Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

অনার সব সময় চেষ্টা করে নতুন কিছু করার

Thumbnail Image

দেশের বাজারে ২০২৩ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে অনার বাংলাদেশ। ব্র্যান্ডটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আজকের পত্রিকা প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান অবস্থা, ব্র্যান্ড ও ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছে অনার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ম্যানেজার মুজাহিদুল ইসলামের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু

বাংলাদেশের বাজারে অনারের যাত্রা শুরু বেশি দিন হয়নি। ব্র্যান্ডটি দিয়েই শুরু করা যাক আলোচনা।

মুজাহিদুল ইসলাম: অনার ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু ২০১৬ সালে। এটা চীনের বিখ্যাত ব্র্যান্ড হুয়াওয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ছিল। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে গুগল ও হুয়াওয়ের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে ওই বছর অনারকে হুয়াওয়ে থেকে আলাদা করা হয়। এখন হুয়াওয়ে চীনের লোকাল ব্র্যান্ড এবং অনার গ্লোবাল। বাংলাদেশের বাজারে ২০২৩ সালের নভেম্বরে অনার যাত্রা শুরু করে।

বাংলাদেশে স্মার্টফোনের বাজার বেশ প্রতিযোগিতামূলক। এই অবস্থায় অনার আলাদা কী নিয়ে এল, যা ব্যবহারকারীদের নতুন অভিজ্ঞতা দেবে?

মুজাহিদুল ইসলাম: অনার সব সময় নতুন কিছু নিয়ে আসার চেষ্টা করে। বাংলাদেশের বাজারে ব্যবহারকারীদের মূল চিন্তা ফোনসেটের স্থায়িত্ব, মান এবং দাম নিয়ে। এসব বিষয় ভেবে তিন ভাগে আমাদের ফোনসেটগুলো বাজারে এনেছি। প্রথমটি এক্স সিরিজ, এটিকে বলা যায় অলরাউন্ডার। স্বল্প বাজেটের মধ্যে এই ফোনসেটে ভালো মান ও স্থায়িত্ব পাবেন। যাঁরা ছবি তুলতে বা বিনোদন পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য রয়েছে নম্বর সিরিজ। বাজেটের চেয়ে পারফরম্যান্সের দিকে যাঁরা

বেশি নজর দেন, তাঁদের জন্য অনার ম্যাজিক সিরিজ। ফোনসেটের বডির স্থায়িত্বে এটি দারুণ অভিজ্ঞতা দেবে। এ ছাড়া আমাদের ফোল্ডিং ফোনসেট রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ফোল্ডিং ফোনসেট অনার তৈরি করে।

অনার ফোনসেট কেনার জন্য ব্যবহারকারীদের কেমন বাজেট রাখতে হবে?

মুজাহিদুল ইসলাম: আমাদের যেহেতু এখনো বাংলাদেশে ফোনসেট উৎপাদনের কার্যক্রম

শুরু করা হয়নি, সে কারণে চাইলেও নির্দিষ্ট বাজেট থেকে নিচে নেমে যাওয়া কোনোভাবে সম্ভব হচ্ছে না। তবে ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকায় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে অনারের সবচেয়ে কম বাজেটের ফোনসেট।

কয়েকটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড এখন বাংলাদেশে ফোনসেট উৎপাদন শুরু করেছে। এ ব্যাপারে অনারের পরিকল্পনা কী?

মুজাহিদুল ইসলাম: বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ব্যবসা পরিচালনার জন্য এখানে ফোনসেট উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই। হ্যাঁ, এটা নিয়ে অনারের পরিকল্পনা আছে।

বর্তমানে এআই প্রযুক্তির বাইরে ভাবার সুযোগ নেই। স্মার্টফোনগুলোতে এখন এই সুবিধা রয়েছে। অনার ফোনে এর ব্যবহার কেমন?

মুজাহিদুল ইসলাম: আমাদের সবচেয়ে কম বাজেটের ফোনে এআই সুবিধা রয়েছে। এই বাজেটে এখনো কোনো গ্লোবাল ব্র্যান্ড এমন সুবিধা আনতে পারেনি। অনেক ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনে এআই প্রযুক্তি থাকলেও সেগুলো নিয়ে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়; কিন্তু অনার প্রযুক্তিকে ব্যবহারকারীদের উপযোগী করে দেয়।

ফোনসেট কেনার পর সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা এখন সচেতন। এটি আপনারা কতটা নিশ্চিত করছেন?

মুজাহিদুল ইসলাম: বাংলাদেশে অনার নতুন হলেও এখানে আমাদের পার্টনার স্মার্ট টেকনোলজি, যাদের বেশ শক্তিশালী সার্ভিস নেটওয়ার্ক রয়েছে। এ সুবিধা আমরা পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছি। সারা দেশে আমাদের ১৮টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে, কালেকশন পয়েন্ট ৪২টি। এতে আমাদের পাঁচ থেকে সাত কর্মদিবসের প্রয়োজন। কারণ, ফোন ঠিক হওয়ার পর আমরা আগে চালিয়ে দেখি, সব ঠিক আছে কি না। এর জন্য দুই দিন বেশি সময় নিই।

দেশের বাজারে অন্যান্য দেশের স্মার্টফোন থাকলেও চীনের আধিপত্য বেশ পুরোনো। এর কারণ কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

মুজাহিদুল ইসলাম: প্রায় এক দশক আগে দেশের বাজারে ইউরোপ ও এশিয়ার অন্য দেশের ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন বেশি ছিল, যেমন ফিনল্যান্ডের নকিয়া, জার্মানির সিমেন্স, দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং বা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপল। একটি ফোনসেট তৈরিতে ১৭ ধরনের উপাদান প্রয়োজন, যেগুলো শুরুতে চীনে তৈরি হতো। চীনের এই বাজার যখন শক্তিশালী হয়, তখন নিজেরা ফোনসেট তৈরিতে জোর দেয়।

স্মার্টফোন ছাড়াও অনারের অনেক গ্যাজেট রয়েছে। কিন্তু দেশের বাজারে টেক ব্র্যান্ডগুলোর ফোন ছাড়া অন্য গ্যাজেটগুলোর চাহিদা তৈরি হয়নি। এটা কেন?

মুজাহিদুল ইসলাম: এটার সুযোগ কম হওয়ার কারণ গ্রাহকের প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করা। স্মার্টফোনের বাইরে অন্য গ্যাজেট ব্যবহার করার গ্রাহক কম, যেমন একটি স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা এখনো সেভাবে তৈরি হয়নি। তবে সেই বাজার এখন তৈরি হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত