পবিত্র শবে বরাত

আল্লাহ তাআলা মুসলিম জাতিকে এমন কিছু বরকতময় দিন ও রাত দিয়েছেন, যাতে ইবাদত করলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব। এসবের মধ্যে শবে বরাত একটি। নিচে এর পরিচয়, ফজিলত ও করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 

শবে বরাতের অন্যতম তাৎপর্য হলো, এই রাতে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বছরের তাকদির বা ভাগ্যলিপি দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতাদের কাছে দেওয়া হয়। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি কি জানো, অর্ধ শাবানের রাতের কার্যক্রম কী?’ আয়েশা (রা.) বললেন, ‘না, হে আল্লাহর রাসুল।’ নবী (সা.) বলেন, ‘চলতি বছর য

‘ইচ্ছা থাকলেও আগের মতো হালুয়া, রুটি বানানো হয় না। খাওয়ানোর তো মানুষ পাই না। পাড়াপড়শি, আত্মীয়-স্বজন যে যার মতো ব্যস্ত। শবে বরাতের ছুটিতেও কেউ কারও বাসায় আসে না, কারও বাসায় কেউ কিছু পাঠায়ও না’, বলছিলেন রাজধানীর আদাবরের গৃহিণী নাসিমা আক্তার।

অভিযোগের ভিত্তিতে মাংসসহ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে উখিয়া সদর দারোগা বাজার, কোটবাজার, সোনার পাড়া বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন।

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে শহরজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাবের সদস্যরা মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

শাবান মাসের ১৫তম রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) হলো শবে বরাত। ফারসি ভাষায় শব অর্থ রাত এবং বরাত অর্থ মুক্তি। শবে বরাত অর্থ মুক্তির রাত। এই রাতে মহান আল্লাহ মুক্তি ও মাগফেরাতের দরজা খুলে দেন, সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন। এটি নিঃসন্দেহে বরকতময় রাত। শাব

দেন এবং পাপকর্ম ক্ষমা করে তাদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। তাই এই রাতকে শবে বরাত বা মুক্তির রাত বলা হয়। এই রাতে পুরো বছরের ভাগ্য, রিজিক, জন্ম, মৃত্যুসহ মানবজীবনের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হওয়ার কথা হাদিসে বিবৃত হয়েছে। মহানবী (সা.) এই মহিমান্বিত রাত নফল ইবাদতে এবং এর পরের দিনটি নফল রোজা রেখ

হিজরি সনের অষ্টম মাস শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি ইসলামে বেশ মর্যাদাপূর্ণ। এ রাতকে লাইলাতুল বারাআত ও শবে বরাত তথা মুক্তির রাত বলে অভিহিত করা হয়। হাদিসের ভাষায় এ রাতকে ‘লাইলাতুন মিন নিসফি শাবান’ বা ‘শাবান মাসের মধ্য দিবসের রাতও বলা হয়েছে। কোরআন-হাদিসে এ রাতের অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে।

পবিত্র শবে বরাত আজ। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার দিবাগত রাতে পালিত হবে সৌভাগ্য ও ক্ষমার এই রাতটি। হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটিকে মুসলমানরা সৌভাগ্যের রাত হিসেবে পালন করে থাকেন। মহিমান্বিত এ রাতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ রাত

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে তাঁরা ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা এবং মুসলিম উন্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা করেছেন

ইসলামের দৃষ্টিতে বড় ফজিলতপূর্ণ রাত—শবে বরাত। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে ইবাদতের মাধ্যমে এটি পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। হাদিসে এ রাতের অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। নিচে এ সম্পর্কিত কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করা হলো—

পবিত্র শবে বরাত উদ্‌যাপিত হবে আগামী শুক্রবার দিবাগত রাতে। এ রাতে কোনো প্রকার বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকা, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও আজ বৃহস্পতিবার ১৪৪৩ হিজরি সালের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সে হিসেবে আগামীকাল শুক্রবার রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। আগামী শনিবার থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। চন্দ্র মাস অনুযায়ী মার্চের ১৮ তারিখ শুক্রবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত। 

ইসলাম পবিত্রতম জীবনব্যবস্থা। আল্লাহ তাআলা পবিত্র এবং তিনি পবিত্রতা পছন্দ করেন। পবিত্রতা মানুষের তনুমনে তৃপ্তি দেয়, ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করে। ইসলামে পবিত্রতা

শবেবরাতের রাতে কান্ত ও তাঁর বন্ধুরা পাঁচতলা বাড়ির ছাদে বাজি ফুটিয়ে নিচে নামছিল। তখন আমি কান্তকে বকা দিই বাজি ফোটানোর জন্য। কান্ত আমার দিকে তাকিয়ে হেসে দিয়েছিল। আমি সেই হাসি আজও ভুলতে পারি না।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সোমবার পালিত হয়েছে পবিত্র শবে বরাত। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে “পবিত্র শবে বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য” শীর্ষক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।