অনলাইন ডেস্ক
উত্তর সুইডিশ শহর লুলেয়োয়, গোসল করতে আসা মানুষেরা হিমায়িত সমুদ্রের জলের মাঝখানের একটি গর্তে নিজেদের নামিয়ে নিচ্ছে। সূর্য ইতিমধ্যেই অদৃশ্য হয়ে গেছে, এদিকে ঘড়ি বলছে কেবল বেলা ২টা বাজে। এক মাসের মধ্যে, দিনের আলো থাকার সময়কাল দিনে মোটে তিন ঘণ্টায় নেমে আসবে। এই যখন পরিস্থিতি লুলেয়োর বাসিন্দারা নতুন একটি প্রচারাভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন, যেখানে অন্ধকার শীতের মাসগুলিতে একে অপরকে হ্যালো বলতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে।
‘এটা পরে একটু সুখ পাওয়ার মতো’ বলেন গোসল করতে আসা ৪৪ বছর বয়স্ক কাতারিনা উলিপেততোলা। কাজ শুরুর আগে শরীরটা তাজা করে নিচ্ছেন। তিনি গ্রীষ্মে খুব কমই সাঁতার কাটেন, তবে কয়েক বছর ধরে শীতকালে এটি ঘন ঘন করতে শুরু করেন।
যদি এই অন্ধকার শীতের মাসগুলি কাটাতে প্রত্যেকের নিজস্ব শখগুলো সাহায্য করে। যেমন আইস সুইমিং, স্কিইং, দ্বীপপুঞ্জের ‘বরফের রাস্তায়’ হাঁটা। তারপরও একটি সমস্যা থেকে যায়, একাকিত্ব। এটি মোকাবিলায় লুলেয়ো শহর কর্তৃপক্ষ সামাজিক বিচ্ছিন্নতা কাটাতে একটি প্রচারণা শুরু করেছে, সেটি হলো মানুষ একে অপরকে ‘হ্যালো’ বলতে উৎসাহিত করা।
‘এটি সত্যিই চমৎকার একটি বিষয় যে লোকেরা একে অপরকে হাই বলে। এর মানে হলো যে লোকেরা একে অপরকে না চেনার পরও দেখা হলে খুশি হয়।’ বলেন উইন্টার বাথিং গ্রুপ ক্যালিস লুলেয়োর প্রধান ৬১ বছর বয়স্ক পনতেস উইকস্ত্রো।
সাগ হেজ! (হ্যালো বলুন!) নামের এই প্রচারাভিযানের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের ছোট ছোট বিষয়গুলোর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ বাড়িয়ে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ শহর গড়ে তোলাই এর লক্ষ্য। বাস, স্কুলসহ বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে লুলেয়োর ১৬-২৯ বছর বয়স্কদের ৪৫ শতাংশই একাকিত্বের কারণে নানা সমস্যায় ভুগছেন। তবে ৮৫ বছর কিংবা এর বেশি বয়স্কদের বেলায় সমস্যাটা কম।
স্টকহোম স্কুল অব ইকোনমিকসের অধ্যাপক মিকাইল ডাউন বলেন, একাকিত্ব, বিশেষ করে কম বয়স্কদের মধ্যে গোটা বিশ্বজুড়েই একটি সমস্যা। তবে সুইডেনের অন্ধকার, শীতল মাসগুলোতে এটা বড় একটি চিন্তার বিষয়।
লুলেয়ো পৌরসভায় কাজ করা আস কস্কির মাথায় প্রথম আসে আশ্চর্য এ প্রচারণার চিন্তা। ‘আমরা চাই না যে লুয়েলো শুধু একটি শহর হিসেবে বেড়ে উঠুক। আমরা চাই এটি একটি মনোরম, নিরাপদ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ শহর হোক। একই সঙ্গে যেখানে সংস্কৃতি চর্চা, অবসর কাটানোর নানা কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলার মতো বিষয়গুলোর চল থাকবে।’ বলেন কস্কি।
লুলেয়ো শহরের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে দেখা যায়, বেশির ভাগই একমত যে হ্যালো বলাকে উৎসাহিত করা উচিত। অনেকে বলেন শহরটি যত বেশি আন্তর্জাতিক হয়ে উঠবে, এটি তত বন্ধুত্বপূর্ণ হবে।
২৩ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে লুলেয়োতে আসা এবং বর্তমানে ষাটোর্ধ্ব মি ইয়ং ইম বলেন, শহরের বাসিন্দারা ‘অনেকটাই বন্ধুত্বপূর্ণ’ হলেও প্রথম দেখাতেই সাধারণত অন্য একজনকে আপন করে নেন না। ‘সবাই কিছুটা চাপা স্বভাবের। তবে আপনি বললে তাঁরা আপনাকে সাহায্য করবে।’ বলেন তিনি।
লুলেয়োতে প্রথম এসে এই নারী কিছুটা ধাক্কাই খান। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে কেউ কারও সঙ্গে দেখা হলে ‘হাই’ বলার সঙ্গে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি। ‘কিন্তু এখানে, বিশেষ করে বয়স্কদের বেলায়, হাই বলার পর প্রথমে তাঁরা শুধু আমার দিকে তাকিয়ে থাকতেন। তবে এটা অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। কারণ বাইরে থেকে আসা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।’ বলেন মি ইয়াং কিম।
করোনা মহামারি যখন চূড়ায় তখন সাংবাদিক এবং লেখিকা লিসা বিওডলস এক লেখায় জানান, নিজেদের মধ্যে দূরত্ব রাখার বিষয়গুলো সুইডিশদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন অংশে দীর্ঘকাল ধরে প্রয়োগ করে আসছেন। সুপারমার্কেট থেকে শুরু করে বাস স্টপে অপেক্ষা করা, এমনকি বৃষ্টির সময়ও এর ব্যতিক্রম চোখে পড়ে না।
পাশের কাল্লাক্স গ্রামে বসবাসকারী ২৫ বছর বয়সী ছাত্র সৈয়দ মোহসেন হাশেমির মতে, পরিস্থিতি এখন আরও খারাপ। ‘করোনার আগে এটি ৫০-৫০ ছিল, কিছু লোক একে অপরকে হাই বলতেন। কিন্তু কোভিডের পরে লোকেরা অপরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আরও ভয় পান।’ বলেন তিনি।
‘তাঁরা কাউকে চেনার জন্য দীর্ঘ সময় নেন। তারপরে সেই ব্যক্তির সঙ্গে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ হন।’ সুইডিশদের ব্যাপারে এই হলো হাশেমির মতো।
৩৩ বছর বয়স্ক চিত্রকর রনিয়া মেলিন ২০২০ সালে দক্ষিণ সুইডেনের স্কোনে শহর থেকে এখানে আসেন। তিনি জানান ছোটবেলা থেকেই হাই বলা পছন্দ করেন তিনি।
প্রচারণাটা যে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ তাতে সন্দেহ নেই তাঁর। ‘আপনি আপনার নিজের গণ্ডিতে অনেক বেশি বাস করেন, ’ বলেন তিনি, ‘কিন্তু মানুষকে লক্ষ্য করা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ।’
উত্তর সুইডিশ শহর লুলেয়োয়, গোসল করতে আসা মানুষেরা হিমায়িত সমুদ্রের জলের মাঝখানের একটি গর্তে নিজেদের নামিয়ে নিচ্ছে। সূর্য ইতিমধ্যেই অদৃশ্য হয়ে গেছে, এদিকে ঘড়ি বলছে কেবল বেলা ২টা বাজে। এক মাসের মধ্যে, দিনের আলো থাকার সময়কাল দিনে মোটে তিন ঘণ্টায় নেমে আসবে। এই যখন পরিস্থিতি লুলেয়োর বাসিন্দারা নতুন একটি প্রচারাভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন, যেখানে অন্ধকার শীতের মাসগুলিতে একে অপরকে হ্যালো বলতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে।
‘এটা পরে একটু সুখ পাওয়ার মতো’ বলেন গোসল করতে আসা ৪৪ বছর বয়স্ক কাতারিনা উলিপেততোলা। কাজ শুরুর আগে শরীরটা তাজা করে নিচ্ছেন। তিনি গ্রীষ্মে খুব কমই সাঁতার কাটেন, তবে কয়েক বছর ধরে শীতকালে এটি ঘন ঘন করতে শুরু করেন।
যদি এই অন্ধকার শীতের মাসগুলি কাটাতে প্রত্যেকের নিজস্ব শখগুলো সাহায্য করে। যেমন আইস সুইমিং, স্কিইং, দ্বীপপুঞ্জের ‘বরফের রাস্তায়’ হাঁটা। তারপরও একটি সমস্যা থেকে যায়, একাকিত্ব। এটি মোকাবিলায় লুলেয়ো শহর কর্তৃপক্ষ সামাজিক বিচ্ছিন্নতা কাটাতে একটি প্রচারণা শুরু করেছে, সেটি হলো মানুষ একে অপরকে ‘হ্যালো’ বলতে উৎসাহিত করা।
‘এটি সত্যিই চমৎকার একটি বিষয় যে লোকেরা একে অপরকে হাই বলে। এর মানে হলো যে লোকেরা একে অপরকে না চেনার পরও দেখা হলে খুশি হয়।’ বলেন উইন্টার বাথিং গ্রুপ ক্যালিস লুলেয়োর প্রধান ৬১ বছর বয়স্ক পনতেস উইকস্ত্রো।
সাগ হেজ! (হ্যালো বলুন!) নামের এই প্রচারাভিযানের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের ছোট ছোট বিষয়গুলোর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ বাড়িয়ে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ শহর গড়ে তোলাই এর লক্ষ্য। বাস, স্কুলসহ বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে লুলেয়োর ১৬-২৯ বছর বয়স্কদের ৪৫ শতাংশই একাকিত্বের কারণে নানা সমস্যায় ভুগছেন। তবে ৮৫ বছর কিংবা এর বেশি বয়স্কদের বেলায় সমস্যাটা কম।
স্টকহোম স্কুল অব ইকোনমিকসের অধ্যাপক মিকাইল ডাউন বলেন, একাকিত্ব, বিশেষ করে কম বয়স্কদের মধ্যে গোটা বিশ্বজুড়েই একটি সমস্যা। তবে সুইডেনের অন্ধকার, শীতল মাসগুলোতে এটা বড় একটি চিন্তার বিষয়।
লুলেয়ো পৌরসভায় কাজ করা আস কস্কির মাথায় প্রথম আসে আশ্চর্য এ প্রচারণার চিন্তা। ‘আমরা চাই না যে লুয়েলো শুধু একটি শহর হিসেবে বেড়ে উঠুক। আমরা চাই এটি একটি মনোরম, নিরাপদ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ শহর হোক। একই সঙ্গে যেখানে সংস্কৃতি চর্চা, অবসর কাটানোর নানা কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলার মতো বিষয়গুলোর চল থাকবে।’ বলেন কস্কি।
লুলেয়ো শহরের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে দেখা যায়, বেশির ভাগই একমত যে হ্যালো বলাকে উৎসাহিত করা উচিত। অনেকে বলেন শহরটি যত বেশি আন্তর্জাতিক হয়ে উঠবে, এটি তত বন্ধুত্বপূর্ণ হবে।
২৩ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে লুলেয়োতে আসা এবং বর্তমানে ষাটোর্ধ্ব মি ইয়ং ইম বলেন, শহরের বাসিন্দারা ‘অনেকটাই বন্ধুত্বপূর্ণ’ হলেও প্রথম দেখাতেই সাধারণত অন্য একজনকে আপন করে নেন না। ‘সবাই কিছুটা চাপা স্বভাবের। তবে আপনি বললে তাঁরা আপনাকে সাহায্য করবে।’ বলেন তিনি।
লুলেয়োতে প্রথম এসে এই নারী কিছুটা ধাক্কাই খান। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে কেউ কারও সঙ্গে দেখা হলে ‘হাই’ বলার সঙ্গে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি। ‘কিন্তু এখানে, বিশেষ করে বয়স্কদের বেলায়, হাই বলার পর প্রথমে তাঁরা শুধু আমার দিকে তাকিয়ে থাকতেন। তবে এটা অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। কারণ বাইরে থেকে আসা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।’ বলেন মি ইয়াং কিম।
করোনা মহামারি যখন চূড়ায় তখন সাংবাদিক এবং লেখিকা লিসা বিওডলস এক লেখায় জানান, নিজেদের মধ্যে দূরত্ব রাখার বিষয়গুলো সুইডিশদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন অংশে দীর্ঘকাল ধরে প্রয়োগ করে আসছেন। সুপারমার্কেট থেকে শুরু করে বাস স্টপে অপেক্ষা করা, এমনকি বৃষ্টির সময়ও এর ব্যতিক্রম চোখে পড়ে না।
পাশের কাল্লাক্স গ্রামে বসবাসকারী ২৫ বছর বয়সী ছাত্র সৈয়দ মোহসেন হাশেমির মতে, পরিস্থিতি এখন আরও খারাপ। ‘করোনার আগে এটি ৫০-৫০ ছিল, কিছু লোক একে অপরকে হাই বলতেন। কিন্তু কোভিডের পরে লোকেরা অপরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আরও ভয় পান।’ বলেন তিনি।
‘তাঁরা কাউকে চেনার জন্য দীর্ঘ সময় নেন। তারপরে সেই ব্যক্তির সঙ্গে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ হন।’ সুইডিশদের ব্যাপারে এই হলো হাশেমির মতো।
৩৩ বছর বয়স্ক চিত্রকর রনিয়া মেলিন ২০২০ সালে দক্ষিণ সুইডেনের স্কোনে শহর থেকে এখানে আসেন। তিনি জানান ছোটবেলা থেকেই হাই বলা পছন্দ করেন তিনি।
প্রচারণাটা যে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ তাতে সন্দেহ নেই তাঁর। ‘আপনি আপনার নিজের গণ্ডিতে অনেক বেশি বাস করেন, ’ বলেন তিনি, ‘কিন্তু মানুষকে লক্ষ্য করা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ।’
জার্মানির একজন অ্যারোস্পেস প্রকৌশলী টানা ১২০ দিন পানির নিচে কাটিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। পানামার উপকূলে একটি ডুবো ক্যাপসুলের ভেতরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১ মিটার নিচে ছিলেন তিনি। এই সময় কৃত্রিমভাবে চাপ কমানোর কোনো কৌশলও ব্যবহার করেননি তিনি।
৬ দিন আগেঅস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি গ্রিনহাউস। বাইরে দাঁড়িয়ে শতাধিক মানুষ। এই মানুষগুলো দাঁড়িয়ে আছেন মূলত এমন একটি বিরল ও বিপন্ন উদ্ভিদের ফুলের ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য। এই গন্ধ অনেকটাই পচা মাংসের মতো বা ঘামে স্যাঁতসেঁতে মোজা কিংবা পচা আবর্জনার মতোও মনে হয়...
৭ দিন আগেওনলিফ্যানস মডেল বনি ব্লু’র চাঞ্চল্যকর দাবি ইন্টারনেটে আলোচনার ঝড় তুলেছে। ২৫ বছর বয়সী এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর জানিয়েছেন, তিনি ১২ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৭ জন পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
১৬ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে বসবাসকারী এক নারী সম্প্রতি ৫০ হাজার ডলারের একটি লটারি জিতেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থ ৬০ লাখ টাকার বেশি। মজার বিষয় হলো, যে সংখ্যা ব্যবহার করে এই লটারি বিজয়, সেই সংখ্যা স্বপ্নে পেয়েছিলেন ওই নারী!
২১ দিন আগে