পাট 

বৈশ্বিক মহামারিতে আবহাওয়া, জলবায়ু, প্রকৃতির মধ্যে ছিল পরিবর্তন। আর এমন প্রকৃতিই আশীর্বাদ হয়ে এসেছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কৃষকদের সোনালি আঁশের জমিতে। ৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রয় করলেও প্রায় ৩৬ হাজার টাকা হয়। এতে খরচ বাদে বিঘা প্রতি ২৫-৩০ হাজার টাকা লাভ হবে।' 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পাটের জাগ দিতে গিয়ে নদীতে ডুবে নুর কুতুব (৪০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (২৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের নামোচাকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে

সাতক্ষীরার পাটকেল ঘাটায় অন্য বছরের তুলনায় এবার পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। এ বছর পাট চাষের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমি।

তুলা, রেশম, পাট, ফ্লেক্স কিংবা হেম্প বা গাঁজার গাছ থেকে সুতা বের করে পোশাক বানানোর কৌশল বহু আগে রপ্ত করেছে মানুষ। আনারসপাতার তন্তু দিয়েও পোশক বানাত কোনো কোনো প্রাচীন গোষ্ঠীর মানুষ।

নাটোরের লালপুরে পাটের ফলন ও দাম ভালো হলেও পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কৃষকেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ছুটছেন বিল-ডোবা ও পুকুর-নালার খোঁজে। অনেকে কৃত্রিম খাল তৈরি করে শ্যালোর পানিতে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে পাট চাষিদের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে।

পাবনার আটঘরিয়ায় সনাতন পদ্ধতিতে চলছে পাট জাগ দিয়ে পচানোর কাজ। ফলে পাটের গুণগতমান দিন দিন কমে যাচ্ছে

সোনালি আঁশের সুদিন ফিরতে শুরু করেছে। গত বছর দাম ভালো পাওয়ায় রাজশাহীর পুঠিয়ায় এ বছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে পাট চাষ করেছেন চাষিরা

বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য মসলিনকে বড় পরিসর ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনের জন্য রূপগঞ্জের তারাবতে ‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ প্রতিষ্ঠা করবে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এই তথ্য জানান

ঢাকাই মসলিনের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী...

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ধান, গম, ভুট্টা, আখসহ অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সোনালি আঁশ খ্যাত পাটেরও ভালো আবাদ হয়েছে। চলতি বছর এ উপজেলায় পাটের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এখন সোনালি আঁশে কৃষকের সুদিন ফিরেছে

কুষ্টিয়ার খোকসায় পাট কাটা ও জাগ দেওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। এবার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে বেশি পাট চাষ হয়েছে। এ বছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৪৪৮ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রা থেকেও বেশি প্রায় সাড়ে ৩০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছে স্থানীয় চাষিরা।

পাট কাটা ও জাগ দেওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মেলান্দহ উপজেলা পাট কৃষকেরা। সময়মতো বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাট কেটে নদীনালা-খালবিল-ডোবায় জাগ দেওয়া ও আঁশ ছাড়ানো নিয়ে ব্যস্ত তাঁরা। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাত চাষ করা হয়েছে। 

গেল বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবার কুষ্টিয়ার খোকসায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে পাট বিক্রি করে লাভ না হলেও গত বছর দাম পেয়ে ভালো লাভ হয়েছে চাষিদের। যে পাট ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা মণ হিসেবে বিক্রি করত চাষিরা, গত বছর সেটা ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করতে পেরেছে।

খুলনার ডুমুরিয়ায় পাট চাষে এবার বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের। অনাবৃষ্টিতে বীজ বপনে সমস্যা হলেও পরবর্তীতে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত থাকায় পাটের চাষ ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনেক কৃষক।