সচিবালয়

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আগামীকাল সোমবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে গণজমায়েত করবেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর তিনজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তাঁরা।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে আজ রোববার সরকারি অফিস ও আদালত খুলেছে। আজ সকালে অফিসে আসার পর সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়। উপদেষ্টারাও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।

একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরারকে (সি আর আবরার) এক কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না করলে কোরবানির ঈদের পর কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছেন কর্মচারী নেতারা। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে গতকাল মঙ্গলবার নিজেদের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার পর এ হুমকি দেয় বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।

ভারতীয় দালালমুক্ত বাংলাদেশের দাবিতে জুলাই ঐক্যের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ যাত্রা শুরু হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে তালিকাভুক্ত ৪০ জন আমলার অবসান ও সচিবালয়কে আওয়ামী দোসরমুক্ত করতে সচিবালয়ের দিকে মার্চ টু সচিবালয় কর্মসূচি পালন করেছে জুলাই ঐক্য।

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশে কর্মচারীদের আপত্তির বিষয়গুলো পর্যালোচনা করতে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আজ মঙ্গলবার সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য কোরামের নেতাদের কাছ থেকে স্মারকলিপি নেওয়ার পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মচারীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার পর সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন কর্মচারীরা। এরপর তাঁরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ করেন।

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না করলে কোরবানির ঈদের পর সারা দেশে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মচারীরা। এই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আজ সোমবার সরকারের দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তারা এই ঘোষণা দেন।

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মচারীরা। আজ সোমবার সকাল ১১টার পর সচিবালয়ের চার নম্বর ভবনের সামনে থেকে কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিল নিয়ে তাঁরা সচিবালয়ের চত্বর প্রদক্ষিণ করেন।

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন করা হতে পারে বলে আন্দোলনরত কর্মচারী নেতাদের আভাস দিয়েছেন সরকারের দুজন উপদেষ্টা। চাকরি অধ্যাদেশ নিয়ে কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

শিল্প ও রেলপথ মন্ত্রণালয়কে সচিবালয়ের ভেতরে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সচিবালয়ের একটি ভবনের দুটি তলা এ দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় দুটির কর্মকর্তারা বলছেন, পুরো মন্ত্রণালয় এক স্থানে থাকলে কাজের গতি থাকবে। আংশিক গেলে কাজে বিঘ্ন ঘটবে।

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা অপপ্রয়োগের আশঙ্কা আছে জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, এটি নিয়ে আলোচনা করা হবে। সচিবালয়ে আজ রোববার (১ জুন) সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে তিন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে সচিবালয়ে জড়ো হয়েছেন কর্মচারীরা। আজ রোববার খাদ্য উপদেষ্টা, পরিবেশ উপদেষ্টা ও জ্বালানি উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেবেন কর্মচারীরা। এ উপলক্ষে ১১টার পর সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলায় জড়ো হন তাঁরা।

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতির কর্মসূচি থেকে সরে এসে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত কর্মচারীরা। আগামী রোববার (১ জুন) তিনজন উপদেষ্টাকে এবং সোমবার (২ জুন) দুইজন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেবেন তাঁরা।

২০২৫ সরকারি চাকরি আইনের অধ্যাদেশের চারটি ধারা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। বিষয়টি ব্যাপকভাবে সরাসরি প্রচার হওয়ায় সরকার বিব্রত বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।

কর্মচারীদের সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের কাছে তুলে ধরেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবেরা। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব দাবির বিষয়টি তাঁকে জানাবেন।

কর্মচারীদের লাগাতার আন্দোলনের মধ্যে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দাবির মুখে সরকার এই অধ্যাদেশ প্রথমে স্থগিত করে, পরে তা বাতিল করতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন কর্মচারীরা।