Ajker Patrika

স্মার্ট যাপনে সংস্কারী মন

কে এম সানাউল হক
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২২, ১১: ০২
স্মার্ট যাপনে সংস্কারী মন

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আসে সবখানেই। খাবারের থালা থেকে শুরু করে স্মার্টফোন কোনো কিছুই এর বাইরে নয়। জীবনে কর্মের প্রতিটি পর্যায়ে যেমন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, তেমনি ঐতিহ্য, আচার-প্রথাও এসবে মিলে নতুন রূপে বিকশিত হয়েছে। মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংস্কার। এর মূলে রয়েছে বিশ্বাস। এই বিশ্বাস তৈরি হয় মানুষের ভৌগোলিক অবস্থান, সাংস্কৃতিক আবহ, ধর্ম-গোত্র ইত্যাদি থেকে। সমাজ যতই পরিবর্তিত হয়, মানুষের জীবনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকাণ্ডে সে বিশ্বাস মিশে থাকে। আমাদের এখনকার জীবনও এর বাইরে নয়।

ধরা যাক, স্মার্টফোনের ওয়ালপেপার। স্ক্রিনসেভারে ডিফল্ট ছবিটি পরিবর্তন করে যে ছবিটি একজন ব্যবহারকারী রাখেন, সেটা তাঁর খুব প্রিয় বলেই রাখেন। অনেকে হয়তো সেখানে বিশেষ কিছু রাখতে চেয়েও পারেন না, নানা বিবেচনায়। স্মার্টফোনের অনেক ছবির মাঝখানে দিনে শতবার দেখা ওই ছবিটির মাহাত্ম্য একজন মানুষের জীবনে অনেক গভীর; খুব ব্যক্তিগত।

আবার কোনো করপোরেট কর্মকর্তার একই রঙের টাই ব্যবহারের গভীরে তাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাসের ছোঁয়াকে অস্বীকার করা যায় না। হয়তো নীল রঙের টাই পরে কোনো একদিন অফিসে হাজির হয়ে তিনি কোনো এক অভাবনীয় শুভ অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছেন। এরপরই তাঁর মনে বিশ্বাস জন্মেছে যে নীল রঙের টাই তাঁর জন্য শুভ। তিনি সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিন সেই একই রঙের টাই পরে অফিসে যান। এসব সংস্কার স্মার্ট জীবনে রয়েছে।  

প্রবণতাটা প্রাচীন 
প্রিয় বা শুভ কোনো কিছুকে আগলে রাখার বাসনা মানুষের বহু প্রাচীন। আদিম সভ্যতা থেকেই নানা পরিপ্রেক্ষিতে এর বিবর্তন ঘটেছে বহুমাত্রিক উপায়ে। এখনো এমন কিছু ভাস্কর্য, চিত্রকলা দেখা যায়, যেগুলো দৃশ্যমান করে রাখাই হতো নিজেদের স্মরণে, মননে, চিন্তায় সে বিষয়বস্তুকে স্থান দিতে। যেমন মানিব্যাগে রাখা ছবি, টেবিলে রাখা বা দেয়ালে বাঁধাই করা ছবি, নানা ভাস্কর্যে কিংবা নানা স্মৃতিময় বস্তু, যেমন আংটি, মালা বা চেইন, ঘড়ি, চুড়ি ইত্যাদি। বর্তমানে এসবেরই পরম্পরায় স্মার্টফোনে আমরা ছবি তুলি এবং দেখি কিংবা ভিডিও করি। নিদেনপক্ষে কথা বা শব্দ ধরে রাখি, ফোনবুকে সেভ করে রাখি বিশেষ কোনো নাম। এই জমানায় সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সম্পর্কগত বিষয়গুলো যখন ভার্চুয়াল হয়ে গেছে, এ প্রবণতা তখন বাড়ছে বই কমছে না।

স্মার্ট দুনিয়ায় যাপন সংস্কার
দৈনন্দিন নানা কাজে যখন স্মার্ট ডিভাইস যুক্ত হলো তখন মানুষ সহজভাবেই তার হাজার বছর ধরে বয়ে বেড়ানো সংস্কারচর্চার স্থান অবচেতনভাবেই দিয়েছে। নানা কাজের মধ্য দিয়ে সেসবের প্রতিফলন দেখা যায় প্রতিনিয়ত। ধর্মীয় কৃত্যকে সহায়তা করার জন্য আজান বা সাহ্‌রির সময়ের অ্যালার্ট, কিবলার দিক সন্ধান, বিভিন্ন দিনক্ষণের হিসাব, বিভিন্ন পূজার সময়, মহালয়ার ধ্বনি, বিভিন্ন ধর্মীয় বক্তব্য, ধর্মীয় সংগীত ইত্যাদিসহ আরও অনেক সেবা প্রতিদিন আপগ্রেডসহ স্মার্ট ডিভাইসে পাওয়া যাচ্ছে। স্মার্ট ডিভাইসগুলো স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংস্কার, আচার-প্রথা পালনের ব্যবস্থা করেই তাদের বাণিজ্য টিকিয়ে রেখেছে। প্রযুক্তিপণ্যের বাণিজ্যের প্রসারে সংস্কারের ভূমিকা কোনো অংশেই নগণ্য নয়।

মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংস্কার। এর মূলে রয়েছে বিশ্বাস। এই বিশ্বাস তৈরি হয় মানুষের ভৌগোলিক অবস্থান, সাংস্কৃতিক আবহ, ধর্ম-গোত্র ইত্যাদি থেকে। সমাজ যতই পরিবর্তিত হয়, মানুষের জীবনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকাণ্ডে সে বিশ্বাস মিশে থাকে। আমাদের এখনকার জীবনও এর বাইরে নয়।

যদি গানের কথা ধরা যায়, বলতে হয় গান শুধু আমাদের নয়, পুরো বিশ্বসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই গান নিয়ে স্মার্ট দুনিয়ায় উন্মাদনার শেষ নেই। ইন্টারনেট সংযোগ সাপেক্ষে স্মার্টফোন বা স্মার্টটিভিতে ব্যবহার উপযোগী ইউটিউব, স্পটিফাই, সাউন্ড ক্লাউড, ফেসবুক উল্লেখযোগ্য অ্যাপস মানুষের কাছে গান পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যেকোনো সময় যেকোনো গান শোনা বা গান গাওয়ার বৈচিত্র্যময় ফিচারও এখন স্মার্টফোনে সহজলভ্য। বলা যায়, এই জমানায় গান স্মার্ট ডিভাইসেই জনপ্রিয় হয়, সেখানেই আলোচনা-সমালোচনা হয়, সেটা নিয়ে নানা মিমস-মিমিক্রি-কভারও হয়। গানের চর্চায় পরিবর্তন এসেছে এটা সত্য। কিন্তু গান আরও গভীর ব্যঞ্জনায় আরও সহজে মিশে রয়েছে জীবনের প্রতিটি স্মরণীয় এবং সাধারণ মুহূর্তে।

প্রাত্যহিক জীবনে জমা-খরচের হিসাব, দিনক্ষণের হিসাব, পিরিয়ডের হিসাব, ভ্রমণ পরিকল্পনা, সব ধরনের কেনাকাটা, চিকিৎসকের পরামর্শ, এমনকি ফোনকলে কথা শুরুর আগে ও শেষে ছোট্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়ে সালাম বা প্রণাম জানানো হয়, সেখানেও, সংস্কার বহন করে চলে মানুষ। বিনিময়প্রথা থেকে শুরু হওয়া আজকের স্মার্টব্যাংকিং আমাদের আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজনকে আধুনিক উপায়ে মেটাচ্ছে। ট্রেন, বাস, বিমান, লঞ্চ-সব ধরনের টিকিট স্মার্টফোনেই কাটা যাচ্ছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্ট আইডি আমাদের দাপ্তরিক কাজের প্রক্রিয়াকে করেছে তুলনামূলক সহজ। অনেক ক্ষেত্রে স্মার্টফোনে আইডি কার্ডের ছবি প্রদর্শন করে বা কিউআর কোড স্ক্যান করেও প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নেওয়া যাচ্ছে।

অন্যায়ের প্রতিবাদ ও দাবি আদায়ের আন্দোলনের চেতনা, আমাদের ভূমিতে সংঘটিত বিভিন্ন সংগ্রামের ইতিহাসে প্রোজ্জ্বল। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও রাজনীতিচর্চার বড় অংশ ঘটছে স্মার্ট ডিভাইসেই। সশরীরে প্রতিবাদ-আন্দোলনের আগে সংগঠিত হওয়ার জন্য স্মার্ট দুনিয়ার শরণাপন্ন হওয়াই বর্তমান সময়ের সহজ সমাধান। এ ছাড়া সামাজিক মাধ্যমের কোনো পোস্ট-কমেন্টের মাধ্যমে জানানো সাধুবাদ কিংবা সমালোচনাও এই চেতনার আধুনিক রূপ। 

চিঠির বদলে ভিন্ন কিছু
এখন সেই চিঠির প্রচলন আর তেমন নেই। কাগজ-কলমের সম্মিলনে মনের কথা সাজানো এক কারুশিল্প। সে কারু ঠিক হারায়নি; নবরূপে রূপান্তরিত হয়েছে। মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ স্ন্যাপচ্যাটের ফিচারের দিকে লক্ষ করলেই এই ডিজিটাল ক্র্যাফটিং প্রতীয়মান হয়। এখন মানুষের সঙ্গে মানুষের সরাসরি দেখা করার মতো যোগাযোগ কমলেও মনের সঙ্গে মনের সংযুক্তি আরও শক্তিশালী। মানুষের হয়তো এখন অনেক বিচ্ছিন্ন। কিন্তু স্মার্টলি অনেক সন্নিকটে এবং একতাবদ্ধ। এ ক্ষেত্রে স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, স্মার্টটিভি, স্মার্টফ্রিজ, স্মার্টলাইট, স্মার্ট স্পিকার ইত্যাদি ডিভাইসের ভূমিকা বর্তমানে অত্যধিক। এখানে ব্যবহারের উপযোগী বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে বহুমাত্রিক সেবা পেয়ে থাকে ব্যবহারকারী। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, করোনাকালীন মহামারির ভেতর প্রথাগত কর্মসম্পাদন প্রক্রিয়ার বাইরে এসে প্রযুক্তির উৎকর্ষে নির্ধারিত কাজের ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে।

পুরো পৃথিবীই এখন নতুন যৌগিক, সমন্বিত সংস্কারের পথে এগিয়ে চলেছে। সেই ছন্দে মিল পেয়ে হয়তো একজন লেখক লিখছেন, শিল্পী ছবি আঁকছেন কিংবা যে যাঁর অফিসের বা ব্যবসার কাজ করে অন্ন সংস্থান করছেন বা গৃহস্থালির কাজ করছেন। অ্যানালগ কিংবা স্মার্ট, এমনতর প্রতিটি জীবনকর্মের ভেতর দিয়ে প্রতিনিয়ত 
প্রতিফলিত হচ্ছে নিজেদের সংস্কার।

লেখক: শিক্ষক, থিয়েটার স্টাডিজ বিভাগ, কক্সবাজার সিটি কলেজ, কক্সবাজার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

ঘরে ঝুলছিল নারীর লাশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েনমেন্টের সময় মনে করিয়ে দেবে মোবাইল অ্যাপ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অ্যাপয়েন্টমেন্টের তথ্য মনে করিয়ে দেবে এই অ্যাপটি। ছবি: এইড হেলথ
অ্যাপয়েন্টমেন্টের তথ্য মনে করিয়ে দেবে এই অ্যাপটি। ছবি: এইড হেলথ

এখন থেকে চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাতের (মেডিকেল অ্যাপয়েন্টমেন্ট) তথ্য মনে রাখতে এবং সাক্ষাতে যা আলোচনা হয়েছে তার সারসংক্ষেপ তৈরিতে সাহায্য করবে একটি অ্যাপ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি এই অ্যাপের নাম মিরর (Mirror)। অক্সফোর্ড-ভিত্তিক সংস্থা এইড হেলথ (Aide Health) এই অ্যাপটি তৈরি করেছে।

এইড হেলথ জানিয়েছে, এই অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাপয়েনমেন্টের সময় জানা যাবে। পাশাপাশি চিকিৎসকের সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ড থেকে একটি সারসংক্ষেপ দেওয়া হবে, যা পরবর্তীতে রোগী দেখতে পাবেন। রোগীর পরিচর্যাকারী বা পরিবারের সদস্যরা বিস্তারিত জানতে পারবেন।

অ্যাপটির উদ্ভাবক ইয়ান ওয়ার্টন বলেন, এই প্ল্যাটফর্মটি ‘আমাদের প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবা পরামর্শের মধ্যে লুকিয়ে থাকা একটি চ্যালেঞ্জ সমাধানের জন্য এআই-এর আধুনিক প্রয়োগ।’

তিনি আরো বলেন, আলজাইমার্সের প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা তাঁর বাবাকে সাহায্য করার জন্য তিনি এই ধারণাটি নিয়ে আসেন। তাঁর বাবা যাতে চিকিৎসকের বলা কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভুলে না যান।

তিনি বলেন, ‘বাবা বেশিরভাগই তথ্যই মনে রাখতে পারতেন না। তাঁর সঙ্গে না থাকলে তাঁকে বলা কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস হওয়ার ভয় ছিল আমার। প্রায়শই অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে মনে গেঁথে নিতে হয়। এতে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ খবর থাকে।’

ইয়ান জানান, মিরর অ্যাপটি চিকিৎসকের পরামর্শের কথা শোনে এবং যা বলা হয়েছে তার একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করে দেয়।

এই প্ল্যাটফর্মের প্রথম ব্যবহারকারীদের একজন জ্যানেট আলফ্রে। তিনি জানান, অ্যাপটি তাঁকে ‘খুবই আশ্চর্যান্বিত’ করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমাকে প্রথমে একটি শিরোনাম দেখিয়েছে যে আমি কেন সেখানে আছি, তারপর এটি জানিয়েছে কী ঘটতে যাচ্ছে, কেন তা করা হচ্ছে এবং পরবর্তীতে কী ঘটবে। পরবর্তী কয়েক দিন যখন বন্ধুরা এবং সহকর্মীরা ফোন করে জানতে চান যে কী হতে চলেছে, তখন আমি কেবল তাঁদের অ্যাপ থেকে নেওয়া স্ক্রিনশটটি পাঠিয়ে দিতাম।’

জ্যানেট জানান, এই অ্যাপ সবকিছু বারবার ব্যাখ্যা করার ঝামেলা থেকে রেহাই দিয়েছে।

উদ্ভাবক ইয়ান বলেন, অ্যাপে রেকর্ড হওয়া তথ্য রোগীদের নিজস্ব। এসব তথ্য আমরা ব্যবহার করি না বা কোনো তৃতীয় পক্ষের পাওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি আরও জানান, বর্তমান সংস্করণটি শুধুমাত্র সরাসরি পরামর্শের সময় ব্যবহার করা যায়। ‘কেবলমাত্র শুরু।’

ইয়ান বলেন, “আমাদের অ্যাপটি এখন ‘প্যাসিভ’। এটি কেবল শোনে এবং সারসংক্ষেপ তৈরি করে দেয়। ভবিষ্যতে এটি আপনার হয়ে জানাবে এবং যদি এটি মনে করে যে আপনার কিছু জিজ্ঞাসা করা উচিত, তবে সেটিও আপনাকে জানাবে।”

ইয়ান বলেন, ‘এই ভাবনা নিয়েই প্রযুক্তির হাত ধরে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি যাতে স্বাস্থ্য খাতে আরও অগ্রসর ভূমিকা রাখতে পারি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

ঘরে ঝুলছিল নারীর লাশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আইওএস ২৬-এ নতুন চমক: এবার ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়বে অনেকখানি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আইফোনের নতুন অপারেটিং সিস্টেমে বাড়বে ব্যাটারি লাইফ। ছবি: সংগৃহীত
আইফোনের নতুন অপারেটিং সিস্টেমে বাড়বে ব্যাটারি লাইফ। ছবি: সংগৃহীত

আইফোনের ব্যাটারির স্থায়িত্ব নিয়ে সব সময়ই কিছুটা উদ্বেগ ও হতাশা থাকে। তবে আলট্রা-থিন আইফোন এয়ার ব্যবহার করুন বা শক্তিশালী আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক—সম্প্রতি আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেমে একটি নতুন সেটিংস যুক্ত করা হয়েছে। এই সেটিংস আইফোনের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে। এই নতুন ফিচারের নাম হলো অ্যাডাপটিভ পাওয়ার (Adaptive Power)।

এটি লো পাওয়ার মোড থেকে যেখানে আলাদা:

আইফোনের চার্জ কমে গেলে আইওএস-এ ‘লো পাওয়ার মোড’ (Low Power Mode) নামে একটি সহায়ক টুল দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। যদিও এটি ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে সাহায্য করে, তবে এর ফলে অনেক ফিচার ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যায় এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। আইওএস ২৬ এই সমস্যার একটি সমাধান নিয়ে এসেছে।

অ্যাডাপটিভ পাওয়ার হলো ব্যাটারি সেটিংসের একটি একদম নতুন সংযোজন, যা আপনার আইফোনকে, বিশেষ করে বেশি ব্যবহার হয় যখন, তখন দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করবে। এটি লো পাওয়ার মোডের মতো পারফরম্যান্সে বড় কোনো আপস না করে ছোট ছোট উপায়ে ব্যাটারির কার্যকারিতা বাড়ায়। আপনি এটি সেটিংস অ্যাপের ‘Battery’ মেনুর মধ্যে ‘Power Mode’ সাবমেনুতে খুঁজে পাবেন।

অ্যাডাপটিভ পাওয়ার যেভাবে কাজ করে

অ্যাপল এই ফিচারটির কাজ সম্পর্কে জানিয়েছে: যখন ব্যাটারির ব্যবহার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে, তখন আইফোন ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য পারফরম্যান্সে ছোটখাটো সামঞ্জস্য করতে পারে। এর মধ্যে সামান্য ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমানো বা কিছু কার্যক্রমের জন্য সামান্য বেশি সময় নেওয়া—এ ধরনের কিছু সমন্বয় করে।

এর মানে হলো, ফোন যখন স্বাভাবিকভাবে চলছে, তখন এর পারফরম্যান্স বা ব্যাটারি লাইফ পরিবর্তিত হবে না। কিন্তু যখন ফোনটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ব্যবহৃত হবে, তখন অ্যাডাপটিভ পাওয়ার সক্রিয় হবে এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতায় ন্যূনতম প্রভাব ফেলেই ছোটখাটো সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে।

যদিও অ্যাপল এই ফিচারটিকে সরাসরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ফিচার হিসেবে প্রচার করছে না, তবুও প্রযুক্তিগতভাবে এর হার্ডওয়্যার প্রয়োজনীয়তা অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স-এর মতোই। তাই এই নতুন ব্যাটারি সেটিংসটি ব্যবহার করার জন্য আইফোনটি অবশ্যই আইফোন ১৭ বা আইফোন এয়ার, আইফোন ১৬ অথবা আইফোন ১৫ প্রো মডেলের হতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

ঘরে ঝুলছিল নারীর লাশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এনভিডিয়া-অ্যাপলকে হটিয়ে শীর্ষে অনলিফ্যানস, কর্মীপ্রতি আয় ৩৭ মিলিয়ন ডলার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কর্মীপ্রতি আয়ের দিক থেকে প্রযুক্তি শিল্পের জায়ান্টদের ছাড়িয়ে গেছে সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম অনলিফ্যানস। আর্থিক ও বিপণন সংস্থা বারচার্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রত্যেক কর্মী থেকে ৩৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪০৭ কোটি টাকা) আয় করেছে।

এর মাধ্যমে মাত্র ৪২ জন কর্মী নিয়ে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব-দক্ষ বা রেভেনিউ-এফিশিয়েন্টে এনভিডিয়া (৩.৬ মিলিয়ন ডলার) ও অ্যাপলের (২.৪ মিলিয়ন ডলার) মতো বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি জায়ান্টদেরও ছাড়িয়ে গেছে।

২০২৪ অর্থবছরে অনলিফ্যানসের মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭.২২ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১.৪১ বিলিয়ন ডলার নিট মুনাফা অর্জন করেছে। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটিতে ৪৬ লাখের বেশি কনটেন্ট নির্মাতা (ক্রিয়েটর) এবং ৩৭৭ মিলিয়ন নিবন্ধিত ব্যবহারকারী রয়েছে।

অনলিফ্যানস মূলত একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নির্মাতারা সরাসরি ভক্তদের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। তবে এটি অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো নয়। এখানে নির্মাতারা ছবি, ভিডিও, লাইভস্ট্রিম এবং বার্তা শেয়ার করে আয় করতে পারেন। যদিও এটি প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের জন্য বেশি পরিচিত, তবে এখন অনেকে ফিটনেস, সংগীত, রান্না শেখানোসহ নানা ধরনের কনটেন্ট দিয়েও আয় করছেন।

ব্যবহারকারীরা মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে কোনো ক্রিয়েটরের কনটেন্ট দেখতে পারেন। এ ছাড়া কনটেন্ট ক্রিয়েটররা টিপস ও ‘পে পার ভিউ’ কনটেন্ট থেকে বাড়তি অর্থ উপার্জন করেন। আর এই কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয় থেকে ২০ শতাংশ কমিশন নেয় অনলিফ্যানস।

২০১৬ সালে অনলিফ্যানস প্রতিষ্ঠা করেন ব্রিটিশ উদ্যোক্তা টিম স্টোকলি। পরে ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির বেশির ভাগ শেয়ার কিনে নেয় ফিনিক্স ইন্টারন্যাশনাল, যার নেতৃত্বে আছেন ইউক্রেনীয়-আমেরিকান বিলিয়নিয়ার লিওনিদ রাডভিনস্কি।

বিগত কয়েক বছরে অনলিফ্যানস দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে, বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্টের জন্য। আর্থিক হিসেবে, ২০২৪ সালে অনলিফ্যানস ৬৮৪ মিলিয়ন ডলার কর-পূর্ব মুনাফা এবং ৫২০ মিলিয়ন ডলার নিট মুনাফা করেছে। একই সময়ে ক্রিয়েটরদের আয় ছিল ৫.৮ বিলিয়ন ডলার, যার ২০ শতাংশ কমিশন অনলিফ্যানসের।

চলতি বছরে ক্রিয়েটর অ্যাকাউন্ট ১৩ শতাংশ এবং ফ্যান অ্যাকাউন্ট ২৪ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালে এর মালিক লিওনিদ রাডভিনস্কিকে ৭০১ মিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

ঘরে ঝুলছিল নারীর লাশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিনা খরচে গুগলের ৫টি এআই প্রশিক্ষণ কোর্স

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিনা খরচে গুগলের ৫টি এআই প্রশিক্ষণ কোর্স

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন আর কোনো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি শুধু কাজের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করছে না, বরং শিল্প এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। ব্যবসায় জটিল প্রক্রিয়া সরলীকরণ এবং দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এআই-এর অবদানকে একুশ শতকের বৃহত্তম প্রযুক্তিগত বিপ্লব হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ কারণেই পেশাজীবী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এআই-এর মৌলিক ধারণা ও প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জন করা এখন সময়ের দাবি।

গুগল সম্প্রতি পাঁচটি এআই কোর্স এবং প্রশিক্ষণ টুল চালু করেছে। এই টুলগুলোর ব্যবহার ইচ্ছুকদের এআই প্রযুক্তির গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে। গুগল জানিয়েছে, অনলাইন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলো ব্যবহারকারীদের তাদের কাজ বা ব্যবসায় এআই-এর সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

গুগল-এর পাঁচটি প্রধান এআই প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম

১. প্রম্পটিং এসেনশিয়ালস (Prompting Essentials)

(সময়: ৬ ঘণ্টা, অনলাইন ও বিনা মূল্যে)

এই বিশেষ কোর্সটি মূলত কার্যকর এআই ব্যবহার শেখানোর জন্য তৈরি। গুগল-এর এআই বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত এই প্রোগ্রামে ব্যবহারকারীকে শেখানো হবে কীভাবে সুনির্দিষ্ট, স্পষ্ট এবং কার্যকর প্রম্পট বা নির্দেশ লিখতে হয়। এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী জেনারেটিভ এআই থেকে তার প্রত্যাশিত উত্তর বা ফলাফল দ্রুত ও নির্ভুলভাবে বের করে আনতে পারবে।

আলোচ্য বিষয়:

কার্যকর প্রম্পট লেখার পাঁচটি মূল পদক্ষেপ এবং এর পেছনের যুক্তি—যা আপনাকে এআই-কে নিখুঁত নির্দেশ দিতে সাহায্য করবে।

দৈনন্দিন কাজকর্মে প্রম্পটিং কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে সময়ের সাশ্রয় এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি।

বিশেষত ডেটা বিশ্লেষণ এবং আকর্ষণীয় প্রেজেন্টেশন স্লাইড তৈরির মতো জটিল কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রম্পটের ব্যবহার।

কথোপকথনের মাধ্যমে পরিচালিত এআই এজেন্ট ব্যবহারের জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শসহ কার্যকর প্রম্পট তৈরি।

২. এআই এসেনশিয়ালস (AI Essentials)

(সময়: ৫ ঘণ্টা, স্ব-শিক্ষামূলক)

এই স্ব-শিক্ষামূলক কোর্সটি সব শিল্প এবং অভিজ্ঞতার স্তরের মানুষের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। দৈনন্দিন কাজকে আরও দ্রুত করতে এবং এআই ব্যবহার করার সময় উদ্ভাবনী উপায়ে চিন্তা করতে এই কোর্স অনুপ্রেরণা জোগাবে। এখানে শেখানো হবে কীভাবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এআই ব্যবহার করা যায়।

আলোচ্য বিষয়:

জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করে নতুন ধারণা এবং কনটেন্ট তৈরি করার কৌশল।

উদ্দেশ্য অনুযায়ী ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রম্পটে পর্যাপ্ত বিশদ তথ্য দেওয়ার গুরুত্ব।

এআই সিস্টেমে থাকা পক্ষপাতের ঝুঁকিগুলো আবিষ্কার করা এবং তা দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনা করা—যা এআই-এর নৈতিক ব্যবহারের জন্য অপরিহার্য।

দ্রুত পরিবর্তনশীল এআই ল্যান্ডস্কেপ থেকে বর্তমান তথ্য ব্যবহার করা এবং এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।

৩. ছোট ব্যবসার জন্য এআই (AI for Small Business)

ছোট এবং মাঝারি আকারের উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এই প্রোগ্রামটি ডিজাইন করা হয়েছে। এই কোর্স আপনাকে শেখাবে কীভাবে আপনার ব্যবসায়ের বৃদ্ধির জন্য সঠিক এআই টুলস নির্বাচন করতে হয়। এই কোর্সে গুগল এআই ব্যবহার করে বাস্তব ব্যবসায়িক সমস্যা (যেমন: গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করা বা ইনভেনটরি অপ্টিমাইজ করা) সমাধানের ব্যবহারিক সুযোগ রয়েছে।

৪. শিক্ষাবিদদের জন্য জেমিনি জেনারেটিভ এআই (Generative AI for Educators with Gemini)

(সময়: ২ ঘণ্টা)

এই সংক্ষিপ্ত কোর্সটি শিক্ষকদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এখানে জেমিনি মডেল ব্যবহার করে কীভাবে সম্পূর্ণরূপে নতুন কনটেন্ট (টেক্সট, ছবি, বা অন্যান্য মিডিয়া) তৈরি করা যায়, তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

জেমিনি ব্যবহারের ক্ষেত্র:

সময় বাঁচানো এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা (যেমন: দ্রুত গ্রেডিং বা ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী কুইজ তৈরি)।

পাঠ পরিকল্পনা তৈরি, পুরোনো শিক্ষামূলক উপকরণ আপডেট করা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ দ্রুত শেষ করা।

সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে পাঠদান পদ্ধতিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা।

৫. শিক্ষার্থীদের জন্য এআই (AI for Students)

শিক্ষার্থীরা কীভাবে পড়ালেখা এবং ভবিষ্যতের কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত হতে এআই-কে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে, তা বোঝানোর জন্যই এই কোর্সটি তৈরি। এখানে এআই ব্যবহারের চারটি প্রধান ক্ষেত্রে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে:

হোমওয়ার্ক সহায়তা: দ্রুত তথ্য সংগ্রহ ও সংহত করে হোমওয়ার্কের আউটলাইন তৈরি করা এবং ধারণা স্পষ্ট করা।

পরীক্ষা প্রস্তুতি: কঠিন বিষয়বস্তু সহজে বোঝার জন্য ইন্টারেকটিভ লার্নিং টুলস হিসেবে এআই-এর সাহায্য নেওয়া।

লেখালেখি: প্রবন্ধ বা রিপোর্ট লেখার কাঠামো তৈরি করা এবং ব্যাকরণগত ভুল সংশোধনের মাধ্যমে লেখার মান উন্নত করা।

চাকরির সন্ধান: কার্যকর জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) তৈরি এবং চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্য মক ইন্টারভিউ অনুশীলনের প্রস্তুতি নেওয়া।

গুগল বলেছেন, তাদের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো—শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং উদ্যোক্তাসহ সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্য এআই-কে সহজলভ্য করা। এআই-এর জ্ঞানকে গণতান্ত্রিক ও স্বাভাবিক করার এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কর্মজীবনের নতুন সুযোগ সৃষ্টিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে গুগল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নবম গ্রেডের কাছাকাছি করা হচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

ঘরে ঝুলছিল নারীর লাশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত