অনলাইন ডেস্ক
নতুন এক প্রযুক্তির হাত ধরে বাস্তবতা ও কল্পনার সীমারেখা যেন ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে। গুগলের নতুন ভিডিও জেনারেটর ভিও ৩ দিয়ে তৈরি কিছু ভিডিও এখন ইন্টারনেটজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, যেগুলো এতটাই বাস্তব সদৃশ যে অনেক দর্শকই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। ভিডিওগুলো এতটাই বাস্তব যে তা দেখে বিস্ময়ের পাশাপাশি শঙ্কিত হচ্ছেন অনেকেই। বাস্তব আর কৃত্রিমের সীমারেখা কোথায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
গত ডিসেম্বরে উন্মুক্ত হওয়া ওপেনএআইয়ের ভিডিও জেনারেটর ‘সোরা’র তুলনায় গুগল ডিপমাইন্ডের ভিও ৩ আরও এক ধাপ এগিয়ে। এতে সংলাপ, সাউন্ডট্র্যাক এবং সাউন্ড ইফেক্ট যোগ করা যায়। জটিল প্রম্পট অনুসরণ করে বিস্তারিত বর্ণনাকে নিখুঁত ভিডিওতে রূপান্তর করতে সক্ষম এই এআই।
ভিডিওগুলো বাস্তব জগতের পদার্থবিজ্ঞান মেনে চলে, ঠোঁটের গতির সঙ্গে সংলাপ মিলে যায়, ধারাবাহিকতায় বিচ্যুতি থাকে না এবং প্রতিটি চরিত্রকে দেওয়া হয় স্বাভাবিক গড়নের। বেশির ভাগ এআই মানুষের আঙুলগুলো ভুলভাবে উপস্থাপন করে। তবে এই অ্যাপটি মানুষের পাঁচটি আঙুল সঠিক ভাবে তুলে ধরে।
গুগল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের শেয়ার করা উদাহরণগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সাধারণত এআই দিয়ে তৈরি ভিডিওগুলোতে যেসব ত্রুটি ধরা পড়ে—ভিও ৩-এ সেগুলোর অনেকটাই অনুপস্থিত।
ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এবং ক্যামেরা প্রযুক্তির উন্নতি বহু বছর ধরেই হলিউডকে পাল্টে দিয়েছে। তবে ভিও ৩-এর মতো এআই ভিডিও জেনারেটর চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।
গুগলের নতুন ভিডিও ‘টুল ফ্লো’-এর প্রোমো ভিডিওতে একাধিক চলচ্চিত্র নির্মাতা ভিও ৩ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তাদের ভাষ্যমতে, এআই যেন নিজেই নিজেকে আরও উন্নত করে নিচ্ছে।
পরিচালক ডেভ ক্লার্ক বলেন, ‘এটি এমনভাবে কাজ করছে, যেন নিজেই নিজের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে।’
গুগল আই/ও সম্মেলনে ভিও ৩-এর ঘোষণা দেওয়া হয় এবং এখন এটি যুক্তরাষ্ট্রে মাসে ২৪৯ ডলারের গুগল আলট্রা সাবস্ক্রিপশনের অংশ হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে।
গুগলের দাবি, ভিও ৩ নির্মাণে তারা নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করেছে এবং কিছু নির্মাতা এই এআই টুলকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। তবে অনলাইনে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় অনেক ভিডিও পেশাদার এবং শিল্পীরা হতাশ হচ্ছেন।
অনেকেই এআই দিয়ে তৈরি ভিডিওকে নিকৃষ্ট বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। এআই বিশ্লেষক ইথান মোলিকের মতে, এই টুলটি বাণিজ্যিক মার্কেটিং ও মিডিয়ার কাজে কার্যকর হতে পারে।
তবে এখনো স্পষ্ট নয়, গুগল কীভাবে ভিও ৩-কে প্রশিক্ষিত করেছে এবং সেটি এই এআইয়ের সৃজনশীলতাকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, একজন মানুষকে দিয়ে স্ট্যান্ড-আপ কমেডি ভিডিও বানাতে বললে ভিও ৩ একাধিক ব্যবহারকারীর জন্য একই রসিকতা তৈরি করেছে।
এমনকি ইউটিউবার মার্কেস ব্রাউনলি গত বছর সোরাকে ‘একজন টেক রিভিউয়ার ডেস্কে বসে আছে’ এমন একটি ভিডিও বানাতে বলেন। সেই ভিডিওতে যে কৃত্রিম গাছ দেখা যায়, তা অবিকল ব্রাউনলির ডেস্কে থাকা গাছের মতো—যা ইঙ্গিত দেয়, হয়তো এই টুলটি তার ভিডিও থেকেই প্রশিক্ষণ পেয়েছে।
তথ্যসূত্র: অ্যাক্সিওস
নতুন এক প্রযুক্তির হাত ধরে বাস্তবতা ও কল্পনার সীমারেখা যেন ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে। গুগলের নতুন ভিডিও জেনারেটর ভিও ৩ দিয়ে তৈরি কিছু ভিডিও এখন ইন্টারনেটজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, যেগুলো এতটাই বাস্তব সদৃশ যে অনেক দর্শকই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। ভিডিওগুলো এতটাই বাস্তব যে তা দেখে বিস্ময়ের পাশাপাশি শঙ্কিত হচ্ছেন অনেকেই। বাস্তব আর কৃত্রিমের সীমারেখা কোথায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
গত ডিসেম্বরে উন্মুক্ত হওয়া ওপেনএআইয়ের ভিডিও জেনারেটর ‘সোরা’র তুলনায় গুগল ডিপমাইন্ডের ভিও ৩ আরও এক ধাপ এগিয়ে। এতে সংলাপ, সাউন্ডট্র্যাক এবং সাউন্ড ইফেক্ট যোগ করা যায়। জটিল প্রম্পট অনুসরণ করে বিস্তারিত বর্ণনাকে নিখুঁত ভিডিওতে রূপান্তর করতে সক্ষম এই এআই।
ভিডিওগুলো বাস্তব জগতের পদার্থবিজ্ঞান মেনে চলে, ঠোঁটের গতির সঙ্গে সংলাপ মিলে যায়, ধারাবাহিকতায় বিচ্যুতি থাকে না এবং প্রতিটি চরিত্রকে দেওয়া হয় স্বাভাবিক গড়নের। বেশির ভাগ এআই মানুষের আঙুলগুলো ভুলভাবে উপস্থাপন করে। তবে এই অ্যাপটি মানুষের পাঁচটি আঙুল সঠিক ভাবে তুলে ধরে।
গুগল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের শেয়ার করা উদাহরণগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সাধারণত এআই দিয়ে তৈরি ভিডিওগুলোতে যেসব ত্রুটি ধরা পড়ে—ভিও ৩-এ সেগুলোর অনেকটাই অনুপস্থিত।
ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এবং ক্যামেরা প্রযুক্তির উন্নতি বহু বছর ধরেই হলিউডকে পাল্টে দিয়েছে। তবে ভিও ৩-এর মতো এআই ভিডিও জেনারেটর চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।
গুগলের নতুন ভিডিও ‘টুল ফ্লো’-এর প্রোমো ভিডিওতে একাধিক চলচ্চিত্র নির্মাতা ভিও ৩ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তাদের ভাষ্যমতে, এআই যেন নিজেই নিজেকে আরও উন্নত করে নিচ্ছে।
পরিচালক ডেভ ক্লার্ক বলেন, ‘এটি এমনভাবে কাজ করছে, যেন নিজেই নিজের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে।’
গুগল আই/ও সম্মেলনে ভিও ৩-এর ঘোষণা দেওয়া হয় এবং এখন এটি যুক্তরাষ্ট্রে মাসে ২৪৯ ডলারের গুগল আলট্রা সাবস্ক্রিপশনের অংশ হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে।
গুগলের দাবি, ভিও ৩ নির্মাণে তারা নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করেছে এবং কিছু নির্মাতা এই এআই টুলকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। তবে অনলাইনে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় অনেক ভিডিও পেশাদার এবং শিল্পীরা হতাশ হচ্ছেন।
অনেকেই এআই দিয়ে তৈরি ভিডিওকে নিকৃষ্ট বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। এআই বিশ্লেষক ইথান মোলিকের মতে, এই টুলটি বাণিজ্যিক মার্কেটিং ও মিডিয়ার কাজে কার্যকর হতে পারে।
তবে এখনো স্পষ্ট নয়, গুগল কীভাবে ভিও ৩-কে প্রশিক্ষিত করেছে এবং সেটি এই এআইয়ের সৃজনশীলতাকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, একজন মানুষকে দিয়ে স্ট্যান্ড-আপ কমেডি ভিডিও বানাতে বললে ভিও ৩ একাধিক ব্যবহারকারীর জন্য একই রসিকতা তৈরি করেছে।
এমনকি ইউটিউবার মার্কেস ব্রাউনলি গত বছর সোরাকে ‘একজন টেক রিভিউয়ার ডেস্কে বসে আছে’ এমন একটি ভিডিও বানাতে বলেন। সেই ভিডিওতে যে কৃত্রিম গাছ দেখা যায়, তা অবিকল ব্রাউনলির ডেস্কে থাকা গাছের মতো—যা ইঙ্গিত দেয়, হয়তো এই টুলটি তার ভিডিও থেকেই প্রশিক্ষণ পেয়েছে।
তথ্যসূত্র: অ্যাক্সিওস
ভারতীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক কোম্পানি ভার্স ইনোভেশনের সঙ্গে মিথ্যা লেনদেন করে আয় বাড়িয়ে দেখিয়েছে লন্ডনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) স্টার্টআপ বিল্ডার ডট এআই। প্রকৃত কোনো সেবা ছাড়া অর্থের আদান-প্রদান দেখিয়ে আয় বাড়িয়ে উপস্থাপন করত দেউলিয়া হয়ে যাওয়া স্টার্টআপটি। বিনিয়োগকারীদের চোখে
১২ ঘণ্টা আগেস্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও দেখার জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে ইউটিউব শর্টস বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করা এই ফিচারটির মধ্যে গত কয়েক মাসে নতুন অনেক সুবিধা যুক্ত করেছে ইউটিউব। সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে এবার ইউটিউব শর্টসে যুক্ত হলো গুগল লেন্স। এই ফিচারের মাধ্যমে এখন ব্যবহারকারীরা শর্টসে...
১৭ ঘণ্টা আগেঅদূর ভবিষ্যতে মানুষের ত্বকের মতো নিজের ক্ষত নিজেই সারিয়ে তুলতে পারবে রোবটও। এ জন্য একটি ‘কৃত্রিম মাংসপেশি’ তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা-লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়াররা, যা নিজের ক্ষত নিজেই শনাক্ত করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা সারিয়ে তুলতে সক্ষম। । এতে রোবটিক্স ও পরিধানযোগ্য প্রযুক্তির...
১৭ ঘণ্টা আগেদ্রুত উন্নত হতে থাকা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি অদূর ভবিষ্যতেই ব্যাপক হারে বেকারত্ব সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এআই কোম্পানি অ্যানথ্রপিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডারিও আমোডেই। তার মতে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ২০ শতাংশ চাকরি বিলুপ্ত হতে পারে...
১৮ ঘণ্টা আগে