ইশতিয়াক হাসান
নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের উত্তর উপকূলে অদ্ভুত ধরনের কিছু পাথরের কাঠামোর দেখা পাবেন। জায়ান্টস কজওয়ে নামে পরিচিত পাথরের স্তম্ভগুলো ষড়ভুজাকৃতির। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের তীর থেকে একটা পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে এগুলো। স্তম্ভগুলোর আকৃতি এতটাই নিখুঁত যে দেখে মনে হতে পারে মানুষের তৈরি। আবার এক দানো সাগর পেরোনোর জন্য এগুলো এখানে বসিয়ে দিয়েছে এমন কিংবদন্তিও আছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও এই স্তম্ভগুলো পুরোপুরি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি।
কজওয়ের এই স্তম্ভগুলো তৈরি হয় প্রায় ৬ কোটি বছর আগে। তখনো ইউরোপ সংযুক্ত ছিল উত্তর আমেরিকার সঙ্গে। যখন ভূভাগ আলাদা হতে শুরু করে, তখন ফাটলের সৃষ্টি হয়। আর আগ্নেয়গিরির গলিত লাভা এসব ফাটল দিয়ে বের হয়ে লাভার একটি হ্রদের জন্ম দেয়। তারপর এগুলো ধীরে ধীরে শীতল হতে শুরু করে। আর এই ঠান্ডা হওয়ার সময় লাভা কুঁচকে ও ভেঙে এমন ষড়ভুজাকার স্তম্ভে রূপ নিতে থাকে।
একটা সময় পর্যন্ত এগুলোকে কৃত্রিমভাবে তৈরি স্তম্ভ ভাবা হতো। ওই ধারণা যে ভুল আর এগুলো যে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি তা মানুষ জানতে পারে একপর্যায়ে। তবে এই স্তম্ভগুলো ঠিক কী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে তা জানা যায় খুব বেশি দিন হয়নি। ২০০৮ সালে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ছাত্র লুকাস গোয়েহরিং এবং তাঁর সুপারভাইজর অধ্যাপক স্টিফেন মরিস এটা আবিষ্কার করেন।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার পাশাপাশি কজওয়ের সৃষ্টি নিয়ে আছে মজার এক কিংবদন্তিও। সেটা অনুসারে এখানে পাথরের স্তম্ভগুলো বসায় ফিন ম্যাককুল নামের এক দানো বা দৈত্যাকায় মানুষ। বেনানডোনার নামে স্কটিশ এক দানোর সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিল। সাগরের মধ্যে এই কজওয়ে বা পথ তৈরি করে ফিন দুজনের মধ্যে লড়াইয়ে যেন সুবিধা হয় সে জন্য। তারপরই ফিন আবিষ্কার করে বেনানডোনা তার চেয়েও বিশাল। তখন ভয়ে সে পালায়।
ফিনের স্ত্রী ওনাঘ স্বামীকে কাপড়ে মুড়ে বিশাল এক শিশুর ছদ্মবেশ দেয়। স্কটিশ দানো বিশাল শিশুকে দেখে ভাবে, না জানি এর বাবা ফিন কত্ত বিশাল! তখন স্কটল্যান্ডের দিকে পালায় সে। পথে কজওয়ের বেশির ভাগ ধ্বংস করে দেয় সে, যেন ফিন অনুসরণ করতে না পারে।
আশ্চর্য এই স্তম্ভগুলোর কথা বাইরের মানুষ একটা সময় পর্যন্ত জানতেন না। ১৬৯৩ সালে আইরিশ রাজনীতিবিদ ও ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের সদস্য স্যার রিচার্ড বাল্কলে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে প্রাকৃতিক এই বিস্ময় সম্পর্কে একটি বক্তব্য দেন। ১৭৩৯ সালের দিকে জায়গাটি পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্যে পরিণত হয়। এতে বড় ভূমিকা রাখেন সুসানা ড্রুরি, কজওয়ের ছবি জলরঙে ফুটিয়ে তুলে।
১৮৩৬ সালের দিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে জায়গাটি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে পর্যটকদের জন্য নির্মিত হয় দ্য কজওয়ে হোটেল। ১৮৮৩ সালে জায়ান্ট কজওয়ে ট্রামওয়ে আত্মপ্রকাশ হলে আরও সুবিধা হয় পর্যটকদের। এই ট্রাম চলা শুরু করে পোর্টরাস ও কজওয়ের মধ্যে।
১৯৮৬ সালে এলাকাটিকে ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করা হয়। সে বছরই এখানে ভিজিটর সেন্টার খোলা হয়, ২০০০ সালে যেটি পুড়ে যায়। ২০১২ সালে আবার তৈরি হয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর পর্যটক হাজির হন এখন জায়গাটিতে। ২০১৯ সালে প্রায় ১০ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন জায়ান্টস কজওয়েতে।
মোটামুটি .৭ বর্গকিলোমিটার এলাকায় একটার সঙ্গে আরেকটা সংযুক্ত আনুমানিক ৪০ হাজার ব্যাসাল্টের স্তম্ভ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উঁচুটা ৩৯ ফুট।
একটা সময় পর্যন্ত কজওয়ের পাথর তুলে নিয়ে বিক্রি হতো। ২০১০ সালে কজওয়ের পাথর দাবি করে বড় সাতটি পাথর একটি নিলামে বিক্রি করা হয় ২০ হাজার পাউন্ডে। যদিও এই দাবির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কারও কারও এখনো বাগানে কজওয়ের পাথর শোভা পেতে দেখবেন।
এখানকার বেশির ভাগ পাথর ষড়ভুজাকার পাথর হলেও চতুর্ভুজ, পঞ্চভুজ কিংবা অষ্টভুজ আকারের পাথরও আছে। এ ছাড়া কজওয়ে উপকূলে বিভিন্ন অদ্ভুত আকারের পাথর ছড়িয়ে আছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দ্য ক্যামেল আর জায়ান্টস বুট। ক্যামেল নামে পাথরটা বলা হয় একসময় বিশাল এক প্রাণী ছিল যে ফিনকে বহন করতে পারত। এদিকে বিশাল বুটের মতো পাথরটি, বলা হয় পালানোর সময় ফিন হারিয়ে ফেলে।
জায়ান্ট কজওয়ের অস্বাভাবিক সৌন্দর্য একে চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়নের জন্য আদর্শ জায়গায় পরিণত করেছে। ড্রাকুলা আনটোল্ডে (২০১৪) একে ট্রান্সসিলভানিয়ার পর্বত হিসেবে দেখানো হয়েছে। তেমনি ইউর হাইনেসে মিনোটারস মেইজ হিসেবে দেখানো হয়। একে পাবেন হেলবয় টু: দ্য গোল্ডেন আর্মিতেও (২০০৮)।
জায়ান্টস কজওয়ে সবচেয়ে বেশি নাম কামালেও অনেকটা এ ধরনের স্তম্ভের দেখা পাবেন পৃথিবীর নানা প্রান্তে। যেমন স্কটল্যান্ডের আইল অব স্টাফার ফিঙ্গাল’স গুহায়, মেক্সিকোর লস প্রিসমাস বাসালতিকোস, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইয়োমিংয়ের ডেভিলস টাওয়ার, হংকংয়ের হাই আইল্যান্ড রিজারভয়র। এমনকি ২০০৭ সালে লাভার এ ধরনের স্তম্ভের ছবি তোলা হয় মঙ্গলগ্রহ থেকেও।
কাজেই বুঝতে পারছেন এমন একটি জায়গায় ভ্রমণের সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত হবে না। কিন্তু যাবেন কীভাবে? বেলফাস্ট কিংবা লন্ডনডেরি থেকে ট্রেনে কলেরিন পৌঁছাবেন। সেখান থেকে বাসে সহজেই পৌঁছে যাবেন অদ্ভুত সেই স্তম্ভগুলোর কাছে।
সূত্র: মেন্টাল ফস, এটলাস অবসকিউরা, আনইউজুয়াল প্লেসেস, উইকিপিডিয়া
নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের উত্তর উপকূলে অদ্ভুত ধরনের কিছু পাথরের কাঠামোর দেখা পাবেন। জায়ান্টস কজওয়ে নামে পরিচিত পাথরের স্তম্ভগুলো ষড়ভুজাকৃতির। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের তীর থেকে একটা পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে এগুলো। স্তম্ভগুলোর আকৃতি এতটাই নিখুঁত যে দেখে মনে হতে পারে মানুষের তৈরি। আবার এক দানো সাগর পেরোনোর জন্য এগুলো এখানে বসিয়ে দিয়েছে এমন কিংবদন্তিও আছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও এই স্তম্ভগুলো পুরোপুরি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি।
কজওয়ের এই স্তম্ভগুলো তৈরি হয় প্রায় ৬ কোটি বছর আগে। তখনো ইউরোপ সংযুক্ত ছিল উত্তর আমেরিকার সঙ্গে। যখন ভূভাগ আলাদা হতে শুরু করে, তখন ফাটলের সৃষ্টি হয়। আর আগ্নেয়গিরির গলিত লাভা এসব ফাটল দিয়ে বের হয়ে লাভার একটি হ্রদের জন্ম দেয়। তারপর এগুলো ধীরে ধীরে শীতল হতে শুরু করে। আর এই ঠান্ডা হওয়ার সময় লাভা কুঁচকে ও ভেঙে এমন ষড়ভুজাকার স্তম্ভে রূপ নিতে থাকে।
একটা সময় পর্যন্ত এগুলোকে কৃত্রিমভাবে তৈরি স্তম্ভ ভাবা হতো। ওই ধারণা যে ভুল আর এগুলো যে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি তা মানুষ জানতে পারে একপর্যায়ে। তবে এই স্তম্ভগুলো ঠিক কী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে তা জানা যায় খুব বেশি দিন হয়নি। ২০০৮ সালে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ছাত্র লুকাস গোয়েহরিং এবং তাঁর সুপারভাইজর অধ্যাপক স্টিফেন মরিস এটা আবিষ্কার করেন।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার পাশাপাশি কজওয়ের সৃষ্টি নিয়ে আছে মজার এক কিংবদন্তিও। সেটা অনুসারে এখানে পাথরের স্তম্ভগুলো বসায় ফিন ম্যাককুল নামের এক দানো বা দৈত্যাকায় মানুষ। বেনানডোনার নামে স্কটিশ এক দানোর সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিল। সাগরের মধ্যে এই কজওয়ে বা পথ তৈরি করে ফিন দুজনের মধ্যে লড়াইয়ে যেন সুবিধা হয় সে জন্য। তারপরই ফিন আবিষ্কার করে বেনানডোনা তার চেয়েও বিশাল। তখন ভয়ে সে পালায়।
ফিনের স্ত্রী ওনাঘ স্বামীকে কাপড়ে মুড়ে বিশাল এক শিশুর ছদ্মবেশ দেয়। স্কটিশ দানো বিশাল শিশুকে দেখে ভাবে, না জানি এর বাবা ফিন কত্ত বিশাল! তখন স্কটল্যান্ডের দিকে পালায় সে। পথে কজওয়ের বেশির ভাগ ধ্বংস করে দেয় সে, যেন ফিন অনুসরণ করতে না পারে।
আশ্চর্য এই স্তম্ভগুলোর কথা বাইরের মানুষ একটা সময় পর্যন্ত জানতেন না। ১৬৯৩ সালে আইরিশ রাজনীতিবিদ ও ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের সদস্য স্যার রিচার্ড বাল্কলে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে প্রাকৃতিক এই বিস্ময় সম্পর্কে একটি বক্তব্য দেন। ১৭৩৯ সালের দিকে জায়গাটি পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্যে পরিণত হয়। এতে বড় ভূমিকা রাখেন সুসানা ড্রুরি, কজওয়ের ছবি জলরঙে ফুটিয়ে তুলে।
১৮৩৬ সালের দিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে জায়গাটি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে পর্যটকদের জন্য নির্মিত হয় দ্য কজওয়ে হোটেল। ১৮৮৩ সালে জায়ান্ট কজওয়ে ট্রামওয়ে আত্মপ্রকাশ হলে আরও সুবিধা হয় পর্যটকদের। এই ট্রাম চলা শুরু করে পোর্টরাস ও কজওয়ের মধ্যে।
১৯৮৬ সালে এলাকাটিকে ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করা হয়। সে বছরই এখানে ভিজিটর সেন্টার খোলা হয়, ২০০০ সালে যেটি পুড়ে যায়। ২০১২ সালে আবার তৈরি হয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর পর্যটক হাজির হন এখন জায়গাটিতে। ২০১৯ সালে প্রায় ১০ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন জায়ান্টস কজওয়েতে।
মোটামুটি .৭ বর্গকিলোমিটার এলাকায় একটার সঙ্গে আরেকটা সংযুক্ত আনুমানিক ৪০ হাজার ব্যাসাল্টের স্তম্ভ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উঁচুটা ৩৯ ফুট।
একটা সময় পর্যন্ত কজওয়ের পাথর তুলে নিয়ে বিক্রি হতো। ২০১০ সালে কজওয়ের পাথর দাবি করে বড় সাতটি পাথর একটি নিলামে বিক্রি করা হয় ২০ হাজার পাউন্ডে। যদিও এই দাবির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কারও কারও এখনো বাগানে কজওয়ের পাথর শোভা পেতে দেখবেন।
এখানকার বেশির ভাগ পাথর ষড়ভুজাকার পাথর হলেও চতুর্ভুজ, পঞ্চভুজ কিংবা অষ্টভুজ আকারের পাথরও আছে। এ ছাড়া কজওয়ে উপকূলে বিভিন্ন অদ্ভুত আকারের পাথর ছড়িয়ে আছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দ্য ক্যামেল আর জায়ান্টস বুট। ক্যামেল নামে পাথরটা বলা হয় একসময় বিশাল এক প্রাণী ছিল যে ফিনকে বহন করতে পারত। এদিকে বিশাল বুটের মতো পাথরটি, বলা হয় পালানোর সময় ফিন হারিয়ে ফেলে।
জায়ান্ট কজওয়ের অস্বাভাবিক সৌন্দর্য একে চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়নের জন্য আদর্শ জায়গায় পরিণত করেছে। ড্রাকুলা আনটোল্ডে (২০১৪) একে ট্রান্সসিলভানিয়ার পর্বত হিসেবে দেখানো হয়েছে। তেমনি ইউর হাইনেসে মিনোটারস মেইজ হিসেবে দেখানো হয়। একে পাবেন হেলবয় টু: দ্য গোল্ডেন আর্মিতেও (২০০৮)।
জায়ান্টস কজওয়ে সবচেয়ে বেশি নাম কামালেও অনেকটা এ ধরনের স্তম্ভের দেখা পাবেন পৃথিবীর নানা প্রান্তে। যেমন স্কটল্যান্ডের আইল অব স্টাফার ফিঙ্গাল’স গুহায়, মেক্সিকোর লস প্রিসমাস বাসালতিকোস, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইয়োমিংয়ের ডেভিলস টাওয়ার, হংকংয়ের হাই আইল্যান্ড রিজারভয়র। এমনকি ২০০৭ সালে লাভার এ ধরনের স্তম্ভের ছবি তোলা হয় মঙ্গলগ্রহ থেকেও।
কাজেই বুঝতে পারছেন এমন একটি জায়গায় ভ্রমণের সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত হবে না। কিন্তু যাবেন কীভাবে? বেলফাস্ট কিংবা লন্ডনডেরি থেকে ট্রেনে কলেরিন পৌঁছাবেন। সেখান থেকে বাসে সহজেই পৌঁছে যাবেন অদ্ভুত সেই স্তম্ভগুলোর কাছে।
সূত্র: মেন্টাল ফস, এটলাস অবসকিউরা, আনইউজুয়াল প্লেসেস, উইকিপিডিয়া
নেই অফিসে যাওয়ার ঝক্কি। তবে, আছে অফিসের কাজ। বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি ধারণা এই ‘হোম অফিস’। যুক্তরাষ্ট্রে আজ ‘অর্গানাইজ ইওর হোম অফিস ডে’, অর্থাৎ নিজের কাজের জায়গা ও পরিবেশকে সুশৃঙ্খল করার দিন এটি।
৩৭ মিনিট আগেফ্যাশন জগৎ সব সময়ই নতুনত্বের খোঁজে থাকে। কখনো ক্ল্যাসিক, কখনো আবার উদ্ভট—ফ্যাশনের এই বিবর্তন যেন থামেই না কখনো। তবে মাঝে মাঝে এমন কিছু ট্রেন্ড সামনে আসে, যা দেখে চোখ কপালে ওঠে যায়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে এক পায়ের জিনস। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন—এক পায়ের জিনস!
২ দিন আগেএক টুকরো টোস্টে যিশুর অবয়ব দেখার কথা হয়তো শুনেছেন, কিন্তু একটি চিটো বা চিপস যদি দেখতে হয় জনপ্রিয় কার্টুন পোকেমন চরিত্রের মতো? সম্প্রতি চারিজার্ডের আকৃতির একটি ফ্লেমিন হট চিটো নিলামে ৮৭ হাজার ৮৪০ ডলারে বিক্রি হয়েছে, যা সংগ্রহশালার দুনিয়ায় আলোড়ন তুলেছে।
৩ দিন আগেএক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে ঊর্ধ্বমুখী ডিমের বাজার। বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম কিনতে গুনতে হচ্ছে ৪ দশমিক ৯৫ ডলার; যা ২০২৪–এর ডিসেম্বরের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এমন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত পয়সা খরচ না করে ডিমের জোগান ঠিক রাখতে মুরগি পালনের দিকে ঝুঁকছেন অনেক মার্কিন।
৭ দিন আগে