কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। তবে কর্মীরা এআই টুল ব্যবহার শুরু করলেও, এটির ব্যবহারের জন্য সঠিক নীতিমালা তৈরি করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। এআই ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও নীতির ঘাটতি কোম্পানিগুলোকে এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে।
চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে অফিসের কাজের জন্য কোড লিখে নিতেন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে কর্মরত ২৭ বছর বয়সী গবেষক ম্যাট। তিনি বলেন, ‘কিছুটা আলস্যের কারণে আমি চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতাম। আবার কিছুটা বিশ্বাসও ছিল যে, আমার কাজকে আরও সঠিক এবং উন্নত করতে সাহায্য করবে এই টুলটি।
অফিসের কাজে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করা উচিত ছিল কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন ম্যাট। চ্যাটজিপিটি বা অন্যান্য জেনারেটিভ এআই টুল ব্যবহার করতে তার বস তাকে কখনো স্পষ্টভাবে নিষেধ করেননি। তবে তারা এ ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা বা গাইডলাইনও দেননি।
এআই টুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কর্মীদের জন্য অনেক কোম্পানি এখনো স্পষ্ট নীতি তৈরি করতে হিমশিম খাচ্ছে। ২০২৩ সালের আগস্টে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব সেন্ট লুইসের এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় এক চতুর্থাংশ মার্কিন কর্মী ইতিমধ্যে সাপ্তাহিকভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন, যার মধ্যে সফটওয়্যার এবং আর্থিক শিল্পে প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী চ্যাটজিপিটি এবং অন্যান্য জেনারেটিভ এআই টুল ব্যবহার করছেন।
তবে প্রযুক্তি গবেষকেরা বলেন, সঠিক নীতিমালা, প্রশিক্ষণ বা সাইবার সিকিউরিটি সুরক্ষা ছাড়াই এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে অনেক কর্মী। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের এক জরিপ পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্রের আইন সংস্থা লিটলার। এই জরিপে দেখা গেছে, প্রায় অর্ধেকেরও কম নির্বাহী তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে জেনারেটিভ এআই ব্যবহারের জন্য নীতিমালা তৈরি করেছেন।
অপরদিকে একটি সাধারণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কিছু প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে অ্যাপল, স্যামসাং, গোল্ডম্যান স্যাক্স, এবং ব্যাংক অব আমেরিকাসহ অনেক কোম্পানি। মূলত তথ্য নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানিগুলো উপলব্ধি করছেন যে, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা কোনো দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়।
উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট তাদের কর্মীদের জন্য একটি ‘অভ্যন্তরীণ গেটেড প্লে গ্রাউন্ড’ তৈরি করেছে, যেখানে কর্মীরা নিরাপদে জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিষ্ঠানটি একটি নিরাপদ এআই চ্যাটবট ব্যবহার করতে পছন্দ করলেও কর্মীদের বাহ্যিক কোনো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে নিষেধ করে না। তবে সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য প্রকাশ এসব প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা যাবে না।
নিজেদের এআই ব্যবহারের কৌশল কোম্পানির বসদের কাছে শেয়ার করতে চান না কিছু কর্মী। স্ল্যাকের প্রতিবেদনে জানা গেছে, প্রায় অর্ধেক অফিস কর্মী তাদের ব্যবস্থাপকদের কাছে এআই ব্যবহারের কথা স্বীকার করতে অস্বস্তি বোধ করেন। কারণ তারা মনে করেন, এতে তারা অলস হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন।
ওয়ালমার্ট একা নয়, অন্যান্য বড় কোম্পানিগুলোও কর্মীদের জন্য নিজেদের এআই টুল তৈরি করছে। ম্যাককিন্সি তাদের চ্যাটবট ‘লিলি’ চালু করেছে, লিংকলেটার্স শুরু করেছে ‘লাইলা’, আর জেপিমরগ্যান চেজ করেছে ‘এলএলএম সুইট’। তবে যেসব কোম্পানির নিজেদের টুল তৈরির পর্যাপ্ত সম্পদ নেই, তারা বাহ্যিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ঝুঁকি এবং প্রয়োজনীয় সেবা নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত।
জিঞ্জারমে এর সিইও ভিক্টোরিয়া আশার বলেন, তারা প্রথমে এআই ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তবে এখন নির্বাহীদের অনুমতি নিয়ে জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করতে পারে কর্মীরা। তবে শুধুমাত্র কোম্পানির সাবস্ক্রিপশন ব্যবহার করে। তিনি জানান, তাদের নীতি পরিবর্তনশীল, কারণ এআই প্রযুক্তি কাজের অংশ হয়ে উঠছে।
ওয়ালমার্টের গেইসলার বলছেন, তাদের এআই নীতিগুলো আপডেট করার প্রয়োজন হবে, কারণ প্রযুক্তি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। বড় কোম্পানির জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহারের নীতি তৈরি করা কঠিন, বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের কর্মীর জন্য।
আইনি জটিলতা ও প্রযুক্তির পরিবর্তন কোম্পানিগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি কৌশল তৈরি করা আরও কঠিন করে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে আইনি কাঠামো তৈরি হলেও কোম্পানিগুলো এখনো এর প্রভাব এবং ডেটা সুরক্ষা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা পায়নি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। তবে কর্মীরা এআই টুল ব্যবহার শুরু করলেও, এটির ব্যবহারের জন্য সঠিক নীতিমালা তৈরি করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। এআই ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও নীতির ঘাটতি কোম্পানিগুলোকে এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে।
চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে অফিসের কাজের জন্য কোড লিখে নিতেন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে কর্মরত ২৭ বছর বয়সী গবেষক ম্যাট। তিনি বলেন, ‘কিছুটা আলস্যের কারণে আমি চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতাম। আবার কিছুটা বিশ্বাসও ছিল যে, আমার কাজকে আরও সঠিক এবং উন্নত করতে সাহায্য করবে এই টুলটি।
অফিসের কাজে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করা উচিত ছিল কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন ম্যাট। চ্যাটজিপিটি বা অন্যান্য জেনারেটিভ এআই টুল ব্যবহার করতে তার বস তাকে কখনো স্পষ্টভাবে নিষেধ করেননি। তবে তারা এ ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা বা গাইডলাইনও দেননি।
এআই টুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কর্মীদের জন্য অনেক কোম্পানি এখনো স্পষ্ট নীতি তৈরি করতে হিমশিম খাচ্ছে। ২০২৩ সালের আগস্টে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব সেন্ট লুইসের এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় এক চতুর্থাংশ মার্কিন কর্মী ইতিমধ্যে সাপ্তাহিকভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন, যার মধ্যে সফটওয়্যার এবং আর্থিক শিল্পে প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী চ্যাটজিপিটি এবং অন্যান্য জেনারেটিভ এআই টুল ব্যবহার করছেন।
তবে প্রযুক্তি গবেষকেরা বলেন, সঠিক নীতিমালা, প্রশিক্ষণ বা সাইবার সিকিউরিটি সুরক্ষা ছাড়াই এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে অনেক কর্মী। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের এক জরিপ পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্রের আইন সংস্থা লিটলার। এই জরিপে দেখা গেছে, প্রায় অর্ধেকেরও কম নির্বাহী তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে জেনারেটিভ এআই ব্যবহারের জন্য নীতিমালা তৈরি করেছেন।
অপরদিকে একটি সাধারণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কিছু প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে অ্যাপল, স্যামসাং, গোল্ডম্যান স্যাক্স, এবং ব্যাংক অব আমেরিকাসহ অনেক কোম্পানি। মূলত তথ্য নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানিগুলো উপলব্ধি করছেন যে, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা কোনো দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়।
উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট তাদের কর্মীদের জন্য একটি ‘অভ্যন্তরীণ গেটেড প্লে গ্রাউন্ড’ তৈরি করেছে, যেখানে কর্মীরা নিরাপদে জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিষ্ঠানটি একটি নিরাপদ এআই চ্যাটবট ব্যবহার করতে পছন্দ করলেও কর্মীদের বাহ্যিক কোনো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে নিষেধ করে না। তবে সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য প্রকাশ এসব প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা যাবে না।
নিজেদের এআই ব্যবহারের কৌশল কোম্পানির বসদের কাছে শেয়ার করতে চান না কিছু কর্মী। স্ল্যাকের প্রতিবেদনে জানা গেছে, প্রায় অর্ধেক অফিস কর্মী তাদের ব্যবস্থাপকদের কাছে এআই ব্যবহারের কথা স্বীকার করতে অস্বস্তি বোধ করেন। কারণ তারা মনে করেন, এতে তারা অলস হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন।
ওয়ালমার্ট একা নয়, অন্যান্য বড় কোম্পানিগুলোও কর্মীদের জন্য নিজেদের এআই টুল তৈরি করছে। ম্যাককিন্সি তাদের চ্যাটবট ‘লিলি’ চালু করেছে, লিংকলেটার্স শুরু করেছে ‘লাইলা’, আর জেপিমরগ্যান চেজ করেছে ‘এলএলএম সুইট’। তবে যেসব কোম্পানির নিজেদের টুল তৈরির পর্যাপ্ত সম্পদ নেই, তারা বাহ্যিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ঝুঁকি এবং প্রয়োজনীয় সেবা নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত।
জিঞ্জারমে এর সিইও ভিক্টোরিয়া আশার বলেন, তারা প্রথমে এআই ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তবে এখন নির্বাহীদের অনুমতি নিয়ে জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করতে পারে কর্মীরা। তবে শুধুমাত্র কোম্পানির সাবস্ক্রিপশন ব্যবহার করে। তিনি জানান, তাদের নীতি পরিবর্তনশীল, কারণ এআই প্রযুক্তি কাজের অংশ হয়ে উঠছে।
ওয়ালমার্টের গেইসলার বলছেন, তাদের এআই নীতিগুলো আপডেট করার প্রয়োজন হবে, কারণ প্রযুক্তি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। বড় কোম্পানির জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহারের নীতি তৈরি করা কঠিন, বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের কর্মীর জন্য।
আইনি জটিলতা ও প্রযুক্তির পরিবর্তন কোম্পানিগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি কৌশল তৈরি করা আরও কঠিন করে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে আইনি কাঠামো তৈরি হলেও কোম্পানিগুলো এখনো এর প্রভাব এবং ডেটা সুরক্ষা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা পায়নি।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরি এখন শুধু ব্যক্তিগত মুহূর্ত ভাগাভাগির জায়গা নয়, বরং নিজের ভাবনা, সৃজনশীলতা ও স্টাইল প্রকাশের একটি মাধ্যম। শক্তিশালী ব্র্যান্ড, তারকা, প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং সাধারণ ব্যবহারকারীরা—সবাই তাঁদের ফলোয়ারদের সঙ্গে খবর ও আপডেট শেয়ার করতে স্টোরির সাহায্য নেন। এই স্টোরিগুলোতে ব্যাকগ্রাউন্ড রং
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বের অন্যতম বড় প্রযুক্তি কোম্পানি মেটা তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। শুধু প্রার্থীদের দক্ষতা যাচাই নয়, বরং সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদেরও মূল্যায়ন করবে এআই। মার্কিন অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার–এর এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
২০ ঘণ্টা আগেফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার বিরুদ্ধে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারির করার অভিযোগ আনা হয়েছে। কোম্পানিটি একটি নতুন ট্র্যাকিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যা ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকের মতো নিজস্ব অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অনলাইনে ট্র্যাক করে। র্যাডবাউড ইউনিভার্সিটি এবং আইএমডিইএ নেটওয়ার্কসের এক
১ দিন আগেআমরা প্রতিদিন অসংখ্য ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লাইক দিয়ে থাকি। তবে পরে চাইলে সেই লাইক দেওয়া পোস্টগুলো খুঁজে পাওয়া সহজ না। প্রিয় কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্যভিত্তিক কনটেন্ট আবার দেখতে চাইলে অনেক সময় খুঁজে পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে ভালো খবর হলো, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের জন্য এমন একটি ফিচার রয়েছে
১ দিন আগে