গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা
আবহাওয়া অধিদপ্তর, দূর অনুধাবন কেন্দ্র ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাওয়া বিপুল তথ্য পর্যালোচনা করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশে রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে রোজা পালন শুরু।
চাঁদ দেখা কমিটির দেওয়া খবরে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা খুশি। রোজার আমেজ চলে এসেছে। তবে চাঁদ দেখার বেশ আগেই রোজার ‘আমোদ’ পেয়েছে দেশের মানুষ; বাজার ঊর্ধ্বমুখী। চাঁদ দেখার পর তো রীতিমতো আগুন!
যাই হোক, বাজারের অবস্থার কথা থাক। ওদিকে চাঁদ উঠে পড়ায় বেকায়দায় পড়েছেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানেরা। মহা বেকায়দায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা! পবিত্র রমজানের মাসের বাঁকা চাঁদ এভাবে তাঁদের বেকায়দায় ফেলবে এটি হয়তো কখনো দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি!
আগামীকাল স্কুল খোলা না বন্ধ রাখবেন জানেন না প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা। স্কুলে যেতে হবে কি না জানে না শিক্ষার্থীরা। স্কুলে যেতে না হলে তো সাহরি খেয়ে ভরপেটে শান্তির ঘুম দিতে পারবে শিক্ষার্থীরা! কিন্তু স্কুল খোলা থাকলে কাক ডাকা ভোরে ওঠে ছুটতে হবে স্কুলে। কী করবেন অভিভাবকেরা? কী করবে শিক্ষার্থীরা? কী করবেন শিক্ষকেরা! এই ভেবেই হয়তো আজ রাতের ঘুম হারাম হবে!
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষা পঞ্জিকা আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় রমজানের প্রথম ১০ দিন পাঠদান চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি দুটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। আবেদনকারীর মেয়ে রাজধানীর রাজাবাজারের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। রমজান মাসে স্কুলে যাতায়াত করা ছাত্রী ও অভিভাবকের জন্য চরম দুর্দশার কারণ হবে বলে আবেদনে উল্লেখ করেছেন তিনি। তা ছাড়া প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসে শিশু–কিশোরসহ সবার শরীর স্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পুরো রমজান মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ মার্চ রমজান মাসজুড়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখা সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। আবার রিটের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছে মন্ত্রণালয়। এদিকে ১১ মার্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
যেহেতু, হাইকোর্টের আদেশ আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ, সেহেতু আগামীকাল মঙ্গলবার প্রথম রোজার দিন থেকেই স্কুল বন্ধ থাকার কথা। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয় বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানেরা পড়েছেন বেকায়দায়।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগের রায়ের পর মন্ত্রণালয় কী করে সেদিকে তাকিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এদিকে খুলব না বন্ধ রাখব এই চিন্তায় প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা।
অন্যদিকে কয়েক দিন হলো স্কুল বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করছেন অভিভাবকেরা। তাঁরা বলছেন, ১০ / ১৫ দিন স্কুল বন্ধ রাখলে কী এমন হবে! করোনায় তো দুই বছর বন্ধ ছিল। অন্যদিকে মন্ত্রণালয় এই ১০ / ১৫ দিনে অনেক কিছুই উদ্ধার করার মহাপরিকল্পনা করে রেখেছে। যে কোনো মূল্যে ক্লাস করাতেই হবে! তাই বন্ধের রিট চ্যালেঞ্জ করেছে। রোজায় সন্তানকে স্কুলে পাঠাবে না অভিভাবকেরা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আনতে বদ্ধপরিকর মন্ত্রণালয়।
শেষে জিতবে কে? যদি রমজানে স্কুল বন্ধের ঘোষণার রায় আসে তাহলে কি ভাবছেন মন্ত্রণালয় হারল? একবার ভাবুন তো, রমজানের প্রথম দিন স্কুলে যাওয়ার পর ক্লাস করে পরদিন থেকে ছুটি! তার মানে মন্ত্রণালয় একদিন হলেও শিক্ষার্থীদের পড়িয়েই ছাড়ল!
অবশ্য অন্তত ঢাকার অনেক বিদ্যালয় সেটি মনে হয় হতে দেবে না; তারা এরই মধ্যে আগামীকাল একদিনের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে।
শেষ পর্যন্ত যেটিই হোক, বেকাদায় তিন পক্ষই। আজকের বাঁকা চাঁদ তাঁদের আরও বেকায়দায় ফেলেছে!
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
আবহাওয়া অধিদপ্তর, দূর অনুধাবন কেন্দ্র ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাওয়া বিপুল তথ্য পর্যালোচনা করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশে রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে রোজা পালন শুরু।
চাঁদ দেখা কমিটির দেওয়া খবরে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা খুশি। রোজার আমেজ চলে এসেছে। তবে চাঁদ দেখার বেশ আগেই রোজার ‘আমোদ’ পেয়েছে দেশের মানুষ; বাজার ঊর্ধ্বমুখী। চাঁদ দেখার পর তো রীতিমতো আগুন!
যাই হোক, বাজারের অবস্থার কথা থাক। ওদিকে চাঁদ উঠে পড়ায় বেকায়দায় পড়েছেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানেরা। মহা বেকায়দায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা! পবিত্র রমজানের মাসের বাঁকা চাঁদ এভাবে তাঁদের বেকায়দায় ফেলবে এটি হয়তো কখনো দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি!
আগামীকাল স্কুল খোলা না বন্ধ রাখবেন জানেন না প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা। স্কুলে যেতে হবে কি না জানে না শিক্ষার্থীরা। স্কুলে যেতে না হলে তো সাহরি খেয়ে ভরপেটে শান্তির ঘুম দিতে পারবে শিক্ষার্থীরা! কিন্তু স্কুল খোলা থাকলে কাক ডাকা ভোরে ওঠে ছুটতে হবে স্কুলে। কী করবেন অভিভাবকেরা? কী করবে শিক্ষার্থীরা? কী করবেন শিক্ষকেরা! এই ভেবেই হয়তো আজ রাতের ঘুম হারাম হবে!
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষা পঞ্জিকা আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় রমজানের প্রথম ১০ দিন পাঠদান চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি দুটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। আবেদনকারীর মেয়ে রাজধানীর রাজাবাজারের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। রমজান মাসে স্কুলে যাতায়াত করা ছাত্রী ও অভিভাবকের জন্য চরম দুর্দশার কারণ হবে বলে আবেদনে উল্লেখ করেছেন তিনি। তা ছাড়া প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসে শিশু–কিশোরসহ সবার শরীর স্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পুরো রমজান মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ মার্চ রমজান মাসজুড়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখা সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। আবার রিটের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছে মন্ত্রণালয়। এদিকে ১১ মার্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
যেহেতু, হাইকোর্টের আদেশ আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ, সেহেতু আগামীকাল মঙ্গলবার প্রথম রোজার দিন থেকেই স্কুল বন্ধ থাকার কথা। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয় বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানেরা পড়েছেন বেকায়দায়।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগের রায়ের পর মন্ত্রণালয় কী করে সেদিকে তাকিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এদিকে খুলব না বন্ধ রাখব এই চিন্তায় প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা।
অন্যদিকে কয়েক দিন হলো স্কুল বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করছেন অভিভাবকেরা। তাঁরা বলছেন, ১০ / ১৫ দিন স্কুল বন্ধ রাখলে কী এমন হবে! করোনায় তো দুই বছর বন্ধ ছিল। অন্যদিকে মন্ত্রণালয় এই ১০ / ১৫ দিনে অনেক কিছুই উদ্ধার করার মহাপরিকল্পনা করে রেখেছে। যে কোনো মূল্যে ক্লাস করাতেই হবে! তাই বন্ধের রিট চ্যালেঞ্জ করেছে। রোজায় সন্তানকে স্কুলে পাঠাবে না অভিভাবকেরা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আনতে বদ্ধপরিকর মন্ত্রণালয়।
শেষে জিতবে কে? যদি রমজানে স্কুল বন্ধের ঘোষণার রায় আসে তাহলে কি ভাবছেন মন্ত্রণালয় হারল? একবার ভাবুন তো, রমজানের প্রথম দিন স্কুলে যাওয়ার পর ক্লাস করে পরদিন থেকে ছুটি! তার মানে মন্ত্রণালয় একদিন হলেও শিক্ষার্থীদের পড়িয়েই ছাড়ল!
অবশ্য অন্তত ঢাকার অনেক বিদ্যালয় সেটি মনে হয় হতে দেবে না; তারা এরই মধ্যে আগামীকাল একদিনের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে।
শেষ পর্যন্ত যেটিই হোক, বেকাদায় তিন পক্ষই। আজকের বাঁকা চাঁদ তাঁদের আরও বেকায়দায় ফেলেছে!
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
ইন্টারনেট দুনিয়ায় হাতির বাচ্চাদের নিষ্পাপ ও কৌতুক উদ্রেককারী কার্যকলাপের সুন্দর ভিডিওগুলো সব সময়ই মন দর্শকদের মনে ছুঁয়ে যায়। সম্প্রতি, এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও একটি ভিডিও। যেখানে একটি ছোট হাতির বাচ্চাকে একটি ভাঁজ করা চেয়ারে বসার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
৮ ঘণ্টা আগেহিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলার শিল্লাই গ্রামের ট্রান্স-গিরি অঞ্চলে প্রাচীন রীতিনীতির অনুসরণে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমী বিবাহ অনুষ্ঠান—এক নারী বিয়ে করেছেন দুই ভাইকে। হাট্টি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পলিয়ান্ড্রি বিয়েতে শত শত অতিথি অংশ নেন।
৩ দিন আগেশিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্রেডিট তথা পরীক্ষার খাতায় বেশি নম্বর দেওয়ার বিনিময়ে রক্ত দান করতে বাধ্য করেছেন এক ফুটবল কোচ। তাইওয়ানের একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ফুটবল কোচ এমনই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে...
৩ দিন আগেআজকের ডিজিটাল দুনিয়ায় আমাদের দৈনন্দিন যোগাযোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে ইমোজি। ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আমরা মনের ভাব প্রকাশে ইমোজি ব্যবহার করি। ভাষার সীমা পেরিয়ে এই ছোট ছোট ডিজিটাল চিহ্নগুলো আবেগ প্রকাশের কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আনন্দ থেকে শুরু করে দুঃখ—সব অনুভূতিই এখন বোঝ
৬ দিন আগে