আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চলতি বছরের ১৪ অক্টোবরের পর উইন্ডোজ-১০ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আর কোনো সফটওয়্যার হালনাগাদ, নিরাপত্তা সংশোধনী বা কারিগরি সহায়তা দেবে না মাইক্রোসফট। এদিকে উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেডের জন্য উন্নত হার্ডওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফলে পুরোনো মডেলের ২৪ কোটি কম্পিউটার ইলেকট্রনিক বর্জ্য হিসেবে ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হতে পারে, যা পরিবেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। আবার নতুন কম্পিউটার কেনার পরিবর্তে বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহারের বিষয় নিয়ে এখন থেকেই পর্যালোচনা করছেন অনেক ব্যবহারকারী।
উইন্ডোজ-১০-এর সমর্থন দেওয়া বন্ধ করার কারণে পরিবেশ ও ব্যবহারকারীর ওপর বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ডেটা ও বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হলো—
পটভূমি এবং হার্ডওয়্যার প্রয়োজনীয়তা
২০২১ সালের শেষের দিকে উন্মোচিত হয় উইন্ডোজ ১১। তবে এটি ডিভাইসে চালাতে উইন্ডোজ ১০ এর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উচ্চমানের সিস্টেমের প্রয়োজন; বিশেষ করে ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম মডিউল (টিপিএম) ২.০ চিপ, ১ গিগাহার্টজ ডুয়েল-কোর প্রসেসর (সাধারণত ৮ম প্রজন্মের ইন্টেল বা এএমডি রাইজেন ২০০০ সিরিজ), ৪ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি স্টোরেজ। অনেক পুরোনো পিসিতে এসব হার্ডওয়্যারের সুবিধা নেই। বিশেষ করে টিপিএম ২.০ চিপ এসব পিসিতে নেই। ২০১৬ সালের আগের সিস্টেমগুলোতে ব্যাপকভাবে এই চিপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে লাখ লাখ ডিভাইসের হার্ডওয়্যার পরিবর্তন না করলে উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেড করা যাবে না, যা প্রায়শই অবাস্তব বা ব্যয়বহুল। তবে এসব হার্ডওয়্যার বাদেও অনেক পুরোনো মডেলের পিসি এখনো কার্যকর।
সম্ভাব্য ই-বর্জ্যের ডেটা
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ক্যানালিস রিসার্চ অনুমান করেছিল, উইন্ডোজ-১০-এর সমর্থন শেষ হলে (ইওএল) এবং উইন্ডোজ-১১-এর সঙ্গে হার্ডওয়্যারের অসামঞ্জস্যের কারণে প্রায় ২৪০ মিলিয়ন পিসি অচল হয়ে যাবে। এই সংখ্যা তখন বিশ্বব্যাপী উইন্ডোজ ১০ ইনস্টল করা কম্পিউটারের প্রায় ২০ শতাংশের সমান ছিল। যদি এই পিসিগুলো ফেলে দেওয়া হয়, তবে আনুমানিক ৪৮০ মিলিয়ন কিলোগ্রাম (৪ লাখ ৮০ হাজার টন) ইলেকট্রনিক বর্জ্য (ই–বর্জ্য) তৈরি হতে পারে, যা প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার গড় গাড়ির ওজনের সমান। এ ছাড়া এই ডিভাইসগুলো ভালো অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও উইন্ডোজ-১০-এর সমর্থন শেষ হওয়ার ফলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা আপডেট পাবে না। ফলে এসব পিসির মূল্য এবং চাহিদা কমবে।
তবে অন্যান্য অনুমান সামান্য ভিন্ন। উদাহরণস্বরূপ, ২০২২ সালে পিআইআরজি (পাবলিক ইন্টারেস্ট রিসার্চ গ্রুপ) পরামর্শ দিয়েছিল যে, ব্যবহৃত ১ বিলিয়ন উইন্ডোজ ১০ ডিভাইসের মধ্যে ৪০০ মিলিয়ন ডিভাইস উইন্ডোজ-১১–এর আপডেট পাবে না। তাই সম্ভাব্য ই-বর্জ্য সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ই-বর্জ্য উৎপাদন ইতিমধ্যে ৬২ মিলিয়ন টন ছিল, যার মধ্যে সঠিকভাবে পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে এক-চতুর্থাংশের কম।
বিপুলসংখ্যক পিসি ভাগাড়ে যাবে যে কারণে
নিরাপত্তা আপডেট: ২০২৫ সালের অক্টোবরের পরে উইন্ডোজ ১০ আর বিনা মূল্যে নিরাপত্তা প্যাচ পাবে না, যার ফলে অসমর্থিত পিসিগুলো সাইবার হামলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। এদিকে মাইক্রোসফট একটি ফি-এর বিনিময়ে ২০২৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত সুরক্ষা আপডেট (ইএসইউ) সুবিধা দেবে (অতীতের প্রোগ্রামের মতো, যেমন উইন্ডোজ-৭-এর জন্য প্রতিবছর ২৫-১০০ ডলার)। এই বিকল্প সম্ভবত ব্যক্তিগত গ্রাহকদের চেয়ে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বেশি আকর্ষণীয় হবে। এই ফি প্রদান বা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঝুঁকি নেওয়ার চেয়ে উইন্ডোজ-১১-সমর্থিত ডিভাইস কেনা বেশি সাশ্রয়ী হতে পারে অনেক ব্যবহারকারীর কাছে।
পুনর্বিক্রয় মূল্যহ্রাস: এই ২৪০ মিলিয়ন পিসির অনেকগুলো কার্যকরী হলেও এগুলো সমর্থিত অপারেটিং সিস্টেম চালাতে পারবে না। তাই সেগুলো পুনর্বিবিক্রয় বা পুনর্বিন্যাসের সম্ভাবনা কমে যায়। ব্যবসা এবং গ্রাহকেরা সাধারণত এমন ডিভাইসগুলোকে পছন্দ করে, যেগুলোতে সক্রিয় সমর্থন পাওয়া যায়। এভাবে পুরোনো পিসিগুলোর চাহিদা কমে যায় এবং সেগুলো সেকেন্ড-হ্যান্ড বাজারে কম জনপ্রিয় হয়ে পড়ে।
পুনর্ব্যবহারের চ্যালেঞ্জ: পুনর্ব্যবহার একটি বিকল্প হলেও ই-বর্জ্য (ইলেকট্রনিক বর্জ্য) পুনর্ব্যবহারের হার খুবই কম। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বজুড়ে মাত্র ১৫-২০ শতাংশ ই-বর্জ্য সঠিকভাবে পুনর্ব্যবহার করা হয়। ২০১৯ সালে স্ট্যাটিস্টা জানিয়েছে, বিশ্বের মোট ই-বর্জ্য উৎপাদন ছিল ৫৪ মিলিয়ন টন এবং এটি ২০৩০ সালের মধ্যে ৭৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন টনে পৌঁছাবে। ২০২৫ সালের পর অনেক পুরোনো পিসি ফেলে দেওয়ার কারণে পুনর্ব্যবহার অবকাঠামোকে অভিভূত করতে পারে। বিশেষত যদি ব্যবহারকারীরা এগুলো সাধারণ আবর্জনার সঙ্গেই ফেলে দেয়, তবে ব্যাটারি এবং অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে।
পরিবেশগত প্রভাব
ভাগাড়ে পিসি ফেলে দিলে তা পরিবেশের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। কম্পিউটারে সিসা, পারদ, ক্যাডমিয়াম এবং ব্রোমিনেটেডের মতো বিপজ্জনক পদার্থ থাকে। এগুলো সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না করলে এগুলো মাটি এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশে যেতে পারে। এসব উপাদান পোড়ালেও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে ছড়িয়ে যেতে পারে। ক্যানালিসের মতে, যদি ভাগাড়ে ৪৮০ মিলিয়ন কিলোগ্রাম ই-বর্জ্য ফেলা হয়, তবে এটি পরিবেশে সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলবে। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির মতে, ই-বর্জ্য বিশ্বব্যাপী দ্রুত বাড়ছে এবং এর পুনর্ব্যবহার ক্ষমতার চেয়ে পাঁচ গুণ দ্রুত বর্ধনশীল।
২৪০ মিলিয়ন পিসির সবই ভাগাড়ে যাবে এমন নিশ্চয়তা নেই। কিছু ব্যবহারকারী হয়তো—
বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার শুরু করতে পারেন: লিনাক্স মিন্ট বা উবুন্টুর মতো লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনগুলো পুরোনো হার্ডওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। এগুলো উইন্ডোজের একটি সুরক্ষিত এবং বিনা মূল্যের বিকল্প।
দায়িত্বের সঙ্গে পুনর্ব্যবহার: অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল টেলিভিশন এবং কম্পিউটার রিসাইক্লিং স্কিম বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় ই-বর্জ্য ড্রাইভের মতো প্রোগ্রামগুলো বৈদ্যুতিক যানবাহন বা নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তিতে ব্যবহারের জন্য কম্পিউটারের উপকরণ (যেমন হার্ড ড্রাইভ থেকে বিরল আর্থ ধাতু, ব্যাটারি থেকে লিথিয়াম) ব্যবহার করতে পারে।
উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারে: কিছু ব্যক্তি সুরক্ষা ঝুঁকি মেনে নিয়ে অসমর্থিত সিস্টেম ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারে। তবে ব্যবসাগুলোর জন্য এটি কম কার্যকর। এই বিকল্পগুলো ব্যবহারকারীর সচেতনতা, সম্পদের অ্যাকসেস এবং মানিয়ে নেওয়ার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে।
মাইক্রোসফটের ভূমিকা এবং সমালোচনা
মাইক্রোসফট ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন-নিরপেক্ষ হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও উইন্ডোজ ১১ চালুর মাধ্যমে এই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হবে। এ জন্য মাইক্রোসফট ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। সমালোচকেরা বলেন, যদি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০ এর সমর্থন বাড়াতো বা উইন্ডোজ ১১ এর আপডেটের জন্য উন্নত হার্ডওয়্যার প্রয়োজনীয়তা কমাত, তবে ই-বর্জ্য কমানো সম্ভব হতো। তবে, নতুন হার্ডওয়্যার বিক্রির জন্য এই কৌশল অবলম্বন করেছে মাইক্রোসফট। এতে পিসি নির্মাতারা সুবিধা পেলেও হলেও, পরিবেশের ওপর চাপ বাড়তে পারে।
২০২৫ সালের অক্টোবরে উইন্ডোজ ১০ এর সমর্থন শেষ হলে, প্রায় ২৪০ মিলিয়ন পিসি ব্যবহারযোগ্য হবে না, যা প্রায় ৪ দশমিক ৮ লাখ মেট্রিক টন ই-বর্জ্যের সমান। যদিও পুরোনো পিসি পুনর্ব্যবহার বা বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে পুনর্ব্যবহারের কম সুবিধা, নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং আপগ্রেড করার খরচের কারণে অনেক পিসি হয়তো ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হবে। এর ফলে এটি বিশ্বব্যাপী ই-বর্জ্য সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা ব্যবহারকারীদের আচরণ, পুনর্ব্যবহার সুবিধা এবং মাইক্রোসফটের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। এটি প্রযুক্তি এবং পরিবেশের বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

চলতি বছরের ১৪ অক্টোবরের পর উইন্ডোজ-১০ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আর কোনো সফটওয়্যার হালনাগাদ, নিরাপত্তা সংশোধনী বা কারিগরি সহায়তা দেবে না মাইক্রোসফট। এদিকে উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেডের জন্য উন্নত হার্ডওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফলে পুরোনো মডেলের ২৪ কোটি কম্পিউটার ইলেকট্রনিক বর্জ্য হিসেবে ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হতে পারে, যা পরিবেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। আবার নতুন কম্পিউটার কেনার পরিবর্তে বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহারের বিষয় নিয়ে এখন থেকেই পর্যালোচনা করছেন অনেক ব্যবহারকারী।
উইন্ডোজ-১০-এর সমর্থন দেওয়া বন্ধ করার কারণে পরিবেশ ও ব্যবহারকারীর ওপর বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ডেটা ও বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হলো—
পটভূমি এবং হার্ডওয়্যার প্রয়োজনীয়তা
২০২১ সালের শেষের দিকে উন্মোচিত হয় উইন্ডোজ ১১। তবে এটি ডিভাইসে চালাতে উইন্ডোজ ১০ এর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উচ্চমানের সিস্টেমের প্রয়োজন; বিশেষ করে ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম মডিউল (টিপিএম) ২.০ চিপ, ১ গিগাহার্টজ ডুয়েল-কোর প্রসেসর (সাধারণত ৮ম প্রজন্মের ইন্টেল বা এএমডি রাইজেন ২০০০ সিরিজ), ৪ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি স্টোরেজ। অনেক পুরোনো পিসিতে এসব হার্ডওয়্যারের সুবিধা নেই। বিশেষ করে টিপিএম ২.০ চিপ এসব পিসিতে নেই। ২০১৬ সালের আগের সিস্টেমগুলোতে ব্যাপকভাবে এই চিপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে লাখ লাখ ডিভাইসের হার্ডওয়্যার পরিবর্তন না করলে উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেড করা যাবে না, যা প্রায়শই অবাস্তব বা ব্যয়বহুল। তবে এসব হার্ডওয়্যার বাদেও অনেক পুরোনো মডেলের পিসি এখনো কার্যকর।
সম্ভাব্য ই-বর্জ্যের ডেটা
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ক্যানালিস রিসার্চ অনুমান করেছিল, উইন্ডোজ-১০-এর সমর্থন শেষ হলে (ইওএল) এবং উইন্ডোজ-১১-এর সঙ্গে হার্ডওয়্যারের অসামঞ্জস্যের কারণে প্রায় ২৪০ মিলিয়ন পিসি অচল হয়ে যাবে। এই সংখ্যা তখন বিশ্বব্যাপী উইন্ডোজ ১০ ইনস্টল করা কম্পিউটারের প্রায় ২০ শতাংশের সমান ছিল। যদি এই পিসিগুলো ফেলে দেওয়া হয়, তবে আনুমানিক ৪৮০ মিলিয়ন কিলোগ্রাম (৪ লাখ ৮০ হাজার টন) ইলেকট্রনিক বর্জ্য (ই–বর্জ্য) তৈরি হতে পারে, যা প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার গড় গাড়ির ওজনের সমান। এ ছাড়া এই ডিভাইসগুলো ভালো অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও উইন্ডোজ-১০-এর সমর্থন শেষ হওয়ার ফলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা আপডেট পাবে না। ফলে এসব পিসির মূল্য এবং চাহিদা কমবে।
তবে অন্যান্য অনুমান সামান্য ভিন্ন। উদাহরণস্বরূপ, ২০২২ সালে পিআইআরজি (পাবলিক ইন্টারেস্ট রিসার্চ গ্রুপ) পরামর্শ দিয়েছিল যে, ব্যবহৃত ১ বিলিয়ন উইন্ডোজ ১০ ডিভাইসের মধ্যে ৪০০ মিলিয়ন ডিভাইস উইন্ডোজ-১১–এর আপডেট পাবে না। তাই সম্ভাব্য ই-বর্জ্য সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ই-বর্জ্য উৎপাদন ইতিমধ্যে ৬২ মিলিয়ন টন ছিল, যার মধ্যে সঠিকভাবে পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে এক-চতুর্থাংশের কম।
বিপুলসংখ্যক পিসি ভাগাড়ে যাবে যে কারণে
নিরাপত্তা আপডেট: ২০২৫ সালের অক্টোবরের পরে উইন্ডোজ ১০ আর বিনা মূল্যে নিরাপত্তা প্যাচ পাবে না, যার ফলে অসমর্থিত পিসিগুলো সাইবার হামলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। এদিকে মাইক্রোসফট একটি ফি-এর বিনিময়ে ২০২৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত সুরক্ষা আপডেট (ইএসইউ) সুবিধা দেবে (অতীতের প্রোগ্রামের মতো, যেমন উইন্ডোজ-৭-এর জন্য প্রতিবছর ২৫-১০০ ডলার)। এই বিকল্প সম্ভবত ব্যক্তিগত গ্রাহকদের চেয়ে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বেশি আকর্ষণীয় হবে। এই ফি প্রদান বা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঝুঁকি নেওয়ার চেয়ে উইন্ডোজ-১১-সমর্থিত ডিভাইস কেনা বেশি সাশ্রয়ী হতে পারে অনেক ব্যবহারকারীর কাছে।
পুনর্বিক্রয় মূল্যহ্রাস: এই ২৪০ মিলিয়ন পিসির অনেকগুলো কার্যকরী হলেও এগুলো সমর্থিত অপারেটিং সিস্টেম চালাতে পারবে না। তাই সেগুলো পুনর্বিবিক্রয় বা পুনর্বিন্যাসের সম্ভাবনা কমে যায়। ব্যবসা এবং গ্রাহকেরা সাধারণত এমন ডিভাইসগুলোকে পছন্দ করে, যেগুলোতে সক্রিয় সমর্থন পাওয়া যায়। এভাবে পুরোনো পিসিগুলোর চাহিদা কমে যায় এবং সেগুলো সেকেন্ড-হ্যান্ড বাজারে কম জনপ্রিয় হয়ে পড়ে।
পুনর্ব্যবহারের চ্যালেঞ্জ: পুনর্ব্যবহার একটি বিকল্প হলেও ই-বর্জ্য (ইলেকট্রনিক বর্জ্য) পুনর্ব্যবহারের হার খুবই কম। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বজুড়ে মাত্র ১৫-২০ শতাংশ ই-বর্জ্য সঠিকভাবে পুনর্ব্যবহার করা হয়। ২০১৯ সালে স্ট্যাটিস্টা জানিয়েছে, বিশ্বের মোট ই-বর্জ্য উৎপাদন ছিল ৫৪ মিলিয়ন টন এবং এটি ২০৩০ সালের মধ্যে ৭৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন টনে পৌঁছাবে। ২০২৫ সালের পর অনেক পুরোনো পিসি ফেলে দেওয়ার কারণে পুনর্ব্যবহার অবকাঠামোকে অভিভূত করতে পারে। বিশেষত যদি ব্যবহারকারীরা এগুলো সাধারণ আবর্জনার সঙ্গেই ফেলে দেয়, তবে ব্যাটারি এবং অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে।
পরিবেশগত প্রভাব
ভাগাড়ে পিসি ফেলে দিলে তা পরিবেশের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। কম্পিউটারে সিসা, পারদ, ক্যাডমিয়াম এবং ব্রোমিনেটেডের মতো বিপজ্জনক পদার্থ থাকে। এগুলো সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না করলে এগুলো মাটি এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশে যেতে পারে। এসব উপাদান পোড়ালেও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে ছড়িয়ে যেতে পারে। ক্যানালিসের মতে, যদি ভাগাড়ে ৪৮০ মিলিয়ন কিলোগ্রাম ই-বর্জ্য ফেলা হয়, তবে এটি পরিবেশে সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলবে। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির মতে, ই-বর্জ্য বিশ্বব্যাপী দ্রুত বাড়ছে এবং এর পুনর্ব্যবহার ক্ষমতার চেয়ে পাঁচ গুণ দ্রুত বর্ধনশীল।
২৪০ মিলিয়ন পিসির সবই ভাগাড়ে যাবে এমন নিশ্চয়তা নেই। কিছু ব্যবহারকারী হয়তো—
বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার শুরু করতে পারেন: লিনাক্স মিন্ট বা উবুন্টুর মতো লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনগুলো পুরোনো হার্ডওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। এগুলো উইন্ডোজের একটি সুরক্ষিত এবং বিনা মূল্যের বিকল্প।
দায়িত্বের সঙ্গে পুনর্ব্যবহার: অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল টেলিভিশন এবং কম্পিউটার রিসাইক্লিং স্কিম বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় ই-বর্জ্য ড্রাইভের মতো প্রোগ্রামগুলো বৈদ্যুতিক যানবাহন বা নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তিতে ব্যবহারের জন্য কম্পিউটারের উপকরণ (যেমন হার্ড ড্রাইভ থেকে বিরল আর্থ ধাতু, ব্যাটারি থেকে লিথিয়াম) ব্যবহার করতে পারে।
উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারে: কিছু ব্যক্তি সুরক্ষা ঝুঁকি মেনে নিয়ে অসমর্থিত সিস্টেম ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারে। তবে ব্যবসাগুলোর জন্য এটি কম কার্যকর। এই বিকল্পগুলো ব্যবহারকারীর সচেতনতা, সম্পদের অ্যাকসেস এবং মানিয়ে নেওয়ার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে।
মাইক্রোসফটের ভূমিকা এবং সমালোচনা
মাইক্রোসফট ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন-নিরপেক্ষ হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও উইন্ডোজ ১১ চালুর মাধ্যমে এই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হবে। এ জন্য মাইক্রোসফট ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। সমালোচকেরা বলেন, যদি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০ এর সমর্থন বাড়াতো বা উইন্ডোজ ১১ এর আপডেটের জন্য উন্নত হার্ডওয়্যার প্রয়োজনীয়তা কমাত, তবে ই-বর্জ্য কমানো সম্ভব হতো। তবে, নতুন হার্ডওয়্যার বিক্রির জন্য এই কৌশল অবলম্বন করেছে মাইক্রোসফট। এতে পিসি নির্মাতারা সুবিধা পেলেও হলেও, পরিবেশের ওপর চাপ বাড়তে পারে।
২০২৫ সালের অক্টোবরে উইন্ডোজ ১০ এর সমর্থন শেষ হলে, প্রায় ২৪০ মিলিয়ন পিসি ব্যবহারযোগ্য হবে না, যা প্রায় ৪ দশমিক ৮ লাখ মেট্রিক টন ই-বর্জ্যের সমান। যদিও পুরোনো পিসি পুনর্ব্যবহার বা বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে পুনর্ব্যবহারের কম সুবিধা, নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং আপগ্রেড করার খরচের কারণে অনেক পিসি হয়তো ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হবে। এর ফলে এটি বিশ্বব্যাপী ই-বর্জ্য সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা ব্যবহারকারীদের আচরণ, পুনর্ব্যবহার সুবিধা এবং মাইক্রোসফটের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। এটি প্রযুক্তি এবং পরিবেশের বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চলতি বছরের ১৪ অক্টোবরের পর উইন্ডোজ-১০ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আর কোনো সফটওয়্যার হালনাগাদ, নিরাপত্তা সংশোধনী বা কারিগরি সহায়তা দেবে না মাইক্রোসফট। এদিকে উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেডের জন্য উন্নত হার্ডওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফলে পুরোনো মডেলের ২৪ কোটি কম্পিউটার ইলেকট্রনিক বর্জ্য হিসেবে ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হতে পারে, যা পরিবেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। আবার নতুন কম্পিউটার কেনার পরিবর্তে বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহারের বিষয় নিয়ে এখন থেকেই পর্যালোচনা করছেন অনেক ব্যবহারকারী।
উইন্ডোজ-১০-এর সমর্থন দেওয়া বন্ধ করার কারণে পরিবেশ ও ব্যবহারকারীর ওপর বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ডেটা ও বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হলো—
পটভূমি এবং হার্ডওয়্যার প্রয়োজনীয়তা
২০২১ সালের শেষের দিকে উন্মোচিত হয় উইন্ডোজ ১১। তবে এটি ডিভাইসে চালাতে উইন্ডোজ ১০ এর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উচ্চমানের সিস্টেমের প্রয়োজন; বিশেষ করে ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম মডিউল (টিপিএম) ২.০ চিপ, ১ গিগাহার্টজ ডুয়েল-কোর প্রসেসর (সাধারণত ৮ম প্রজন্মের ইন্টেল বা এএমডি রাইজেন ২০০০ সিরিজ), ৪ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি স্টোরেজ। অনেক পুরোনো পিসিতে এসব হার্ডওয়্যারের সুবিধা নেই। বিশেষ করে টিপিএম ২.০ চিপ এসব পিসিতে নেই। ২০১৬ সালের আগের সিস্টেমগুলোতে ব্যাপকভাবে এই চিপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে লাখ লাখ ডিভাইসের হার্ডওয়্যার পরিবর্তন না করলে উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেড করা যাবে না, যা প্রায়শই অবাস্তব বা ব্যয়বহুল। তবে এসব হার্ডওয়্যার বাদেও অনেক পুরোনো মডেলের পিসি এখনো কার্যকর।
সম্ভাব্য ই-বর্জ্যের ডেটা
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ক্যানালিস রিসার্চ অনুমান করেছিল, উইন্ডোজ-১০-এর সমর্থন শেষ হলে (ইওএল) এবং উইন্ডোজ-১১-এর সঙ্গে হার্ডওয়্যারের অসামঞ্জস্যের কারণে প্রায় ২৪০ মিলিয়ন পিসি অচল হয়ে যাবে। এই সংখ্যা তখন বিশ্বব্যাপী উইন্ডোজ ১০ ইনস্টল করা কম্পিউটারের প্রায় ২০ শতাংশের সমান ছিল। যদি এই পিসিগুলো ফেলে দেওয়া হয়, তবে আনুমানিক ৪৮০ মিলিয়ন কিলোগ্রাম (৪ লাখ ৮০ হাজার টন) ইলেকট্রনিক বর্জ্য (ই–বর্জ্য) তৈরি হতে পারে, যা প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার গড় গাড়ির ওজনের সমান। এ ছাড়া এই ডিভাইসগুলো ভালো অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও উইন্ডোজ-১০-এর সমর্থন শেষ হওয়ার ফলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা আপডেট পাবে না। ফলে এসব পিসির মূল্য এবং চাহিদা কমবে।
তবে অন্যান্য অনুমান সামান্য ভিন্ন। উদাহরণস্বরূপ, ২০২২ সালে পিআইআরজি (পাবলিক ইন্টারেস্ট রিসার্চ গ্রুপ) পরামর্শ দিয়েছিল যে, ব্যবহৃত ১ বিলিয়ন উইন্ডোজ ১০ ডিভাইসের মধ্যে ৪০০ মিলিয়ন ডিভাইস উইন্ডোজ-১১–এর আপডেট পাবে না। তাই সম্ভাব্য ই-বর্জ্য সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ই-বর্জ্য উৎপাদন ইতিমধ্যে ৬২ মিলিয়ন টন ছিল, যার মধ্যে সঠিকভাবে পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে এক-চতুর্থাংশের কম।
বিপুলসংখ্যক পিসি ভাগাড়ে যাবে যে কারণে
নিরাপত্তা আপডেট: ২০২৫ সালের অক্টোবরের পরে উইন্ডোজ ১০ আর বিনা মূল্যে নিরাপত্তা প্যাচ পাবে না, যার ফলে অসমর্থিত পিসিগুলো সাইবার হামলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। এদিকে মাইক্রোসফট একটি ফি-এর বিনিময়ে ২০২৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত সুরক্ষা আপডেট (ইএসইউ) সুবিধা দেবে (অতীতের প্রোগ্রামের মতো, যেমন উইন্ডোজ-৭-এর জন্য প্রতিবছর ২৫-১০০ ডলার)। এই বিকল্প সম্ভবত ব্যক্তিগত গ্রাহকদের চেয়ে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বেশি আকর্ষণীয় হবে। এই ফি প্রদান বা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঝুঁকি নেওয়ার চেয়ে উইন্ডোজ-১১-সমর্থিত ডিভাইস কেনা বেশি সাশ্রয়ী হতে পারে অনেক ব্যবহারকারীর কাছে।
পুনর্বিক্রয় মূল্যহ্রাস: এই ২৪০ মিলিয়ন পিসির অনেকগুলো কার্যকরী হলেও এগুলো সমর্থিত অপারেটিং সিস্টেম চালাতে পারবে না। তাই সেগুলো পুনর্বিবিক্রয় বা পুনর্বিন্যাসের সম্ভাবনা কমে যায়। ব্যবসা এবং গ্রাহকেরা সাধারণত এমন ডিভাইসগুলোকে পছন্দ করে, যেগুলোতে সক্রিয় সমর্থন পাওয়া যায়। এভাবে পুরোনো পিসিগুলোর চাহিদা কমে যায় এবং সেগুলো সেকেন্ড-হ্যান্ড বাজারে কম জনপ্রিয় হয়ে পড়ে।
পুনর্ব্যবহারের চ্যালেঞ্জ: পুনর্ব্যবহার একটি বিকল্প হলেও ই-বর্জ্য (ইলেকট্রনিক বর্জ্য) পুনর্ব্যবহারের হার খুবই কম। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বজুড়ে মাত্র ১৫-২০ শতাংশ ই-বর্জ্য সঠিকভাবে পুনর্ব্যবহার করা হয়। ২০১৯ সালে স্ট্যাটিস্টা জানিয়েছে, বিশ্বের মোট ই-বর্জ্য উৎপাদন ছিল ৫৪ মিলিয়ন টন এবং এটি ২০৩০ সালের মধ্যে ৭৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন টনে পৌঁছাবে। ২০২৫ সালের পর অনেক পুরোনো পিসি ফেলে দেওয়ার কারণে পুনর্ব্যবহার অবকাঠামোকে অভিভূত করতে পারে। বিশেষত যদি ব্যবহারকারীরা এগুলো সাধারণ আবর্জনার সঙ্গেই ফেলে দেয়, তবে ব্যাটারি এবং অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে।
পরিবেশগত প্রভাব
ভাগাড়ে পিসি ফেলে দিলে তা পরিবেশের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। কম্পিউটারে সিসা, পারদ, ক্যাডমিয়াম এবং ব্রোমিনেটেডের মতো বিপজ্জনক পদার্থ থাকে। এগুলো সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না করলে এগুলো মাটি এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশে যেতে পারে। এসব উপাদান পোড়ালেও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে ছড়িয়ে যেতে পারে। ক্যানালিসের মতে, যদি ভাগাড়ে ৪৮০ মিলিয়ন কিলোগ্রাম ই-বর্জ্য ফেলা হয়, তবে এটি পরিবেশে সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলবে। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির মতে, ই-বর্জ্য বিশ্বব্যাপী দ্রুত বাড়ছে এবং এর পুনর্ব্যবহার ক্ষমতার চেয়ে পাঁচ গুণ দ্রুত বর্ধনশীল।
২৪০ মিলিয়ন পিসির সবই ভাগাড়ে যাবে এমন নিশ্চয়তা নেই। কিছু ব্যবহারকারী হয়তো—
বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার শুরু করতে পারেন: লিনাক্স মিন্ট বা উবুন্টুর মতো লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনগুলো পুরোনো হার্ডওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। এগুলো উইন্ডোজের একটি সুরক্ষিত এবং বিনা মূল্যের বিকল্প।
দায়িত্বের সঙ্গে পুনর্ব্যবহার: অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল টেলিভিশন এবং কম্পিউটার রিসাইক্লিং স্কিম বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় ই-বর্জ্য ড্রাইভের মতো প্রোগ্রামগুলো বৈদ্যুতিক যানবাহন বা নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তিতে ব্যবহারের জন্য কম্পিউটারের উপকরণ (যেমন হার্ড ড্রাইভ থেকে বিরল আর্থ ধাতু, ব্যাটারি থেকে লিথিয়াম) ব্যবহার করতে পারে।
উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারে: কিছু ব্যক্তি সুরক্ষা ঝুঁকি মেনে নিয়ে অসমর্থিত সিস্টেম ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারে। তবে ব্যবসাগুলোর জন্য এটি কম কার্যকর। এই বিকল্পগুলো ব্যবহারকারীর সচেতনতা, সম্পদের অ্যাকসেস এবং মানিয়ে নেওয়ার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে।
মাইক্রোসফটের ভূমিকা এবং সমালোচনা
মাইক্রোসফট ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন-নিরপেক্ষ হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও উইন্ডোজ ১১ চালুর মাধ্যমে এই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হবে। এ জন্য মাইক্রোসফট ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। সমালোচকেরা বলেন, যদি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০ এর সমর্থন বাড়াতো বা উইন্ডোজ ১১ এর আপডেটের জন্য উন্নত হার্ডওয়্যার প্রয়োজনীয়তা কমাত, তবে ই-বর্জ্য কমানো সম্ভব হতো। তবে, নতুন হার্ডওয়্যার বিক্রির জন্য এই কৌশল অবলম্বন করেছে মাইক্রোসফট। এতে পিসি নির্মাতারা সুবিধা পেলেও হলেও, পরিবেশের ওপর চাপ বাড়তে পারে।
২০২৫ সালের অক্টোবরে উইন্ডোজ ১০ এর সমর্থন শেষ হলে, প্রায় ২৪০ মিলিয়ন পিসি ব্যবহারযোগ্য হবে না, যা প্রায় ৪ দশমিক ৮ লাখ মেট্রিক টন ই-বর্জ্যের সমান। যদিও পুরোনো পিসি পুনর্ব্যবহার বা বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে পুনর্ব্যবহারের কম সুবিধা, নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং আপগ্রেড করার খরচের কারণে অনেক পিসি হয়তো ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হবে। এর ফলে এটি বিশ্বব্যাপী ই-বর্জ্য সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা ব্যবহারকারীদের আচরণ, পুনর্ব্যবহার সুবিধা এবং মাইক্রোসফটের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। এটি প্রযুক্তি এবং পরিবেশের বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

চলতি বছরের ১৪ অক্টোবরের পর উইন্ডোজ-১০ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আর কোনো সফটওয়্যার হালনাগাদ, নিরাপত্তা সংশোধনী বা কারিগরি সহায়তা দেবে না মাইক্রোসফট। এদিকে উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেডের জন্য উন্নত হার্ডওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফলে পুরোনো মডেলের ২৪ কোটি কম্পিউটার ইলেকট্রনিক বর্জ্য হিসেবে ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হতে পারে, যা পরিবেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। আবার নতুন কম্পিউটার কেনার পরিবর্তে বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহারের বিষয় নিয়ে এখন থেকেই পর্যালোচনা করছেন অনেক ব্যবহারকারী।
উইন্ডোজ-১০-এর সমর্থন দেওয়া বন্ধ করার কারণে পরিবেশ ও ব্যবহারকারীর ওপর বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ডেটা ও বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হলো—
পটভূমি এবং হার্ডওয়্যার প্রয়োজনীয়তা
২০২১ সালের শেষের দিকে উন্মোচিত হয় উইন্ডোজ ১১। তবে এটি ডিভাইসে চালাতে উইন্ডোজ ১০ এর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উচ্চমানের সিস্টেমের প্রয়োজন; বিশেষ করে ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম মডিউল (টিপিএম) ২.০ চিপ, ১ গিগাহার্টজ ডুয়েল-কোর প্রসেসর (সাধারণত ৮ম প্রজন্মের ইন্টেল বা এএমডি রাইজেন ২০০০ সিরিজ), ৪ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি স্টোরেজ। অনেক পুরোনো পিসিতে এসব হার্ডওয়্যারের সুবিধা নেই। বিশেষ করে টিপিএম ২.০ চিপ এসব পিসিতে নেই। ২০১৬ সালের আগের সিস্টেমগুলোতে ব্যাপকভাবে এই চিপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে লাখ লাখ ডিভাইসের হার্ডওয়্যার পরিবর্তন না করলে উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেড করা যাবে না, যা প্রায়শই অবাস্তব বা ব্যয়বহুল। তবে এসব হার্ডওয়্যার বাদেও অনেক পুরোনো মডেলের পিসি এখনো কার্যকর।
সম্ভাব্য ই-বর্জ্যের ডেটা
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ক্যানালিস রিসার্চ অনুমান করেছিল, উইন্ডোজ-১০-এর সমর্থন শেষ হলে (ইওএল) এবং উইন্ডোজ-১১-এর সঙ্গে হার্ডওয়্যারের অসামঞ্জস্যের কারণে প্রায় ২৪০ মিলিয়ন পিসি অচল হয়ে যাবে। এই সংখ্যা তখন বিশ্বব্যাপী উইন্ডোজ ১০ ইনস্টল করা কম্পিউটারের প্রায় ২০ শতাংশের সমান ছিল। যদি এই পিসিগুলো ফেলে দেওয়া হয়, তবে আনুমানিক ৪৮০ মিলিয়ন কিলোগ্রাম (৪ লাখ ৮০ হাজার টন) ইলেকট্রনিক বর্জ্য (ই–বর্জ্য) তৈরি হতে পারে, যা প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার গড় গাড়ির ওজনের সমান। এ ছাড়া এই ডিভাইসগুলো ভালো অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও উইন্ডোজ-১০-এর সমর্থন শেষ হওয়ার ফলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা আপডেট পাবে না। ফলে এসব পিসির মূল্য এবং চাহিদা কমবে।
তবে অন্যান্য অনুমান সামান্য ভিন্ন। উদাহরণস্বরূপ, ২০২২ সালে পিআইআরজি (পাবলিক ইন্টারেস্ট রিসার্চ গ্রুপ) পরামর্শ দিয়েছিল যে, ব্যবহৃত ১ বিলিয়ন উইন্ডোজ ১০ ডিভাইসের মধ্যে ৪০০ মিলিয়ন ডিভাইস উইন্ডোজ-১১–এর আপডেট পাবে না। তাই সম্ভাব্য ই-বর্জ্য সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ই-বর্জ্য উৎপাদন ইতিমধ্যে ৬২ মিলিয়ন টন ছিল, যার মধ্যে সঠিকভাবে পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে এক-চতুর্থাংশের কম।
বিপুলসংখ্যক পিসি ভাগাড়ে যাবে যে কারণে
নিরাপত্তা আপডেট: ২০২৫ সালের অক্টোবরের পরে উইন্ডোজ ১০ আর বিনা মূল্যে নিরাপত্তা প্যাচ পাবে না, যার ফলে অসমর্থিত পিসিগুলো সাইবার হামলার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। এদিকে মাইক্রোসফট একটি ফি-এর বিনিময়ে ২০২৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত সুরক্ষা আপডেট (ইএসইউ) সুবিধা দেবে (অতীতের প্রোগ্রামের মতো, যেমন উইন্ডোজ-৭-এর জন্য প্রতিবছর ২৫-১০০ ডলার)। এই বিকল্প সম্ভবত ব্যক্তিগত গ্রাহকদের চেয়ে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বেশি আকর্ষণীয় হবে। এই ফি প্রদান বা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঝুঁকি নেওয়ার চেয়ে উইন্ডোজ-১১-সমর্থিত ডিভাইস কেনা বেশি সাশ্রয়ী হতে পারে অনেক ব্যবহারকারীর কাছে।
পুনর্বিক্রয় মূল্যহ্রাস: এই ২৪০ মিলিয়ন পিসির অনেকগুলো কার্যকরী হলেও এগুলো সমর্থিত অপারেটিং সিস্টেম চালাতে পারবে না। তাই সেগুলো পুনর্বিবিক্রয় বা পুনর্বিন্যাসের সম্ভাবনা কমে যায়। ব্যবসা এবং গ্রাহকেরা সাধারণত এমন ডিভাইসগুলোকে পছন্দ করে, যেগুলোতে সক্রিয় সমর্থন পাওয়া যায়। এভাবে পুরোনো পিসিগুলোর চাহিদা কমে যায় এবং সেগুলো সেকেন্ড-হ্যান্ড বাজারে কম জনপ্রিয় হয়ে পড়ে।
পুনর্ব্যবহারের চ্যালেঞ্জ: পুনর্ব্যবহার একটি বিকল্প হলেও ই-বর্জ্য (ইলেকট্রনিক বর্জ্য) পুনর্ব্যবহারের হার খুবই কম। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বজুড়ে মাত্র ১৫-২০ শতাংশ ই-বর্জ্য সঠিকভাবে পুনর্ব্যবহার করা হয়। ২০১৯ সালে স্ট্যাটিস্টা জানিয়েছে, বিশ্বের মোট ই-বর্জ্য উৎপাদন ছিল ৫৪ মিলিয়ন টন এবং এটি ২০৩০ সালের মধ্যে ৭৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন টনে পৌঁছাবে। ২০২৫ সালের পর অনেক পুরোনো পিসি ফেলে দেওয়ার কারণে পুনর্ব্যবহার অবকাঠামোকে অভিভূত করতে পারে। বিশেষত যদি ব্যবহারকারীরা এগুলো সাধারণ আবর্জনার সঙ্গেই ফেলে দেয়, তবে ব্যাটারি এবং অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে।
পরিবেশগত প্রভাব
ভাগাড়ে পিসি ফেলে দিলে তা পরিবেশের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। কম্পিউটারে সিসা, পারদ, ক্যাডমিয়াম এবং ব্রোমিনেটেডের মতো বিপজ্জনক পদার্থ থাকে। এগুলো সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না করলে এগুলো মাটি এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশে যেতে পারে। এসব উপাদান পোড়ালেও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে ছড়িয়ে যেতে পারে। ক্যানালিসের মতে, যদি ভাগাড়ে ৪৮০ মিলিয়ন কিলোগ্রাম ই-বর্জ্য ফেলা হয়, তবে এটি পরিবেশে সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলবে। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির মতে, ই-বর্জ্য বিশ্বব্যাপী দ্রুত বাড়ছে এবং এর পুনর্ব্যবহার ক্ষমতার চেয়ে পাঁচ গুণ দ্রুত বর্ধনশীল।
২৪০ মিলিয়ন পিসির সবই ভাগাড়ে যাবে এমন নিশ্চয়তা নেই। কিছু ব্যবহারকারী হয়তো—
বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার শুরু করতে পারেন: লিনাক্স মিন্ট বা উবুন্টুর মতো লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনগুলো পুরোনো হার্ডওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। এগুলো উইন্ডোজের একটি সুরক্ষিত এবং বিনা মূল্যের বিকল্প।
দায়িত্বের সঙ্গে পুনর্ব্যবহার: অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল টেলিভিশন এবং কম্পিউটার রিসাইক্লিং স্কিম বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় ই-বর্জ্য ড্রাইভের মতো প্রোগ্রামগুলো বৈদ্যুতিক যানবাহন বা নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তিতে ব্যবহারের জন্য কম্পিউটারের উপকরণ (যেমন হার্ড ড্রাইভ থেকে বিরল আর্থ ধাতু, ব্যাটারি থেকে লিথিয়াম) ব্যবহার করতে পারে।
উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারে: কিছু ব্যক্তি সুরক্ষা ঝুঁকি মেনে নিয়ে অসমর্থিত সিস্টেম ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারে। তবে ব্যবসাগুলোর জন্য এটি কম কার্যকর। এই বিকল্পগুলো ব্যবহারকারীর সচেতনতা, সম্পদের অ্যাকসেস এবং মানিয়ে নেওয়ার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে।
মাইক্রোসফটের ভূমিকা এবং সমালোচনা
মাইক্রোসফট ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন-নিরপেক্ষ হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও উইন্ডোজ ১১ চালুর মাধ্যমে এই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হবে। এ জন্য মাইক্রোসফট ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। সমালোচকেরা বলেন, যদি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০ এর সমর্থন বাড়াতো বা উইন্ডোজ ১১ এর আপডেটের জন্য উন্নত হার্ডওয়্যার প্রয়োজনীয়তা কমাত, তবে ই-বর্জ্য কমানো সম্ভব হতো। তবে, নতুন হার্ডওয়্যার বিক্রির জন্য এই কৌশল অবলম্বন করেছে মাইক্রোসফট। এতে পিসি নির্মাতারা সুবিধা পেলেও হলেও, পরিবেশের ওপর চাপ বাড়তে পারে।
২০২৫ সালের অক্টোবরে উইন্ডোজ ১০ এর সমর্থন শেষ হলে, প্রায় ২৪০ মিলিয়ন পিসি ব্যবহারযোগ্য হবে না, যা প্রায় ৪ দশমিক ৮ লাখ মেট্রিক টন ই-বর্জ্যের সমান। যদিও পুরোনো পিসি পুনর্ব্যবহার বা বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে পুনর্ব্যবহারের কম সুবিধা, নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং আপগ্রেড করার খরচের কারণে অনেক পিসি হয়তো ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হবে। এর ফলে এটি বিশ্বব্যাপী ই-বর্জ্য সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা ব্যবহারকারীদের আচরণ, পুনর্ব্যবহার সুবিধা এবং মাইক্রোসফটের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। এটি প্রযুক্তি এবং পরিবেশের বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
১৩ ঘণ্টা আগে
আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান।
১৪ ঘণ্টা আগে
শিশু-কিশোরদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ে বাড়ছে সচেতনতা। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে আইন তৈরি করেছে যে ১৬ বছরের কম বয়সী কারও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে না। এরপর আরও অনেক দেশ এই সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে। এদিকে এক গবেষণায় উঠে এসেছে...
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার আইন কার্যকর হয়েছে। সরকার দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ শিশুদের আসক্তিমূলক অ্যালগরিদম, অনলাইন বুলিং ও শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, সদ্য কার্যকর হওয়া ওই আইনটি ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ নানা দেশের নীতিনির্ধারকেরা অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্যোগকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ১০টি বড় সামাজিক মাধ্যম—ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, থ্রেডস, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব, টিকটক, রেডিট, কিক, টুইচ ও এক্স। এসব প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, তারা নতুন বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। তবে তাদের কেউ কেউ মনে করে—এত বড় পদক্ষেপ বাস্তবে শিশুদের নিরাপদ করবে কি না, তা এখনো প্রশ্ন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানিয়েছেন, কিছু শিশু ও তাদের বাবা-মা হয়তো এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে। তবে এর জন্য কোনো শাস্তি নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘এটি নিখুঁত নাও হতে পারে, কিন্তু সমাজকে জানাতে হবে—কোন আচরণটি গ্রহণযোগ্য।’
অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী—প্ল্যাটফর্মগুলোকে দেখাতে হবে তারা ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে এবং নতুন অ্যাকাউন্ট খোলায় বাধা দিতে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নিয়েছে। তা না হলে প্রায় ৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সিএনএন জানিয়েছে, পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ‘স্ন্যাপচ্যাট’ তিন বছরের জন্য অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখবে। ইউটিউব ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ আউট করবে, তবে লগ ইন না করেও ভিডিও দেখার সুযোগ থেকে যাবে এই মাধ্যমটিতে। টিকটক জানিয়েছে, বয়স যাচাইকরণের মধ্য দিয়েই অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে এবং শিশুদের পোস্ট করা কনটেন্টও আর দেখা যাবে না।
এদিকে নিরাপদ বিবেচনায় ডিসকর্ড, রোবলক্স, গুগল ক্লাসরুম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব কিডস-সহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম এখনো অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের জন্য উন্মুক্তই রাখা হচ্ছে। তবে ‘রোবলক্স’ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, কারণ প্ল্যাটফর্মটিতে শিশুদের টার্গেট করা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।
বয়স যাচাই করার জন্য প্ল্যাটফর্মগুলো লাইভ ভিডিও সেলফি, নথিপত্র বা ইমেইল যাচাইয়ের পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরেরা বিকল্প অ্যাপ খুঁজতে শুরু করেছে। এর ফলে ইয়োপে ও লেমন৮–এই দুটি অ্যাপ অল্প সময়েই হাজার হাজার নতুন ব্যবহারকারী পেয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, নতুন আইন কার্যকর করার পর শিশুরা বাইরে পর্যাপ্ত সময় কাটাচ্ছে কি না, বই পড়ছে কি না কিংবা মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে কি না—পর্যবেক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে তারা দেখতে চায়—শিশুরা নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ অনলাইন জগতে চলে যাচ্ছে কি না।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় মূল্যায়ন করা হবে এবং বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে সহায়তার জন্য এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার আইন কার্যকর হয়েছে। সরকার দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ শিশুদের আসক্তিমূলক অ্যালগরিদম, অনলাইন বুলিং ও শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, সদ্য কার্যকর হওয়া ওই আইনটি ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ নানা দেশের নীতিনির্ধারকেরা অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্যোগকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ১০টি বড় সামাজিক মাধ্যম—ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, থ্রেডস, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব, টিকটক, রেডিট, কিক, টুইচ ও এক্স। এসব প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, তারা নতুন বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। তবে তাদের কেউ কেউ মনে করে—এত বড় পদক্ষেপ বাস্তবে শিশুদের নিরাপদ করবে কি না, তা এখনো প্রশ্ন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানিয়েছেন, কিছু শিশু ও তাদের বাবা-মা হয়তো এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে। তবে এর জন্য কোনো শাস্তি নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘এটি নিখুঁত নাও হতে পারে, কিন্তু সমাজকে জানাতে হবে—কোন আচরণটি গ্রহণযোগ্য।’
অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী—প্ল্যাটফর্মগুলোকে দেখাতে হবে তারা ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে এবং নতুন অ্যাকাউন্ট খোলায় বাধা দিতে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নিয়েছে। তা না হলে প্রায় ৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সিএনএন জানিয়েছে, পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ‘স্ন্যাপচ্যাট’ তিন বছরের জন্য অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখবে। ইউটিউব ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ আউট করবে, তবে লগ ইন না করেও ভিডিও দেখার সুযোগ থেকে যাবে এই মাধ্যমটিতে। টিকটক জানিয়েছে, বয়স যাচাইকরণের মধ্য দিয়েই অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে এবং শিশুদের পোস্ট করা কনটেন্টও আর দেখা যাবে না।
এদিকে নিরাপদ বিবেচনায় ডিসকর্ড, রোবলক্স, গুগল ক্লাসরুম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব কিডস-সহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম এখনো অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের জন্য উন্মুক্তই রাখা হচ্ছে। তবে ‘রোবলক্স’ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, কারণ প্ল্যাটফর্মটিতে শিশুদের টার্গেট করা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।
বয়স যাচাই করার জন্য প্ল্যাটফর্মগুলো লাইভ ভিডিও সেলফি, নথিপত্র বা ইমেইল যাচাইয়ের পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরেরা বিকল্প অ্যাপ খুঁজতে শুরু করেছে। এর ফলে ইয়োপে ও লেমন৮–এই দুটি অ্যাপ অল্প সময়েই হাজার হাজার নতুন ব্যবহারকারী পেয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, নতুন আইন কার্যকর করার পর শিশুরা বাইরে পর্যাপ্ত সময় কাটাচ্ছে কি না, বই পড়ছে কি না কিংবা মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে কি না—পর্যবেক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে তারা দেখতে চায়—শিশুরা নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ অনলাইন জগতে চলে যাচ্ছে কি না।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় মূল্যায়ন করা হবে এবং বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে সহায়তার জন্য এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

চলতি বছরের ১৪ অক্টোবরের পর উইন্ডোজ ১০-অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আর কোনো সফটওয়্যার হালনাগাদ, নিরাপত্তা সংশোধনী বা কারিগরি সহায়তা দেবে না মাইক্রোসফট। এদিকে উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেডের জন্য উন্নত হার্ডওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফলে পুরোনো মডেলের ২৪ কোটি কম্পিউটার ইলেকট্রনিক বর্জ্য হিসেবে ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া
০৫ এপ্রিল ২০২৫
আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান।
১৪ ঘণ্টা আগে
শিশু-কিশোরদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ে বাড়ছে সচেতনতা। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে আইন তৈরি করেছে যে ১৬ বছরের কম বয়সী কারও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে না। এরপর আরও অনেক দেশ এই সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে। এদিকে এক গবেষণায় উঠে এসেছে...
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
আজ মঙ্গলবার মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক্সে এ তথ্য জানান। সত্য নাদেলা বলেন, ভারতের ‘এআই ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, দক্ষতা ও সার্বভৌম সক্ষমতা’ গড়ে তুলতে মাইক্রোসফট এই বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।
বিশ্বের অনেক প্রযুক্তি কোম্পানিই ভারতে তাদের বাজার সম্প্রসারণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। দ্রুতগতিতে ডিজিটাল অবকাঠামোর বিস্তার হওয়ায় দেশটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বাজারগুলোর একটি।
এর আগে গত অক্টোবরে গুগল জানিয়েছিল, তারা আগামী পাঁচ বছরে ভারতে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। দক্ষিণাঞ্চলের শহর বিশাখাপত্তনমে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম এআই হাব স্থাপন করা হবে, যা হবে গুগলের অন্যতম বৃহত্তম বৈশ্বিক কেন্দ্র।
তিন দিনের ভারত সফরে থাকা নাদেলা নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াও বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত এআই-বিষয়ক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের বৈশ্বিক কেন্দ্র হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে ভারত সরকার কাজ করছে। দেশটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা চালু করেছে, যাতে বিশ্বখ্যাত চিপ নির্মাতা ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো দেশটিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়। সরকারের লক্ষ্য উদ্ভাবনী বাজার শক্তিশালী করা, কর্মসংস্থান বাড়ানো ও আমদানিনির্ভরতা কমানো।
সত্য নাদেলার সঙ্গে সাক্ষাতের পর মোদি এক্সে লিখেছেন, ‘এআই নিয়ে বিশ্ব ভারতের ব্যাপারে আশাবাদী।’
ভারতে মাইক্রোসফটের সর্বশেষ বিনিয়োগ ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার। তবে এবার সেটি সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। আগের পরিকল্পনায় আগামী দুই বছরে নতুন ডেটা সেন্টার, ক্লাউড ও এআই অবকাঠামো তৈরি এবং কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের উদ্যোগ ছিল।
ভারতে তিন দশকের বেশি সময় ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে মাইক্রোসফট। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২২ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন। উন্নত কম্পিউটিং চাহিদা পূরণে কোম্পানিটি ক্লাউড ও ডেটা সেন্টারের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
এক বিবৃতিতে মাইক্রোসফট জানায়, তারা ভারতে চলমান কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করতে চায়। দেশটিতে তাদের সবচেয়ে বড় হাইপারস্কেল সুবিধা নিশ্চিত করতে একটি নতুন ডেটা সেন্টার ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে কার্যক্রম শুরু করবে।

আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
আজ মঙ্গলবার মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক্সে এ তথ্য জানান। সত্য নাদেলা বলেন, ভারতের ‘এআই ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, দক্ষতা ও সার্বভৌম সক্ষমতা’ গড়ে তুলতে মাইক্রোসফট এই বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।
বিশ্বের অনেক প্রযুক্তি কোম্পানিই ভারতে তাদের বাজার সম্প্রসারণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। দ্রুতগতিতে ডিজিটাল অবকাঠামোর বিস্তার হওয়ায় দেশটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বাজারগুলোর একটি।
এর আগে গত অক্টোবরে গুগল জানিয়েছিল, তারা আগামী পাঁচ বছরে ভারতে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। দক্ষিণাঞ্চলের শহর বিশাখাপত্তনমে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম এআই হাব স্থাপন করা হবে, যা হবে গুগলের অন্যতম বৃহত্তম বৈশ্বিক কেন্দ্র।
তিন দিনের ভারত সফরে থাকা নাদেলা নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াও বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত এআই-বিষয়ক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের বৈশ্বিক কেন্দ্র হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে ভারত সরকার কাজ করছে। দেশটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা চালু করেছে, যাতে বিশ্বখ্যাত চিপ নির্মাতা ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো দেশটিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়। সরকারের লক্ষ্য উদ্ভাবনী বাজার শক্তিশালী করা, কর্মসংস্থান বাড়ানো ও আমদানিনির্ভরতা কমানো।
সত্য নাদেলার সঙ্গে সাক্ষাতের পর মোদি এক্সে লিখেছেন, ‘এআই নিয়ে বিশ্ব ভারতের ব্যাপারে আশাবাদী।’
ভারতে মাইক্রোসফটের সর্বশেষ বিনিয়োগ ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার। তবে এবার সেটি সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। আগের পরিকল্পনায় আগামী দুই বছরে নতুন ডেটা সেন্টার, ক্লাউড ও এআই অবকাঠামো তৈরি এবং কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের উদ্যোগ ছিল।
ভারতে তিন দশকের বেশি সময় ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে মাইক্রোসফট। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২২ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন। উন্নত কম্পিউটিং চাহিদা পূরণে কোম্পানিটি ক্লাউড ও ডেটা সেন্টারের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
এক বিবৃতিতে মাইক্রোসফট জানায়, তারা ভারতে চলমান কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করতে চায়। দেশটিতে তাদের সবচেয়ে বড় হাইপারস্কেল সুবিধা নিশ্চিত করতে একটি নতুন ডেটা সেন্টার ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে কার্যক্রম শুরু করবে।

চলতি বছরের ১৪ অক্টোবরের পর উইন্ডোজ ১০-অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আর কোনো সফটওয়্যার হালনাগাদ, নিরাপত্তা সংশোধনী বা কারিগরি সহায়তা দেবে না মাইক্রোসফট। এদিকে উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেডের জন্য উন্নত হার্ডওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফলে পুরোনো মডেলের ২৪ কোটি কম্পিউটার ইলেকট্রনিক বর্জ্য হিসেবে ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া
০৫ এপ্রিল ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
১৩ ঘণ্টা আগে
বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান।
১৪ ঘণ্টা আগে
শিশু-কিশোরদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ে বাড়ছে সচেতনতা। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে আইন তৈরি করেছে যে ১৬ বছরের কম বয়সী কারও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে না। এরপর আরও অনেক দেশ এই সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে। এদিকে এক গবেষণায় উঠে এসেছে...
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার) পদ্ধতি কার্যকর করার সময় পেছানো এবং মোবাইল ফোন আমদানির ক্ষেত্রে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানো।
এসব দাবি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠক করেন মোবাইল ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে বেলা ১১টা নাগাদ এই বৈঠক শুরু হয়। এমবিসিবির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল এতে অংশ নেয়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। এ সময় বিটিআরসি ভবনের বাইরে অবস্থান নেন শতাধিক মোবাইল ব্যবসায়ী।
বিটিআরসি থেকে বের হয়ে এমবিসিবির নেতারা জানান বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। এমবিসিবির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শামীম মোল্লা বলেন, ‘আমাদের দাবিতে তারা (বিটিআরসি) কর্ণপাত করে নাই, আমাদের দাবি কেউ আমলে নেয় নাই। আমাদের কথা তারা বুঝে, বলার আগেই বুঝে, কিন্তু না বোঝার ভান করে।’
আগামীকাল বুধবার এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে জানান শামীম মোল্লা। সে পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এমবিসিবির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘মিটিংয়ে আমাদের একমাত্র অ্যাজেন্ডা ছিল ইউজড (ব্যবহৃত) ফোন। আমরা বলেছি, এ দেশে ৭০-৭৫ শতাংশ মানুষ ইউজড ফোন কেনে, ব্যবহার করে আবার বিক্রি করে বা এক্সচেঞ্জ (বিনিময়) করে। আমরা বারবার বলেছি এই ফোনগুলোকে ক্লোন, কপি ও রিফারবিশড বলে কালিমা লেপন করছেন আপনারা। আমরা ক্লোন-কপি বেচি না, আমরা যে মালটা বিক্রি করি, সেটা ধনী দেশের মানুষেরা ছেড়ে দেয়, আমরা সেটা দেশে নিয়ে এসে বিক্রি করি।’
মোহাম্মদ আসলাম জানান, তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ব্যবহৃত ফোনের বাণিজ্য করতে দিতেই হবে। তবে বিটিআরসি বলেছে আপাতত এ বিষয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই।
মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি যেহেতু তারা এনইআইআর চালু করার জন্য নতুন ফোনের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, পুরাতন ফোনের জন্য যে সরঞ্জাম লাগে সেটার টাকা আমরা সারা দেশের ব্যবসায়ীরা দেব। কিন্তু তারা অনড়।’
এমবিসিবির নেতারা জানান, বুধবার মোবাইল ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক হবে। এরপরও তাঁদের দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তাঁরা।
১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে এনইআইআর কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে বিটিআরসি। মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের এই বাধ্যবাধকতা কার্যকর হওয়ার পর কেবল সরকার অনুমোদিত বৈধ হ্যান্ডসেটই নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশে মোবাইল ফোনের দাম বেড়ে যাবে এবং সাধারণ মোবাইলে বিক্রেতা পথে বসবে বলে অভিযোগ এমবিসিবির।
এমবিসিবির সঙ্গে বৈঠকের পর এক বার্তায় বিটিআরসি জানিয়েছে, মোবাইল হ্যন্ডসেট আমদানি এবং ভেন্ডর তালিকাভুক্তকরণ সনদ দেওয়ার বিদ্যমান প্রক্রিয়া সহজ করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু মোবাইল ফোনের মূল উৎপাদনকারী সংস্থার পাশাপাশি যেকোনো অনুমোদিত সরবরাহকারীর প্রত্যয়নপত্রসহ (চুক্তির পরিবর্তে) আবেদন করা হলে বিটিআরসি হতে সহজেই তাদের অনুকূলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। এমবিসিবির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বাজারে থাকা অবিক্রীত সব মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়মিতকরণের জন্য নির্ধারিত ছকে তথ্য জমা দিতে হবে। এরপর বিটিআরসি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
‘বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার, বাজারজাতকরণ ও তালিকা গ্রহণের নির্দেশিকা, ২০২৪’ অনুযায়ী বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানি করা হলে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।

বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার) পদ্ধতি কার্যকর করার সময় পেছানো এবং মোবাইল ফোন আমদানির ক্ষেত্রে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানো।
এসব দাবি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠক করেন মোবাইল ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে বেলা ১১টা নাগাদ এই বৈঠক শুরু হয়। এমবিসিবির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল এতে অংশ নেয়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। এ সময় বিটিআরসি ভবনের বাইরে অবস্থান নেন শতাধিক মোবাইল ব্যবসায়ী।
বিটিআরসি থেকে বের হয়ে এমবিসিবির নেতারা জানান বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। এমবিসিবির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শামীম মোল্লা বলেন, ‘আমাদের দাবিতে তারা (বিটিআরসি) কর্ণপাত করে নাই, আমাদের দাবি কেউ আমলে নেয় নাই। আমাদের কথা তারা বুঝে, বলার আগেই বুঝে, কিন্তু না বোঝার ভান করে।’
আগামীকাল বুধবার এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে জানান শামীম মোল্লা। সে পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এমবিসিবির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘মিটিংয়ে আমাদের একমাত্র অ্যাজেন্ডা ছিল ইউজড (ব্যবহৃত) ফোন। আমরা বলেছি, এ দেশে ৭০-৭৫ শতাংশ মানুষ ইউজড ফোন কেনে, ব্যবহার করে আবার বিক্রি করে বা এক্সচেঞ্জ (বিনিময়) করে। আমরা বারবার বলেছি এই ফোনগুলোকে ক্লোন, কপি ও রিফারবিশড বলে কালিমা লেপন করছেন আপনারা। আমরা ক্লোন-কপি বেচি না, আমরা যে মালটা বিক্রি করি, সেটা ধনী দেশের মানুষেরা ছেড়ে দেয়, আমরা সেটা দেশে নিয়ে এসে বিক্রি করি।’
মোহাম্মদ আসলাম জানান, তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ব্যবহৃত ফোনের বাণিজ্য করতে দিতেই হবে। তবে বিটিআরসি বলেছে আপাতত এ বিষয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই।
মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি যেহেতু তারা এনইআইআর চালু করার জন্য নতুন ফোনের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, পুরাতন ফোনের জন্য যে সরঞ্জাম লাগে সেটার টাকা আমরা সারা দেশের ব্যবসায়ীরা দেব। কিন্তু তারা অনড়।’
এমবিসিবির নেতারা জানান, বুধবার মোবাইল ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক হবে। এরপরও তাঁদের দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তাঁরা।
১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে এনইআইআর কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে বিটিআরসি। মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের এই বাধ্যবাধকতা কার্যকর হওয়ার পর কেবল সরকার অনুমোদিত বৈধ হ্যান্ডসেটই নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশে মোবাইল ফোনের দাম বেড়ে যাবে এবং সাধারণ মোবাইলে বিক্রেতা পথে বসবে বলে অভিযোগ এমবিসিবির।
এমবিসিবির সঙ্গে বৈঠকের পর এক বার্তায় বিটিআরসি জানিয়েছে, মোবাইল হ্যন্ডসেট আমদানি এবং ভেন্ডর তালিকাভুক্তকরণ সনদ দেওয়ার বিদ্যমান প্রক্রিয়া সহজ করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু মোবাইল ফোনের মূল উৎপাদনকারী সংস্থার পাশাপাশি যেকোনো অনুমোদিত সরবরাহকারীর প্রত্যয়নপত্রসহ (চুক্তির পরিবর্তে) আবেদন করা হলে বিটিআরসি হতে সহজেই তাদের অনুকূলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। এমবিসিবির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বাজারে থাকা অবিক্রীত সব মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়মিতকরণের জন্য নির্ধারিত ছকে তথ্য জমা দিতে হবে। এরপর বিটিআরসি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
‘বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার, বাজারজাতকরণ ও তালিকা গ্রহণের নির্দেশিকা, ২০২৪’ অনুযায়ী বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানি করা হলে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।

চলতি বছরের ১৪ অক্টোবরের পর উইন্ডোজ ১০-অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আর কোনো সফটওয়্যার হালনাগাদ, নিরাপত্তা সংশোধনী বা কারিগরি সহায়তা দেবে না মাইক্রোসফট। এদিকে উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেডের জন্য উন্নত হার্ডওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফলে পুরোনো মডেলের ২৪ কোটি কম্পিউটার ইলেকট্রনিক বর্জ্য হিসেবে ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া
০৫ এপ্রিল ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
১৩ ঘণ্টা আগে
আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
শিশু-কিশোরদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ে বাড়ছে সচেতনতা। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে আইন তৈরি করেছে যে ১৬ বছরের কম বয়সী কারও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে না। এরপর আরও অনেক দেশ এই সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে। এদিকে এক গবেষণায় উঠে এসেছে...
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশু-কিশোরদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ে বাড়ছে সচেতনতা। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে আইন তৈরি করেছে যে ১৬ বছরের কম বয়সী কারও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে না। এরপর আরও অনেক দেশ এই সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে। এদিকে এক গবেষণায় উঠে এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দৈনিক ৩০ মিনিটের বেশি সময় করলে শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখার সক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে পারে।
৮ হাজারের বেশি শিশুর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এক গবেষণায় এ তথ্য জানিয়েছে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা। তাঁরা এ গবেষণায় স্ক্রিন ব্যবহারের অভ্যাস এবং অ্যাটেনশন-ডেফিসিট/হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার (এডিএইচডি)–সম্পর্কিত উপসর্গের সম্ভাব্য সংযোগ খতিয়ে দেখেছেন।
গবেষকেরা যুক্তরাষ্ট্রের ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সী মোট ৮ হাজার ৩২৪ শিশুকে চার বছর ধরে অনুসরণ করেন। এ সময় শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার, টিভি বা ভিডিও দেখা এবং ভিডিও গেম খেলার গড় সময় বিবেচনায় নেওয়া হয়। দেখা যায়, একটি শিশু যেখানে ৯ বছর বয়সে দৈনিক প্রায় ৩০ মিনিট স্ক্রিনে চোখ রাখত, সে ১৩ বছর বয়সে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত স্ক্রিনে সময় ব্যয় করছে।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, যে শিশুরা ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক, ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার) বা মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি সময় ব্যয় করেছে, তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে অমনোযোগিতার উপসর্গ তৈরি হয়েছে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, অনেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ন্যূনতম বয়সসীমা ১৩ বছর নির্ধারিত থাকা সত্ত্বেও ৯ বছর বয়সে শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের দৈনিক গড় সময় ছিল প্রায় ৩০ মিনিট, যা ১৩ বছর বয়সে গিয়ে দাঁড়ায় আড়াই ঘণ্টায়।
পিয়ার-রিভিউড জার্নাল পেডিয়াট্রিক্স ওপেন সায়েন্স–এ প্রকাশিত এই গবেষণায় টিভি দেখা বা ভিডিও গেম খেলার ক্ষেত্রে এমন ফলাফল উল্লেখ করা হয়নি।
ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নিউরোসায়েন্স বিভাগের কগনিটিভ নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক টরকেল ক্লিংবার্গ বলেন, ‘আমাদের গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে নির্দিষ্টভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা ও নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ক্রমাগত মনোযোগ বিঘ্নিত হয়। এমনকি কোনো বার্তা এসেছে কি না, এই চিন্তাও মনোযোগ সরিয়ে দেয়। এটি মনোসংযোগ ধরে রাখার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
পরিবারের আর্থসামাজিক পটভূমি বা এডিএইচডির প্রতি জিনগত প্রবণতা কোনোটিই এই সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি বলে জানান গবেষকেরা।
এ ছাড়া, যেসব শিশুর আগে থেকেই অমনোযোগিতার উপসর্গ ছিল, তারা বেশি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা শুরু করেনি। এটি ইঙ্গিত দেয় যে সম্পর্কটি ব্যবহার থেকে উপসর্গের দিকে যায়, উপসর্গ থেকে ব্যবহারের দিকে নয়।
গবেষণায় হাইপার অ্যাকটিভ বা আবেগপ্রবণ আচরণ বৃদ্ধির কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এর প্রভাব সামান্য হলেও জনসংখ্যার বিস্তৃত পরিসরে এর প্রভাব লক্ষণীয় হতে পারে বলে মনে করেন গবেষকেরা।

শিশু-কিশোরদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ে বাড়ছে সচেতনতা। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে আইন তৈরি করেছে যে ১৬ বছরের কম বয়সী কারও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে না। এরপর আরও অনেক দেশ এই সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে। এদিকে এক গবেষণায় উঠে এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দৈনিক ৩০ মিনিটের বেশি সময় করলে শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখার সক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে পারে।
৮ হাজারের বেশি শিশুর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এক গবেষণায় এ তথ্য জানিয়েছে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা। তাঁরা এ গবেষণায় স্ক্রিন ব্যবহারের অভ্যাস এবং অ্যাটেনশন-ডেফিসিট/হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার (এডিএইচডি)–সম্পর্কিত উপসর্গের সম্ভাব্য সংযোগ খতিয়ে দেখেছেন।
গবেষকেরা যুক্তরাষ্ট্রের ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সী মোট ৮ হাজার ৩২৪ শিশুকে চার বছর ধরে অনুসরণ করেন। এ সময় শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার, টিভি বা ভিডিও দেখা এবং ভিডিও গেম খেলার গড় সময় বিবেচনায় নেওয়া হয়। দেখা যায়, একটি শিশু যেখানে ৯ বছর বয়সে দৈনিক প্রায় ৩০ মিনিট স্ক্রিনে চোখ রাখত, সে ১৩ বছর বয়সে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত স্ক্রিনে সময় ব্যয় করছে।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, যে শিশুরা ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক, ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার) বা মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি সময় ব্যয় করেছে, তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে অমনোযোগিতার উপসর্গ তৈরি হয়েছে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, অনেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ন্যূনতম বয়সসীমা ১৩ বছর নির্ধারিত থাকা সত্ত্বেও ৯ বছর বয়সে শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের দৈনিক গড় সময় ছিল প্রায় ৩০ মিনিট, যা ১৩ বছর বয়সে গিয়ে দাঁড়ায় আড়াই ঘণ্টায়।
পিয়ার-রিভিউড জার্নাল পেডিয়াট্রিক্স ওপেন সায়েন্স–এ প্রকাশিত এই গবেষণায় টিভি দেখা বা ভিডিও গেম খেলার ক্ষেত্রে এমন ফলাফল উল্লেখ করা হয়নি।
ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নিউরোসায়েন্স বিভাগের কগনিটিভ নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক টরকেল ক্লিংবার্গ বলেন, ‘আমাদের গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে নির্দিষ্টভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা ও নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ক্রমাগত মনোযোগ বিঘ্নিত হয়। এমনকি কোনো বার্তা এসেছে কি না, এই চিন্তাও মনোযোগ সরিয়ে দেয়। এটি মনোসংযোগ ধরে রাখার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
পরিবারের আর্থসামাজিক পটভূমি বা এডিএইচডির প্রতি জিনগত প্রবণতা কোনোটিই এই সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি বলে জানান গবেষকেরা।
এ ছাড়া, যেসব শিশুর আগে থেকেই অমনোযোগিতার উপসর্গ ছিল, তারা বেশি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা শুরু করেনি। এটি ইঙ্গিত দেয় যে সম্পর্কটি ব্যবহার থেকে উপসর্গের দিকে যায়, উপসর্গ থেকে ব্যবহারের দিকে নয়।
গবেষণায় হাইপার অ্যাকটিভ বা আবেগপ্রবণ আচরণ বৃদ্ধির কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এর প্রভাব সামান্য হলেও জনসংখ্যার বিস্তৃত পরিসরে এর প্রভাব লক্ষণীয় হতে পারে বলে মনে করেন গবেষকেরা।

চলতি বছরের ১৪ অক্টোবরের পর উইন্ডোজ ১০-অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আর কোনো সফটওয়্যার হালনাগাদ, নিরাপত্তা সংশোধনী বা কারিগরি সহায়তা দেবে না মাইক্রোসফট। এদিকে উইন্ডোজ ১১-এ আপগ্রেডের জন্য উন্নত হার্ডওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফলে পুরোনো মডেলের ২৪ কোটি কম্পিউটার ইলেকট্রনিক বর্জ্য হিসেবে ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া
০৫ এপ্রিল ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
১৩ ঘণ্টা আগে
আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান।
১৪ ঘণ্টা আগে