ইশতিয়াক হাসান
নেপলসের পসিলিপো উপকূলে ছোট্ট এক দ্বীপের দেখা পাবেন। দ্বীপ বলতে, সাগরের মধ্যে বড় দুটি পাথরকে ধনুকাকার খুব সরু একটি পাথর জোড়া লাগিয়েছে। দেখতে সুন্দর হলেও সাগর কিংবা ওপর থেকে দেখলে মোটের ওপর একটু অস্বাভাবিকই লাগবে একে। তবে গাইওলা নামের ইতালির এই দ্বীপের এটাই একমাত্র অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়।
দ্বীপটিকে ঘিরে আছে নানা রহস্যময় ঘটনার গুজব। বিশেষ করে দ্বীপটি যিনিই কিনেছেন কিংবা বাস করেছেন, মন্দ ভাগ্যের শিকার হতে হয়েছে তাঁকেই। স্থানীয়দের দাবি, গাইওলা অভিশপ্ত এক দ্বীপ।
বর্তমানে পরিত্যক্ত দ্বীপটিকে ঘিরে নানা ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনার শুরু উনিশ শতকের গোড়ার দিকে। ‘দ্য উইজার্ড’ বা জাদুকর নামে পরিচিতি পাওয়া এক লোক সাধু তখন বাস করতেন এখানে। ১৮৭১ সালে একটি ফিশিং কোম্পানির মালিক লুইজি নেগরি দ্বীপটি কিনে নেন। এ সময় একটি ভিলা বা বাড়ি তৈরি হয় এখানে। তবে তাঁর কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে গেলে নেগরি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হোন দ্বীপটিকে।
বিভিন্ন ব্যক্তি ভিলা এবং গোটা দ্বীপটির মালিক ছিলেন বিশ শতকে। এদের প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে মন্দ ভাগ্যের শিকার হোন। এতে দ্বীপটির কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। ১৯২০-এর দশকে দ্বীপের সুইস মালিক হ্যানস ব্রন খুন হোন। গালিচায় মোড়ানো অবস্থায় মেলে তাঁর মৃতদেহ। এদিকে সাঁতার কাটতে গিয়ে সাগরের পানিতে ডুবে মারা যান তাঁর স্ত্রী।
পরের মালিক অটো গ্রানবেক ভিলাটিতে এসে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। এবার দ্বীপটি কিনে নেন লেখক ও শিল্পপতি মরিস-ইভজ সানুজ। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে সুইজারল্যান্ডের এক পাগলা গারদে জায়গা হয় তাঁর। ১৯৫৮ সালে আত্মহত্যা করেন তিনি।
তারপর গাইওলা দ্বীপের মালিক হোন ব্যারন কার্ল পল ল্যাংহেইম। জার্মান এই শিল্পপতির কোম্পানিও দেওলিয়া হয়ে যায়। দ্বীপটি তিনি বিক্রি করে দেন ফিয়াট এসপিএর চেয়ারম্যান জান্নি আনইয়াল্লির কাছে। তাঁর পরিবারেও নানা অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। দ্বীপটির আরেক মালিক ছিলেন আমেরিকান শিল্পপতি জিন পল গেটি। তাঁকেও দুর্ভাগ্যের কবলে পড়তে হয়। তাঁর বড় ছেলে আত্মহত্যা করে, ছোট ছেলেও মারা যায় অল্প বয়সে। এমনকি এক নাতি অপহরণের শিকার হয়।
দ্বীপটির শেষ মালিক জানপাসকুয়ালে গ্রেপপোন। তাঁর স্থান হয় কারাগারে, আর স্ত্রীর মৃত্যু হয় গাড়ি দুর্ঘটনায়। ১৯৭৮ সালে গাইওলা দ্বীপটি সরকারি সম্পত্তিতে রূপান্তরিত হয়। দ্বীপে মানুষের বসতি নেই প্রায় ৪৫ বছর। তবে স্থানীয়রা মনে করে, এখনো কাটেনি এর অভিশাপ। ২০০৯ সালে দ্বীপের উল্টো পাশের এক ভিলার মালিক খুন হোন। যদিও দ্বীপটি এমন অভিশপ্ত হয়ে ওঠার কারণ রহস্যই রয়ে গেছে।
গাড়িতে চেপে নেপলসের পসিলিপো চলে যেতে পারবেন। উপকূল থেকে সহজেই দেখতে পারবেন একে। একটি নৌকায় চেপে দ্বীপের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারবেন। আবার কাছের গাইওলা আন্ডারওয়াটার পার্কে স্কুবা ডাইভিং বা সাঁতারও কাটতে পারবেন। সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষিত এই পার্কের মোটামুটি মাঝখানে বলতে পারেন একে। দুঃসাহসী হলে দ্বীপেও কিছুটা সময় কাটাতে পারবেন। যদ্দুর জানা যায়, দ্বীপের মালিকেরাই ঝুট-ঝামেলায় পড়েছেন বা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। কাজেই এতে পা রাখলে আপনার বিপদ হবে এমন কথা নেই। পর্যটকেরা সাগরে সাঁতরে বেড়াবার পাশাপাশি ওই সব অভিশাপের থোড়াই কেয়ার করে দ্বীপে উঠছেনও।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, উইকিপিডিয়া
নেপলসের পসিলিপো উপকূলে ছোট্ট এক দ্বীপের দেখা পাবেন। দ্বীপ বলতে, সাগরের মধ্যে বড় দুটি পাথরকে ধনুকাকার খুব সরু একটি পাথর জোড়া লাগিয়েছে। দেখতে সুন্দর হলেও সাগর কিংবা ওপর থেকে দেখলে মোটের ওপর একটু অস্বাভাবিকই লাগবে একে। তবে গাইওলা নামের ইতালির এই দ্বীপের এটাই একমাত্র অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়।
দ্বীপটিকে ঘিরে আছে নানা রহস্যময় ঘটনার গুজব। বিশেষ করে দ্বীপটি যিনিই কিনেছেন কিংবা বাস করেছেন, মন্দ ভাগ্যের শিকার হতে হয়েছে তাঁকেই। স্থানীয়দের দাবি, গাইওলা অভিশপ্ত এক দ্বীপ।
বর্তমানে পরিত্যক্ত দ্বীপটিকে ঘিরে নানা ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনার শুরু উনিশ শতকের গোড়ার দিকে। ‘দ্য উইজার্ড’ বা জাদুকর নামে পরিচিতি পাওয়া এক লোক সাধু তখন বাস করতেন এখানে। ১৮৭১ সালে একটি ফিশিং কোম্পানির মালিক লুইজি নেগরি দ্বীপটি কিনে নেন। এ সময় একটি ভিলা বা বাড়ি তৈরি হয় এখানে। তবে তাঁর কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে গেলে নেগরি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হোন দ্বীপটিকে।
বিভিন্ন ব্যক্তি ভিলা এবং গোটা দ্বীপটির মালিক ছিলেন বিশ শতকে। এদের প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে মন্দ ভাগ্যের শিকার হোন। এতে দ্বীপটির কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। ১৯২০-এর দশকে দ্বীপের সুইস মালিক হ্যানস ব্রন খুন হোন। গালিচায় মোড়ানো অবস্থায় মেলে তাঁর মৃতদেহ। এদিকে সাঁতার কাটতে গিয়ে সাগরের পানিতে ডুবে মারা যান তাঁর স্ত্রী।
পরের মালিক অটো গ্রানবেক ভিলাটিতে এসে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। এবার দ্বীপটি কিনে নেন লেখক ও শিল্পপতি মরিস-ইভজ সানুজ। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে সুইজারল্যান্ডের এক পাগলা গারদে জায়গা হয় তাঁর। ১৯৫৮ সালে আত্মহত্যা করেন তিনি।
তারপর গাইওলা দ্বীপের মালিক হোন ব্যারন কার্ল পল ল্যাংহেইম। জার্মান এই শিল্পপতির কোম্পানিও দেওলিয়া হয়ে যায়। দ্বীপটি তিনি বিক্রি করে দেন ফিয়াট এসপিএর চেয়ারম্যান জান্নি আনইয়াল্লির কাছে। তাঁর পরিবারেও নানা অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। দ্বীপটির আরেক মালিক ছিলেন আমেরিকান শিল্পপতি জিন পল গেটি। তাঁকেও দুর্ভাগ্যের কবলে পড়তে হয়। তাঁর বড় ছেলে আত্মহত্যা করে, ছোট ছেলেও মারা যায় অল্প বয়সে। এমনকি এক নাতি অপহরণের শিকার হয়।
দ্বীপটির শেষ মালিক জানপাসকুয়ালে গ্রেপপোন। তাঁর স্থান হয় কারাগারে, আর স্ত্রীর মৃত্যু হয় গাড়ি দুর্ঘটনায়। ১৯৭৮ সালে গাইওলা দ্বীপটি সরকারি সম্পত্তিতে রূপান্তরিত হয়। দ্বীপে মানুষের বসতি নেই প্রায় ৪৫ বছর। তবে স্থানীয়রা মনে করে, এখনো কাটেনি এর অভিশাপ। ২০০৯ সালে দ্বীপের উল্টো পাশের এক ভিলার মালিক খুন হোন। যদিও দ্বীপটি এমন অভিশপ্ত হয়ে ওঠার কারণ রহস্যই রয়ে গেছে।
গাড়িতে চেপে নেপলসের পসিলিপো চলে যেতে পারবেন। উপকূল থেকে সহজেই দেখতে পারবেন একে। একটি নৌকায় চেপে দ্বীপের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারবেন। আবার কাছের গাইওলা আন্ডারওয়াটার পার্কে স্কুবা ডাইভিং বা সাঁতারও কাটতে পারবেন। সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষিত এই পার্কের মোটামুটি মাঝখানে বলতে পারেন একে। দুঃসাহসী হলে দ্বীপেও কিছুটা সময় কাটাতে পারবেন। যদ্দুর জানা যায়, দ্বীপের মালিকেরাই ঝুট-ঝামেলায় পড়েছেন বা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। কাজেই এতে পা রাখলে আপনার বিপদ হবে এমন কথা নেই। পর্যটকেরা সাগরে সাঁতরে বেড়াবার পাশাপাশি ওই সব অভিশাপের থোড়াই কেয়ার করে দ্বীপে উঠছেনও।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, উইকিপিডিয়া
জার্মানির একজন অ্যারোস্পেস প্রকৌশলী টানা ১২০ দিন পানির নিচে কাটিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। পানামার উপকূলে একটি ডুবো ক্যাপসুলের ভেতরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১ মিটার নিচে ছিলেন তিনি। এই সময় কৃত্রিমভাবে চাপ কমানোর কোনো কৌশলও ব্যবহার করেননি তিনি।
৮ দিন আগেঅস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি গ্রিনহাউস। বাইরে দাঁড়িয়ে শতাধিক মানুষ। এই মানুষগুলো দাঁড়িয়ে আছেন মূলত এমন একটি বিরল ও বিপন্ন উদ্ভিদের ফুলের ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য। এই গন্ধ অনেকটাই পচা মাংসের মতো বা ঘামে স্যাঁতসেঁতে মোজা কিংবা পচা আবর্জনার মতোও মনে হয়...
৯ দিন আগেওনলিফ্যানস মডেল বনি ব্লু’র চাঞ্চল্যকর দাবি ইন্টারনেটে আলোচনার ঝড় তুলেছে। ২৫ বছর বয়সী এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর জানিয়েছেন, তিনি ১২ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৭ জন পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
১৮ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে বসবাসকারী এক নারী সম্প্রতি ৫০ হাজার ডলারের একটি লটারি জিতেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থ ৬০ লাখ টাকার বেশি। মজার বিষয় হলো, যে সংখ্যা ব্যবহার করে এই লটারি বিজয়, সেই সংখ্যা স্বপ্নে পেয়েছিলেন ওই নারী!
২৩ দিন আগে