ইশতিয়াক হাসান

উড়োজাহাজ সারা বিশ্বের যোগাযোগব্যবস্থাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। এদিকে পৃথিবীর বিপুল মানুষের যাতায়াতের বাহন হিসেবে ট্রেনের আলাদা পরিচিতি আছে। ট্রেনভ্রমণ অনেকের কাছেই প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি উপভোগ্য এক যাত্রা। কোনো একটি বিমানবন্দরের রানওয়ে কেটে রেললাইন চলে গেছে, এটি নিশ্চয় আশা করবেন না আপনি । ওই রেলপথে আবার ট্রেনও চলে! আপনি কেন, এ কথা শুনে অভিজ্ঞ কোনো কোনো পাইলটের চোখ কপালে ওঠাটাও অস্বাভাবিক নয়।
গালগপ্পো বা কল্পনা নয়, এমন বিমানবন্দর সত্যিই আছে। গিসবোর্ন এয়ারপোর্ট নামের ওই বিমানবন্দরটির অবস্থান নিউজিল্যান্ডে। অভ্যন্তরীণ এই বিমানবন্দরটি মূল রানওয়েকে ছেদ করে গেছে পালমারস্টোন নর্থ-গিসবোর্ন রেললাইন।
এটিই বিশ্বের একমাত্র ট্রেন, যা সম্পূর্ণরূপে চালু একটি বিমানবন্দরের রানওয়ে অতিক্রম করে যায়। ট্রেনটি ওয়াইপাওয়োয়া নামের একটি বড় রেল সেতুও অতিক্রম করে। এর বাষ্পীয় ইঞ্জিনটি ১৮৯৭ সালে নিউজিল্যান্ডেই নির্মিত হয়েছিল। ১৯৮৫ সালে একটি খেলার মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয় এটি। গিসবোর্ন সিটি ভিন্টেজ রেলওয়ে সোসাইটি (জিসিভিআর) ইঞ্জিনটির সংস্কার করে চালুর উপযোগী করে তুলে। ১৯৬৭ সালে তৈরি একটি ডিজেল লোকোমোটিভও টেনে নিয়ে যায় বগিগুলোকে।
১৯৩৬ সালের একটি যাত্রীবাহী বগি এবং বিশেষভাবে রূপান্তরিত তিনটি বগি এই বাষ্পীয় ইঞ্জিনের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে তৈরি হয় রেলগাড়িটি। ২০০৬ সালের অক্টোবর থেকে অবশ্য কেবল গিসবোর্ন থেকে ৪৫ মিনিট দূরের একটি পর্যটন গন্তব্য মুরিওয়াইতে ভ্রমণ করছে ট্রেনটি। বুঝতেই পারছেন এই ট্রেনে এখন পর্যটকেরাই ভ্রমণ করেন। এই ট্রেন যাত্রার সময় আশপাশের অসাধারণ দৃশ্যও মুগ্ধ করে তাঁদের। জিসিভিআরই রেলপথটি পরিচালনা করে।
মজার ঘটনা, এখন এটিই এমন একমাত্র বিমানবন্দর হলেও একটা সময় একই কৃতিত্বের আরেক দাবিদার ছিল। তাসমানিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলের উইনিয়ার্ড এয়ারপোর্টেরও রানওয়ে কেটে যেত ট্রেন। তবে ওই রেলপথে যাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকায় ২০০৫ সালের গোড়ার দিকে বিমানবন্দরের ভেতর দিয়ে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গিসবর্নের শহরতলি এলগিনে অবস্থিত বিমানবন্দরটির রানওয়ে ধরে ট্রেন চলার বিষয়টি যতই আকর্ষণীয় মনে হোক, বিষয়টি কিন্তু বেশ জটিল। স্বাভাবিক, এখানে অবতরণ করতে থাকা কোনো উড়োজাহাজের বেশ কাছ দিয়ে চলে যায় ট্রেনটি। ট্রেনের সময়সূচি মাথায় রেখেই এখানে বিমান ওঠানামার সময়সূচি ঠিক করা হয়। বেশির ভাগ সময় ট্রেন কিংবা উড়োজাহাজের একটিকে থামিয়ে রাখা হয় অপর একটি যান নিরাপদে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।
নিঃসন্দেহ এটি একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ এবং খুব সতর্কতার সঙ্গে এখানে উড়োজাহাজ ও ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে দুই ধরনের যানবাহনের সংঘর্ষের চিন্তাটাও এমনকি দুঃসাহসী মানুষের বুকও কাঁপিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। যদিও সৌভাগ্যক্রমে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কিছু ঘটেনি।
৪ হাজার ২৯৭ ফুট লম্বা প্রধান রানওয়ের পাশাপাশি বিমানবন্দরটিতে তিনটি ঘাসের রানওয়েও আছে। সেগুলো অবশ্য তুলনামূলক হালকা উড়োজাহাজের জন্য।
কাজেই পাঠক আপনি যদি দুঃসাহসী কিংবা বৈচিত্র্যপিয়াসী হোন, নিউজিল্যান্ড ভ্রমণে গেলে গিসবোর্ন বিমানবন্দরে আপনার পদধূলি পড়বে আশা করি। আর আমার মনে হয়, সে ক্ষেত্রে এখানকার কোনো উড়োজাহাজে ভ্রমণের চেয়ে ট্রেনযাত্রাটা বেশি মজাদার এবং রোমাঞ্চকর হবে। রানওয়ে কেটে চলে যাওয়া এমন ট্রেন আর কোথায় পাবেন বলুন? তবে খরচটাও নেহাত মন্দ নয়, এই ট্রেনে একবার ভ্রমণের জন্য আপনাকে গুনতে হবে ৫০ ডলার বা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনইউজুয়াল প্লেসেস, নিউজিল্যান্ড ডটকম, গিসবর্ন সিটি ভিন্টেজ রেলওয়ে

উড়োজাহাজ সারা বিশ্বের যোগাযোগব্যবস্থাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। এদিকে পৃথিবীর বিপুল মানুষের যাতায়াতের বাহন হিসেবে ট্রেনের আলাদা পরিচিতি আছে। ট্রেনভ্রমণ অনেকের কাছেই প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি উপভোগ্য এক যাত্রা। কোনো একটি বিমানবন্দরের রানওয়ে কেটে রেললাইন চলে গেছে, এটি নিশ্চয় আশা করবেন না আপনি । ওই রেলপথে আবার ট্রেনও চলে! আপনি কেন, এ কথা শুনে অভিজ্ঞ কোনো কোনো পাইলটের চোখ কপালে ওঠাটাও অস্বাভাবিক নয়।
গালগপ্পো বা কল্পনা নয়, এমন বিমানবন্দর সত্যিই আছে। গিসবোর্ন এয়ারপোর্ট নামের ওই বিমানবন্দরটির অবস্থান নিউজিল্যান্ডে। অভ্যন্তরীণ এই বিমানবন্দরটি মূল রানওয়েকে ছেদ করে গেছে পালমারস্টোন নর্থ-গিসবোর্ন রেললাইন।
এটিই বিশ্বের একমাত্র ট্রেন, যা সম্পূর্ণরূপে চালু একটি বিমানবন্দরের রানওয়ে অতিক্রম করে যায়। ট্রেনটি ওয়াইপাওয়োয়া নামের একটি বড় রেল সেতুও অতিক্রম করে। এর বাষ্পীয় ইঞ্জিনটি ১৮৯৭ সালে নিউজিল্যান্ডেই নির্মিত হয়েছিল। ১৯৮৫ সালে একটি খেলার মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয় এটি। গিসবোর্ন সিটি ভিন্টেজ রেলওয়ে সোসাইটি (জিসিভিআর) ইঞ্জিনটির সংস্কার করে চালুর উপযোগী করে তুলে। ১৯৬৭ সালে তৈরি একটি ডিজেল লোকোমোটিভও টেনে নিয়ে যায় বগিগুলোকে।
১৯৩৬ সালের একটি যাত্রীবাহী বগি এবং বিশেষভাবে রূপান্তরিত তিনটি বগি এই বাষ্পীয় ইঞ্জিনের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে তৈরি হয় রেলগাড়িটি। ২০০৬ সালের অক্টোবর থেকে অবশ্য কেবল গিসবোর্ন থেকে ৪৫ মিনিট দূরের একটি পর্যটন গন্তব্য মুরিওয়াইতে ভ্রমণ করছে ট্রেনটি। বুঝতেই পারছেন এই ট্রেনে এখন পর্যটকেরাই ভ্রমণ করেন। এই ট্রেন যাত্রার সময় আশপাশের অসাধারণ দৃশ্যও মুগ্ধ করে তাঁদের। জিসিভিআরই রেলপথটি পরিচালনা করে।
মজার ঘটনা, এখন এটিই এমন একমাত্র বিমানবন্দর হলেও একটা সময় একই কৃতিত্বের আরেক দাবিদার ছিল। তাসমানিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলের উইনিয়ার্ড এয়ারপোর্টেরও রানওয়ে কেটে যেত ট্রেন। তবে ওই রেলপথে যাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকায় ২০০৫ সালের গোড়ার দিকে বিমানবন্দরের ভেতর দিয়ে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গিসবর্নের শহরতলি এলগিনে অবস্থিত বিমানবন্দরটির রানওয়ে ধরে ট্রেন চলার বিষয়টি যতই আকর্ষণীয় মনে হোক, বিষয়টি কিন্তু বেশ জটিল। স্বাভাবিক, এখানে অবতরণ করতে থাকা কোনো উড়োজাহাজের বেশ কাছ দিয়ে চলে যায় ট্রেনটি। ট্রেনের সময়সূচি মাথায় রেখেই এখানে বিমান ওঠানামার সময়সূচি ঠিক করা হয়। বেশির ভাগ সময় ট্রেন কিংবা উড়োজাহাজের একটিকে থামিয়ে রাখা হয় অপর একটি যান নিরাপদে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।
নিঃসন্দেহ এটি একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ এবং খুব সতর্কতার সঙ্গে এখানে উড়োজাহাজ ও ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে দুই ধরনের যানবাহনের সংঘর্ষের চিন্তাটাও এমনকি দুঃসাহসী মানুষের বুকও কাঁপিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। যদিও সৌভাগ্যক্রমে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কিছু ঘটেনি।
৪ হাজার ২৯৭ ফুট লম্বা প্রধান রানওয়ের পাশাপাশি বিমানবন্দরটিতে তিনটি ঘাসের রানওয়েও আছে। সেগুলো অবশ্য তুলনামূলক হালকা উড়োজাহাজের জন্য।
কাজেই পাঠক আপনি যদি দুঃসাহসী কিংবা বৈচিত্র্যপিয়াসী হোন, নিউজিল্যান্ড ভ্রমণে গেলে গিসবোর্ন বিমানবন্দরে আপনার পদধূলি পড়বে আশা করি। আর আমার মনে হয়, সে ক্ষেত্রে এখানকার কোনো উড়োজাহাজে ভ্রমণের চেয়ে ট্রেনযাত্রাটা বেশি মজাদার এবং রোমাঞ্চকর হবে। রানওয়ে কেটে চলে যাওয়া এমন ট্রেন আর কোথায় পাবেন বলুন? তবে খরচটাও নেহাত মন্দ নয়, এই ট্রেনে একবার ভ্রমণের জন্য আপনাকে গুনতে হবে ৫০ ডলার বা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনইউজুয়াল প্লেসেস, নিউজিল্যান্ড ডটকম, গিসবর্ন সিটি ভিন্টেজ রেলওয়ে
ইশতিয়াক হাসান

উড়োজাহাজ সারা বিশ্বের যোগাযোগব্যবস্থাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। এদিকে পৃথিবীর বিপুল মানুষের যাতায়াতের বাহন হিসেবে ট্রেনের আলাদা পরিচিতি আছে। ট্রেনভ্রমণ অনেকের কাছেই প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি উপভোগ্য এক যাত্রা। কোনো একটি বিমানবন্দরের রানওয়ে কেটে রেললাইন চলে গেছে, এটি নিশ্চয় আশা করবেন না আপনি । ওই রেলপথে আবার ট্রেনও চলে! আপনি কেন, এ কথা শুনে অভিজ্ঞ কোনো কোনো পাইলটের চোখ কপালে ওঠাটাও অস্বাভাবিক নয়।
গালগপ্পো বা কল্পনা নয়, এমন বিমানবন্দর সত্যিই আছে। গিসবোর্ন এয়ারপোর্ট নামের ওই বিমানবন্দরটির অবস্থান নিউজিল্যান্ডে। অভ্যন্তরীণ এই বিমানবন্দরটি মূল রানওয়েকে ছেদ করে গেছে পালমারস্টোন নর্থ-গিসবোর্ন রেললাইন।
এটিই বিশ্বের একমাত্র ট্রেন, যা সম্পূর্ণরূপে চালু একটি বিমানবন্দরের রানওয়ে অতিক্রম করে যায়। ট্রেনটি ওয়াইপাওয়োয়া নামের একটি বড় রেল সেতুও অতিক্রম করে। এর বাষ্পীয় ইঞ্জিনটি ১৮৯৭ সালে নিউজিল্যান্ডেই নির্মিত হয়েছিল। ১৯৮৫ সালে একটি খেলার মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয় এটি। গিসবোর্ন সিটি ভিন্টেজ রেলওয়ে সোসাইটি (জিসিভিআর) ইঞ্জিনটির সংস্কার করে চালুর উপযোগী করে তুলে। ১৯৬৭ সালে তৈরি একটি ডিজেল লোকোমোটিভও টেনে নিয়ে যায় বগিগুলোকে।
১৯৩৬ সালের একটি যাত্রীবাহী বগি এবং বিশেষভাবে রূপান্তরিত তিনটি বগি এই বাষ্পীয় ইঞ্জিনের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে তৈরি হয় রেলগাড়িটি। ২০০৬ সালের অক্টোবর থেকে অবশ্য কেবল গিসবোর্ন থেকে ৪৫ মিনিট দূরের একটি পর্যটন গন্তব্য মুরিওয়াইতে ভ্রমণ করছে ট্রেনটি। বুঝতেই পারছেন এই ট্রেনে এখন পর্যটকেরাই ভ্রমণ করেন। এই ট্রেন যাত্রার সময় আশপাশের অসাধারণ দৃশ্যও মুগ্ধ করে তাঁদের। জিসিভিআরই রেলপথটি পরিচালনা করে।
মজার ঘটনা, এখন এটিই এমন একমাত্র বিমানবন্দর হলেও একটা সময় একই কৃতিত্বের আরেক দাবিদার ছিল। তাসমানিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলের উইনিয়ার্ড এয়ারপোর্টেরও রানওয়ে কেটে যেত ট্রেন। তবে ওই রেলপথে যাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকায় ২০০৫ সালের গোড়ার দিকে বিমানবন্দরের ভেতর দিয়ে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গিসবর্নের শহরতলি এলগিনে অবস্থিত বিমানবন্দরটির রানওয়ে ধরে ট্রেন চলার বিষয়টি যতই আকর্ষণীয় মনে হোক, বিষয়টি কিন্তু বেশ জটিল। স্বাভাবিক, এখানে অবতরণ করতে থাকা কোনো উড়োজাহাজের বেশ কাছ দিয়ে চলে যায় ট্রেনটি। ট্রেনের সময়সূচি মাথায় রেখেই এখানে বিমান ওঠানামার সময়সূচি ঠিক করা হয়। বেশির ভাগ সময় ট্রেন কিংবা উড়োজাহাজের একটিকে থামিয়ে রাখা হয় অপর একটি যান নিরাপদে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।
নিঃসন্দেহ এটি একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ এবং খুব সতর্কতার সঙ্গে এখানে উড়োজাহাজ ও ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে দুই ধরনের যানবাহনের সংঘর্ষের চিন্তাটাও এমনকি দুঃসাহসী মানুষের বুকও কাঁপিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। যদিও সৌভাগ্যক্রমে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কিছু ঘটেনি।
৪ হাজার ২৯৭ ফুট লম্বা প্রধান রানওয়ের পাশাপাশি বিমানবন্দরটিতে তিনটি ঘাসের রানওয়েও আছে। সেগুলো অবশ্য তুলনামূলক হালকা উড়োজাহাজের জন্য।
কাজেই পাঠক আপনি যদি দুঃসাহসী কিংবা বৈচিত্র্যপিয়াসী হোন, নিউজিল্যান্ড ভ্রমণে গেলে গিসবোর্ন বিমানবন্দরে আপনার পদধূলি পড়বে আশা করি। আর আমার মনে হয়, সে ক্ষেত্রে এখানকার কোনো উড়োজাহাজে ভ্রমণের চেয়ে ট্রেনযাত্রাটা বেশি মজাদার এবং রোমাঞ্চকর হবে। রানওয়ে কেটে চলে যাওয়া এমন ট্রেন আর কোথায় পাবেন বলুন? তবে খরচটাও নেহাত মন্দ নয়, এই ট্রেনে একবার ভ্রমণের জন্য আপনাকে গুনতে হবে ৫০ ডলার বা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনইউজুয়াল প্লেসেস, নিউজিল্যান্ড ডটকম, গিসবর্ন সিটি ভিন্টেজ রেলওয়ে

