আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পুরোনো ল্যাপটপ ও ফোনের বেশির ভাগ অংশের ঠাঁই হয় ভাগাড়ে। এর মধ্যে কিছু অংশ কেবল রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহার করা হয়। এর ফলে প্রতিবছর বাড়ছে প্রযুক্তিগত বর্জ্র। তবে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জাস্টিন এম চকলার ও তাঁর সহকর্মীদের উদ্ভাবিত নতুন এক পদ্ধতি এই পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে। পুরোনো ডিভাইস থেকে স্বর্ণ সংগ্রহের অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন তাঁরা।
২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত ইলেকট্রনিক বর্জ্যের (ই-ওয়েস্ট) পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৬২ মিলিয়ন টনে, যা প্রায় ১৫ লাখের বেশি আবর্জনাবাহী ট্রাক পূর্ণ করতে পারে। ২০১০ সালের তুলনায় এটি ৮২ শতাংশ বেড়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই পরিমাণ ৮২ মিলিয়ন টনে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ই-ওয়েস্টে পুরোনো ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনের মতো যন্ত্র থাকে, যেগুলোর মধ্যে সোনাসহ মূল্যবান ধাতু থাকে। তবে এর এক-চতুর্থাংশেরও কম সঠিকভাবে সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহার করা হয়।
নেচার সাসটেইনেবিলিটি সাময়িকীতে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণাপত্রে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের উদ্ভাবিত পদ্ধতি শুধু ই-ওয়েস্ট থেকেই নয়, ছোট পরিসরে সোনার খনি (আর্তিজানাল মাইনিং) থেকেও নিরাপদ উপায়ে সোনা সংগ্রহে সাহায্য করতে পারে। এই পদ্ধতিটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পারদ ও সায়ানাইডের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব বিকল্প দিতে পারে।
যুগ যুগ ধরে মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে সোনা। মুদ্রা, অলংকার, শিল্পকলা থেকে শুরু করে আধুনিক ইলেকট্রনিকস, রাসায়নিক উৎপাদন ও মহাকাশ প্রযুক্তিতেও এর ব্যবহার অপরিহার্য। তবে এই সোনার চাহিদা মেটাতে পরিবেশের ওপর ব্যাপক চাপ পড়ছে।
বড় আকারের খনিগুলোতে সোনা আহরণে বিষাক্ত সায়ানাইড ব্যবহৃত হয়, যা বন্য প্রাণী ও পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। অন্যদিকে ছোট আকারের খনিগুলোতে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হয় পারদ—যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারদ দূষণের উৎস। এই পারদ শুধু পরিবেশ নয়, খনিশ্রমিকদের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এসব কারণে চকলার ও তাঁর দল এক নতুন রাসায়নিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে, যেখানে সোনাকে পানিতে দ্রবণীয় রূপে রূপান্তরিত করতে ব্যবহৃত হয় ট্রাইক্লোরোআইসোসায়ানিউরিক অ্যাসিড, যা সাধারণত পানির জীবাণুনাশক বা সুইমিং পুল পরিষ্কারে ব্যবহৃত হয়। এটি লবণপানির সঙ্গে সক্রিয় হলে সোনাকে দ্রবণীয় করে তোলে।
এরপর এই দ্রবণ থেকে সোনা সংগ্রহের জন্য তাঁরা তৈরি করেছেন এক বিশেষ পলিমার শোষক, যা তৈরি হয়েছে খনিজ সালফার থেকে। এটি পেট্রোলিয়ামশিল্পের একটি অপ্রয়োজনীয় উপজাত। এই পলিমার স্বল্প খরচে অনেক ধাতুর ভেতর থেকে আলাদাভাবে কেবল সোনাকে বাঁধতে সক্ষম।
এই পদ্ধতি তাঁরা বাস্তবে প্রয়োগ করেছেন পুরোনো কম্পিউটারের সার্কিট বোর্ড, খনিজ আকরিক ও বৈজ্ঞানিক বর্জ্যে। সর্বোপরি তাঁরা এমন একটি রিসাইক্লিং পদ্ধতিও তৈরি করেছেন, যার মাধ্যমে একই পলিমার ও রাসায়নিক বারবার ব্যবহার করা সম্ভব।
গবেষকেরা এমন এক রসায়নিক প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন, যার মাধ্যমে আলো ব্যবহার করে পলিমার তৈরি করা যায় এবং এটি পুনর্ব্যবহারের জন্য আবার ভেঙে ফেলা যায়। এতে পুনরুদ্ধার করা সোনা ও মূল উপাদান আলাদা করে পুনরায় নতুন পলিমার তৈরি করা যায়—যা চক্রাকার অর্থনীতির একটি দুর্দান্ত উদাহরণ।
এই প্রযুক্তিকে বাস্তবায়নের পথে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে—বিশেষ করে বৃহৎ পরিসরে উৎপাদন, খরচ, পুনর্ব্যবহার ও শিল্পে গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা। তবে প্রাথমিক ফলাফলগুলো উৎসাহব্যঞ্জক।
গবেষকদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হচ্ছে, পারদ ও সায়ানাইড ব্যবহার ছাড়াই সোনা আহরণে একটি কার্যকর ও নিরাপদ পদ্ধতি তৈরি করা। এর মাধ্যমে তাঁরা ছোট পরিসরের খনিশ্রমিকদের জন্য একটি অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ও পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান।
অন্যদিকে ই-ওয়েস্ট থেকে সোনা আহরণে এই পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলে প্রাথমিকভাবে খনির ওপর নির্ভরতা কমবে এবং পরিবেশগত ক্ষতিও কমে যাবে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
পুরোনো ল্যাপটপ ও ফোনের বেশির ভাগ অংশের ঠাঁই হয় ভাগাড়ে। এর মধ্যে কিছু অংশ কেবল রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহার করা হয়। এর ফলে প্রতিবছর বাড়ছে প্রযুক্তিগত বর্জ্র। তবে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জাস্টিন এম চকলার ও তাঁর সহকর্মীদের উদ্ভাবিত নতুন এক পদ্ধতি এই পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে। পুরোনো ডিভাইস থেকে স্বর্ণ সংগ্রহের অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন তাঁরা।
২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত ইলেকট্রনিক বর্জ্যের (ই-ওয়েস্ট) পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৬২ মিলিয়ন টনে, যা প্রায় ১৫ লাখের বেশি আবর্জনাবাহী ট্রাক পূর্ণ করতে পারে। ২০১০ সালের তুলনায় এটি ৮২ শতাংশ বেড়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই পরিমাণ ৮২ মিলিয়ন টনে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ই-ওয়েস্টে পুরোনো ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনের মতো যন্ত্র থাকে, যেগুলোর মধ্যে সোনাসহ মূল্যবান ধাতু থাকে। তবে এর এক-চতুর্থাংশেরও কম সঠিকভাবে সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহার করা হয়।
নেচার সাসটেইনেবিলিটি সাময়িকীতে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণাপত্রে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের উদ্ভাবিত পদ্ধতি শুধু ই-ওয়েস্ট থেকেই নয়, ছোট পরিসরে সোনার খনি (আর্তিজানাল মাইনিং) থেকেও নিরাপদ উপায়ে সোনা সংগ্রহে সাহায্য করতে পারে। এই পদ্ধতিটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পারদ ও সায়ানাইডের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব বিকল্প দিতে পারে।
যুগ যুগ ধরে মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে সোনা। মুদ্রা, অলংকার, শিল্পকলা থেকে শুরু করে আধুনিক ইলেকট্রনিকস, রাসায়নিক উৎপাদন ও মহাকাশ প্রযুক্তিতেও এর ব্যবহার অপরিহার্য। তবে এই সোনার চাহিদা মেটাতে পরিবেশের ওপর ব্যাপক চাপ পড়ছে।
বড় আকারের খনিগুলোতে সোনা আহরণে বিষাক্ত সায়ানাইড ব্যবহৃত হয়, যা বন্য প্রাণী ও পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। অন্যদিকে ছোট আকারের খনিগুলোতে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হয় পারদ—যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারদ দূষণের উৎস। এই পারদ শুধু পরিবেশ নয়, খনিশ্রমিকদের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এসব কারণে চকলার ও তাঁর দল এক নতুন রাসায়নিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে, যেখানে সোনাকে পানিতে দ্রবণীয় রূপে রূপান্তরিত করতে ব্যবহৃত হয় ট্রাইক্লোরোআইসোসায়ানিউরিক অ্যাসিড, যা সাধারণত পানির জীবাণুনাশক বা সুইমিং পুল পরিষ্কারে ব্যবহৃত হয়। এটি লবণপানির সঙ্গে সক্রিয় হলে সোনাকে দ্রবণীয় করে তোলে।
এরপর এই দ্রবণ থেকে সোনা সংগ্রহের জন্য তাঁরা তৈরি করেছেন এক বিশেষ পলিমার শোষক, যা তৈরি হয়েছে খনিজ সালফার থেকে। এটি পেট্রোলিয়ামশিল্পের একটি অপ্রয়োজনীয় উপজাত। এই পলিমার স্বল্প খরচে অনেক ধাতুর ভেতর থেকে আলাদাভাবে কেবল সোনাকে বাঁধতে সক্ষম।
এই পদ্ধতি তাঁরা বাস্তবে প্রয়োগ করেছেন পুরোনো কম্পিউটারের সার্কিট বোর্ড, খনিজ আকরিক ও বৈজ্ঞানিক বর্জ্যে। সর্বোপরি তাঁরা এমন একটি রিসাইক্লিং পদ্ধতিও তৈরি করেছেন, যার মাধ্যমে একই পলিমার ও রাসায়নিক বারবার ব্যবহার করা সম্ভব।
গবেষকেরা এমন এক রসায়নিক প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন, যার মাধ্যমে আলো ব্যবহার করে পলিমার তৈরি করা যায় এবং এটি পুনর্ব্যবহারের জন্য আবার ভেঙে ফেলা যায়। এতে পুনরুদ্ধার করা সোনা ও মূল উপাদান আলাদা করে পুনরায় নতুন পলিমার তৈরি করা যায়—যা চক্রাকার অর্থনীতির একটি দুর্দান্ত উদাহরণ।
এই প্রযুক্তিকে বাস্তবায়নের পথে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে—বিশেষ করে বৃহৎ পরিসরে উৎপাদন, খরচ, পুনর্ব্যবহার ও শিল্পে গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা। তবে প্রাথমিক ফলাফলগুলো উৎসাহব্যঞ্জক।
গবেষকদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হচ্ছে, পারদ ও সায়ানাইড ব্যবহার ছাড়াই সোনা আহরণে একটি কার্যকর ও নিরাপদ পদ্ধতি তৈরি করা। এর মাধ্যমে তাঁরা ছোট পরিসরের খনিশ্রমিকদের জন্য একটি অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ও পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান।
অন্যদিকে ই-ওয়েস্ট থেকে সোনা আহরণে এই পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলে প্রাথমিকভাবে খনির ওপর নির্ভরতা কমবে এবং পরিবেশগত ক্ষতিও কমে যাবে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পুরোনো ল্যাপটপ ও ফোনের বেশির ভাগ অংশের ঠাঁই হয় ভাগাড়ে। এর মধ্যে কিছু অংশ কেবল রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহার করা হয়। এর ফলে প্রতিবছর বাড়ছে প্রযুক্তিগত বর্জ্র। তবে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জাস্টিন এম চকলার ও তাঁর সহকর্মীদের উদ্ভাবিত নতুন এক পদ্ধতি এই পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে। পুরোনো ডিভাইস থেকে স্বর্ণ সংগ্রহের অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন তাঁরা।
২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত ইলেকট্রনিক বর্জ্যের (ই-ওয়েস্ট) পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৬২ মিলিয়ন টনে, যা প্রায় ১৫ লাখের বেশি আবর্জনাবাহী ট্রাক পূর্ণ করতে পারে। ২০১০ সালের তুলনায় এটি ৮২ শতাংশ বেড়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই পরিমাণ ৮২ মিলিয়ন টনে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ই-ওয়েস্টে পুরোনো ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনের মতো যন্ত্র থাকে, যেগুলোর মধ্যে সোনাসহ মূল্যবান ধাতু থাকে। তবে এর এক-চতুর্থাংশেরও কম সঠিকভাবে সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহার করা হয়।
নেচার সাসটেইনেবিলিটি সাময়িকীতে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণাপত্রে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের উদ্ভাবিত পদ্ধতি শুধু ই-ওয়েস্ট থেকেই নয়, ছোট পরিসরে সোনার খনি (আর্তিজানাল মাইনিং) থেকেও নিরাপদ উপায়ে সোনা সংগ্রহে সাহায্য করতে পারে। এই পদ্ধতিটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পারদ ও সায়ানাইডের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব বিকল্প দিতে পারে।
যুগ যুগ ধরে মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে সোনা। মুদ্রা, অলংকার, শিল্পকলা থেকে শুরু করে আধুনিক ইলেকট্রনিকস, রাসায়নিক উৎপাদন ও মহাকাশ প্রযুক্তিতেও এর ব্যবহার অপরিহার্য। তবে এই সোনার চাহিদা মেটাতে পরিবেশের ওপর ব্যাপক চাপ পড়ছে।
বড় আকারের খনিগুলোতে সোনা আহরণে বিষাক্ত সায়ানাইড ব্যবহৃত হয়, যা বন্য প্রাণী ও পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। অন্যদিকে ছোট আকারের খনিগুলোতে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হয় পারদ—যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারদ দূষণের উৎস। এই পারদ শুধু পরিবেশ নয়, খনিশ্রমিকদের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এসব কারণে চকলার ও তাঁর দল এক নতুন রাসায়নিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে, যেখানে সোনাকে পানিতে দ্রবণীয় রূপে রূপান্তরিত করতে ব্যবহৃত হয় ট্রাইক্লোরোআইসোসায়ানিউরিক অ্যাসিড, যা সাধারণত পানির জীবাণুনাশক বা সুইমিং পুল পরিষ্কারে ব্যবহৃত হয়। এটি লবণপানির সঙ্গে সক্রিয় হলে সোনাকে দ্রবণীয় করে তোলে।
এরপর এই দ্রবণ থেকে সোনা সংগ্রহের জন্য তাঁরা তৈরি করেছেন এক বিশেষ পলিমার শোষক, যা তৈরি হয়েছে খনিজ সালফার থেকে। এটি পেট্রোলিয়ামশিল্পের একটি অপ্রয়োজনীয় উপজাত। এই পলিমার স্বল্প খরচে অনেক ধাতুর ভেতর থেকে আলাদাভাবে কেবল সোনাকে বাঁধতে সক্ষম।
এই পদ্ধতি তাঁরা বাস্তবে প্রয়োগ করেছেন পুরোনো কম্পিউটারের সার্কিট বোর্ড, খনিজ আকরিক ও বৈজ্ঞানিক বর্জ্যে। সর্বোপরি তাঁরা এমন একটি রিসাইক্লিং পদ্ধতিও তৈরি করেছেন, যার মাধ্যমে একই পলিমার ও রাসায়নিক বারবার ব্যবহার করা সম্ভব।
গবেষকেরা এমন এক রসায়নিক প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন, যার মাধ্যমে আলো ব্যবহার করে পলিমার তৈরি করা যায় এবং এটি পুনর্ব্যবহারের জন্য আবার ভেঙে ফেলা যায়। এতে পুনরুদ্ধার করা সোনা ও মূল উপাদান আলাদা করে পুনরায় নতুন পলিমার তৈরি করা যায়—যা চক্রাকার অর্থনীতির একটি দুর্দান্ত উদাহরণ।
এই প্রযুক্তিকে বাস্তবায়নের পথে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে—বিশেষ করে বৃহৎ পরিসরে উৎপাদন, খরচ, পুনর্ব্যবহার ও শিল্পে গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা। তবে প্রাথমিক ফলাফলগুলো উৎসাহব্যঞ্জক।
গবেষকদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হচ্ছে, পারদ ও সায়ানাইড ব্যবহার ছাড়াই সোনা আহরণে একটি কার্যকর ও নিরাপদ পদ্ধতি তৈরি করা। এর মাধ্যমে তাঁরা ছোট পরিসরের খনিশ্রমিকদের জন্য একটি অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ও পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান।
অন্যদিকে ই-ওয়েস্ট থেকে সোনা আহরণে এই পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলে প্রাথমিকভাবে খনির ওপর নির্ভরতা কমবে এবং পরিবেশগত ক্ষতিও কমে যাবে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
পুরোনো ল্যাপটপ ও ফোনের বেশির ভাগ অংশের ঠাঁই হয় ভাগাড়ে। এর মধ্যে কিছু অংশ কেবল রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহার করা হয়। এর ফলে প্রতিবছর বাড়ছে প্রযুক্তিগত বর্জ্র। তবে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জাস্টিন এম চকলার ও তাঁর সহকর্মীদের উদ্ভাবিত নতুন এক পদ্ধতি এই পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে। পুরোনো ডিভাইস থেকে স্বর্ণ সংগ্রহের অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন তাঁরা।
২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত ইলেকট্রনিক বর্জ্যের (ই-ওয়েস্ট) পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৬২ মিলিয়ন টনে, যা প্রায় ১৫ লাখের বেশি আবর্জনাবাহী ট্রাক পূর্ণ করতে পারে। ২০১০ সালের তুলনায় এটি ৮২ শতাংশ বেড়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই পরিমাণ ৮২ মিলিয়ন টনে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ই-ওয়েস্টে পুরোনো ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনের মতো যন্ত্র থাকে, যেগুলোর মধ্যে সোনাসহ মূল্যবান ধাতু থাকে। তবে এর এক-চতুর্থাংশেরও কম সঠিকভাবে সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহার করা হয়।
নেচার সাসটেইনেবিলিটি সাময়িকীতে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণাপত্রে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের উদ্ভাবিত পদ্ধতি শুধু ই-ওয়েস্ট থেকেই নয়, ছোট পরিসরে সোনার খনি (আর্তিজানাল মাইনিং) থেকেও নিরাপদ উপায়ে সোনা সংগ্রহে সাহায্য করতে পারে। এই পদ্ধতিটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পারদ ও সায়ানাইডের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব বিকল্প দিতে পারে।
যুগ যুগ ধরে মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে সোনা। মুদ্রা, অলংকার, শিল্পকলা থেকে শুরু করে আধুনিক ইলেকট্রনিকস, রাসায়নিক উৎপাদন ও মহাকাশ প্রযুক্তিতেও এর ব্যবহার অপরিহার্য। তবে এই সোনার চাহিদা মেটাতে পরিবেশের ওপর ব্যাপক চাপ পড়ছে।
বড় আকারের খনিগুলোতে সোনা আহরণে বিষাক্ত সায়ানাইড ব্যবহৃত হয়, যা বন্য প্রাণী ও পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। অন্যদিকে ছোট আকারের খনিগুলোতে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হয় পারদ—যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারদ দূষণের উৎস। এই পারদ শুধু পরিবেশ নয়, খনিশ্রমিকদের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এসব কারণে চকলার ও তাঁর দল এক নতুন রাসায়নিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে, যেখানে সোনাকে পানিতে দ্রবণীয় রূপে রূপান্তরিত করতে ব্যবহৃত হয় ট্রাইক্লোরোআইসোসায়ানিউরিক অ্যাসিড, যা সাধারণত পানির জীবাণুনাশক বা সুইমিং পুল পরিষ্কারে ব্যবহৃত হয়। এটি লবণপানির সঙ্গে সক্রিয় হলে সোনাকে দ্রবণীয় করে তোলে।
এরপর এই দ্রবণ থেকে সোনা সংগ্রহের জন্য তাঁরা তৈরি করেছেন এক বিশেষ পলিমার শোষক, যা তৈরি হয়েছে খনিজ সালফার থেকে। এটি পেট্রোলিয়ামশিল্পের একটি অপ্রয়োজনীয় উপজাত। এই পলিমার স্বল্প খরচে অনেক ধাতুর ভেতর থেকে আলাদাভাবে কেবল সোনাকে বাঁধতে সক্ষম।
এই পদ্ধতি তাঁরা বাস্তবে প্রয়োগ করেছেন পুরোনো কম্পিউটারের সার্কিট বোর্ড, খনিজ আকরিক ও বৈজ্ঞানিক বর্জ্যে। সর্বোপরি তাঁরা এমন একটি রিসাইক্লিং পদ্ধতিও তৈরি করেছেন, যার মাধ্যমে একই পলিমার ও রাসায়নিক বারবার ব্যবহার করা সম্ভব।
গবেষকেরা এমন এক রসায়নিক প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন, যার মাধ্যমে আলো ব্যবহার করে পলিমার তৈরি করা যায় এবং এটি পুনর্ব্যবহারের জন্য আবার ভেঙে ফেলা যায়। এতে পুনরুদ্ধার করা সোনা ও মূল উপাদান আলাদা করে পুনরায় নতুন পলিমার তৈরি করা যায়—যা চক্রাকার অর্থনীতির একটি দুর্দান্ত উদাহরণ।
এই প্রযুক্তিকে বাস্তবায়নের পথে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে—বিশেষ করে বৃহৎ পরিসরে উৎপাদন, খরচ, পুনর্ব্যবহার ও শিল্পে গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা। তবে প্রাথমিক ফলাফলগুলো উৎসাহব্যঞ্জক।
গবেষকদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হচ্ছে, পারদ ও সায়ানাইড ব্যবহার ছাড়াই সোনা আহরণে একটি কার্যকর ও নিরাপদ পদ্ধতি তৈরি করা। এর মাধ্যমে তাঁরা ছোট পরিসরের খনিশ্রমিকদের জন্য একটি অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ও পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান।
অন্যদিকে ই-ওয়েস্ট থেকে সোনা আহরণে এই পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলে প্রাথমিকভাবে খনির ওপর নির্ভরতা কমবে এবং পরিবেশগত ক্ষতিও কমে যাবে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক এনজিওর প্রচারণায় বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি ভুয়া ছবি ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দারিদ্র্য ও যৌন সহিংসতার এসব ছবি ‘দারিদ্র্য পর্নো’র (প্রোভার্টি পর্নো) নতুন যুগ বলে সতর্ক করেছেন সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এথিক্যাল ইমেজ প্রচারকারী সংস্থা....
১২ ঘণ্টা আগেআমাজন ওয়েব সার্ভিসেস (এডব্লিউএস)-এর অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বিশ্বজুড়ে বহু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। আমাজনের ক্লাউড কম্পিউটিং বিভাগ এডব্লিউএস-এর এই বিভ্রাটের কারণে ব্যাংক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যন্ত অসংখ্য প্ল্যাটফর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীকাল ১৯ অক্টোবর থেকে যদি কোনো সংবাদপত্র (অনলাইন ভার্সনসহ), নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কনটেন্ট প্রচারিত হয় তবে বিনা নোটিশে সেই সাইট ব্লক করে দেওয়া হবে।
৩ দিন আগেপ্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক এনজিওর প্রচারণায় বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি ভুয়া ছবি ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দারিদ্র্য ও যৌন সহিংসতার এসব ছবি ‘দারিদ্র্য পর্নো’র (প্রোভার্টি পর্নো) নতুন যুগ বলে সতর্ক করেছেন সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এথিক্যাল ইমেজ প্রচারকারী সংস্থা ফেয়ার পিকচারের কর্মকর্তা নোয়া আর্নল্ড।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে নোয়া আর্নল্ড বলেন, সব জায়গায় এখন এসব ছবি ব্যবহার হচ্ছে। কেউ সচেতনভাবে ব্যবহার করছে, আবার কেউ পরীক্ষামূলকভাবে।
অ্যান্টওয়ার্পের ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষক আর্সেনি আলেনিচেভ বলেন, এই ছবিগুলো দারিদ্র্যের প্রচলিত ভিজ্যুয়াল ব্যাকরণ পুনরুৎপাদন করছে। যেমন খালি প্লেট হাতে শিশু, ফেটে যাওয়া মাটি বা কষ্টে ভরা মুখ। এগুলো প্রচলিত স্টেরিওটাইপকে আরও জোরদার করছে।
তিনি ১০০টির বেশি এআই নির্মিত দারিদ্র্য ও সহিংসতাসংক্রান্ত ছবি সংগ্রহ করেছেন, যা ব্যক্তি ও এনজিওরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুধা ও যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রচারণায় ব্যবহার করেছে। দ্য গার্ডিয়ানে দেওয়া কিছু ছবিতে দেখা যায়—কাদামাটির পানিতে গুটিসুটি মেরে থাকা শিশু, বিয়ের পোশাক পরা এক আফ্রিকান মেয়ের গালে গড়িয়ে পড়া অশ্রু।
সম্প্রতি ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথে প্রকাশিত এক নিবন্ধে আর্সেনি আলেনিচেভ এ প্রবণতাকে বলেছেন ‘প্রোভার্টি পর্নো ২.০’।
আলেনিচেভ জানান, এ ভুয়া ছবিগুলোর ব্যবহার বাড়ছে মূলত ব্যয় কমানো ও সম্মতিসংক্রান্ত জটিলতা এড়ানোর জন্য। তিনি বলেন, বাস্তব ফটোগ্রাফির তুলনায় সিনথেটিক ছবি সস্তা এবং তাতে কারও অনুমতি নিতে হয় না, এ কারণে অনেক সংস্থা এ পথে হাঁটছে।
জনপ্রিয় স্টক ফটো সাইট অ্যাডোবি স্টক ফটোস ও ফ্রিপিকে এখন ‘poverty’ বা দারিদ্র্য লিখে সার্চ করলে ডজন ডজন এআই নির্মিত ছবি পাওয়া যাচ্ছে। ছবিগুলোর ক্যাপশনে লেখা—‘শরণার্থীশিবিরের শিশু’, ‘আবর্জনা ভরা নদীতে সাঁতার কাটছে এশিয়ার এক শিশু’, বা ‘সাদা স্বেচ্ছাসেবক আফ্রিকান গ্রামের কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের চিকিৎসা দিচ্ছেন’। অ্যাডোবি এসব ছবির মধ্যে দুটি বিক্রি করেছে প্রায় ৬০ পাউন্ডে।
আলেনিচেভ বলেন, এ ছবিগুলো এতটাই বর্ণবাদী যে, এগুলো প্রকাশের অনুমতিই দেওয়া উচিত নয়। এগুলো আফ্রিকা, ভারত কিংবা অন্য দরিদ্র অঞ্চলের সম্পর্কে সবচেয়ে খারাপ তথ্য ছড়াচ্ছে।
ফ্রিপিকের প্রধান নির্বাহী জোয়াকিন অ্যাবেলা বলেন, প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং এসব ছবি ব্যবহারের দায় ব্যবহারকারীদের। তিনি জানান, এসব ছবি তৈরি করেন ফ্রিপিকের বৈশ্বিক ব্যবহারকারীরা। তাঁরা ছবিগুলো বিক্রি হলে রয়্যালটি পান। তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফটো গ্যালারিতে বৈচিত্র্য ও লিঙ্গভিত্তিক সমতা আনতে কাজ করছে, তবে সব পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করা ‘সমুদ্র শুকানোর চেষ্টার মতো কঠিন’।
তবে এর আগেও বড় সাহায্য সংস্থাগুলো তাদের প্রচারণায় এআই ছবি ব্যবহার করেছে। ২০২৩ সালে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল নেদারল্যান্ডসে শিশুবিবাহবিরোধী এক ভিডিও ক্যাম্পেইনে এআই-নির্মিত মেয়েশিশু, এক বৃদ্ধ পুরুষ ও এক গর্ভবতী কিশোরীর ছবি ব্যবহার করে।
একই বছর ইউটিউবে সংঘাতকালীন যৌন সহিংসতার একটি এআই নির্মিত ভিডিও প্রকাশ করেছিল জাতিসংঘ। এতে ১৯৯৩ সালের বুরুন্ডির গৃহযুদ্ধের সময় ধর্ষণের শিকার এক নারীর কথিত সাক্ষ্যও যুক্ত ছিল। তবে দ্য গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানের পর ভিডিওটি সরিয়ে ফেলা হয়।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ভিডিওটি এক বছর আগে তৈরি হয়েছিল এবং তাতে বাস্তব ও কৃত্রিম দৃশ্যের মিশ্রণ ছিল। আমরা মনে করি, এটি তথ্যের সততা নষ্ট করতে পারে, তাই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, যুদ্ধকালীন যৌন সহিংসতার শিকার নারীদের পাশে দাঁড়াতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে উদ্ভাবনী পদ্ধতির প্রয়োগেও নৈতিক মান বজায় রাখতে হবে।
ফেয়ার পিকচারের আর্নল্ড বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে আমরা দারিদ্র্য ও সহিংসতা চিত্রায়ণে নৈতিকতার প্রশ্নে লড়াই করছি, অথচ এখন দেখা যাচ্ছে, মানুষের পরিবর্তে এআই নির্মিত ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে।’
এনজিও যোগাযোগ পরামর্শক কেট কারডল বলেন, এই প্রবণতা ভয়ংকর। আগে যেভাবে ‘দারিদ্র্য পর্নো’ বিতর্ক হয়েছিল, এখন সেটা বাস্তবের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে—যা আরও দুঃখজনক।
আর্সেনি আলেনিচেভ সতর্ক করেছেন, এআই টুলগুলো সমাজের প্রচলিত পক্ষপাত পুনরুৎপাদন করছে—কখনো আরও বাড়িয়ে তুলছে। এভাবে গ্লোবাল হেলথ সেক্টরের প্রচারণায় ব্যবহৃত পক্ষপাতদুষ্ট ছবি ইন্টারনেটজুড়ে ছড়িয়ে ভবিষ্যতের এআই মডেলগুলোতেও বর্ণবাদ ও বৈষম্যকে আরও গভীর করে তুলতে পারে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল জানায়, সংস্থাটি চলতি বছর থেকে শিশুদের ছবি এআই দিয়ে তৈরির বিরুদ্ধে নির্দেশনা জারি করেছে। তাদের ২০২৩ সালের প্রচারণায় এআইয়ের ছবি ব্যবহারের কারণ হিসেবে বলা হয়, ‘মেয়েদের গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষার উদ্দেশ্যে’ এমন করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে অ্যাডোবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক এনজিওর প্রচারণায় বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি ভুয়া ছবি ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দারিদ্র্য ও যৌন সহিংসতার এসব ছবি ‘দারিদ্র্য পর্নো’র (প্রোভার্টি পর্নো) নতুন যুগ বলে সতর্ক করেছেন সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এথিক্যাল ইমেজ প্রচারকারী সংস্থা ফেয়ার পিকচারের কর্মকর্তা নোয়া আর্নল্ড।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে নোয়া আর্নল্ড বলেন, সব জায়গায় এখন এসব ছবি ব্যবহার হচ্ছে। কেউ সচেতনভাবে ব্যবহার করছে, আবার কেউ পরীক্ষামূলকভাবে।
অ্যান্টওয়ার্পের ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষক আর্সেনি আলেনিচেভ বলেন, এই ছবিগুলো দারিদ্র্যের প্রচলিত ভিজ্যুয়াল ব্যাকরণ পুনরুৎপাদন করছে। যেমন খালি প্লেট হাতে শিশু, ফেটে যাওয়া মাটি বা কষ্টে ভরা মুখ। এগুলো প্রচলিত স্টেরিওটাইপকে আরও জোরদার করছে।
তিনি ১০০টির বেশি এআই নির্মিত দারিদ্র্য ও সহিংসতাসংক্রান্ত ছবি সংগ্রহ করেছেন, যা ব্যক্তি ও এনজিওরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুধা ও যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রচারণায় ব্যবহার করেছে। দ্য গার্ডিয়ানে দেওয়া কিছু ছবিতে দেখা যায়—কাদামাটির পানিতে গুটিসুটি মেরে থাকা শিশু, বিয়ের পোশাক পরা এক আফ্রিকান মেয়ের গালে গড়িয়ে পড়া অশ্রু।
সম্প্রতি ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথে প্রকাশিত এক নিবন্ধে আর্সেনি আলেনিচেভ এ প্রবণতাকে বলেছেন ‘প্রোভার্টি পর্নো ২.০’।
আলেনিচেভ জানান, এ ভুয়া ছবিগুলোর ব্যবহার বাড়ছে মূলত ব্যয় কমানো ও সম্মতিসংক্রান্ত জটিলতা এড়ানোর জন্য। তিনি বলেন, বাস্তব ফটোগ্রাফির তুলনায় সিনথেটিক ছবি সস্তা এবং তাতে কারও অনুমতি নিতে হয় না, এ কারণে অনেক সংস্থা এ পথে হাঁটছে।
জনপ্রিয় স্টক ফটো সাইট অ্যাডোবি স্টক ফটোস ও ফ্রিপিকে এখন ‘poverty’ বা দারিদ্র্য লিখে সার্চ করলে ডজন ডজন এআই নির্মিত ছবি পাওয়া যাচ্ছে। ছবিগুলোর ক্যাপশনে লেখা—‘শরণার্থীশিবিরের শিশু’, ‘আবর্জনা ভরা নদীতে সাঁতার কাটছে এশিয়ার এক শিশু’, বা ‘সাদা স্বেচ্ছাসেবক আফ্রিকান গ্রামের কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের চিকিৎসা দিচ্ছেন’। অ্যাডোবি এসব ছবির মধ্যে দুটি বিক্রি করেছে প্রায় ৬০ পাউন্ডে।
আলেনিচেভ বলেন, এ ছবিগুলো এতটাই বর্ণবাদী যে, এগুলো প্রকাশের অনুমতিই দেওয়া উচিত নয়। এগুলো আফ্রিকা, ভারত কিংবা অন্য দরিদ্র অঞ্চলের সম্পর্কে সবচেয়ে খারাপ তথ্য ছড়াচ্ছে।
ফ্রিপিকের প্রধান নির্বাহী জোয়াকিন অ্যাবেলা বলেন, প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং এসব ছবি ব্যবহারের দায় ব্যবহারকারীদের। তিনি জানান, এসব ছবি তৈরি করেন ফ্রিপিকের বৈশ্বিক ব্যবহারকারীরা। তাঁরা ছবিগুলো বিক্রি হলে রয়্যালটি পান। তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফটো গ্যালারিতে বৈচিত্র্য ও লিঙ্গভিত্তিক সমতা আনতে কাজ করছে, তবে সব পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করা ‘সমুদ্র শুকানোর চেষ্টার মতো কঠিন’।
তবে এর আগেও বড় সাহায্য সংস্থাগুলো তাদের প্রচারণায় এআই ছবি ব্যবহার করেছে। ২০২৩ সালে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল নেদারল্যান্ডসে শিশুবিবাহবিরোধী এক ভিডিও ক্যাম্পেইনে এআই-নির্মিত মেয়েশিশু, এক বৃদ্ধ পুরুষ ও এক গর্ভবতী কিশোরীর ছবি ব্যবহার করে।
একই বছর ইউটিউবে সংঘাতকালীন যৌন সহিংসতার একটি এআই নির্মিত ভিডিও প্রকাশ করেছিল জাতিসংঘ। এতে ১৯৯৩ সালের বুরুন্ডির গৃহযুদ্ধের সময় ধর্ষণের শিকার এক নারীর কথিত সাক্ষ্যও যুক্ত ছিল। তবে দ্য গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানের পর ভিডিওটি সরিয়ে ফেলা হয়।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ভিডিওটি এক বছর আগে তৈরি হয়েছিল এবং তাতে বাস্তব ও কৃত্রিম দৃশ্যের মিশ্রণ ছিল। আমরা মনে করি, এটি তথ্যের সততা নষ্ট করতে পারে, তাই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, যুদ্ধকালীন যৌন সহিংসতার শিকার নারীদের পাশে দাঁড়াতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে উদ্ভাবনী পদ্ধতির প্রয়োগেও নৈতিক মান বজায় রাখতে হবে।
ফেয়ার পিকচারের আর্নল্ড বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে আমরা দারিদ্র্য ও সহিংসতা চিত্রায়ণে নৈতিকতার প্রশ্নে লড়াই করছি, অথচ এখন দেখা যাচ্ছে, মানুষের পরিবর্তে এআই নির্মিত ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে।’
এনজিও যোগাযোগ পরামর্শক কেট কারডল বলেন, এই প্রবণতা ভয়ংকর। আগে যেভাবে ‘দারিদ্র্য পর্নো’ বিতর্ক হয়েছিল, এখন সেটা বাস্তবের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে—যা আরও দুঃখজনক।
আর্সেনি আলেনিচেভ সতর্ক করেছেন, এআই টুলগুলো সমাজের প্রচলিত পক্ষপাত পুনরুৎপাদন করছে—কখনো আরও বাড়িয়ে তুলছে। এভাবে গ্লোবাল হেলথ সেক্টরের প্রচারণায় ব্যবহৃত পক্ষপাতদুষ্ট ছবি ইন্টারনেটজুড়ে ছড়িয়ে ভবিষ্যতের এআই মডেলগুলোতেও বর্ণবাদ ও বৈষম্যকে আরও গভীর করে তুলতে পারে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল জানায়, সংস্থাটি চলতি বছর থেকে শিশুদের ছবি এআই দিয়ে তৈরির বিরুদ্ধে নির্দেশনা জারি করেছে। তাদের ২০২৩ সালের প্রচারণায় এআইয়ের ছবি ব্যবহারের কারণ হিসেবে বলা হয়, ‘মেয়েদের গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষার উদ্দেশ্যে’ এমন করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে অ্যাডোবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
পুরোনো ল্যাপটপ ও ফোনের বেশির ভাগ অংশের ঠাঁই হয় ভাগাড়ে। এর মধ্যে কিছু অংশ কেবল রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহার করা হয়। এর ফলে প্রতিবছর বাড়ছে প্রযুক্তিগত বর্জ্র। তবে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জাস্টিন এম চকলার ও তাঁর সহকর্মীদের উদ্ভাবিত নতুন এক পদ্ধতি এই পরিস্থিতি বদলে
২৮ জুন ২০২৫আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস (এডব্লিউএস)-এর অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বিশ্বজুড়ে বহু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। আমাজনের ক্লাউড কম্পিউটিং বিভাগ এডব্লিউএস-এর এই বিভ্রাটের কারণে ব্যাংক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যন্ত অসংখ্য প্ল্যাটফর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীকাল ১৯ অক্টোবর থেকে যদি কোনো সংবাদপত্র (অনলাইন ভার্সনসহ), নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কনটেন্ট প্রচারিত হয় তবে বিনা নোটিশে সেই সাইট ব্লক করে দেওয়া হবে।
৩ দিন আগেপ্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস (এডব্লিউএস)-এর অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বিশ্বজুড়ে বহু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। আমাজনের ক্লাউড কম্পিউটিং বিভাগ এডব্লিউএস-এর এই বিভ্রাটের কারণে ব্যাংক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যন্ত অসংখ্য প্ল্যাটফর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই বিভ্রাটের কারণে স্ন্যাপচ্যাট, ডুয়োলিঙ্গো, জুম এবং গেমিং প্ল্যাটফর্ম রোব্লোক্স-সহ বহু সংস্থা প্রভাবিত হয়েছে। এ ছাড়া, লয়েডস এবং হ্যালিফ্যাক্স-এর মতো ব্যাংকের গ্রাহকেরাও সমস্যায় পড়েছেন।
এডব্লিউএস হলো আমাজনের ওয়েব সার্ভার অবকাঠামো, যা কোটি কোটি বড় প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এবং প্ল্যাটফর্মকে সাপোর্ট দেয়। ফলে একটি অঞ্চলে সমস্যা হলেও এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে।
পর্যবেক্ষক সংস্থা ডাউন ডিটেক্টর জানিয়েছে, আজ সোমবার সকালে বিশ্বজুড়ে ৪ কোটিরও বেশি সমস্যার অভিযোগ জমা পড়েছে। এটি একটি সাধারণ কর্মদিবসে আসা অভিযোগের সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি।
ডাউন ডিটেক্টর জানায়, ইউটিসি সময় ৬টা ৫৬ মিনিট বা বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৫৬ মিনিট থেকে ব্যবহারকারীরা এডব্লিউএস-এর ইউএস ইস্ট ১ অঞ্চলে বিশেষ করে সমস্যায় পড়তে শুরু করেন। এই বিভ্রাটে ৫০০ টিরও বেশি কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। এই বিভ্রাট শুরুর পর মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে শুধু যুক্তরাজ্য থেকেই ৪ লাখেরও বেশি সমস্যার রিপোর্ট এসেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এডব্লিউএস জানিয়েছে যে তারা এখন ‘উল্লেখযোগ্যভাবে পুনরুদ্ধারের লক্ষণ’ দেখতে পাচ্ছে এবং সার্ভারে বেশির ভাগ রিকোয়েস্টই সফল হচ্ছে। তবে সম্পূর্ণরূপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো, প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে একটি একক ক্লাউড সেবাদানকারী সংস্থার ওপর নির্ভরশীল থাকলে কেমন বিপদ হতে পারে।
আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস (এডব্লিউএস)-এর অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বিশ্বজুড়ে বহু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। আমাজনের ক্লাউড কম্পিউটিং বিভাগ এডব্লিউএস-এর এই বিভ্রাটের কারণে ব্যাংক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যন্ত অসংখ্য প্ল্যাটফর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই বিভ্রাটের কারণে স্ন্যাপচ্যাট, ডুয়োলিঙ্গো, জুম এবং গেমিং প্ল্যাটফর্ম রোব্লোক্স-সহ বহু সংস্থা প্রভাবিত হয়েছে। এ ছাড়া, লয়েডস এবং হ্যালিফ্যাক্স-এর মতো ব্যাংকের গ্রাহকেরাও সমস্যায় পড়েছেন।
এডব্লিউএস হলো আমাজনের ওয়েব সার্ভার অবকাঠামো, যা কোটি কোটি বড় প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এবং প্ল্যাটফর্মকে সাপোর্ট দেয়। ফলে একটি অঞ্চলে সমস্যা হলেও এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে।
পর্যবেক্ষক সংস্থা ডাউন ডিটেক্টর জানিয়েছে, আজ সোমবার সকালে বিশ্বজুড়ে ৪ কোটিরও বেশি সমস্যার অভিযোগ জমা পড়েছে। এটি একটি সাধারণ কর্মদিবসে আসা অভিযোগের সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি।
ডাউন ডিটেক্টর জানায়, ইউটিসি সময় ৬টা ৫৬ মিনিট বা বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৫৬ মিনিট থেকে ব্যবহারকারীরা এডব্লিউএস-এর ইউএস ইস্ট ১ অঞ্চলে বিশেষ করে সমস্যায় পড়তে শুরু করেন। এই বিভ্রাটে ৫০০ টিরও বেশি কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। এই বিভ্রাট শুরুর পর মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে শুধু যুক্তরাজ্য থেকেই ৪ লাখেরও বেশি সমস্যার রিপোর্ট এসেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এডব্লিউএস জানিয়েছে যে তারা এখন ‘উল্লেখযোগ্যভাবে পুনরুদ্ধারের লক্ষণ’ দেখতে পাচ্ছে এবং সার্ভারে বেশির ভাগ রিকোয়েস্টই সফল হচ্ছে। তবে সম্পূর্ণরূপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো, প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে একটি একক ক্লাউড সেবাদানকারী সংস্থার ওপর নির্ভরশীল থাকলে কেমন বিপদ হতে পারে।
পুরোনো ল্যাপটপ ও ফোনের বেশির ভাগ অংশের ঠাঁই হয় ভাগাড়ে। এর মধ্যে কিছু অংশ কেবল রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহার করা হয়। এর ফলে প্রতিবছর বাড়ছে প্রযুক্তিগত বর্জ্র। তবে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জাস্টিন এম চকলার ও তাঁর সহকর্মীদের উদ্ভাবিত নতুন এক পদ্ধতি এই পরিস্থিতি বদলে
২৮ জুন ২০২৫বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক এনজিওর প্রচারণায় বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি ভুয়া ছবি ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দারিদ্র্য ও যৌন সহিংসতার এসব ছবি ‘দারিদ্র্য পর্নো’র (প্রোভার্টি পর্নো) নতুন যুগ বলে সতর্ক করেছেন সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এথিক্যাল ইমেজ প্রচারকারী সংস্থা....
১২ ঘণ্টা আগেডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীকাল ১৯ অক্টোবর থেকে যদি কোনো সংবাদপত্র (অনলাইন ভার্সনসহ), নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কনটেন্ট প্রচারিত হয় তবে বিনা নোটিশে সেই সাইট ব্লক করে দেওয়া হবে।
৩ দিন আগেপ্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীকাল ১৯ অক্টোবর থেকে যদি কোনো সংবাদপত্র (অনলাইন ভার্সনসহ), নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কনটেন্ট প্রচারিত হয় তবে বিনা নোটিশে সেই সাইট ব্লক করে দেওয়া হবে।
আজ শনিবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং ও পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন ও প্রমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। যা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর পরিপন্থী এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। এই ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার একাধিক প্রজ্ঞাপন ও প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারের সতর্কতার পর ইতিমধ্যে ক্রিকইনফো, জনকণ্ঠ, ঢাকা পোস্টসহ আরও বেশ কয়েকটি পত্রিকা তাদের এডসেন্স পরিবর্তন করেছে, এজন্য তাদের ধন্যবাদ।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে এ বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ), জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) যৌথভাবে কাজ করছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীকাল ১৯ অক্টোবর থেকে যদি কোনো সংবাদপত্র (অনলাইন ভার্সনসহ), নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কনটেন্ট প্রচারিত হয় তবে বিনা নোটিশে সেই সাইট ব্লক করে দেওয়া হবে।
আজ শনিবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং ও পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন ও প্রমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। যা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর পরিপন্থী এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। এই ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার একাধিক প্রজ্ঞাপন ও প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারের সতর্কতার পর ইতিমধ্যে ক্রিকইনফো, জনকণ্ঠ, ঢাকা পোস্টসহ আরও বেশ কয়েকটি পত্রিকা তাদের এডসেন্স পরিবর্তন করেছে, এজন্য তাদের ধন্যবাদ।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে এ বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ), জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) যৌথভাবে কাজ করছে।
পুরোনো ল্যাপটপ ও ফোনের বেশির ভাগ অংশের ঠাঁই হয় ভাগাড়ে। এর মধ্যে কিছু অংশ কেবল রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহার করা হয়। এর ফলে প্রতিবছর বাড়ছে প্রযুক্তিগত বর্জ্র। তবে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জাস্টিন এম চকলার ও তাঁর সহকর্মীদের উদ্ভাবিত নতুন এক পদ্ধতি এই পরিস্থিতি বদলে
২৮ জুন ২০২৫বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক এনজিওর প্রচারণায় বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি ভুয়া ছবি ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দারিদ্র্য ও যৌন সহিংসতার এসব ছবি ‘দারিদ্র্য পর্নো’র (প্রোভার্টি পর্নো) নতুন যুগ বলে সতর্ক করেছেন সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এথিক্যাল ইমেজ প্রচারকারী সংস্থা....
১২ ঘণ্টা আগেআমাজন ওয়েব সার্ভিসেস (এডব্লিউএস)-এর অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বিশ্বজুড়ে বহু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। আমাজনের ক্লাউড কম্পিউটিং বিভাগ এডব্লিউএস-এর এই বিভ্রাটের কারণে ব্যাংক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যন্ত অসংখ্য প্ল্যাটফর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িক বন্ধ করেছে বলে জানানো হয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘দেশের সব পত্রিকা, অনলাইন পোর্টালসহ যেকোনো স্থানীয় এবং আঞ্চলিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সংস্থা, কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং সেলিব্রেটিদের প্রতি আহ্বান জানানো জানানো যাচ্ছে যে—তারা যেন কোনোভাবেই জুয়া, বেটিং, পর্নোগ্রাফি বা অনৈতিক পণ্য ও সেবার প্রচারে অংশগ্রহণ না করেন এবং এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওয়েবসাইট, পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল, অ্যাপ ইত্যাদি ডিফল্ড এডসেন্স-এ না চালিয়ে বরং কাস্টমাইজড করতে হবে যাতে জুয়া পর্ন গ্যাম্বলিং এবং এতদসংক্রান্ত গেইমিং বিজ্ঞাপন বা পপ-আপ না আসে।’
ফয়েজ আহমেদ আরও লেখেন, ‘মোবাইল কোম্পানি, আইএসপি, গুগল অ্যাডসেন্স, মেটা অ্যাডসহ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নৈতিকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় আইন, পপ-আপ ব্লকিং ও ফিল্টারিং নীতি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টেকনোলজি প্ল্যাটফর্ম, ইন্টারনেট সেবাদাতা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, স্পোর্টস সাইট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং এমনকি কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং ও পর্নগ্রাফি বিষয়ক বিজ্ঞাপন ও প্রোমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। এই ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর সরাসরি পরিপন্থী।’
তিনি আরও জানান, ‘জুয়ার বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলবে এবং প্রচলিত আইন ভঙ্গ করলে জনমত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ব্লক করার বিষয় সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে, এবং এব্যাপারে পাবলিক কমিউনিকেশন করা হবে।’
বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান ফয়েজ আহমদ।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িক বন্ধ করেছে বলে জানানো হয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘দেশের সব পত্রিকা, অনলাইন পোর্টালসহ যেকোনো স্থানীয় এবং আঞ্চলিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সংস্থা, কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং সেলিব্রেটিদের প্রতি আহ্বান জানানো জানানো যাচ্ছে যে—তারা যেন কোনোভাবেই জুয়া, বেটিং, পর্নোগ্রাফি বা অনৈতিক পণ্য ও সেবার প্রচারে অংশগ্রহণ না করেন এবং এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওয়েবসাইট, পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল, অ্যাপ ইত্যাদি ডিফল্ড এডসেন্স-এ না চালিয়ে বরং কাস্টমাইজড করতে হবে যাতে জুয়া পর্ন গ্যাম্বলিং এবং এতদসংক্রান্ত গেইমিং বিজ্ঞাপন বা পপ-আপ না আসে।’
ফয়েজ আহমেদ আরও লেখেন, ‘মোবাইল কোম্পানি, আইএসপি, গুগল অ্যাডসেন্স, মেটা অ্যাডসহ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নৈতিকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় আইন, পপ-আপ ব্লকিং ও ফিল্টারিং নীতি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টেকনোলজি প্ল্যাটফর্ম, ইন্টারনেট সেবাদাতা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, স্পোর্টস সাইট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং এমনকি কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং ও পর্নগ্রাফি বিষয়ক বিজ্ঞাপন ও প্রোমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। এই ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর সরাসরি পরিপন্থী।’
তিনি আরও জানান, ‘জুয়ার বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলবে এবং প্রচলিত আইন ভঙ্গ করলে জনমত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ব্লক করার বিষয় সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে, এবং এব্যাপারে পাবলিক কমিউনিকেশন করা হবে।’
বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান ফয়েজ আহমদ।
পুরোনো ল্যাপটপ ও ফোনের বেশির ভাগ অংশের ঠাঁই হয় ভাগাড়ে। এর মধ্যে কিছু অংশ কেবল রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহার করা হয়। এর ফলে প্রতিবছর বাড়ছে প্রযুক্তিগত বর্জ্র। তবে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জাস্টিন এম চকলার ও তাঁর সহকর্মীদের উদ্ভাবিত নতুন এক পদ্ধতি এই পরিস্থিতি বদলে
২৮ জুন ২০২৫বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক এনজিওর প্রচারণায় বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি ভুয়া ছবি ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দারিদ্র্য ও যৌন সহিংসতার এসব ছবি ‘দারিদ্র্য পর্নো’র (প্রোভার্টি পর্নো) নতুন যুগ বলে সতর্ক করেছেন সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এথিক্যাল ইমেজ প্রচারকারী সংস্থা....
১২ ঘণ্টা আগেআমাজন ওয়েব সার্ভিসেস (এডব্লিউএস)-এর অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বিশ্বজুড়ে বহু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। আমাজনের ক্লাউড কম্পিউটিং বিভাগ এডব্লিউএস-এর এই বিভ্রাটের কারণে ব্যাংক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যন্ত অসংখ্য প্ল্যাটফর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীকাল ১৯ অক্টোবর থেকে যদি কোনো সংবাদপত্র (অনলাইন ভার্সনসহ), নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কনটেন্ট প্রচারিত হয় তবে বিনা নোটিশে সেই সাইট ব্লক করে দেওয়া হবে।
৩ দিন আগে