ২০২০ সালে জোন্স এবং তাঁর সহকর্মীরা একটি গবেষণা করেন।
গবেষণায় ২৯৯ জন কলেজ শিক্ষার্থীর (১৬৩ নারী ও ১৩৬ পুরুষ) ওপর অ্যাপল আইওএসের ৭০টি ফেসিয়াল ইমোজির বিষয়ে একটি অনলাইন জরিপ চালানো হয়।
শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকটি ইমোজি ২ সেকেন্ড ধরে দেখার পর নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়। ১১ পয়েন্ট স্কেলে তাঁদের নম্বর দিতে বলা হয়—
*ওপরের ইমোজিটিকে আপনি কতটা ইতিবাচক/নেতিবাচক মনে করেন?
*ওপরের ইমোজিটি আপনার কাছে কতটা পরিচিত?
এ ছাড়া তাঁদের ছয় পয়েন্ট স্কেলে প্রতিটি ইমোজির সঙ্গে তাঁরা কতটা পরিচিত তাও চিহ্নিত করতে বলা হয়।
চারটি ভিন্ন প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীরা কতবার ইমোজি পাঠিয়েছেন বা পেয়েছেন তাও জানতে চাওয়া হয়:
*কারও স্মার্টফোনে টেক্সট মেসেজ
*ফেসবুক পোস্ট বা মন্তব্যের মধ্যে
*অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ্লিকেশন বা টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো সাইটগুলোতে
*ই–মেইল
সবশেষে, শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে তাঁরা সঙ্গী, বন্ধু, পরিবারের সদস্য, সহকর্মী, অধ্যাপক বা সুপারভাইজারের মতো বিভিন্ন গোষ্ঠীর ব্যক্তির কাছে কতবার ইমোজি পাঠান।
দেখা গেছে, নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় ইমোজিগুলোকে বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন। নারীরা পুরুষের তুলনায় নেতিবাচক ও নিরপেক্ষ ইমোজিকে বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন। ইতিবাচক ইমোজির ক্ষেত্রে এমন কোনো ধরনের লৈঙ্গিক পার্থক্য ছিল না। এর আগেও অন্যান্য গবেষণায় উঠে এসেছে, নারীরা পুরুষের তুলনায় নেতিবাচক মুখভঙ্গি বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন।
ইমোজি পরিচিতির ক্ষেত্রেও নারী ও পুরুষদের মধ্যে বেশ তফাৎ রয়েছে। নারীরা পুরুষের তুলনায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ইমোজি বেশি চেনে, তবে নিরপেক্ষ ইমোজির ক্ষেত্রে এই পার্থক্য চোখে পড়ে না।
এ ছাড়া নারীরা পুরুষের তুলনায় ইমোজি বেশি ব্যবহার করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। সাধারণত পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মেসেজে কথা বলার সময় নারীরা বেশি ইমোজি ব্যবহার করে। তবে অধ্যাপক ও সুপারভাইজারদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় ইমোজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এমন কোনো ধরনের লৈঙ্গিক পার্থক্য দেখা যায়নি। এসব ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ—উভয়ই তুলনামূলক কম ইমোজি ব্যবহারের চেষ্টা করেন। তেমনি সঙ্গীর সঙ্গে ইমোজি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নারী–পুরুষের তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ—উভয়ই বেশি পরিমাণে ইমোজি ব্যবহার করে।
গবেষণার ফলাফল বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীদের ইমোজি সম্পর্কিত জ্ঞান বেশি এবং তাঁরা ইমোজি ব্যবহারও করেন বেশি।
নব্বইয়ের দশকে জাপানের সেলফোনে প্রথম ইমোজি ব্যবহার শুরু হয়। দ্রুতই বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দেয়। কেবল তরুণদের মধ্যেই নয়, বয়স্ক প্রজন্মের জন্যও এটি যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠে। দিনকে দিন এই ইমোজির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তবে এই ইমোজির অর্থ বোঝা ও ব্যবহারের জ্ঞান নারী ও পুরুষের মধ্যে সমান নয় বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
ইমোজি ব্যবহারের প্রধান একটি কারণ হলো, মেসেজের ভাব আরও ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা। তবে কোনো ইমোজির নির্দিষ্ট ভাব বুঝে ওঠা সব সময় সম্ভব হয় না। ‘আনন্দাশ্রু যুক্ত চেহারা’—এই ধরনের ইমোজির অর্থ সবাই বোঝে, আর সবার কাছে এর অর্থও একই।
কিন্তু এমন অনেক ইমোজি আছে ব্যক্তি ও সমাজ ভেদে যেগুলোর অর্থ ভিন্ন। কিছু ইমোজি এমন আছে যেগুলোর বিভিন্ন গোষ্ঠীতে অর্থ একেবারেই উল্টো। যেমন—চিৎকার করে কান্নার একটি ইমোজি আছে, এটি দিয়ে যেমন তীব্র শোক বোঝানো যায়, তেমনি এটি দিয়ে বাঁধভাঙা আনন্দও বোঝানো যেতে পারে।
ইমোজির ব্যবহার যেভাবে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে, এর মোক্ষম অর্থ বোঝাটাও জরুরি হয়ে উঠেছে। ইমোজি ব্যবহারে লিঙ্গ পার্থক্য, ইমোজিগুলোর সঙ্গে পরিচিতি এবং ইমোজি যে আবেগ বোঝায় তা অনুসন্ধান করতে ২০২০ সালে জোন্স এবং তাঁর সহকর্মীরা একটি গবেষণা করেন।
গবেষণায় ২৯৯ জন কলেজ শিক্ষার্থীর (১৬৩ নারী ও ১৩৬ পুরুষ) ওপর অ্যাপল আইওএসের ৭০টি ফেসিয়াল ইমোজির বিষয়ে একটি অনলাইন জরিপ চালানো হয়।
শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকটি ইমোজি ২ সেকেন্ড ধরে দেখার পর নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়। ১১ পয়েন্ট স্কেলে তাঁদের নম্বর দিতে বলা হয়—
*ওপরের ইমোজিটিকে আপনি কতটা ইতিবাচক/নেতিবাচক মনে করেন?
*ওপরের ইমোজিটি আপনার কাছে কতটা পরিচিত?
এ ছাড়া তাঁদের ছয় পয়েন্ট স্কেলে প্রতিটি ইমোজির সঙ্গে তাঁরা কতটা পরিচিত তাও চিহ্নিত করতে বলা হয়।
চারটি ভিন্ন প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীরা কতবার ইমোজি পাঠিয়েছেন বা পেয়েছেন তাও জানতে চাওয়া হয়:
*কারও স্মার্টফোনে টেক্সট মেসেজ
*ফেসবুক পোস্ট বা মন্তব্যের মধ্যে
*অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ্লিকেশন বা টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো সাইটগুলোতে
*ই–মেইল
সবশেষে, শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে তাঁরা সঙ্গী, বন্ধু, পরিবারের সদস্য, সহকর্মী, অধ্যাপক বা সুপারভাইজারের মতো বিভিন্ন গোষ্ঠীর ব্যক্তির কাছে কতবার ইমোজি পাঠান।
দেখা গেছে, নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় ইমোজিগুলোকে বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন। নারীরা পুরুষের তুলনায় নেতিবাচক ও নিরপেক্ষ ইমোজিকে বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন। ইতিবাচক ইমোজির ক্ষেত্রে এমন কোনো ধরনের লৈঙ্গিক পার্থক্য ছিল না। এর আগেও অন্যান্য গবেষণায় উঠে এসেছে, নারীরা পুরুষের তুলনায় নেতিবাচক মুখভঙ্গি বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন।
ইমোজি পরিচিতির ক্ষেত্রেও নারী ও পুরুষদের মধ্যে বেশ তফাৎ রয়েছে। নারীরা পুরুষের তুলনায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ইমোজি বেশি চেনে, তবে নিরপেক্ষ ইমোজির ক্ষেত্রে এই পার্থক্য চোখে পড়ে না।
এ ছাড়া নারীরা পুরুষের তুলনায় ইমোজি বেশি ব্যবহার করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। সাধারণত পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মেসেজে কথা বলার সময় নারীরা বেশি ইমোজি ব্যবহার করে। তবে অধ্যাপক ও সুপারভাইজারদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় ইমোজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এমন কোনো ধরনের লৈঙ্গিক পার্থক্য দেখা যায়নি। এসব ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ—উভয়ই তুলনামূলক কম ইমোজি ব্যবহারের চেষ্টা করেন। তেমনি সঙ্গীর সঙ্গে ইমোজি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নারী–পুরুষের তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ—উভয়ই বেশি পরিমাণে ইমোজি ব্যবহার করে।
গবেষণার ফলাফল বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীদের ইমোজি সম্পর্কিত জ্ঞান বেশি এবং তাঁরা ইমোজি ব্যবহারও করেন বেশি।
হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলার শিল্লাই গ্রামের ট্রান্স-গিরি অঞ্চলে প্রাচীন রীতিনীতির অনুসরণে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমী বিবাহ অনুষ্ঠান—এক নারী বিয়ে করেছেন দুই ভাইকে। হাট্টি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পলিয়ান্ড্রি বিয়েতে শত শত অতিথি অংশ নেন।
১৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্রেডিট তথা পরীক্ষার খাতায় বেশি নম্বর দেওয়ার বিনিময়ে রক্ত দান করতে বাধ্য করেছেন এক ফুটবল কোচ। তাইওয়ানের একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ফুটবল কোচ এমনই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে...
১ দিন আগেআজকের ডিজিটাল দুনিয়ায় আমাদের দৈনন্দিন যোগাযোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে ইমোজি। ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আমরা মনের ভাব প্রকাশে ইমোজি ব্যবহার করি। ভাষার সীমা পেরিয়ে এই ছোট ছোট ডিজিটাল চিহ্নগুলো আবেগ প্রকাশের কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আনন্দ থেকে শুরু করে দুঃখ—সব অনুভূতিই এখন বোঝ
৪ দিন আগেপরিত্যক্ত একটি নকিয়া ফোনের সূত্র ধরে পরিচয় পাওয়া গেছে ১০ বছর আগে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আমির খান নামের ওই ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার হয়। মরদেহের পাশে থাকা ফোনটির সূত্র ধরেই তাঁর পরিচয় উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির।
৫ দিন আগে