ব্রহ্মপুত্র

নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় থেকে মোগরাপাড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকেই এই যানজট। যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে কর্মস্থলে যাওয়া যাত্রীরা। বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদে মহাষ্টমী স্নান উৎসব উপলক্ষে সনাতন ধর্মের লাখ ল

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে গিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়। পানিতে ডুবে মৃত শিশুর নাম ফাহিমা আক্তার (৫)। সে কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের ধানদিয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার মেয়ে। 

কুড়িগ্রামের চিলমারী নদীবন্দরে নোঙর করেছে বিশ্বের দীর্ঘ যাত্রার প্রমোদতরি ‘গঙ্গা বিলাস’। এটি নাব্যতাসংকটের কারণে তীরে ভিড়তে না পারলেও বন্দর এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের বুকে অবস্থান করছে।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট বাজার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। এ ছাড়া আবাদি জমি ও বসতভিটা হারিয়ে যাচ্ছে নদে। এক মাসের বেশি সময়ে চলা ভাঙনে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ায়

ব্রহ্মপুত্রের নীল জলে সারি সারি নৌকা। বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন খাত ধরে চলেছে সেগুলো। তাতে রয়েছে বস্তাভরা ধান, ডাল, সরিষা, বাদাম, চীনা, গম, কাউন, পাটসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য কিংবা দেশি গরু, ছাগল, হাঁস বা মুরগি। সব নৌকা চলেছে এক গন্তব্যে। ব্রহ্মপুত্রের বুকে বসা এ শতবর্ষী হাটের বর্তমান

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদের ড্রেজিংয়ের মাটি ও বালু তীরবর্তী কৃষিজমিতে স্তূপ করে ফেলে রাখায় কয়েক শ একর কৃষিজমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। স্থানীয় কৃষকেরা প্রশাসনের কাছে মাটি সরানোর আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাননি। মাটি সরানোর বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় নিরুপায় হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে বৈরী আবহাওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদে আটকে পড়া নৌকাটি নিরাপদে ঘাটে ফিরে এসেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নৌকাটি ৭০ জন যাত্রী নিয়ে নিরাপদে রমনা ঘাটে আসে।

‘বাড়ি ছিল ওই যে কলাগাছ দেহা যায়, ওইহানে। ২৫টা বছর ধইরা বাড়ি ভাঙতাছি আর গড়তাছি। আর সহ্য হয় না। মনডা কয় গায়ে আগুন দিয়া সব শ্যাষ কইরা

ব্রহ্মপুত্রে ইলিশ শিকার ও নির্বিঘ্নে বিক্রির প্রতিবেদন প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ। গত তিন দিন ধরে জেলার সদর ও উলিপুর উপজেলাসহ ছয়টি উপজেলায় মা ইলিশ শিকারবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে মৎস্য বিভাগ। পাশাপাশি মোবাইলকোর্টের অভিযানও বাড়ানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় বিশে

‘একটা ঘর নদীত গ্যাছে, আর একটা কিনারে দাঁড়ায় আছে। যেকোনো সময় হেইটাও যাইব। ঘর সরায় যেইহানে যামু হেই জমিতেও পানি। কই যামু, যাওনের জায়গা তো নাই। যে ভাঙনি ধরে, কোনো বুদ্ধি পাওয়া যায় না।’ কথাগুলো বলেন ব্রহ্মপুত্র নদে ভিটেবাড়ি হারাতে বসা

‘আমার কেউ নাই, বাবা। আমার শ্যাষ বয়সে একটু থাকার ব্যবস্থা করি দেন। একটা ঘরের ব্যবস্থা করি দিলে খুব উপকার হয়। শ্যাষ কয়টা দিন একটু শান্তিতে থাকবার চাই। মাইনষের বাড়ি বাড়ি থাকন লাগে, খাওন লাগে। কোনো সাহায্যও পাই না।’ কথাগুলো বলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার মোল্লারহ

শেরপুরের নকলায় ব্রহ্মপুত্র নদের ক্ষতিগ্রস্ত পাড়ের কাছ থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এতে নতুন করে নদের পাড় ভাঙনের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

হঠাৎ করেই সব ধরনের মাছের সরবরাহ কমেছে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন পাইকারি মাছবাজারে। মূলত ব্রহ্মপুত্র ও যমুনায় মাছের তীব্র আকাল দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা। এতে মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে ভাটা পড়ছে জেলেদের আয়-রোজগারে। বিপাকে পড়েছে শত শত জেলে পরিবার। 

জামালপুরের ইসলামপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ধসে পড়ছে শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম সেতুর রিটেইনিং ওয়ালের (ঠেস দেয়াল) সিসি ব্লক। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেতু এলাকা। এ ছাড়া ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছে সেতুর মূল অংশ, রাস্তাঘাটসহ অসংখ্য স্থাপনা।

শেরপুরের নকলা উপজেলার চর অষ্টধর ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙন। ইতিমধ্যে এ অঞ্চলের প্রায় ১ হাজার ৫০০ একর ফসলি জমি নদে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া রাস্তাসহ নানা স্থাপনা ভেঙে পড়েছে নদে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নদ থেকে বালু তোলার কারণে চরভেলামারী বেড়িবাঁধ ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

জামালপুরের মেলান্দহে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। মেলান্দহ উপজেলা শ্যামপুর ইউনিয়নের টুপকারচর এলাকার শেষ প্রান্ত থেকে ৪ নম্বর চর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি...