নব্বইয়ের দশকে জাপানের সেলফোনে প্রথম ইমোজি ব্যবহার শুরু হয়। দ্রুতই বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দেয়। কেবল তরুণদের মধ্যেই নয়, বয়স্ক প্রজন্মের জন্যও এটি যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠে। দিনকে দিন এই ইমোজির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তবে এই ইমোজির অর্থ বোঝা ও ব্যবহারের জ্ঞান নারী ও পুরুষের মধ্যে সমান নয় বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
ইমোজি ব্যবহারের প্রধান একটি কারণ হলো, মেসেজের ভাব আরও ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা। তবে কোনো ইমোজির নির্দিষ্ট ভাব বুঝে ওঠা সব সময় সম্ভব হয় না। ‘আনন্দাশ্রু যুক্ত চেহারা’—এই ধরনের ইমোজির অর্থ সবাই বোঝে, আর সবার কাছে এর অর্থও একই।
কিন্তু এমন অনেক ইমোজি আছে ব্যক্তি ও সমাজ ভেদে যেগুলোর অর্থ ভিন্ন। কিছু ইমোজি এমন আছে যেগুলোর বিভিন্ন গোষ্ঠীতে অর্থ একেবারেই উল্টো। যেমন—চিৎকার করে কান্নার একটি ইমোজি আছে, এটি দিয়ে যেমন তীব্র শোক বোঝানো যায়, তেমনি এটি দিয়ে বাঁধভাঙা আনন্দও বোঝানো যেতে পারে।
ইমোজির ব্যবহার যেভাবে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে, এর মোক্ষম অর্থ বোঝাটাও জরুরি হয়ে উঠেছে। ইমোজি ব্যবহারে লিঙ্গ পার্থক্য, ইমোজিগুলোর সঙ্গে পরিচিতি এবং ইমোজি যে আবেগ বোঝায় তা অনুসন্ধান করতে ২০২০ সালে জোন্স এবং তাঁর সহকর্মীরা একটি গবেষণা করেন।
গবেষণায় ২৯৯ জন কলেজ শিক্ষার্থীর (১৬৩ নারী ও ১৩৬ পুরুষ) ওপর অ্যাপল আইওএসের ৭০টি ফেসিয়াল ইমোজির বিষয়ে একটি অনলাইন জরিপ চালানো হয়।
শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকটি ইমোজি ২ সেকেন্ড ধরে দেখার পর নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়। ১১ পয়েন্ট স্কেলে তাঁদের নম্বর দিতে বলা হয়—
*ওপরের ইমোজিটিকে আপনি কতটা ইতিবাচক/নেতিবাচক মনে করেন?
*ওপরের ইমোজিটি আপনার কাছে কতটা পরিচিত?
এ ছাড়া তাঁদের ছয় পয়েন্ট স্কেলে প্রতিটি ইমোজির সঙ্গে তাঁরা কতটা পরিচিত তাও চিহ্নিত করতে বলা হয়।
চারটি ভিন্ন প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীরা কতবার ইমোজি পাঠিয়েছেন বা পেয়েছেন তাও জানতে চাওয়া হয়:
*কারও স্মার্টফোনে টেক্সট মেসেজ
*ফেসবুক পোস্ট বা মন্তব্যের মধ্যে
*অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ্লিকেশন বা টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো সাইটগুলোতে
*ই–মেইল
সবশেষে, শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে তাঁরা সঙ্গী, বন্ধু, পরিবারের সদস্য, সহকর্মী, অধ্যাপক বা সুপারভাইজারের মতো বিভিন্ন গোষ্ঠীর ব্যক্তির কাছে কতবার ইমোজি পাঠান।
দেখা গেছে, নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় ইমোজিগুলোকে বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন। নারীরা পুরুষের তুলনায় নেতিবাচক ও নিরপেক্ষ ইমোজিকে বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন। ইতিবাচক ইমোজির ক্ষেত্রে এমন কোনো ধরনের লৈঙ্গিক পার্থক্য ছিল না। এর আগেও অন্যান্য গবেষণায় উঠে এসেছে, নারীরা পুরুষের তুলনায় নেতিবাচক মুখভঙ্গি বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন।
ইমোজি পরিচিতির ক্ষেত্রেও নারী ও পুরুষদের মধ্যে বেশ তফাৎ রয়েছে। নারীরা পুরুষের তুলনায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ইমোজি বেশি চেনে, তবে নিরপেক্ষ ইমোজির ক্ষেত্রে এই পার্থক্য চোখে পড়ে না।
এ ছাড়া নারীরা পুরুষের তুলনায় ইমোজি বেশি ব্যবহার করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। সাধারণত পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মেসেজে কথা বলার সময় নারীরা বেশি ইমোজি ব্যবহার করে। তবে অধ্যাপক ও সুপারভাইজারদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় ইমোজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এমন কোনো ধরনের লৈঙ্গিক পার্থক্য দেখা যায়নি। এসব ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ—উভয়ই তুলনামূলক কম ইমোজি ব্যবহারের চেষ্টা করেন। তেমনি সঙ্গীর সঙ্গে ইমোজি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নারী–পুরুষের তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ—উভয়ই বেশি পরিমাণে ইমোজি ব্যবহার করে।
গবেষণার ফলাফল বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীদের ইমোজি সম্পর্কিত জ্ঞান বেশি এবং তাঁরা ইমোজি ব্যবহারও করেন বেশি।
নব্বইয়ের দশকে জাপানের সেলফোনে প্রথম ইমোজি ব্যবহার শুরু হয়। দ্রুতই বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দেয়। কেবল তরুণদের মধ্যেই নয়, বয়স্ক প্রজন্মের জন্যও এটি যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠে। দিনকে দিন এই ইমোজির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তবে এই ইমোজির অর্থ বোঝা ও ব্যবহারের জ্ঞান নারী ও পুরুষের মধ্যে সমান নয় বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
ইমোজি ব্যবহারের প্রধান একটি কারণ হলো, মেসেজের ভাব আরও ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা। তবে কোনো ইমোজির নির্দিষ্ট ভাব বুঝে ওঠা সব সময় সম্ভব হয় না। ‘আনন্দাশ্রু যুক্ত চেহারা’—এই ধরনের ইমোজির অর্থ সবাই বোঝে, আর সবার কাছে এর অর্থও একই।
কিন্তু এমন অনেক ইমোজি আছে ব্যক্তি ও সমাজ ভেদে যেগুলোর অর্থ ভিন্ন। কিছু ইমোজি এমন আছে যেগুলোর বিভিন্ন গোষ্ঠীতে অর্থ একেবারেই উল্টো। যেমন—চিৎকার করে কান্নার একটি ইমোজি আছে, এটি দিয়ে যেমন তীব্র শোক বোঝানো যায়, তেমনি এটি দিয়ে বাঁধভাঙা আনন্দও বোঝানো যেতে পারে।
ইমোজির ব্যবহার যেভাবে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে, এর মোক্ষম অর্থ বোঝাটাও জরুরি হয়ে উঠেছে। ইমোজি ব্যবহারে লিঙ্গ পার্থক্য, ইমোজিগুলোর সঙ্গে পরিচিতি এবং ইমোজি যে আবেগ বোঝায় তা অনুসন্ধান করতে ২০২০ সালে জোন্স এবং তাঁর সহকর্মীরা একটি গবেষণা করেন।
গবেষণায় ২৯৯ জন কলেজ শিক্ষার্থীর (১৬৩ নারী ও ১৩৬ পুরুষ) ওপর অ্যাপল আইওএসের ৭০টি ফেসিয়াল ইমোজির বিষয়ে একটি অনলাইন জরিপ চালানো হয়।
শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকটি ইমোজি ২ সেকেন্ড ধরে দেখার পর নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়। ১১ পয়েন্ট স্কেলে তাঁদের নম্বর দিতে বলা হয়—
*ওপরের ইমোজিটিকে আপনি কতটা ইতিবাচক/নেতিবাচক মনে করেন?
*ওপরের ইমোজিটি আপনার কাছে কতটা পরিচিত?
এ ছাড়া তাঁদের ছয় পয়েন্ট স্কেলে প্রতিটি ইমোজির সঙ্গে তাঁরা কতটা পরিচিত তাও চিহ্নিত করতে বলা হয়।
চারটি ভিন্ন প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীরা কতবার ইমোজি পাঠিয়েছেন বা পেয়েছেন তাও জানতে চাওয়া হয়:
*কারও স্মার্টফোনে টেক্সট মেসেজ
*ফেসবুক পোস্ট বা মন্তব্যের মধ্যে
*অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ্লিকেশন বা টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো সাইটগুলোতে
*ই–মেইল
সবশেষে, শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে তাঁরা সঙ্গী, বন্ধু, পরিবারের সদস্য, সহকর্মী, অধ্যাপক বা সুপারভাইজারের মতো বিভিন্ন গোষ্ঠীর ব্যক্তির কাছে কতবার ইমোজি পাঠান।
দেখা গেছে, নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় ইমোজিগুলোকে বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন। নারীরা পুরুষের তুলনায় নেতিবাচক ও নিরপেক্ষ ইমোজিকে বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন। ইতিবাচক ইমোজির ক্ষেত্রে এমন কোনো ধরনের লৈঙ্গিক পার্থক্য ছিল না। এর আগেও অন্যান্য গবেষণায় উঠে এসেছে, নারীরা পুরুষের তুলনায় নেতিবাচক মুখভঙ্গি বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন।
ইমোজি পরিচিতির ক্ষেত্রেও নারী ও পুরুষদের মধ্যে বেশ তফাৎ রয়েছে। নারীরা পুরুষের তুলনায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ইমোজি বেশি চেনে, তবে নিরপেক্ষ ইমোজির ক্ষেত্রে এই পার্থক্য চোখে পড়ে না।
এ ছাড়া নারীরা পুরুষের তুলনায় ইমোজি বেশি ব্যবহার করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। সাধারণত পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মেসেজে কথা বলার সময় নারীরা বেশি ইমোজি ব্যবহার করে। তবে অধ্যাপক ও সুপারভাইজারদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় ইমোজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এমন কোনো ধরনের লৈঙ্গিক পার্থক্য দেখা যায়নি। এসব ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ—উভয়ই তুলনামূলক কম ইমোজি ব্যবহারের চেষ্টা করেন। তেমনি সঙ্গীর সঙ্গে ইমোজি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নারী–পুরুষের তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ—উভয়ই বেশি পরিমাণে ইমোজি ব্যবহার করে।
গবেষণার ফলাফল বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীদের ইমোজি সম্পর্কিত জ্ঞান বেশি এবং তাঁরা ইমোজি ব্যবহারও করেন বেশি।
নব্বইয়ের দশকে জাপানের সেলফোনে প্রথম ইমোজি ব্যবহার শুরু হয়। দ্রুতই বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দেয়। কেবল তরুণদের মধ্যেই নয়, বয়স্ক প্রজন্মের জন্যও এটি যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠে। দিনকে দিন এই ইমোজির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তবে এই ইমোজির অর্থ বোঝা ও ব্যবহারের জ্ঞান নারী ও পুরুষের মধ্যে সমান নয় বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
ইমোজি ব্যবহারের প্রধান একটি কারণ হলো, মেসেজের ভাব আরও ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা। তবে কোনো ইমোজির নির্দিষ্ট ভাব বুঝে ওঠা সব সময় সম্ভব হয় না। ‘আনন্দাশ্রু যুক্ত চেহারা’—এই ধরনের ইমোজির অর্থ সবাই বোঝে, আর সবার কাছে এর অর্থও একই।
কিন্তু এমন অনেক ইমোজি আছে ব্যক্তি ও সমাজ ভেদে যেগুলোর অর্থ ভিন্ন। কিছু ইমোজি এমন আছে যেগুলোর বিভিন্ন গোষ্ঠীতে অর্থ একেবারেই উল্টো। যেমন—চিৎকার করে কান্নার একটি ইমোজি আছে, এটি দিয়ে যেমন তীব্র শোক বোঝানো যায়, তেমনি এটি দিয়ে বাঁধভাঙা আনন্দও বোঝানো যেতে পারে।
ইমোজির ব্যবহার যেভাবে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে, এর মোক্ষম অর্থ বোঝাটাও জরুরি হয়ে উঠেছে। ইমোজি ব্যবহারে লিঙ্গ পার্থক্য, ইমোজিগুলোর সঙ্গে পরিচিতি এবং ইমোজি যে আবেগ বোঝায় তা অনুসন্ধান করতে ২০২০ সালে জোন্স এবং তাঁর সহকর্মীরা একটি গবেষণা করেন।
গবেষণায় ২৯৯ জন কলেজ শিক্ষার্থীর (১৬৩ নারী ও ১৩৬ পুরুষ) ওপর অ্যাপল আইওএসের ৭০টি ফেসিয়াল ইমোজির বিষয়ে একটি অনলাইন জরিপ চালানো হয়।
শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকটি ইমোজি ২ সেকেন্ড ধরে দেখার পর নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়। ১১ পয়েন্ট স্কেলে তাঁদের নম্বর দিতে বলা হয়—
*ওপরের ইমোজিটিকে আপনি কতটা ইতিবাচক/নেতিবাচক মনে করেন?
*ওপরের ইমোজিটি আপনার কাছে কতটা পরিচিত?
এ ছাড়া তাঁদের ছয় পয়েন্ট স্কেলে প্রতিটি ইমোজির সঙ্গে তাঁরা কতটা পরিচিত তাও চিহ্নিত করতে বলা হয়।
চারটি ভিন্ন প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীরা কতবার ইমোজি পাঠিয়েছেন বা পেয়েছেন তাও জানতে চাওয়া হয়:
*কারও স্মার্টফোনে টেক্সট মেসেজ
*ফেসবুক পোস্ট বা মন্তব্যের মধ্যে
*অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ্লিকেশন বা টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো সাইটগুলোতে
*ই–মেইল
সবশেষে, শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে তাঁরা সঙ্গী, বন্ধু, পরিবারের সদস্য, সহকর্মী, অধ্যাপক বা সুপারভাইজারের মতো বিভিন্ন গোষ্ঠীর ব্যক্তির কাছে কতবার ইমোজি পাঠান।
দেখা গেছে, নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় ইমোজিগুলোকে বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন। নারীরা পুরুষের তুলনায় নেতিবাচক ও নিরপেক্ষ ইমোজিকে বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন। ইতিবাচক ইমোজির ক্ষেত্রে এমন কোনো ধরনের লৈঙ্গিক পার্থক্য ছিল না। এর আগেও অন্যান্য গবেষণায় উঠে এসেছে, নারীরা পুরুষের তুলনায় নেতিবাচক মুখভঙ্গি বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন।
ইমোজি পরিচিতির ক্ষেত্রেও নারী ও পুরুষদের মধ্যে বেশ তফাৎ রয়েছে। নারীরা পুরুষের তুলনায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ইমোজি বেশি চেনে, তবে নিরপেক্ষ ইমোজির ক্ষেত্রে এই পার্থক্য চোখে পড়ে না।
এ ছাড়া নারীরা পুরুষের তুলনায় ইমোজি বেশি ব্যবহার করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। সাধারণত পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মেসেজে কথা বলার সময় নারীরা বেশি ইমোজি ব্যবহার করে। তবে অধ্যাপক ও সুপারভাইজারদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় ইমোজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এমন কোনো ধরনের লৈঙ্গিক পার্থক্য দেখা যায়নি। এসব ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ—উভয়ই তুলনামূলক কম ইমোজি ব্যবহারের চেষ্টা করেন। তেমনি সঙ্গীর সঙ্গে ইমোজি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নারী–পুরুষের তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ—উভয়ই বেশি পরিমাণে ইমোজি ব্যবহার করে।
গবেষণার ফলাফল বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীদের ইমোজি সম্পর্কিত জ্ঞান বেশি এবং তাঁরা ইমোজি ব্যবহারও করেন বেশি।
নব্বইয়ের দশকে জাপানের সেলফোনে প্রথম ইমোজি ব্যবহার শুরু হয়। দ্রুতই বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দেয়। কেবল তরুণদের মধ্যেই নয়, বয়স্ক প্রজন্মের জন্যও এটি যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠে। দিনকে দিন এই ইমোজির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তবে এই ইমোজির অর্থ বোঝা ও ব্যবহারের জ্ঞান নারী ও পুরুষের মধ্যে সমান নয় বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
ইমোজি ব্যবহারের প্রধান একটি কারণ হলো, মেসেজের ভাব আরও ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা। তবে কোনো ইমোজির নির্দিষ্ট ভাব বুঝে ওঠা সব সময় সম্ভব হয় না। ‘আনন্দাশ্রু যুক্ত চেহারা’—এই ধরনের ইমোজির অর্থ সবাই বোঝে, আর সবার কাছে এর অর্থও একই।
কিন্তু এমন অনেক ইমোজি আছে ব্যক্তি ও সমাজ ভেদে যেগুলোর অর্থ ভিন্ন। কিছু ইমোজি এমন আছে যেগুলোর বিভিন্ন গোষ্ঠীতে অর্থ একেবারেই উল্টো। যেমন—চিৎকার করে কান্নার একটি ইমোজি আছে, এটি দিয়ে যেমন তীব্র শোক বোঝানো যায়, তেমনি এটি দিয়ে বাঁধভাঙা আনন্দও বোঝানো যেতে পারে।
ইমোজির ব্যবহার যেভাবে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে, এর মোক্ষম অর্থ বোঝাটাও জরুরি হয়ে উঠেছে। ইমোজি ব্যবহারে লিঙ্গ পার্থক্য, ইমোজিগুলোর সঙ্গে পরিচিতি এবং ইমোজি যে আবেগ বোঝায় তা অনুসন্ধান করতে ২০২০ সালে জোন্স এবং তাঁর সহকর্মীরা একটি গবেষণা করেন।
গবেষণায় ২৯৯ জন কলেজ শিক্ষার্থীর (১৬৩ নারী ও ১৩৬ পুরুষ) ওপর অ্যাপল আইওএসের ৭০টি ফেসিয়াল ইমোজির বিষয়ে একটি অনলাইন জরিপ চালানো হয়।
শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকটি ইমোজি ২ সেকেন্ড ধরে দেখার পর নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়। ১১ পয়েন্ট স্কেলে তাঁদের নম্বর দিতে বলা হয়—
*ওপরের ইমোজিটিকে আপনি কতটা ইতিবাচক/নেতিবাচক মনে করেন?
*ওপরের ইমোজিটি আপনার কাছে কতটা পরিচিত?
এ ছাড়া তাঁদের ছয় পয়েন্ট স্কেলে প্রতিটি ইমোজির সঙ্গে তাঁরা কতটা পরিচিত তাও চিহ্নিত করতে বলা হয়।
চারটি ভিন্ন প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীরা কতবার ইমোজি পাঠিয়েছেন বা পেয়েছেন তাও জানতে চাওয়া হয়:
*কারও স্মার্টফোনে টেক্সট মেসেজ
*ফেসবুক পোস্ট বা মন্তব্যের মধ্যে
*অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম অ্যাপ্লিকেশন বা টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো সাইটগুলোতে
*ই–মেইল
সবশেষে, শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে তাঁরা সঙ্গী, বন্ধু, পরিবারের সদস্য, সহকর্মী, অধ্যাপক বা সুপারভাইজারের মতো বিভিন্ন গোষ্ঠীর ব্যক্তির কাছে কতবার ইমোজি পাঠান।
দেখা গেছে, নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় ইমোজিগুলোকে বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন। নারীরা পুরুষের তুলনায় নেতিবাচক ও নিরপেক্ষ ইমোজিকে বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন। ইতিবাচক ইমোজির ক্ষেত্রে এমন কোনো ধরনের লৈঙ্গিক পার্থক্য ছিল না। এর আগেও অন্যান্য গবেষণায় উঠে এসেছে, নারীরা পুরুষের তুলনায় নেতিবাচক মুখভঙ্গি বেশি নেতিবাচকভাবে দেখেন।
ইমোজি পরিচিতির ক্ষেত্রেও নারী ও পুরুষদের মধ্যে বেশ তফাৎ রয়েছে। নারীরা পুরুষের তুলনায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ইমোজি বেশি চেনে, তবে নিরপেক্ষ ইমোজির ক্ষেত্রে এই পার্থক্য চোখে পড়ে না।
এ ছাড়া নারীরা পুরুষের তুলনায় ইমোজি বেশি ব্যবহার করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। সাধারণত পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মেসেজে কথা বলার সময় নারীরা বেশি ইমোজি ব্যবহার করে। তবে অধ্যাপক ও সুপারভাইজারদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় ইমোজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এমন কোনো ধরনের লৈঙ্গিক পার্থক্য দেখা যায়নি। এসব ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ—উভয়ই তুলনামূলক কম ইমোজি ব্যবহারের চেষ্টা করেন। তেমনি সঙ্গীর সঙ্গে ইমোজি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নারী–পুরুষের তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ—উভয়ই বেশি পরিমাণে ইমোজি ব্যবহার করে।
গবেষণার ফলাফল বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীদের ইমোজি সম্পর্কিত জ্ঞান বেশি এবং তাঁরা ইমোজি ব্যবহারও করেন বেশি।
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৪ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১০ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
১১ দিন আগেথাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় চনবুরি প্রদেশে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জল-মহিষ উৎসব। শতাধিক বছরের পুরোনো এই উৎসবের লক্ষ্য হলো—মহিষদের সম্মান জানানো ও কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের বিলুপ্তি রোধ করা। যন্ত্রচালিত কৃষিকাজে ট্রাক্টরের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বর্তমানে মহিষের অবদান অনেকটাই কমে...
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে বিশ্বাসী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর ওই ব্যক্তি গত সেপ্টেম্বরে একটি বোর্ডিং হাউসে স্ত্রীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করলেও পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য গ্রামের প্রবীণদের কাছে যান। প্রবীণেরা ‘মোওয়া সারাপু’ নামে একটি ঐতিহ্যবাহী মিলন-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিরোধ মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
‘মোওয়া সারাপু’ রীতিটি তোলাকি সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা, যার অর্থ ‘ছাড় দেওয়া ও শান্তি স্থাপন করা’। এই রীতির লক্ষ্য প্রতিশোধ নয়, বরং সামাজিক ভারসাম্য ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ, উভয় পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। সবার সামনেই ওই নারীর প্রেমিক তাঁর স্বামীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কাপড়, একটি তামার পাত্র এবং ৫০ লাখ রুপিয়া (প্রায় ৩৬ হাজার টাকা) দেন।
গ্রামপ্রধান সফরুদ্দিন জানান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই দম্পতির বিবাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়। পরে নারীটির স্বামী ও প্রেমিক পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এভাবে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে সমর্পণ করেন স্বামীটি।
তোলাকি প্রবীণদের মতে, এই রীতি কোনো সম্পর্ককে ছোট করার জন্য নয়, বরং নৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এমন প্রথা পালন করা হয়। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেন—কোনো নারী যদি এমন রীতি মেনে আবারও অন্য পুরুষকে বেছে নেয়, তবে তা তাঁর ও পরিবারের জন্য লজ্জার কারণ হবে।
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে বিশ্বাসী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর ওই ব্যক্তি গত সেপ্টেম্বরে একটি বোর্ডিং হাউসে স্ত্রীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করলেও পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য গ্রামের প্রবীণদের কাছে যান। প্রবীণেরা ‘মোওয়া সারাপু’ নামে একটি ঐতিহ্যবাহী মিলন-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিরোধ মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
‘মোওয়া সারাপু’ রীতিটি তোলাকি সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা, যার অর্থ ‘ছাড় দেওয়া ও শান্তি স্থাপন করা’। এই রীতির লক্ষ্য প্রতিশোধ নয়, বরং সামাজিক ভারসাম্য ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ, উভয় পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। সবার সামনেই ওই নারীর প্রেমিক তাঁর স্বামীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কাপড়, একটি তামার পাত্র এবং ৫০ লাখ রুপিয়া (প্রায় ৩৬ হাজার টাকা) দেন।
গ্রামপ্রধান সফরুদ্দিন জানান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই দম্পতির বিবাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়। পরে নারীটির স্বামী ও প্রেমিক পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এভাবে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে সমর্পণ করেন স্বামীটি।
তোলাকি প্রবীণদের মতে, এই রীতি কোনো সম্পর্ককে ছোট করার জন্য নয়, বরং নৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এমন প্রথা পালন করা হয়। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেন—কোনো নারী যদি এমন রীতি মেনে আবারও অন্য পুরুষকে বেছে নেয়, তবে তা তাঁর ও পরিবারের জন্য লজ্জার কারণ হবে।
নব্বইয়ের দশকে জাপানের সেলফোনে প্রথম ইমোজি ব্যবহার শুরু হয়। দ্রুতই বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দেয়। কেবল তরুণদের মধ্যেই নয়, বয়স্ক প্রজন্মের জন্যও এটি যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠে। দিনকে দিন এই ইমোজির ব্যবহার বেড়েই চলেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১০ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
১১ দিন আগেথাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় চনবুরি প্রদেশে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জল-মহিষ উৎসব। শতাধিক বছরের পুরোনো এই উৎসবের লক্ষ্য হলো—মহিষদের সম্মান জানানো ও কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের বিলুপ্তি রোধ করা। যন্ত্রচালিত কৃষিকাজে ট্রাক্টরের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বর্তমানে মহিষের অবদান অনেকটাই কমে...
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার বাবা, দাদা এবং কখনো কখনো গোত্রের নাম পর্যন্ত অনুসরণ করে। পশ্চিমা দেশগুলোতেও এমন দীর্ঘ নামের ঐতিহ্য রয়েছে।
যেমন প্রখ্যাত শিল্পীর পুরো নাম পাবলো দিয়েগো হোসে ফ্রান্সিসকো দে পাওলা হুয়ান নেপোমুসেনো মারিয়া দে লোস রেমেদিওস সিপ্রিয়ানো দে লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ রুইজ ওয়াই পিকাসো! তবে পিকাসোর নামের এই আশ্চর্য দৈর্ঘ্যও নিউজিল্যান্ডের লরেন্স ওয়াটকিন্সের নামের কাছে নস্যি। লরেন্স ওয়াটকিন্স বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম নামের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ধারণ করে আছেন।
২,২৫৩ শব্দের নাম
১৯৯০ সালের মার্চে, নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী লরেন্স তাঁর নামের সঙ্গে ২ হাজারটির বেশি মধ্যনাম যুক্ত করার জন্য আইনগতভাবে নিজের নাম পরিবর্তন করেন। তাঁর পুরো নামে বর্তমানে মোট ২ হাজার ২৫৩টি অনন্য শব্দ রয়েছে। এই নাম তাঁকে দীর্ঘতম ব্যক্তিগত নামের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব এনে দিয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর এই অস্বাভাবিক ইচ্ছার কারণ ব্যাখ্যা করেন: ‘আমি সব সময় অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক রেকর্ডগুলোর প্রতি মুগ্ধ ছিলাম। আমি সত্যিই সেই দৃশ্যের অংশ হতে চেয়েছিলাম। আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইটি আগাগোড়া পড়ি এবং দেখি এমন কোনো রেকর্ড আছে কি না যা ভাঙতে পারি। আমার মনে হয়েছিল, বর্তমান রেকর্ডধারীর চেয়ে বেশি নাম যোগ করার রেকর্ডটিই কেবল আমার পক্ষে ভাঙা সম্ভব।’
লরেন্সের নাম পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়াটি ছিল দীর্ঘ এবং কঠিন। সেই সময়ে কম্পিউটারের সীমিত ব্যবহারের কারণে পুরো নামের তালিকা টাইপ করতে তাঁকে কয়েক শ ডলার খরচ করতে হয়েছিল। প্রথমে জেলা আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলেও রেজিস্ট্রার জেনারেল তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তিনি দমে যাননি। নিউজিল্যান্ডের হাইকোর্টে আপিল করেন এবং আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়।
তবে এই ঘটনার পরপরই আইন প্রণেতারা দ্রুত দুটি আইন পরিবর্তন করেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এত সংখ্যক মধ্যনাম যোগ করতে না পারে। শুরুতে এই রেকর্ড ২ হাজার ৩১০টি নাম হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও গিনেসের হালনাগাদকৃত নির্দেশিকা অনুসারে তা পরে ২ হাজার ২৫৩টি নামে সংশোধন করা হয়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, লরেন্স সেই সময় সিটি লাইব্রেরিতে কাজ করতেন এবং লাইব্রেরির বই থেকে নাম সংগ্রহ করতেন বা সহকর্মীদের কাছ থেকে সুপারিশ নিতেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় নাম হলো— AZ 2000, যার অর্থ হলো আমার নামের আদ্যক্ষর A থেকে Z পর্যন্ত আছে এবং আমার মোট ২ হাজারটি নাম আছে।’
তবে এর জন্য মাঝেমধ্যে লরেন্সকে বেশ ভোগান্তিও পোহাতে হয়। মানুষ সহজে বিশ্বাস করতে চায় না। প্রধান সমস্যা হয় সরকারি দপ্তরগুলোতে গেলে। কারণ, সরকারি কোনো পরিচয়পত্রে তাঁর পুরো নাম ধরানো সম্ভব হয় না!
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার বাবা, দাদা এবং কখনো কখনো গোত্রের নাম পর্যন্ত অনুসরণ করে। পশ্চিমা দেশগুলোতেও এমন দীর্ঘ নামের ঐতিহ্য রয়েছে।
যেমন প্রখ্যাত শিল্পীর পুরো নাম পাবলো দিয়েগো হোসে ফ্রান্সিসকো দে পাওলা হুয়ান নেপোমুসেনো মারিয়া দে লোস রেমেদিওস সিপ্রিয়ানো দে লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ রুইজ ওয়াই পিকাসো! তবে পিকাসোর নামের এই আশ্চর্য দৈর্ঘ্যও নিউজিল্যান্ডের লরেন্স ওয়াটকিন্সের নামের কাছে নস্যি। লরেন্স ওয়াটকিন্স বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম নামের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ধারণ করে আছেন।
২,২৫৩ শব্দের নাম
১৯৯০ সালের মার্চে, নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী লরেন্স তাঁর নামের সঙ্গে ২ হাজারটির বেশি মধ্যনাম যুক্ত করার জন্য আইনগতভাবে নিজের নাম পরিবর্তন করেন। তাঁর পুরো নামে বর্তমানে মোট ২ হাজার ২৫৩টি অনন্য শব্দ রয়েছে। এই নাম তাঁকে দীর্ঘতম ব্যক্তিগত নামের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব এনে দিয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর এই অস্বাভাবিক ইচ্ছার কারণ ব্যাখ্যা করেন: ‘আমি সব সময় অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক রেকর্ডগুলোর প্রতি মুগ্ধ ছিলাম। আমি সত্যিই সেই দৃশ্যের অংশ হতে চেয়েছিলাম। আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইটি আগাগোড়া পড়ি এবং দেখি এমন কোনো রেকর্ড আছে কি না যা ভাঙতে পারি। আমার মনে হয়েছিল, বর্তমান রেকর্ডধারীর চেয়ে বেশি নাম যোগ করার রেকর্ডটিই কেবল আমার পক্ষে ভাঙা সম্ভব।’
লরেন্সের নাম পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়াটি ছিল দীর্ঘ এবং কঠিন। সেই সময়ে কম্পিউটারের সীমিত ব্যবহারের কারণে পুরো নামের তালিকা টাইপ করতে তাঁকে কয়েক শ ডলার খরচ করতে হয়েছিল। প্রথমে জেলা আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলেও রেজিস্ট্রার জেনারেল তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তিনি দমে যাননি। নিউজিল্যান্ডের হাইকোর্টে আপিল করেন এবং আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়।
তবে এই ঘটনার পরপরই আইন প্রণেতারা দ্রুত দুটি আইন পরিবর্তন করেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এত সংখ্যক মধ্যনাম যোগ করতে না পারে। শুরুতে এই রেকর্ড ২ হাজার ৩১০টি নাম হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও গিনেসের হালনাগাদকৃত নির্দেশিকা অনুসারে তা পরে ২ হাজার ২৫৩টি নামে সংশোধন করা হয়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, লরেন্স সেই সময় সিটি লাইব্রেরিতে কাজ করতেন এবং লাইব্রেরির বই থেকে নাম সংগ্রহ করতেন বা সহকর্মীদের কাছ থেকে সুপারিশ নিতেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় নাম হলো— AZ 2000, যার অর্থ হলো আমার নামের আদ্যক্ষর A থেকে Z পর্যন্ত আছে এবং আমার মোট ২ হাজারটি নাম আছে।’
তবে এর জন্য মাঝেমধ্যে লরেন্সকে বেশ ভোগান্তিও পোহাতে হয়। মানুষ সহজে বিশ্বাস করতে চায় না। প্রধান সমস্যা হয় সরকারি দপ্তরগুলোতে গেলে। কারণ, সরকারি কোনো পরিচয়পত্রে তাঁর পুরো নাম ধরানো সম্ভব হয় না!
নব্বইয়ের দশকে জাপানের সেলফোনে প্রথম ইমোজি ব্যবহার শুরু হয়। দ্রুতই বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দেয়। কেবল তরুণদের মধ্যেই নয়, বয়স্ক প্রজন্মের জন্যও এটি যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠে। দিনকে দিন এই ইমোজির ব্যবহার বেড়েই চলেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৪ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
১১ দিন আগেথাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় চনবুরি প্রদেশে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জল-মহিষ উৎসব। শতাধিক বছরের পুরোনো এই উৎসবের লক্ষ্য হলো—মহিষদের সম্মান জানানো ও কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের বিলুপ্তি রোধ করা। যন্ত্রচালিত কৃষিকাজে ট্রাক্টরের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বর্তমানে মহিষের অবদান অনেকটাই কমে...
