ইশতিয়াক হাসান
স্বাভাবিক দৃষ্টিতে নাগোরোকে দক্ষিণ জাপানের দুর্গম ইয়া উপত্যকার সাধারণ, নিস্তরঙ্গ একটি গ্রামের মতোই মনে হবে। গাড়ি নিয়ে ছোট্ট গ্রামটির মাঝের আঁকাবাঁকা পথ ধরে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে বয়স্ক ব্যক্তিরা বাগানের পরিচর্যা করছেন, বাসস্টপে শান্তভাবে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় আছে কোনো পরিবারের সদস্যরা। সবকিছু স্বাভাবিকই মনে হবে। তার পরই আপনার হয়তো খেয়াল হবে এসব ‘মানুষ’ আসলে মানুষ নন। এরা আসলে মানবাকৃতির কাকতাড়ুয়া। আরও মজার ব্যাপার, সংখ্যায় তারা গ্রামটির জনসংখ্যার দশ গুণ।
কাপড়ের তৈরি এই আজব কাঠামোগুলো বানানোর মূল কারিগর তসুকিমি আয়ানো। এই শখের হস্তশিল্পী জীবনের বড় একটি সময় ওসাকা শহরে কাটানোর পর ২০০২ সালে ফিরে আসেন গ্রামে। এখন তাঁর তৈরি তিন শতাধিক কাকতাড়ুয়া বা মানুষের আকারের পুতুল আছে গ্রামটিতে। দেশের তো বটেই, বিদেশি পর্যটকদের কাছেও পরিচিতি পেয়েছে আয়ানোর বানানো কাঠামোগুলো।
‘পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ আমাদের এই ছোট্ট গ্রামে আসবে কখনো ভাবিনি।’ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের আদলে তাঁর কাকতাড়ুয়া তৈরির ওয়ার্কশপে সাংবাদিককে বলেছিলেন আয়ানো।
জাপানের শিকোকু দ্বীপের উপত্যকায় মোটামুটি বিচ্ছিন্ন এক গ্রাম নাগোরোতে পৌঁছানো মোটেই সহজ নয়। বাস পাওয়া যায় না নিয়মিত। নিকটতম রেলস্টেশন, তাও এক ঘণ্টার পথ। তবে এটা প্রতি বছর ৩ হাজার কিংবা এর বেশি পর্যটকের এই গ্রামে আসা ঠেকাতে পারিনি। এদের কেউ কেউ প্রতি বছরই একবার নিয়ম করে হাজির হন গ্রামটিতে।
স্বাভাবিক নিয়মেই সময় বদলেছে নাগোরোর। অন্য জাপানি গ্রামগুলোর মতোই বয়স্ক মানুষেরাই যেখানকার মূল বাসিন্দা। আয়ানোর শৈশবে তিন শতাধিক মানুষের বাস ছিল, এদের মধ্যে ছিল বাচ্চাকাচ্চাসহ অনেক পরিবার। বর্তমানে গ্রামটির জনসংখ্যা ২৯, এদের প্রায় সবার বয়স ৫০-এর বেশি। তরুণেরা পাড়ি জমিয়েছেন জাপানের বড় শহরগুলোতে উন্নত জীবনের আশায়।
গ্রামে ফিরে আসার পর আয়ানো আবিষ্কার করলেন, একসময়কার লোকজনে ভরা গ্রামটি এখন অনেকটাই জনশূন্য। আয়ানো প্রথম কাকতাড়ুয়াটি বানালেন নিজের বাবার মতো করে, আর কাকের থেকে ফসল রক্ষায় এটি ব্যবহার করা শুরু করলেন। এ সময়ই একটি বিষয় খেয়াল করলেন, প্রতিবেশীরা কাকতাড়ুয়াটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একে ‘হাই’ বলছে। তারপর একটির পর একটি আরও কাকতাড়ুয়া বানাতে লাগলেন, একপর্যায়ে গোটা গ্রাম ভরে গেল কাকতাড়ুয়ায়।
অবশ্য এই কাকতাড়ুয়াগুলো তিনি এমনি এমনি বানাননি। এগুলো তিনি তৈরি করেন গ্রামটির একসময়কার বাসিন্দাদের প্রতিকৃতি হিসেবে। এভাবে তাঁদের স্মরণ করার পাশাপাশি চেয়েছিলেন ক্রমে ক্ষয়প্রাপ্ত গ্রামটিতে কিছুটা হলেও চাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে।
প্রথম কয়েকটি কাকতাড়ুয়া অবশ্য জমিতে কাকসহ নানা ধরনের পাখি তাড়ানোর কাজে ব্যবহার করেন। তারপর এমন এক প্রতিবেশী নারীর আদলে একটি কাকতাড়ুয়া তৈরি করলেন। গ্রামে থাকার সময় তাঁর সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতেন। এটি বানানোর ইচ্ছা ছিল পুরোনো দিনের কথা স্মরণ করে এই কাকতাড়ুয়া বা পুতুলটির সঙ্গে নিজের মতো করে কথা বলা।
এভাবে আরও নতুন নতুন মানুষ মারা গেলে তাঁদের মতো করে এবং গ্রামটি থেকে একে একে শহরে পাড়ি জমানো মানুষদের আদলে তৈরি করতে লাগলেন একটির পর একটি কাকতাড়ুয়া। ‘এই কাকতাড়ুয়াগুলো বানানোর আগে এটি ছিল একটি সাধারণ গ্রাম। কেউ সেই অর্থে এর কথা ভাবত না।’ বলেছিলেন আয়ানো।
অবশ্য শুরুতে এই কাকতাড়ুয়াগুলোর কথা খুব বেশি মানুষ জানত না। তার পরই ফ্রিটজ শুমান নামের এক জার্মান চলচ্চিত্র নির্মাতা গ্রামটিতে আসেন। আয়ানোর কাকতাড়ুয়াদের নিয়ে ‘ভ্যালি অব ডলস’ নামের একটু শর্ট ডকুমেন্টারি বা তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন তিনি। আর এটাই শুধু জাপান নয়, গোটা পৃথিবীর নজরে নিয়ে এল তকুশিমার ছোট্ট এই গ্রামকে।
মজার ঘটনা, বেশির ভাগ পুতুল বা কাকতাড়ুয়া বাইরে খোলামেলা জায়গায় থাকে বলে এগুলোর মেয়াদ তিন বছর। তারপর আবার নতুন করে তৈরি করতে হয়।
গ্রামটি ভ্রমণে এলে একজন দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজের ভঙ্গিতে দেখবেন কাকতাড়ুয়াগুলোকে। মাথায় শক্ত টুপি পরা নির্মাণশ্রমিকেরা একটি সড়ক নির্দেশক স্থাপন করছে, গাছপালার মাঝখানে দাঁড়িয়ে উদ্দাম নদীর দিকে তাকিয়ে আছে একজোড়া নর-নারী। বুট পরিহিত এক জেলে পাশে মেয়েকে নিয়ে ঘরের রোয়াক বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন। এ ধরনের আরও কত দৃশ্য তৈরি হয়েছে, যেগুলো হঠাৎ দেখলে বাস্তব বলেই মনে হবে।
শেষ দুজন শিক্ষার্থী পাশ করে ফেলার পর গ্রামের একমাত্র বিদ্যালয়টি বছর কয়েক আগে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে একসময়কার পরিত্যক্ত ওই দালান এখন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কাল্পনিক চরিত্রের সমন্বয়ে একটি অঘোষিত জাদুঘর। একটি শ্রেণিকক্ষে এক ডজনের মতো ‘শিক্ষার্থী’ চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে শিক্ষকের দিকে। অবশ্য কাকতাড়ুয়া তৈরিতে এখন গ্রামের অন্যদেরও সাহায্য নেন আয়োনো।
এখন গ্রামটিতে হয় বার্ষিক কাকতাড়ুয়া উৎসব। প্রতি বছরের অক্টোবরের প্রথম রোববার হয় এটি। আয়ানোর বাড়িতেও যেতে পারবেন, সেখানে আয়ানোর মৃত মায়ের কাকতাড়ুয়া প্রতিমূর্তিকে দেখা যায় স্নেহমাখা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন মেয়ের দিকে।
চাইলে গ্রামটিতে কাকতাড়ুয়া বানানোর প্রশিক্ষণও নিতে পারবেন। প্রতি মাসের চতুর্থ বুধবার বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেওয়া হয় এই প্রশিক্ষণ। তবে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকে এই কর্মশালা। আয়ানো মাটির নানা ধরনের সুন্দর ভাস্কর্যও তৈরি করেন। এগুলোও দেখতে পাবেন গ্রামটিতে গেলে।