উড়োজাহাজ সারা বিশ্বের যোগাযোগব্যবস্থাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। এদিকে পৃথিবীর বিপুল মানুষের যাতায়াতের বাহন হিসেবে ট্রেনের আলাদা পরিচিতি আছে। ট্রেনভ্রমণ অনেকের কাছেই প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি উপভোগ্য এক যাত্রা। কোনো একটি বিমানবন্দরের রানওয়ে কেটে রেললাইন চলে গেছে, এটি নিশ্চয় আশা করবেন না আপনি । ওই রেলপথে আবার ট্রেনও চলে! আপনি কেন, এ কথা শুনে অভিজ্ঞ কোনো কোনো পাইলটের চোখ কপালে ওঠাটাও অস্বাভাবিক নয়।
গালগপ্পো বা কল্পনা নয়, এমন বিমানবন্দর সত্যিই আছে। গিসবোর্ন এয়ারপোর্ট নামের ওই বিমানবন্দরটির অবস্থান নিউজিল্যান্ডে। অভ্যন্তরীণ এই বিমানবন্দরটি মূল রানওয়েকে ছেদ করে গেছে পালমারস্টোন নর্থ-গিসবোর্ন রেললাইন।
এটিই বিশ্বের একমাত্র ট্রেন, যা সম্পূর্ণরূপে চালু একটি বিমানবন্দরের রানওয়ে অতিক্রম করে যায়। ট্রেনটি ওয়াইপাওয়োয়া নামের একটি বড় রেল সেতুও অতিক্রম করে। এর বাষ্পীয় ইঞ্জিনটি ১৮৯৭ সালে নিউজিল্যান্ডেই নির্মিত হয়েছিল। ১৯৮৫ সালে একটি খেলার মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয় এটি। গিসবোর্ন সিটি ভিন্টেজ রেলওয়ে সোসাইটি (জিসিভিআর) ইঞ্জিনটির সংস্কার করে চালুর উপযোগী করে তুলে। ১৯৬৭ সালে তৈরি একটি ডিজেল লোকোমোটিভও টেনে নিয়ে যায় বগিগুলোকে।
১৯৩৬ সালের একটি যাত্রীবাহী বগি এবং বিশেষভাবে রূপান্তরিত তিনটি বগি এই বাষ্পীয় ইঞ্জিনের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে তৈরি হয় রেলগাড়িটি। ২০০৬ সালের অক্টোবর থেকে অবশ্য কেবল গিসবোর্ন থেকে ৪৫ মিনিট দূরের একটি পর্যটন গন্তব্য মুরিওয়াইতে ভ্রমণ করছে ট্রেনটি। বুঝতেই পারছেন এই ট্রেনে এখন পর্যটকেরাই ভ্রমণ করেন। এই ট্রেন যাত্রার সময় আশপাশের অসাধারণ দৃশ্যও মুগ্ধ করে তাঁদের। জিসিভিআরই রেলপথটি পরিচালনা করে।
মজার ঘটনা, এখন এটিই এমন একমাত্র বিমানবন্দর হলেও একটা সময় একই কৃতিত্বের আরেক দাবিদার ছিল। তাসমানিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলের উইনিয়ার্ড এয়ারপোর্টেরও রানওয়ে কেটে যেত ট্রেন। তবে ওই রেলপথে যাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকায় ২০০৫ সালের গোড়ার দিকে বিমানবন্দরের ভেতর দিয়ে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গিসবর্নের শহরতলি এলগিনে অবস্থিত বিমানবন্দরটির রানওয়ে ধরে ট্রেন চলার বিষয়টি যতই আকর্ষণীয় মনে হোক, বিষয়টি কিন্তু বেশ জটিল। স্বাভাবিক, এখানে অবতরণ করতে থাকা কোনো উড়োজাহাজের বেশ কাছ দিয়ে চলে যায় ট্রেনটি। ট্রেনের সময়সূচি মাথায় রেখেই এখানে বিমান ওঠানামার সময়সূচি ঠিক করা হয়। বেশির ভাগ সময় ট্রেন কিংবা উড়োজাহাজের একটিকে থামিয়ে রাখা হয় অপর একটি যান নিরাপদে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।
নিঃসন্দেহ এটি একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ এবং খুব সতর্কতার সঙ্গে এখানে উড়োজাহাজ ও ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে দুই ধরনের যানবাহনের সংঘর্ষের চিন্তাটাও এমনকি দুঃসাহসী মানুষের বুকও কাঁপিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। যদিও সৌভাগ্যক্রমে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কিছু ঘটেনি।
৪ হাজার ২৯৭ ফুট লম্বা প্রধান রানওয়ের পাশাপাশি বিমানবন্দরটিতে তিনটি ঘাসের রানওয়েও আছে। সেগুলো অবশ্য তুলনামূলক হালকা উড়োজাহাজের জন্য।
কাজেই পাঠক আপনি যদি দুঃসাহসী কিংবা বৈচিত্র্যপিয়াসী হোন, নিউজিল্যান্ড ভ্রমণে গেলে গিসবোর্ন বিমানবন্দরে আপনার পদধূলি পড়বে আশা করি। আর আমার মনে হয়, সে ক্ষেত্রে এখানকার কোনো উড়োজাহাজে ভ্রমণের চেয়ে ট্রেনযাত্রাটা বেশি মজাদার এবং রোমাঞ্চকর হবে। রানওয়ে কেটে চলে যাওয়া এমন ট্রেন আর কোথায় পাবেন বলুন? তবে খরচটাও নেহাত মন্দ নয়, এই ট্রেনে একবার ভ্রমণের জন্য আপনাকে গুনতে হবে ৫০ ডলার বা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনইউজুয়াল প্লেসেস, নিউজিল্যান্ড ডটকম, গিসবর্ন সিটি ভিন্টেজ রেলওয়ে

তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ ঘণ্টা আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
২ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৭ দিন আগে
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

কোনো একটি বিমানবন্দরের রানওয়ে কেটে রেললাইন চলে গেছে, এটি নিশ্চয় আশা করবেন না আপনি । ওই রেলপথে আবার ট্রেনও চলে! আপনি কেন, এ কথা শুনে অভিজ্ঞ কোনো কোনো পাইলটের চোখ কপালে ওঠাটাও অস্বাভাবিক নয়। তবে গালগপ্পো বা কল্পনা নয়, এমন বিমানবন্দর সত্যিই আছে।
১৯ নভেম্বর ২০২৩
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
২ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৭ দিন আগে
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন এই মৃত্যুর ভয়াবহ অবহেলাটিকে সামনে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রিস্টিয়ান একটি রাইডিং মাওয়ার চালানোর সময় পড়ে যায় এবং তখনই তাকে একটি ব্রাউন স্নেক ছোবল দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ। কামড়ের পর ট্রিস্টিয়ানের বাবা কেরড ফ্রাহাম ও আরও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কামড়ের দাগ খুঁজলেও স্পষ্ট কিছু না পেয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন। কেরড মনে করেছিলেন, ছেলে হয়তো মদ্যপ ছিল, তাই অসুস্থ দেখাচ্ছে। পরে তিনি ছেলেকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে ভালো লাগবে।’
কিন্তু পরদিন সকালেই ট্রিস্টিয়ানকে বাড়ির বাইরে একটি স্লিপিং ব্যাগের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার ডান গোড়ালিতে দুটি চিহ্ন ছিল, যা সাপের কামড়ের সঙ্গে মিলে যায়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ব্রাউন স্নেকের বিষে তার দেহে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
করনারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি ট্রিস্টিয়ান সময়মতো চিকিৎসা পেত, তবে তার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হতো।’
এই ঘটনাটি সাপের কামড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এদিকে কেরড ফ্রাহামের বিরুদ্ধে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হলেও গত বছর সেই মামলা রহস্যজনকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন এই মৃত্যুর ভয়াবহ অবহেলাটিকে সামনে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রিস্টিয়ান একটি রাইডিং মাওয়ার চালানোর সময় পড়ে যায় এবং তখনই তাকে একটি ব্রাউন স্নেক ছোবল দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ। কামড়ের পর ট্রিস্টিয়ানের বাবা কেরড ফ্রাহাম ও আরও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কামড়ের দাগ খুঁজলেও স্পষ্ট কিছু না পেয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন। কেরড মনে করেছিলেন, ছেলে হয়তো মদ্যপ ছিল, তাই অসুস্থ দেখাচ্ছে। পরে তিনি ছেলেকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে ভালো লাগবে।’
কিন্তু পরদিন সকালেই ট্রিস্টিয়ানকে বাড়ির বাইরে একটি স্লিপিং ব্যাগের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার ডান গোড়ালিতে দুটি চিহ্ন ছিল, যা সাপের কামড়ের সঙ্গে মিলে যায়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ব্রাউন স্নেকের বিষে তার দেহে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
করনারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি ট্রিস্টিয়ান সময়মতো চিকিৎসা পেত, তবে তার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হতো।’
এই ঘটনাটি সাপের কামড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এদিকে কেরড ফ্রাহামের বিরুদ্ধে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হলেও গত বছর সেই মামলা রহস্যজনকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