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
উত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে নাচছেন।
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘আমাদের পরিচালক বয়স্কদের ওষুধ খাওয়াতে যা যা করা দরকার, সবই করছেন।’ ভিডিওতে ওই নারীকে প্রাণবন্তভাবে নাচতে দেখা যায়। হাঁটু পর্যন্ত কালো মোজা পরিহিত অবস্থায় কোমর দোলাতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর নীল ইউনিফর্ম পরা অন্য এক কর্মী এক প্রবীণ পুরুষের কাছে গিয়ে তাঁকে ওষুধ খাওয়ান।
নার্সিং হোমটির অনলাইন প্রোফাইল অনুযায়ী, এটি নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া এক পরিচালকের উদ্যোগে পরিচালিত আনন্দমুখর অবসর নিবাস, যারা প্রবীণদের সুখী রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রোফাইলে আরও লেখা আছে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, বার্ধক্যের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।’
ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, ‘এখন কি প্রবীণ যত্ন খাতে ইঙ্গিতপূর্ণ নাচও ঢুকে পড়েছে?’ জবাবে নার্সিং হোমের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট লিখেছে, ‘সবকিছুই ইঙ্গিতপূর্ণ নাচের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।’
গত ২৫ সেপ্টেম্বর নানগুও মেট্রোপলিস ডেইলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নার্সিং হোমের পরিচালক জানান, ভিডিওতে থাকা নারী আসলে প্রবীণ যত্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী। তিনি স্বীকার করেন যে ভিডিওটি ‘অনুপযুক্ত’ ছিল, তবে ভবিষ্যতে ওই সিনিয়র কর্মীকে আরও সতর্ক হতে বলা হবে। পরিচালক আরও বলেন, ‘যদিও ওই নারী মাঝেমধ্যে প্রচারণামূলক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি কোনো পেশাদার নৃত্যশিল্পী নন। সাধারণত এই হোমে বিনোদনের জন্য তাস খেলা ও গান গাওয়ার মতো প্রচলিত আয়োজন করা হয়।’
অন্য এক কর্মী পরে জানান, ওই নাচের ভিডিওগুলোর উদ্দেশ্য ছিল চীনের নার্সিং হোমগুলোকে নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করা। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম যে নার্সিং হোম কোনো নিস্তেজ জায়গা নয়। এখানেও প্রাণবন্ততা আছে, প্রবীণেরাও প্রাণবন্ত হতে পারেন। তবে এখন বুঝতে পারছি, এই পদ্ধতির ভালো-মন্দ দুটোই আছে।’
জনরোষ বাড়তে থাকায় নার্সিং হোমটির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পরে শতাধিক এই সম্পর্কিত ভিডিও মুছে ফেলা হয়। আনইয়াং সিভিল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর প্রবীণ সেবা বিভাগ জানিয়েছে, ঘটনাটির বিস্তারিত তদন্ত করা হবে এবং ফলাফল জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটির প্রবীণ জনগোষ্ঠী দ্রুত বাড়ছে। ২০২৪ সালের শেষে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১ কোটি, যা মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ।
তথ্যসূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
উত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে নাচছেন।
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘আমাদের পরিচালক বয়স্কদের ওষুধ খাওয়াতে যা যা করা দরকার, সবই করছেন।’ ভিডিওতে ওই নারীকে প্রাণবন্তভাবে নাচতে দেখা যায়। হাঁটু পর্যন্ত কালো মোজা পরিহিত অবস্থায় কোমর দোলাতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর নীল ইউনিফর্ম পরা অন্য এক কর্মী এক প্রবীণ পুরুষের কাছে গিয়ে তাঁকে ওষুধ খাওয়ান।
নার্সিং হোমটির অনলাইন প্রোফাইল অনুযায়ী, এটি নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া এক পরিচালকের উদ্যোগে পরিচালিত আনন্দমুখর অবসর নিবাস, যারা প্রবীণদের সুখী রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রোফাইলে আরও লেখা আছে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, বার্ধক্যের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।’
ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, ‘এখন কি প্রবীণ যত্ন খাতে ইঙ্গিতপূর্ণ নাচও ঢুকে পড়েছে?’ জবাবে নার্সিং হোমের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট লিখেছে, ‘সবকিছুই ইঙ্গিতপূর্ণ নাচের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।’
গত ২৫ সেপ্টেম্বর নানগুও মেট্রোপলিস ডেইলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নার্সিং হোমের পরিচালক জানান, ভিডিওতে থাকা নারী আসলে প্রবীণ যত্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী। তিনি স্বীকার করেন যে ভিডিওটি ‘অনুপযুক্ত’ ছিল, তবে ভবিষ্যতে ওই সিনিয়র কর্মীকে আরও সতর্ক হতে বলা হবে। পরিচালক আরও বলেন, ‘যদিও ওই নারী মাঝেমধ্যে প্রচারণামূলক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি কোনো পেশাদার নৃত্যশিল্পী নন। সাধারণত এই হোমে বিনোদনের জন্য তাস খেলা ও গান গাওয়ার মতো প্রচলিত আয়োজন করা হয়।’
অন্য এক কর্মী পরে জানান, ওই নাচের ভিডিওগুলোর উদ্দেশ্য ছিল চীনের নার্সিং হোমগুলোকে নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করা। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম যে নার্সিং হোম কোনো নিস্তেজ জায়গা নয়। এখানেও প্রাণবন্ততা আছে, প্রবীণেরাও প্রাণবন্ত হতে পারেন। তবে এখন বুঝতে পারছি, এই পদ্ধতির ভালো-মন্দ দুটোই আছে।’
জনরোষ বাড়তে থাকায় নার্সিং হোমটির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পরে শতাধিক এই সম্পর্কিত ভিডিও মুছে ফেলা হয়। আনইয়াং সিভিল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর প্রবীণ সেবা বিভাগ জানিয়েছে, ঘটনাটির বিস্তারিত তদন্ত করা হবে এবং ফলাফল জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটির প্রবীণ জনগোষ্ঠী দ্রুত বাড়ছে। ২০২৪ সালের শেষে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১ কোটি, যা মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ।
তথ্যসূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
নব্বইয়ের দশকে জাপানের সেলফোনে প্রথম ইমোজি ব্যবহার শুরু হয়। দ্রুতই বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দেয়। কেবল তরুণদের মধ্যেই নয়, বয়স্ক প্রজন্মের জন্যও এটি যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠে। দিনকে দিন এই ইমোজির ব্যবহার বেড়েই চলেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৪ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১০ দিন আগেথাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় চনবুরি প্রদেশে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জল-মহিষ উৎসব। শতাধিক বছরের পুরোনো এই উৎসবের লক্ষ্য হলো—মহিষদের সম্মান জানানো ও কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের বিলুপ্তি রোধ করা। যন্ত্রচালিত কৃষিকাজে ট্রাক্টরের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বর্তমানে মহিষের অবদান অনেকটাই কমে...
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
থাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় চনবুরি প্রদেশে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জল-মহিষ উৎসব। শতাধিক বছরের পুরোনো এই উৎসবের লক্ষ্য হলো—মহিষদের সম্মান জানানো ও কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের বিলুপ্তি রোধ করা। যন্ত্রচালিত কৃষিকাজে ট্রাক্টরের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বর্তমানে মহিষের অবদান অনেকটাই কমে গেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, চনবুরির এই জল-মহিষ দৌড় উৎসবের ইতিহাস দেড় শ বছরের পুরোনো। নির্ধারিত স্থানে ফুলের মালা ও সাজসজ্জায় সজ্জিত মহিষদের সঙ্গে অংশ নেয় অসংখ্য স্থানীয় মানুষ। ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত মহিষ-আরোহীদের দেখতেও ভিড় জমে পর্যটকদের।
রাজধানী ব্যাংকক থেকে ঘণ্টাখানেক দূরের এই উৎসব এখন শুধু বিনোদন নয়, বরং থাই সংস্কৃতির একটি জীবন্ত ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ‘কোয়াই’ নামে পরিচিত থাই জল-মহিষ অতীতে ছিল কৃষকের শক্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। কিন্তু যান্ত্রিক চাষাবাদের ফলে এদের সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে। তাই সরকার ও স্থানীয় কৃষকেরা এখন সংরক্ষণ ও প্রজনন কর্মসূচির মাধ্যমে মহিষ রক্ষায় সচেষ্ট হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক থাওয়াচাই ডেং-এনগামের পরিবার ৩০টি মহিষ পালন করে। তিনি বলেন, ‘মহিষ মাঠে কাজ করতে পারলেও তারা যন্ত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে না। তারপরও মহিষ আমাদের পরিবারের মতো। মানুষ মহিষ লালন করে, আর মহিষ মানুষকে বাঁচায়।’
ডেং-এনগামের পাঁচ বছর বয়সী কালো মহিষ ‘টড’ এই বছর প্রথমবারের মতো সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে এবং সবার মন জয় করেছে। মূলত মহিষের শিং, খুর ও দেহের গঠন দেখেই বিচারকেরা তার সৌন্দর্য বিচার করেন।
এখন মহিষ শুধু কৃষিকাজে নয়, উৎসব ও প্রদর্শনীর প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই উৎসবে থাকে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, ফুলে সাজানো মহিষের শোভাযাত্রা এবং ১০০ মিটারের দৌড় প্রতিযোগিতা। চনবুরির পশুপালন কেন্দ্রের সহকারী কর্মকর্তা পাপাদা স্রিসোফন বলেন, ‘প্রতি বছর উৎসব বড় হচ্ছে। এই আয়োজন না থাকলে কৃষকেরা মহিষ পালনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।’
উল্লেখ্য, থাই সরকার ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ‘১৪ মে’ দিনটিকে ‘থাই মহিষ সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
থাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় চনবুরি প্রদেশে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জল-মহিষ উৎসব। শতাধিক বছরের পুরোনো এই উৎসবের লক্ষ্য হলো—মহিষদের সম্মান জানানো ও কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের বিলুপ্তি রোধ করা। যন্ত্রচালিত কৃষিকাজে ট্রাক্টরের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে বর্তমানে মহিষের অবদান অনেকটাই কমে গেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, চনবুরির এই জল-মহিষ দৌড় উৎসবের ইতিহাস দেড় শ বছরের পুরোনো। নির্ধারিত স্থানে ফুলের মালা ও সাজসজ্জায় সজ্জিত মহিষদের সঙ্গে অংশ নেয় অসংখ্য স্থানীয় মানুষ। ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত মহিষ-আরোহীদের দেখতেও ভিড় জমে পর্যটকদের।
রাজধানী ব্যাংকক থেকে ঘণ্টাখানেক দূরের এই উৎসব এখন শুধু বিনোদন নয়, বরং থাই সংস্কৃতির একটি জীবন্ত ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ‘কোয়াই’ নামে পরিচিত থাই জল-মহিষ অতীতে ছিল কৃষকের শক্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। কিন্তু যান্ত্রিক চাষাবাদের ফলে এদের সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে। তাই সরকার ও স্থানীয় কৃষকেরা এখন সংরক্ষণ ও প্রজনন কর্মসূচির মাধ্যমে মহিষ রক্ষায় সচেষ্ট হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক থাওয়াচাই ডেং-এনগামের পরিবার ৩০টি মহিষ পালন করে। তিনি বলেন, ‘মহিষ মাঠে কাজ করতে পারলেও তারা যন্ত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে না। তারপরও মহিষ আমাদের পরিবারের মতো। মানুষ মহিষ লালন করে, আর মহিষ মানুষকে বাঁচায়।’
ডেং-এনগামের পাঁচ বছর বয়সী কালো মহিষ ‘টড’ এই বছর প্রথমবারের মতো সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে এবং সবার মন জয় করেছে। মূলত মহিষের শিং, খুর ও দেহের গঠন দেখেই বিচারকেরা তার সৌন্দর্য বিচার করেন।
এখন মহিষ শুধু কৃষিকাজে নয়, উৎসব ও প্রদর্শনীর প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই উৎসবে থাকে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, ফুলে সাজানো মহিষের শোভাযাত্রা এবং ১০০ মিটারের দৌড় প্রতিযোগিতা। চনবুরির পশুপালন কেন্দ্রের সহকারী কর্মকর্তা পাপাদা স্রিসোফন বলেন, ‘প্রতি বছর উৎসব বড় হচ্ছে। এই আয়োজন না থাকলে কৃষকেরা মহিষ পালনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।’
উল্লেখ্য, থাই সরকার ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ‘১৪ মে’ দিনটিকে ‘থাই মহিষ সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
নব্বইয়ের দশকে জাপানের সেলফোনে প্রথম ইমোজি ব্যবহার শুরু হয়। দ্রুতই বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দেয়। কেবল তরুণদের মধ্যেই নয়, বয়স্ক প্রজন্মের জন্যও এটি যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠে। দিনকে দিন এই ইমোজির ব্যবহার বেড়েই চলেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৪ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১০ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
১১ দিন আগে