আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইস্তাম্বুলের সঙ্গে বিড়ালের সম্পর্ক বহু শতাব্দীর। ওসমানীয় আমলের সেই ‘বিড়াল রক্ষক’ থেকে শুরু করে আধুনিক সময়ের পথের ‘অভিভাবকদের’ সঙ্গে বিড়ালের রসায়ন যেন জন্মগতভাবেই তৈরি হয়ে আছে।
ইস্তাম্বুলের আঁকাবাঁকা গলি, মসজিদ, মেট্রো, ক্যাফেগুলোতে প্রতিদিনই দেখা যায় সূক্ষ্ম সামঞ্জস্য। দেড় কোটিরও বেশি মানুষ এখানে ঠাঁই পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করে। বসফরাসের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এই শহর ইউরোপ ও এশিয়ার ঐতিহাসিক সংযোগস্থল। শহরটিতে মানুষ ও বিড়ালের সম্পর্ক বহু পুরোনো।
শহরটিতে প্রায় আড়াই লাখ পথ বিড়াল আছে। শহরটির ইতিহাস আর দৈনন্দিন জীবনে বিড়াল এমনভাবে জড়িত যে, রাস্তার প্রতিটি কোণে বিক্রি হওয়া কারুকাজ করা গালিচার মতোই এদের উপস্থিতিও খুবই সাধারণ ঘটনা। এটি প্রেম আর জীবনের অবিরাম মিউমিউ শব্দে ভরা এক সজীব নগরী।

‘City Cats of Istanbul’-এর আলোকচিত্রী মার্সেল হেইনেন বলেন, ‘ইস্তাম্বুলের বিড়ালরা মোটামুটি পোষা প্রাণীও নয়, আবার পুরোপুরি পথ বিড়ালও নয়, দুয়ের মাঝামাঝি এক পরিচয় এদের।’ তাঁর ভাষায়, শহরের এসব বিড়ালের নির্দিষ্ট কোনো মালিক নেই, বরং প্রতিটি এলাকার মানুষ মিলে তাদের যত্ন নেয়।
তিনি জানান, বিড়ালদের প্রতি এখানে যে সম্মান দেখা যায়, তা অন্য কোথাও দেখা কঠিন। ক্যাটস মিউজিয়াম ইস্তাম্বুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাতিহ দাগলি বলেন, ‘প্রতিটি পৌরসভায় আলাদা ভেটেরিনারি বিভাগ আছে, তারা পথের প্রাণীদের চিকিৎসা করে, বিড়ালের জন্য বিনা মূল্যে সেবা দেয়। বেসরকারি ক্লিনিকগুলোও পথ বিড়ালের জন্য কম খরচ নেয়, আর বাসিন্দারা মিলে সেই বিল শোধও করে।’

এই ভালোবাসা নতুন কিছু নয়। হেইনেন বলেন, ‘ওসমানীয় আমলে পথ বিড়াল ছিল শহরের আদরণীয় বাসিন্দা। স্থানীয় ওয়াক্ফ প্রতিষ্ঠানগুলো এসব প্রাণীর দেখভাল করত। সেই সময়ই মানজাজি নামে পূর্ণকালীন এক পেশা তৈরি হয়—যাদের কাজ ছিল শহরের বিড়ালদের খাওয়ানো। মানুষ চাইলে মানজাজিদের কাছ থেকে খাবার কিনেও বিড়ালদের দিত।’
দাগলি সম্পর্কটিকে আরও প্রাচীন সময়ে খুঁজে পান। তাঁর ভাষায়, ‘ফিনিশীয় যুগ থেকেই নাবিকেরা জাহাজে ইঁদুর দমনে বিড়াল রাখত।’ রোমান যুগ থেকে ওসমানীয় সময় পর্যন্ত সিল্ক ও মসলাবাহী জাহাজ যখন ব্যস্ত ইস্তাম্বুল বন্দরে ভিড়ত, তখনই নানা প্রজাতির বিড়ালও শহরে এসে মিশে যেত।
আজও ইস্তাম্বুলের মানুষ ঘর-বাহির, মাটির ওপর-নিচ, সব জায়গাই আন্তরিকভাবে বিড়ালদের সঙ্গে উপভোগ করে। এ কারণেই পৃথিবীজুড়ে ইস্তাম্বুলের আরেক নাম ‘Catstanbul–ক্যাটসতাম্বুল।’ বহু পর্যটকও শুধুই বিড়ালের টানে এখানে ছুটে আসে।

এই উচ্ছ্বসিত ও কোলাহলময় শহরে সবচেয়ে শান্ত প্রাণী হলো পথের বিড়াল। গালাতা টাওয়ারে যাওয়ার পথে ক্লান্ত হয়ে কাঠের বেঞ্চে বসলে পাশে চুপচাপ বসে থাকা এক বিড়াল, কিংবা সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে শহরের ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্য দেখার সময় পাথরের দেওয়ালে এসে পাশে গা ঘেঁষা অন্য এক বিড়াল—সব মিলিয়ে তারা শহরের বিশৃঙ্খলার ভেতরে শান্তির নিশ্বাস দেয়।
অগণিত মানুষকে তারা একইভাবে কাছে টেনে নেয়। পৃথিবীর কোনো ভাষা বা সীমান্ত তাদের পথ আটকায় না। রাস্তার জন্য সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা এই প্রাণীগুলোও দয়া পাওয়ার যোগ্য। হেইনেন বলেন, যখন একটি ইস্তাম্বুলি বিড়াল আপনার হাঁটুর ওপর ঘুমিয়ে পড়বে, আর চারদিকে ভেসে আসবে কাবাব, জাফরান, ভাজা ভুট্টা ও টাটকা ম্যাকারেলের গন্ধ, তখনই শহরটি একটু নরম হয়ে আসে, ব্যস্ততা একটুখানি মোলায়েম হয়।
শহরকে সাধারণত কোমল বলা হয় না। বিশাল পথ, সেতু, কংক্রিট, কাচ আর ইস্পাতের নির্মাণ শহর তৈরি হয় মানুষের জন্য। হেইনেন বলেন, ‘এত কঠিন কাঠামোর ভেতর অন্য এক জীবের নিজের জায়গা দাবি করা বিস্ময়কর। আর স্থানীয় মানুষের সেই প্রাণীদের প্রতি যত্ন দেখা আরও বিস্ময়কর।’

পৃথিবীর অনেক শহরে পথের প্রাণীদের জীবন খুব কঠিন। কিন্তু ইস্তাম্বুলে তারা যেন ঘরের সদস্য। ফাতিহ এলাকায় হেঁটে ব্লু মসজিদ বা হায়া সোফিয়া দেখতে গেলে চোখে পড়বে সুলো নামের বিড়ালকে। ধূসর-সাদা মোটা টবি বিড়ালটি সুলতানআহমেত স্কোয়ারে পর্যটকদের সঙ্গে ছবি তোলে, আর তার পাশে থাকে সেই সংবাদপত্র বিক্রেতা, যিনি সুলোর যত্ন নেন।
পাহাড়ি এলাকা থেকে বসফরাস পাড়ের পাথর সিঁড়ি—সবখানেই বেঞ্চে গা এলিয়ে বা কাঠের ফ্রেম ঘরে শুয়ে দুপুরের ঘুমে মগ্ন থাকে বিড়ালরা। বাজারের সামনে, মেট্রো স্টেশনের বাইরে রাখা পানির বাটি আর শুকনো খাবার, আর ক্যাফেতে মানুষজনের ভাগ করে দেওয়া খাবার—বিড়ালরা সবখানেই অদ্ভুত স্বাচ্ছন্দ্যে।
অনেক দোকান বিড়াল পুষে রাখে, এতে ক্রেতারাও খুশি হয়ে ভেতরে ঢোকে। আরও বহু দোকান বাইরে খাবার-পানির বাটি রাখে, যেন প্রতিদিনের যাতায়াতের মধ্যে পথ বিড়ালও তাদের নিয়মিত অতিথি। হেইনেন বলেন, ‘মানুষ ও বিড়ালের সহাবস্থানের শুরু হয়েছিল এখানেই। ওসমানীয় আমলে বিড়াল ছিল ব্যবহারিক প্রয়োজন—গুদামে খাদ্য রক্ষার জন্য।’

আজ সেই কাজ বদলে গেছে। বিড়ালরা পরিণত হয়েছে শহরের অনানুষ্ঠানিক পর্যটক দূত হিসেবে। কঠিন, ব্যস্ত শহরটিকে তারা নরম আভাস দেয়। ভ্রমণকারীর পায়ের কাছে এসে দাঁড়ানো বা হঠাৎ ছবিতে ঢুকে পড়া সেই মুখ, লোমশ পা আর মৃদু গরগর ধ্বনি—সবই আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে ইস্তাম্বুলের কথা মনে করিয়ে দেবে। মনে করিয়ে দেবে, একসঙ্গে থাকা, খাবার ভাগ করা আর জীবন ভাগ করে নেওয়া আসলে কত সহজ হতে পারে, ঘরে হোক বা দূর দেশে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

ইস্তাম্বুলের সঙ্গে বিড়ালের সম্পর্ক বহু শতাব্দীর। ওসমানীয় আমলের সেই ‘বিড়াল রক্ষক’ থেকে শুরু করে আধুনিক সময়ের পথের ‘অভিভাবকদের’ সঙ্গে বিড়ালের রসায়ন যেন জন্মগতভাবেই তৈরি হয়ে আছে।
ইস্তাম্বুলের আঁকাবাঁকা গলি, মসজিদ, মেট্রো, ক্যাফেগুলোতে প্রতিদিনই দেখা যায় সূক্ষ্ম সামঞ্জস্য। দেড় কোটিরও বেশি মানুষ এখানে ঠাঁই পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করে। বসফরাসের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এই শহর ইউরোপ ও এশিয়ার ঐতিহাসিক সংযোগস্থল। শহরটিতে মানুষ ও বিড়ালের সম্পর্ক বহু পুরোনো।
শহরটিতে প্রায় আড়াই লাখ পথ বিড়াল আছে। শহরটির ইতিহাস আর দৈনন্দিন জীবনে বিড়াল এমনভাবে জড়িত যে, রাস্তার প্রতিটি কোণে বিক্রি হওয়া কারুকাজ করা গালিচার মতোই এদের উপস্থিতিও খুবই সাধারণ ঘটনা। এটি প্রেম আর জীবনের অবিরাম মিউমিউ শব্দে ভরা এক সজীব নগরী।

‘City Cats of Istanbul’-এর আলোকচিত্রী মার্সেল হেইনেন বলেন, ‘ইস্তাম্বুলের বিড়ালরা মোটামুটি পোষা প্রাণীও নয়, আবার পুরোপুরি পথ বিড়ালও নয়, দুয়ের মাঝামাঝি এক পরিচয় এদের।’ তাঁর ভাষায়, শহরের এসব বিড়ালের নির্দিষ্ট কোনো মালিক নেই, বরং প্রতিটি এলাকার মানুষ মিলে তাদের যত্ন নেয়।
তিনি জানান, বিড়ালদের প্রতি এখানে যে সম্মান দেখা যায়, তা অন্য কোথাও দেখা কঠিন। ক্যাটস মিউজিয়াম ইস্তাম্বুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাতিহ দাগলি বলেন, ‘প্রতিটি পৌরসভায় আলাদা ভেটেরিনারি বিভাগ আছে, তারা পথের প্রাণীদের চিকিৎসা করে, বিড়ালের জন্য বিনা মূল্যে সেবা দেয়। বেসরকারি ক্লিনিকগুলোও পথ বিড়ালের জন্য কম খরচ নেয়, আর বাসিন্দারা মিলে সেই বিল শোধও করে।’

এই ভালোবাসা নতুন কিছু নয়। হেইনেন বলেন, ‘ওসমানীয় আমলে পথ বিড়াল ছিল শহরের আদরণীয় বাসিন্দা। স্থানীয় ওয়াক্ফ প্রতিষ্ঠানগুলো এসব প্রাণীর দেখভাল করত। সেই সময়ই মানজাজি নামে পূর্ণকালীন এক পেশা তৈরি হয়—যাদের কাজ ছিল শহরের বিড়ালদের খাওয়ানো। মানুষ চাইলে মানজাজিদের কাছ থেকে খাবার কিনেও বিড়ালদের দিত।’
দাগলি সম্পর্কটিকে আরও প্রাচীন সময়ে খুঁজে পান। তাঁর ভাষায়, ‘ফিনিশীয় যুগ থেকেই নাবিকেরা জাহাজে ইঁদুর দমনে বিড়াল রাখত।’ রোমান যুগ থেকে ওসমানীয় সময় পর্যন্ত সিল্ক ও মসলাবাহী জাহাজ যখন ব্যস্ত ইস্তাম্বুল বন্দরে ভিড়ত, তখনই নানা প্রজাতির বিড়ালও শহরে এসে মিশে যেত।
আজও ইস্তাম্বুলের মানুষ ঘর-বাহির, মাটির ওপর-নিচ, সব জায়গাই আন্তরিকভাবে বিড়ালদের সঙ্গে উপভোগ করে। এ কারণেই পৃথিবীজুড়ে ইস্তাম্বুলের আরেক নাম ‘Catstanbul–ক্যাটসতাম্বুল।’ বহু পর্যটকও শুধুই বিড়ালের টানে এখানে ছুটে আসে।

এই উচ্ছ্বসিত ও কোলাহলময় শহরে সবচেয়ে শান্ত প্রাণী হলো পথের বিড়াল। গালাতা টাওয়ারে যাওয়ার পথে ক্লান্ত হয়ে কাঠের বেঞ্চে বসলে পাশে চুপচাপ বসে থাকা এক বিড়াল, কিংবা সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে শহরের ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্য দেখার সময় পাথরের দেওয়ালে এসে পাশে গা ঘেঁষা অন্য এক বিড়াল—সব মিলিয়ে তারা শহরের বিশৃঙ্খলার ভেতরে শান্তির নিশ্বাস দেয়।
অগণিত মানুষকে তারা একইভাবে কাছে টেনে নেয়। পৃথিবীর কোনো ভাষা বা সীমান্ত তাদের পথ আটকায় না। রাস্তার জন্য সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা এই প্রাণীগুলোও দয়া পাওয়ার যোগ্য। হেইনেন বলেন, যখন একটি ইস্তাম্বুলি বিড়াল আপনার হাঁটুর ওপর ঘুমিয়ে পড়বে, আর চারদিকে ভেসে আসবে কাবাব, জাফরান, ভাজা ভুট্টা ও টাটকা ম্যাকারেলের গন্ধ, তখনই শহরটি একটু নরম হয়ে আসে, ব্যস্ততা একটুখানি মোলায়েম হয়।
শহরকে সাধারণত কোমল বলা হয় না। বিশাল পথ, সেতু, কংক্রিট, কাচ আর ইস্পাতের নির্মাণ শহর তৈরি হয় মানুষের জন্য। হেইনেন বলেন, ‘এত কঠিন কাঠামোর ভেতর অন্য এক জীবের নিজের জায়গা দাবি করা বিস্ময়কর। আর স্থানীয় মানুষের সেই প্রাণীদের প্রতি যত্ন দেখা আরও বিস্ময়কর।’

পৃথিবীর অনেক শহরে পথের প্রাণীদের জীবন খুব কঠিন। কিন্তু ইস্তাম্বুলে তারা যেন ঘরের সদস্য। ফাতিহ এলাকায় হেঁটে ব্লু মসজিদ বা হায়া সোফিয়া দেখতে গেলে চোখে পড়বে সুলো নামের বিড়ালকে। ধূসর-সাদা মোটা টবি বিড়ালটি সুলতানআহমেত স্কোয়ারে পর্যটকদের সঙ্গে ছবি তোলে, আর তার পাশে থাকে সেই সংবাদপত্র বিক্রেতা, যিনি সুলোর যত্ন নেন।
পাহাড়ি এলাকা থেকে বসফরাস পাড়ের পাথর সিঁড়ি—সবখানেই বেঞ্চে গা এলিয়ে বা কাঠের ফ্রেম ঘরে শুয়ে দুপুরের ঘুমে মগ্ন থাকে বিড়ালরা। বাজারের সামনে, মেট্রো স্টেশনের বাইরে রাখা পানির বাটি আর শুকনো খাবার, আর ক্যাফেতে মানুষজনের ভাগ করে দেওয়া খাবার—বিড়ালরা সবখানেই অদ্ভুত স্বাচ্ছন্দ্যে।
অনেক দোকান বিড়াল পুষে রাখে, এতে ক্রেতারাও খুশি হয়ে ভেতরে ঢোকে। আরও বহু দোকান বাইরে খাবার-পানির বাটি রাখে, যেন প্রতিদিনের যাতায়াতের মধ্যে পথ বিড়ালও তাদের নিয়মিত অতিথি। হেইনেন বলেন, ‘মানুষ ও বিড়ালের সহাবস্থানের শুরু হয়েছিল এখানেই। ওসমানীয় আমলে বিড়াল ছিল ব্যবহারিক প্রয়োজন—গুদামে খাদ্য রক্ষার জন্য।’

আজ সেই কাজ বদলে গেছে। বিড়ালরা পরিণত হয়েছে শহরের অনানুষ্ঠানিক পর্যটক দূত হিসেবে। কঠিন, ব্যস্ত শহরটিকে তারা নরম আভাস দেয়। ভ্রমণকারীর পায়ের কাছে এসে দাঁড়ানো বা হঠাৎ ছবিতে ঢুকে পড়া সেই মুখ, লোমশ পা আর মৃদু গরগর ধ্বনি—সবই আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে ইস্তাম্বুলের কথা মনে করিয়ে দেবে। মনে করিয়ে দেবে, একসঙ্গে থাকা, খাবার ভাগ করা আর জীবন ভাগ করে নেওয়া আসলে কত সহজ হতে পারে, ঘরে হোক বা দূর দেশে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইস্তাম্বুলের সঙ্গে বিড়ালের সম্পর্ক বহু শতাব্দীর। ওসমানীয় আমলের সেই ‘বিড়াল রক্ষক’ থেকে শুরু করে আধুনিক সময়ের পথের ‘অভিভাবকদের’ সঙ্গে বিড়ালের রসায়ন যেন জন্মগতভাবেই তৈরি হয়ে আছে।
ইস্তাম্বুলের আঁকাবাঁকা গলি, মসজিদ, মেট্রো, ক্যাফেগুলোতে প্রতিদিনই দেখা যায় সূক্ষ্ম সামঞ্জস্য। দেড় কোটিরও বেশি মানুষ এখানে ঠাঁই পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করে। বসফরাসের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এই শহর ইউরোপ ও এশিয়ার ঐতিহাসিক সংযোগস্থল। শহরটিতে মানুষ ও বিড়ালের সম্পর্ক বহু পুরোনো।
শহরটিতে প্রায় আড়াই লাখ পথ বিড়াল আছে। শহরটির ইতিহাস আর দৈনন্দিন জীবনে বিড়াল এমনভাবে জড়িত যে, রাস্তার প্রতিটি কোণে বিক্রি হওয়া কারুকাজ করা গালিচার মতোই এদের উপস্থিতিও খুবই সাধারণ ঘটনা। এটি প্রেম আর জীবনের অবিরাম মিউমিউ শব্দে ভরা এক সজীব নগরী।

‘City Cats of Istanbul’-এর আলোকচিত্রী মার্সেল হেইনেন বলেন, ‘ইস্তাম্বুলের বিড়ালরা মোটামুটি পোষা প্রাণীও নয়, আবার পুরোপুরি পথ বিড়ালও নয়, দুয়ের মাঝামাঝি এক পরিচয় এদের।’ তাঁর ভাষায়, শহরের এসব বিড়ালের নির্দিষ্ট কোনো মালিক নেই, বরং প্রতিটি এলাকার মানুষ মিলে তাদের যত্ন নেয়।
তিনি জানান, বিড়ালদের প্রতি এখানে যে সম্মান দেখা যায়, তা অন্য কোথাও দেখা কঠিন। ক্যাটস মিউজিয়াম ইস্তাম্বুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাতিহ দাগলি বলেন, ‘প্রতিটি পৌরসভায় আলাদা ভেটেরিনারি বিভাগ আছে, তারা পথের প্রাণীদের চিকিৎসা করে, বিড়ালের জন্য বিনা মূল্যে সেবা দেয়। বেসরকারি ক্লিনিকগুলোও পথ বিড়ালের জন্য কম খরচ নেয়, আর বাসিন্দারা মিলে সেই বিল শোধও করে।’

এই ভালোবাসা নতুন কিছু নয়। হেইনেন বলেন, ‘ওসমানীয় আমলে পথ বিড়াল ছিল শহরের আদরণীয় বাসিন্দা। স্থানীয় ওয়াক্ফ প্রতিষ্ঠানগুলো এসব প্রাণীর দেখভাল করত। সেই সময়ই মানজাজি নামে পূর্ণকালীন এক পেশা তৈরি হয়—যাদের কাজ ছিল শহরের বিড়ালদের খাওয়ানো। মানুষ চাইলে মানজাজিদের কাছ থেকে খাবার কিনেও বিড়ালদের দিত।’
দাগলি সম্পর্কটিকে আরও প্রাচীন সময়ে খুঁজে পান। তাঁর ভাষায়, ‘ফিনিশীয় যুগ থেকেই নাবিকেরা জাহাজে ইঁদুর দমনে বিড়াল রাখত।’ রোমান যুগ থেকে ওসমানীয় সময় পর্যন্ত সিল্ক ও মসলাবাহী জাহাজ যখন ব্যস্ত ইস্তাম্বুল বন্দরে ভিড়ত, তখনই নানা প্রজাতির বিড়ালও শহরে এসে মিশে যেত।
আজও ইস্তাম্বুলের মানুষ ঘর-বাহির, মাটির ওপর-নিচ, সব জায়গাই আন্তরিকভাবে বিড়ালদের সঙ্গে উপভোগ করে। এ কারণেই পৃথিবীজুড়ে ইস্তাম্বুলের আরেক নাম ‘Catstanbul–ক্যাটসতাম্বুল।’ বহু পর্যটকও শুধুই বিড়ালের টানে এখানে ছুটে আসে।

এই উচ্ছ্বসিত ও কোলাহলময় শহরে সবচেয়ে শান্ত প্রাণী হলো পথের বিড়াল। গালাতা টাওয়ারে যাওয়ার পথে ক্লান্ত হয়ে কাঠের বেঞ্চে বসলে পাশে চুপচাপ বসে থাকা এক বিড়াল, কিংবা সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে শহরের ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্য দেখার সময় পাথরের দেওয়ালে এসে পাশে গা ঘেঁষা অন্য এক বিড়াল—সব মিলিয়ে তারা শহরের বিশৃঙ্খলার ভেতরে শান্তির নিশ্বাস দেয়।
অগণিত মানুষকে তারা একইভাবে কাছে টেনে নেয়। পৃথিবীর কোনো ভাষা বা সীমান্ত তাদের পথ আটকায় না। রাস্তার জন্য সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা এই প্রাণীগুলোও দয়া পাওয়ার যোগ্য। হেইনেন বলেন, যখন একটি ইস্তাম্বুলি বিড়াল আপনার হাঁটুর ওপর ঘুমিয়ে পড়বে, আর চারদিকে ভেসে আসবে কাবাব, জাফরান, ভাজা ভুট্টা ও টাটকা ম্যাকারেলের গন্ধ, তখনই শহরটি একটু নরম হয়ে আসে, ব্যস্ততা একটুখানি মোলায়েম হয়।
শহরকে সাধারণত কোমল বলা হয় না। বিশাল পথ, সেতু, কংক্রিট, কাচ আর ইস্পাতের নির্মাণ শহর তৈরি হয় মানুষের জন্য। হেইনেন বলেন, ‘এত কঠিন কাঠামোর ভেতর অন্য এক জীবের নিজের জায়গা দাবি করা বিস্ময়কর। আর স্থানীয় মানুষের সেই প্রাণীদের প্রতি যত্ন দেখা আরও বিস্ময়কর।’

পৃথিবীর অনেক শহরে পথের প্রাণীদের জীবন খুব কঠিন। কিন্তু ইস্তাম্বুলে তারা যেন ঘরের সদস্য। ফাতিহ এলাকায় হেঁটে ব্লু মসজিদ বা হায়া সোফিয়া দেখতে গেলে চোখে পড়বে সুলো নামের বিড়ালকে। ধূসর-সাদা মোটা টবি বিড়ালটি সুলতানআহমেত স্কোয়ারে পর্যটকদের সঙ্গে ছবি তোলে, আর তার পাশে থাকে সেই সংবাদপত্র বিক্রেতা, যিনি সুলোর যত্ন নেন।
পাহাড়ি এলাকা থেকে বসফরাস পাড়ের পাথর সিঁড়ি—সবখানেই বেঞ্চে গা এলিয়ে বা কাঠের ফ্রেম ঘরে শুয়ে দুপুরের ঘুমে মগ্ন থাকে বিড়ালরা। বাজারের সামনে, মেট্রো স্টেশনের বাইরে রাখা পানির বাটি আর শুকনো খাবার, আর ক্যাফেতে মানুষজনের ভাগ করে দেওয়া খাবার—বিড়ালরা সবখানেই অদ্ভুত স্বাচ্ছন্দ্যে।
অনেক দোকান বিড়াল পুষে রাখে, এতে ক্রেতারাও খুশি হয়ে ভেতরে ঢোকে। আরও বহু দোকান বাইরে খাবার-পানির বাটি রাখে, যেন প্রতিদিনের যাতায়াতের মধ্যে পথ বিড়ালও তাদের নিয়মিত অতিথি। হেইনেন বলেন, ‘মানুষ ও বিড়ালের সহাবস্থানের শুরু হয়েছিল এখানেই। ওসমানীয় আমলে বিড়াল ছিল ব্যবহারিক প্রয়োজন—গুদামে খাদ্য রক্ষার জন্য।’

আজ সেই কাজ বদলে গেছে। বিড়ালরা পরিণত হয়েছে শহরের অনানুষ্ঠানিক পর্যটক দূত হিসেবে। কঠিন, ব্যস্ত শহরটিকে তারা নরম আভাস দেয়। ভ্রমণকারীর পায়ের কাছে এসে দাঁড়ানো বা হঠাৎ ছবিতে ঢুকে পড়া সেই মুখ, লোমশ পা আর মৃদু গরগর ধ্বনি—সবই আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে ইস্তাম্বুলের কথা মনে করিয়ে দেবে। মনে করিয়ে দেবে, একসঙ্গে থাকা, খাবার ভাগ করা আর জীবন ভাগ করে নেওয়া আসলে কত সহজ হতে পারে, ঘরে হোক বা দূর দেশে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

ইস্তাম্বুলের সঙ্গে বিড়ালের সম্পর্ক বহু শতাব্দীর। ওসমানীয় আমলের সেই ‘বিড়াল রক্ষক’ থেকে শুরু করে আধুনিক সময়ের পথের ‘অভিভাবকদের’ সঙ্গে বিড়ালের রসায়ন যেন জন্মগতভাবেই তৈরি হয়ে আছে।
ইস্তাম্বুলের আঁকাবাঁকা গলি, মসজিদ, মেট্রো, ক্যাফেগুলোতে প্রতিদিনই দেখা যায় সূক্ষ্ম সামঞ্জস্য। দেড় কোটিরও বেশি মানুষ এখানে ঠাঁই পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করে। বসফরাসের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এই শহর ইউরোপ ও এশিয়ার ঐতিহাসিক সংযোগস্থল। শহরটিতে মানুষ ও বিড়ালের সম্পর্ক বহু পুরোনো।
শহরটিতে প্রায় আড়াই লাখ পথ বিড়াল আছে। শহরটির ইতিহাস আর দৈনন্দিন জীবনে বিড়াল এমনভাবে জড়িত যে, রাস্তার প্রতিটি কোণে বিক্রি হওয়া কারুকাজ করা গালিচার মতোই এদের উপস্থিতিও খুবই সাধারণ ঘটনা। এটি প্রেম আর জীবনের অবিরাম মিউমিউ শব্দে ভরা এক সজীব নগরী।

‘City Cats of Istanbul’-এর আলোকচিত্রী মার্সেল হেইনেন বলেন, ‘ইস্তাম্বুলের বিড়ালরা মোটামুটি পোষা প্রাণীও নয়, আবার পুরোপুরি পথ বিড়ালও নয়, দুয়ের মাঝামাঝি এক পরিচয় এদের।’ তাঁর ভাষায়, শহরের এসব বিড়ালের নির্দিষ্ট কোনো মালিক নেই, বরং প্রতিটি এলাকার মানুষ মিলে তাদের যত্ন নেয়।
তিনি জানান, বিড়ালদের প্রতি এখানে যে সম্মান দেখা যায়, তা অন্য কোথাও দেখা কঠিন। ক্যাটস মিউজিয়াম ইস্তাম্বুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাতিহ দাগলি বলেন, ‘প্রতিটি পৌরসভায় আলাদা ভেটেরিনারি বিভাগ আছে, তারা পথের প্রাণীদের চিকিৎসা করে, বিড়ালের জন্য বিনা মূল্যে সেবা দেয়। বেসরকারি ক্লিনিকগুলোও পথ বিড়ালের জন্য কম খরচ নেয়, আর বাসিন্দারা মিলে সেই বিল শোধও করে।’

এই ভালোবাসা নতুন কিছু নয়। হেইনেন বলেন, ‘ওসমানীয় আমলে পথ বিড়াল ছিল শহরের আদরণীয় বাসিন্দা। স্থানীয় ওয়াক্ফ প্রতিষ্ঠানগুলো এসব প্রাণীর দেখভাল করত। সেই সময়ই মানজাজি নামে পূর্ণকালীন এক পেশা তৈরি হয়—যাদের কাজ ছিল শহরের বিড়ালদের খাওয়ানো। মানুষ চাইলে মানজাজিদের কাছ থেকে খাবার কিনেও বিড়ালদের দিত।’
দাগলি সম্পর্কটিকে আরও প্রাচীন সময়ে খুঁজে পান। তাঁর ভাষায়, ‘ফিনিশীয় যুগ থেকেই নাবিকেরা জাহাজে ইঁদুর দমনে বিড়াল রাখত।’ রোমান যুগ থেকে ওসমানীয় সময় পর্যন্ত সিল্ক ও মসলাবাহী জাহাজ যখন ব্যস্ত ইস্তাম্বুল বন্দরে ভিড়ত, তখনই নানা প্রজাতির বিড়ালও শহরে এসে মিশে যেত।
আজও ইস্তাম্বুলের মানুষ ঘর-বাহির, মাটির ওপর-নিচ, সব জায়গাই আন্তরিকভাবে বিড়ালদের সঙ্গে উপভোগ করে। এ কারণেই পৃথিবীজুড়ে ইস্তাম্বুলের আরেক নাম ‘Catstanbul–ক্যাটসতাম্বুল।’ বহু পর্যটকও শুধুই বিড়ালের টানে এখানে ছুটে আসে।

এই উচ্ছ্বসিত ও কোলাহলময় শহরে সবচেয়ে শান্ত প্রাণী হলো পথের বিড়াল। গালাতা টাওয়ারে যাওয়ার পথে ক্লান্ত হয়ে কাঠের বেঞ্চে বসলে পাশে চুপচাপ বসে থাকা এক বিড়াল, কিংবা সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে শহরের ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্য দেখার সময় পাথরের দেওয়ালে এসে পাশে গা ঘেঁষা অন্য এক বিড়াল—সব মিলিয়ে তারা শহরের বিশৃঙ্খলার ভেতরে শান্তির নিশ্বাস দেয়।
অগণিত মানুষকে তারা একইভাবে কাছে টেনে নেয়। পৃথিবীর কোনো ভাষা বা সীমান্ত তাদের পথ আটকায় না। রাস্তার জন্য সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা এই প্রাণীগুলোও দয়া পাওয়ার যোগ্য। হেইনেন বলেন, যখন একটি ইস্তাম্বুলি বিড়াল আপনার হাঁটুর ওপর ঘুমিয়ে পড়বে, আর চারদিকে ভেসে আসবে কাবাব, জাফরান, ভাজা ভুট্টা ও টাটকা ম্যাকারেলের গন্ধ, তখনই শহরটি একটু নরম হয়ে আসে, ব্যস্ততা একটুখানি মোলায়েম হয়।
শহরকে সাধারণত কোমল বলা হয় না। বিশাল পথ, সেতু, কংক্রিট, কাচ আর ইস্পাতের নির্মাণ শহর তৈরি হয় মানুষের জন্য। হেইনেন বলেন, ‘এত কঠিন কাঠামোর ভেতর অন্য এক জীবের নিজের জায়গা দাবি করা বিস্ময়কর। আর স্থানীয় মানুষের সেই প্রাণীদের প্রতি যত্ন দেখা আরও বিস্ময়কর।’

পৃথিবীর অনেক শহরে পথের প্রাণীদের জীবন খুব কঠিন। কিন্তু ইস্তাম্বুলে তারা যেন ঘরের সদস্য। ফাতিহ এলাকায় হেঁটে ব্লু মসজিদ বা হায়া সোফিয়া দেখতে গেলে চোখে পড়বে সুলো নামের বিড়ালকে। ধূসর-সাদা মোটা টবি বিড়ালটি সুলতানআহমেত স্কোয়ারে পর্যটকদের সঙ্গে ছবি তোলে, আর তার পাশে থাকে সেই সংবাদপত্র বিক্রেতা, যিনি সুলোর যত্ন নেন।
পাহাড়ি এলাকা থেকে বসফরাস পাড়ের পাথর সিঁড়ি—সবখানেই বেঞ্চে গা এলিয়ে বা কাঠের ফ্রেম ঘরে শুয়ে দুপুরের ঘুমে মগ্ন থাকে বিড়ালরা। বাজারের সামনে, মেট্রো স্টেশনের বাইরে রাখা পানির বাটি আর শুকনো খাবার, আর ক্যাফেতে মানুষজনের ভাগ করে দেওয়া খাবার—বিড়ালরা সবখানেই অদ্ভুত স্বাচ্ছন্দ্যে।
অনেক দোকান বিড়াল পুষে রাখে, এতে ক্রেতারাও খুশি হয়ে ভেতরে ঢোকে। আরও বহু দোকান বাইরে খাবার-পানির বাটি রাখে, যেন প্রতিদিনের যাতায়াতের মধ্যে পথ বিড়ালও তাদের নিয়মিত অতিথি। হেইনেন বলেন, ‘মানুষ ও বিড়ালের সহাবস্থানের শুরু হয়েছিল এখানেই। ওসমানীয় আমলে বিড়াল ছিল ব্যবহারিক প্রয়োজন—গুদামে খাদ্য রক্ষার জন্য।’

আজ সেই কাজ বদলে গেছে। বিড়ালরা পরিণত হয়েছে শহরের অনানুষ্ঠানিক পর্যটক দূত হিসেবে। কঠিন, ব্যস্ত শহরটিকে তারা নরম আভাস দেয়। ভ্রমণকারীর পায়ের কাছে এসে দাঁড়ানো বা হঠাৎ ছবিতে ঢুকে পড়া সেই মুখ, লোমশ পা আর মৃদু গরগর ধ্বনি—সবই আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে ইস্তাম্বুলের কথা মনে করিয়ে দেবে। মনে করিয়ে দেবে, একসঙ্গে থাকা, খাবার ভাগ করা আর জীবন ভাগ করে নেওয়া আসলে কত সহজ হতে পারে, ঘরে হোক বা দূর দেশে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৬ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৭ দিন আগে
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

ইস্তাম্বুলের সঙ্গে বিড়ালের সম্পর্ক বহু শতাব্দীর। ওসমানীয় আমলের সেই ‘বিড়াল রক্ষক’ থেকে শুরু করে আধুনিক সময়ের পথের ‘অভিভাবকদের’ সঙ্গে বিড়ালের রসায়ন যেন জন্মগতভাবেই তৈরি হয়ে আছে।
১৪ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৬ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৭ দিন আগে
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

ইস্তাম্বুলের সঙ্গে বিড়ালের সম্পর্ক বহু শতাব্দীর। ওসমানীয় আমলের সেই ‘বিড়াল রক্ষক’ থেকে শুরু করে আধুনিক সময়ের পথের ‘অভিভাবকদের’ সঙ্গে বিড়ালের রসায়ন যেন জন্মগতভাবেই তৈরি হয়ে আছে।
১৪ দিন আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৭ দিন আগে
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

ইস্তাম্বুলের সঙ্গে বিড়ালের সম্পর্ক বহু শতাব্দীর। ওসমানীয় আমলের সেই ‘বিড়াল রক্ষক’ থেকে শুরু করে আধুনিক সময়ের পথের ‘অভিভাবকদের’ সঙ্গে বিড়ালের রসায়ন যেন জন্মগতভাবেই তৈরি হয়ে আছে।
১৪ দিন আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৬ দিন আগে
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার। প্রায় ২ ঘণ্টার সফল অপারেশনে অবশেষে প্রাণ ফিরে পেয়েছে আহত সাপটি। সাপটির শরীরে ৮০টি সেলাই পড়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে বিক্রম নগর শিল্পাঞ্চলে খননকাজের সময় জেসিবি এক্সকাভেটরের আঘাত লেগে সাপটি আহত হয় এবং রক্তপাত হতে থাকে। সাপটির চামড়া ফেটে যায় এবং মাথায় মারাত্মক ক্ষত তৈরি হয়।
প্রথমে ভয় পেয়ে সেখানকার লোকজন সাপটির দিকে মাটি ছুড়ে মারতে শুরু করেন। এরপর তাঁরা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী ‘স্নেক ফ্রেন্ডস’খ্যাত রাহুল ও মুকুলকে খবর দেন। রাহুল ও মুকুল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত কোবরাটিকে নিরাপদে উদ্ধার করেন এবং দ্রুত পশু হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে প্রধান ভেটেরিনারি সার্জন ড. মুকেশ জৈন এবং তাঁর দল রামকন্যা গৌরব, রবি রাঠোর ও প্রশান্ত পরিহার পরীক্ষা করে দেখতে পান যে—কোবরাটির মাথা ও পিঠে গভীর ক্ষত হয়েছে এবং শরীরের কিছু অংশের চামড়া সম্পূর্ণরূপে উঠে গেছে।
তাঁরা বুঝতে পারেন, সাপটির জন্য বড় ধরনের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তৎক্ষণাৎ তাঁরা ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করেন, সাপটিকে হালকা অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে সেই জটিল অস্ত্রোপচার শুরু করেন।
দুই ঘণ্টা ধরে চিকিৎসকেরা সাবধানে ছেঁড়া ত্বক ও পেশি সেলাই করেন এবং সব মিলিয়ে ৮০টি সেলাই দিয়ে কোবরাটির জীবন বাঁচান।
অপারেশনের পর ড. জৈন নিশ্চিত করেন, আহত সাপটি এলাপডি (Elapidae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। অস্ত্রোপচারের পর সাপটি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে এবং পোস্ট সার্জারি যত্নের জন্য উদ্ধারকারীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আরও দুদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর সাপটিকে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে জটিল অপারেশনে কয়েক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে একটি বিরল ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি আহত বিষধর কোবরাকে বাঁচাতে চালানো হয়েছে অস্ত্রোপচার। প্রায় ২ ঘণ্টার সফল অপারেশনে অবশেষে প্রাণ ফিরে পেয়েছে আহত সাপটি। সাপটির শরীরে ৮০টি সেলাই পড়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে বিক্রম নগর শিল্পাঞ্চলে খননকাজের সময় জেসিবি এক্সকাভেটরের আঘাত লেগে সাপটি আহত হয় এবং রক্তপাত হতে থাকে। সাপটির চামড়া ফেটে যায় এবং মাথায় মারাত্মক ক্ষত তৈরি হয়।
প্রথমে ভয় পেয়ে সেখানকার লোকজন সাপটির দিকে মাটি ছুড়ে মারতে শুরু করেন। এরপর তাঁরা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী ‘স্নেক ফ্রেন্ডস’খ্যাত রাহুল ও মুকুলকে খবর দেন। রাহুল ও মুকুল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত কোবরাটিকে নিরাপদে উদ্ধার করেন এবং দ্রুত পশু হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে প্রধান ভেটেরিনারি সার্জন ড. মুকেশ জৈন এবং তাঁর দল রামকন্যা গৌরব, রবি রাঠোর ও প্রশান্ত পরিহার পরীক্ষা করে দেখতে পান যে—কোবরাটির মাথা ও পিঠে গভীর ক্ষত হয়েছে এবং শরীরের কিছু অংশের চামড়া সম্পূর্ণরূপে উঠে গেছে।
তাঁরা বুঝতে পারেন, সাপটির জন্য বড় ধরনের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তৎক্ষণাৎ তাঁরা ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করেন, সাপটিকে হালকা অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে সেই জটিল অস্ত্রোপচার শুরু করেন।
দুই ঘণ্টা ধরে চিকিৎসকেরা সাবধানে ছেঁড়া ত্বক ও পেশি সেলাই করেন এবং সব মিলিয়ে ৮০টি সেলাই দিয়ে কোবরাটির জীবন বাঁচান।
অপারেশনের পর ড. জৈন নিশ্চিত করেন, আহত সাপটি এলাপডি (Elapidae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। অস্ত্রোপচারের পর সাপটি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে এবং পোস্ট সার্জারি যত্নের জন্য উদ্ধারকারীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আরও দুদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর সাপটিকে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

ইস্তাম্বুলের সঙ্গে বিড়ালের সম্পর্ক বহু শতাব্দীর। ওসমানীয় আমলের সেই ‘বিড়াল রক্ষক’ থেকে শুরু করে আধুনিক সময়ের পথের ‘অভিভাবকদের’ সঙ্গে বিড়ালের রসায়ন যেন জন্মগতভাবেই তৈরি হয়ে আছে।
১৪ দিন আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৬ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৭ দিন আগে