কোনো একটি বিমানবন্দরের রানওয়ে কেটে রেললাইন চলে গেছে, এটি নিশ্চয় আশা করবেন না আপনি । ওই রেলপথে আবার ট্রেনও চলে! আপনি কেন, এ কথা শুনে অভিজ্ঞ কোনো কোনো পাইলটের চোখ কপালে ওঠাটাও অস্বাভাবিক নয়। তবে গালগপ্পো বা কল্পনা নয়, এমন বিমানবন্দর সত্যিই আছে।
১৯ নভেম্বর ২০২৩
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৭ দিন আগে
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে বিশ্বাসী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর ওই ব্যক্তি গত সেপ্টেম্বরে একটি বোর্ডিং হাউসে স্ত্রীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করলেও পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য গ্রামের প্রবীণদের কাছে যান। প্রবীণেরা ‘মোওয়া সারাপু’ নামে একটি ঐতিহ্যবাহী মিলন-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিরোধ মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
‘মোওয়া সারাপু’ রীতিটি তোলাকি সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা, যার অর্থ ‘ছাড় দেওয়া ও শান্তি স্থাপন করা’। এই রীতির লক্ষ্য প্রতিশোধ নয়, বরং সামাজিক ভারসাম্য ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ, উভয় পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। সবার সামনেই ওই নারীর প্রেমিক তাঁর স্বামীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কাপড়, একটি তামার পাত্র এবং ৫০ লাখ রুপিয়া (প্রায় ৩৬ হাজার টাকা) দেন।
গ্রামপ্রধান সফরুদ্দিন জানান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই দম্পতির বিবাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়। পরে নারীটির স্বামী ও প্রেমিক পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এভাবে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে সমর্পণ করেন স্বামীটি।
তোলাকি প্রবীণদের মতে, এই রীতি কোনো সম্পর্ককে ছোট করার জন্য নয়, বরং নৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এমন প্রথা পালন করা হয়। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেন—কোনো নারী যদি এমন রীতি মেনে আবারও অন্য পুরুষকে বেছে নেয়, তবে তা তাঁর ও পরিবারের জন্য লজ্জার কারণ হবে।

ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে বিশ্বাসী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর ওই ব্যক্তি গত সেপ্টেম্বরে একটি বোর্ডিং হাউসে স্ত্রীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করলেও পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য গ্রামের প্রবীণদের কাছে যান। প্রবীণেরা ‘মোওয়া সারাপু’ নামে একটি ঐতিহ্যবাহী মিলন-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিরোধ মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
‘মোওয়া সারাপু’ রীতিটি তোলাকি সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা, যার অর্থ ‘ছাড় দেওয়া ও শান্তি স্থাপন করা’। এই রীতির লক্ষ্য প্রতিশোধ নয়, বরং সামাজিক ভারসাম্য ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ, উভয় পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। সবার সামনেই ওই নারীর প্রেমিক তাঁর স্বামীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কাপড়, একটি তামার পাত্র এবং ৫০ লাখ রুপিয়া (প্রায় ৩৬ হাজার টাকা) দেন।
গ্রামপ্রধান সফরুদ্দিন জানান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই দম্পতির বিবাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়। পরে নারীটির স্বামী ও প্রেমিক পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এভাবে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে সমর্পণ করেন স্বামীটি।
তোলাকি প্রবীণদের মতে, এই রীতি কোনো সম্পর্ককে ছোট করার জন্য নয়, বরং নৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এমন প্রথা পালন করা হয়। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেন—কোনো নারী যদি এমন রীতি মেনে আবারও অন্য পুরুষকে বেছে নেয়, তবে তা তাঁর ও পরিবারের জন্য লজ্জার কারণ হবে।

কোনো একটি বিমানবন্দরের রানওয়ে কেটে রেললাইন চলে গেছে, এটি নিশ্চয় আশা করবেন না আপনি । ওই রেলপথে আবার ট্রেনও চলে! আপনি কেন, এ কথা শুনে অভিজ্ঞ কোনো কোনো পাইলটের চোখ কপালে ওঠাটাও অস্বাভাবিক নয়। তবে গালগপ্পো বা কল্পনা নয়, এমন বিমানবন্দর সত্যিই আছে।
১৯ নভেম্বর ২০২৩
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ ঘণ্টা আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
২ দিন আগে
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার বাবা, দাদা এবং কখনো কখনো গোত্রের নাম পর্যন্ত অনুসরণ করে। পশ্চিমা দেশগুলোতেও এমন দীর্ঘ নামের ঐতিহ্য রয়েছে।
যেমন প্রখ্যাত শিল্পীর পুরো নাম পাবলো দিয়েগো হোসে ফ্রান্সিসকো দে পাওলা হুয়ান নেপোমুসেনো মারিয়া দে লোস রেমেদিওস সিপ্রিয়ানো দে লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ রুইজ ওয়াই পিকাসো! তবে পিকাসোর নামের এই আশ্চর্য দৈর্ঘ্যও নিউজিল্যান্ডের লরেন্স ওয়াটকিন্সের নামের কাছে নস্যি। লরেন্স ওয়াটকিন্স বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম নামের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ধারণ করে আছেন।
২,২৫৩ শব্দের নাম
১৯৯০ সালের মার্চে, নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী লরেন্স তাঁর নামের সঙ্গে ২ হাজারটির বেশি মধ্যনাম যুক্ত করার জন্য আইনগতভাবে নিজের নাম পরিবর্তন করেন। তাঁর পুরো নামে বর্তমানে মোট ২ হাজার ২৫৩টি অনন্য শব্দ রয়েছে। এই নাম তাঁকে দীর্ঘতম ব্যক্তিগত নামের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব এনে দিয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর এই অস্বাভাবিক ইচ্ছার কারণ ব্যাখ্যা করেন: ‘আমি সব সময় অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক রেকর্ডগুলোর প্রতি মুগ্ধ ছিলাম। আমি সত্যিই সেই দৃশ্যের অংশ হতে চেয়েছিলাম। আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইটি আগাগোড়া পড়ি এবং দেখি এমন কোনো রেকর্ড আছে কি না যা ভাঙতে পারি। আমার মনে হয়েছিল, বর্তমান রেকর্ডধারীর চেয়ে বেশি নাম যোগ করার রেকর্ডটিই কেবল আমার পক্ষে ভাঙা সম্ভব।’
লরেন্সের নাম পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়াটি ছিল দীর্ঘ এবং কঠিন। সেই সময়ে কম্পিউটারের সীমিত ব্যবহারের কারণে পুরো নামের তালিকা টাইপ করতে তাঁকে কয়েক শ ডলার খরচ করতে হয়েছিল। প্রথমে জেলা আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলেও রেজিস্ট্রার জেনারেল তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তিনি দমে যাননি। নিউজিল্যান্ডের হাইকোর্টে আপিল করেন এবং আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়।
তবে এই ঘটনার পরপরই আইন প্রণেতারা দ্রুত দুটি আইন পরিবর্তন করেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এত সংখ্যক মধ্যনাম যোগ করতে না পারে। শুরুতে এই রেকর্ড ২ হাজার ৩১০টি নাম হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও গিনেসের হালনাগাদকৃত নির্দেশিকা অনুসারে তা পরে ২ হাজার ২৫৩টি নামে সংশোধন করা হয়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, লরেন্স সেই সময় সিটি লাইব্রেরিতে কাজ করতেন এবং লাইব্রেরির বই থেকে নাম সংগ্রহ করতেন বা সহকর্মীদের কাছ থেকে সুপারিশ নিতেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় নাম হলো— AZ 2000, যার অর্থ হলো আমার নামের আদ্যক্ষর A থেকে Z পর্যন্ত আছে এবং আমার মোট ২ হাজারটি নাম আছে।’
তবে এর জন্য মাঝেমধ্যে লরেন্সকে বেশ ভোগান্তিও পোহাতে হয়। মানুষ সহজে বিশ্বাস করতে চায় না। প্রধান সমস্যা হয় সরকারি দপ্তরগুলোতে গেলে। কারণ, সরকারি কোনো পরিচয়পত্রে তাঁর পুরো নাম ধরানো সম্ভব হয় না!

বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার বাবা, দাদা এবং কখনো কখনো গোত্রের নাম পর্যন্ত অনুসরণ করে। পশ্চিমা দেশগুলোতেও এমন দীর্ঘ নামের ঐতিহ্য রয়েছে।
যেমন প্রখ্যাত শিল্পীর পুরো নাম পাবলো দিয়েগো হোসে ফ্রান্সিসকো দে পাওলা হুয়ান নেপোমুসেনো মারিয়া দে লোস রেমেদিওস সিপ্রিয়ানো দে লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ রুইজ ওয়াই পিকাসো! তবে পিকাসোর নামের এই আশ্চর্য দৈর্ঘ্যও নিউজিল্যান্ডের লরেন্স ওয়াটকিন্সের নামের কাছে নস্যি। লরেন্স ওয়াটকিন্স বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম নামের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ধারণ করে আছেন।
২,২৫৩ শব্দের নাম
১৯৯০ সালের মার্চে, নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী লরেন্স তাঁর নামের সঙ্গে ২ হাজারটির বেশি মধ্যনাম যুক্ত করার জন্য আইনগতভাবে নিজের নাম পরিবর্তন করেন। তাঁর পুরো নামে বর্তমানে মোট ২ হাজার ২৫৩টি অনন্য শব্দ রয়েছে। এই নাম তাঁকে দীর্ঘতম ব্যক্তিগত নামের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব এনে দিয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর এই অস্বাভাবিক ইচ্ছার কারণ ব্যাখ্যা করেন: ‘আমি সব সময় অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক রেকর্ডগুলোর প্রতি মুগ্ধ ছিলাম। আমি সত্যিই সেই দৃশ্যের অংশ হতে চেয়েছিলাম। আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইটি আগাগোড়া পড়ি এবং দেখি এমন কোনো রেকর্ড আছে কি না যা ভাঙতে পারি। আমার মনে হয়েছিল, বর্তমান রেকর্ডধারীর চেয়ে বেশি নাম যোগ করার রেকর্ডটিই কেবল আমার পক্ষে ভাঙা সম্ভব।’
লরেন্সের নাম পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়াটি ছিল দীর্ঘ এবং কঠিন। সেই সময়ে কম্পিউটারের সীমিত ব্যবহারের কারণে পুরো নামের তালিকা টাইপ করতে তাঁকে কয়েক শ ডলার খরচ করতে হয়েছিল। প্রথমে জেলা আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলেও রেজিস্ট্রার জেনারেল তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তিনি দমে যাননি। নিউজিল্যান্ডের হাইকোর্টে আপিল করেন এবং আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়।
তবে এই ঘটনার পরপরই আইন প্রণেতারা দ্রুত দুটি আইন পরিবর্তন করেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এত সংখ্যক মধ্যনাম যোগ করতে না পারে। শুরুতে এই রেকর্ড ২ হাজার ৩১০টি নাম হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও গিনেসের হালনাগাদকৃত নির্দেশিকা অনুসারে তা পরে ২ হাজার ২৫৩টি নামে সংশোধন করা হয়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, লরেন্স সেই সময় সিটি লাইব্রেরিতে কাজ করতেন এবং লাইব্রেরির বই থেকে নাম সংগ্রহ করতেন বা সহকর্মীদের কাছ থেকে সুপারিশ নিতেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় নাম হলো— AZ 2000, যার অর্থ হলো আমার নামের আদ্যক্ষর A থেকে Z পর্যন্ত আছে এবং আমার মোট ২ হাজারটি নাম আছে।’
তবে এর জন্য মাঝেমধ্যে লরেন্সকে বেশ ভোগান্তিও পোহাতে হয়। মানুষ সহজে বিশ্বাস করতে চায় না। প্রধান সমস্যা হয় সরকারি দপ্তরগুলোতে গেলে। কারণ, সরকারি কোনো পরিচয়পত্রে তাঁর পুরো নাম ধরানো সম্ভব হয় না!

কোনো একটি বিমানবন্দরের রানওয়ে কেটে রেললাইন চলে গেছে, এটি নিশ্চয় আশা করবেন না আপনি । ওই রেলপথে আবার ট্রেনও চলে! আপনি কেন, এ কথা শুনে অভিজ্ঞ কোনো কোনো পাইলটের চোখ কপালে ওঠাটাও অস্বাভাবিক নয়। তবে গালগপ্পো বা কল্পনা নয়, এমন বিমানবন্দর সত্যিই আছে।
১৯ নভেম্বর ২০২৩
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ ঘণ্টা আগে
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
২ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৭ দিন আগে