আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম পুরোনো ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেলে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে এনভিডিয়া। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কাস্টম ডেটা সেন্টার এবং পিসির জন্য নতুন চিপ তৈরির ক্ষেত্রে তারা ইন্টেলের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।
এই ঘোষণার এক মাস আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন নিশ্চিত করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইন্টেলের ১০ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছে, এটাকে করপোরেট আমেরিকায় হোয়াইট হাউসের এক ব্যতিক্রমী হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এনভিডিয়া জানিয়েছে, তারা শেয়ারপ্রতি ২৩ দশমিক ২৮ ডলার দামে ইন্টেলের সাধারণ শেয়ার কিনবে। তবে এই বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের ওপর নির্ভর করছে।
এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াং বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব এনভিডিয়ার এআই ও অ্যাক্সিলারেটেড কম্পিউটিং স্ট্যাক এবং ইন্টেলের সিপিইউ ও বৃহৎ ‘‘এক্স ৮৬’’ ইকোসিস্টেমকে একত্রে নিয়ে আসবে। এটি দুই বিশ্বমানের প্ল্যাটফর্মের এক মিশ্রণ। আমরা একসঙ্গে আমাদের ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণ করব এবং কম্পিউটিংয়ের নতুন যুগের ভিত্তি গড়ে তুলব।’
উভয় প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা তাদের প্রযুক্তি একে অপরের সঙ্গে ‘সীমাহীনভাবে সংযুক্ত করার’ লক্ষ্যে কাজ করবে।
ইন্টেল তৈরি করবে কাস্টম চিপ, যা এনভিডিয়ার এআই অবকাঠামো (ডেটা সেন্টার) প্ল্যাটফর্মে ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া পার্সোনাল কম্পিউটারের (পিসি) জন্যও ইন্টেল এনভিডিয়ার প্রযুক্তি একীভূত করে নতুন চিপ তৈরি করবে।
এই ঘোষণার পর মার্কেট ক্লোজ হওয়ার পরে ইন্টেলের শেয়ার প্রায় ২৩ শতাংশ বেড়ে যায়। ১৯৮৭ সালের পর এটি কোম্পানিটির সবচেয়ে বড় এক দিনের মূল্যবৃদ্ধি। অন্যদিকে এনভিডিয়ার শেয়ারও ৩ শতাংশের বেশি বাড়ে, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য দাঁড়ায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলার।
সিলিকন ভ্যালির অগ্রপথিক প্রতিষ্ঠান ইন্টেল ১৯৮০ ও ৯০-এর দশকে পার্সোনাল কম্পিউটারে নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছিল। তবে ২০০৭ সালে আইফোন আসার পর মোবাইল কম্পিউটিং যুগ শুরু হলে তারা পিছিয়ে পড়ে।
গত কয়েক বছরে এআই বিপ্লবের সময়ও ইন্টেল অনেক পিছিয়ে পড়ে, যেখানে এনভিডিয়া হয়ে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি। শুধু গত বছরেই ইন্টেল ১৯ বিলিয়ন ডলার লোকসান করেছে, এবং ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের কর্মীর সংখ্যা এক-চতুর্থাংশ কমানোর পরিকল্পনা করেছে।
এনভিডিয়া ছাড়াও ইন্টেলে বিনিয়োগ করেছে জাপানের প্রযুক্তি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। তারা আগস্টে ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে, যা ইন্টেলের ২ শতাংশ মালিকানা অর্জনের সমান। এই বিনিয়োগের আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইন্টেলের শেয়ার কিনবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি একসময় আমদানি করা চিপের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসন এনভিডিয়া ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী এএমডির সঙ্গে রপ্তানি চুক্তি করে, যাতে তারা কম ক্ষমতাসম্পন্ন এআই চিপ চীনে বিক্রি করতে পারে। তবে শর্ত ছিল, এই বিক্রির ১৫ শতাংশ লাভ সরকার পাবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এনভিডিয়ার এই বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি তার আধিপত্য আরও একবার প্রতিষ্ঠিত করল। একই সঙ্গে এটা ইন্টেলের জন্য হতে পারে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম পুরোনো ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেলে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে এনভিডিয়া। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কাস্টম ডেটা সেন্টার এবং পিসির জন্য নতুন চিপ তৈরির ক্ষেত্রে তারা ইন্টেলের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।
এই ঘোষণার এক মাস আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন নিশ্চিত করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইন্টেলের ১০ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছে, এটাকে করপোরেট আমেরিকায় হোয়াইট হাউসের এক ব্যতিক্রমী হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এনভিডিয়া জানিয়েছে, তারা শেয়ারপ্রতি ২৩ দশমিক ২৮ ডলার দামে ইন্টেলের সাধারণ শেয়ার কিনবে। তবে এই বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের ওপর নির্ভর করছে।
এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াং বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব এনভিডিয়ার এআই ও অ্যাক্সিলারেটেড কম্পিউটিং স্ট্যাক এবং ইন্টেলের সিপিইউ ও বৃহৎ ‘‘এক্স ৮৬’’ ইকোসিস্টেমকে একত্রে নিয়ে আসবে। এটি দুই বিশ্বমানের প্ল্যাটফর্মের এক মিশ্রণ। আমরা একসঙ্গে আমাদের ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণ করব এবং কম্পিউটিংয়ের নতুন যুগের ভিত্তি গড়ে তুলব।’
উভয় প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা তাদের প্রযুক্তি একে অপরের সঙ্গে ‘সীমাহীনভাবে সংযুক্ত করার’ লক্ষ্যে কাজ করবে।
ইন্টেল তৈরি করবে কাস্টম চিপ, যা এনভিডিয়ার এআই অবকাঠামো (ডেটা সেন্টার) প্ল্যাটফর্মে ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া পার্সোনাল কম্পিউটারের (পিসি) জন্যও ইন্টেল এনভিডিয়ার প্রযুক্তি একীভূত করে নতুন চিপ তৈরি করবে।
এই ঘোষণার পর মার্কেট ক্লোজ হওয়ার পরে ইন্টেলের শেয়ার প্রায় ২৩ শতাংশ বেড়ে যায়। ১৯৮৭ সালের পর এটি কোম্পানিটির সবচেয়ে বড় এক দিনের মূল্যবৃদ্ধি। অন্যদিকে এনভিডিয়ার শেয়ারও ৩ শতাংশের বেশি বাড়ে, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য দাঁড়ায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলার।
সিলিকন ভ্যালির অগ্রপথিক প্রতিষ্ঠান ইন্টেল ১৯৮০ ও ৯০-এর দশকে পার্সোনাল কম্পিউটারে নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছিল। তবে ২০০৭ সালে আইফোন আসার পর মোবাইল কম্পিউটিং যুগ শুরু হলে তারা পিছিয়ে পড়ে।
গত কয়েক বছরে এআই বিপ্লবের সময়ও ইন্টেল অনেক পিছিয়ে পড়ে, যেখানে এনভিডিয়া হয়ে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি। শুধু গত বছরেই ইন্টেল ১৯ বিলিয়ন ডলার লোকসান করেছে, এবং ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের কর্মীর সংখ্যা এক-চতুর্থাংশ কমানোর পরিকল্পনা করেছে।
এনভিডিয়া ছাড়াও ইন্টেলে বিনিয়োগ করেছে জাপানের প্রযুক্তি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। তারা আগস্টে ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে, যা ইন্টেলের ২ শতাংশ মালিকানা অর্জনের সমান। এই বিনিয়োগের আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইন্টেলের শেয়ার কিনবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি একসময় আমদানি করা চিপের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসন এনভিডিয়া ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী এএমডির সঙ্গে রপ্তানি চুক্তি করে, যাতে তারা কম ক্ষমতাসম্পন্ন এআই চিপ চীনে বিক্রি করতে পারে। তবে শর্ত ছিল, এই বিক্রির ১৫ শতাংশ লাভ সরকার পাবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এনভিডিয়ার এই বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি তার আধিপত্য আরও একবার প্রতিষ্ঠিত করল। একই সঙ্গে এটা ইন্টেলের জন্য হতে পারে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
১৯ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
১ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
১ দিন আগেছবি তুলতে কে না ভালোবাসে! হাতের কাছে মোবাইল ফোন থাকলেই হলো, মুহূর্তে বন্দী করে ফেলা যায় প্রিয় দৃশ্য বা স্মৃতি। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, ভ্রমণের স্মৃতি কিংবা একান্ত মুহূর্ত—সবই জমা হয় মোবাইল ফোনের গ্যালারিতে।
১ দিন আগে