মার্কিন অভিযাত্রী ও ব্লগার ড্রিউ বিনস্কি সম্প্রতি পৃথিবীর সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন জঙ্গল হিসেবে পরিচিত একটি এলাকায় গিয়েছিলেন। পাপুয়া নিউগিনিতে অবস্থিত ওই জঙ্গলটিতে মূলত নরখাদক কোরোবাই মানুষেরা বসবাস করেন।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ধর্ষ কোরোবাইদের সঙ্গে বিনস্কি একাই কিছুদিন কাটিয়ে এসেছেন।
বিনস্কির অভিজ্ঞতা থেকে জানা গেছে, একটুকরো কাপড় কিংবা গাছের বাকল দিয়ে কোরোবাই মানুষেরা তাঁদের লজ্জা নিবারণ করেন। কেউ কেউ আবার উলঙ্গ হয়েই থাকেন। আর শিকারের জন্য তাঁরা তীর-ধনুক ব্যবহার করেন।
জানা যায়, ১৯৭৪ সালে একদল নৃতাত্ত্বিক কোরোবাই মানুষদের আবিষ্কার করেছিলেন। এর আগে ওই উপজাতির মানুষেরা জানতেনই না যে, পৃথিবীতে আরও তাঁদের ছাড়াও আরও মানুষের অস্তিত্ব আছে।
কোরোবাই মানুষদের কাছাকাছি এলাকায় বসবাস করে মমুনা নামে আরেকটি উপজাতি। মূলত মমুনা উপজাতির সঙ্গেই বেশ কিছুদিন ছিলেন ড্রিউ বিনস্কি। মমুনাদের কাছ থেকেই তিনি হিংস্র কোরোবাই মানুষদের সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনি জেনেছিলেন, কোরোবাইরা ক্ষুধার জন্য কিংবা নিতান্ত খেয়ালের বশে কোনো মানুষকে ভক্ষণ করে না। তাঁরা এটা করে শুধু কোনো মানুষকে শাস্তি দিতে চাইলেই।
বিনস্কি বলেন, ‘আপনি যদি কোনো কিছু চুরি করেন, তবে তাঁরা আপনাকে আগুনে ছুড়ে মারবে এবং খেয়ে ফেলবে।’
কোরোবাইরা বিশ্বাস করে খাকুয়া নামে একটি দুষ্ট রাক্ষস মানুষকে ধারণ করতে পারে এবং ওই রাক্ষস মানুষটিকে ভেতর থেকে খেতে শুরু করে। একসময় ওই মানুষটি ডাইনি বা খারাপ মানুষে পরিণত হয়। এভাবে খাকুয়ায় পরিণত হওয়া একটি মানুষ আরেকটি মানুষের ভেতরেও ভর করতে পারে। আস্থা অর্জনের জন্য নিজেদের বন্ধু বা পরিবারের সদস্য হিসাবেও ছদ্মবেশও ধারণ করতে পারে খাকুয়া।
তাই কেউ চুরি কিংবা অন্য কোনো অপরাধ করলে তার মাঝে খাকুয়া ভর করেছে বলে বিশ্বাস করে কোরোবাইরা। তাই তাকে অনুষ্ঠান করে সবাই মিলে খেয়ে ফেলে—যেন আর কোনো ক্ষতি করতে না পারে।
কোরোবাই মানুষদের দেওয়া তথ্যমতে, মানুষের মাংসের স্বাদ অনেকটা বুনো শূকরের মতো। তাঁরা একটি মানুষের চুল, নখ এবং যৌনাঙ্গ ছাড়া বাকি সবকিছুই খেয়ে ফেলেন। তবে ১৩ বছরের নিচে যাদের বয়স, তাদের নরমাংস খাওয়ার অনুমতি নেই। কারণ কোরোবাই মানুষেরা বিশ্বাস করেন একটি খাকুয়াকে কম বয়সীরা খেলে তার শরীরেও খারাপ কিছু ভর করতে পারে।
ইতিপূর্বে বিচ্ছিন্ন ওই জঙ্গলে কর্নেলিয়াস নামে এক গাইড কোরোবাইদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার বিষয়ে জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা করেন, এক রাতে কোরোবাইরা তাঁকে এক টুকরো মাংস দেয় এবং বলে যে এটা মানুষের মাংস। আর এটা খেতে পারলেই শুধু তাঁকে নিজেদের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেবে কোরোবাইরা। তা না হলে—ওই স্থান ত্যাগ করতে হবে।
কর্নেলিয়াস বলেন, ‘আমি মানুষের ওই মাংসের টুকরাটি খেয়েছিলাম। তারপর থেকে তাঁদের খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে গেছি।’
মার্কিন অভিযাত্রী ও ব্লগার ড্রিউ বিনস্কি সম্প্রতি পৃথিবীর সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন জঙ্গল হিসেবে পরিচিত একটি এলাকায় গিয়েছিলেন। পাপুয়া নিউগিনিতে অবস্থিত ওই জঙ্গলটিতে মূলত নরখাদক কোরোবাই মানুষেরা বসবাস করেন।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ধর্ষ কোরোবাইদের সঙ্গে বিনস্কি একাই কিছুদিন কাটিয়ে এসেছেন।
বিনস্কির অভিজ্ঞতা থেকে জানা গেছে, একটুকরো কাপড় কিংবা গাছের বাকল দিয়ে কোরোবাই মানুষেরা তাঁদের লজ্জা নিবারণ করেন। কেউ কেউ আবার উলঙ্গ হয়েই থাকেন। আর শিকারের জন্য তাঁরা তীর-ধনুক ব্যবহার করেন।
জানা যায়, ১৯৭৪ সালে একদল নৃতাত্ত্বিক কোরোবাই মানুষদের আবিষ্কার করেছিলেন। এর আগে ওই উপজাতির মানুষেরা জানতেনই না যে, পৃথিবীতে আরও তাঁদের ছাড়াও আরও মানুষের অস্তিত্ব আছে।
কোরোবাই মানুষদের কাছাকাছি এলাকায় বসবাস করে মমুনা নামে আরেকটি উপজাতি। মূলত মমুনা উপজাতির সঙ্গেই বেশ কিছুদিন ছিলেন ড্রিউ বিনস্কি। মমুনাদের কাছ থেকেই তিনি হিংস্র কোরোবাই মানুষদের সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনি জেনেছিলেন, কোরোবাইরা ক্ষুধার জন্য কিংবা নিতান্ত খেয়ালের বশে কোনো মানুষকে ভক্ষণ করে না। তাঁরা এটা করে শুধু কোনো মানুষকে শাস্তি দিতে চাইলেই।
বিনস্কি বলেন, ‘আপনি যদি কোনো কিছু চুরি করেন, তবে তাঁরা আপনাকে আগুনে ছুড়ে মারবে এবং খেয়ে ফেলবে।’
কোরোবাইরা বিশ্বাস করে খাকুয়া নামে একটি দুষ্ট রাক্ষস মানুষকে ধারণ করতে পারে এবং ওই রাক্ষস মানুষটিকে ভেতর থেকে খেতে শুরু করে। একসময় ওই মানুষটি ডাইনি বা খারাপ মানুষে পরিণত হয়। এভাবে খাকুয়ায় পরিণত হওয়া একটি মানুষ আরেকটি মানুষের ভেতরেও ভর করতে পারে। আস্থা অর্জনের জন্য নিজেদের বন্ধু বা পরিবারের সদস্য হিসাবেও ছদ্মবেশও ধারণ করতে পারে খাকুয়া।
তাই কেউ চুরি কিংবা অন্য কোনো অপরাধ করলে তার মাঝে খাকুয়া ভর করেছে বলে বিশ্বাস করে কোরোবাইরা। তাই তাকে অনুষ্ঠান করে সবাই মিলে খেয়ে ফেলে—যেন আর কোনো ক্ষতি করতে না পারে।
কোরোবাই মানুষদের দেওয়া তথ্যমতে, মানুষের মাংসের স্বাদ অনেকটা বুনো শূকরের মতো। তাঁরা একটি মানুষের চুল, নখ এবং যৌনাঙ্গ ছাড়া বাকি সবকিছুই খেয়ে ফেলেন। তবে ১৩ বছরের নিচে যাদের বয়স, তাদের নরমাংস খাওয়ার অনুমতি নেই। কারণ কোরোবাই মানুষেরা বিশ্বাস করেন একটি খাকুয়াকে কম বয়সীরা খেলে তার শরীরেও খারাপ কিছু ভর করতে পারে।
ইতিপূর্বে বিচ্ছিন্ন ওই জঙ্গলে কর্নেলিয়াস নামে এক গাইড কোরোবাইদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার বিষয়ে জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা করেন, এক রাতে কোরোবাইরা তাঁকে এক টুকরো মাংস দেয় এবং বলে যে এটা মানুষের মাংস। আর এটা খেতে পারলেই শুধু তাঁকে নিজেদের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেবে কোরোবাইরা। তা না হলে—ওই স্থান ত্যাগ করতে হবে।
কর্নেলিয়াস বলেন, ‘আমি মানুষের ওই মাংসের টুকরাটি খেয়েছিলাম। তারপর থেকে তাঁদের খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে গেছি।’
বেশির ভাগ বিড়ালপ্রেমীই আতঙ্কে থাকেন, কখন তাদের পোষা বিড়াল কোনো ইঁদুর বা পাখি শিকার করে বাসায় নিয়ে আসে। তবে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরের এক পরিবারের বিড়ালের কর্মকাণ্ড এই সাধারণ দুশ্চিন্তার চেয়েও ভয়াবহ। কারণ, তাদের ১৫ মাস বয়সী বিড়ালটি একা পুরো এলাকায় চুরির রাজত্ব কায়েম করেছে। পুরো এলাকার অপরাধ জগতে
৪৩ মিনিট আগেভারতের মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে এক নাটকীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল। মাঝ রাস্তায় দুই ঘোড়ার লড়াইয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়। এই তাণ্ডবের মধ্যে একটি ঘোড়া একটি অটো রিকশার ওপর লাফিয়ে পড়ে। এতে দুজন গুরুতর আহত হন। এরপর ঘোড়াটি প্রায় ২০ মিনিট রিকশার ভেতরে আটকে ছিল।
২ দিন আগেহাঙ্গেরির মধ্যযুগে একটি মঠ প্যাননহালমা আর্চঅ্যাবি। এই মঠের কয়েক শ বছরের পুরোনো বই সাম্প্রতিক সময়ে এসে গুবরে পোকার আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে। আর বইগুলোকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষায় শুরু হয়েছে এক বড় আকারের উদ্ধার অভিযান। মঠটির লাইব্রেরি থেকে সরানো হচ্ছে হাতে বাঁধানো প্রায় এক লাখ বই।
৩ দিন আগেইন্টারনেট দুনিয়ায় হাতির বাচ্চাদের নিষ্পাপ ও কৌতুক উদ্রেককারী কার্যকলাপের সুন্দর ভিডিওগুলো সব সময়ই মন দর্শকদের মনে ছুঁয়ে যায়। সম্প্রতি, এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও একটি ভিডিও। যেখানে একটি ছোট হাতির বাচ্চাকে একটি ভাঁজ করা চেয়ারে বসার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
৪ দিন আগে