Ajker Patrika

‘পিছিয়ে পড়া ঠেকাতে’ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে উৎসাহ

‘পিছিয়ে পড়া ঠেকাতে’ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে উৎসাহ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার বিশ্বজুড়ে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনের দিনে শিক্ষা ক্ষেত্রে এআই ব্যবহার আরো বাড়বে। আর তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ব্যবহারে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাসহ আগের রক্ষণশীল মানসিকতা আস্তে আস্তে দূর হচ্ছে বলে সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে । গত বছরের নভেম্বরে চালুর পর থেকেই শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্টসহ লেখাপড়ার বিভিন্ন কাজে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করছে।

যদিও প্রথম দিকে এআইয়ের ব্যবহারকে নেতিবাচকভাবেই দেখছিলেন শিক্ষকেরা; চ্যাটজিপিটি ব্যবহার বন্ধে তারা বিভিন্ন নীতিও গ্রহণ করেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের কলেজ আনবাউন্ডের পরিচালক ল্যান্স ইটন বলেন, স্প্রিং সেমিস্টারে (জানুয়ারি-মে) ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মুখে এআইয়ের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু এখন শিক্ষার্থীদের কেন এটা ব্যবহার করা দরকার- তাই নিয়ে আলোচনা চলছে।  

শিক্ষার্থীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য ফেসবুকে ‘স্টাডি গ্রুপ’ তৈরি করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল– হায়ার ইডি ডিসকাশন অব রাইটিং এন্ড এআই এবং গুগল গ্রুপ এআই এডুকেশন। 

এআইয়ের ব্যবহার এখনো স্বস্তিকর পর্যায়ে না এলেও ইটন বলেন, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কোডিং থেকে শুরু করে সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন কোর্সে এআই ব্যবহার হচ্ছে।

সিএনএন বলছে, চ্যাটজিপিটি এড়িয়ে গেলে বা এর ব্যবহার নিরুৎসাহিত করলে কর্মজীবনে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়তে পারেন বলে শিক্ষকরা এখন আশঙ্কা করছেন।

শিক্ষাবিষয়ক ওয়েবসাইট ইন্টিলিজেন্টডটকমের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, গত শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৩০ শতাংশ কলেজ শিক্ষার্থী লেখাপড়ার কাজে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে। ইংরেজি বিষয়ে এর ব্যবহার ছিল সবচেয়ে বেশি।

চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের প্রতি ৮ জনের মধ্যে ১ জনের জিপিএ বৃদ্ধি পেয়েছে। চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে কলেজ শিক্ষার্থীরা উপকার পেয়েছে। ৪ জনের মধ্যে ৩ জন শিক্ষার্থী অন্যদের চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের পরামর্শ দেয় বলে গবেষণায় দেখা যায়। 

যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক জুলস হোয়াইট বলেন, এই প্রযুক্তিকে অস্বীকার করা সম্ভব নয়। শিক্ষার্থী, অনুষদ ও শিক্ষকদের এআই ব্যবহারের অভিজ্ঞতা থাকা উচিত। প্রতিটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে এআইয়ের চাহিদা বাড়ছে। তাই এই ব্যবহারে সবাইকে সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। 

যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ও অনুষদের সদস্যদের এআই ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এমনকি প্রশিক্ষণের জন্য বাইরে থেকেও বিশেষজ্ঞদের ডাকা হচ্ছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত