পানি উন্নয়ন বোর্ড

উজানের ঢল ও বর্ষণে গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোতে প্রবেশ করেছে পানি। ওই সব এলাকার গ্রামীণ রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে গেছে। নতুন করে পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে দুই হাজার পরিবার। 

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। ৬ ইউনিয়নের প্রায় ১৪ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছেন। এসব ইউনিয়নের ৪৫০ হেক্টর আমন ধান ও ৪৫ হেক্টর সবজির খেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। এতে নদের তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শাকসবজিসহ ১৯২ হেক্টর আমন ধানের খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলন নিয়ে কৃষকের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। 

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। নদের পাড় ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলো বাস করছে খোলা আকাশের নিচে। বন্যার শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে ব্রহ্মপুত্রপারের মানুষের। 

হালদা নদীর পূর্ব পাশের রাউজান অংশে বেড়িবাঁধ না থাকায় বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এমনকি দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে জমে থাকা বর্জ্য গিয়ে পড়ে নদীতে। এ অবস্থায় ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হালদার রাউজান অংশে বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্

উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বেড়েছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় ওই স্থানে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে। ফলে বন্যার আশঙ্কায় দিন কাটছে তিস্তাপারের মানুষের।

উজানের ঢলে আর ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে বেলা ৩টায় ১১ সেন্টিমিটার নিচে নামে। 

উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে নীলফামারীর তিস্তাপাড়ে আবারো বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার নৌবাড়ীয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) খালে বালু ফেলে দখল করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য স্বপন হোসেন ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

বাগেরহাটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী আবু হানিফকে তাঁর কার্যালয় থেকে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাধা দিতে গিয়ে মার খেয়েছেন দায়িত্বরত এক আনসার সদস্যসহ দু’জন। তাঁর নাক-মুখ ফেটে গেছে। আহত আনসার সদস্য নিত্যানন্দকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বাড়ছে তিস্তার পানি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ (৬টার পর) সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া

হাইকোর্টের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। কুষ্টিয়ায় পদ্মা-গড়াইয়ের মোহনা থেকে শুরু করে পাবনার পাকশী এলাকার সাড়াঘাট পর্যন্ত ১১টি স্থানে অবাদে এই বালু লুট করা হচ্ছে।

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত এলাকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার। 

নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি আজ বুধবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরে পানির প্রবাহ কিছুটা কমে গিয়ে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। এ মৌসুমে ডালিয়া পয়েন্টে দ্বিতীয়বার বিপৎসীমা অতিক্র

নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি ওঠানামা করছে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের প্রধান নদী সুরমাসহ সীমান্ত নদীগুলোর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। প্রায় এক সপ্তাহ পরে সুনামগঞ্জে রোদের দেখা মিলেছে। কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি।