Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

অনার সব সময় চেষ্টা করে নতুন কিছু করার

মুজাহিদুল ইসলাম। ছবি: জাহিদুল ইসলাম

দেশের বাজারে ২০২৩ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে অনার বাংলাদেশ। ব্র্যান্ডটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আজকের পত্রিকা প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান অবস্থা, ব্র্যান্ড ও ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছে অনার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ম্যানেজার মুজাহিদুল ইসলামের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু

মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা

বাংলাদেশের বাজারে অনারের যাত্রা শুরু বেশি দিন হয়নি। ব্র্যান্ডটি দিয়েই শুরু করা যাক আলোচনা।

মুজাহিদুল ইসলাম: অনার ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু ২০১৬ সালে। এটা চীনের বিখ্যাত ব্র্যান্ড হুয়াওয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ছিল। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে গুগল ও হুয়াওয়ের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে ওই বছর অনারকে হুয়াওয়ে থেকে আলাদা করা হয়। এখন হুয়াওয়ে চীনের লোকাল ব্র্যান্ড এবং অনার গ্লোবাল। বাংলাদেশের বাজারে ২০২৩ সালের নভেম্বরে অনার যাত্রা শুরু করে।

বাংলাদেশে স্মার্টফোনের বাজার বেশ প্রতিযোগিতামূলক। এই অবস্থায় অনার আলাদা কী নিয়ে এল, যা ব্যবহারকারীদের নতুন অভিজ্ঞতা দেবে?

মুজাহিদুল ইসলাম: অনার সব সময় নতুন কিছু নিয়ে আসার চেষ্টা করে। বাংলাদেশের বাজারে ব্যবহারকারীদের মূল চিন্তা ফোনসেটের স্থায়িত্ব, মান এবং দাম নিয়ে। এসব বিষয় ভেবে তিন ভাগে আমাদের ফোনসেটগুলো বাজারে এনেছি। প্রথমটি এক্স সিরিজ, এটিকে বলা যায় অলরাউন্ডার। স্বল্প বাজেটের মধ্যে এই ফোনসেটে ভালো মান ও স্থায়িত্ব পাবেন। যাঁরা ছবি তুলতে বা বিনোদন পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য রয়েছে নম্বর সিরিজ। বাজেটের চেয়ে পারফরম্যান্সের দিকে যাঁরা

বেশি নজর দেন, তাঁদের জন্য অনার ম্যাজিক সিরিজ। ফোনসেটের বডির স্থায়িত্বে এটি দারুণ অভিজ্ঞতা দেবে। এ ছাড়া আমাদের ফোল্ডিং ফোনসেট রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ফোল্ডিং ফোনসেট অনার তৈরি করে।

অনার ফোনসেট কেনার জন্য ব্যবহারকারীদের কেমন বাজেট রাখতে হবে?

মুজাহিদুল ইসলাম: আমাদের যেহেতু এখনো বাংলাদেশে ফোনসেট উৎপাদনের কার্যক্রম

শুরু করা হয়নি, সে কারণে চাইলেও নির্দিষ্ট বাজেট থেকে নিচে নেমে যাওয়া কোনোভাবে সম্ভব হচ্ছে না। তবে ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকায় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে অনারের সবচেয়ে কম বাজেটের ফোনসেট।

কয়েকটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড এখন বাংলাদেশে ফোনসেট উৎপাদন শুরু করেছে। এ ব্যাপারে অনারের পরিকল্পনা কী?

মুজাহিদুল ইসলাম: বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ব্যবসা পরিচালনার জন্য এখানে ফোনসেট উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই। হ্যাঁ, এটা নিয়ে অনারের পরিকল্পনা আছে।

বর্তমানে এআই প্রযুক্তির বাইরে ভাবার সুযোগ নেই। স্মার্টফোনগুলোতে এখন এই সুবিধা রয়েছে। অনার ফোনে এর ব্যবহার কেমন?

মুজাহিদুল ইসলাম: আমাদের সবচেয়ে কম বাজেটের ফোনে এআই সুবিধা রয়েছে। এই বাজেটে এখনো কোনো গ্লোবাল ব্র্যান্ড এমন সুবিধা আনতে পারেনি। অনেক ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনে এআই প্রযুক্তি থাকলেও সেগুলো নিয়ে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়; কিন্তু অনার প্রযুক্তিকে ব্যবহারকারীদের উপযোগী করে দেয়।

ফোনসেট কেনার পর সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা এখন সচেতন। এটি আপনারা কতটা নিশ্চিত করছেন?

মুজাহিদুল ইসলাম: বাংলাদেশে অনার নতুন হলেও এখানে আমাদের পার্টনার স্মার্ট টেকনোলজি, যাদের বেশ শক্তিশালী সার্ভিস নেটওয়ার্ক রয়েছে। এ সুবিধা আমরা পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছি। সারা দেশে আমাদের ১৮টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে, কালেকশন পয়েন্ট ৪২টি। এতে আমাদের পাঁচ থেকে সাত কর্মদিবসের প্রয়োজন। কারণ, ফোন ঠিক হওয়ার পর আমরা আগে চালিয়ে দেখি, সব ঠিক আছে কি না। এর জন্য দুই দিন বেশি সময় নিই।

দেশের বাজারে অন্যান্য দেশের স্মার্টফোন থাকলেও চীনের আধিপত্য বেশ পুরোনো। এর কারণ কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

মুজাহিদুল ইসলাম: প্রায় এক দশক আগে দেশের বাজারে ইউরোপ ও এশিয়ার অন্য দেশের ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন বেশি ছিল, যেমন ফিনল্যান্ডের নকিয়া, জার্মানির সিমেন্স, দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং বা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপল। একটি ফোনসেট তৈরিতে ১৭ ধরনের উপাদান প্রয়োজন, যেগুলো শুরুতে চীনে তৈরি হতো। চীনের এই বাজার যখন শক্তিশালী হয়, তখন নিজেরা ফোনসেট তৈরিতে জোর দেয়।

স্মার্টফোন ছাড়াও অনারের অনেক গ্যাজেট রয়েছে। কিন্তু দেশের বাজারে টেক ব্র্যান্ডগুলোর ফোন ছাড়া অন্য গ্যাজেটগুলোর চাহিদা তৈরি হয়নি। এটা কেন?

মুজাহিদুল ইসলাম: এটার সুযোগ কম হওয়ার কারণ গ্রাহকের প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করা। স্মার্টফোনের বাইরে অন্য গ্যাজেট ব্যবহার করার গ্রাহক কম, যেমন একটি স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা এখনো সেভাবে তৈরি হয়নি। তবে সেই বাজার এখন তৈরি হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দারিদ্র্য ও যৌন সহিংসতার এআই নির্মিত ভুয়া ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছে এনজিওগুলো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ৩৩
২০২৩ সালে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল নেদারল্যান্ডসে শিশুবিবাহবিরোধী এক ভিডিও ক্যাম্পেইনে এআই-নির্মিত এ ছবি ব্যবহার করেছিল। ছবি: প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সৌজন্যে
২০২৩ সালে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল নেদারল্যান্ডসে শিশুবিবাহবিরোধী এক ভিডিও ক্যাম্পেইনে এআই-নির্মিত এ ছবি ব্যবহার করেছিল। ছবি: প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সৌজন্যে

বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক এনজিওর প্রচারণায় বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি ভুয়া ছবি ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দারিদ্র্য ও যৌন সহিংসতার এসব ছবি ‘দারিদ্র্য পর্নো’র (প্রোভার্টি পর্নো) নতুন যুগ বলে সতর্ক করেছেন সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এথিক্যাল ইমেজ প্রচারকারী সংস্থা ফেয়ার পিকচারের কর্মকর্তা নোয়া আর্নল্ড।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে নোয়া আর্নল্ড বলেন, সব জায়গায় এখন এসব ছবি ব্যবহার হচ্ছে। কেউ সচেতনভাবে ব্যবহার করছে, আবার কেউ পরীক্ষামূলকভাবে।

অ্যান্টওয়ার্পের ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষক আর্সেনি আলেনিচেভ বলেন, এই ছবিগুলো দারিদ্র্যের প্রচলিত ভিজ্যুয়াল ব্যাকরণ পুনরুৎপাদন করছে। যেমন খালি প্লেট হাতে শিশু, ফেটে যাওয়া মাটি বা কষ্টে ভরা মুখ। এগুলো প্রচলিত স্টেরিওটাইপকে আরও জোরদার করছে।

তিনি ১০০টির বেশি এআই নির্মিত দারিদ্র্য ও সহিংসতাসংক্রান্ত ছবি সংগ্রহ করেছেন, যা ব্যক্তি ও এনজিওরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুধা ও যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রচারণায় ব্যবহার করেছে। দ্য গার্ডিয়ানে দেওয়া কিছু ছবিতে দেখা যায়—কাদামাটির পানিতে গুটিসুটি মেরে থাকা শিশু, বিয়ের পোশাক পরা এক আফ্রিকান মেয়ের গালে গড়িয়ে পড়া অশ্রু।

সম্প্রতি ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথে প্রকাশিত এক নিবন্ধে আর্সেনি আলেনিচেভ এ প্রবণতাকে বলেছেন ‘প্রোভার্টি পর্নো ২.০’।

আলেনিচেভ জানান, এ ভুয়া ছবিগুলোর ব্যবহার বাড়ছে মূলত ব্যয় কমানো ও সম্মতিসংক্রান্ত জটিলতা এড়ানোর জন্য। তিনি বলেন, বাস্তব ফটোগ্রাফির তুলনায় সিনথেটিক ছবি সস্তা এবং তাতে কারও অনুমতি নিতে হয় না, এ কারণে অনেক সংস্থা এ পথে হাঁটছে।

জনপ্রিয় স্টক ফটো সাইট অ্যাডোবি স্টক ফটোস ও ফ্রিপিকে এখন ‘poverty’ বা দারিদ্র্য লিখে সার্চ করলে ডজন ডজন এআই নির্মিত ছবি পাওয়া যাচ্ছে। ছবিগুলোর ক্যাপশনে লেখা—‘শরণার্থীশিবিরের শিশু’, ‘আবর্জনা ভরা নদীতে সাঁতার কাটছে এশিয়ার এক শিশু’, বা ‘সাদা স্বেচ্ছাসেবক আফ্রিকান গ্রামের কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের চিকিৎসা দিচ্ছেন’। অ্যাডোবি এসব ছবির মধ্যে দুটি বিক্রি করেছে প্রায় ৬০ পাউন্ডে।

আলেনিচেভ বলেন, এ ছবিগুলো এতটাই বর্ণবাদী যে, এগুলো প্রকাশের অনুমতিই দেওয়া উচিত নয়। এগুলো আফ্রিকা, ভারত কিংবা অন্য দরিদ্র অঞ্চলের সম্পর্কে সবচেয়ে খারাপ তথ্য ছড়াচ্ছে।

ফ্রিপিকের প্রধান নির্বাহী জোয়াকিন অ্যাবেলা বলেন, প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং এসব ছবি ব্যবহারের দায় ব্যবহারকারীদের। তিনি জানান, এসব ছবি তৈরি করেন ফ্রিপিকের বৈশ্বিক ব্যবহারকারীরা। তাঁরা ছবিগুলো বিক্রি হলে রয়্যালটি পান। তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফটো গ্যালারিতে বৈচিত্র্য ও লিঙ্গভিত্তিক সমতা আনতে কাজ করছে, তবে সব পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করা ‘সমুদ্র শুকানোর চেষ্টার মতো কঠিন’।

তবে এর আগেও বড় সাহায্য সংস্থাগুলো তাদের প্রচারণায় এআই ছবি ব্যবহার করেছে। ২০২৩ সালে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল নেদারল্যান্ডসে শিশুবিবাহবিরোধী এক ভিডিও ক্যাম্পেইনে এআই-নির্মিত মেয়েশিশু, এক বৃদ্ধ পুরুষ ও এক গর্ভবতী কিশোরীর ছবি ব্যবহার করে।

একই বছর ইউটিউবে সংঘাতকালীন যৌন সহিংসতার একটি এআই নির্মিত ভিডিও প্রকাশ করেছিল জাতিসংঘ। এতে ১৯৯৩ সালের বুরুন্ডির গৃহযুদ্ধের সময় ধর্ষণের শিকার এক নারীর কথিত সাক্ষ্যও যুক্ত ছিল। তবে দ্য গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানের পর ভিডিওটি সরিয়ে ফেলা হয়।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ভিডিওটি এক বছর আগে তৈরি হয়েছিল এবং তাতে বাস্তব ও কৃত্রিম দৃশ্যের মিশ্রণ ছিল। আমরা মনে করি, এটি তথ্যের সততা নষ্ট করতে পারে, তাই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’

ওই মুখপাত্র আরও বলেন, যুদ্ধকালীন যৌন সহিংসতার শিকার নারীদের পাশে দাঁড়াতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে উদ্ভাবনী পদ্ধতির প্রয়োগেও নৈতিক মান বজায় রাখতে হবে।

ফেয়ার পিকচারের আর্নল্ড বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে আমরা দারিদ্র্য ও সহিংসতা চিত্রায়ণে নৈতিকতার প্রশ্নে লড়াই করছি, অথচ এখন দেখা যাচ্ছে, মানুষের পরিবর্তে এআই নির্মিত ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে।’

এনজিও যোগাযোগ পরামর্শক কেট কারডল বলেন, এই প্রবণতা ভয়ংকর। আগে যেভাবে ‘দারিদ্র্য পর্নো’ বিতর্ক হয়েছিল, এখন সেটা বাস্তবের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে—যা আরও দুঃখজনক।

আর্সেনি আলেনিচেভ সতর্ক করেছেন, এআই টুলগুলো সমাজের প্রচলিত পক্ষপাত পুনরুৎপাদন করছে—কখনো আরও বাড়িয়ে তুলছে। এভাবে গ্লোবাল হেলথ সেক্টরের প্রচারণায় ব্যবহৃত পক্ষপাতদুষ্ট ছবি ইন্টারনেটজুড়ে ছড়িয়ে ভবিষ্যতের এআই মডেলগুলোতেও বর্ণবাদ ও বৈষম্যকে আরও গভীর করে তুলতে পারে।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল জানায়, সংস্থাটি চলতি বছর থেকে শিশুদের ছবি এআই দিয়ে তৈরির বিরুদ্ধে নির্দেশনা জারি করেছে। তাদের ২০২৩ সালের প্রচারণায় এআইয়ের ছবি ব্যবহারের কারণ হিসেবে বলা হয়, ‘মেয়েদের গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষার উদ্দেশ্যে’ এমন করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে অ্যাডোবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমাজনের ক্লাউড সেবায় বিঘ্ন, বিশ্বজুড়ে ওয়েবসাইট ও অ্যাপ সেবা ব্যাহত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিশ্বজুড়ে বিপুলসংখ্যক অনলাইন পরিষেবা আমাজনের ক্লাউড সেবার ওপর নির্ভরশীল। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে বিপুলসংখ্যক অনলাইন পরিষেবা আমাজনের ক্লাউড সেবার ওপর নির্ভরশীল। ছবি: সংগৃহীত

আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস (এডব্লিউএস)-এর অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বিশ্বজুড়ে বহু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। আমাজনের ক্লাউড কম্পিউটিং বিভাগ এডব্লিউএস-এর এই বিভ্রাটের কারণে ব্যাংক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যন্ত অসংখ্য প্ল্যাটফর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই বিভ্রাটের কারণে স্ন্যাপচ্যাট, ডুয়োলিঙ্গো, জুম এবং গেমিং প্ল্যাটফর্ম রোব্লোক্স-সহ বহু সংস্থা প্রভাবিত হয়েছে। এ ছাড়া, লয়েডস এবং হ্যালিফ্যাক্স-এর মতো ব্যাংকের গ্রাহকেরাও সমস্যায় পড়েছেন।

এডব্লিউএস হলো আমাজনের ওয়েব সার্ভার অবকাঠামো, যা কোটি কোটি বড় প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এবং প্ল্যাটফর্মকে সাপোর্ট দেয়। ফলে একটি অঞ্চলে সমস্যা হলেও এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে।

পর্যবেক্ষক সংস্থা ডাউন ডিটেক্টর জানিয়েছে, আজ সোমবার সকালে বিশ্বজুড়ে ৪ কোটিরও বেশি সমস্যার অভিযোগ জমা পড়েছে। এটি একটি সাধারণ কর্মদিবসে আসা অভিযোগের সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি।

ডাউন ডিটেক্টর জানায়, ইউটিসি সময় ৬টা ৫৬ মিনিট বা বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৫৬ মিনিট থেকে ব্যবহারকারীরা এডব্লিউএস-এর ইউএস ইস্ট ১ অঞ্চলে বিশেষ করে সমস্যায় পড়তে শুরু করেন। এই বিভ্রাটে ৫০০ টিরও বেশি কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। এই বিভ্রাট শুরুর পর মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে শুধু যুক্তরাজ্য থেকেই ৪ লাখেরও বেশি সমস্যার রিপোর্ট এসেছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এডব্লিউএস জানিয়েছে যে তারা এখন ‘উল্লেখযোগ্যভাবে পুনরুদ্ধারের লক্ষণ’ দেখতে পাচ্ছে এবং সার্ভারে বেশির ভাগ রিকোয়েস্টই সফল হচ্ছে। তবে সম্পূর্ণরূপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো, প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে একটি একক ক্লাউড সেবাদানকারী সংস্থার ওপর নির্ভরশীল থাকলে কেমন বিপদ হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করলে ব্লক করা হবে সাইট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করলে ব্লক করা হবে সাইট

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীকাল ১৯ অক্টোবর থেকে যদি কোনো সংবাদপত্র (অনলাইন ভার্সনসহ), নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কনটেন্ট প্রচারিত হয় তবে বিনা নোটিশে সেই সাইট ব্লক করে দেওয়া হবে।

আজ শনিবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং ও পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন ও প্রমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। যা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর পরিপন্থী এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। এই ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার একাধিক প্রজ্ঞাপন ও প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারের সতর্কতার পর ইতিমধ্যে ক্রিকইনফো, জনকণ্ঠ, ঢাকা পোস্টসহ আরও বেশ কয়েকটি পত্রিকা তাদের এডসেন্স পরিবর্তন করেছে, এজন্য তাদের ধন্যবাদ।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে এ বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ), জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) যৌথভাবে কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িক বন্ধ করেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো: ফয়েজ আহমদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ফাইল ছবি
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িক বন্ধ করেছে বলে জানানো হয়েছে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘দেশের সব পত্রিকা, অনলাইন পোর্টালসহ যেকোনো স্থানীয় এবং আঞ্চলিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সংস্থা, কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং সেলিব্রেটিদের প্রতি আহ্বান জানানো জানানো যাচ্ছে যে—তারা যেন কোনোভাবেই জুয়া, বেটিং, পর্নোগ্রাফি বা অনৈতিক পণ্য ও সেবার প্রচারে অংশগ্রহণ না করেন এবং এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকেন।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওয়েবসাইট, পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল, অ্যাপ ইত্যাদি ডিফল্ড এডসেন্স-এ না চালিয়ে বরং কাস্টমাইজড করতে হবে যাতে জুয়া পর্ন গ্যাম্বলিং এবং এতদসংক্রান্ত গেইমিং বিজ্ঞাপন বা পপ-আপ না আসে।’

ফয়েজ আহমেদ আরও লেখেন, ‘মোবাইল কোম্পানি, আইএসপি, গুগল অ্যাডসেন্স, মেটা অ্যাডসহ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নৈতিকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় আইন, পপ-আপ ব্লকিং ও ফিল্টারিং নীতি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টেকনোলজি প্ল্যাটফর্ম, ইন্টারনেট সেবাদাতা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, স্পোর্টস সাইট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং এমনকি কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং ও পর্নগ্রাফি বিষয়ক বিজ্ঞাপন ও প্রোমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। এই ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর সরাসরি পরিপন্থী।’

তিনি আরও জানান, ‘জুয়ার বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলবে এবং প্রচলিত আইন ভঙ্গ করলে জনমত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ব্লক করার বিষয় সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে, এবং এব্যাপারে পাবলিক কমিউনিকেশন করা হবে।’

বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান ফয়েজ আহমদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত