শকুন

ভোলায় বিপন্ন হিমালয়ী গৃধিনি প্রজাতির একটি শকুন অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ভোলার চরফ্যাশন রেঞ্জের চরকচ্ছপিয়ায় বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শকুনটি অবমুক্ত করা হয়।

কলাপাড়ার ধুলাসারে এক কৃষকের ধান খেত থেকে বিরল প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের বৌলতলী গ্রামের মুসা কাজেম নামের কৃষকের খেত থেকে এটি উদ্ধার করা হয়। 

খাগড়াছড়িতে দুটি হিমালয়ান শকুন উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শকুন দুটি উদ্ধার করা হয়। খাবারের খোঁজে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এ দেশে এসেছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোজাম্মেল হোসেন। বর্তমানে জেলা বন বিভাগ শকুনগুলো দেখাশোনা করছে।

আট দিন আগে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের হাজি ইদ্রিস বাজারের পাশে অসুস্থ অবস্থায় শকুনটিকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এরপর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল বাসার ডিপটির সহায়তায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে

তীক্ষ্ণদৃষ্টিসম্পন্ন শিকারি পাখিদের নাম নিলে প্রথমেই আসে শকুনের নাম। অনেকে পাখিটিকে শত্রু বা অশুভের প্রতীক মনে করলেও এটি আসলে আমাদের মিত্র। মৃত পশুপাখির মাংসসহ উচ্ছিষ্ট খায় বলে এদের ‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মীও’ বলা হয়।

জানা গেছে, মাঠের একটি খেতের বেড়ার জালে আটকা পড়ে শকুনটি। স্থানীয় আহম্মদ আলী নামে এক শ্রমিক উদ্ধার করে নিজ বাড়ি নাওডাঙ্গা ফুলেরপাড় সংলগ্ন কুটি চন্দ্রখানা গ্রামে নিয়ে আসেন।

ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলায় বিরল প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে চিকিৎসা দিয়ে পাখিটি সংরক্ষণের জন্য দিনাজপুর বীরগঞ্জ সিংড়া ফরেস্ট বিটের তত্ত্বাবধানে গত বৃহস্পতিবার রাতে পাঠানো হয়েছে।

শকুনের জন্য ক্ষতিকর অন্যান্য ওষুধ যেমন ফ্লুনিক্সিন, এসিক্লোফেনাক যেন আমাদের দেশের বাজারে না আসে সে ব্যাপারেও মন্ত্রিপরিষদ নির্দেশনা দিয়েছে। রোগাক্রান্ত পশুর জন্য শকুনের জন্য নিরাপদ ওষুধ মেলোক্সিক্যাম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।