অতএব জাপান ভ্রমণে কাকতাড়ুয়াদের গ্রামে একটি বার ঘুরে আসতেই পারেন, কী বলেন? তকুশিমার মাউন্ট তসারাগি যাওয়ার পথে বিখ্যাত ডাবল ভাইন ব্রিজের রাস্তা ধরে গেলেই পৌঁছে যাবেন সেখানে। গ্রাম পর্যন্ত বাস যায় সপ্তাহে কেবল একবার। কাজেই একটা গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে যাওয়াই সুবিধাজনক।
সূত্র: সিএনএন, ম্যাড অর নোমাড ডট কম
স্বাভাবিক দৃষ্টিতে নাগোরোকে দক্ষিণ জাপানের দুর্গম ইয়া উপত্যকার সাধারণ, নিস্তরঙ্গ একটি গ্রামের মতোই মনে হবে। গাড়ি নিয়ে ছোট্ট গ্রামটির মাঝের আঁকাবাঁকা পথ ধরে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে বয়স্ক ব্যক্তিরা বাগানের পরিচর্যা করছেন, বাসস্টপে শান্তভাবে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় আছে কোনো পরিবারের সদস্যরা। সবকিছু স্বাভাবিকই মনে হবে। তার পরই আপনার হয়তো খেয়াল হবে এসব ‘মানুষ’ আসলে মানুষ নন। এরা আসলে মানবাকৃতির কাকতাড়ুয়া। আরও মজার ব্যাপার, সংখ্যায় তারা গ্রামটির জনসংখ্যার দশ গুণ।
কাপড়ের তৈরি এই আজব কাঠামোগুলো বানানোর মূল কারিগর তসুকিমি আয়ানো। এই শখের হস্তশিল্পী জীবনের বড় একটি সময় ওসাকা শহরে কাটানোর পর ২০০২ সালে ফিরে আসেন গ্রামে। এখন তাঁর তৈরি তিন শতাধিক কাকতাড়ুয়া বা মানুষের আকারের পুতুল আছে গ্রামটিতে। দেশের তো বটেই, বিদেশি পর্যটকদের কাছেও পরিচিতি পেয়েছে আয়ানোর বানানো কাঠামোগুলো।
‘পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ আমাদের এই ছোট্ট গ্রামে আসবে কখনো ভাবিনি।’ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের আদলে তাঁর কাকতাড়ুয়া তৈরির ওয়ার্কশপে সাংবাদিককে বলেছিলেন আয়ানো।
জাপানের শিকোকু দ্বীপের উপত্যকায় মোটামুটি বিচ্ছিন্ন এক গ্রাম নাগোরোতে পৌঁছানো মোটেই সহজ নয়। বাস পাওয়া যায় না নিয়মিত। নিকটতম রেলস্টেশন, তাও এক ঘণ্টার পথ। তবে এটা প্রতি বছর ৩ হাজার কিংবা এর বেশি পর্যটকের এই গ্রামে আসা ঠেকাতে পারিনি। এদের কেউ কেউ প্রতি বছরই একবার নিয়ম করে হাজির হন গ্রামটিতে।
স্বাভাবিক নিয়মেই সময় বদলেছে নাগোরোর। অন্য জাপানি গ্রামগুলোর মতোই বয়স্ক মানুষেরাই যেখানকার মূল বাসিন্দা। আয়ানোর শৈশবে তিন শতাধিক মানুষের বাস ছিল, এদের মধ্যে ছিল বাচ্চাকাচ্চাসহ অনেক পরিবার। বর্তমানে গ্রামটির জনসংখ্যা ২৯, এদের প্রায় সবার বয়স ৫০-এর বেশি। তরুণেরা পাড়ি জমিয়েছেন জাপানের বড় শহরগুলোতে উন্নত জীবনের আশায়।
গ্রামে ফিরে আসার পর আয়ানো আবিষ্কার করলেন, একসময়কার লোকজনে ভরা গ্রামটি এখন অনেকটাই জনশূন্য। আয়ানো প্রথম কাকতাড়ুয়াটি বানালেন নিজের বাবার মতো করে, আর কাকের থেকে ফসল রক্ষায় এটি ব্যবহার করা শুরু করলেন। এ সময়ই একটি বিষয় খেয়াল করলেন, প্রতিবেশীরা কাকতাড়ুয়াটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একে ‘হাই’ বলছে। তারপর একটির পর একটি আরও কাকতাড়ুয়া বানাতে লাগলেন, একপর্যায়ে গোটা গ্রাম ভরে গেল কাকতাড়ুয়ায়।
অবশ্য এই কাকতাড়ুয়াগুলো তিনি এমনি এমনি বানাননি। এগুলো তিনি তৈরি করেন গ্রামটির একসময়কার বাসিন্দাদের প্রতিকৃতি হিসেবে। এভাবে তাঁদের স্মরণ করার পাশাপাশি চেয়েছিলেন ক্রমে ক্ষয়প্রাপ্ত গ্রামটিতে কিছুটা হলেও চাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে।
প্রথম কয়েকটি কাকতাড়ুয়া অবশ্য জমিতে কাকসহ নানা ধরনের পাখি তাড়ানোর কাজে ব্যবহার করেন। তারপর এমন এক প্রতিবেশী নারীর আদলে একটি কাকতাড়ুয়া তৈরি করলেন। গ্রামে থাকার সময় তাঁর সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতেন। এটি বানানোর ইচ্ছা ছিল পুরোনো দিনের কথা স্মরণ করে এই কাকতাড়ুয়া বা পুতুলটির সঙ্গে নিজের মতো করে কথা বলা।
এভাবে আরও নতুন নতুন মানুষ মারা গেলে তাঁদের মতো করে এবং গ্রামটি থেকে একে একে শহরে পাড়ি জমানো মানুষদের আদলে তৈরি করতে লাগলেন একটির পর একটি কাকতাড়ুয়া। ‘এই কাকতাড়ুয়াগুলো বানানোর আগে এটি ছিল একটি সাধারণ গ্রাম। কেউ সেই অর্থে এর কথা ভাবত না।’ বলেছিলেন আয়ানো।
অবশ্য শুরুতে এই কাকতাড়ুয়াগুলোর কথা খুব বেশি মানুষ জানত না। তার পরই ফ্রিটজ শুমান নামের এক জার্মান চলচ্চিত্র নির্মাতা গ্রামটিতে আসেন। আয়ানোর কাকতাড়ুয়াদের নিয়ে ‘ভ্যালি অব ডলস’ নামের একটু শর্ট ডকুমেন্টারি বা তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন তিনি। আর এটাই শুধু জাপান নয়, গোটা পৃথিবীর নজরে নিয়ে এল তকুশিমার ছোট্ট এই গ্রামকে।
মজার ঘটনা, বেশির ভাগ পুতুল বা কাকতাড়ুয়া বাইরে খোলামেলা জায়গায় থাকে বলে এগুলোর মেয়াদ তিন বছর। তারপর আবার নতুন করে তৈরি করতে হয়।
গ্রামটি ভ্রমণে এলে একজন দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজের ভঙ্গিতে দেখবেন কাকতাড়ুয়াগুলোকে। মাথায় শক্ত টুপি পরা নির্মাণশ্রমিকেরা একটি সড়ক নির্দেশক স্থাপন করছে, গাছপালার মাঝখানে দাঁড়িয়ে উদ্দাম নদীর দিকে তাকিয়ে আছে একজোড়া নর-নারী। বুট পরিহিত এক জেলে পাশে মেয়েকে নিয়ে ঘরের রোয়াক বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন। এ ধরনের আরও কত দৃশ্য তৈরি হয়েছে, যেগুলো হঠাৎ দেখলে বাস্তব বলেই মনে হবে।
শেষ দুজন শিক্ষার্থী পাশ করে ফেলার পর গ্রামের একমাত্র বিদ্যালয়টি বছর কয়েক আগে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে একসময়কার পরিত্যক্ত ওই দালান এখন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কাল্পনিক চরিত্রের সমন্বয়ে একটি অঘোষিত জাদুঘর। একটি শ্রেণিকক্ষে এক ডজনের মতো ‘শিক্ষার্থী’ চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে শিক্ষকের দিকে। অবশ্য কাকতাড়ুয়া তৈরিতে এখন গ্রামের অন্যদেরও সাহায্য নেন আয়োনো।
এখন গ্রামটিতে হয় বার্ষিক কাকতাড়ুয়া উৎসব। প্রতি বছরের অক্টোবরের প্রথম রোববার হয় এটি। আয়ানোর বাড়িতেও যেতে পারবেন, সেখানে আয়ানোর মৃত মায়ের কাকতাড়ুয়া প্রতিমূর্তিকে দেখা যায় স্নেহমাখা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন মেয়ের দিকে।
চাইলে গ্রামটিতে কাকতাড়ুয়া বানানোর প্রশিক্ষণও নিতে পারবেন। প্রতি মাসের চতুর্থ বুধবার বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেওয়া হয় এই প্রশিক্ষণ। তবে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকে এই কর্মশালা। আয়ানো মাটির নানা ধরনের সুন্দর ভাস্কর্যও তৈরি করেন। এগুলোও দেখতে পাবেন গ্রামটিতে গেলে।
অতএব জাপান ভ্রমণে কাকতাড়ুয়াদের গ্রামে একটি বার ঘুরে আসতেই পারেন, কী বলেন? তকুশিমার মাউন্ট তসারাগি যাওয়ার পথে বিখ্যাত ডাবল ভাইন ব্রিজের রাস্তা ধরে গেলেই পৌঁছে যাবেন সেখানে। গ্রাম পর্যন্ত বাস যায় সপ্তাহে কেবল একবার। কাজেই একটা গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে যাওয়াই সুবিধাজনক।
সূত্র: সিএনএন, ম্যাড অর নোমাড ডট কম
ইশতিয়াক হাসান
স্বাভাবিক দৃষ্টিতে নাগোরোকে দক্ষিণ জাপানের দুর্গম ইয়া উপত্যকার সাধারণ, নিস্তরঙ্গ একটি গ্রামের মতোই মনে হবে। গাড়ি নিয়ে ছোট্ট গ্রামটির মাঝের আঁকাবাঁকা পথ ধরে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে বয়স্ক ব্যক্তিরা বাগানের পরিচর্যা করছেন, বাসস্টপে শান্তভাবে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় আছে কোনো পরিবারের সদস্যরা। সবকিছু স্বাভাবিকই মনে হবে। তার পরই আপনার হয়তো খেয়াল হবে এসব ‘মানুষ’ আসলে মানুষ নন। এরা আসলে মানবাকৃতির কাকতাড়ুয়া। আরও মজার ব্যাপার, সংখ্যায় তারা গ্রামটির জনসংখ্যার দশ গুণ।
কাপড়ের তৈরি এই আজব কাঠামোগুলো বানানোর মূল কারিগর তসুকিমি আয়ানো। এই শখের হস্তশিল্পী জীবনের বড় একটি সময় ওসাকা শহরে কাটানোর পর ২০০২ সালে ফিরে আসেন গ্রামে। এখন তাঁর তৈরি তিন শতাধিক কাকতাড়ুয়া বা মানুষের আকারের পুতুল আছে গ্রামটিতে। দেশের তো বটেই, বিদেশি পর্যটকদের কাছেও পরিচিতি পেয়েছে আয়ানোর বানানো কাঠামোগুলো।
‘পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ আমাদের এই ছোট্ট গ্রামে আসবে কখনো ভাবিনি।’ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের আদলে তাঁর কাকতাড়ুয়া তৈরির ওয়ার্কশপে সাংবাদিককে বলেছিলেন আয়ানো।
জাপানের শিকোকু দ্বীপের উপত্যকায় মোটামুটি বিচ্ছিন্ন এক গ্রাম নাগোরোতে পৌঁছানো মোটেই সহজ নয়। বাস পাওয়া যায় না নিয়মিত। নিকটতম রেলস্টেশন, তাও এক ঘণ্টার পথ। তবে এটা প্রতি বছর ৩ হাজার কিংবা এর বেশি পর্যটকের এই গ্রামে আসা ঠেকাতে পারিনি। এদের কেউ কেউ প্রতি বছরই একবার নিয়ম করে হাজির হন গ্রামটিতে।
স্বাভাবিক নিয়মেই সময় বদলেছে নাগোরোর। অন্য জাপানি গ্রামগুলোর মতোই বয়স্ক মানুষেরাই যেখানকার মূল বাসিন্দা। আয়ানোর শৈশবে তিন শতাধিক মানুষের বাস ছিল, এদের মধ্যে ছিল বাচ্চাকাচ্চাসহ অনেক পরিবার। বর্তমানে গ্রামটির জনসংখ্যা ২৯, এদের প্রায় সবার বয়স ৫০-এর বেশি। তরুণেরা পাড়ি জমিয়েছেন জাপানের বড় শহরগুলোতে উন্নত জীবনের আশায়।
গ্রামে ফিরে আসার পর আয়ানো আবিষ্কার করলেন, একসময়কার লোকজনে ভরা গ্রামটি এখন অনেকটাই জনশূন্য। আয়ানো প্রথম কাকতাড়ুয়াটি বানালেন নিজের বাবার মতো করে, আর কাকের থেকে ফসল রক্ষায় এটি ব্যবহার করা শুরু করলেন। এ সময়ই একটি বিষয় খেয়াল করলেন, প্রতিবেশীরা কাকতাড়ুয়াটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একে ‘হাই’ বলছে। তারপর একটির পর একটি আরও কাকতাড়ুয়া বানাতে লাগলেন, একপর্যায়ে গোটা গ্রাম ভরে গেল কাকতাড়ুয়ায়।
অবশ্য এই কাকতাড়ুয়াগুলো তিনি এমনি এমনি বানাননি। এগুলো তিনি তৈরি করেন গ্রামটির একসময়কার বাসিন্দাদের প্রতিকৃতি হিসেবে। এভাবে তাঁদের স্মরণ করার পাশাপাশি চেয়েছিলেন ক্রমে ক্ষয়প্রাপ্ত গ্রামটিতে কিছুটা হলেও চাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে।
প্রথম কয়েকটি কাকতাড়ুয়া অবশ্য জমিতে কাকসহ নানা ধরনের পাখি তাড়ানোর কাজে ব্যবহার করেন। তারপর এমন এক প্রতিবেশী নারীর আদলে একটি কাকতাড়ুয়া তৈরি করলেন। গ্রামে থাকার সময় তাঁর সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতেন। এটি বানানোর ইচ্ছা ছিল পুরোনো দিনের কথা স্মরণ করে এই কাকতাড়ুয়া বা পুতুলটির সঙ্গে নিজের মতো করে কথা বলা।
এভাবে আরও নতুন নতুন মানুষ মারা গেলে তাঁদের মতো করে এবং গ্রামটি থেকে একে একে শহরে পাড়ি জমানো মানুষদের আদলে তৈরি করতে লাগলেন একটির পর একটি কাকতাড়ুয়া। ‘এই কাকতাড়ুয়াগুলো বানানোর আগে এটি ছিল একটি সাধারণ গ্রাম। কেউ সেই অর্থে এর কথা ভাবত না।’ বলেছিলেন আয়ানো।
অবশ্য শুরুতে এই কাকতাড়ুয়াগুলোর কথা খুব বেশি মানুষ জানত না। তার পরই ফ্রিটজ শুমান নামের এক জার্মান চলচ্চিত্র নির্মাতা গ্রামটিতে আসেন। আয়ানোর কাকতাড়ুয়াদের নিয়ে ‘ভ্যালি অব ডলস’ নামের একটু শর্ট ডকুমেন্টারি বা তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন তিনি। আর এটাই শুধু জাপান নয়, গোটা পৃথিবীর নজরে নিয়ে এল তকুশিমার ছোট্ট এই গ্রামকে।
মজার ঘটনা, বেশির ভাগ পুতুল বা কাকতাড়ুয়া বাইরে খোলামেলা জায়গায় থাকে বলে এগুলোর মেয়াদ তিন বছর। তারপর আবার নতুন করে তৈরি করতে হয়।
গ্রামটি ভ্রমণে এলে একজন দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজের ভঙ্গিতে দেখবেন কাকতাড়ুয়াগুলোকে। মাথায় শক্ত টুপি পরা নির্মাণশ্রমিকেরা একটি সড়ক নির্দেশক স্থাপন করছে, গাছপালার মাঝখানে দাঁড়িয়ে উদ্দাম নদীর দিকে তাকিয়ে আছে একজোড়া নর-নারী। বুট পরিহিত এক জেলে পাশে মেয়েকে নিয়ে ঘরের রোয়াক বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন। এ ধরনের আরও কত দৃশ্য তৈরি হয়েছে, যেগুলো হঠাৎ দেখলে বাস্তব বলেই মনে হবে।
শেষ দুজন শিক্ষার্থী পাশ করে ফেলার পর গ্রামের একমাত্র বিদ্যালয়টি বছর কয়েক আগে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে একসময়কার পরিত্যক্ত ওই দালান এখন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কাল্পনিক চরিত্রের সমন্বয়ে একটি অঘোষিত জাদুঘর। একটি শ্রেণিকক্ষে এক ডজনের মতো ‘শিক্ষার্থী’ চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে শিক্ষকের দিকে। অবশ্য কাকতাড়ুয়া তৈরিতে এখন গ্রামের অন্যদেরও সাহায্য নেন আয়োনো।
এখন গ্রামটিতে হয় বার্ষিক কাকতাড়ুয়া উৎসব। প্রতি বছরের অক্টোবরের প্রথম রোববার হয় এটি। আয়ানোর বাড়িতেও যেতে পারবেন, সেখানে আয়ানোর মৃত মায়ের কাকতাড়ুয়া প্রতিমূর্তিকে দেখা যায় স্নেহমাখা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন মেয়ের দিকে।
চাইলে গ্রামটিতে কাকতাড়ুয়া বানানোর প্রশিক্ষণও নিতে পারবেন। প্রতি মাসের চতুর্থ বুধবার বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেওয়া হয় এই প্রশিক্ষণ। তবে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকে এই কর্মশালা। আয়ানো মাটির নানা ধরনের সুন্দর ভাস্কর্যও তৈরি করেন। এগুলোও দেখতে পাবেন গ্রামটিতে গেলে।
অতএব জাপান ভ্রমণে কাকতাড়ুয়াদের গ্রামে একটি বার ঘুরে আসতেই পারেন, কী বলেন? তকুশিমার মাউন্ট তসারাগি যাওয়ার পথে বিখ্যাত ডাবল ভাইন ব্রিজের রাস্তা ধরে গেলেই পৌঁছে যাবেন সেখানে। গ্রাম পর্যন্ত বাস যায় সপ্তাহে কেবল একবার। কাজেই একটা গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে যাওয়াই সুবিধাজনক।
সূত্র: সিএনএন, ম্যাড অর নোমাড ডট কম
স্বাভাবিক দৃষ্টিতে নাগোরোকে দক্ষিণ জাপানের দুর্গম ইয়া উপত্যকার সাধারণ, নিস্তরঙ্গ একটি গ্রামের মতোই মনে হবে। গাড়ি নিয়ে ছোট্ট গ্রামটির মাঝের আঁকাবাঁকা পথ ধরে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে বয়স্ক ব্যক্তিরা বাগানের পরিচর্যা করছেন, বাসস্টপে শান্তভাবে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় আছে কোনো পরিবারের সদস্যরা। সবকিছু স্বাভাবিকই মনে হবে। তার পরই আপনার হয়তো খেয়াল হবে এসব ‘মানুষ’ আসলে মানুষ নন। এরা আসলে মানবাকৃতির কাকতাড়ুয়া। আরও মজার ব্যাপার, সংখ্যায় তারা গ্রামটির জনসংখ্যার দশ গুণ।
কাপড়ের তৈরি এই আজব কাঠামোগুলো বানানোর মূল কারিগর তসুকিমি আয়ানো। এই শখের হস্তশিল্পী জীবনের বড় একটি সময় ওসাকা শহরে কাটানোর পর ২০০২ সালে ফিরে আসেন গ্রামে। এখন তাঁর তৈরি তিন শতাধিক কাকতাড়ুয়া বা মানুষের আকারের পুতুল আছে গ্রামটিতে। দেশের তো বটেই, বিদেশি পর্যটকদের কাছেও পরিচিতি পেয়েছে আয়ানোর বানানো কাঠামোগুলো।
‘পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ আমাদের এই ছোট্ট গ্রামে আসবে কখনো ভাবিনি।’ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের আদলে তাঁর কাকতাড়ুয়া তৈরির ওয়ার্কশপে সাংবাদিককে বলেছিলেন আয়ানো।
জাপানের শিকোকু দ্বীপের উপত্যকায় মোটামুটি বিচ্ছিন্ন এক গ্রাম নাগোরোতে পৌঁছানো মোটেই সহজ নয়। বাস পাওয়া যায় না নিয়মিত। নিকটতম রেলস্টেশন, তাও এক ঘণ্টার পথ। তবে এটা প্রতি বছর ৩ হাজার কিংবা এর বেশি পর্যটকের এই গ্রামে আসা ঠেকাতে পারিনি। এদের কেউ কেউ প্রতি বছরই একবার নিয়ম করে হাজির হন গ্রামটিতে।
স্বাভাবিক নিয়মেই সময় বদলেছে নাগোরোর। অন্য জাপানি গ্রামগুলোর মতোই বয়স্ক মানুষেরাই যেখানকার মূল বাসিন্দা। আয়ানোর শৈশবে তিন শতাধিক মানুষের বাস ছিল, এদের মধ্যে ছিল বাচ্চাকাচ্চাসহ অনেক পরিবার। বর্তমানে গ্রামটির জনসংখ্যা ২৯, এদের প্রায় সবার বয়স ৫০-এর বেশি। তরুণেরা পাড়ি জমিয়েছেন জাপানের বড় শহরগুলোতে উন্নত জীবনের আশায়।
গ্রামে ফিরে আসার পর আয়ানো আবিষ্কার করলেন, একসময়কার লোকজনে ভরা গ্রামটি এখন অনেকটাই জনশূন্য। আয়ানো প্রথম কাকতাড়ুয়াটি বানালেন নিজের বাবার মতো করে, আর কাকের থেকে ফসল রক্ষায় এটি ব্যবহার করা শুরু করলেন। এ সময়ই একটি বিষয় খেয়াল করলেন, প্রতিবেশীরা কাকতাড়ুয়াটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একে ‘হাই’ বলছে। তারপর একটির পর একটি আরও কাকতাড়ুয়া বানাতে লাগলেন, একপর্যায়ে গোটা গ্রাম ভরে গেল কাকতাড়ুয়ায়।
অবশ্য এই কাকতাড়ুয়াগুলো তিনি এমনি এমনি বানাননি। এগুলো তিনি তৈরি করেন গ্রামটির একসময়কার বাসিন্দাদের প্রতিকৃতি হিসেবে। এভাবে তাঁদের স্মরণ করার পাশাপাশি চেয়েছিলেন ক্রমে ক্ষয়প্রাপ্ত গ্রামটিতে কিছুটা হলেও চাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে।
প্রথম কয়েকটি কাকতাড়ুয়া অবশ্য জমিতে কাকসহ নানা ধরনের পাখি তাড়ানোর কাজে ব্যবহার করেন। তারপর এমন এক প্রতিবেশী নারীর আদলে একটি কাকতাড়ুয়া তৈরি করলেন। গ্রামে থাকার সময় তাঁর সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতেন। এটি বানানোর ইচ্ছা ছিল পুরোনো দিনের কথা স্মরণ করে এই কাকতাড়ুয়া বা পুতুলটির সঙ্গে নিজের মতো করে কথা বলা।
এভাবে আরও নতুন নতুন মানুষ মারা গেলে তাঁদের মতো করে এবং গ্রামটি থেকে একে একে শহরে পাড়ি জমানো মানুষদের আদলে তৈরি করতে লাগলেন একটির পর একটি কাকতাড়ুয়া। ‘এই কাকতাড়ুয়াগুলো বানানোর আগে এটি ছিল একটি সাধারণ গ্রাম। কেউ সেই অর্থে এর কথা ভাবত না।’ বলেছিলেন আয়ানো।
অবশ্য শুরুতে এই কাকতাড়ুয়াগুলোর কথা খুব বেশি মানুষ জানত না। তার পরই ফ্রিটজ শুমান নামের এক জার্মান চলচ্চিত্র নির্মাতা গ্রামটিতে আসেন। আয়ানোর কাকতাড়ুয়াদের নিয়ে ‘ভ্যালি অব ডলস’ নামের একটু শর্ট ডকুমেন্টারি বা তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন তিনি। আর এটাই শুধু জাপান নয়, গোটা পৃথিবীর নজরে নিয়ে এল তকুশিমার ছোট্ট এই গ্রামকে।
মজার ঘটনা, বেশির ভাগ পুতুল বা কাকতাড়ুয়া বাইরে খোলামেলা জায়গায় থাকে বলে এগুলোর মেয়াদ তিন বছর। তারপর আবার নতুন করে তৈরি করতে হয়।
গ্রামটি ভ্রমণে এলে একজন দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজের ভঙ্গিতে দেখবেন কাকতাড়ুয়াগুলোকে। মাথায় শক্ত টুপি পরা নির্মাণশ্রমিকেরা একটি সড়ক নির্দেশক স্থাপন করছে, গাছপালার মাঝখানে দাঁড়িয়ে উদ্দাম নদীর দিকে তাকিয়ে আছে একজোড়া নর-নারী। বুট পরিহিত এক জেলে পাশে মেয়েকে নিয়ে ঘরের রোয়াক বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন। এ ধরনের আরও কত দৃশ্য তৈরি হয়েছে, যেগুলো হঠাৎ দেখলে বাস্তব বলেই মনে হবে।
শেষ দুজন শিক্ষার্থী পাশ করে ফেলার পর গ্রামের একমাত্র বিদ্যালয়টি বছর কয়েক আগে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে একসময়কার পরিত্যক্ত ওই দালান এখন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কাল্পনিক চরিত্রের সমন্বয়ে একটি অঘোষিত জাদুঘর। একটি শ্রেণিকক্ষে এক ডজনের মতো ‘শিক্ষার্থী’ চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে শিক্ষকের দিকে। অবশ্য কাকতাড়ুয়া তৈরিতে এখন গ্রামের অন্যদেরও সাহায্য নেন আয়োনো।
এখন গ্রামটিতে হয় বার্ষিক কাকতাড়ুয়া উৎসব। প্রতি বছরের অক্টোবরের প্রথম রোববার হয় এটি। আয়ানোর বাড়িতেও যেতে পারবেন, সেখানে আয়ানোর মৃত মায়ের কাকতাড়ুয়া প্রতিমূর্তিকে দেখা যায় স্নেহমাখা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন মেয়ের দিকে।
চাইলে গ্রামটিতে কাকতাড়ুয়া বানানোর প্রশিক্ষণও নিতে পারবেন। প্রতি মাসের চতুর্থ বুধবার বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেওয়া হয় এই প্রশিক্ষণ। তবে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকে এই কর্মশালা। আয়ানো মাটির নানা ধরনের সুন্দর ভাস্কর্যও তৈরি করেন। এগুলোও দেখতে পাবেন গ্রামটিতে গেলে।
অতএব জাপান ভ্রমণে কাকতাড়ুয়াদের গ্রামে একটি বার ঘুরে আসতেই পারেন, কী বলেন? তকুশিমার মাউন্ট তসারাগি যাওয়ার পথে বিখ্যাত ডাবল ভাইন ব্রিজের রাস্তা ধরে গেলেই পৌঁছে যাবেন সেখানে। গ্রাম পর্যন্ত বাস যায় সপ্তাহে কেবল একবার। কাজেই একটা গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে যাওয়াই সুবিধাজনক।
সূত্র: সিএনএন, ম্যাড অর নোমাড ডট কম
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগেইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৫ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১২ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন এই মৃত্যুর ভয়াবহ অবহেলাটিকে সামনে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রিস্টিয়ান একটি রাইডিং মাওয়ার চালানোর সময় পড়ে যায় এবং তখনই তাকে একটি ব্রাউন স্নেক ছোবল দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ। কামড়ের পর ট্রিস্টিয়ানের বাবা কেরড ফ্রাহাম ও আরও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কামড়ের দাগ খুঁজলেও স্পষ্ট কিছু না পেয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন। কেরড মনে করেছিলেন, ছেলে হয়তো মদ্যপ ছিল, তাই অসুস্থ দেখাচ্ছে। পরে তিনি ছেলেকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে ভালো লাগবে।’
কিন্তু পরদিন সকালেই ট্রিস্টিয়ানকে বাড়ির বাইরে একটি স্লিপিং ব্যাগের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার ডান গোড়ালিতে দুটি চিহ্ন ছিল, যা সাপের কামড়ের সঙ্গে মিলে যায়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ব্রাউন স্নেকের বিষে তার দেহে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
করনারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি ট্রিস্টিয়ান সময়মতো চিকিৎসা পেত, তবে তার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হতো।’
এই ঘটনাটি সাপের কামড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এদিকে কেরড ফ্রাহামের বিরুদ্ধে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হলেও গত বছর সেই মামলা রহস্যজনকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল বেশ কিছু দিন আগে ঘটলেও সম্প্রতি প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন এই মৃত্যুর ভয়াবহ অবহেলাটিকে সামনে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রিস্টিয়ান একটি রাইডিং মাওয়ার চালানোর সময় পড়ে যায় এবং তখনই তাকে একটি ব্রাউন স্নেক ছোবল দেয়। এটি বিশ্বের অন্যতম মারাত্মক বিষধর সাপ। কামড়ের পর ট্রিস্টিয়ানের বাবা কেরড ফ্রাহাম ও আরও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কামড়ের দাগ খুঁজলেও স্পষ্ট কিছু না পেয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেন। কেরড মনে করেছিলেন, ছেলে হয়তো মদ্যপ ছিল, তাই অসুস্থ দেখাচ্ছে। পরে তিনি ছেলেকে বলেন, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে ভালো লাগবে।’
কিন্তু পরদিন সকালেই ট্রিস্টিয়ানকে বাড়ির বাইরে একটি স্লিপিং ব্যাগের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার ডান গোড়ালিতে দুটি চিহ্ন ছিল, যা সাপের কামড়ের সঙ্গে মিলে যায়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ব্রাউন স্নেকের বিষে তার দেহে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
করনারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি ট্রিস্টিয়ান সময়মতো চিকিৎসা পেত, তবে তার মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হতো।’
এই ঘটনাটি সাপের কামড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এদিকে কেরড ফ্রাহামের বিরুদ্ধে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হলেও গত বছর সেই মামলা রহস্যজনকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
গাড়ি নিয়ে জাপানের ছোট্ট গ্রামটির মাঝের আঁকাবাঁকা পথ ধরে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে বয়স্ক ব্যক্তিরা বাগানের পরিচর্যা করছেন, বাসস্টপে শান্তভাবে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় আছে কোনো পরিবারের সদস্যরা। সবকিছু স্বাভাবিকই মনে হবে। তার পরই আপনার হয়তো খেয়াল হবে এসব ‘মানুষ’ আসলে মানুষ নন। এরা আসলে মানবাকৃতির কাকতাড়ুয়া। আরও মজ
০২ এপ্রিল ২০২৩ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৫ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১২ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে বিশ্বাসী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর ওই ব্যক্তি গত সেপ্টেম্বরে একটি বোর্ডিং হাউসে স্ত্রীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করলেও পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য গ্রামের প্রবীণদের কাছে যান। প্রবীণেরা ‘মোওয়া সারাপু’ নামে একটি ঐতিহ্যবাহী মিলন-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিরোধ মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
‘মোওয়া সারাপু’ রীতিটি তোলাকি সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা, যার অর্থ ‘ছাড় দেওয়া ও শান্তি স্থাপন করা’। এই রীতির লক্ষ্য প্রতিশোধ নয়, বরং সামাজিক ভারসাম্য ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ, উভয় পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। সবার সামনেই ওই নারীর প্রেমিক তাঁর স্বামীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কাপড়, একটি তামার পাত্র এবং ৫০ লাখ রুপিয়া (প্রায় ৩৬ হাজার টাকা) দেন।
গ্রামপ্রধান সফরুদ্দিন জানান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই দম্পতির বিবাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়। পরে নারীটির স্বামী ও প্রেমিক পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এভাবে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে সমর্পণ করেন স্বামীটি।
তোলাকি প্রবীণদের মতে, এই রীতি কোনো সম্পর্ককে ছোট করার জন্য নয়, বরং নৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এমন প্রথা পালন করা হয়। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেন—কোনো নারী যদি এমন রীতি মেনে আবারও অন্য পুরুষকে বেছে নেয়, তবে তা তাঁর ও পরিবারের জন্য লজ্জার কারণ হবে।
ইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে বিশ্বাসী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর ওই ব্যক্তি গত সেপ্টেম্বরে একটি বোর্ডিং হাউসে স্ত্রীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন। এরপর তিনি পুলিশে অভিযোগ করলেও পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য গ্রামের প্রবীণদের কাছে যান। প্রবীণেরা ‘মোওয়া সারাপু’ নামে একটি ঐতিহ্যবাহী মিলন-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিরোধ মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
‘মোওয়া সারাপু’ রীতিটি তোলাকি সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা, যার অর্থ ‘ছাড় দেওয়া ও শান্তি স্থাপন করা’। এই রীতির লক্ষ্য প্রতিশোধ নয়, বরং সামাজিক ভারসাম্য ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ, উভয় পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। সবার সামনেই ওই নারীর প্রেমিক তাঁর স্বামীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কাপড়, একটি তামার পাত্র এবং ৫০ লাখ রুপিয়া (প্রায় ৩৬ হাজার টাকা) দেন।
গ্রামপ্রধান সফরুদ্দিন জানান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই দম্পতির বিবাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়। পরে নারীটির স্বামী ও প্রেমিক পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এভাবে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে সমর্পণ করেন স্বামীটি।
তোলাকি প্রবীণদের মতে, এই রীতি কোনো সম্পর্ককে ছোট করার জন্য নয়, বরং নৈতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এমন প্রথা পালন করা হয়। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেন—কোনো নারী যদি এমন রীতি মেনে আবারও অন্য পুরুষকে বেছে নেয়, তবে তা তাঁর ও পরিবারের জন্য লজ্জার কারণ হবে।
গাড়ি নিয়ে জাপানের ছোট্ট গ্রামটির মাঝের আঁকাবাঁকা পথ ধরে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে বয়স্ক ব্যক্তিরা বাগানের পরিচর্যা করছেন, বাসস্টপে শান্তভাবে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় আছে কোনো পরিবারের সদস্যরা। সবকিছু স্বাভাবিকই মনে হবে। তার পরই আপনার হয়তো খেয়াল হবে এসব ‘মানুষ’ আসলে মানুষ নন। এরা আসলে মানবাকৃতির কাকতাড়ুয়া। আরও মজ
০২ এপ্রিল ২০২৩হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগেবিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১২ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার বাবা, দাদা এবং কখনো কখনো গোত্রের নাম পর্যন্ত অনুসরণ করে। পশ্চিমা দেশগুলোতেও এমন দীর্ঘ নামের ঐতিহ্য রয়েছে।
যেমন প্রখ্যাত শিল্পীর পুরো নাম পাবলো দিয়েগো হোসে ফ্রান্সিসকো দে পাওলা হুয়ান নেপোমুসেনো মারিয়া দে লোস রেমেদিওস সিপ্রিয়ানো দে লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ রুইজ ওয়াই পিকাসো! তবে পিকাসোর নামের এই আশ্চর্য দৈর্ঘ্যও নিউজিল্যান্ডের লরেন্স ওয়াটকিন্সের নামের কাছে নস্যি। লরেন্স ওয়াটকিন্স বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম নামের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ধারণ করে আছেন।
২,২৫৩ শব্দের নাম
১৯৯০ সালের মার্চে, নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী লরেন্স তাঁর নামের সঙ্গে ২ হাজারটির বেশি মধ্যনাম যুক্ত করার জন্য আইনগতভাবে নিজের নাম পরিবর্তন করেন। তাঁর পুরো নামে বর্তমানে মোট ২ হাজার ২৫৩টি অনন্য শব্দ রয়েছে। এই নাম তাঁকে দীর্ঘতম ব্যক্তিগত নামের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব এনে দিয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর এই অস্বাভাবিক ইচ্ছার কারণ ব্যাখ্যা করেন: ‘আমি সব সময় অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক রেকর্ডগুলোর প্রতি মুগ্ধ ছিলাম। আমি সত্যিই সেই দৃশ্যের অংশ হতে চেয়েছিলাম। আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইটি আগাগোড়া পড়ি এবং দেখি এমন কোনো রেকর্ড আছে কি না যা ভাঙতে পারি। আমার মনে হয়েছিল, বর্তমান রেকর্ডধারীর চেয়ে বেশি নাম যোগ করার রেকর্ডটিই কেবল আমার পক্ষে ভাঙা সম্ভব।’
লরেন্সের নাম পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়াটি ছিল দীর্ঘ এবং কঠিন। সেই সময়ে কম্পিউটারের সীমিত ব্যবহারের কারণে পুরো নামের তালিকা টাইপ করতে তাঁকে কয়েক শ ডলার খরচ করতে হয়েছিল। প্রথমে জেলা আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলেও রেজিস্ট্রার জেনারেল তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তিনি দমে যাননি। নিউজিল্যান্ডের হাইকোর্টে আপিল করেন এবং আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়।
তবে এই ঘটনার পরপরই আইন প্রণেতারা দ্রুত দুটি আইন পরিবর্তন করেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এত সংখ্যক মধ্যনাম যোগ করতে না পারে। শুরুতে এই রেকর্ড ২ হাজার ৩১০টি নাম হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও গিনেসের হালনাগাদকৃত নির্দেশিকা অনুসারে তা পরে ২ হাজার ২৫৩টি নামে সংশোধন করা হয়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, লরেন্স সেই সময় সিটি লাইব্রেরিতে কাজ করতেন এবং লাইব্রেরির বই থেকে নাম সংগ্রহ করতেন বা সহকর্মীদের কাছ থেকে সুপারিশ নিতেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় নাম হলো— AZ 2000, যার অর্থ হলো আমার নামের আদ্যক্ষর A থেকে Z পর্যন্ত আছে এবং আমার মোট ২ হাজারটি নাম আছে।’
তবে এর জন্য মাঝেমধ্যে লরেন্সকে বেশ ভোগান্তিও পোহাতে হয়। মানুষ সহজে বিশ্বাস করতে চায় না। প্রধান সমস্যা হয় সরকারি দপ্তরগুলোতে গেলে। কারণ, সরকারি কোনো পরিচয়পত্রে তাঁর পুরো নাম ধরানো সম্ভব হয় না!
বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার বাবা, দাদা এবং কখনো কখনো গোত্রের নাম পর্যন্ত অনুসরণ করে। পশ্চিমা দেশগুলোতেও এমন দীর্ঘ নামের ঐতিহ্য রয়েছে।
যেমন প্রখ্যাত শিল্পীর পুরো নাম পাবলো দিয়েগো হোসে ফ্রান্সিসকো দে পাওলা হুয়ান নেপোমুসেনো মারিয়া দে লোস রেমেদিওস সিপ্রিয়ানো দে লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ রুইজ ওয়াই পিকাসো! তবে পিকাসোর নামের এই আশ্চর্য দৈর্ঘ্যও নিউজিল্যান্ডের লরেন্স ওয়াটকিন্সের নামের কাছে নস্যি। লরেন্স ওয়াটকিন্স বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম নামের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ধারণ করে আছেন।
২,২৫৩ শব্দের নাম
১৯৯০ সালের মার্চে, নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী লরেন্স তাঁর নামের সঙ্গে ২ হাজারটির বেশি মধ্যনাম যুক্ত করার জন্য আইনগতভাবে নিজের নাম পরিবর্তন করেন। তাঁর পুরো নামে বর্তমানে মোট ২ হাজার ২৫৩টি অনন্য শব্দ রয়েছে। এই নাম তাঁকে দীর্ঘতম ব্যক্তিগত নামের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব এনে দিয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর এই অস্বাভাবিক ইচ্ছার কারণ ব্যাখ্যা করেন: ‘আমি সব সময় অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক রেকর্ডগুলোর প্রতি মুগ্ধ ছিলাম। আমি সত্যিই সেই দৃশ্যের অংশ হতে চেয়েছিলাম। আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইটি আগাগোড়া পড়ি এবং দেখি এমন কোনো রেকর্ড আছে কি না যা ভাঙতে পারি। আমার মনে হয়েছিল, বর্তমান রেকর্ডধারীর চেয়ে বেশি নাম যোগ করার রেকর্ডটিই কেবল আমার পক্ষে ভাঙা সম্ভব।’
লরেন্সের নাম পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়াটি ছিল দীর্ঘ এবং কঠিন। সেই সময়ে কম্পিউটারের সীমিত ব্যবহারের কারণে পুরো নামের তালিকা টাইপ করতে তাঁকে কয়েক শ ডলার খরচ করতে হয়েছিল। প্রথমে জেলা আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলেও রেজিস্ট্রার জেনারেল তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তিনি দমে যাননি। নিউজিল্যান্ডের হাইকোর্টে আপিল করেন এবং আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়।
তবে এই ঘটনার পরপরই আইন প্রণেতারা দ্রুত দুটি আইন পরিবর্তন করেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এত সংখ্যক মধ্যনাম যোগ করতে না পারে। শুরুতে এই রেকর্ড ২ হাজার ৩১০টি নাম হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও গিনেসের হালনাগাদকৃত নির্দেশিকা অনুসারে তা পরে ২ হাজার ২৫৩টি নামে সংশোধন করা হয়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, লরেন্স সেই সময় সিটি লাইব্রেরিতে কাজ করতেন এবং লাইব্রেরির বই থেকে নাম সংগ্রহ করতেন বা সহকর্মীদের কাছ থেকে সুপারিশ নিতেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় নাম হলো— AZ 2000, যার অর্থ হলো আমার নামের আদ্যক্ষর A থেকে Z পর্যন্ত আছে এবং আমার মোট ২ হাজারটি নাম আছে।’
তবে এর জন্য মাঝেমধ্যে লরেন্সকে বেশ ভোগান্তিও পোহাতে হয়। মানুষ সহজে বিশ্বাস করতে চায় না। প্রধান সমস্যা হয় সরকারি দপ্তরগুলোতে গেলে। কারণ, সরকারি কোনো পরিচয়পত্রে তাঁর পুরো নাম ধরানো সম্ভব হয় না!
গাড়ি নিয়ে জাপানের ছোট্ট গ্রামটির মাঝের আঁকাবাঁকা পথ ধরে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে বয়স্ক ব্যক্তিরা বাগানের পরিচর্যা করছেন, বাসস্টপে শান্তভাবে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় আছে কোনো পরিবারের সদস্যরা। সবকিছু স্বাভাবিকই মনে হবে। তার পরই আপনার হয়তো খেয়াল হবে এসব ‘মানুষ’ আসলে মানুষ নন। এরা আসলে মানবাকৃতির কাকতাড়ুয়া। আরও মজ
০২ এপ্রিল ২০২৩হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগেইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৫ দিন আগেউত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
উত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে নাচছেন।
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘আমাদের পরিচালক বয়স্কদের ওষুধ খাওয়াতে যা যা করা দরকার, সবই করছেন।’ ভিডিওতে ওই নারীকে প্রাণবন্তভাবে নাচতে দেখা যায়। হাঁটু পর্যন্ত কালো মোজা পরিহিত অবস্থায় কোমর দোলাতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর নীল ইউনিফর্ম পরা অন্য এক কর্মী এক প্রবীণ পুরুষের কাছে গিয়ে তাঁকে ওষুধ খাওয়ান।
নার্সিং হোমটির অনলাইন প্রোফাইল অনুযায়ী, এটি নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া এক পরিচালকের উদ্যোগে পরিচালিত আনন্দমুখর অবসর নিবাস, যারা প্রবীণদের সুখী রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রোফাইলে আরও লেখা আছে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, বার্ধক্যের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।’
ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, ‘এখন কি প্রবীণ যত্ন খাতে ইঙ্গিতপূর্ণ নাচও ঢুকে পড়েছে?’ জবাবে নার্সিং হোমের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট লিখেছে, ‘সবকিছুই ইঙ্গিতপূর্ণ নাচের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।’
গত ২৫ সেপ্টেম্বর নানগুও মেট্রোপলিস ডেইলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নার্সিং হোমের পরিচালক জানান, ভিডিওতে থাকা নারী আসলে প্রবীণ যত্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী। তিনি স্বীকার করেন যে ভিডিওটি ‘অনুপযুক্ত’ ছিল, তবে ভবিষ্যতে ওই সিনিয়র কর্মীকে আরও সতর্ক হতে বলা হবে। পরিচালক আরও বলেন, ‘যদিও ওই নারী মাঝেমধ্যে প্রচারণামূলক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি কোনো পেশাদার নৃত্যশিল্পী নন। সাধারণত এই হোমে বিনোদনের জন্য তাস খেলা ও গান গাওয়ার মতো প্রচলিত আয়োজন করা হয়।’
অন্য এক কর্মী পরে জানান, ওই নাচের ভিডিওগুলোর উদ্দেশ্য ছিল চীনের নার্সিং হোমগুলোকে নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করা। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম যে নার্সিং হোম কোনো নিস্তেজ জায়গা নয়। এখানেও প্রাণবন্ততা আছে, প্রবীণেরাও প্রাণবন্ত হতে পারেন। তবে এখন বুঝতে পারছি, এই পদ্ধতির ভালো-মন্দ দুটোই আছে।’
জনরোষ বাড়তে থাকায় নার্সিং হোমটির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পরে শতাধিক এই সম্পর্কিত ভিডিও মুছে ফেলা হয়। আনইয়াং সিভিল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর প্রবীণ সেবা বিভাগ জানিয়েছে, ঘটনাটির বিস্তারিত তদন্ত করা হবে এবং ফলাফল জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটির প্রবীণ জনগোষ্ঠী দ্রুত বাড়ছে। ২০২৪ সালের শেষে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১ কোটি, যা মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ।
তথ্যসূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
উত্তর চীনের হেনান প্রদেশের আনইয়াং শহরের একটি নার্সিং হোম সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মূলত তাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, নার্সিং হোমটির এক নারী কর্মকর্তা মিনি স্কার্ট ও স্কুল ইউনিফর্মের মতো পোশাক পরে বয়স্ক রোগীদের সামনে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে নাচছেন।
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘আমাদের পরিচালক বয়স্কদের ওষুধ খাওয়াতে যা যা করা দরকার, সবই করছেন।’ ভিডিওতে ওই নারীকে প্রাণবন্তভাবে নাচতে দেখা যায়। হাঁটু পর্যন্ত কালো মোজা পরিহিত অবস্থায় কোমর দোলাতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর নীল ইউনিফর্ম পরা অন্য এক কর্মী এক প্রবীণ পুরুষের কাছে গিয়ে তাঁকে ওষুধ খাওয়ান।
নার্সিং হোমটির অনলাইন প্রোফাইল অনুযায়ী, এটি নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া এক পরিচালকের উদ্যোগে পরিচালিত আনন্দমুখর অবসর নিবাস, যারা প্রবীণদের সুখী রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রোফাইলে আরও লেখা আছে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, বার্ধক্যের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।’
ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, ‘এখন কি প্রবীণ যত্ন খাতে ইঙ্গিতপূর্ণ নাচও ঢুকে পড়েছে?’ জবাবে নার্সিং হোমের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট লিখেছে, ‘সবকিছুই ইঙ্গিতপূর্ণ নাচের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।’
গত ২৫ সেপ্টেম্বর নানগুও মেট্রোপলিস ডেইলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নার্সিং হোমের পরিচালক জানান, ভিডিওতে থাকা নারী আসলে প্রবীণ যত্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী। তিনি স্বীকার করেন যে ভিডিওটি ‘অনুপযুক্ত’ ছিল, তবে ভবিষ্যতে ওই সিনিয়র কর্মীকে আরও সতর্ক হতে বলা হবে। পরিচালক আরও বলেন, ‘যদিও ওই নারী মাঝেমধ্যে প্রচারণামূলক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি কোনো পেশাদার নৃত্যশিল্পী নন। সাধারণত এই হোমে বিনোদনের জন্য তাস খেলা ও গান গাওয়ার মতো প্রচলিত আয়োজন করা হয়।’
অন্য এক কর্মী পরে জানান, ওই নাচের ভিডিওগুলোর উদ্দেশ্য ছিল চীনের নার্সিং হোমগুলোকে নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করা। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম যে নার্সিং হোম কোনো নিস্তেজ জায়গা নয়। এখানেও প্রাণবন্ততা আছে, প্রবীণেরাও প্রাণবন্ত হতে পারেন। তবে এখন বুঝতে পারছি, এই পদ্ধতির ভালো-মন্দ দুটোই আছে।’
জনরোষ বাড়তে থাকায় নার্সিং হোমটির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পরে শতাধিক এই সম্পর্কিত ভিডিও মুছে ফেলা হয়। আনইয়াং সিভিল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর প্রবীণ সেবা বিভাগ জানিয়েছে, ঘটনাটির বিস্তারিত তদন্ত করা হবে এবং ফলাফল জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটির প্রবীণ জনগোষ্ঠী দ্রুত বাড়ছে। ২০২৪ সালের শেষে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১ কোটি, যা মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ।
তথ্যসূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
গাড়ি নিয়ে জাপানের ছোট্ট গ্রামটির মাঝের আঁকাবাঁকা পথ ধরে যাওয়ার সময় চোখে পড়বে বয়স্ক ব্যক্তিরা বাগানের পরিচর্যা করছেন, বাসস্টপে শান্তভাবে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় আছে কোনো পরিবারের সদস্যরা। সবকিছু স্বাভাবিকই মনে হবে। তার পরই আপনার হয়তো খেয়াল হবে এসব ‘মানুষ’ আসলে মানুষ নন। এরা আসলে মানবাকৃতির কাকতাড়ুয়া। আরও মজ
০২ এপ্রিল ২০২৩হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মারগন শহরে। ১১ বছর বয়সী ট্রিস্টিয়ান জেমস ফ্রাহাম সাপের কামড়ে মারা গেছে। কারণ তার বাবা চিকিৎসা না দিয়ে তাকে একটু ঘুমিয়ে নিতে বলেছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগেইন্দোনেশিয়ায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পরকীয়ায় ধরার পর অনন্য এক উপায়ে সম্পর্কের ইতি টানলেন। স্ত্রীকে তিনি প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে নিলেন একটি গরু, ঐতিহ্যবাহী কিছু পণ্য এবং নগদ অর্থ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশে, যেখানে তোলাকি নামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীন সামাজিক রীতিনীতিতে...
৫ দিন আগেবিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের দীর্ঘ নামের একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। এই দীর্ঘ নামের মধ্য দিয়ে প্রায় সময় ঐতিহ্য ও সামাজিক কাঠামো প্রতিফলিত হয়। দক্ষিণ ভারতে সাধারণত নামের সঙ্গে গ্রামের নাম, বাবার নাম এবং প্রদত্ত নাম যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আরব বিশ্বে বংশগতি ও ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে একজনের নাম তার...
১২ দিন আগে